একদিন ক্লান্ত সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে ঝিমিয়ে পড়া ডাবলিন শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া লিফি নদীর এক পাড় থেকে আরেক পাড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। অলস সময় যেন সেদিন কাটছিলই না। তাই ট্রেনের সিটে রাখা একটা পুরোনো আইরিশ পত্রিকা উল্টে পাল্টে দেখতে শুরু করি। হঠাৎ চোখ আটকে যায় “লিভিং ইন সিন” নামের একটা প্রবন্ধে। সেখানে লেখিকা যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন বিয়ের আগে এক সাথে থাকাটা কেন গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আইরিশ জাতির ৮৭ শতাংশ রোমান ক্যাথলিক, এখানে এখনও তরুণ-তরুণীদের লিভ টুগেদার করতে হলে রক্ষণশীল অভিভাবক মহল থেকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই এসব “সেকেলে” ধারণার গোড়ায় কুঠারাঘাত করাই ছিল লেখিকার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। তার মতে বিয়ে মানে একটা “লং টার্ম কন্ট্রাক্ট”। সেখানে একজন মানুষকে না জেনে, না বুঝে কী করে কেউ বিয়ে করে? লেখিকার যুক্তির তুনে তীরের অভাব ছিল না। তিনি লিভ টুগেদার-কে শুধুই একটা “সেক্সুয়াল রিলেশন” হিসেবে দেখছিলেন না। তিনি দেখাচ্ছিলেন লিভ টুগেদারের মাধ্যমে কী করে দুজন মানুষ আরো গভীর ভাবে নিজেদের জানতে এবং বুঝতে পারে ইত্যাদি। তার যুক্তিগুলো আমার কাছে সঠিকই মনে হচ্ছিল যতক্ষণ না তিনি তার উপসংহারটা টেনে ধরলেন। চূড়ান্ত বক্তব্যে তিনি বললেন লিভ টুগেদার করা ছাড়া বিয়ে করলে ডিভোর্সের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাথে সাথেই আমার মাথায় একটা প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়, তাহলে ইউরোপ-এ্যামেরিকায় ডিভোর্সের হার এত বেশী কেন? যেখানে লিভ টুগেদারের সপক্ষে এতগুলো চমৎকার যুক্তি দেখালেন লেখিকা, সেখানে এমন একটা পরস্পর বিরোধী উপসংহার আমাকে বিষয়টার অন্তর্নিহিত রহস্য জানার জন্যে আগ্রহী করে তোলে। বিভিন্ন মানুষের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলে এবং কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করার পর যা জানলাম তার সারমর্ম তুলে ধরার চেষ্টা করলাম এই লেখায়।
“লিভ টুগেদার” বা আরো ফরমাল ভাষায় বললে “কোহ্যাবিটেটিং” পাশ্চাত্যে শুধুই সেক্সুয়াল রিলেশন নয়। যেখানে চাইলে আলাদা বাসায় থেকেও সেক্স করা সম্ভব সেখানে শুধু শুধু লিভ টুগেদারের ঝামেলায় জড়ানোর দরকার কি? প্রকৃত অর্থে এটা শারীরিক সম্পর্কের বাইরে দুজন মানুষের দুজনকে জানা এবং চেনার একটা সুযোগ। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন লিভ টুগেদার এর যে মূল ধারণা অর্থাৎ একজন আরেকজনকে জানার প্রয়াস, সেটা শুধু পাশ্চাত্যেই নয়, প্রাচ্যেও প্রচলিত। অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েকে বা ছেলেকে বিয়ের আগে নিজেদের মধ্যে পরিচিত হবার সুযোগ দেন। আমার পরিচিত এমন অনেক মেয়েকে দেখেছি যারা বাবা-মাকে বলেছিল বিয়ের আগে হবু স্বামীর সাথে অন্তত ছয় মাস প্রেম করবে, এবং বাবা-মা তাতে খুশি মনে রাজি ছিল। প্রাচ্যের প্রেক্ষাপটে এটা লিভ টুগেদার এর থেকে কম কিছু নয় কিন্তু। বর্তমান যুগে অচেনা একজনকে বিয়ে করা সেটা ছেলে বা মেয়ে - সবার জন্যেই প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার।
তবে এটাও ঠিক এক সাথে না থাকলে জানার বিষয়টা পূর্ণাঙ্গতা পায় না। আমাদের মনে রাখা দরকার “ভালোবাসা” এবং “সংসার করা” দুটো ভিন্ন জিনিস। একটা মানুষকে বিয়ে করার অর্থ হচ্ছে আপনি তার সব কিছুকে গ্রহণ করছেন – তার ভালো এবং অ-ভালো (আমি মন্দ শব্দটা ব্যবহার করতে চাচ্ছি না এখানে) দিক সমূহ। অথচ ভালোবাসার ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশা এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুযোগ থাকে শুধু ভালোটাকে দেখার। একটা স্থূল উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুণ আপনি একটা মেয়েকে ভালোবাসেন। আপনারা যখনই কোথাও ডেটিং-এ যাবেন, আপনার বান্ধবী সুন্দর করে সেজে আসবে অথবা ন্যূনতম একটা সাজ দেবে। কিন্তু আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় সেই একই মেয়েকে একই রকম “সুন্দরী” দেখবেন না অথবা দিনের চব্বিশ ঘণ্টা সে আপনার জন্য সেজে বসে থাকবে না। ফলে আপনার ভালোবাসার মানুষটাকেই আপনি সংসার করা শুরু করলে অন্যরকম ভাবেও আবিষ্কার করবেন। একই কথা আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। প্রশ্ন হচ্ছে এই তথাকথিত “সুন্দর” দিকটার বাইরের দিকগুলো কি আপনি গ্রহণ করতে পারছেন? এটা তখনই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব যখন আপনি এক সাথে অন্তত কিছু দিন থাকবেন। প্রাচ্যের প্রেক্ষাপটে সামাজিক এবং ধর্মীয় কারণে এটা সম্ভব নয়। কিন্তু বিয়ের আগে একজন আরেক জনকে গভীর ভাবে জানাটা যে গুরুত্বপূর্ণ সেটাও কিন্তু কেউ অস্বীকার করতে পারছে না।
এবার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার গল্প বলছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইনিজ বন্ধু ইয়াং। আপাত দৃষ্টিতে স্বল্পভাষী ইয়াংকে দেখে বোঝার উপায় নেই তার “দৌড়” আসলে কত দূর। মোটামোটি তার পরিচিত সব নারী বন্ধুর সাথেই তার শারীরিক সম্পর্ক আছে। অথচ এ বিষয়টাকে ডাল-ভাত বানিয়ে ফেলার পরও লিভ টুগেদার করাটাকে সে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তার ভাষায় এটা তাকে “স্যাটেল” করবে। তার চাইনিজ গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে এখন সে বেশ সুখী এবং দুজনই ট্রিনিটিতে পি.এইচ.ডি করছে। অন্যদিকে আমার আরেক জার্মান বন্ধু সেরেনার জীবনে হাজারটা “পেইন” লিভ টুগেদার না করার জন্যে। তার বয় ফ্রেন্ড থাকে জার্মানীতে এবং সেরেনা আয়ারল্যান্ডে। এই “লং ডিসটেন্স রিলেশন” শেষ পর্যন্ত তার বয় ফ্রেন্ডকে অন্য মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। অথচ সেরেনা কিন্তু মাঝে মঝেই জার্মানী যেতো এবং ওর বয় ফ্রেন্ড এখানে আসতো। তবুও সম্পর্কটা টিকলো না যার অন্যতম কারণ সেরেনার মতে এক সাথে না থাকতে পারাটা।
লিভ টুগেদারকে যদি একটা সম্পর্কের সূচনা ধরা হয় তাহলে এর পরিণতি পরিণয়ে রুপ নেয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আমার দেখা বেশ কিছু যুগল তাদের সুখি দাম্পত্য জীবনের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে লিভ টুগেদারকে সাফল্যের অন্যতম “টনিক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হাঙ্গেরিয়ার নাগরিক পিটার এবং মার্থা তেমনই এক যুগল যাদের সাথে আমি এক বছরের বেশী সময় ফ্ল্যাট শেয়ার করেছিলাম। মার্থার কাছ থেকে শুনেছি ওদের সম্পর্ক ছয় বছরের। এই ছয় বছরে যত দিন গড়িয়েছে মার্থা পিটারকে তত ভালো করে চিনেছে এবং ভালোবেসেছে। আগামী বছর তাদের বিয়ে করার কথা। অথচ মার্থার বান্ধবী গাব্রিয়ালাকে দেখেছি একটা বয় ফ্রেন্ড জোগাড় করার জন্যে সে পাগল হয়ে ছিল। তার কাছে সিঙ্গেল জীবন অসহনীয় ছিল এবং সেটা সঙ্গত কারণেই। একটা স্প্যানিয়ার্ড ছেলের সাথে সে সম্পর্কে গিয়েও ছিল কিন্তু সে সম্পর্ক বেশী দিন টেকেনি কেননা গাব্রিয়ালা কখনই “লং টার্ম রিলেশন”-এ বিশ্বাসী ছিল না। লিভ টুগেদারে যেতে যে সাহস লাগে সেটা ওর ছিল না। ওদের সম্পর্ক দেখার পর আমি একটা বিষয় বুঝতে পারি, লিভ টুগেদারকে আমরা যতটা সহজ মনে করি, বাস্তবে কিন্তু এটা ততটা সহজ নয়। এর মাঝেও দুঃসাহসিকতা আছে, আছে চ্যালেঞ্জ।
এবার আমার মনে উদয় হওয়া সেই প্রশ্নটার প্রসঙ্গে ফিরে যাচ্ছি আবার। এত জানা এবং চেনার পরও কেন পাশ্চাত্যে ডিভোর্সের সংখ্যা বেশী? একজন আরেকজনকে প্রায় না জেনে বিয়ে করেও কেন প্রাচ্যের বিয়ে গুলো টিকে থাকছে বছরের পর বছর এবং এর অধিকাংশই সুখী অথবা আপাত সুখী? আমার মতে এই প্রশ্নটা আসলে যতটা “জানা”-র সাথে সম্পর্কযুক্ত, তার থেকে অনেক বেশী সমাজ এবং তার মানুষগুলোর সাথে সম্পর্কযুক্ত। প্রথমতঃ অনেক সময় লিভ টুগেদারের উদ্দেশ্য একজন আরেকজনকে জানার বিষয়টা নাও হতে পারে। সেখানে বৈষয়িক বিষয় চলে আসার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে যদি এক পক্ষের হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে বিয়ে হয়েও থাকে, তবুও অন্য পক্ষের নূতন সম্পর্কের প্রতি “অসহযোগীতা”র কারণে ডিভোর্স অবধারিত। সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রে এটা বেশী হয়ে থাকে। আরেকটা বিষয় ডিভোর্সের জন্যে পাশ্চাত্যে ব্যাপক ভাবে দায়ী। সেটা হলো পার্সোনালিটি ক্ল্যাশ এবং কম্প্রোমাইজের অভাব। প্রাচ্যের মেয়েদের মধ্যে শেষোক্তটা প্রবল। ফলে একটা সংসারকে প্রায় একক কৃতিত্বে তারা টিকিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু পাশ্চাত্যে খুব ছোট ছোট বিষয়ে অসহিষ্ণুতা সম্পর্ককে চূড়ান্ত পরিনতির দিকে নিয়ে যেতে শুরু করে। পাশ্চাত্যের মেয়েরা অনেক বেশী ক্যারিয়ার সচেতন, যেটা আমার মতে হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর ফলে তারা “কর্পোরেট অন্ধত্ব” এর কবলে পড়ে যায় যা তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায় পরে। তাছাড়া নিজের থেকে সফল মেয়ের সাথে সম্পর্কে থাকাটাও ছেলেরা সহজ ভাবে নিতে পারে না, সেটা যতই প্রথম বিশ্বের উদার ও শিক্ষিত সমাজ হয়ে থাকুক। আর এ সকল কারণে দশ বছর লিভ টুগেদার করেও বিয়ের ছয় মাসের মাথায় ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কেউ কেউ। তবে সেজন্যে আমি লিভ টুগেদারকে দায়ী করবো না, দায়ী করবো সমাজকে।
লেখাটা শেষ করছি প্রাচ্যের প্রেক্ষাপট দিয়ে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বাংলা চলচিত্র “থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার”-এ নাকি লিভ টুগেদারকে অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মুভিটার বিষয়ে এত বেশী নেতিবাচক সমালোচনা শুনেছি যে দেখার আগ্রহ মরে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ এক বন্ধু জানালো বাংলাদেশের বাইরে মুভিটা বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। তখন মাথায় চিন্তাটা আসলো, বাংলাদেশে ব্যর্থতার কারণটা কি তবে লিভ টুগেদার? এই সাধারণ বিষয়টাকে চলচিত্রের পর্দায়ও মেনে নেয়ার মত মানসিকতা কি আমাদের এখনও তৈরি হয় নি? যেখানে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরাই বাইরে দুর্নিবার লিভ টুগেদার করে বেড়াচ্ছে, এমন কি দেশের ভেতরে কী করছে সেটাও আমাদের অজানা নয়। সেখানে এই বিষয়টাকে “অস্বস্তিকর” ভাবারতো কোন কারণ আমি দেখছি না। তবুও যদি সেটা করা হয় তাহলে সেটাকে আমি নিতান্তই হিপোক্রেসি বলবো।
২৪ মার্চ ২০১০
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড।
মন্তব্য
ধর্ম মেনে চলাকে যদি আপনার "হিপোক্রেসি" মনে হয় তবে কিছুই বলার নেই । আপনি কি নিজে উক্ত ছবিটা দেখেছেন ? তাহলে ছবিটার ব্যবসা না করার দায় আমাদের "অনুন্নত" মানসিকতার উপর চাপানোর কথা না......:-|
লেখাটার কোথাও লেখক "ধর্ম মেনে চলা" বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলেই তো মনে হলো না। হিপোক্র্যাসি মনে হওয়া তো অনেক পরের কথা।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
একমত। কোথাও ধর্ম মেনে চলাকে হিপোক্রেসি বলা হয়নাই। বাক্যটা দিয়ে কূপমন্ডুকতা বোঝান হয়েছে।
লিভ টুগেদার জিনিসটা আমার অনেক প্র্যাক্টিকাল মনে হয়। ঠিক করা ছেলের সাথে বিয়ের আগে ওই ছয় মাস "অ্যারেঞ্জড প্রেম" করেও কিছুই হয়না অনেক সময়ই - নতুন প্রেমের প্রভাবটা তখনও থাকে।
---আশাহত
সমর্থনের জন্য আপনাদের দুজনের প্রতিই ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো।
টুইটার
খুব সুন্দর একটি লেখা। ভাল লাগলো।
---
লম্বাদৌড় এর সম্পর্কের জন্য একে অন্যকে জানা জরুরী। জানাশোনা বাড়ার সাথে সাথে যে ভালবাসা উবে যেতে শুরু করে, সে আর কেমন ভালবাসা?
আসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
আসলেই যে ভালোবাসা লম্বা দৌড়ে উবে যেতে শুরু করে, সেটা প্রথম থেকেই ভালোবাসা ছিল না।
টুইটার
একটা কথা বলার ইচ্ছে ছিলো এখানে...সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভালোবাসা মনেহয় মূখ্য নয়; মূখ্য হলো পারস্পরিক বোঝাপরা, শেয়ারিং আর বিশ্বস্ততা। আর ভালোবাসা কি কিছু অসাধারণ মুহূর্তের উপলব্ধিমাত্র নয়?
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ভালোবাসতে আসলে টাইম লাগে না। সেইটা ফুরুৎ কইরাই হয়। তবে একসাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিতে সময়ের দরকার। এইটা অবশ্যই ঐতিহাসিক সত্য যে আমাগো বাপদাদাপরদাদাউর্ধ্বতনপরদাদাগো সেই সময়টা নিতে হয় নাই। বিপরীতে প্রকটতর সত্য হইতেছে ফুরুৎ কইরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঐ বাস্তবতাও বদলাইয়া গেছেগা। টাইটানিক দিয়া টাইনাও আমরা আর অতীতের সেই সুরম্য হারেমে ফিরা যাইতে পারুম না।
তাই বিবাহের মন্ত্রের চাইতে পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব বাইড়া যাওয়াটা ইতিবাচক দৃষ্টিতে না দেখতে পারার কোন চান্সই নাই। যারা দেখে না তাগো দিলে ফ্যান্টাসী-এ-হারেম
পুনশ্চ : লেখাটা ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
"ফ্যান্টাসী-এ-হারেম" - দারুণ বলেছেন।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো। আপনিও ভালো থাকবেন।
টুইটার
লং টার্মে আমাকে ভাল লাগার মত কিছু আমার মধ্যে নাই। যদি কোন মেয়ের তা লাগে তাহলে তার বিচারবুদ্ধি নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাই শেষমেষ বংগললনাদের সহনশীলতাই ভরসা!
