শ্রীমঙ্গল এবং সিলেটে থাকার এবং যাতায়াতের বেশ সুব্যবস্থা ছিল। সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমরা শুধু গিয়েছি, থেকেছি আর ঘুরেছি। সেদিক থেকে সুনামগঞ্জ আমাদের ঘোরাঘুরিটা বেশ অ্যাডভেঞ্চারাস হবে বলে ধরে নিয়েছিলাম। ওখানে আগে থেকে কিছুই ঠিক করা ছিল না। কথা ছিল আমরা গিয়ে একটা হোটেলে উঠবো এবং যেভাবে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেভাবেই যাবো। বান্ধবী সুচেতার বাবা-মা কিছুদিনই আগেই হাওড় থেকে ঘুরে এসেছেন। আঙ্কেল-আন্টির সাথে কথা বলে জানা গেল সুনামগঞ্জে সুরমা নদী পার হয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে হাওড়ে যেতে হবে। তবে মেয়েদেরকে মোটরসাইকেলের পেছনে নিতে চালকেরা খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। আন্টির জন্য মোটরসাইকেল খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এদিকে আমরাতো নয় নয়টা মেয়ে। এতো মোটরসাইকেল যদি একসাথে জোগাড় করতে না পারি? আঙ্কেল-আন্টি জানালেন সুনামগঞ্জে গিয়ে তাদের সাথে এক কয়লা ব্যবসায়ী পরিবারের সাথে পরিচয় হয়েছিল। ঠিক হল ওনাদেরকে বলা হবে নয়জনের জন্য পাঁচটা মোটরসাইকেলের ব্যবস্থা করে রাখতে। মানে আগে থেকে যেন ওনারা একটু কথা বলে রাখেন আরকি। আরো ঠিক হলো আমরা গিয়ে উঠবো হোটেল নূরানীতে।
নির্ধারিত দিনে সকালবেলা (আমরা তখনও সিলেটে) সুনামগঞ্জ থেকে সুচেতার ফোনে কল এলো। জানা গেল উনি সুনামগঞ্জ থেকে সাদ্দাম বলছেন। ঢাকা থেকে ওনাকে জানানো হয়েছে আমাদের যাওয়ার ব্যাপারে। উনি হোটেলে বুকিং দেয়ার জন্য এসেছেন, আমাদের কয়টা রুম দরকার জানতে চান। আমরা একটু অবাক। আমাদেরতো শুধু মোটরসাইকেলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাছাড়া বাকিসব আমাদেরই ম্যানেজ করে নেবার কথা। উনি জানালেন কোন সমস্যা নেই, উনিই সব ব্যবস্থা করে রাখবেন। সুনামগঞ্জের মানুষের আতিথেয়তার ব্যাপারে সেইসময়ে আমরা বিন্দুমাত্র কিছুও আঁচ করতে পারিনি। কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন করে জানতে চাওয়া হল আমরা রাতে কি খেতে চাই। আমরা জানালাম এত ব্যস্ত হবার কিছু নেই। আমরা ওখানেই কোন একটা হোটেলে খেয়ে নেব, আমাদের সমস্যা হবে না।
এর মধ্যে আমরা সিলেট থেকে দুপুরের খাবার সেরে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছি। চারপাশের বিস্তীর্ণ মাঠ দেখতে দেখতে ঘন্টা দুই-আড়াইয়ের মধ্যে সুনামগঞ্জে পৌঁছেও গেলাম। গিয়েতো মোটামুটি আমাদের আক্কেলগুড়ুম অবস্থা। হোটেলের সামনে আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছেন আঙ্কেল-আন্টির পরিচিত জয়ধর সাহেবের ছেলে ইমরুল ভাই এবং সাদ্দাম ভাই। ঘটনা দেখে যা বোঝা গেল তা হল নয়টা মেয়ের ‘একা একা’ সুনামগঞ্জ ভ্রমণ এখানে বেশ একটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জয়ধর সাহেব বিশ্বইজতে্মায় গিয়েছেন এবং তার ছেলেদেরকে বলা হয়েছে আমাদের সবসময় দেখেশুনে রাখতে। তো শুরু হল আমাদেরকে দেখে-শুনে রাখা। কড়া নিষেধাজ্ঞা জারী করা হল আমরা যেন কিছুতেই একা একা বাইরে না যাই। ওনারা রাতে এসে আমাদের রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যাবেন, খাবার-দাবারের ব্যবস্থা আগে থেকেই করা আছে। আমরা খাবারের বিল দিতে চাওয়ায় আমাদেরকে বলা হলো ওনারা যতক্ষণ আছেন ওনাদের কাজ ওনাদেরকে করতে দিতে! আরো আক্ষেপ করতে থাকলেন মাত্র নয়জন মানুষ, আগে জানলে নাকি নিজেদের বাসায়ই থাকার ব্যবস্থা করতেন। এদিকে আমরাতো হঠাৎ পরিচিত হওয়া মানুষের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে এত আতিথেয়তা পাওয়ায় ভীষণ অপ্রস্তুত। এর মধ্যে আমাদের সাথে দেখা করতে এলেন এক ডাক্তার আঙ্কেল, যিনি সুচেতার বাবা-মার বন্ধু। উনিতো আমাদেরকে দেখে ভীষণ অবাক। আমরা সত্যিই নয়জন ‘একা একা’ সুনামগঞ্জে চলে এসেছি দেখে শুরুতে ওনাকে বেশ উত্তেজিত দেখালো। পরে আমাদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে যখন জানলেন এটাই আমাদের প্রথম এভাবে বের হওয়া না, এর আগেই আমরা অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি তখন জানালেন উনার মেয়ে কুমিল্লা মেডিকেলে পড়ে। ও এখানে থাকলে ওকেও আমাদের সাথে পাঠিয়ে দিতেন, ওর খুব একটা ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয় না কিনা। এতো অল্প সময়ে ওনার আস্থাভাজন হয়ে যেতে পেরে আমরাও বেশ খুশি হয়ে গেলাম।
যাই হোক, এভাবেই শুরু হলো সুনামগঞ্জে আমাদের প্রথম দিন। বেড়াতে এসে মানুষজনকে এতো হকচকিয়ে দিয়েছি দেখে আমরা নিজেরাও বেশ হকচকিত হয়েছিলাম। ঠিক হল পরদিন সকাল সাতটায় আমরা রওনা হবো টাঙ্গুয়ার হাওড়ের উদ্দেশ্যে। পরদিন সকালে উঠে সেই মোতাবেক আমরা বেরিয়ে পরলাম। নাস্তা সেরে হোটেল থেকে রিকশায় করে সুরমা নদীর ঘাটে গিয়ে নৌকায় করে নদীর পার হলাম। এবার মোটর সাইকেলে করে যাত্রা শুরুর পালা। আমাদের মধ্যে কয়েকজনের ছিল এবারই প্রথম মোটরসাইকেলে চড়া আর ভাড়া করা মোটরসাইকেলে চড়াতো সবারই প্রথম। সবাই বেশ উত্তেজিত। দু’জন দু’জন করে চড়ে বসলাম প্রত্যেক মোটরসাইকেলের পেছনে। প্রথমে কয়েকজনের একটু সমস্যা হওয়ায় একটু পরে থেমে নতুনভাবে বিন্যস্ত হয়ে আবার চড়ে বসলাম আমরা। এবং এই যে চড়ে বসলাম তারপরে আর থামতে হয়নি। রাস্তা, মাঠ-ঘাট, জমির আইল, বাঁশের সাঁকো সবকিছুর উপর দিয়ে তুমুল বেগে ছুটে চলতে লাগলাম আমরা। মাঝে মাঝে বেশ উঁচু-নিচু দুয়েক জায়গায় আমরা ভয় পেয়ে নামতে চাইলেও ড্রাইভার সাহেব আশ্বস্ত করলেন যে মোটরসাইকেল চালিয়ে এমন রাস্তা দিয়ে উনি আমাদের ঢাকাতেও পৌঁছে দিতে পারবেন, কোন সমস্যা হবে না। আর কি! আমরা আরামসে উপভোগ করতে থাকলাম চারপাশের প্রকৃতি আর এই অভিনব মোটরসাইকেল রাইড।
সুনামগঞ্জ থেকে বিশম্ভরপুর, তাহিরপুর পার হয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা পরে আমরা গিয়ে পৌঁছলাম শ্রীপুর বাজারে। পথে দেখলাম শনির হাওড়, মাইট্ট্যা হাওড়। শীতকালে দু’টোই ছিল শুকনো। শ্রীপুর বাজারে নৌকার ঘাট। নৌকা ঠিক করার সাথে সাথে নৌকার ছইয়ে গিয়ে উঠে বসলাম সবাই। আর মোটরসাইকেলসহ আমাদের সাথে নৌকায় চড়ে বসলেন সাদ্দাম ভাই।
নদীতে চলতে শুরু করলো আমাদের নৌকা। নৌকায় বসেই বন্ধুর ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাদের অণুদাও নাকি টাঙ্গুয়ারের পথে। ওনার সাথে পাখি দেখতে পারলে বেশ হত ভেবে ওনার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম। যোগাযোগ করে জানতে পারলাম উনি ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। রাতে সুনামগঞ্জে থাকবেন আর টাঙ্গুয়ারের আসবেন পরদিন। তো ঠিক হল আমরা টাঙ্গুয়ার থেকে সুনামগঞ্জ ফিরে ওনার সাথে দেখা করবো।
এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের নৌকা নদী থেকে গিয়ে পড়লো টাঙ্গুয়ার হাওড়ে। টাঙ্গুয়ারের সৌন্দর্য বর্ণনা করার দুঃসাহস দেখাবো না। ছবি দেখে কিছুটা অনুমান হয়তো করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই নিজের চোখকে অন্তত একবার এই অদ্ভুত স্বচ্ছ জলরাশি দেখার সুযোগ করে দেয়া উচিৎ।
আর ছিল পাখি। যা দেখতেই মূলত আমাদের শীতকালে হাওড় দেখতে যাওয়া। তবে পাখি দেখার জন্য আমাদের প্রস্তুতি তেমন একটা ভালো ছিল না। সাথে বাইনোকুলার ছিল না ফলে খুব কাছ থেকে তাদেরকে দেখতে পাইনি। নৌকার শব্দে আমরা কাছে আসার বেশ আগেই তারা উড়ে যাচ্ছিল। সাথে টেলিলেন্স না থাকায় সুচেতাও ভালো করে ক্যামেরায় তাদেরকে ধরতে পারেনি। তারপরেও আমাদের শহুরে চোখ এর আগে কখনো একসাথে এতো পাখি উড়তে দেখেনি। হাজার হাজার পানকৌড়ি, বক, কালেম আর নাম না জানা পাখিকে এভাবে পানি থেকে উড়ে যেতে দেখা এক মনোহর দৃশ্য বটে।
সবচেয়ে সুন্দরভাবে যেটা দেখতে পেরেছি সেটা হল পানির নিচের বিচিত্র জগত। এতো স্বচ্ছ পানি যে নিচের সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলাম। অজস্র জলজ উদ্ভিদ আর ঝাঁকে ঝাঁকে যাচ্ছে অসংখ্য ছোট ছোট মাছ। অসাধারণ এক দৃশ্য।
নৌকায় করে ঘুরতে ঘুরতে এক জায়গায় ডাঙ্গা পেয়ে নেমে গেলাম আমরা। সেখানে আছে সারি সারি করজ গাছ। গাছের ডালে ডালে বিভিন্ন পাখির বাসা। বেশ সুন্দর কিছু পাখি দেখলাম এখানে। আমাদের নৌকার মাঝির মতে এখান থেকে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় নৌকায় চড়ে চলে যাওয়া যায়। বেশ লোভ হচ্ছিলো এটা শুনে, এখান থেকে নৌকায় চড়ে কোথাও চলে যেতে।
এবার ফেরার পালা। দুপুর হয়ে এসেছে। এই সময়টায় পাখিও খুব একটা দেখা যায়না। রোদও বেশ উঠেছে। চুপচাপ বসে শেষবারের মত হাওড়ের রূপ দেখে নিচ্ছি আমরা। সিলেটে ঘুরে বেড়ানোর বিভিন্ন সময়ে মেঘালয়ের সুউচ্চ পর্বতমালার সৌন্দর্য দেখেছি আর আফসোস করেছি এমন সুন্দর সবকিছু ভারতের সীমানার ভেতরে পড়েছে বলে। হাওড় থেকে ফেরার পথে বান্ধবী মাধুরী বলেই বসলো, থাক না ওদের পাহাড়, আমাদের হাওড়ই ভালো। সত্যিই। আমাদের হাওড়ই ভালো।
খুব ইচ্ছা ছিল হাওড়ে নৌকায় অন্তত একটা রাত কাটানোর। সম্ভব হলো না। তবে আশা ছাড়িনি। হয়তো কোন এক বর্ষাকালে আবার চলে যাবো। হাওড়ের সৌন্দর্য পুরোপুরি দেখতে হলে আসলে বর্ষাকাল এবং শীতকাল দুই সময়েই একবার করে যাওয়া উচিত। দুইসময়ে দুই ভিন্নরূপে হাওড় হাজির হবে আপনার সামনে। যে সৌন্দর্যকে সামাল দিতে আমাদের চর্মচক্ষুকে একটু বেগই পেতে হয়। বর্ষাকালে সুনামগঞ্জ শহর থেকেই নৌকা নিয়ে চলে যেতে পারেন টাঙ্গুয়ারে। শীতকালেও নৌকা নিয়ে যাওয়া যায় তবে তা একটু সময়সাপেক্ষ। আমরা যেহেতু রাত কাটানোর কোন ব্যবস্থা করতে পারিনি তাই আমাদের মোটরসাইকেলে গিয়ে নৌকায় চড়তে হয়েছে। সারাদিনের জন্য প্রতি মোটরসাইকেলের ভাড়া এক হাজার টাকা। আমরা শ্রীপুর থেকে নৌকা নিয়ে হাওড় ঘুরে কলাগাঁও কয়লার আড়তে গিয়ে নেমেছি। নৌকার ভাড়া পড়েছে বারশ' টাকা। রুট ভিন্ন হলে নৌকা ভাড়া কমবেশি হতে পারে।
টাঙ্গুয়ার হাওড় ঘোরার দিনটা ছিল একটা যাদুকরী দিন। শুধু হাওড় দেখেই ক্ষান্ত হইনি আমরা। আরো বেশকিছু নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখেছি সেদিন। হাওড় দেখে বিমুগ্ধ আমাদেরকেও যেসব দৃশ্য নাড়া দিয়ে গিয়েছে। পোস্টের আকার বড় হয়ে যাওয়ায় সেসব গল্প আরেকদিনের জন্য তুলে রাখছি।
(সব ছবি তুলেছে সুচেতা সেগুফতা। পাখির ছবি দেখে চোখ জুড়াতে চাইলে অণুদা'র টাঙ্গুয়ার হাওড় অ্যালবামটা দেখে নিতে পারেন।)
মন্তব্য
facebook
সত্যিই তো, মেয়েরা মটরবাইক চালাচ্ছে, এ কি মগের মুল্লুক নাকি? তাও আবার এমন হেভেনলি হাওড়ে?
চালাইতে আর পারলাম কই, কৌস্তুভ দা! তবে চালাই আর না চালাই এই হেভেনলি হাওড় এলাকায় ধূলো উড়িয়ে যা একখানা মোটরবাইক রাইড হল না! একদম ফার্স্ট ক্লাস!
এবং আমাদেরকে ভুল প্রমাণিত করে ড্রাইভাররা বেশ খাতির জমিয়ে ফেললেন আমাদের সাথে। ভালোই গল্পগুজব হলো। এমনকি আমাদের সাথে ছবি উঠতেও তাদের বিস্তর আগ্রহ দেখা গেছে!
ভালো লাগলো নীলম।
অনেক ধন্যবাদ, আপু!
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ! সুনামগঞ্জ, আমার জন্মস্থান। জন্মের এক বছর পরে যে চলে এসেছিলাম আর কখনও যাওয়া হয়নি। কিছুদিন ধরে ভাবছি, এই শেষ বয়সে জন্মস্থানটা একবার দেখতে যাব। তা সে যাব-যাব করেও যাওয়া আর হচ্ছেনা। আপনার লেখাটা আগ্রহ বাড়িয়ে দিল। এবার নিশ্চয় যাব।
ছবি ও বর্ণন ভাল লেগেছে।
নিশ্চয় একবার ঘুরে আসবেন। বিশেষ করে হাওড়তো অবশ্যই দেখে আসবেন। আপনার ভ্রমণের জন্য আগাম শুভকামনা।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
অসাধারন।।।।।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
দারুন নীলম! আমার যে এখন প্রান আই ঢাই করছে হাওড়ে যাবার জন্য তার কি হবে?
চলুক ঘুরাঘুরি, চলুক লেখালেখি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এরপরে দেশে এসেই ছুট দিবেন!
আমি কবে যাবো?
বরাবরের মতোই ভাল লেগেছে।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ধন্যবাদ, মেঘাপু।
আপনার আপুর লেজ ধরে চলে যান তাড়াতাড়ি!
সেরম একটা টুর দিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। কী টলটলে পানি, নিচের অনেকটাই দেখা যাচ্ছে। ঘুরে আসতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব।
ভীষণ সুন্দর, আপু। দেখে আসতে পারেন একবার গিয়ে।
দারুণ লাগলো লেখাটি। চলুক।
- মনি শামিম
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ
ধন্যবাদ, লীলেনদা।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
সুনামগঞ্জ টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়া হয়নি অথব আমি এখন থাকি সিলেটের কাছাকাছি বলা যায়। চাকরি করলে যা হয় বছরে দুই ঈদ ছাড়া যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় না, তবু যদি ইচ্ছে শক্তি থাকে তাহলে যাওয়া যায়। কিন্তু এমনি কপাল আমার সব কলিগ মোটামুটি ঘরকুনে, বাহির তাদরকে খুব বেশি টানে না। ফলস্বরুপ ছাত্রজীবনের মতো আর ঘুরাঘুরি করা হয় না।
আপনার ছবি আর বর্ণনাশুনে তাই ব্যথিতই হলাম, অণুদার মতো তো আর একা একা ঘুরা সম্ভব না। তবু আশা রাখছি যাবো পুরোনো বন্ধুদেরকে নিয়ে একদিন। আপনার লেখা আর ছবি বেশ ভালো হয়েছে।
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন