যে সুনসান নীরবতাকে সঙ্গী করে নিয়ে আস্তে আস্তে পাহাড়ের গভীরে ঢুকে পড়ছিলাম আমরা, বগালেকে আসতেই তাতে ছেদ পড়ে গেল। আমরা ছাড়াও সেদিন সেখানে আরো তিনটা-চারটা বড় দল ছিল। তারা গিটার বাজিয়ে, গান গেয়ে সেখানে বেশ শোরগোল তুলে ফেলেছিল। শোরগোল বলাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। তবে আমরা প্রকৃতির কাছে যাই তার নীরবতা উপভোগ করতে। এই ব্যস্ততা, হৈ-চৈ, কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে একটু অন্যরকম করে সময় কাটাতে। সেকারণে বগালেকে এমন সুর-ঝংকারময় আবহ ঠিক আমাদের মনে ধরছিল না। কি আর করা! এর মাঝেই ফ্রেশ হয়ে, গল্পগুজব করে, রাতের খাবার সেরে নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম সবাই। সকালে উঠেই শুরু হবে মিশন কেওক্রাডং।
আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল সকালে কেওক্রাডং হয়ে জাদিপাই ঘুরে এসে কেওক্রাডং এ রাত কাটানো। তবে নিজেদের উপর খুব একটা আত্মবিশ্বাস না থাকায় ধরে রেখেছিলাম যতদূর পারি ঘুরে আসবো। প্ল্যান পুরোপুরি সফল না হলেও ক্ষতি নেই। মানে জয় নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা টাইপ ভাবসাব নিয়ে শুরু হল আমাদের কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি সাথের ব্যাগের কারণে সমস্যা হতে পারে মনে হলে আপনি ব্যাগ সিয়াম দিদির কটেজে রেখেও যেতে পারেন। আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দু’টি ব্যাগে নিয়ে কেবল ওগুলোই সাথে নিয়েছিলাম। এরকম হাসি হাসি মুখ বানিয়ে ছবি উঠে শুরু করে দিলাম হাঁটা।
পথে প্রথমে পড়লো সাদা ঝর্ণা। প্রথমবারের যাত্রী, যা দেখছি তাতেই খুশি হয়ে উঠছি। চোখের সামনে এমন একটা পাহাড়ি ঝর্ণা দেখে বেশ একটা ফটোসেশনের প্রস্তুতি নিতেই কাজলদা জানালেন সামনেই বড় ঝর্ণা। তখন সব হবে। এখানে তিনি তেমন একটা ছবি-টবি তোলার সুযোগ দিলেন না। জো হুকুম বলে দিলাম হাঁটা। কিছুক্ষণ পরই পেয়ে গেলাম চিংড়ি ঝর্ণা। এই অধম এর আগে ঝর্ণা বলতে দেখেছে হিমছড়ি (ঝর্ণা বলা যায় কিনা তা নিয়ে সন্দিহান) আর সীতাকুন্ড ইকো পার্কের সহস্রধারা। সেসবের তুলনায় চিংড়ি ঝর্ণা একদমই আলাদা। বেশ একটা বুনো ভাব আছে এতে।
যদিও, আমাদের হাঁটার গতিতে শঙ্কিত হয়েই হয়তো, কাজলদা এখানেও আমাদেরকে বেশিক্ষণ থাকতে দিলেন না এবং ঝর্ণার একদম উপর পর্যন্ত যাওয়া হলো না। এবার আবার শুরু হলো ঢাল বেয়ে উপরে ওঠা। কখনো ছোট ছোট নুরি পাথর বিছানো রাস্তা, কখনো লাল মাটি, কখনোবা কাঠের ব্রীজ পেরিয়ে কেবল উপরেই উঠে চলেছি আমরা। সাথে সাথে চলছে একটু আধটু ছবি ওঠা। আর কাজলদা শোনাচ্ছেন বিভিন্ন গল্প। সেগুলো ভবিষ্যতে যারা যাবেন তারাও আবার শুনবেন। তাই এখানে বলে আর পুরনো করতে চাইছি না।
চিংড়ি ঝর্ণা পর্যন্ত কিছুদূর পরপরই উঠানামা দুটোই করতে হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যা অনুভব করিনি। তবে এরপরে যখন কেবল ঢাল বেয়ে উপরে উঠতে হচ্ছিল তখন দেখলাম আমি কেবলই বাকিদের থেকে পিছিয়ে পড়ছি। প্রথমে আবিষ্কার করলাম মাংসপেশীতে টান লাগায় ডান পা তুলতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তখন এভাবেই মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিয়ে আর চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আস্তে আস্তে উঠতে থাকলাম।
প্রকৃতিতে আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসগুলোর একটা হল শরতের আকাশ। এমনকি ঢাকা শহরের তীব্র জ্যামে রিকশায় বসে বসে শরতের তুলোময় আকাশের দিকে আমি সবকিছু ভুলে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকতে পারি। সেই আমি যখন সমতল থেকে কয়েকশ’ ফিট উপরে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখেছি তখন সবকিছু ভুলে আবার হাঁটতে শুরু করেছি।
এভাবেই একসময় পৌঁছে গেলাম দার্জিলিং পাড়ায়। বেশ আরাম করে বসে একটু চা খাচ্ছি। হঠাৎ দেখি প্যান্টের বাঁ পায়ের হাঁটুর জায়গাটা কেমন কালো হয়ে উঠেছে। জোঁক ধরেছে বুঝতে বাকি রইলো না। বের করে দেখি সে এক বৃহদাকার, গায়ে ডোরাকাটা জোঁক। কাজলদা বললেন এটা টাইগার জোঁক। বেশ অনেকক্ষণ রক্ত পড়বে। তখন আমরা বুঝলাম আগেরদিন সন্ধ্যায় আরেকজনকে ধরা জোঁকটাও টাইগার জোঁকই ছিল। কারণ সেখান থেকেও এখনো রক্ত পড়ে চলেছে। কাজলদার কথা মত নী ক্যাপ দিয়ে হাঁটুতে এক অভিনব ব্যান্ডেজ করে আবার রওনা হলাম। কাজলদা বলেছিলেন আর পনের মিনিট। তবে আমরা আরো ঘন্টাখানেক লাগিয়ে অবশেষে দেখা পেলাম কেওক্রাডং এর। সেই মূহুর্তে আমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে এমন উল্লসিতভাবে
আবার কাউকে কাউকে এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় কেওক্রাডং এ আরোহণ করতে দেখা গিয়েছে!
যথারীতি সবার শেষে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আমার ধাতস্থ হতে কিছুক্ষণ সময় লেগেছিল। তারপর থেকে কেবল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা।
বান্দরবান যাবার আগে কয়েকদিন ধরে শুধু এর ওর বান্দরবানের অ্যালবামের ছবি দেখে কাটিয়েছি। পরে নিজের চোখে দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম যে, কোন কৃত্রিম লেন্সের সাধ্য নেই এর সৌন্দর্যকে পুরোপুরি ধারণ করার। আজ লিখতে বসে আবার মনে হচ্ছে পাহাড়-আকাশের মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া বা আকাশের ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলের যে চিত্র দেখে এসেছি তাকে ভাষারূপ দেবার সাধ্য অন্তত আমার নেই। নিজের অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে এবেলায় তাই সুচেতার তোলা কিছু ছবিরই শরণাপন্ন হচ্ছি।
কেওক্রাডং এর চূড়ায় যখন পৌঁছেছি তখন বেলা প্রায় বারোটা। সেই মূহুর্তে জাদিপাই গিয়ে ফিরে আসা সম্ভব হবে কিনা বিশেষ করে আমাকে নিয়ে তা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো যে কেওক্রাডং এ রাত কাটিয়ে পরদিন ভোরে রওনা হবো জাদিপাইয়ের উদ্দেশ্যে। তবে শর্ত হল যদি বৃষ্টি না নামে তাহলে। জাদিপাই ঘুরে এসে সেদিনই চলে যাবো বগালেকে। বান্দরবান শহরে একরাত থেকে ঘোরাফেরা করার কথা ছিল সেটা বাতিল করে দিলাম। পাহাড়ি মুরগি দিয়ে বেশ আরাম করে খেয়ে বিকেলবেলা মন্ত্রমুগ্ধের মত আবারো মেঘেদের ষ্টেশন বদল দেখতে বসে গেলাম।
কখনো এ পাড়ার মেঘ যাচ্ছে ওপাড়ায়, তো কখনো ও পাড়ার মেঘ ওপাড়ায়।
কৈশোরে একবার হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে পড়েছিলাম নায়ক-নায়িকাকে নেপালের পাহাড়ে মেঘ আবৃত করে ফেলেছে। সেই থেকে মেঘের ভেতরে ঢুকে যাওয়া নিয়ে আমার কৌতূহলের শেষ নেই। এমনকি হওয়া সম্ভব যে আমার পা দেখা যাচ্ছে অথচ শরীরে উপরের অংশ ঢুকে গিয়েছে মেঘের ভেতরে? এমন ভাবনা সেসব দিনে বহু ভেবেছি। অবশেষে এতদিন পরের এক বিকেলে আমরা নিজেদেরকেই আবিষ্কার করলাম মেঘের ভেতরে। আহা, সে কী অদ্ভূত এক অনুভূতি!
বৃষ্টি নেমে পড়ায় ফিরে আসতে হলো আমাদের থাকার জায়গা লালমুন থন বমের বাড়িতে। সন্ধ্যাবেলায় কেওক্রাডং এর চূড়ায় বসে চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ দিয়েছিলেন সেখানকার আর্মি ক্যাম্পের সেনারা। আমাদের মধ্যে চারজনের বাড়ি উত্তরবঙ্গের হওয়ায় এই বিশেষ আতিথেয়তা। তাদের সাথে গল্প করতে করতেই আমাদের সেই প্রতিবেশী ভাইয়াদের দল জাদিপাই থেকে ঘুরে এলেন। মনে যাওবা শঙ্কা ছিল পরদিন জাদিপাই যাওয়া নিয়ে ভাইয়াদের কাছে জাদিপাইয়ের গল্প শুনে আর ছবি দেখে তার কিছুই আর অবশিষ্ট রইলো না। লালমুন থন বমের কাছে তাদের পূর্ব পুরুষদের গল্প শুনে আর পরদিন জাদিপাই যাওয়ার উত্তেজনা নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম সবাই।
ভোরে উঠে গায়ে কম্বল জড়িয়ে প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হতেই চক্ষু চড়কগাছ। একি! এ কোথায় আমি, কি দেখছি এসব! ভিনদেশী কোন বরফ সাগর নাকি রূপকথার তুলোর জগতের আকাশ?
এক আকাশের উপরে দাঁড়িয়ে আরেক আকাশে সূর্য ওঠা দেখছি। মনে হল এভাবেই তাহলে একের পর এক আকাশের স্তর দিয়ে সপ্তম আসমানের সৃষ্টি হয়েছে।
মুগ্ধতা কাটিয়ে রওনা দিলাম জাদিপাইয়ের পথে। জাদিপাই যেতে বেশ খাড়াভাবে নিচে নামতে হয়। পাসিং পাড়া, জাদিপাই পাড়া পেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ঝর্ণার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। কি যে ভালো লাগছিল সেই শব্দ! আরো বেশ খানিকক্ষণ পরেও ঝর্ণার দেখা না পাওয়ায় বুঝলাম সেটা অন্য কোন ঝর্ণা। এর মাঝে একটা ঝিরিতে পা ভিজিয়ে হাতে-পায়ে মেখে নিলাম গুল। জোঁক থেকে সুরক্ষা পেতে। এটা বেশ কাজে দিয়েছিল। এরপরে আর কোন বড়সড় জোঁকের কবলে পড়তে হয়নি। প্রায় দেড় ঘন্টার মত হেঁটে অবশেষে আমরা দাঁড়ালাম প্রায় ৮০ ডিগ্রী খাড়া ঢালের মুখে। প্রথম দেখাতে একটা জিনিসই মনে হল, এদিক দিকে নামাও কি সম্ভব? সম্ভব অবশ্যই। এতদূর এসে থেমে যাওয়ারতো কোন সুযোগ নেই। শুরু করে দিলাম নামা। জেরিন-রুহানা-হৃদি বেশ সাহস নিয়ে আগে আগে পথ দেখিয়ে নেমে যাচ্ছিলো। এরপরে আমি, সুচেতা আর মালিহা। আমার স্যান্ডেল এখানে এসেই গেল ছিঁড়ে। যার কারণে পায়ের ব্যালান্স ঠিক রাখতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছিল। কোনরকমে গাছের গুঁড়ি ধরে, কখনো বা বসে বসে শরীরের ব্যালান্স রক্ষা করে আমরা নামতে থাকলাম। এভাবেই প্রায় ১৫-২০ মিনিট নামার পরে দেখা মিললো বর্ষার অপরূপ জাদিপাইয়ের।
রোদ থাকায় সাথে বোনাস হিসেবে ছিল রংধনু।
পানিতে ক্যামেরা ভিজে যাওয়ায় ছবি তোলা যায়নি তেমন একটা। তবে এটুকু বলতে পারি পথের দুঃখ-কষ্ট-ক্লান্তি সবই তুচ্ছ মনে হচ্ছিল ঝর্ণার সামনে দাঁড়িয়ে। প্রকৃতি কি তীব্র শক্তশালী আর এই ক্ষুদ্র আমাদের শুধু নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই কত বড়াই, কত ভণিতা। কেমন একটা বিনয়াবনত দৃষ্টিতে দেখতে থাকলাম এই প্রমত্তা ঝর্ণাকে। আহা! এক জীবনে এমন একটা ঝর্ণার সামনে দাঁড়াতে পারলে আর খুব বেশি কিছু কি লাগে?
এবার আবার ফেরার পালা। ঝর্ণার শেষের পথটুকু নামতে যতটা ভয় পেয়েছিলাম সবাই, ওঠার সময় খেয়াল করলাম ঠিক ততটা ভয় লাগছে না। আসলে নামার সময় পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে পিছলে যাবার ভয়টাই বেশি ছিল। উঠে আসার সময় খেয়াল করলাম মাংসপেশীর টানের চেয়েও বেশি সমস্যা হচ্ছে আসলে আমার দমে। খুব তাড়াতাড়িই দম ফুরিয়ে যাচ্ছে। জাদিপাই থেকে খাড়া ঢাল বেয়ে উপরে উঠতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল আমার। দলের অন্যরা বেশ এগিয়ে গিয়েছে। কাজলদার সাথে আমি আস্তে ধীরে অনেক সময় নিয়ে উঠছিলাম আর ভাবছিলাম আমার এত বাজে পারফর্মেন্সের কারণ কি হতে পারে। অনেক ভেবে বের করলাম দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় জানতে পেরেছিলাম বাবার কাছ থেকে একটা থ্যালাসেমিয়ার জিন পেয়েছি আমি। ডাক্তার আঙ্কেলের মতে এটা কোন ব্যাপার না তবে মাঝে মাঝে দম ফুরিয়ে যাওয়া, একটু দুর্বল লাগা এসব হতে পারে। এরপরে এতদিনের স্বাভাবিক জীবনযাপনে এসবের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছি। এটা মনে হওয়ার পরে দেখলাম হাঁটার গতি আরো বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে! এদিকে গতকালের জোঁক ধরা জায়গা থেকে এখনো অবিরাম রক্ত ঝরছে এবং যে ব্যান্ডেজ করে এসেছিলাম তা অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ বিতিকিচ্ছিরি একটা অবস্থা। এ সময়টাতে বিন্দুমাত্র অধৈর্য্য না হয়ে সবসময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন কাজলদা। আমি যতবারই বলেছি আর কতদূর? সবসময় উত্তর এসেছে ‘দশ মিনিট’! যদিও একই পথে কিছুক্ষণ আগেই গিয়েছি তাই নিজের ধারণা থেকে সবসময় তার কথা বিশ্বাস করিনি তারপরেও প্রতিবার তার দশ মিনিট শোনার পরে আমি আবার সর্বশক্তি দিয়ে আরেকটু জোরে হাঁটার চেষ্টা করছিলাম। আগের পর্বেই বলেছি ওনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার কথা। আমার এখনো মনে হয় উনি সাথে না থাকলে আমার পক্ষে এই পথটুকু পাড়ি দেয়া বেশ কঠিন হত।
অবশেষে সবার চেয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বেলা একটার দিকে ফিরে এলাম কেওক্রাডং এ। আমাকে দেখে নাকি মনে হচ্ছিল গুলিবিদ্ধ কোন এক যোদ্ধা! সে যাই হোক, পাহাড়ি মানুষের সারল্যে আর অন্যকে সহযোগীতা করার তৎপরতা দেখে এমনিতেই মুগ্ধ ছিলাম এ ক’দিন। সেদিন আরো বেশি করে তাদের আন্তরিকতা টের পেলাম। সেখানে হঠাৎ দেখা পেলাম সাঙ্গু নদীতে নৌকায় দেখা হওয়া সেই স্কুলশিক্ষিকাকে। এক কাজে যাবেন পাসিং পাড়ায়। আমার পা থেকে ওভাবে রক্ত পড়তে দেখে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যোগাড় করে লেগে গেলেন ড্রেসিং করতে। এদিকে লালমুন থন বমকেও বেশ চিন্তিত দেখা গেল। ঐ অবস্থায় তিনি আমাদেরকে কিছুতেই বগালেকের উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেবেন না। কোথায় থেকে যেন নিয়ে এলেন কিছু ভেষজ পাতা নিজেই সেটা লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলেন। এতে নাকি কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। হলোও তাই।
এদিকে ঝমঝমিয়ে নেমে পড়লো বৃষ্টি। আমাদের বগালেকে ফেরার আর কোন উপায়ই রইলো না। গায়ে কম্বল জড়িয়ে লালমুন থন বমের বাড়ির বারান্দায় বসে উপভোগ করতে থাকলাম পাহাড়ি বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির রাতে গায়ে দু’টো কম্বল জড়িয়ে যে আরামের একটা ঘুম দিয়েছিলাম সেটা বাকিজীবন আরামে কাটানো সময়ের একটা মানদন্ড হয়ে থাকবে। পরদিন সকালে উঠে বগালেক-রুমাবাজার-রুমা হয়ে বিকেলবেলা আবার পৌঁছে গেলাম বান্দরবানে। ফেরার পথে দেখলাম জোঁকে ধরা দল হিসেবে আমরা বেশ একটা স্বীকৃতি পেয়ে গেছি। সিয়ামদিদি থেকে শুরু করে নতুন আসা টুরিষ্টরা পর্যন্ত আমাদেরকে জোঁক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে ভুললেন না।
বান্দরবান একটা অভিজ্ঞতা হবে জানতাম। কিন্তু তার রেশ এত তীব্র হবে বুঝিনি। মাত্র চারদিনে এত বিচিত্র অভিজ্ঞতা আর অনুভূতিতে নিজেদের ঝুলি ভরে উঠেছে যে এখন ভাবলে বেশ অবাকই লাগে। কিছু কিছু অনুভূতি হয়তো এ জীবনে আর কখনো ফিরে আসবে না। যেমন, জাদিপাই ঝর্ণার সামনে দাঁড়িয়ে ভয়-আনন্দের মিশেলে সৃষ্ট অদ্ভূত অনুভূতি অথবা কেওক্রাডং এর উপরে প্রথমবারের মত দাঁড়ানোর অনুভূতি। নিজের ভেতরে এখন বেশ একটা পরিবর্তন টের পাই। হঠাৎ-ই মাঝে মাঝে পাহাড়ের কথা মনে হলে খুব ব্যাকুল লাগে। মনে হয় এখনই আবার ছুট দিই। কে জানে! হয়তো অচিরেই আবার একদিন সত্যিই ছুটে যাবো।
( *কেওক্রাডং এর পথে যাত্রার প্রাক্কালে আমাদের দলীয় ছবিটি তুলে দিয়েছেন আবদুল্লাহ লিজু ভাইয়া।
* অন্য সব ছবিই তুলেছে সুচেতা। তবে ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের গাইড কাজলদার হাতেও ক্যামেরা উঠেছে।)
মন্তব্য
তেঁতুলদের আস্পর্ধা দেখে আমি হতবাক। হলে তোদের রুমের আসবাবগুলি দেখাশোনা করবে কে?
