ইলা মিত্র বা তাঁর কাজ সম্পর্কে আমার নিজেরই কিছুদিন আগেই খুবই অল্প ধারণা ছিল। নাচোলের তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্র আর এরকম দু-একটা বাক্য ছাড়া বলতে গেলে কিছুই জানতাম না। আমার মত এখনো যারা তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না তাদের জন্যই এই লেখা।
ইলা মিত্র বা তাঁর কাজ সম্পর্কে আমার নিজেরই কিছুদিন আগেই খুবই অল্প ধারণা ছিল। নাচোলের তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্র আর এরকম দু-একটা বাক্য ছাড়া বলতে গেলে কিছুই জানতাম না। আমার মত এখনো যারা তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না তাদের জন্যই এই লেখা।
ইলা মিত্র আমাদের ইতিহাসে একজন ইতিবাচক চরিত্র। নারীকে, অত্যাচারিত বা বঞ্চিত মানুষের কাতারে দাঁড়িয়ে যারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন তাদেরকে, শুধু তাইবা বলছি কেন, তিনি আসলে প্রত্যেকটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করার মত একটি চরিত্র। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনকাহিনি প্রত্যেকের অবশ্যপাঠ্য। কোন বিশেষণে তাঁকে আখ্যায়িত করার সাহস রাখছি না তাই সরাসরি তাঁর কাজের কথাতেই চলে যাচ্ছি।
ইলা মিত্রের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর, কলকাতায়। পৈতৃক নিবাস বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার বাগুটিয়ায় হলেও পিতার কর্মসূত্রে তিনি কলকাতাতেই জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। তাঁর পিতা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন তৎকালীন অ্যাকাউন্টেন্ট জেনের্যালল অফ বেঙ্গল। তিনি ১৯৪২ সালে বেথুন কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৪ সালে একই কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। কলেজে পড়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৪৩ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। তাঁর জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি ছিলেন একজন অ্যাথলেট। ভালো বাস্কেটবল খেলোয়াড়ও ছিলেন। ১৯৪০ সালে জাপানে সংঘটিতব্য অলিম্পিক গেমসে অ্যাথলেটিকসে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগও পেয়েছিলেন। যদিও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে সেই অলিম্পিক গেমস স্থগিত হয়ে যায়।
এবার জীবনের আরেক অধ্যায়। ১৯৪৫ সালে তৎকালীন মালদহ জেলার (বর্তমান চাঁপাই নবাবগঞ্জ) রামচন্দ্রপুরের জমিদারপুত্র রমেন মিত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এখানে রমেন মিত্র সম্পর্কে কিছু বলে নেয়া প্রয়োজন। তিনিও ছিলেন একজন দেশকর্মী কমিউনিস্ট। তিনি প্রয়াত জমিদার মহিমচন্দ্র মিত্র এবং বিশ্বমায়া মিত্রের পুত্র। তিন বছর বয়সে বাবাকে হারানোর পর মানুষ হয়েছেন কলকাতায় মামার বাড়িতে। সেখানেই পড়াশোনা শেষ করেছেন। ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর মা অন্যান্য ভাই-বোনকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান। রমেন মিত্র কলকাতায় দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে লঙ্গরখানা পরিচালনা এবং অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন। পরে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে কৃষক আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে গ্রামের কৃষক সমাজের মধ্যে কাজ করার জন্য তিনি রামচন্দ্রপুরে চলে আসেন। জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করার ফলে পারিবারিক সম্পদের মোহ রমেন মিত্র আগেই ত্যাগ করেছিলেন। তিনি জমিদারপুত্র হলেও কৃষকের প্রতি অন্যায়-অত্যাচার সবসময়ই তাঁকে পীড়া দিয়েছে। গ্রামে এসে তিনি আরো গভীরভাবে তাদের সমস্যা অনুধাবন করেন এবং এর নিরসনে কাজে নেমে পড়েন।
এদিকে ২০ বছরের তরুণী বধূ ইলা মিত্রের জীবনের এই সময়টা কাটতে থাকে রক্ষণশীল জমিদার বাড়ির নিয়মের বেড়াজালে। স্বামী রমেন মিত্র যদিও চাইতেন ইলা যে সংসারের বেড়াজালে আটকে না পড়েন কিন্তু শাশুড়ির কাছে শুনতে হত জমিদার বাড়ির বিধি-নিষেধের কথা। তবে জীবনের বাকি সময়ে এই শাশুড়িই ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন ইলা মিত্রকে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়ে গেল। তুমুল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মধ্যেও নবাবগঞ্জ ছিল একটি ব্যতিক্রমী স্থান। সেসময় সেখানে অপ্রীতিকর কিছুই ঘটেনি। ফলে দেশ বিভাগের পরে রমেন মিত্রের মা দেশ ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁর সিদ্ধান্তেই এই পরিবারটি এবং তাঁদের ভরসায় আরো অনেক হিন্দু পরিবার এই দেশেই থেকে গেলেন।
দেশ বিভাগের পরেই ইলা মিত্রের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিলো। গ্রামের লোকেদের দাবীতে তাদের নিরক্ষর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর ভার নিলেন তিনি। তিন জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে রমেন মিত্রের বন্ধু আলতাফ মিয়ার উৎসাহে কৃষ্ণচন্দ্রপুরে একটি বিদ্যালয় খোলা হল। ইলা মিত্র হলেন সেখানকার অবৈতনিক প্রধান শিক্ষিকা। এভাবেই প্রথম ঘরের সীমানা ডিঙ্গিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন তিনি। তিন মাসে সেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো পঞ্চাশে। কিন্তু গ্রামের জোতদার বা শোষক শ্রেণী সাধারণ মানুষের শিক্ষায় এই আগ্রহ ঠিকভাবে গ্রহণ করলেন না। বিশেষ করে গরীব মুসলমান ঘরের মেয়েদের মধ্যেও লেখাপড়া শেখার তাগিদ জাগতে দেখে তারা একে শরীয়ত বিরোধীতা মনে করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে তথা মিত্র পরিবারের বধূ ইলা মিত্রকে দূষতে থাকেন। কিন্তু সেই প্রথমবার ইলা মিত্রের পাশে দাঁড়ালেন দরিদ্র কৃষক সমাজ। তারা নিজেরাও নিরক্ষর এবং এতোদিন ধরে নিরক্ষরতার ফলে বহুভাবে শোষিত হয়ে এসেছেন। জোতদারেরা যেকোন কথা লিখে তাদের কাছথেকে টিপসই নিয়েছে। ঋণ না করেও সর্বদা ঋণের বোঝায় জর্জরিত থেকেছেন তারা। নিজের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য তাই তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। তারা উলটো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন শুধু লেখাপড়ার জন্য মেয়েরা ঘরের বাইরে এলেই শরিয়তবিরোধী কাজ হয় আর জোতদারের বাড়িতে কাজ করতে গেলে কি মেয়েরা বেপর্দা হয় না? তাও কি শরিয়তবিরোধী নয়? শরিয়তে সুদ খাওয়া হারাম তাহলে ধনী- জোতদার শ্রেণী যে ঋণের টাকায় সুদ খায় তাওতো শরিয়তবিরোধী। এভাবেই কৃষক সমাজ তাদের অধিকার আদায়ের জন্যে মুখ খুলতে থাকেন।
এই অধিকার সচেতন কৃষক সমাজই প্রচন্ডভাবে আলোড়িত করে ইলা মিত্রকে। তিনি তাঁর স্বামী কৃষক আন্দোলনের নেতা রমেন মিত্রকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সশস্ত্র কৃষক আন্দোলন শুরু হয়। এবং মুসলিম লীগ সরকারের দমন নীতিও বাড়ে। কৃষক আন্দোলনের নেতারা এসময় আত্মগোপনে থেকে কাজ করতে থাকেন। ইলা মিত্র এসময় সন্তান সম্ভবা ছিলেন। তিনি সীমানা পেরিয়ে কলকাতায় যান এবং সেখানেই ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ তার পুত্র মোহন জন্মগ্রহণ করে। ১৬দিন বয়সের সন্তানকে রেখে ইলা মিত্র নাচোলে গিয়ে আত্মগোপন করে কাজ করতে থাকেন, তাঁর শাশুড়ি তাঁর সন্তান মোহনকে রামচন্দ্রপুরে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এসময় কৃষক সমিতি গঠিত হয়ে গিয়েছিল এবং যেসকল জমি কৃষক সমিতির নিয়ন্ত্রণে ছিল সেসকল জমির ফসল তিনভাগ করে একভাগ জমিদারকে দিয়ে দুইভাগ কৃষককে দেয়া হত। মূলত বর্গাচাষীরাই ফসল উৎপাদনের সকল খরচ বহন করত, ফসল উৎপাদনের পর তিনভাগের দুই ভাগ জমিদারকে দিয়ে বাকি একভাগ কৃষক নিজের কাছে রাখতে পারতো, এই একভাগেরও আবার ঋন বা কোন না কোন অজুহাত দেখিয়ে জমিদার নিয়ে যেত। এর প্রতিরোধ কল্পেই এই আন্দোলন হয়ে আসছিল।
কিন্তু জমিদারদের তৎপরতায় পুলিশ নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে থাকে। এসময় রমেন মিত্র, ইলা মিত্র এবং আজহার হোসেন প্রমুখ নেতারা কখনো নৌকায়, কখনো পালিয়ে, কখনো নাচোলের সাঁওতালদের সাথে জীবনযাপন করতে থাকেন। ইলা মিত্র মাঝে মাঝে পালিয়ে সন্তানকে দেখতে যেতেন কিন্তু কখনোই সন্তানের সাথে থাকা হত না। তিনি শাশুড়ির হাতেই সন্তানের সব ভার দিয়েই কৃষকদের ঘরে ঘরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে যেতে থাকলেন। এক বছর ধরে কৃষকদের সাথে থেকে, তাদের সঙ্গে খেয়ে, তাদের ভাষা শিখে তিনি হয়ে উঠলেন কৃষকদের কাছের মানুষ, তাদের রাণি মা। রাণি মার প্রেরণাতেই তারা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠল। শুধু প্রেরণাই নয় কৃষকদের জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থাও ছিল। ধরা পড়লে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতি সামলানো এবং নাচোলকে পাহাড়া দেবার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের ট্রেনিং পেত কৃষকেরা, তাদের হাতিয়ার ছিল তীর, ধনুক, বল্লম। এভাবেই গড়ে ওঠে এক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালের শেষ পর্যন্ত ইলা মিত্র, রমেন মিত্র সহ নেতারা পেছনে থেকে সবকিছু পরিচালনা করতেন এবং এ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীই সব আন্দোলনে সামনে থেকে সবকিছু মোকাবেলা করতে থাকে। ১৯৪৯ সালের শেষের দিকে পুরো নাচোল এলাকাটা এক যুদ্ধক্ষেত্রের মত পরিণত হয়েছিল। এভাবে শক্তিশালী হয়ে কৃষকেরা তাঁদের নেতা রমেন মিত্র এবং আরো অন্যদের জমি মিলিয়ে মোট ৫০০ বিঘা জমিতে তেভাগা নীতি প্রথম কার্যকর করে এবং পরে অন্য আরো জমিদারদের জমিতেও এই নীতি কার্যকর করা হয়। এভাবে ফসল ভাগের ফলেই জমিদারেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশ-জমিদার যৌথভাবে গ্রামে গ্রামে উৎপীড়ন শুরু করে।
এমন অবস্থায় ১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারী তিনজন পুলিশ কনস্টেবল নাচোলের এক গ্রামে গিয়ে নেতাদের খোঁজ না পেয়ে কৃষকদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে অত্যাবর পেয়ে চার করতে থাকে। এ খবর পেয়ে চাষীরা মাদল বাজিয়ে সমস্ত গ্রামবাসীকে জড়ো করে। আন্দোলনকারী সকল কৃষকেরা একত্রে মারমুখী হয়ে উঠলে পুলিশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং একসময় ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী হাতের এতো কাছে পুলিশ পেয়ে তাদেরকে মেরে ফেলে। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ইলা মিত্র এবং অন্যান্য নেতারা এর বিরুদ্ধে থাকলেও ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীকে বাঁধা দেয়ার আগেই তারা এই কান্ড ঘটিয়ে ফেলে। রমেন মিত্র পূর্ব নির্ধারিত কাজী জন্য সেদিনই সীমান্তের ওপারে চলে যান এবং ইলা মিত্র অন্য নেতা কর্মীদের সাথে আত্মগোপন করেন। এ খবর পাওয়া মাত্র সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়। তারা ১২টি গ্রাম পুড়িয়ে, কৃষকদের গুলি করে হত্যা করে এবং বিভিন্নভাবে নেতাদের খোঁজ করতে থাকে। তাদের ধারণা নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। ইলা মিত্র সীমান্ত পার হওয়ার জন্য সাঁওতাল রমণীর ছদ্মবেশে রওনা হন ৭ জানুয়ারী। পথে রহনপুরে ষ্টেশনে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে রহনপুর থানায় তাকে সনাক্ত করা হয়।
এখানেই শেষ হয় তাঁর জীবনের গৌরবান্বিত এক অধ্যায়। তবে এখান থেকে তাঁর যে জীবন শুরু হয় সেখানে তাঁর দৃঢ়তা, মনোবল এবং লড়াই করে যাবার শক্তি দেখে বিস্মিত হতেই হয়। পরের পর্বে সেইসব বিস্ময়কর ঘটনা উপস্থাপনের আশা রাখছি।
মন্তব্য
facebook
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
লেখাটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখাটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
ইলা মিত্র নামটি খুব আলোচিত হতে দেখছি গত কয়েক বছর, কিন্তু কখনই সেভাবে জানা হয়নি। যাই হোক, আপনির লেখাটি রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম, এবং টের পেতে শুরু করলাম কেন এই নাম এখনো মানুষকে এত নাড়া দিয়ে যাচ্ছে! তার বিশাল ত্যাগ আর সংগ্রাম বক্ষ্যমাণ লেখাটিতেই স্পষ্ট বিস্ময় জাগায় আমাদের মনে; কিন্তু আপনার লেখার শেষ লাইনে ইংগিত রয়েছে আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
ইলা মিত্র ছিলেন কৃষকদের রাণী মা। ভাবতে অবাক লাগে, এলিট সমাজের মেয়ে আর জমিদার বধূ হয়েও, কোন ঐশ্বরিক প্রেরণাবলে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন সমাজের প্রান্তিক ও চির শোষিত মানুষের দোরগোড়ায়? আমাদের এখনকার রাণীমারা যদি ইলা মিত্রের কাছ থেকে কিছু শিখতে পারতেন!
লেখাটির তথ্যসূত্র উল্লেখ করলে পাঠকরা আরও বিস্তারিত পাঠে উদ্বুদ্ধ হতে পারত। ইলা মিত্রের মত একজন মহীয়সী মানুষকে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের জন্য
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমরা এখনকার দিনে এমনটা খুব একটা দেখিনা বলে কিনা জানি না, খুবই বিস্ময় জেগেছে ইলা মিত্রের চরিত্রের সাথে পরিচিত হয়ে। তথ্যসূত্রের কথা মাথাতেই ছিল না। পরের লেখার সাথে যোগ করে দেব। আপনাকে জানিয়ে রাখছি, এটা লিখতে বাংলাপিডিয়া, মুক্তমনা ওয়েবসাইট এবং মালেকা বেগমের ইলা মিত্র- তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী বইটির সাহায্য নিয়েছি।
ধিতাং ধিতাং বোলে
কে মাদলে তান তোলে!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইলা মিত্রকে নিয়ে এরকম চমৎকার এটা পোস্টের জন্য। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।
খুব ভালো লাগলো লেখাটি। আপনার জীবনী লেখার দারুণ হাত দেখছি।
সুন্দর উপস্থাপনা। লিখুন। পরের লেখাগুলির অপেক্ষায় রইলাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন