হরতালের চতুর্থ দিন। হাতে যা টুকটাক কাজ ছিল সেগুলোও গত তিনদিনে হয়ে গেছে। আজকে দুপুরবেলা তাই ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে বাঘ ও হরিণ ছানা নামে একটা ভিডিওর লিঙ্ক দেখে খুলে দেখতে বসে গেলাম। প্রথমবার দেখে খুব মজা পেলাম। বাবা-মেয়ের যুগলবন্দী। বাবা খুব দরদ দিয়ে গানটা গেয়েছেন। আর এইটুকু বয়সের মেয়েও কম যায় না। নিজের গানের গলা আর এক্সপ্রেশন দিয়ে বাবার সাথে পাল্লা দিয়ে ভিডিওটাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে সে। হলে থাকি, বান্ধবীদের ডেকে ডেকে দেখালাম। কাউকে কাউকে ফোন দিয়েও দেখতে বললাম। নিজে আরো বেশ কয়েকবার দেখার পরে দেখলাম কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছি। চোখ আর তখন ল্যাপটপের পর্দায় নেই। অনেক দূরের টুকরো টুকরো কত ছবি ভেসে উঠছে চোখের সামনে। একসময় চোখের কোণে ক’ফোঁটা পানিও আবিষ্কার করে ফেললাম।
বাড়ি ছেড়েছি পাঁচ বছর আগে। আম্মুকে প্রতিটা মূহুর্তে মিস করলেও আব্বুকে এর আগে এভাবে কোনদিন মিস করিনি। আমার বাবার সাথে আমার সম্পর্কটা অভিমান-অনুযোগেই ভর্তি। ফোনে কথা বলতে তিনি তেমন একটা পারদর্শী নন। প্রতিদিন একই কি খেলে, কি পড়লে জিজ্ঞেস করার অপরাধে গত ক’বছর ধরে যে তার সাথে ফোনে কথা বলি না ভুলেই গিয়েছি। বছরে ফোন করি দু থেকে তিন দিন। আমার বান্দরবান কি সুন্দরবন যাবার কথা জানিয়ে। না, অনুমতি-টনুমতি নেয়ার ধার ধারি না আমি। শুধু নিজের সিদ্ধান্ত জানাই। জানি কোনদিনই আমাকে কোথাও যেতে দিতে মনে সায় দেয় না তার। এমনকি বাড়ি থেকে এক ঘন্টা দূরত্বের দাদুবাড়িতেও কোনদিন একা একা যেতে দেননি। অথচ এই ভীতু মানুষটাকেই দুশ্চিন্তার অথৈ সাগরে ভাসিয়ে হিল্লি-দিল্লী করে বেড়াতে আমার একটুও চিন্তা হয় না।
কোনদিনই আমাকে কোন কিছুতে বাধা দিতে পারেননি। খুব বেশি হলে নিজের মতামতটুকু জানিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি আমাদের দুই বোনকে বিদ্যা-বুদ্ধি-জ্ঞানে তার চাইতে শ্রেয় হতে হবে। তাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তার মেয়েদের হাতেই থাকবে। জীবনের অনেক বড় সিদ্ধান্ত হুটহাট নিয়ে নেয়ার পরেও তাই আব্বুকে সবসময় পাশেই পেয়েছি। তার জন্য কোনদিন অবশ্য বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার প্রয়োজন অনুভব করিনি। বাবা হয়েছে এসবতো করবেই। মাঝে মাঝে আবার কেন সে কারো উপর কোন জোর খাটাতে পারেনা এটা নিয়ে ঝগড়াঝাটিও করি। বোকা মানুষ একটা।
আজকের হরিণ ছানা আর তার বাবাকে দেখার আগ পর্যন্তও এসবই ছিল আব্বুকে নিয়ে জানা একমাত্র সত্য। সবসময় অফিস নিয়ে ব্যস্ত, সংসারের প্রতি উদাসীন একটা বোকা মানুষ। বাঘ আর হরিণ ছানা হঠাৎ করে আজকে নিয়ে গেল বহু বহুদিন আগে মীরজাফর খেলার দিনগুলিতে। আব্বুকেই সবসময় হেরে যেতে হবে। আমি আব্বুর পেটে তরবারি ঢুকিয়ে দেব আর আব্বু চোখে-মুখে রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে বলবে “মীরজাফঅঅঅর”।আব্বুর যে সবসময় বোকাই হওয়ার কথা ছিল তা ভুলেই গিয়েছিলাম। সব খেলাতেইতো আমি জিতবো। আমার যে অনেক বুদ্ধি। আব্বুতো হারবেই। কারণ আব্বু একটা বোকা। হরিণ ছানার মত আমিও বলবো “তুমি আমার বাবা, তুমি একটা বোকা।”
তারপরেও আমিই হবো আব্বুর মা। বাসায় দাদী এলেও আব্বু আমাকেই মা বলে ডাকবে। আমি আর দাদী দু’জনেই ছুটে আসবো। আর আব্বু দাদীকে বলবে তোমাকে নাতো, মেয়েকে ডেকেছি। আম্মু হয়তো আড়ালে বলবে এই কয়টা দিন মেয়েদেরকে মামণি ডাকলেইতো পারো, আম্মার মন খারাপ হয় না? পরেরবার আবারো সেই একই ঘটনাই ঘটবে। আমিইতো আব্বুর মা। আমার ছোট্ট পেটেই আব্বু এঁটেসেটে ছিল একসময়। তাই এবার আব্বুর কাজ হবে আমাকে তার পিঠের উপর হাঁটতে দেয়া। আমি পেটে নিয়েছি আর আমাকে পিঠে নিবে না? না নিলে আমি কিছুতেই নয়ের ঘরের নামতা বলবো না।
আমার ছোটবোনতো আরো কয়েক কাঠি সরেস। ক্লাস ফোর পর্যন্ত তাকে সকালে ঘুম থেকে তোলার জন্য বিছানা থেকে কোলে তুলে নিয়ে আব্বুর আধা ঘন্টা হাঁটতে হতো। আব্বু কোলে নিয়ে না হাঁটলে ঘুম থেকে ওঠাও নেই। স্কুলে যাওয়াও নেই। আর ছিল তাদের দুই মেয়ে – দুই মেয়ে খেলা। রোজ আব্বু অফিস থেকে ফিরলেই টুংটাং বলে কলিং বেল বাজানোর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে খেলা। আব্বুর কিন্তু খুটুস বলে দরজা খুলে দিতে হবে। তারপরে শুনতে হবে ওর দুই মেয়ের গল্প। বড় মেয়েটা হবে খুব দুষ্টু, ছোটটা একদম লক্ষী। ওদেরকে সামলাতে সামলাতে ক্লান্ত হয়েই একটু আব্বুর কাছে ছুটে এসেছে। দু’দন্ড আরাম করে গল্প করবে বলে।
তারপরে সময়ের ফেরে একদিন আব্বুর সাথে গল্প করা হয়ে ওঠে পৃথিবীর বোরিং কাজগুলোর একটা। “ইশ! এই রেজাউল সাহেবের মেয়ে ছাড়া আর কোন কথা নাই তোমার?” আর আদরগুলো সব হয়ে ওঠে আদিখ্যেতা। টেবিলে পড়তে বসলে পেছন থেকে এসে আমার মাথায় চুমু দেয় কেন? “উফ! যাওতো। খালি চুলগুলো এলোমেলো করে দাও তুমি।” যখন তখন খালি চায়ের আবদার। আমার কি আর কাজ নাই? “এখন তোমার মা হয়ে চা বানাইতে পারবো না আমি। নিজে বানিয়ে খাও।” আব্বুর মুরগীর ছানারা বড় হয়ে যাচ্ছে। এখন সে আর কাকে কোলে নেবে? এমন আফসোসগুলো সব ঢং হয়ে যায়। “ এত কাজের অভাব থাকলে নীচতলার পিচ্চিটাকে সারাদিন কোলে নিয়ে ঘুরলেইতো পারো। ঢং!”
আরো কতশত অভিযোগ! আব্বু কিসব বইয়ের ভাষায় কথা বলে শুধু সারাদিন। আমাদের এতসব নীতিবাক্য শোনার সময় নেই। বন্ধু-বান্ধবের সাথে আব্বুর বলা কথাগুলো নিয়ে মাঝে মাঝেই হাসাহাসি করি। মেয়েদের সাথে কেন বাবা এমন অদ্ভূত করে কথা বলবে? তারপর একদিন গভীর রাতে নিজের জীবন নিয়ে ভাবতে গেলে মনে হয় আব্বু ঠিকই বলেছিল, “ভুল করাটা তোমার সমস্যা নয়, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে না পারাটাই তোমার মূল সমস্যা।” তারপরেও এটাতো আরো মজার করেও বলা যেত এত বোরিং করে কথা বললে কি শুনতে ইচ্ছা করে নাকি?
আজকে কেবল উপলব্ধি করলাম এতসব অভিযোগের ভীড়ে হরিণ ছানার মত করে কোনদিন আর বলা হয়ে ওঠেনি “তুমি আমার বাবা, তুমি আমার সোনা।” তোমার বোকামিটাই শুধু দেখেছি অথচ তোমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে দেয়ার বুদ্ধিতেই যে আমি আজকের আমি হয়ে উঠেছি সেটা একবারো মনে হয়নি। তোমার ভয়গুলোর কথাই এত শুনেছি যে আমাকে আমার ইচ্ছে মত চলতে দেয়ার যে সাহস তুমি এখনো রোজ দেখিয়ে যাচ্ছো সেটা একবারও চোখে পড়েনি। জানি না সামনাসামনি কোনদিন বলবো কিনা তবে বিশ্বাস করো আব্বু মনে মনে আজ বহুবার বলেছি তুমি আমার বাবা, তুমি আমার সোনা।
মন্তব্য
খুব টাচি।
ভালো লাগলো লেখাটা।
ধন্যবাদ, ইশতিয়াক ভাই।
হৃদয় ছুঁয়ে গেলো আপনার লেখা। নিজের বাবার মুখটি ভেসে আসছে মনে-বারবার।
শব্দ পথিক
নভেম্বর ১৩, ২০১৩
ভিডিওটা দেখার পর থেকে আমারও সারাদিন তাই হয়েছে।
facebook
ভালো লেগেছে
কিছু বিষয় বোঝার জন্য বোধহয় কিছুটা দূরেই যেতে হয়...
খুব সত্যি কথা, লীলেন দা।
কোন ভাবে যদি আপনার লেখাটা আপনার বাবার চোখে পরে। তাহলে যে উনি কী খুশি হবে তা কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি।
বহুদিন এত সুন্দর কোন ভিডিও দেখিনি!
আমার বোনের ধারণা আব্বু গামছা নিয়ে কাঁদতে বসে যাবে। ওর পরীক্ষার মধ্যে ও এই ঝক্কি সামলাইতে রাজি না হওয়ায় এটা দেখায় নাই। বলেছে কোন এক ছুটির দিনে দেখাবে।
ভিডিওটা দেখলাম। খুবই কিউট। আমার বাবা আর বোনের কথা মনে পড়ল।
আমিও বাইরে থাকি। মার সাথে প্রায় প্রতিদিনই কথা বলি। বাবার সাথে কালে ভদ্রে। অনেকদিন কথা না বললে তখন আব্বু আম্মুকে জিগেস করে " আমার কথা কিছু বলছে? কতদিন ছেলেটার গলা শুনি না।" তখন আব্বুর সাথে কথা বলি। মাঝে মাঝেই মনে হয় আর এমন করব না, আব্বুর সাথেও নিয়মিত কথা বলব। কিন্তু বলা হয়ে ঊঠে না। বাবারা আসলেই সারা জীবন আড়ালেই থেকে যান।
আপনার কাহিনীও বড়ই আবেগময়। আজকেই বাবাকে একটি ফোন করে দিন। অনেকক্ষন কথা বলুন।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
হুম, আমার বাবাও নাকি বলে মাঝে মাঝে।
ভালো লেখা, হৃদয়-ছোঁয়া।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
খুব ভালো লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ, তাসনীম ভাই।
ভাল লাগলো
ভালো লেগেছে।
সত্য সহায়। গুরুজী।।
লেখা অনেক ভালো লেগেছে।
সত্য সহায়। গুরুজী।।
বাবাকে হারিয়েছি বহুকাল আগে, যখন মাত্র বুঝতে শুরু করেছিলাম চারপাশ সম্পর্কে। খুব বেশি স্মৃতিও নেই বাবার সাথে, তবু আলোকিত মানুষ বলতে আমি আজও তাকেই বুঝি, যিনি চেয়েছেন তার সন্তান মানুষের জন্যে বেড়ে উঠুক, মানুষের জন্যে কাজ করুক। তাই এই ভিন্ন স্রোতে নিজেকে নিয়ে যাওয়া, দেখা যাক কোথায় নিয়ে যায় এই অচেনা স্রোতধারা। জীবনের এই টিকে থাকার লড়াইয়ে আর সবার মতোই বাবাকে খুব বেশি যে মনে পড়ে যে তাও কিন্তু না, কিন্তু যখন গ্রামে যাই তখনি চারিদিক থেকে তেড়ে আসা চেতনাগুলো বলে এই তোমার শিকড়, এইখানেই রোপিত হয়েছে তোমার এই জীবন। গ্রামের প্রতিটি ধূলিকণা থেকে শুরু করে প্রতিটি জলাশয়ে আমি বাবাকে দেখি, বাবার অস্তিত্ব টের পাই। এতোটা গভীর করে বাবাকে আমি আর কোথাও পাইনা।
মাসুদ সজীব
আই ওয়াজ অলওয়েজ হার্ড অন মাই ফাদার। লেখা পড়ে হয়তো কিছুটা বুঝেছেন। গতসপ্তাহে কাছের এক বান্ধবীর বাবা চলে যাওয়ার পর থেকেই আসলে বাবার উপস্থিতির মূল্য টের পেতে শুরু করেছি।
ভালো থাকবেন।
বাবা
বাবা
বাবা
ভালো থাকবেন নীলম।
সুন্দর লেখার জন্য শুভেচ্ছা
---------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আমি ছোটবেলায় দেখেছি আমার বাবা কে আপনার বাবার মত আমার বোনদের কাছে একদম বাচ্চা হয়ে যেতে , এমনকি আমার মা আব্বুর সাথে রাগ করলে ছুটে যেত বোনদের কাছে। এখন আমি যখন মেয়ের বাবা হয়েছি তখন বুঝতে পেরেছি। বাবারা মেয়েদের কাছে সবসময় বাচ্চা আর বোকাই হয়।
ও আপনার বাবাকে এই লিখা দেখাতে হবেনা তিনি সব জানেন।
অভিমন্যু
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
হাহা, ছোটবেলায় বাবার পক্ষে থাকলেও বড় হতে হতে কিভাবে যেন আমরা দুইবোনই সব ব্যাপারেই আম্মুর দলে চলে যেতাম।
নিলম খুব ভাল লাগল বাবাকে নিয়ে তোমার অনুভূতি। বাবা মা কে নিয়ে কখনওই এভাবে ভাবি নি। কখন যে এতটা দূরত্ব হয়ে গেসে তা বুঝিনি কখনোই।
সেটাই। দূরত্বের উপলব্ধিটা একদিন হঠাৎ করেই হয়।
আজ আমার বাবার জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষ্যে ফোন দিলাম।প্রতিদিন মাকে ফোন দিলেও আব্বাকে দেই না। কি বলব এই নিয়ে বিব্রত হতে, করতে ইচ্ছা করে না। আব্বার সাথে কথা বললে সব সময়ই মন ভালো হয়ে যায়। সব সময়ই তার কাছে মজার কোন গল্প থাকে। যত দিন যাচ্ছে, নিজের মধ্যে ফিরে ফিরে আব্বাকে আবিষ্কার করছি। বাবা হিসেবে তাকে পুরোপুরি সফল বলব, কারণ তিনি আমাকে একজন ভালো মানুষ হতে শিখিয়েছেন।
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতার জায়গা হল আমার বাবা।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সামনাসামনি অনেক গল্প হলেও ফোনে আমার আব্বু সর্বোচ্চ দশ সেকেন্ড কথা বলতে পারেন।
আপনার বাবাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন, আপু।
বড় হলে আমাদের 'পাখনা' যে কেন গজায়!
এটাই প্রকৃতির নিয়ম হয়তো।
নীলম, লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো খুব। খুব সাদাসিদে লেখা, কিন্তু ভেতরটা ছুঁয়ে গেছে খুব।
---এবিএম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই উপলব্ধিটাকে কাজে লাগান। সপ্তাহে অন্ততঃ দুইদিন তাঁর সাথে কথা বলুন। দেখবেন তাঁর কোন অসুখ হচ্ছে না
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লেখাটা পড়ে মনে হল বাবা বেঁচে থাকতে তার সাথে কত দুরবেবহার করেছি। এমনকি মৃত্যুর কয়েক দিন আগেও। আজ ৯ মাস ১৯ দিন হল বাবা চলে গেছে না ফেরার দেশে। এখন মনে হয় মাথায় হাত দিলে কেন তখন বলতাম ধুত্তর চুলে জট বেঁধে যাচ্ছে। কেন করতাম এমন এখন তো কেউ আর ভুল করেও মাথায় হাত রেখে আদর করেনা।
আহা এক বার যদি আবার বাবার মুখটা দেখতে পেতাম, দেখতে পেতাম যদি সেই হাসি।
ইমোশোনাল করে দিলেন
অনেক সুন্দর একটি লেখা।
--
কচু পাতা
নতুন মন্তব্য করুন