• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

তোমার জন্য লেখা এলোমেলো শব্দের ঝাঁক-১

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৮/২০১৩ - ৯:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন পর নির্জন অবসরের শান্ত কোন প্রহরে তোমায় কিনে দেয়া বইটির এই পাতাটিতে হয়ত তুমি আবারো চোখ রাখবে, তোমার আচ্ছন্ন স্মৃতিমেদুর চোখে সেদিন কি ভাষা ফুটে উঠবে তা আমি জানি না, হয়ত কিছুটা অনুমান করতে পারি; ১৬ আগস্ট ২০১৩ এর সেই সন্ধেবেলাটি তখন হয়ত সুদূর অতীতের দিকে হেঁটে গেছে অনেকটুকু পথ, তবুও তোমার স্মৃতিতে আবার কি সে ফিরে আসবে? তখন তোমার মনে পড়বে, নিতান্তই এগারো বছরের ছোট্ট খুকি তুমি, আমার কাছে বায়না ধরলে এই বইটি কিনে দেবার জন্যে, নিম্নস্বরে, লাজুক কণ্ঠে।

সেদিন আমি বাইরে বেরুব বলে হঠাৎ মনস্থির করেছি, এমনিতেই আমাদের এই শহরে নিজের একান্ত কোণটি ছেড়ে কোথাও বেরুতে ইচ্ছে করে না, মনে হয়, যেই বেরুব, অমনি বুঝি সমস্ত চিন্তা-চেতনা অনভিপ্রেত কোন জটিল জটে আটকে যাবে, নিজস্ব চাওয়া-পাওয়া-কল্পনা-আনন্দ-বেদনা-স্বস্তি-কষ্ট-অতৃপ্তি এইসব নিয়ে যে অভ্যস্ত যাপিত জীবন, ভীষণ বিপর্যস্ত হবে তা; তবু সেদিন আমি বেরিয়েছিলাম, ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি তখনও, ছুটি কাটিয়ে মানুষজন সবেমাত্র ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে, রাজপথে ভিড়-ভাট্টা নেই তেমন, শঙ্খ ঘোষের একটা নতুন কবিতার বই বেরিয়েছে, জয় গোস্বামীর আরেকটি, বছর দুয়েক আগে স্বল্পমূল্যে বুকিং দেবার সুবাদে রবীন্দ্র সমগ্রের ২০ তম খণ্ডটি আপাতত: নিখরচায় সংগ্রহ করা যাবে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গত বইমেলার পর থেকে প্রতীক্ষায় রাখা শহীদুল জহিরকে নিয়ে বাসা ফেরা যাবে, এই ছিল হিসাব-কিতাব।

এসব পরিকল্পনার কথা কখন যে তুমি মনে আড়ি পেতে জেনে গেছ, বুঝতে পারিনি, শীর্ষেন্দুর কিশোর উপন্যাসের প্রথম খণ্ড শেষ করে তুমি তখন দ্বিতীয়টি হাতে পাবার জন্য মনে মনে ছটফট করছিলে, আমি তা জানতাম না; তোমার সে কি উৎকণ্ঠিত প্রতীক্ষা আমার ফেরার পথ চেয়ে, অথবা শীর্ষেন্দুর, অথবা দুজনারই; একটির পর একটি মুহূর্ত তোমার হাত বেয়ে গড়িয়ে পড়তে সময় লাগে, প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক একটি প্রাগৈতিহাসিক জগদ্দল পাথর, তোমার স্নায়ুর উপর ভারী হয়ে চেপে বসে আছে; এক সময় তুমি আর ভার নিতে পারো না, মুঠোফোনে কল করো, ফোন বেজে উঠে, স্ক্রিনে ভেসে ওঠে তোমার ছবি, আমি কল রিসিভ করিনা, ফোনটিকে বেজে যেতে দেই, তোমার ছবি ভাসতেই থাকে, ভেসে ভেসে তোমার ছবি শৈশবে ভাসিয়ে দেয়া কাগজের নৌকার মতো, দলছুট প্রজাপতির মতো, ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো, ফোনের স্ক্রিন থেকে আমার অবচেতনে ঠাই পায়, ঘুড়িটা পাতাহীন কোন উঁচু গাছের শাখায় আটকে যাবার ঠিক আগের মুহূর্তে আমি ফোন ধরি।

আমি কান পেতে প্রাণ ভরে তোমার নরম-লজ্জিত কণ্ঠস্বর শুনি, কামনা করি, ক্ষণিকের এই মুহূর্তটুকু অনন্ত হোক; তুমি যত্ন করে কথা ফুটিয়ে তোলো, ভূমিকাই হোক অথবা প্রসঙ্গের অবতারণাই হোক, বলো, "বাবা তুমি কোথায়? আর কতক্ষণ?", তোমার কণ্ঠস্বরের ব্যকুলতা যেন স্নান করে অমৃতের সরোবরে; বস্তুত: আমি তখন চলে এসেছি তোমার অনেক কাছাকাছি, অথবা এরকম বাস্তবিক ভাবনার কোন অর্থ হয় না, কারন তোমাকে ছেড়ে কি আমি কখনো দূরে থাকতে পারি? আমার হাতে তখন ঝোলা ভর্তি রবীন্দ্রনাথ, শহীদুল জহির, ইভান বুনিন, গোর্কি আর তোমার বায়না ধরা শীর্ষেন্দু; অনেক আপন মানুষ নিয়ে ঘরে ফিরছি আমি, তোমার তখনো জানা হয়ে উঠে নি; তুমি তাই কণ্ঠস্বর আরো নরম আরো লজ্জাঘন করে বলো, "আমার বইটি পাও নি, তাই না?"

হয়ত আশঙ্কা ছিল তোমার মনে, অনেক বইয়ের ভিড়ে তোমার শীর্ষেন্দুকে খুঁজে পাবো না আমি, অথবা অনেক কাজের ভিড়ে ওঁকে খুঁজবার জন্য ঠিক যতটুকু আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন, ততটুকু হতে পারবো না; তোমার মনে এমন দ্বিধা থাকাটাই যে স্বাভাবিক, কারণ নিত্যদিন তোমার অনেক ছোটখাটো আবদার রাখতেই তো আমি কৈফিয়তহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি, সে পটেটো চিপসই হোক, আর কোণ আইসক্রিমই হোক, নানা রঙের পোশাকে সাজানোর বারবি ডলই হোক, আর আসবাব সমৃদ্ধ ডল হাউসই হোক; তোমার বাবাটা কি বোকা দেখো, তোমার কৈশোরের কাছে এসব বায়নাগুলোর প্রত্যেকটিই যে সমান গুরুত্বপূর্ণ, সেটি বুঝতে পারার মতো সামান্য বোধটুকুও তাঁর নেই; শুধু বইয়ের বায়না ধরলে এককথায় রাজি, এ কেমন অর্বাচীন পক্ষপাতিত্ব?

এসব বিবেচনায় রেখে অনুমান করতে পারি, তখনো তোমার মনে ক্ষীণ আশার প্রদীপ জ্বলছে, বইটি কিনে আনা হলেও হতে পারে; এও অনুমান করতে পারি, আমি যখন প্রত্যুত্তরে জানালাম, বইটি আমি কিনতে পেরেছি, তখন তোমার নবীন চোখের তারায় অনাবিল এক অপ্রত্যাশিত আনন্দ, ইভান বুনিনের গল্পে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতির সাথে তুলনীয় ওলিয়া নামের মেয়েটির স্বতঃস্ফূর্ত ছোটাছুটির মতো, নিবিড় জোনাকি হয়ে জ্বলছে।

তোমাদের ঘিরে আমার যে আনন্দিত পৃথিবী, সেই পৃথিবী ছেড়ে আমাকে যেদিন চলে যেতে হবে, বহুদূরে, না ফেরার দেশে, সেদিন অনেকদিন পর নির্জন অবসরের শান্ত প্রহরে তোমায় কিনে দেয়া বইটির এই পাতাটিতে তুমি আবারো চোখ রাখছো, তোমার আচ্ছন্ন স্মৃতিমেদুর চোখে একান্ত আপন কোন ভাষা ফুটে উঠছে, আবছা কোন ছবি ভাসছে তোমার মনে মায়াবী-মলিন, শৈশবে ভাসিয়ে দেয়া কাগজের নৌকার মতো, দলছুট প্রজাপতির মতো, ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো, তোমার স্মৃতিপটে কাস্তের মতো এক ফালি ক্ষীণাঙ্গী ঈদের চাঁদ, বিষণ্ণ আনন্দের টুকরো; ঘুড়িটা পাতাহীন কোন উঁচু গাছের শাখায় আটকে যাচ্ছে, আটকে যাচ্ছে, কেননা আটকে যাওয়াটাই যে ওর নিয়তি।


মন্তব্য

বন্দনা এর ছবি

ভাইয়া আপনি খুব খুব সুইট একটা বাবা। ওর জন্য অনেক অনেক আদর, যদি ও আপনি আদরের কমতি করেন না দেখতেই পাচ্ছি।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সুইট বাবা হবার চেষ্টা করছি, বোন। দোয়া করো, যেন মনস্কামনা পূর্ণ হয়!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কথাগুলো তরঙ্গের মত লাগল।

ওর নাম কী?

র.নাহিয়েন

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার মূল্যায়ন গভীর উপলব্ধিজাত বলেই মনে হয়।

বইটির পাতায় যখন এই কথাগুলি লেখা হয়, তখন সেগুলো শুধু আমার মেয়েটির স্বত্ব, সেই মেয়েটির একটা নাম আছে বৈকি। কিন্তু সচলায়তনের পাতায় যখন এই শব্দগুলো শোভা পায়, তখন তো মেয়েটি আর আমার মেয়ে থাকে না, আমার আপনার সবার স্নেহময়ী কন্যা হয়ে যায়, কোন নামে তাঁকে ডাকি বলুন?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y)

র.নাহিয়েন

তাপস শর্মা এর ছবি

এত্ত বেশী মোহাচ্ছন্ন হয়ে পরেছিলাম লেখাটা পড়তে পড়তে যে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আপনি শুধু ভাল বাবাই নন ভাল পাঠকও বটে। আর পিচ্চিটা হয়ে উঠছে আরেক মোহগ্রস্ত পাঠিকা তা বোঝাই যাচ্ছে

কেমন আছেন দাদা? পিচ্চিটার জন্যে ভালবাসা ও শুভকামনা রইল

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তাপস দা,
আপনার নির্ভেজাল ভালোবাসার মূল্য আমার কাছে অনেক অনেক বেশি। ভালো আছি, আপনিও ভালো আছেন তো?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তাপস শর্মা এর ছবি

এই তো চলছে এক রকম। ভাল থাকা কিংবা না থাকাটা আজকাল একটু আপেক্ষিক হয়ে গেছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ওয়াও

শাকিল অরিত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

:)

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তিথীডোর এর ছবি

তখন তোমার মনে পড়বে, নিতান্তই এগারো বছরের ছোট্ট খুকি তুমি, আমার কাছে বায়না ধরলে এই বইটি কিনে দেবার জন্যে, নিম্নস্বরে, লাজুক কণ্ঠে।

আপনার মেয়ের নাম কী? :)
বলেছিলেন বোধহয় একটা পোস্টে, মনে করতে পারছি না।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হ্যাঁ খুকি,
এই সেই পোষ্ট। :)

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মালাকাইটের ঝাপি এর ছবি

:)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

:)

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কৌস্তুভ এর ছবি

কেমন আছেন দাদা?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভালো আছি, আপনি ভালো আছেন তো?
সেবার যখন দেশে এলেন, আপনার সাথে দেখা হলো না, সেই কষ্ট মনে পুষে রাখি। :(

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কৌস্তুভ এর ছবি

:(

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বহু দিন পর আপনার লেখা পাওয়া গেল। যদিও কাব্য নয়, তবে কাব্যগন্ধী গদ্য। মাঝে মাঝে এমন লিখলেও তো পারেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অবরুদ্ধ চিন্তারাজিতে কি কোন মহত্ত্ব আছে, পাণ্ডব? আমকে বেঁধে ফেলে মোহরের প্রিয় প্রলোভন। তার ওপর সংসারবিরাগী হতে গিয়ে আমি আষ্টেপৃষ্ঠে সংসারী হয়ে পরেছি। আমার সবটুকু যন্ত্রণা তুমি বুঝবে না পাণ্ডব।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মর্ম এর ছবি

রোমেল ভাই, অনেক দিন পর লিখলেন। আমাদের জন্য হলেও মাঝে মাঝে লিখতে পারেন তো, পড়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। ভাল লাগছে আপনাকে দেখে। :)

এও অনুমান করতে পারি, আমি যখন প্রত্যুত্তরে জানালাম, বইটি আমি কিনতে পেরেছি, তখন তোমার নবীন চোখের তারায় অনাবিল এক অপ্রত্যাশিত আনন্দ, ইভান বুনিনের গল্পে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতির সাথে তুলনীয় ওলিয়া নামের মেয়েটির স্বতঃস্ফূর্ত ছোটাছুটির মতো, নিবিড় জোনাকি হয়ে জ্বলছে।

সিঙ্ঘীটির এ নবীন চোখ চিরউজ্জ্বল থাকুক! অন্তহীন শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবেন ওকে! $)

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তোমাদের ভালোবাসার ধারায় স্নান করে পুত-পবিত্র হতে হতে ভাবি, ইস আমি যদি রাতারকুল বিলের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি হিজল গাছ হতে পারতাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

মায়াময় লেখা। সুন্দর একটা ঘোরের মতো। :)

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার সিগনেচারের কথাগুলো আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়। সেগুলো ভুল, সবই ভুল, অন্ততঃ আপনার ক্ষেত্রে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মিষ্টি মেয়ের মিষ্টি বাবা! :)
- একলহমা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মিষ্টি মন্তব্য! :)

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুরু আর শেষটা অসাধারন হয়েছে।মনে হয়েছে মনের ভিতর জমা গল্প সবটাকে কলমে নিয়ে আসেন নি।আরো অনেক কিছু বলার ছিলো হয়তো।তবু যেটুকু প্রকাশিত হয়েছে সেটাই মুগ্ধ হওয়ার মতো।আপনার ভাষার ব্যবহার খুবি চমৎকার।আশা করি পরের লেখাটা আরেকটু দীর্ঘ হবে।ভালোথাকবেন (ধইন্যা)

মাসুদ সজীব

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মাসুদ সজীব,
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মনের ভেতর জমা গল্প সবটুকুকে কলমে নিয়ে আসি নি, তা নয়, আনতে না পেরে অক্ষমতাদগ্ধ হয়েছি, ভাই। ভবিষ্যতে কলম ধরবার সময় আপনার কথা বিশেষভাবে মনে রাখবো। আপনাকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

লীনা দিলরুবা এর ছবি

কি যে কমেন্ট করবো ঠিক বুঝতে পারছিনা। অথচ লেখাটা এত ভাল লাগল যে, কিছু একটা লিখতেই হবে।

আপনার কন্যাটির জন্য নিরন্তর শুভকামনা। শুদ্ধ মানুষ হিসেবে বড় হোক সে।

পরিবার আসলে আমাদের সবার একটি বড় আশ্রয়; বাবা-মা-সন্তানের সম্পর্কের যে অপূর্ব মিথস্ক্রিয়া সেটির চে' সুন্দর কিছু পৃথিবীতে আর কী আছে? নেই তো।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

লীনা দিলরুবা,
আপনার সত্যনিষ্ট, সাবলীল ও অমূল্য মন্তব্য আমার লেখাটিকে সহস্রগুণ সুশোভিত করলো। আপনাকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গদ্যের মধ্যে কাব্যের সুর। অনেকদিন পর এমন একটা মায়াজড়ানো লেখা পড়লাম। আপনার কন্যার জন্য অনেক শুভকামনা রোমেল ভাই :)

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

নীড় সন্ধানী,
আপনার মতো শব্দের সচেতন কারিগর আমার লেখাটি সময় ব্যয় করে পড়েছেন এবং প্রশংসা করেছেন এটি আমার অনেক বড় পাওয়া। আপনার জন্যেও শুভপ্রীতি নিরন্তর।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

বহুদিন পর আপনার লেখা পড়লাম ভাইয়া, ভাল লাগলো; শিশু’দের জন্য নিরন্তর শুভকামনা :-)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম,
তোমার শুভকামনা বুকে বয়ে বেড়াই সবসময়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মুগ্ধ

স্বয়ম

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ,
স্বয়ম। ভালো থাকবেন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি

বাহ বাহ অনেক দিন পরে! (গুড়)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তোমার নজর এড়ানো বড় মুশকিল। আমার আঙ্গিনায় তোমার পা রাখবার কথা ছিল, তুমি ভুলে গেছ, আমি মনে রেখেছি। বহুদিন তোমার প্রতীক্ষায় থেকে থেকে মনে ব্যথা পেয়েছি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মেয়েকে নিয়ে লেখা কোন বাবার এত সুন্দর লেখা আগে কখনো পড়িনি। খুব খুব খুব বেশী ভালো লাগল (Y)

ফাহিমা দিলশাদ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ফাহিমা দিলশাদ,
আপনার এই মন্তব্যটি আমার কাছে হীরের চেয়েও দামি। যে জীবন মানুষকে পরস্পরের প্রতি হৃদয়ের একূল-ওকূল দুকূল ছাপিয়ে ভালবাসতে শেখায়, সে জীবনই তো অর্থবহ হয়ে উঠে। ভালোবাসা আজ আমাদের জীবন থেকে ক্রম অপস্রিয়মাণ। আমাদের অবশ্যই এই উটের গ্রীবার মতো অদ্ভূত আঁধার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।