বঙ্গ ললনাদের সহনশীলতা একটা বড় ব্যাপার। আস্থা রাখতে পারেন তাতে।
টুইটার
সুন্দর লেখা... ভালো লাগলো...সম্পর্কের সুপরিণতির জন্য একে অপরকে জানা অবশ্যই দরকার। ভালোবাসাবাসির সময় আমরা সাধারণত আমাদের ভালো দিকগুলোকেই ফুটিয়ে তুলি...আমাদের অনেক ছোট ছোত অভ্যাস/বদভ্যাস তখন বিবেচিত হয়না...একসাথে থাকলে একজন মানুষকে যতটুকু জানা যায় একমাসে হয়তো কয়েক বছরের ভালোবাসাবাসিও সেটুকু জানাতে পারেনা... এদেশে এখনও এ ব্যবস্থা শুরু হয়নি তার কারণ যতটা সামাজিক তার চেয়ে বেশী হয়তোবা ধর্মীয়। এখনও প্রেম করা নিয়েই যা যা হয় এখানে তাতে লিভ টুগেদারের কথা বললে কী শুনতে হবে ভেবেই হাসি থামাতে পারছিনা!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ঠিকই বলেছেন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে লিভ টুগেদারের কথা বললে হয়তো খোলা রাস্তায় মার খাবারও সম্ভাবনা থাকবে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
লেখাটা পছন্দ হলো
'লিভিং ইন সিন' নামক লেখাটাতে লিখিয়ের লিভিং টুগেদার ছাড়া বিয়ে করলে ডিভোর্সের ঝুঁকি বেড়ে যায়, এই কথাটায় আমি পরস্পরবিরোধী কিছু পেলাম না কিন্তু। পশ্চিমে লিভিং টুগেদার করে বিয়েও হয়, আবার ডিভোর্সও তাহলে কেন বেশি হয় - এটার উত্তর কিন্তু আপনি নিজেই পরে দিয়ে দিয়েছেন। আর এভাবেও দেখা যায় বোধহয়, অনেক বিয়ে তো (এমনকি বাংলাদেশিদের মধ্যেও, তুলনামূলক ভাবে কম হলেও) ২০ বছর পরেও ভেঙ্গে যায়। এতোদিন ধরে একসাথে থাকা'র পরীক্ষায় পাশ করেছে বলেই যে এটা পার্মানেন্ট কিছু ধরে নেয়া গেলো, সেটা হয় না আর কি।
'থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার' দেখি নি, সমালোচনা পড়েছি। যদি বাংলাদেশে ব্যবসা কম করার কারণ লিভিং টুগেদার দেখানো হয়ে থাকে (কিন্তু, আসলেই কি তাই?), তাহলে আমিও বলবো এটা আমাদের অপরিণতমনস্কতার পরিচায়ক। লিভিং টুগেদার সেভাবে হয়তো হতে পারে না আমাদের সমাজে, কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক তো ঠিকই হয়। বিয়ের আগেও হয়, পরেও হয়। এগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার ব্যাপারে আরও কতকাল যে আমাদের এরকম মানসিক বাধা থাকবে কে জানে!
আমি যখন লেখাটা পড়েছিলাম তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল লেখিকার যুক্তি এবং উপসংহার ঠিক যেন মিলছে না। প্রথম প্যারায় সেই অনুভুতিটাকে প্রকাশ করেছি। পরে সবার সাথে কথা বলে এবং নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পুরো বিষয়টা ভেবে পরের অংশটুকু লিখেছি। লেখাটাকে বলতে পারেন অনেকটা যেন নিজের সাথে নিজের কথা বলা।
মুভিটা আমিও দেখি নি। তবে দেখার ইচ্ছে আছে। ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে ফারুকী সেখানে, সেটা জানাই দেখার ইচ্ছের মূল কারণ।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
আমার লেখাটায় আমি কিন্তু ধর্মকে পক্ষ বা প্রতিপক্ষ কোনটিই বানাই নি কিম্বা এ বিষয়ে কিছু আলোচনাও করি নি। হিপক্রেসির বিষয়ে যেটা বলেছি সেটা আবার একটু ব্যাখ্যা করছি। ধরুণ ইয়াবা একটা বাজে ধরণের ড্রাগ, এটা আমরা সবাই জানি। এখন আপনি যদি আমাকে ইয়াবা বিষয়ক কিছু একটা বলেন (খারাপ ভালো যাই হোক) এবং আমি উত্তরে বলি, "ছিঃ। এসব কথা আমার সামনে বলবেন না। আমি এসব জানি না, বুঝি না।" তাহলে কি আপনি আমাকে হিপোক্রেট বলবেন না?
ছবিটা আমি দেখি নি। তবে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য শুনেছি।
টুইটার
হিপোক্রেসি প্রসঙ্গে কোন সন্দেহ নেই। আড়ালে আবডালে নারী, বিবেক সবই বিক্রি হয়। আপত্তি ওঠে নারী পুরুষের প্রকাশ্য সম্পর্ক নিয়ে যেটা কীনা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। লিভ টুগেদার আর বিয়ের বিভেদটুকু কি শুধুমাত্র সামাজিক চুক্তিটুকুই নয়? তারপরেও কেন লিভ টুগেদার করা সত্ত্বেও বিয়ের পর বিচ্ছেদ হচ্ছে? আমার মনে হয় বিয়ের পর সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর একজন স্বামী, অপরজন স্ত্রী। সম্পর্কের স্বতস্ফূর্ততা এতে কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়। এই পরিবর্তনটুকু গ্রহন করার প্রস্তুতি না থাকার কারণেই হয়তো সম্পর্কে ফাটল ধরে।
"থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" সিনেমাটি আমার কয়েকজন বান্ধবী মিলে দেখেছিল। দেখে এসে যারপরনাই ছি ছি করেছে এর কদর্যে। এই ধিক্কারের মূল কারণ এক বাঙ্গালি তরুণী দুই পুরুষের সাথে এক ছাদের নিচে বসবাস করে। আমার ধারণা অধিকাংশের দৃষ্টিভঙ্গিই এই। আমরা পরিবর্তন ভয় পাই। এর চেয়ে প্রাচীন সংস্কার আঁকড়ে ধরে হাপিত্যেশ করা বরং আরামদায়ক।
লেখা সম্পর্কে বলি। খুব ভালো পোস্ট। আপনাকে ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মুভিটা দেখেছি। 'অশালীন','বাজে'-এসব মন্তব্য শুনেছিলাম,কিছু পরিচিতদের কাছে। কারণ গল্পের দুজন মূল চরিত্র ( রুবা ও মুন্না ) বিয়ে করে নি। ব্যস,হল...!!!
এই দর্শকদের দেখেছি অন্যদের প্রভাবিত করেছে মুভিটা না দেখার জন্য। অনেককে আবার দেখলাম,শোনা কথায় কান দিয়ে সত্যিই যান নি হলে,যদিও অনেক দিন ধরেই 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার' এর অপেক্ষায় ছিলেন! জানি না সিনেমাটি ভাল ব্যবসা করতে পেরেছে কি না,তবে ব্যবসা কম হওয়ার পেছনে উপরে উল্লিখিত দর্শকেরা ভাল ভূমিকা পালন করেছেন।
অবশ্য কিছু মানুষকে পেয়েছি,যাঁরা সিনেমাটিকে দেখেছেন আর 'লিভ টুগেদার' কে স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছেন। সিনেমাটি সুনির্মিত কি না,সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।
-স্নিগ্ধা করবী
ফারুকীর কোন সিনেমাই আমার কাছে সুনির্মিত মনে হয় নি। তবে এই সিনেমায়র বিষয়বস্তু যেহেতু আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছে, তাই দেখার ইচ্ছে আছে বিষয়টাকে কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
টুইটার
বুনোহাঁস, আপনি একটা চমৎকার যুক্তি তুলে ধরেছেন। লিভ টুগেদার এবং বিয়ের মধ্যে বাস্তবিকই চুক্তিটুকু ছাড়া আর কোন পার্থক্য নেই। তবুও বিচ্ছেদের কারণ সম্ভবত আপনার কথাটাই.... হঠাৎ নূতন সমীকরণে মানিয়ে নিতে না পারা। এইতো জীবন... হয়তো যারা পারবে তারাই সুখী হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
টুইটার
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরেকটা ব্যাপার আছে। সমকামী জুটিদের লিভ টুগেদার ছাড়া অন্য কিছু করার উপায় নেই কিন্তু! অনেক জায়গাতেই। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দুইয়েই। লিভ টুগেদার সমর্থন করি। যাদের জন্য কাজ করে, তাদের জন্য বিয়েও সমর্থন করি। বদলে যাওয়া অনুষঙ্গে আমরা আসলে এত অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছি, একসাথে থাকাটাই একটা ঝক্কির ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে । আর সিনেমার কথা যা বললেন, তাতে কিন্তু পলিঅ্যান্ড্রি বোঝাচ্ছে, যেটা বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক বহুগামী আচরণকে ধাক্কা মারবার জন্য খুবই সাহসী বিষয় সন্দেহ নেই। কিন্তু ফারুকী তার পর্বতসম ইভিল জিনিয়াস দিয়ে কি মূষিক প্রসব করেছেন, ঈশ্বর জানেন! সেই ছবির ব্যাপারে শুনতে কর্ণময় হয়ে রইলুম! :)। লেখাটা ভালো লেগেছে।
ফারুকী যে আসলে কী প্রসব করেছে সে বিষয়ে আমিও সন্দিহান। তবু দেখার কৌতুহল মূলতঃ সিনেমার থেকেও গল্পের কারণে বেশী।
টুইটার
সম্পর্কের ভাঙ্গা গড়ায় লিভ টুগেদারের ভূমিকা আমার কাছে গৌণ মনে হয়। আমাদের দেশে পাশ্চাত্যের তুলনায় সম্পর্কচ্ছেদ কম হওয়াটার কারণ কিন্তু অন্য। সামাজিক নিরাপত্তা, ব্যক্তিসাতন্ত্রবোধ আর শিক্ষার অভাবেই অনেকেই কষ্ট হলেও সারাজীবন একই ছাদের নীচে থেকে যায়, এক্ষেত্রে কম্প্রোমাইস করে সাধারণত মেয়েরাই। সামাজিক নিরাপত্তা থাকলে আমাদের দেশের চেহারা হতো ভিন্ন।
লেখাটা ভালো হয়েছে। ছবিটা দেখিনাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রবলভাবে একমত, মুস্তাফিজ ভাই!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ভীতিটি কতটা সার্বজনীন?
সমাজকে থোড়াই কেয়ার করে এক বাসস্থানে থাকার উদাহরন দেশের উচ্চবিত্তের পরিবারগুলোতে আছে, যদিও উদাহরনগুলোতে উঠতি বয়েসের চাইতে পরিনত বয়সের লোকই বেশী। খেটে খাওয়া মানুষের মাঝেও দুজন বয়োঃপ্রাপ্ত মানুষের একসাথে থাকতে সমাজের ছাড়পত্র সবসময় লাগে না। এখানে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই, বিশেষ করে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই মুখ্য। যারা পেশার কারনে এক এলাকায় বেশীদিন থাকেন না (নির্মান শ্রমিক, ইঁট ভাঙিয়ে) তাদের মধ্যে 'বিলম্বিত বিয়ে'র প্রচলনের কথা শুনেছি।
বাঁধাটা বেশী মধ্যবিত্তের। তারপরেও সেখানে লিভ-টুগেদার-লুকোচুরি হয়। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়ের বাবা-মা হয়তো জানবেন তাদের ছেলেমেয়ে ভীনশহরে হলে থেকে পড়াশুনা করে, আদতে সেই জুটির লিভ-টুগেদার সংসার সেই ভিন শহরের ভাড়া বাসায়। সেখানে আপনজনের তদারকি নেই, তাই প্রেমিক-প্রেমিকারও সংসার শুরু করতে বিয়ের প্রয়োজন হয় না।
আমার মনে হয়, আমরা বাংলাদেশীরা নিজেদের যতটা রক্ষনশীল ভাবতে চাই, বাস্তবে আমরা তার চাইতে কিছুটা উদার।
আশম এরশাদ
আরে নিয়াজ ভাই , কেমন আছেন?
লিখাটা একদম মনের মত হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কিছু বলার ছিল , বিশেষ করে চায়নাতে ৫ বছর অবস্থানের প্রেক্ষাপটে এই বিষয় নিয়ে আমি একটু নীরিক্ষা চালিয়েছি।
বলতে চাইলে অনেক কিছু। আবার ইদানিং এটাও ভয় হয় যে দুনিয়াটা এত দ্রুত পাল্টাচ্ছে যে আজলে যে থিওরী সত্য কালকে সেটা মিথ্যা হয়ে যায়। আর ধর্ম বলেন আর কালচার বলেন সব কিছু এখন আচার সর্বস্ব হয়ে গেছে। কাজী বিয়ে পড়াল আর সেটা বৈধ হয়ে গেল? বিয়ে পূর্ব বর্তী এবং বিয়ে পরবর্তী অনেক গুলো কারনে বিয়ে ধর্মমতে যে ভেঙ্গে যায় সেটাকে কেউ বলেনা।
আসলে এটার উভয় দিকে মেরিট ডেমারিট সমান মনে হয়:
১।বিশেষ করে ডিভোর্স এর হার একই । যেমন ধরেন লিভ টুগেদার অসফল হল , সেটাও কিন্তু একটা ডিবোর্স বা বিচ্ছেদ। এবং ব্যাপক সময় নস্ট।
২। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে --- একজন প্রেমিকার যে দোষ বা অক্ষমতাটা আমরা মানতে পারছিনা সেটা বিয়ের পরে বন্ধন যুক্ত হয়ে মেনে নিচ্ছি। এক সময় সেট মেনে নিতে নিতে মনে নেয়াও হয়ে যায়।
৩।বিয়ে যেহেতু একটি আইনি মাধ্যম এবং ইনভেস্টমেন্টের বা ফাইনান সিয়াল ব্যাপার আছে তাই বিয়ের হয়ে যাওয়ার পর অনেক সম্পর্ক আপনা আপনি ঠিকে যায়।
৪। সংসার করতে ভালবাসা মুখ্য কিনা জানি না তবে মনে হয় ভালবাসা চাপিয়ে কর্তব্যবোধ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া মুখ্য।
সময়ের অভাবে ভাল ভাবে বুঝাতে পারলাম না। পরে অন্যদিন হবে।
শুভ কামনা।
আশম এরশাদ
এরশাদ ভাই, সচলায়তনে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। আশা করি ভালো আছেন।
আপনার যুক্তিগুলো আমি বুঝতে পারছি। সেই প্রেক্ষিতে আমার মতামতগুলো তুলে ধরলাম।
১. লিভ টুগেদার সফল না হওয়া এক ধরণের বিচ্ছেদতো বটেই। তবুও এখানে সম্ভবত একটু বাড়তি সুবিধা আছে যেটা আমি আপনার ৩ নাম্বার পয়েন্ট আলোচনা করার সময় উল্লেখ করবো।
২. এটা ঠিক যে বিয়ের পর আমরা অনেক কিছুতে "কম্প্রমাইজ" করতে শিখি। আমাদের প্রেক্ষাপটে (এমন কি পাশ্চাত্যের প্রেক্ষাপটেও) সেটা শুধু প্রেম করে হয়তো সম্ভব না। আর এই কারণেই কিন্তু লিভ টুগেদারের প্রয়োজনীয়তাটা বাড়ছে। একজন কতটুকু কম্প্রমাইজ করতে পারবে সেটা এক সাথে না থাকলে বোঝা কঠিন।
৩. আমিও স্বীকার করছি বিয়ে একটা আইনী মাধ্যম এবং এর সাথে অর্থনৈতিক কারণ জড়িয়ে আছে। আর সে জন্যেই (১-নাম্বার পয়েন্টের আলোচনার প্রসঙ্গে) সময় নষ্ট হলেও লিভ টুগেদারে অর্থনৈতিক এবং আইনী সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তা না হলে হয়তো জীবনটাই অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে কারো কারো ক্ষেত্রে।
৪. এই পয়েন্টে আমিও একমত। ভালোবাসা জরুরী কিন্তু কর্তব্যবোধ না থাকলে সংসার টেকে না (সেটা বিবাহিত বা অবিবাহিত - যে কোন ধরণের সংসারই হতে পারে)
শুভেচ্ছা রইলো এরশাদ ভাই।
টুইটার
ব্যাপারটা বোধহয় অন্য জায়গায়। আপনি অপর জনের সাথে কতোটা রিলেট করতে পারেন! তার সাথে কথা বলে কতোটা আরাম পান, কতোটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন! তার সাথে নানা সময় নানা খুনসুটিগুলো কতোটা উপভোগ করেন! এরকম হাজারটা ব্যাপার আছে যেগুলো প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খোদার তিরিশটা দিন একই খোমা দেখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! এই ফ্যাক্টরগুলো খাপে খাপে মিলে গেলে দেখবেন খোমা জিনিষটা এমনিতেই ভালো লাগা শুরু করেছে, সেটা নানা পদের পালিশ সহকারে হলেও, না হলেও।
আজকে বিকেলেই একজন ফরাসী মহিলার সাথে কথা হচ্ছিলো। তাঁর মতে মেয়েরা প্রথম দর্শনেই ছেলেদের গেট-আপ দেখে। মন-টন এগুলা পরের ব্যাপার কিংবা আদৌ কোনো ব্যাপার না। তখনই বুঝে গেলাম, ফরাসী দেশের প্রসাধন সামগ্রীর এতো উচ্চমূল্য কেনো! যতো চাহিদা, ততো দাম।
লিভিং টুগেদারের কথা আর কী বলবো! সেই ছোটবেলায় শুনতাম বিদেশে গেলেই সুন্দরী সব বালিকাদের সাথে এক ঘরে থাকা যায় মুরুব্বীদের কোনো রকম হেজিমোনি ছাড়াই। আমাদের অভাগা দেশে তো আর কেউ গরীবের ইচ্ছার মূল্য দিবে না। তাই কতো আশা নিয়ে, সেই আশায় বুক, পিঠ বেঁধে তবে বিদেশ পাড়ি দিলাম! কিন্তু কীসের কী! শালার, সব জায়গায় হেজিমোনি! এই জীবনটাই বুঝি চলে যাবে নানা হেজিমোনিতে। লিভিং টুগেদারের স্বাদ আর পাওয়া হবে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গইড়াইয়া কান্দার ইমো নাই?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
"আমায় ভাসাইলি রে" ইমো আছে, বদ্দা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
জটিল বলেছেন....
টুইটার
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে ।
তবে 'লিভ টুগেদার'-নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা । বিষয়টা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বেশ বিতর্কিত
“মুক্ত বিহঙ্গ” [অতিথি লেখক]
মোঃ জিয়াউর রহমান ববি
বিতর্কিত বিষয়ে আলাপ করতে ভয় পাবেন না। পরিবর্তন মাত্রই বিতর্কিত। আর পরিবর্তনই একমাত্র অপরিবর্তনশীল বিষয়। আপনি চাইলেও এড়িয়ে যেতে পারবেন না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমরা যদি সবাই ধীরেধীরে বিতর্ক দেখে চুপ হয়ে যাই, তাহলে এক শ্রেনীর মানুষ কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবে। আর তাছাড়া, যেটা খারাপ সেটা এমনিতেও টিকে থাকবে না। লিভ টুগেদার ভালো কি খারাপ সেটা সময়ের হাতেই তোলা থাকুক।
শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
আমাদের দেশে মেয়েরা বিয়েটা একাই টিকিয়ে নেয় কারন ডিভোর্সে যে সামাজিক স্টিগমা আছে সেটা খুবই গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকা ও একটি প্রধান কারন।
যদিও খুবই সামান্য তবুও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মেয়েরা এখন অর্জন করতে শুরু করেছে। সেই শ্রেনীর মেয়েদের মধ্যেও সম্পর্কের প্রতি একটা সহনশীল আচরণ লক্ষ্য করেছি। এটাকে আমি আমাদের সমাজের মেয়েদের একটু গুন বলবো। হয়তো একদিন আমরা ছেলেরাও তা অর্জন করতে পারবো।
শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
আপনার দৃষ্টিভঙ্গী চমৎকার লাগল! প্রথম প্যারা পড়ে আমার মনে হয়েছিল যে শেষমেষ আপনি হয়ত গোঁড়া কোন যুক্তি দেবেন। কিন্তু যুক্তি দিয়ে চমৎকার ব্যাখ্যা করায় খুব ভালো লাগল। থাম্বস আপ!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অসংখ্য ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। প্রথম প্যারাটা আমার তাৎক্ষনিক অভিব্যক্তি আর পরের ব্যাখ্যাটা আমার যুক্তি নির্ভর বিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতা। শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
লেখা ভালৈছে।
আমার মনে হয় সামাজিক মূল্যবোধের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তাটাও একটা মুখ্য কারণ। প্রাচ্যে একজন "সিঙ্গেল মাদার" কে সমজে একা চলতে যে পরিমাণ কষ্ট করতে হবে পশ্চিমে হবে না.. একবার বিবাহ বিচ্ছেদ হলে পুনরায় বিয়ের সম্ভাবনাও বেশ কম.. পশ্চিমের মানসিকতা এদিক থেকে অনেকটাই ভিন্ন। প্রাচ্যে কিন্তু কোনো মেয়ের পূর্ববর্তী কোনো সম্পর্ক থাকলে, তা বিয়েতে নানা জটিলতা সৃষ্টি করবে... আর সে সম্পর্ক যদি শারিরীক হয়, তাইলে তো শ্যাষ... পশ্চিমে কিন্তু ব্যাপারটাকে এভাবে দেখা হয়না.. বিবাহ বিচ্ছেদ পরবর্র্তী সারকামস্ট্যন্সেস সামলানো অনেক সহজ পাশ্চাত্যে.. তাই বিচ্ছেদের হার বেশি বলে আমার ধারণা.... সেই সাথে এও মনে হয় যে, বিবাহ পূর্ব সহবাস (লিভ টুগেদার বোঝাতে চাচ্ছি.. সঠিক বাংলা কি? সারকামস্ট্যন্সেস এও ধরা খেলাম) না থাকলে পাশ্চাত্যে শতকরা ২০ ভাগ বিয়েও টিকতো কিনা সন্দেহ।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
সহমত।
সারকামস্ট্যান্সেস বাংলা বোধ হয় "পরিস্থিতি" ভাল হবে। "লিভ টুগেদার" এর আক্ষরিক বাংলা বের না করে সহজ বাংলায় "বিয়ের আগে একসাথে থাকা" বললেই মনে চলে যায়। "সহবাস"এর অন্য অর্থ আছে, যদি ঠিক জানি।
মেয়েদের অবস্থা খারাপ হতে বিয়ে হয়ে ভাঙ্গা লাগে না আমাদের সমাজে, বিয়ে হওয়ার আগে ভাংলেও একই দশা, সেটা যদি ছেলে খারাপ বের হওয়ায় মেয়ে নিজেই ভেঙ্গে দেয়, তারপরেও।
---আশাহত।
লিভ টুগেদার এর বাংলা সম্ভবত "একত্রবাস"।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সহমত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়ের অন্য কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক আছে এটা জানলে ছেলেরাও বিয়েতে রাজী হতে চাইবে না। এখানে আমাদের, অর্থাৎ ছেলেদের একটা মানসিক পরিবর্তন আসা জরুরী।
টুইটার
মন্তব্যের জবাব দেয়ার আপনার ধরণটা খুব ভালো লেগেছে।
আমি সব সময় চেষ্টা করি প্রতিটা মন্তব্যের জবাব দিতে। যিনি কষ্ট করে পুরো লেখাটা পড়েছেন এবং মতামত প্রকাশ করছেন, তিনি তার মতামতের বিষয়ে লেখকের মতামত জানার অধিকার রাখেন বলে আমি মনে করি।
আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
টুইটার
লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
ডাবলিন নিয়ে আরও কিছু লিখুন প্লিজ।
ডাবলিন নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। কয়েকটা বিষয় নিয়ে এখন লিখছি। সেগুলো পোস্ট করে তারপর ডাবলিন নিয়ে কিছু লেখা দেব।
শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
খুব গোছানো মনে হয়েছে লেখাটা।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা হিমু ভাই।
টুইটার
চমৎকার লেখা।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
খুবই গোছানো, সুন্দর লেখা। ভালো লাগলো খুব।
___________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
আমার কাছে মনে হয় সমস্যা বিয়েতে নয়। আমাদের মানসিকতাতে।
লিভ টোগেদার যখন দু’জন করে তখন সেখানে কি অভিনয়ের একটা ব্যাপার থেকে যায়না? নিজের অ-ভালোটাকে আড়াল করার অভিনয়? এরপর সার্থক লিভ টোগেদারের পরে যখন তারা বিয়ে করে তখন কেন ই বা ডিভোর্স হয়ে যায়? মুখোশটা খসে পড়ে বলে? কারন তখন আর বিশেষ করে পুরুষেরা মনে করে যে তারা একটা সামাজিক চুক্তিতে এসে গিয়েছে। তাই তখন আর নিজের অ-ভালোটাকে আড়াল করার কোন চেষ্টা তাদের মধ্যে থাকেনা। তাই সমস্যা বিয়েতে নয়। সমস্যা মানসিকতাতে। সমস্যা একে অন্যের ইচ্ছাকে সম্মান করার ক্ষেত্রে। বিয়ের পরে কেন পুরুষেরা মনে করে তাদের দায়িত্ব শেষ? কেনই বা স্ত্রীরা মনে করেন তাদের তো বিয়ে হয়েই গেছে সুতরাং জীবন সেখানেই শেষ? সংসারটা পুরুষ স্ত্রী দুজনের ই। তাই দু’জনার ঐকান্তিক চেষ্টাই পারে একটা যাকে বলে হেলদি রিলেশন বজায় রাখতে। আর সেটা বিয়ের মাধ্যমেই হওয়াটা আমাদের সমাজের জন্য বাঞ্ছনীয় মনে করি।
আমার মনে হয় লেখক ভুলে গেছেন তার নামের বুত্পত্তি।এক্জন মুসলমান হয়ে তিনি কিভাবে তার রিলিজিঅন কে বাদ দিয়ে চিন্তা করলেন। প্রিথিবিতে যত কিছুই করিনা কেন সুখের জন্ন পবিত্রতা বাদ দিয়ে নোংরামি'র মাঝে কি সুখ পাওয়া যায় ? আমরা একটু পরালেখা শিখলেই নিজেদের অনেক কিছু মনে করি। কেউ আমরা অমর নই,আজ হোক কাল হোক কবরের নিস্তব্ধতায় আমাদের যেতেই হবে।লেখক কি তা ভুলে গেলেন?ইয়ুরপ আমেরিকা ওদের সাথে আমাদের তুলনা কি চলে?তারা'ত খ্রিস্তান আর ইয়ুহিদি,তাদের'ত কোনও ধর্ম কর্ম নাই(পশুর সাথে তাদের কি পার্থক্য।আর আপাত দৃষ্টিতে তাদের সুখি মনে হতে পারে। আসলেই কি তারা সুখি! জত নোংরামি আর অসভ্যতায় পরিপূর্ণ তাদের জীবন।
লেখক কে বলব নিজের মন মানসিকতায় একটু পরিবর্তন আনতে।
ধন্যবাদ।
wht do u think tht u follow religion and the people of u-rope & america do not do tht... if
u think so thn u live in a hole. and I saw many people tht they do not have any conception
abt religion bcoz their parents never teach them nor school but they have no problem with
life and to the value of society. I do not knw how much educated u r but it is not a good
practice tht u say someone tht Oh! ur edcuation is inferior tht's why u r saying so.
"থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" আমাদের দেশের দর্শকদের খারাপ লাগসে রুবা-মুন্না লিভ টুগেদার করে বলে এবং পরবর্তীতে রুবা একা থাকতে চায় বলে। আমার পরিচিত যারা একে খারাপ বলেছে তারা এই দুইটা পয়েন্ট'ই বলেছে।
আর লেখা
আপনার এই লেখাটা আগে পড়িনি, রুমানা মঞ্জুরকে নিয়ে লেখায় উল্লেখ দেখে পড়লাম। অত্যন্ত গুছিয়ে, যুক্তিপূর্ণভাবে লিখেছেন।
এই পোস্টে কোন ছাগুসুলভ মন্তব্য খুঁজে পেলাম না, অদ্ভুত!
একটা সমীক্ষায় আমি লিভিং ইন সিন এর লেখিকার উপসংহারের উল্টোটা পড়েছিলাম(গুগল করে দেখতে পারেন)। সেখানে পড়েছিলাম, যে জুটিরা বিয়ের আগে লিভ টুগেদার করে তাদেরই ডিভোর্স হবার সম্ভাবনা বেশি। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে মুল্যবোধের ভিন্নতা। যারা লিভ-টুগেদার করে, তারা ডিভোর্সের প্রতি বেশি সহিষ্ণু; তাদের পরকীয়া করার সম্ভবনাও বেশি(এসবই সমিক্ষার কথা, আমার নয়)
আমার মতে, লিভ টুগেদার করলেও দুজনেরই তাদের একসাথে থাকার টার্মস এন্ড কন্ডিশন্স ঠিক করে নেয়া উচিত। যেমন বাচ্চা হলে কি হবে, সহবস্থানের সময় কি অন্য কারো প্রতি আকর্ষনকে দমিয়ে রাখতে হবে ইত্যাদি। তবে আমার মতে কাউকে যদি একসাথে থাকার মতন ভালই লাগে বিয়ে করে নেয়াই উচিত। লিভ টুগেদার করলে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টাটা সম্ভবত কমে যায়, যা একটা পর্যায়ে এসে সব সম্পর্কেই দরকার হয়।
আপনার লেখাটা খুব ভাললাগল।
ভাললাগল এটা দেখে যে আপনার লেখায় আপনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যর প্রতি নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছেন। প্রাচ্যের সব ভাল,আর পাশ্চাত্য খারাপ এই অদ্ভুত মানসিকতা আপনার লেখায় দেখাতে চাননি।
নতুন মন্তব্য করুন