নভেম্বর ১৯, ২০১১
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কুনমিং হয়ে বেইজিং। সেখান থেকে সড়ক পথে চীনের হেবাই প্রদেশের সিঝিয়াঝুং সিটিতে। আমাকে সেখানে থাকতে হবে দু’সপ্তাহ। হয়ত সারাদিন দাপ্তরিক কাজের ব্যস্ততা থাকবে, তবু সেই ব্যস্ততার ফাঁক গলে উচ্ছ্বসিত চড়ুইয়ের মতো কিছু অনাবিল মুহূর্ত, একটি কি দুটি উইক-এন্ড আমার দরজায় এসে মৃদু কড়া নাড়বে। ডাক দিয়ে যাবে তেপান্তরে। আমাকে ট্যাং ডাইনেষ্টির পরাক্রমশালী নৃপতি ঠাউরে হয়ত ক
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কুনমিং হয়ে বেইজিং। সেখান থেকে সড়ক পথে চীনের হেবাই প্রদেশের সিঝিয়াঝুং সিটিতে। আমাকে সেখানে থাকতে হবে দু’সপ্তাহ। হয়ত সারাদিন দাপ্তরিক কাজের ব্যস্ততা থাকবে, তবু সেই ব্যস্ততার ফাঁক গলে উচ্ছ্বসিত চড়ুইয়ের মতো কিছু অনাবিল মুহূর্ত, একটি কি দুটি উইক-এন্ড আমার দরজায় এসে মৃদু কড়া নাড়বে। ডাক দিয়ে যাবে তেপান্তরে। আমাকে ট্যাং ডাইনেষ্টির পরাক্রমশালী নৃপতি ঠাউরে হয়ত কোন লুপ্ত প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে টেরাকোটার কোন এক সৈনিক কানে কানে ফিসফিসিয়ে হপ্তা খানেক সময়ের জন্য ছুটি চাইবে। কতকাল ধরে সে যেন দাঁড়িয়ে আছে পরিবার পরিজন ফেলে। অতন্দ্র প্রহর কাটিয়েছে পরাক্রান্ত আত্মার প্রহরায়। হয়তো স্টোন ফরেস্টের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় নিজের সাথেই কথা বলবার অভীপ্সায় নড়ে উঠবে আমার পাথুরে আত্মার ম্লান ঠোঁট। গ্রেট ওয়ালের শ্যাওলা ঢাকা ইটের পাঁজরের ভেতর থেকে ভেসে আসবে শত শত মজুরের মিলিত রব। আমাকে তারা মনে করিয়ে দিতে চাইবে, বস্তুত সকল ভ্রমণই ঘোরের মধ্যদিয়ে অতিক্রান্ত এক ধরনের রবাহূত অনুসরণ।
সুখের মাঝেও কখনো কখনো ক্ষণিক বিচ্ছেদের বেদনা শিশিরের মত হীরক-দ্যুতি ছড়ায়। আমাকে বিদায় দেবার ক্ষণে পরিবার পরিজনের চোখের কোণ অশ্রুধারায় সিক্ত হয়ে আসে। সেসব মায়া-ভালোবাসার পার্থিব টানে কখনো কখনো এই পৃথিবীর আলো বড় মোহনীয় বলে মনে হয়। তবুও তাদের ছেড়ে যেতে হয় কর্তব্যের টানে। জানি, একদিন এই পৃথিবীকেও ছেড়ে যেতে হবে নিশ্চিত, কিসের টানে? তবু কি পৃথিবীর বুকে মাটি হয়ে মিশে র’বো না আমি?
ইমিগ্রেশন পেরিয়ে ডিউটি ফ্রি শপগুলোর সামনে সারি সারি পেতে রাখা চেয়ারগুলোর একটিতে এসে বসলাম। হাতে সময় আছে আরো ঘণ্টা খানেক। সব ঝামেলা শেষ, স্বস্তির সরোবরে মন ডুবিয়ে বসে থাকি। তবু কেন যেন এপারে পুত্র-কন্যার কেকা মুখরিত কণ্ঠস্বরগুলো মনকে বিষণ্ণ করে তোলে। ওপারের নতুন পৃথিবীর হাতছানিকে অস্বস্তিকর অপরিচিত বলে মনে হয়। চেয়ারে বসে এপাশ থেকে ইমিগ্রেশন ডেস্কের খোলনলচে পাল্টে ফেলা চকচকে চেহারা চোখে পড়ে। আগের চাইতে চকচকে ভাব লেগেছে নতুন টাইলস লাগানো মেঝেতেও। দু’একজন ক্লিনারকেও কাজে লেগে থাকতে দেখা যায়। এপাশ থেকে বহির্গমনের সীলমোহর লাগানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের উচ্ছ্বাস ও উদ্বিগ্নতা-মাখা মুখাবয়ব দেখি। সকলকেই শৃঙ্খলা মেনে কিউয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভালো লাগে।
বোর্ডিং ব্রিজ দিয়ে নয়, সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসতে হলো নীচে। সেখানে শেষ মুহূর্তের সুখটানের পর ছুঁড়ে ফেলা গণিকার দেহের মত অসংখ্য সিগারেটের অবশেষ পড়ে আছে। চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি আমাদের নিয়ে উড়াল দেবে সেটিকে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমাদের দেশের মুড়ির টিন বাসের কথা মনে পড়লো। বিমানে উঠতেও হবে সিঁড়ি বেয়ে। বোর্ডিং পাস থেকে সিট নম্বর দেখে নিলাম। ৩৬ কে। বিমানের দোরগোড়ায় অভ্যর্থনায় দাঁড়িয়ে থাকা দুজন সুসজ্জিত বিমানবালা ইশারায় জানালো, সামনে কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে বাঁয়েই আমার সীট খুঁজে পাবো। মৃদু হেসে ধন্যবাদ দিলাম। তারপর কানের ভেতর ‘ইউ আর ওয়েলকাম’ মধুস্বরের অনুরণনে বিভোর হতে হতে সীটে এসে বসলাম। ভীত প্রকৃতির মানুষের ভেতরে সব সময় হয়ত কিছুটা অতিরিক্ত সতর্কতা অবচেতনে খেলা করে। সেই অবচেতন বোধ থেকেই হোক কিংবা সীট-বেল্ট বাঁধার কথা ভুলে গিয়ে বিমানবালার কাছে বিব্রত হবার আশঙ্কা থেকেই হোক, বিমানের আসনে নিজেকে সুস্থিত করবার পর পরই সীট বেল্ট বেঁধে ফেলা আমার বরাবরের অভ্যাস। আমার আরো একটি বিশ্রী ধরণের বদ অভ্যাস আছে, সেটি হলো সেফটি ইন্সট্রাকশন না পড়া। কিন্তু আমি সেফটি ইন্সট্রাকশন বলবার সময় কল্পনায় কান বন্ধ করে কেবিন ক্রুর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি আর তা দেখে পাঠোদ্ধার করবার চেষ্টায় নিমগ্ন হই। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটলো না। ঘড়িতে তখন রাত তিনটে বেজেছে। ‘তোমাদের ছেড়ে উড়াল দিচ্ছি’, সেলফোনে সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠিয়ে দিই।
দু’চোখের পাতায় স্থূলকায় ঘুমের বুড়ি কখন যে বিছানা পেতে ঘুমিয়ে পড়েছিল, ঠাউর করতে পারিনি। ঘুম যখন ভাঙল তখন কুনমিংয়ের সবুজ পাহাড়ের উপর দিয়ে ঊষার কমলা রঙ আলো ফুটফুটে শিশুর মতো আলতো পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে কুনমিং। মাঝে মাঝে একটি কি দুটি নিশাচর লরীর হেডলাইট নজরে পড়ছে। কুয়াশার লেপ ঠেলে পাহাড়ের চুড়োগুলো বেরিয়ে আসতে চাইছে জেগে ওঠা শিশুর আহ্লাদে। ‘লেডিস এণ্ড জেন্টেলম্যান, উই আর ল্যান্ডিং ইন দ্য কুন্মিং এয়ারপোর্ট উইদিন ১০ মিনিটস’।
কোনরকম ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই ইমিগ্রেশনের দেউড়ি পেরিয়ে আসা গেল। আন-অ্যাকম্প্যানিড লাগেজ নেবার ঝক্কি নেই, আপাতত চোখ রাখা যাক দেয়ালের বিজ্ঞাপনগুলোর দিকে। ত্রস্ত অধীর মানুষের ভিড়ে খুঁজে নেয়া যাক সময়ের স্ত্রোতকে। যে ফ্লাইটে এসেছিলাম তার আরোহীদের সিংহভাগ চীনা হলেও বাঙালীর সংখ্যাও কম ছিল না। চীনে বাঙালীর ব্যবসা বেড়েছে, আমার সাদা চোখে সেটি ঠাওর করতে পারলেও অভিবাসনের হার বেড়েছে কিনা বুঝতে পারিনা। নতুন প্রজন্মের চীনা তরুণ-তরুণীদের প্রত্যয়দীপ্ত বিচরণ আমার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। খাপখোলা তলোয়ারের মতো চেহারায়, পোশাকে ও চলনে তাদের দারুণ স্মার্ট বলে মনে হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ এসে আমাকে খুঁজে নিল। পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল বোর্ডিং গেইটের কাছাকাছি। সেখানে আরেক দফা তল্লাশির পর একই বিমানে গিয়ে উঠা। এবারের গন্তব্য বেইজিং।
বিমান থেকে নেমে বেইজিং বিমানবন্দরে পা রাখবার সাথে সাথেই কোথা থেকে এক ঝাঁক তীরের ফলার মতো হিমেল বাতাস এসে আমার কানের চারপাশটাকে গেঁথে ফেললো। তাতার দস্যুর হিংস্র ছুরির সুতীক্ষ্ণ ফলার মতো অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ। তড়িঘড়ি করে কান টুপিতে কান ঢাকতে গিয়ে আমার অবস্থা টিনটিনের ‘তিব্বত অভিযান’-এ দিল্লীর পদে পদে গোত্তা খাওয়া বেসামাল ক্যাপ্টেনের মতো। বিমানের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসার পরপরই এক রকম রাহাজানি হয়ে যাওয়া অবস্থায় লাগেজ টেনে আনা কনভেয়ার বেল্টের দিকে এগিয়ে যাই। লাগেজ খুঁজে পেতে নিয়ে গ্রীন চ্যানেল দিয়ে ঢুকে আবারো চেকিং এর মুখোমুখি। বিশাল মেশিনে স্ক্যানিং করা হচ্ছে সবার লাগেজ। তারপর আর্চ ওয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসা। হাসিমুখে বেরিয়ে আসতে যাবো এমন সময় তল্লাশীকারী কর্মকর্তা পেছন থেকে ডেকে বললো, ‘ওপেন ইওর লাগেজ’। দেখি স্ক্যানিং মেশিন পেরিয়ে একটু তফাতে একটা জায়গায় দৈব চয়নের ভিত্তিতে কোন কোন আগত যাত্রীর তল্পি-তল্পা পরখ করা হচ্ছে। আমি সেই অভাগাদের একজন। কি আর করা?
আমার চীন যাত্রার প্রস্তুতি দীর্ঘ একমাসের। সময় নিয়ে বাংলা ভাষায় লেখা চীনের ভ্রমণ কাহিনীগুলো পড়ে ফেলেছি। পাশাপাশি উইকিপেডিয়া, লোনলি প্ল্যানেট, চীনের কয়েকটি ট্যুরিজম ওয়েবসাইট, মায় ষষ্ঠ পাণ্ডবের লেখা ‘পাণ্ডবের চীন দর্শন’-এর সবকটি পর্ব পড়ে শেষ করেছি। ই-মেলে সচল বিখ্যাত পর্যটক তারেক অণুর পরামর্শ নিতেও ভুলিনি। ‘শীতের সময় যাচ্ছেন, গরম কাপড় ঠিকমতো সঙ্গে নিয়ে যাবেন’, পাণ্ডবের পরামর্শ মতো বঙ্গ বাজার থেকে কেনা উপরে নীচে ফোম আর মোটা কম্বলের কাপড়ের আস্তর দেয়া জ্যাকেট ছিল সুটকেসের সবার উপরে ঠেসে পুরে রাখা। কাঁচুলি খুলে দেবার সাথে সাথে উর্বশীর স্তন যেভাবে লাফিয়ে উঠে লাগেজ খুলতেই ঠিক তেমনি করে ফোমের জ্যাকেট মহোদয় লাফিয়ে উঠলেন। সেই সাথে লাফিয়ে উঠলো তল্লাশীকারী কর্মকর্তার চোখ। সবকিছু উলটে পাল্টে দেখে সে যা কিছু পেল তার একটা লিস্টি করলে হয়ত লম্বা হবে অনেক। কিন্তু সবই গরম কাপড়। বিচিত্র বর্ণের মাফলার, কান টুপি আর হাতমোজা। তারের উপর উলেন কাপড় দিয়ে তৈরি করা অনেকটা হেড ফোনের মতো কান ঢাকার উপকরণ। সুয়েটার, গায়ে ও পায়ে পরবার থার্মাল, ওভারকোট, কয়েক জোড়া উলেন স্যুট, হাঁটু অব্দি ঢাকা পড়ে এমন চামড়ার বুট, উলেন মোজা, ‘নান্দাইলের ইউনুস’ টাইপ টুপি, যেটি পড়লে চোখ দুটোই শুধু বেরিয়ে থাকে, আমি এসবের সবই নিয়েছি। আগ্রহ উদ্দীপক কিছুই খুঁজে না পেয়ে লোলচর্ম বৃদ্ধের মতো ঝুলে পড়ে তল্লাশীকারীর মুখ।
পুনশ্চঃ এইমাত্র দেখে ফিরলাম বাইলিন মন্দির (Bailin Temple) আর ঝাওঝাও সেতু (Zhaozhao Bridge)। সুযোগ মতো পরের পর্বে এর বর্ণনা দেব। সেই সাথে থাকবে চীনের রাজপথে তোলা সাধারণ মানুষের জীবনচারিতার কিছু ছবি।
মন্তব্য
আজকেই বলছিলাম আপনের চীন কাহিনী কোথায়! দারুণ। পরের গুলোর জন্য অপেক্ষা করছি।
facebook
ধন্যবাদ অণুভাই। দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে ভ্রমণ ও কী বোর্ড দুই-ই চালাতে হচ্ছে। সারাদিনের মিটিং শেষে রাতে বসতে হচ্ছে পরের দিনের হোমওয়ার্ক করতে। আরো সমস্যা হয়েছে হোটেলের অতি ধীর গতির ইন্টারনেট নিয়ে। ছবিগুলো লোড করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। সে কারণেই পর্বগুলো সুসম্পন্ন না হবার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবুও যথাসম্ভব যথাসময়েই পোস্ট দেবার ইচ্ছে আছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বর্ণন অতি চমৎকার। সুখপাঠ্য।
ভাল থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বাহ! আপনার দিনলিপি ভালো লাগল। পরের গুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
_________________
[খোমাখাতা]
যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নিটোল ভাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পরের পর্ব দ্রুত আসুক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দাপ্তরিক ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে লিখছি, পোস্টগুলি সময়মত দেবার ক্ষেত্রে তাই হয়তো একটু ছেদ পড়তে পারে। কিন্তু আমার আদরের ছোটবোন তিথীর কথা না রেখে কি আর কোন উপায় আছে?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ রু।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চমৎকার বস্! নিয়মিত লিখে যান। এই পোড়ার দেশে সন্ধ্যার পর দেখবেন প্রায় কিছুই করার থাকে না। সে'সময় নিয়মিত দিনলিপি লিখে, ছবি আপলোড করে আমাদের দিতে থাকুন।
পুনশ্চঃ এইবার পাণ্ডবের দিন শ্যাষ! আপনার মতো কাব্যিক ভাষা তো আর আমার আয়ত্বে নেই। তাই চীন দর্শনের বাকিটুকু আপনাকে লিখতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পাণ্ডব দা। আপনার উপদেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার চেষ্টা করছি। ও ব্যাটারা তো সারাদিনের মিটিং সেরে দিয়েই খালাস। আমাকে যে রাতে বসতে হচ্ছে পরের দিনের হোমওয়ার্ক করতে!
তবে আপনি ঠিকই বলেছেন। ওদের একজনকে জিজ্ঞ্যেস করেছিলাম, "রাতে কি কর?" বলে কিনা, "কম্পিউটার গেমস খেলি"।
আপনার নির্মোহ পর্যবেক্ষনের তুলনা পাবো কোথায়? তাই 'পাণ্ডবের চীন দর্শন' তাঁর স্বকীয় আমেজ নিয়েই পাঠকের কাছে আবির্ভুত হবে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সুপার্ব !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমার ছটফটে খঞ্জনার মতো ছোটবোনটিকে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অপূর্ব লেখনী, অপূর্ব!!! পরের পর্ব দ্রুত চাই........
অট. আর লুকিয়ে থাকতে পারবেন না, আমরা কিন্তু কবি কে দেখে ফেলেছি এবং চিনে ফেললাম...!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ স্নেহের ভাইটি, কিন্তু আমি কোথায়? ভালো করে দেখতো, ঐ লক্কর-ঝক্কর মার্কা মোটরসাইকেলে তো আলবার্তো গ্রানাদোর পেছনে বসে আছেন স্বয়ং চে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আর লাভ নেই, ঠিক ঠিক চিনে গেছে সবাই। আর লুকানো( হঠাৎ হঠাৎ নিরুদ্দেশ হওয়া) যাবে না হুমম!!!
_____________________
Give Her Freedom!
যাব্বাবা আপনিও দেখি সব্যসাচী হয়ে গেলেন। সব্বাই গদ্য পদ্য সবই এত ভালো লিখলে আমরা নিরীহ ব্লগাররা কোথায় যাই !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বোন, তোমার লেখার সাবলীলতার কাছাকাছি পৌছুনো আমার পক্ষে এই ইহজগতে অসম্ভব।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই এর আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম
ধন্যবাদ, কল্যাণ ভাই। আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দারুণ কাব্যিক বর্ণনা। উর্বশী স্তনের উপমাটাও একটুও খারাপ লাগেনি , পরের পর্বের ছবিগুলোর জন্য বসে রইলাম।
ধন্যবাদ সুমাদ্রি ভাই,
আপনাকে দীর্ঘ প্রতীক্ষায় রাখবো না আশা করি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভালো লাগলো এ পর্যন্ত। পরের পর্ব ছাড়েন তাড়াতাড়ি। গতকাল রাতে হায়দ্রাবাদী বিয়ে দেখলাম। যে হোটেলে উঠেছি সেখানে কাল একটা বিয়ে ছিলো। গেটের সামনে শতখানেক লোক বন্দুক, রিভলবার, পিস্তল, এইসব নিয়ে রেডি হয়ে দাড়িয়েছিলো। যেইনা বরের গাড়ি এলো, আর যাবা কোই ............... দুম-দাম-গুড়ুম!!!
আমার তো ভয়তে হোলের বিচি খোলের মধ্যি সাইন্ধ্যে গ্যালো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আরে আরে ছোটো,এখানেও তো একই অবস্থা। সকাল বেলায় লবিতে বসে দেয়ালের পেইণ্টিংস আর পোরসিলিনির পটারিতে আঁকা নকশাগুলো দেখছিলাম। এমন সময় ধুপ ধাপ শব্দ। বিয়ের লগ্ন এখানে সাধারণত সকাল বেলাতেই হয়। আর ভীতুর ডিম আমি তো নিজের শরীরের পুরোটাকেই তোমার বর্ণিত 'খোলের' ভেতরে সেধিয়ে যেতে দেখলাম!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ব্যাপক, ব্যাপক... পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা শুরু করলাম
ধন্যবাদ তাপস দা, আপনার কবিতা পড়তে চাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভ্রমন সুন্দর হোক ... চমৎকার বর্ণনা ...
ধন্যবার দ্যা রিডার, প্রেরণা পেলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বেশ ছোট থাকতেই আবিষ্কার করেছিলাম যে, মিষ্টির দোকানের সকালের লুচি-সব্জিটা অন্যদের থেকে উমদা হয়। বড় হয়ে জেনেছি যে ময়রারা সাধারনত হিন্দু হওয়ায় তাঁদের বিশেষ প্রক্রিয়ায় রাঁধা সবজি বা লাবড়াই এর কারন।
আজ জানতে পারলাম যে গদ্যকাররা হয়তো পদ্য লেখেন তবে তা কখনই কবিদের গদ্য লেখার সমতুল্য হতে পারে না।
আরেকটি কথা, অণুদার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে ভাল লাগার সাথে হিংসেও লাগে; কিন্তু আপনারটা পড়ে কেন জানি হিংসে হলনা। শুধুই খুব খুব ভালো লাগলো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ, ময়রাদের নিয়ে আপনার অনুমান সঠিক। কিন্তু ভাই, আমি নেহায়েত বটতলার পদ্যকার। 'কবি' বললে যে ভীষণ লজ্জা পাই।
তারেক অণু বিশ্ব মানের পর্যটক। আমি নিতান্তই ছাপোষা সাধারণ মানুষ। তাঁর সাথে কি আমার তুলনা চলে? এই আলাভোলা মানুষটি পথের চাইতে নিজের মনজগতে ভ্রমণেই অধিকতর সাচ্ছন্দ বোধ করে। সেই ভ্রমণের কিছু পাচালি যদি আপনার মনে এতটুকু আনন্দ দিতে পারে তবে সে কৃতিত্ব আমার নয় আপনার। লেখকের কলমের নয় আপনার সংবেদনশীল মনের।
ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন