প্রথম পর্ব
লেখা শুরু করে শেষ না করার বদভ্যাস থেকে বেরিয়েই আসতে পারছি না। যার ফলাফল হিসেবে আগের ভ্রমণের গল্প শেষ না করতেই আরেক দফা ঘুরান্টিস দিয়ে ফেললাম। এবার ছিল মিশন বান্দরবান। গত জুন মাসে একবার বান্দরবান যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছিলাম আমরা। যাওয়ার দিন সন্ধ্যায় নানাবিধ কারণে ট্যুর ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছিল। তাই এবার যখন একবার বান্দরবান যাওয়ার চিন্তা মাথায় এলো তখন একেবারে যাকে বলে ডেসপারেট হয়ে উঠলাম আমরা। চারজন স্থায়ী সদস্য নিয়ে নেমে পড়লাম দল বিবর্ধীকরণে। গতবারের নয়জনের দলের অনেকেরই পরীক্ষা থাকায় বেশ সমস্যায় পড়তে হল এবার। যাওয়ার আগের সাতদিনে দলের সদস্য বনাম সময়ের গ্রাফটিকে সাইন কার্ভের মত আকৃতি ধারণ করিয়ে অবশেষে ৫ অক্টোবর রাত দশটায় আমরা ৬ বান্ধবী বাসষ্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
রাত পৌনে বারোটার শ্যামলী বাস। আমরা উঠবো পান্থপথ থেকে। হলের গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাত দশটায় হল থেকে রওনা হয়ে পান্থপথ গিয়ে বসে আছি। গতবারের সিলেট ট্যুরের শেষ দিনে সুনামগঞ্জে দেখা হয়েছিল আমাদের বাংলার পর্যটক তারেক অণুর সাথে। আর এবারের ভ্রমণের শুরুতেই তার সাথে দেখা পান্থপথে। বুঝলাম বাংলার পথে (দেশের বাইরে যাইনি বলে সেখানে কি অবস্থা জানি না!) বের হলে উনাকে এড়ানো সম্ভব না। দেখা হবেই। ওনার গন্তব্য ছিল রাজশাহী। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ভাইয়া চড়ে বসলেন রাজশাহীর বাসে আর আমরা শুরু করলাম বাসের অপেক্ষা। রাত পৌনে বারোটায় আমাদেরকে একটি বাসে তোলা হল যার সামনে লেখা ঢাকা-সিলেট এবং যাত্রীদের অধিকাংশই সিলেটই যাবেন। আমাদেরকে বলা হল বান্দরবানের যাত্রীদেরকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বান্দরবানের বাসে তোলা হবে। ঠিক আছে, গেলাম সায়েদাবাদ। বাস থেকে নামিয়ে রাস্তা পার করিয়ে অন্য পাশে নিয়ে গিয়ে বলা হল বান্দরবানের বাস সায়েদাবাদ ছেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকক্ষণ আগে। নয়-দশজন যাত্রীকে ছেড়ে বাস কিভাবে ছেড়ে যায় তা আমাদের ঠিক বোধগম্য হল না।
যাই হোক, সেই বাসে ফোন করে যাত্রাবাড়ীতে দাঁড় করিয়ে রাখা হল। আমরা আবার সিলেটের বাসে চেপে যাত্রাবাড়ী গিয়ে আসল বাসে উঠতে সক্ষম হলাম। কাউন্টার থেকে বলা হয়েছিল সকাল ছয়টা-সাতটার মধ্যে নাকি আমরা বান্দরবান পৌঁছে যাবো। বন্ধুবান্ধব বলেছিল আটটা-সাড়ে আটটা বাজবে। এদিকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বহদ্দারহাট পার হওয়ার পর থেকে বাসের কোন এক সমস্যার কারণে সেটা কিছুদূর পরপর থেমে যেতে লাগলো। ফলাফল হিসেবে সকাল নয়টায় আমরা নিজেদেরকে আবিষ্কার করলাম সাতকানিয়া-বান্দরবান-থানচির লোকাল বাসে। বান্দরবান পৌঁছলাম দশটায়। এতকিছুর পরেও আমরা কোন এক বিচিত্র কারণে নেমেই ৯ তারিখে ফেরার টিকেট কাটলাম সেই শ্যমলী বাসেই। এবং যথারীতি ফেরার অভিজ্ঞতাও তেমন সুখকর হয়নি। তাই বান্দরবানের ভবিষ্যৎ যাত্রীদেরকে শ্যামলী বাস এড়িয়ে চলারই পরামর্শ দেয়া হল।
বাসষ্ট্যান্ডেই একটা হোটেলে সকালের নাস্তা সেরে নিয়ে অটোতে উঠে চলে গেলাম রুমা বাসষ্ট্যান্ডে। পথেই শুরু হল বৃষ্টি। এর মাঝেই টিকেট কেটে চেপে বসলাম সাড়ে এগারোটার রুমার বাসে। বাস চলতে শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঢুকে গেলাম মেঘের রাজ্যে। সামনে এঁকেবেঁকে চলা পাহাড়ি রাস্তা, চারপাশে-উপরে-নীচে বৃষ্টিভেজা সবুজ পাহাড়ের সারি।
তারা আবার দাঁড়িয়ে রয়েছে রুপালী মেঘের চাদর গায়ে জড়িয়ে। এই কি তবে ইন্দ্রজাল? কল্পনাতেও কি কখনো এর চেয়ে সুন্দর কোন দৃশ্য সাজাতে পেরেছি? মনে পড়ে না। আমরা বসেছিলাম ইঞ্জিনের পাশে গ্যালারি সীটে। মন্ত্রমুগ্ধের মত নিজের অজান্তেই কোনদিক থেকে কোনদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে চলেছি নিজেই বুঝতে পারছিলাম না। আহা! স্কুলে কতই না মুখস্থ করে, কখনোবা বানিয়ে বানিয়ে এ জার্নি বাই বাস রচনা লিখেছি। আজ এত বছর পরে কিনা বুঝলাম জীবনের সেরা বাসভ্রমণ বলে যদি কিছু হতেই হয় তাহলে সেটা এমনই হওয়া উচিৎ।
আড়াই ঘন্টা পরে পৌঁছে গেলাম রুমা। এবার সাঙ্গু নদীতে একটি সংক্ষিপ্ত নৌকাভ্রমণ সেরে নিয়ে পৌঁছতে হবে রুমা বাজারে। সেখানেই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন আমাদের গাইড কাজলদা। আগে থেকেই ফোনে কথা বলে রেখেছি উনার সাথে। তখনও বুঝিনি আর দুইদিন পরেই, যাদের প্রতি আমি সারাজীবনের জন্য কৃতজ্ঞ সেসব মানুষের তালিকায় এই মানুষটি উঠে যাবেন। যাই হোক, বৃষ্টি-কাদায় ছয়জন মিলে গোটা তিন চারেক আছাড় খেয়ে তবেই নৌকায় উঠতে সক্ষম হলাম। নৌকার ছইয়ের একদম ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় বাইরের প্রকৃতি দেখতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। তাই নৌকার ভেতরের মানুষদেরকেই পর্যবেক্ষণ করছিলাম। সত্যি বলতে কি এত পাহাড়ি মানুষ আগে একসাথে কখনো দেখিনি কিনা তাই বেশ কৌতূহল হচ্ছিল। তারা কেমন, কে কোন ভাষায় কথা বলছে, কার গন্তব্য কোথায় এসব লক্ষ্য করার চেষ্টা করছিলাম। আমার সামনে বসেছিলেন স্কুলের দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। বাংলাতেই কথা বলছিলেন। একজন ফিরছেন বান্দরবান থেকে। ওখানেই পরিবার থাকে আর একজন ফিরছেন দুইদিনের ট্রেনিং শেষ করে।
দেখতে দেখতে আধা ঘন্টার মধ্যেই আমাদের নৌকা রুমা বাজারে পৌঁছে গেল। কাজলদা ঘাটেই অপেক্ষা করছিলেন আমাদের জন্য। গাইড নেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সেরে আমরা গেলাম ভালো গ্রিপওয়ালা স্যান্ডেল কিনতে। ট্রেকিং এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ এই স্যান্ডেল। ঢাকা থেকে যেহেতু কিনিনি তাই সেখানকার বাজার সম্পর্কে ধারণা নেই। তবে পারলে ঢাকাতেও খুঁজে দেখতে পারেন। রুমা বাজারে অনেক খুঁজেপেতে আমরা মাত্র এক ধরণের স্ট্র্যাপওয়ালা স্যান্ডেল পেয়েছিলাম যেটা পরার কারণে অন্য সবদিক থেকে ভালো সার্ভিস পেলেও পা ছিলে গিয়েছিল বেশ ক’জায়গায়। সেক্ষেত্রে অবশ্য মোজা পরা যেতে পারে। তবে পায়ে একটু ছেঁড়া-কাটা না হলে আর কিসের ট্রেকিং!
অনেকটা পথ চলে এসেছি। এবার চাঁদের গাড়ি নিয়ে কমলাবাজার। সেখান থেকে শুরু হবে বগালেকের উদ্দেশ্যে হাঁটা। রুমা বাজার থেকে চাঁদের গাড়ির ভাড়া ২২০০ টাকা। দলের সদস্য কমতে কমতে যেহেতু আমরা মাত্র ছয়জন হয়ে গিয়েছি তাই খরচের ব্যাপারে পুরা ট্যুরেই আমাদের বেশ সজাগ থাকতে হয়েছে। সেকারণেই কাজলদাকে জানালাম আমরা চাঁদের গাড়িতে শেয়ারে যেতে আগ্রহী। আর কেউ বগালেকের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে কিনা। উনি জানালেন আরো তিনজনের একটা দলও এখনই রওনা হচ্ছে। তো ঠিক হয়ে গেল আমরা নয়জন আর দুই দলের দুইজন গাইডসহ মোট এগারোজন চাঁদের গাড়ি নিয়ে রওনা হচ্ছি। ভাইয়াদের সাথে পরিচিত হতে গিয়ে দেখা গেল তাদের মধ্যে একজন আমার প্রতিবেশী এবং আরেকজন ভাইয়া আমাদের দলের অপর এক সদস্য হৃদির প্রতিবেশী। দু’জনের বাড়িই বগুড়ায়। সুদূর বান্দরবানে এসে বগুড়ার প্রতিবেশী পেয়ে আমরা বেশ খুশি হয়ে গেলাম। এই কম ঘনত্বের জনপদে এসেও বুঝতে বাকি রইলো না যে আমাদের দেশ একটি কম আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।
সবই ঠিকঠাক, কিন্তু আমাদের চাঁদের গাড়ি কোথায়? জানা গেল বৃষ্টির জন্য রাস্তা খারাপ থাকায় আমাদেরকে কিছুদূর হেঁটে গিয়ে গাড়িতে চড়তে হবে। শুরু হলো হাঁটা। কিছুদূর যেতে না যেতেই দেখি আমাদেরকে এখনই প্রমাণ দিতে হবে এই অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আমরা কতখানি প্রস্তুত। হাত দশেকের মত একটা পাহাড়ের ঢাল পার হতে হবে। যার নিচ দিয়েই আবার বয়ে চলেছে নদী। মানে ডান পা-টা কোনভাবে একটু ফসকালেই হল, সোজা গিয়ে পড়তে হবে সাঙ্গুর বুকে। কোনমতে দু’হাতে পাহাড় ধরে, একবারো নিচের দিকে না তাকিয়ে, দম প্রায় বন্ধ করে পাড়ি দিয়ে ফেললাম সেই দুর্গম পথ। এবার আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করে গাড়িতে উঠতে হবে। যাত্রার শুরু থেকে যথারীতি বহুবার “আপনারা একা এসেছেন?”, “না, মানে কোন ছেলে নেই সাথে?” শুনতে শুনতেই এতদূর এসেছি। রিপোর্ট করার সময় আবার এটা নিয়ে কোন ঝামেলা হয় কিনা তা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। তবে এখানেই এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র জবাবদিহিতার প্রয়োজন পড়েনি।
নির্ঝঞ্ঝাট উঠে পড়লাম চাঁদের গাড়ীতে। তো আমরা যাচ্ছি। প্রথম দুয়েক মিনিট মৃদু ঝাঁকুনি খেয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি বিশাল এক ঢালু জায়গা পার হয়ে এসেছি। সামনে তাকিয়ে দেখি এবার উঠতে হবে অনেক উঁচুতে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি আমরা সীট ছেড়ে কই যেন উঠে যাচ্ছি। এবং আরো কিছুক্ষণ পরে বুঝলাম বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন জ্ঞান নিয়ে এলেও চাঁদের গাড়ি সম্পর্কে আমরা কাউকে কিছু জিজ্ঞেসও করিনি এবং কেউ আমাদেরকে এটার ধরণ-ধারণ সম্পর্কে তেমন কিছু বলেওনি। একটা উদাহরণ দিলেই যারা একবার হলেও এই গাড়ীতে উঠেছেন তারা আমাদের এ বিষয়ে অজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বড় পানির বোতল বহন করতে সমস্যা হওয়ায় আমাদের সবার কাছে কয়েকটা ছোট ছোট পানির বোতল ছিল। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বোতল কিনে পানি সবার ছোট বোতলে ভাগ করে নিচ্ছিলাম। রুমা বাজারে পানির বোতল কেনার পরে আমাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো দেরি হয়ে যাচ্ছে, চল রওনা হয়ে পড়ি। আমরা বরং গাড়িতে বসে পানি ছোট বোতলে নিয়ে নেব! আমরা কয়েকজন রাজি হয়েছিলাম! পরে আমাদের সেই পানির বোতলকে চাঁদের গাড়ীর মেঝেতে গড়াগড়ি করতে দেখা গিয়েছে। যাই হোক, আগে থেকে ধারণা না থাকায় চাঁদের গাড়িতে যাত্রার শুরুটা একটু ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাই মনে হচ্ছিল। পরে আবিষ্কার করলাম সামনের দিকে না তাকালে অতটা ভয় লাগছে না। তাই বাকি রাস্তা ওভাবেই পাড়ি দিলাম। সন্ধ্যার একদম আগে আগে চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও আমাদের ভয় কাটাতে অনেক সাহায্য করেছিল।
প্রায় দেড় ঘন্টা পরে একসময় শেষ হল আমাদের চান্দের গাড়ির যাত্রা। এরপর থেকে আগামী কয়েকদিনের জন্য সাথী শুধুই নিজেদের দু’টি পা। রুমা বাজার থেকে কেনা স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে এবং কাজলদা’র যোগাড় করে দেয়া লাঠি নিয়ে শুরু হল আমাদের ট্রেকিং।
তখন প্রায় সন্ধ্যা। চারিদিক অন্ধকার হয়ে না গেলেও সূর্য ডুবেছে বেশ কিছুক্ষণ আগেই। দুই দলের গাইডই পা চালানোর তাগাদা দিলেন।
জানালেন আমাদের অনভস্ত্য পায়ে অন্ধকারে হাঁটাটা খুব একটা নিরাপদ হবে না। হাঁটতে শুরু করার পরে দেখা গেল আমাদের মধ্যে চাঁদের গাড়িতে সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে দোয়া-দরুদ পড়তে থাকা হৃদি এবং ঢাকার রাস্তায় সবচেয়ে কম এবং ধীর গতিতে হাঁটার জন্য পরিচিত রুহানা রয়েছে সবার সামনে। অন্যদিকে সকাল আটটার ক্লাস শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের দু-এক মিনিট পরে হল থেকে বেরিয়ে স্যারের আগে ক্লাসে পৌঁছানোর মত হাঁটার গতি নিয়ে আমি এবং সুচেতা পড়ে রয়েছি সবার পিছে। বন্ধু কামরুল অবশ্য আগেই সাবধান করে দিয়েছিল যে সারাদিনের জার্নি শেষে খাড়া ঢাল বেয়ে বগালেকে উঠতেই একতু বেশি কষ্ট হবে। আমরা যেন হতাশ হয়ে না পড়ি। একটু সময় নিয়ে উঠাই ভালো। তবে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমরা বেশ ঝামেলায়ই পড়ে যাচ্ছিলাম। এই অবস্থায় মোটামুটি পয়তাল্লিশ মিনিট বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম বগালেক।
সেই মূহুর্তে কি যে স্বস্তি পেয়েছিলাম তা লিখে বোঝাতে পারলাম না! তবে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় লেক দেখতে না পারায় মনের মধ্যে একটু খচখচানি থেকেই গেল। সিয়াম দিদির কটেজের দোতলায় কোনরকম ব্যাগগুলো রেখেই ছুট দিলাম লেকের পাড়ে। উদ্দেশ্য সাঁতার কাটা। তবে ঐ অন্ধকারে পানিতে নেমে সুইমিং পুলে সাঁতারের অভিজ্ঞতা নিয়ে আর সাঁতরানোর সাহস হয়নি। একজন-দুইজন করে পানিতে নামছি তখন হঠাৎ আবিষ্কৃত হল হাতে-পায়ে নয় আমাদের মধ্যে একজনকে জোঁক ধরেছে কুচকিতে। এই অদ্ভূত জায়গা থেকেই শুরু হল আমাদের দলের প্রথম জোঁক দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। আমরা ভাবলাম এ আর এমনকি! জোঁক ধরবে, রক্ত পড়বে, রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যস! কিন্ত পরে বুঝলাম ঘটনা এতোটাও সরল নয়। সেসব গল্পে আবার ফিরে আসবো। আপাতত সাঁতার কাটতে না পেরে পানিতে গলা ডুবিয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় সুচেতার কথা শুনে উপরে তাকিয়ে দেখলাম এক অপার্থিব দৃশ্য। লক্ষ লক্ষ তারা জ্বলজ্বল করছে ঠিক আমাদের উপরেই। শহুরে চোখে প্রথমে এটাকে মনে হল ঠিক কোন এক পরাবাস্তব জগতের দৃশ্য। একটু ধাতস্থ হতেই এই বিশালতার নিচে নিজেকে দেখে কেমন একটা বুক কেমন করা অনুভূতি হল। সেই চারদিনে আরো অনেক সময়েই এমন অনুভূতি হয়েছে। সেই ক’দিনেই বুঝেছি প্রতিটি ইন্দ্রিয় দিয়ে জীবনকে উপভোগ করা বুঝি একেই বলে। কেওক্রাডং, জাদিপাই ঝর্ণা হয়ে আবারো এই যান্ত্রিক শহরে ফিরে আসার আরো অনেক গল্প নিয়ে আসছি পরের পর্বেই।
(ক্যামেরায় যথারীতি উপস্থিত ছিলেন সুচেতা শেগুফতা)
মন্তব্য
অস্তির সময়, অস্থির যাত্রাতো ধৈর্য্য ধরে লিখুন ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
বাস বিষয়ক পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
তুহিন সরকার।
পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নীলম আপু,
ভ্রমণ চালিয়ে যান। আমি তো বান্দরবান যাব যাব করে সঙ্গী না পেয়ে আর যাওয়া হলনা। কিন্তু ছবি এত কম কেন?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, নির্ঝরা।
আসলে প্রথম দিন পুরোটাই জার্নির উপরে থাকায় তেমন একটা ছবি তোলা হয়নি। আর আমার মনে হয় ভ্রমণে আগ্রহী সবার অবশ্যই একবার বান্দরবান যাওয়া উচিৎ। শুভকামনা রইলো।
আপু,
কাজলদা'র মোবাইল নাম্বারটা কি দেয়া যাবে?
হ্যাঁ, যাবে। তবে এখানে না করে একটু ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করলে ভালো হয়।
আপনারা আসলেই সাহসী পর্যটক। চাঁদের গাড়ির বর্ণনা শুনেছি, আপনার কাছেও শুনলাম -চড়া হয়নি এখনও।
আরেকটা জিনিস, প্রিপারেশনের কয়েকটা ধাপ একটু ডিটেইলে বললে পরে যারা ভ্রমণে যাবেন তাদের উপকার হত। যেমন, গাইড কাজলদাকে কিভাবে পেলেন? আর্মি ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কি কি লাগে? (জাতীর পরিচয়পত্র কি সাথে নিতে হয় এসব আর কি)
লেখক ও ফটোগ্রাফার - দুজনকেই একটা কথা বলব, সাবাস!
শুভেচ্ছা
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এরপর থেকে এই বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখবো। কাজলদাকে পেয়েছি এক বন্ধুর মাধ্যমে। ওরা আমাদের একমাস আগেই বান্দরবান ঘুরে এসেছিল। আর রেজিস্ট্রেশন তেমন ফর্মাল কিছু না। শুধু নাম, ঠিকানা আর ফোন নম্বর রাখে ওরা।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম বারের বগালেক কিংবা কেওকারাডং এ যাওয়ার অভিজ্ঞতা অতুলনীয় হয়। আপনার লেখায় সেটা বেশ অনুভব করা গেছে কিছুটা। তবে ছবিতে আর বর্ণনায় সেই সৌন্দর্য ঠিক মতো উঠে আসেনি মনে হলো আমার কাছে। মূল বিষয়ের চেয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় একটু বেশি এসেছে। যেমন যাত্রাবাড়ী/সায়দাবাদ, আর বাস বিড়ম্বনা এইসব দিকগুলো। জাদিপাই অসাধারন, আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুন্দর ঝর্ণা। কেওকারাডং আর আগের সেই রুপ নেই। প্রথমবার (২০১০) যখন যাই তখন কেওকারাডং মুগ্ধ করেছিলো। কিন্তু ২০১২ তে গিয়ে হতাশ হয়েছি। কারন সেই কেওকারাডং এর চূড়ায় থাকার জন্যে ঘর করা হয়েছে, তার পাশে ব্যবসায়িক হোটেল করা হয়েছে। মানুষ সৃষ্ট ময়লা আর আবর্জনা কেওকারাডং এর নীরবতা আর সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। কেওকারাডং থেকে জাদিপাই পথটাই অসাধারণ, শুধু নিচের দিকে নামতে থাকো। আর দূর থেকে শুনতে পাওয়া ঝর্ণার ধ্বনি উফ কি যে অপূর্ব হয়ে বাজে কানে তা হয়তো কখনোই বর্ণনা করে বুঝানো যাবে না। আশা করি পরবর্তী পর্বটি লেখায় আর সুন্দর ছবিতে ভরে উঠবে। (প্রথমবার আমাদের গাইড ছিলো কাজল দা, আর আপনারা শুধু কয়েকজন মেয়ে জাদিপাই জয় করেছেন সেটাই আসলে অনেক বড় ব্যাপার কারন পথটা অনেক কষ্টের,জাদিপাই জয়ের জন্যে শুভেচ্ছা)
মাসুদ সজীব
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
প্রথমদিনে পুরোটাই জার্নির উপরে থাকায় ছবি তোলা হয়নি খুব একটা। আর লেখার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্যেও ধন্যবাদ। আমার সবসময়ই মনে হয় আমরা লাফালাফিতে যতটা পটু, লেখালেখিতে ততটাই কাঁচা। এরপর থেকে আরো মনোযোগী হবো। তবে শ্যামলীর সার্ভিসের উপর এতোই বিরক্ত ছিলাম যে ওটা ইচ্ছাকৃতভাবেই পুরোটা বর্ণনা করেছি।
আর জাদিপাইয়ের কথা ঠিকই বলেছেন। আসলেই বর্ণনা করে এসব বুঝানো সম্ভব না। কাজলদাকে নিয়ে লিখবো পরের পর্বে।
চমৎকার লেখা - আপনাদের সাথে সাথে আমি-ও ঘুরতে শুরু করেছি।
পরের পর্বের জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কি সুন্দর!!! কি সুন্দর!!! আমারও খুব ইচ্ছা ছিল বগালেক যাবার কিন্তু ট্র্যাকিং করার সাহস করে উঠতে পারছি না বলে যাওয়া হচ্ছে না।
ইসরাত
বগালেক যেতে খুব একটা ট্রেকিং করতে হয় না। বগালেক যাবার দুইটা ট্রেইল আছে। ঝিরিপথ দিয়ে গেলে অবশ্য বেশ খানিকটা পথ হেঁটে যেতে হয়। এবং অবশ্যই সেটা নাকি অসম্ভব সুন্দর। তবে এতটা হাঁটতে না চাইলে আমাদের পথটা অনুসরণ করেই বগালেক চলে যেতে পারবেন।
মন্তব্যেরর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বান্দরবান গিয়েছি অনেক বছর আগে, আবার যাব যাব করছি। ছবি দেখে ইচ্ছেটা মাথা চাড়া দিচ্ছে
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আরো ছবি চাই কিন্তু
বান্দরবান আসলেই নেশা। একবার গেলে যাবার ইচ্ছা আরো বেড়েই যায়। ঘুরে আসুন আবার।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইসরাত বগালেক যেতে খুব বেশি ট্রেকিং করতে হয়না। গাড়ি প্রায় বগালেকের চূড়ার নিচে পৌছে দিবে। সেখান থেকে বগালেক উঠতে আপনার ৩০-৪৫ মিনিট লাগবে।কেওকারডং যেতে হলে অনেক দীর্ঘ সময় ট্রেকিং করতে হয় এবং সেটা বেশ কষ্টসাধ্য। তবু পারবেন, খুব কঠিন কিছু না। ট্রেকিং করতে আসলে শক্তির চেয়ে সাহসটাই গুরুত্বপূর্ণ।
নভেম্বরে মাঝামাঝি আমি আবারো যাচ্ছি বান্দরবন। চলে আসুন, হয়তো দেখা ও হয়ে যেতে পারে।
এই ফিরলাম, নভেম্বরে তাই আর যাওয়া হচ্ছে না। ডিসেম্বর-জানুয়ারীর দিকে আবার হয়তো একবার চেষ্টা করবো। আপনারা ঘুরে আসুন অনেক অনেক গল্প নিয়ে।
আর শক্তির চেয়ে সাহসটা গুরুত্বপূর্ণ কথাটা আসলেই ভীষণ সত্যি। সাথে ছেলে নেই বিষয়ক প্রশ্নে শুরুতে আমরা খুবই অবাক হচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল হতে পারে ছেলেদের শারীরিক শক্তি বেশি তাই বলে কেউতো আর আমাকে টেনে পাহাড়ে তুলবে না। তাহলে সবাই ছেলে নেই বলে এত অবাক হচ্ছে কেন। পরে বুঝেছি মানুষ হয়তো আমাদেরকে মানসিক শক্তি জোগানোর জন্য সাথে কাউকে আশা করছিল। তবে দেখার আগ্রহ থাকলে সাহস এবং শক্তি আপনাপনিই ভর করে বসে। এখানে ছেলে-মেয়ে বলে কোন কথা নেই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমি অনেক দিন থেকে বান্দরবন যাব ভাবসি । আপনার লেখা টা পরে আবার তাগিদ অনুভব করলাম।
ভ্রমণে আগ্রহীদের অবশ্যই একবার বান্দরবান ঘুরে আসা উচিৎ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দু:খিত ৮ম মন্তব্যটি আমার, নাম লিখতে মনে ছিলো না।
মজার বিষয় হলো যখন যে লেখা দেখি তখনি মনে হয় এটা নিয়ে আমিও লিখতে পারতাম । যেমন এই যে তিনবার বগালেক আর কেওকারাডং গেলাম, তার যেকোন একটিকে নিয়ে লিখতে পারতাম । লেখবো লেখবো করে আর লেখা হয় না । নভেম্বরে নাফাখুম জলপ্রপাত এবং লাইখ্যানঝিরি যাবো আশা করছি । একবার গিয়েছি, আরো একবার যাবো, বান্দরবন এমন একজায়গা যেখানে বার বার গেলেও মন ভরে না। পাহাড়, মেঘ আর ঝর্ণা মিলিয়ে বান্দববন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন এলাকা । এবার ঠিকি লেখে ফেলবো একখান ভ্রমন কাহিনী। কে উ আর দামিয়ে রাখতে পারবেনা
মাসুদ সজীব
যা বলেছেন। উপরেই লিখেছি লেখালেখিতে আমি তেমন একটা পারদর্শী নই। তাই দলবেঁধে প্রায়ই ঘুরে বেড়ালেও তা নিয়ে কোথাও কিছুই লিখিনি। গতবার সুনামগঞ্জে অণু ভাইয়ার সাথে দেখা হওয়ার পর উনিই লেখার তাগাদা দিলেন। তারপর থেকেই এই একটু-আধটু লেখার চেষ্টা করছি।
আহা বান্দরবান। আমি যখন গেছলাম তখন একটাই ডাইরেক্ট বাস ছিল ঢাকা বান্দরবান, ডলফিন বাস।
সিয়াম বম দিদির সাথে ছবি তুলেছিলেন?
..................................................................
#Banshibir.
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, সত্যপীর দা।
শ্যামলী বাস বড়ই ডিষ্টাপ দিছে। শুনেছি ইউনিকের সার্ভিস ভালো। পরেরবার সেটায় ট্রাই দিবো।
আর হ্যাঁ, সিয়ামদি'র সাথে ছবি আছে আমার বান্ধবীর। পরের পর্বে না হয় আপনার জন্য যোগ করে দেব সেটা।
চমৎকার লাগল। বড় হয়ে আমিও একদিন বান্দরবান যামু
এবং একটা কথা, প্রথম পাতায় ছবিটা একেবারে জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। দেখতে ভাল্লাগতেছে না। এটাকে ছোট করে দিন
ডাকঘর | ছবিঘর
ছোট করে দিলুম।
কাউকে বান্দরবান যেতে দেখলেই হিংসা লাগে। ফেইসবুকের হোম পেইজে প্রায়ই অসাধারন সব ছবি দেখি। কিছুদিন আগে ছোট ভাই আর কাজিনরা মিলে ঘুরে আসলো। আমি ছবি দেখে মুগ্ধ। এবার বাংলাদেশে গেলে বান্দরবান ঘুরে আসবই বলে পণ করে বসে আছি।
[প্রথম ছবিটি এক সাইজ ছোট করে দিলে ভালো হত। সীমানা পেরিয়ে ডানদিকে বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে আছে। এটাকি শুধু আমার ব্রাউজারেই দেখাচ্ছে নাকি সবারটাতেই তা অবশ্য নিশ্চিত না।]
অবশ্যই একবার ঘুরে আসবেন। ছবি বান্দরবানের সৌন্দর্যের বেশ কম অংশই ধারণ করতে পারে। শুভকামনা রইলো।
(ছবি ছোট করে দিয়েছি।)
আপনার এই ভ্রমণের মানসিকতাটা খুব ভাল লাগে।
ছবি ও বর্ণন সুন্দর।
আম্মো গিয়েছিলাম, বান্দরবান, এইতো কিছুদিন আগে।
[img][/img]
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাহাড়ের ভেতরে একদিন বেশি থেকে যাওয়ায় আমরা বান্দরবান শহরটা ঘুরে দেখতে পারিনি। তবে অটোর ভেতর থেকে এটা দেখেছিলাম। মজা পেয়েছি।
বেশ ভালো। সময়াভাবে চিম্বুকের পরে আর যাওয়া হয়নি। আবার যাবো। ভাগ্যিস স্যান্ডেল কিনেছিলেন। আমি তো ফ্ল্যাট জুতো নিয়ে বর্ষার লাউয়াছড়া আর উঁচু টিলাগুলোতে খুবই বেগ পেয়েছি। আমার সঙ্গীরা মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে। পরিকল্পনাবিহীন ট্যুরের খেসারত!
আমি খুবই খুঁতখুঁতে বলে চার দিয়েছি, কিন্তু কিছু অংশ আসলেই ৫! যেমন
সুনীলকে মনে পড়ে গেল! তবে বানানটা ইন্দ্রিয়!
অনেক ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভুলটা ঠিক করে দিলাম।
যাইনি বান্দরবান । তবে মনে হচ্ছে এবার না গিয়ে আর পারা যাবে না।
____________________________
ঘুরে আসুন একবার।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। শ্যমলী বলেন আর ইউনিক বলেন একই সার্ভিস। কপাল ভালো থাকলে দিন ভালো থাকে!!!
হাইওয়েতে উঠলেই আমার কপাল স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারাপ হয়ে যায়। অনেক বাজে বাজে অভিজ্ঞতা আছে।
যাই হোক,
বান্দরবন যাইনি। মনে হচ্ছে, যখনই পরবর্তী সুযোগ পাওয়া যাবে, যাওয়া উচিৎ।
সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ নীলম
আপনাকেও পড়ে মন্তব্য করবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
সুযোগ পেলে একবার ঘুরেই আসুন।
কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম, বৃষ্টি’তে বান্দরবান একদম আলাদা।
পরের পর্বে একটু বেশি করে ছবি দেয়া যায়?
একদম। অদ্ভূত সবুজ চারপাশে।
আর, হ্যাঁ, আগামী পর্বে ছবির অভাব হবে না আশা করছি।
সব মনে পড়ে গেলো পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়েন । পড়তে ভালো লাগছে ।
এড়াতে চাচ্ছেন কেনু , আবার চামে চামে ভাইয়াও ডাকলেন
লিখে যান ব্যপক, কিন্তু অল্পস্বল্প বাহুল্য আছে, পরের বার খেয়াল রেখেন
facebook
এড়াতে চাইলাম কই? আপনাকে দেখার লোভ দেখিয়েও যদি কিছু ঘরকুনো বাঙ্গালীকে পথে বের করে আনা যায় সেই চেষ্টা করছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাহুল্য দোষ পরিহারের চেষ্টা করবো এরপর থেকে।
(আপনি কি তাহলে ঘণুদা'তেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? )
ভাল লাগলো লেখা, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি লাগছে তাসনীম ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
ঝর ঝরে লেখা।
একটানে পড়লাম। ইচ্ছে আছে যাওয়ার বগা লেক দেখতে।
-অনিমেষ রহমান
ঘুরে আসুন একবার।
এক বছর ধরে বান্দরবন যাওয়ার জন্য প্রাণ কাঁদছে, যাওয়া হচ্ছে না। একদিন হাঁটা দিবো ভাবছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দিয়ে দেন হাঁটা। কি আছে জীবনে!
প্রথম পর্বটা আজকে পড়লাম। পরের পর্ব টা কালকে পড়ব।
খুব ভাল লাগল, বর্ষায় বান্দারবন। আমি শীতে গিয়েছিলাম। তখনই মনে হয়েছিল বৃষ্টি দেখতে যেতে হবে একবার।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আরে, শাব্দিক আপু, কেমন আছেন? গত কয়েকদিন অনলাইনে না দেখে ভাবছিলাম সবাই কি আমার মত ফাঁকিবাজ হয়ে সচল থেকে ভেগে গেল কিনা!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বর্ষার বান্দরবান দেখার মত জিনিস বটে একটা।
নতুন মন্তব্য করুন