এইসব সরকারি আসবাবপত্র অত মনোযোগ দিয়ে দেখাশোনা না করলেও চলবে। আমাদের যখন মালিক হবে তখন তাদের আসবাবপত্র ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ করলেই সকল গোণাহ মাফ হয়ে যাবে।
ছবি অনেক কম হয়েছে । কেওকারাডং এর মেঘের ছবিগুলো অতুলনীয় হয়েছে। বিশেষ করে রুপকথার ছবি দুটো এবং একটিতে খুব সম্ভব আপনি হবেন কোমরে হাত দিয়ে অবাক বিস্ময়ে দাঁড়িয়ে আছেন সেটি। তবে জাদিপাই এর সৌন্দর্য্য আপনার ছবিতে আসেনি পুরোটা। ক্যামরা বাঁচাতে গেলে যা হয় আর কি ।
জাদিপাই আমার যাওয়া বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সুন্দর জায়গা, বাংলাদেশে এত সুন্দর একটা ঝর্ণা পাহাড়ের সবুজের মাঝে লুকিয়ে আছে সেটা ভাবাই যায় না। ঠিক বলেছেন বহুদূর থেকে শুনা ঝর্নার শব্দ মনকে ব্যাকুল আর অস্থির করে তোলে। আর জাদিপাই এর শেষ বিন্দুতে যখন পৌছাই সেই অনুভূতি, আর সেই সৌন্দর্য্য ক্যামেরা কিংবা লেখায় তুলে আনা আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আমি জাদিপাইয়ের দুইএকটা ছবি কমেন্টে যোগ করতে চাইছিলাম কিন্তু কি করে যোগ করতে হয় সেই নিয়ম জানা নেই বলে যোগ করতে পারছি না, ব্লগে আমি শিশুতো তাই। যদি বিনে পয়সায় শিখিয়ে দিতেন তবে সুখ বোধ করতাম
মাসুদ সজীব
কমেন্ট বক্সের ঠিক উপরে নানাবিধ কুটিকুটি বক্সের প্রথম বক্সে টিবি দিলেই একটা নতুন উইন্ডো আসবে। যে ছবি যোগ করতে চান সেই ছবিটা অন্য কোথাও আপলোড করে ছবির ইউআরএল লিঙ্কটা সেই উইন্ডোতে পেস্ট করে ওকে করে দিলেই ছবি যোগ হয়ে যাবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মাসুদ সজীব
এখন দেখা যাচ্ছে আপনাকেই গুরু মানতে হবে...
নাহ্, বান্দরবান না গেলে আর চলছে না, টানছে কানে ধরে।
লেখা ছবি সকলই দারুণ হয়েছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক ধন্যবাদ, নজু ভাই।
আমার এর আগের ভ্রমণকাহিনী এখনো ঝুলে আছে।
আপনি আর আমি দেখা যাচ্ছে একই দলের লোক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরো ছবি দিলে হাতি পোস্ট হয়ে যাওয়ার আশংকায় বেশি ছবি দেইনি। আপনার জাদিপাইয়ের ছবি সুন্দর।
দেয়ালে মাথা ঠুকতাসি। হিংসা কমলে প্রশংসাসূচক বাক্যবন্ধ বিশদ মন্তব্যে বলে যাব।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহ্হা, তিথীপু, এই তারকাণুর রাজ্যে আর নিজেরা নিজেরা হিংসা করে কি হবে, বলেন! তার চাইতে আসেন মিলেমিশে ছবি দেখি আর আহা-উহু করি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দারুণ!! কেওকারাডং আর তাজিনডং গেছি কয়েকবার। মনে পড়ল লাল সিয়াম, সিয়াম এদের কথা। তবে আমার ঐ ট্রেলে সব চাইতে ভাল লেগেছিল ঝিরি পথ ধরে রুমা আসাটা।আপনাদের ভ্রমণ জারি থাকুক।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
হ্যাঁ, ঝিরিপথ ট্রেইলের কথা অনেক শুনেছি। প্রথমবার ট্রেকিং বলে আর সাহস করিনি।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আহা! লুলামি করার জন্য উপযুক্ত পোস্ট! সভ্যতা ব্যাটার জন্য মার খেয়ে গেলাম, আফসোস!
ভালো পোস্ট। চলুক।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আর চলবে নাতো। এখানেই শেষ।
ছবি গুলো চমৎকার, আশা করছি ভবিষতে আরও সুন্দর ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট পাব সেই আশাতে
ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
জীবনে একবার এরকম মেঘের উপরে যাবার খুব সাধ।
কোন হাওয়াই জাহাজে চেপে না, আমি চাই মাটির উপরে
ঘাসের ডগায় খালি পা রেখে দাঁড়াতে -
যেখানে আমার থেকে নিচুতে থাকবে মেঘ!
শুভেচ্ছা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
লেখা ভাল লেগেছে। মেঘের উপর থেকে দেখার ছবিগুলো দারুণ হয়েছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মুগ্ধ হয়ে গেলাম "আকাশের উপরে আকাশ" ছবিটা দেখে। আহা!
বান্দরবান যেতেই হবে। কাজলদার সাথে যোগাযোগের উপায়টা কি জানা যায়?
____________________________
দুঃখিত। ঠিক এই মূহুর্তে কাজলদা'র কনট্যাক্ট নাম্বারটা আমার সাথে নেই। খুব শীঘ্রই যোগাড় করে সচলবার্তায় পাঠিয়ে দিতে চেষ্টা করবো।
১৩ এবং ১৪ নং- মেঘের উপরের ছবি গুলা অসাধারন !!
নজরুল ভাইকে শুধু পাতা দিয়ে লইজ্জা দিলাম না টা ও দিলাম ভাই ছবি কি করে দিতে হয় তা শিখানোর জন্যে।
ছবি আরেক খান দিলাম প্রমাণস্বরুপ না হলে তো বলে বসবেন গুগল থেকে নামাইয়া দিছি
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=748811268477800&set=a.549443881747874.146341.100000468014850&type=1&relevant_count=1&ref=nf
কিন্তু ছবি তো আসে নাই!
মন্তব্যের ঘরে লিঙ্ক দিলে হবে? কী লেখছি ভালো করে পড়েন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কয়েকটা ছবি তো অসাধারণ হয়েছে!!!
পাহাড় আর মেঘের প্রতি আমারও আকর্ষণ চরম।
জানিনা কবে দেশে ফিরে যেতে পারব …… কেওক্রাডং ট্র্যাকিং না করতে পারলে জীবনটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছে!
......জিপসি
আপনার জন্য বাংলাদেশের আকাশের কিছু অংশ
http://www.flickr.com/photos/bacillus/sets/72157627057452646/
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাসে ওঠার সময় তো কিছু মুশকো জোয়ান দেখেছিলাম সাথে, তাই আর যেতে চাইলুম না, এমন হলে হয়ত বাঁদরামি একটু হলেও করা যেত! এনি ওয়ে, আমি থাকা অবস্থায় আইসেন বান্দরবান
facebook
একজনই মুশকো জোয়ান ছিলেন সাথে। তাও আবার শুধু সী অফ করতে গিয়েছিলেন তিনি। আমাদের সাথে দুটো এক্সট্রা টিকেটও ছিল।
আবার যেতে হবে তাড়াতাড়িই। আর মাত্র একটা সেমিস্টার বাকি। জীবনতো প্রায় ফুরিয়েই এলো।
এক্সট্রা টিকেট !! তখন বললেন না কেনু !
facebook
আমার স্মৃতিতো বলে বলেছি। আপনিইতো বাস ছেড়ে দিল, ছেড়ে দিল বলে ছুট দিলেন।
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় একটা কথা বলি। পাহাড়ে বা এমন কঠিন সব অভিযানে বাংলাদেশীদের যেসব পোশাকে দেখি সেগুলো মোটেও অভিযানের উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে জুতা একেবারেই অনুপযুক্ত থাকে। অভিযানে যাবার আগে প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনায় পোশাক একটা জরুরী অধ্যায়। অনেকেই এটা এড়িয়ে যান। সী-বীচে যাবার, ছোট পাহাড়ে ওঠার, ঊঁচু পর্বতে ওঠার, মরুভূমিতে যাবার, জলাভূমিতে যাবার, হাওড়ে যাবার, নৌ/সমূদ্র ভ্রমণে যাবার পোশাক ও জুতা এক নয়।
এই দলের ছয় জনের পোশাক দেখলে তাদের পোশাকের বিভিন্নতায় যথাযথ প্রস্তুতির ঘাটতিটা আরো স্পষ্ট হবে। তাদের পা যে, জোঁকে ভরে যায়নি এটা সৌভাগ্য বলতে হবে। উপর থেকে ষষ্ঠ ছবির অভিযাত্রীর পোশাক দেখে আমি অবাক না, আতঙ্কিত হয়েছি। এই পোশাকে সে পাহাড়ে ওঠার সাহস করলো কী করে!
আপনারা যেহেতু নিয়মিত ভ্রমণে/অভিযানে যান, তাই পরের ভ্রমণে/অভিযানে যাবার আগে পোশাক আর জুতার ব্যাপারে আরো সতর্ক হোন। কে কী ভাবলো, না ভাবলো তার গুষ্টি কিলিয়ে নিজের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করুন।
পরবর্তী অভিযানের জন্য আগাম শুভেচ্ছা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এমন গুরুত্বপূর্ণ দিকে আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ, পান্ডবদা। এবার পরীক্ষার মধ্যে খুব তাড়াহুড়োয় ট্যুর প্ল্যান করে বেরিয়ে পড়ায় আমরা আসলেই বেশ কিছু দিক ইগনোর করে গেছি। এরপর থেকে সতর্ক থাকবো।
দুর্দান্ত সব ছবি!! অস্বাভাবিক সুন্দর!!
দারুণ! আরো বেশি বেশি ঘুরাঘুরি এবং সেটা নিয়ে লেখালেখি চলুক।
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া।
নাহ। এরকম শত শত তারেক অণুর দেশে নিজের একটা পা খোঁড়া করে ভ্রমণে না যেতে পারার খোঁড়া অজুহাত না দেখিয়ে বোধহয় মান সম্মান নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব না
০২
অদ্ভুত সুন্দর ছবিগুলো
কি যে বলেন, লীলেনদা! কোথায় তারেক অণু আর কোথায় আমরা।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নীলম আপু,
মেঘের ছবি দেখে ইচ্ছা হচ্ছে এখনি টিকেট কেটে বাসে উঠে পড়ি। আগামী ১৪-১৬ এর ছুটিতে গেলে কি বান্দরবানের এই রূপ পাওয়া যাবে?
আপনারা কখন গিয়েছিলেন?
অঃ টঃ আপনার আগের লেখায় কাজল দা'র মোবাইল নাম্বার চেয়েছিলাম। আমার ইমেইল এড্রেস-
আমরা গত ৫ অক্টোবর রাতে রওনা হয়েছিলাম। গত ক'দিন হলতো হেমন্তের বাতাস বেশ জোরেসোরেই বইছে। এখন গিয়ে বর্ষার বান্দরবান না পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে আজকাল প্রকৃতি বেশ অদ্ভূত আচরণ করে। হয়তো দেখা গেল এর মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে আবার।
দুঃখিত। ঠিক এই মূহুর্তে কাজলদা'র নাম্বারটা সাথে নেই। তবে খুব দ্রুতই জোগাড় করে মেইল করে দেব।
ছবি আর বর্ণনা অদ্ভুত সুন্দর!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, তানভীর ভাই।
মেঘের দেশে হাঁটবো না উরব।হয়ত উরতেই হবে।মেঘ রা ত আর হাঁটার অনুমতি দেয় না।
যা খুশি করতে পারেন।
তারেকাণুতে ভরিয়া গেল প্রিয় স্বদেশ...
দারুণ... কিপিটাপ...
তারেকাণু বলিয়া লজ্জা দিবেন না।
কেওক্রাডং থেকে তোলা আরো ছবি দেখেছি, আপনারগুলো আগের দেখা ছবিগুলোকে ছাড়িয়ে গেল। অসাধারণ! অন্যরকম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ আপনাকে
সুচেতা ক্যামেরায় দুর্দান্ত!
সাববাশ কে বলে আমাদের মা বোনরা তেতুল,শফিদের মুখে এইভাবে ঝামা ঘষে দিতে হবে,পারলে তামাবিল দিয়ে চেরাপুনজি/শিলং ঘুরে আসবেন,খরচ বানদরবনের চাইতেও কম,ভালো থাকবেন।
বাহ! দারুণ ইনফরমেশন দিলেনতো। এখনই খোঁজ লাগাচ্ছি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর , বান্দারবন খুবই প্রিয় জায়গা। চিম্বুক, নীলগিরি দেখা হয়ছে কিন্তু বগা লেক, জাদিপাই, চিংড়ি দেখা হয় নি। ভীষণ ইচ্ছা হচ্ছে যেতে কিন্তু সঙ্গী ও সাহসের অভাবে হয়ে উঠছে না
ইসরাত
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাহস করে ঘুরেই আসুন একবার। হতাশ হবেন না।
মারাত্মক ছবি সব
উফ! আরেকবার যাইতেই হবে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ধন্যবাদ, আপু।
আগের পর্বেও বলেছিলাম বান্দরবান একটা নেশা। একবার গেলে বারবার দেখতে ইচ্ছা করে।
নতুন মন্তব্য করুন