হ্যালোউইন–এর সাতকাহন

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০১/১১/২০১০ - ৭:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

200x
২০০৭ সনে যখন আমি আয়ারল্যান্ড আসি তখনও বাংলাদেশে হ্যালোউইন-এর চলটা এতটা ছিল না যতটা এখন দেখা যায়। অন্তত ফেইসবুকের কল্যাণে এখন দেখতে পাচ্ছি তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী এমন কি শিশুরাও বেশ হ্যালোউইন উজ্জাপন করছে। তবে হ্যালোউইনের প্রেক্ষাপট, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য অনেকেরই জানা নেই। এটা কতকটা অনিচ্ছা আর কতকটা এ বিষয়ে লেখালেখী না হওয়ার কারণে হয়েছে। প্রথমটা বদলানোর সাধ্য আমার নেই, তবে দ্বিতীয়টার একটা আংশিক সমাধান দেয়ার প্রয়াস নেয়া যেতে পারে।

প্রেক্ষাপট:
ব্রিটিশ আইলস সংলগ্ন এলাকায় ছয়টা জাতি রয়েছে যাদের বলা হয় কেলটিক (স্কটিশ উচ্চারণ সেলটিক, Celtic) নেশন। এই ছয় জাতি হচ্ছে (ছবিতে রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে) – আয়ারল্যান্ড (সবুজ), স্কটল্যান্ড (নীল), ওয়েলস (লাল), আইল অব ম্যান (বাদামী), কর্নওয়াল (হলুদ) এবং ব্রিটানি (কালো)। এদের মধ্যে কর্নওয়াল হচ্ছে যুক্তরাজ্যের চারটা দেশের একটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থিত একটা কাউন্টি, ব্রিটানিয়া ফ্রান্সের পশ্চিমতম এলাকা, আইল অব ম্যান একটা ছোট দ্বীপ যাদের বর্তমান রাজনৈতিক স্ট্যাটাস হচ্ছে “ব্রিটিশ ক্রাউন ডিপেনডেন্সি”, অর্থাৎ তাদের পররাষ্ট্র নীতি এবং সেনাবাহিনী যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রণ করলেও অন্য সব ক্ষেত্রে তারা স্বাধীন এবং তারা যুক্তরাজ্যের অফিশিয়াল অংশ নয়। স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস যুক্তরাজ্যের চারটা দেশের দুটি। আয়ার‌ল্যান্ড বিভক্ত দুই ভাগে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড (সবুজ ছবিতে ধূসর রেখা দিয়ে সীমানা দেখানো হয়েছে)। এদের মধ্যে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের চারটা দেশের একটি এবং রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র।

এই কেলটিক জাতিগুলোর রয়েছে নিজস্ব আচার-আচরণ এবং উৎসব। এ রকমই একটা কেলটিক উৎসবের নাম Samhain (গেইলিক শব্দ। আইরিশ গেইলিক উচ্চারণ হবে সা-উইন। স্কটিশ গেইলিকেও উচ্চারণটা কাছাকাছি)। এ উৎসবটা বছরের আলোকিত অংশের সমাপ্তি শেষে অন্ধকার অংশে প্রবেশের সূচনা নির্দেশ করে। সা-উইন শব্দটা এসেছে প্রাচীন আইরিশ (Old Irish) থেকে। যার ইংরেজি অর্থ হচ্ছে 'End of Summer'। অক্টোবরের ৩১ তারিখ থেকে নভেম্বরের ১ তারিখ পর্যন্ত গ্রীষ্মের সমাপ্তি হিসেবে এই উৎসব পালন করা হতো। এটাকে বাংলাদেশের নবান্নের সাথে তুলনা করা যায় কেননা এটা একটা “হার্ভেস্ট ফেস্টিভেল”-ও বটে। অনেক ঐতিহাসিকের মতে এ উৎসব কেলটিক নববর্ষ উজ্জ্বাপনের উৎসবও, কেননা নভেম্বর থেকে তাদের ক্যালেন্ডারে নূতন বছর শুরু হতো।

এ উৎসবের আরেকটা বিশেষ দিক ছিল মৃত আত্মাদের আগমন। কেলটিক অধিবাসীরা মনে করতো ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বরের মাঝে যে রাত, সেটা বছরের আলোকিত এবং অন্ধকার অংশের মাঝে একটা সীমানা যেখান দিয়ে খুব সহজে অন্যজগতের অধিবাসী তথা মৃত আত্মারা আমাদের জগতে চলে আসতে পারে। তারা বিশ্বাস করতো এই আত্মাদের কেউ কেউ ভালো, আবার কেউ কেউ খুব খারাপ। এই খারাপ আত্মাদের থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্যে তারা এই দিনে আত্মার ছদ্মবেশ নিত। অর্থাৎ বিভিন্ন মুখোশ এবং পূর্ণাঙ্গ পোশাকে নিজেদের ঢেকে তারাও মৃত আত্মা সেজে যেতো। এছাড়া চলতো বনফায়ার এবং বিভিন্ন রিচুয়ালস। পরবর্তীতে একেকটা কেলটিক জাতি তাদের মত করে এই উৎসবে যোগ করেছে নূতনত্ব। যদিও এটা কেলটিক উৎসব, তবে বেশী জনপ্রিয় ছিল আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডে-এ। ফলে এই দুই জাতির সংযোজন ছিল মুখ্য। যেমন আইরিশ দ্বীপের জনপ্রিয় স্পিরিট জ্যাক-ও-ল্যানটার্ন (jack-o'-lantern) ছাড়া এই উৎসবই কল্পনা করা যায় না। এছাড়া ট্রিক-অর-ট্রিট বলে একটা খেলা রয়েছে যেটা যুক্ত কয়েছে স্কটল্যান্ড থেকে। এই খেলায় বাচ্চারা মুখোশ এবং পোশাকে নিজেদের ঢেকে বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার এবং টাকা তোলে।

সা-উইন এর পাশাপাশি এই সময়ে আরেকটি উৎসব পালিত হতো ক্রিস্টিয়ান ধর্মাবলম্বী রাষ্ট্র সমূহে। এ উৎসবকে বলা হতো অল সেইন্টস ডে। জগতের যাবতীয় জানা এবং অজানা সেইন্ট দের স্মরণে এই উৎসব পালিত হতো নভেম্বরের ১ তারিখে। এই উৎসবেরই অন্য নাম ছিল “অল হ্যালোস”। পরবর্তীতে “অল হ্যালোস” এবং “সা-উইন” একত্রিত হয়ে নূতন যে উৎসবের সৃষ্টি করে তার নাম “হ্যালোউইন”। এখানে উল্লেখ্য যে অল সেইন্টস ডে ধর্মীয় উৎসব হলেও হ্যালোউইন কোন ধর্মীয় উৎসব নয় এবং এটা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই পালন করে থাকে।

বিস্তৃতি:
যদিও হ্যালোউইন-এর সূচনা আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড থেকে তবে বর্তমানে এই উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে। প্রথমে সম্পূর্ণ বৃটেনে এবং তারপর বৃটেন সংলগ্ন মেইনল্যান্ড ইউরোপে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিস্তার ঘটে নর্থ এ্যামেরিকায় তথা যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডায়। এই দুই দেশে হ্যালোউইন ছড়িয়ে পড়ায় কালক্রমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এই উৎসব।

১৮৪৫ থেকে ১৮৪৯ সন পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডে চলে “গ্রেট ফেমিন” বা “আইরিশ পটাটো ফেমিন”। এই দুর্ভিক্ষে আয়ারল্যান্ডের প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ মারা যায় এবং আরো এক মিলিয়ন মানুষ দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় আয়ারল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়া মানুষগুলো নিঃস্ব ছিল কিন্তু খালি হাতে যায় নি। তারা সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল তাদের সংস্কৃতি যা আজকের আধুনিক এ্যামেরিকার সংস্কৃতিকে করেছে যথেষ্ট সমৃদ্ধ। তাদের নিয়ে যাওয়া দুটো জনপ্রিয় ফেস্টিভেলের একটা সেইন্ট পেট্রিক্স ডে এবং অন্যটা হ্যালোউইন। ১৮৭০ সনে স্কটিশরা প্রথমে ক্যানাডা এবং পরে ইমিগ্রেন্ট হয় যুক্তরাষ্ট্রে। তারা তখন নিয়ে আসে হ্যালোউইনের তাদের সংস্করণ। এভাবে ধীরে ধীরে আটলান্টিকের পূর্ব পাড় থেকে হ্যালোউইন পৌঁছে যায় পশ্চিম পাড়ে।

বর্তমানে হ্যালোউইন এশিয়ার দেশগুলোতেও ঘটা করে পালিত হচ্ছে। এমন কি বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদেরও হ্যালোউইন পালন করতে দেখছি। হয়তো সংখ্যায় নিতান্তই নগণ্য, তবু পালিত হচ্ছে।

ঐতিহ্য:
হ্যালোউইনের অন্যতম ঐতিহ্য বাড়ি সাজানো। এ সময় বাড়ির দরজায় কাপড় দিয়ে বানানো আত্মার ছবি টাঙ্গানো, বাড়ির সামনে আত্মার প্রতিকৃতি বানানো এবং আত্মার জন্য তোরণ ইত্যাদি তৈরি করা এক ধরণের রেওয়াজ। হ্যালোউইনের এক মাস আগে থেকেই বাচ্চারা শুরু করে দেয় তাদের তোরজোড়। অক্টোবরের শেষ নাগাদ দেখতে দেখতে পুরো এলাকা হয়ে উঠে উৎসবমুখর। আমার বাসার চারপাশে এখন শুধু ভূত আর ভূত! প্রতিটা বাসার সামনেই কিছু না কিছু রয়েছে। আমি সাধারণত গভীর রাতে বাড়ি ফিরি। তখন ভূতগুলোর সাথে মাঝে মাঝে কথা বলি। বেশ লাগে কিন্তু!

যাইহোক, হ্যালোউইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আত্মা জ্যাক-ও-ল্যানটার্ন। একে বলা যেতে পারে হ্যালোউইনের প্রতীক। পামকিন কেটে তৈরি করা এই ভূত বা আত্মা ছাড়া হ্যালোউইন যেন কল্পনাই করা যায় না। এই ভূতকে নিয়ে রয়েছে দারুণ সব গল্প-গাঁথা। এর অন্যতম একটা এখানে শেয়ার করছি। জ্যাক ছিল আয়ারল্যান্ড দ্বীপের একজন মদ্যপ এবং অলস কৃষক। এক রাতে দ্বীপের কোন এক কান্ট্রিসাইডের রাস্তা ধরে মদ্যপ অবস্থায় চলছিল জ্যাক। এমন সময় সে রাস্তায় শুয়ে থাকা একটা শয়তানকে পা দিয়ে মাড়িয়ে দেয়। আর যায় কোথায়? শয়তান তখনই তাকে হেল-এ নিয়ে যেতে উদ্যত হয়। জ্যাকও বুঝতে পারে তার সময় শেষ হয়ে এসেছে। তাই সে শেষ ইচ্ছা স্বরূপ শয়তানকে অনুরোধ করে তাকে যেন পাবে নিয়ে মদ্যপানের সুযোগ দেয়া হয়। শয়তান সরল বিশ্বাসে(!) সেই অনুরোধ রক্ষা করে। কিন্তু জ্যাক পাবে গিয়ে মদ খেতে খেতে এক ফন্দি আঁটে। প্রচুর পান শেষে যখন বিল আসে তখন জ্যাক শয়তানকে বলে এবার বিল দাও। কিন্তু শয়তান কোথা থেকে টাকা পাবে? শেষে জ্যাক শয়তানকে বুদ্ধি দেয় যে তুমি একটা রৌপ্যমুদ্রায় পরিণত হও। আমি সেটা দিয়ে বারটেন্ডারকে বিল পরিশোধ করে ফিরে আসছি। শয়তানও এই বুদ্ধিতে রাজী হয়ে যায়। এরপর সে যখন কয়েনে পরিণত হয়, তখন জ্যাক তাকে পকেটে ভরে বন্দি করে ফেলে। জ্যাকের পকেটে একটা ক্রুশ ছিল যার কারণে শয়তান আর বের হতে পারছিল না। তখন শয়তান জ্যাকের সাথে এই চুক্তি করে যে জ্যাক যদি তাকে ছেড়ে দেয় তাহলে জ্যাককে সে ১০ বছর জীবন দান করবে। জ্যাকও সেই মত রাজি হয়ে শয়তানকে মুক্ত করে দেয়।

দশ বছর কেটে যায়। হঠাৎ একদিন জ্যাক দেখে সেই শয়তান আবার এসে হাজির হয়েছে। জ্যাক বুঝে এবার আর নিস্তার নেই। তবু সে শেষ চেষ্টা স্বরূপ শয়তানকে অনুরোধ করে সে একটা আপেল খেতে চায়। শয়তান বোকার মত এবারও রাজী হয়ে যায়। তারপর নিজেই গাছে চড়ে আপেল পাড়তে উঠে। জ্যাক তখন তার ক্রুশ নিয়ে গাছের গোড়া সিল করে দেয় যাতে শয়তান কোন দিন আর গাছ থেকে না নামতে পারে। শয়তান আবারও কাকুতি মিনতি করে জ্যাকের সাথে চুক্তি করতে চায়। এবার জ্যাক বলে তাকে কোন দিনই আর শয়তান হেলে নিতে পারবে না, এই শর্তে মুক্তি মিলবে। শয়তান রাজী হয়। আরো বেশ কিছু বছর পর জ্যাক মারা যায়। তখন জ্যাকের আত্মা আনন্দের সাথে হ্যাভেনে ঢুকতে গেলে তাকে দ্বার রক্ষী ঢুকতে বাধা দেয়। তাকে কারণ দেখানো হয়, সে পৃথিবীকে এত এত মদ্যপান এবং খারাপ কাজ করেছে যে তাকে হ্যাভেনে ঢুকতে দেয়া যাবে না। এবার জ্যাকের আত্মা যায় হেলে। কিন্তু শয়তান যেহেতু তাকে কথা দিয়েছিল, তাই সেও আর হেলে ঢুকতে দেয় না জ্যাককে। ফলে জ্যাকের আত্মাকে ভালো এবং মন্দের মাঝামাঝি একটা ফাঁকা জায়গায় বন্দি করা হয় এবং সেখানে জ্বালিয়ে দেয়া হয় কয়লার আগুন যাতে সে চলা ফেরার জন্য দেখতে পারে। সেই থেকে জ্যাককে আমরা দেখতে পাই একটা বৃত্তাকার বস্তুর মধ্যে লালচে-কমলা আলোয় বন্দি হয়ে থাকতে।

হ্যালোউইন-এর সময় “ট্রিক-অর-ট্রিট” একটা খুবই জনপ্রিয় খেলা। স্কটল্যান্ড থেকে এ খেলার উৎপত্তি হলেও এটা এখন সব স্থানেই খেলে থাকে বাচ্চারা। তারা আত্মার ছদ্মবেশ নিয়ে বিভিন্ন বাসায় যায় এবং খেলার ছলে হুমকি দেয়/ভয় দেখায় (ট্রিক) এবং ছেড়ে দেয়ার শর্ত স্বরূপ খাবার অথবা টাকা দাবি করে (ট্রিট)।

খাবার এবং পোশাক:
autoহ্যালোউইনের খাবারের তালিকাটা বেশ মজার এবং বৈচিত্রপূর্ণ। বার্মব্র্যাক হ্যালোউইনের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার যা এসেছে আয়ারল্যান্ড থেকে। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড থেকে আরো এসেছে ম্যাশপটাটো দিয়ে বানানো কলক্যান্যান। ক্যান্ডি এ্যাপেল হ্যালোউইনের অন্যতম প্রতীক যার উৎপত্তি মূলতঃ নর্থ আমেরিকায়। তবে এর একটা ব্রিটিশ সংস্করণ রয়েছে যাকে বলা হয় টফি এ্যাপেল। ক্যান্ডি কর্ন এবং ক্যান্ডি পামকিনও এসেছে নর্থ এ্যামেরিকা থেকে। এছাড়াও সোল কেক হ্যালোউইনের জন্যই তৈরি একটা বিশেষ খাবার।

হ্যালোউইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক সম্ভবত কঙ্কাল! কালো কাপড়ের উপর কঙ্কাল আঁকা এক ধরণের কস্টিউম রয়েছে যা পড়লে মনে হয় যেন একটা কঙ্কাল হাঁটছে। এছাড়া ভ্যাম্পায়ার, ভূত, যাদুকর ইত্যাদি সাজার অনেক ধরণের পোশাক রয়েছে। মোট কথা হ্যালোউইনের পোশাক মানেই লিভিং-ডেডদের কস্টিউমের মাধ্যমে প্রকাশ করা।

উপসংহার:
এ্যামেরিকান ঐতিহাসিক কেলি তার ১৯১৯ সনের “দ্যা বুক অব হ্যালোউইন” গ্রন্থে লিখেছেন, “The taste in Hallowe'en festivities now is to study old traditions, and hold a Scotch party, using Burn's poem Hallowe'en as a guide; or to go a-souling as the English used. In short, no custom that was once honored at Hallowe'en is out of fashion now.” মজার ব্যাপার হলো কেলি ম্যাসিচুসেটের যে শহরে থাকতেন সেখানে ৪,৫০০ আইরিশ, ১,৯০০ ইংলিশ এবং ৭০০ স্কটিশ থাকতো। ফলে তার চারপাশের পুরো এলাকাটাই ছিল একটা বৃটিশ আইলস!

মোটামোটি হ্যালোউইন সম্পর্কে ছোটখাটো একটা লেকচার দিয়ে ফেললাম। কিছু ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করে দেবেন আশা করি। সবশেষে একটাই কথা বলবো, হ্যালোউইনের সাথে এখন আর কোন ধর্মীয় উৎসব সম্পৃক্ত নেই। এটা এখন জনমানুষের উৎসব। কেলটিক নেশনদের ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে। আসুন, আপনি আমিও অংশ নেই এই নির্মল আনন্দে। হ্যাপি হ্যালোউইন। ভৌ.....!

৩১ অক্টোবর ২০১০
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

পোস্টে প্লাস। কেলটিক উচ্চারনটা আসলে হবে সেলটিক।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ। কেলটিক উচ্চারণ দুটোই ঠিক। কেলটিক হচ্ছে আইরিশে এবং সেলটিক স্কটিশে। আমার পোস্টে আমি সেটা ব্যাখ্যা করেছিলাম।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

নির্বাসিত পথিক [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ, আবার ক্লিয়ার করার জন্য। যাই হোক প্রথমে আমি পুরোটা সময় করে পড়তে পারিনি। তবে আমি সবসময় সেলটিক শুনে অভ্যস্ত কিনা তাই কেলটিক উচ্চারনটা একটু খটকাচ্ছিলো। নেভার মাইন্ড! চোখ টিপি

কৌস্তুভ এর ছবি

উত্তম জাঝা!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
নাফিজ ইমতিয়াজ পিয়াল এর ছবি

হ্যালোউইন নিয়ে অনেক কিছু জানলাম................ ধন্যবাদ।

একটা প্রশ্ন, আমেরিকার আর কানাডিয়ানদের বেশির ভাগ কি আইরিশ আর স্কটিশ বংশোদ্ভুত?

কৌস্তুভ এর ছবি

আমার এক আমেরিকান দোস্ত হাফ-জাপানী হাফ-আইরিশ। মানে তার বাবার দিকের লোকজন আয়ারল্যান্ড থেকে কোনো সময় এসেছিলেন আরকি। মা জাপান থেকে এখানে পড়তে এসে ওর বাবাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন।
তা তার বক্তব্য, আমেরিকার প্রত্যেক লোকের দেহেই কিছু না কিছু আইরিশ রক্ত আছে। কম বা বেশি।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

একটা প্রশ্ন, আমেরিকার আর কানাডিয়ানদের বেশির ভাগ কি আইরিশ আর স্কটিশ বংশোদ্ভুত?

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১১.৯ শতাংশ লোক নিজেদের আইরিশ-এ্যামেরিকান মনে করে। এছাড়াও স্কট-আইরিশ আছে ১.২ শতাংশ যারা মূলতঃ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড থেকে এসেছে। এদুটো মিলিয়ে আইরিশের সংখ্যা হয় ১৩.১ শতাংশ। এছাড়া ইংলিশ আছে ৯ শতাংশ, স্কটিশ আছে প্রায় ২ শতাংশ এবং ওয়েলশ আছে ০.৭ শতাংশ। এই হিসেবে তৎকালিন ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট বৃটেন এন্ড আয়ারল্যান্ডের মানুষ আছে ২৫ শতাংশের কিছু কম। অন্য একটা জাতিই একমাত্র কাছাকাছি আছে, সেটা হলো জার্মান যাদের সংখ্যা ১৬.৫ শতাংশ।

সূত্র: http://factfinder.census.gov/servlet/ADPTable?_bm=y&-geo_id=01000US&-parsed=true&-ds_name=ACS_2008_1YR_G00_&-_lang=en&-_caller=geoselect&-format=

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

নুসদিন এর ছবি

লেখায় উত্তম জাঝা!। ফার্মভিলের কিছু কিছু গিফটের নামের রহস্য উন্মোচন করতে পারলাম দেঁতো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। এক সময় খুব ফার্মভিল খেলতাম। যদিও এখন আর তেমন একটা খেলা হয় না। ...কোন কোন গিফট-এর সাথে মিল পেলেন? হাসি

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার পোস্ট...

কেবল একটি বিষয়ে সামান্য দ্বিমত আছে। বাংলাদেশে আদৌ হ্যালোউইন উদযাপন হয় কি ?? পত্রিকা না নেটে তো দেখলাম না... অবশ্য এমনও হতে পারে খেয়াল করিনি। আপনি কোথাও পড়েছেন না দেখেছেন নাকি ??

_________________________________________

সেরিওজা

নুসদিন এর ছবি

আমি আজকে ফেসবুকে দেখলাম অনেক বাংলাদেশি বন্ধুই হ্যাপি হ্যালোউইনের স্ট্যাটাস দিয়ে রেখেছে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমি আজকে ফেসবুকে দেখলাম অনেক বাংলাদেশি বন্ধুই হ্যাপি হ্যালোউইনের স্ট্যাটাস দিয়ে রেখেছে।

আমিও ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছি। ইন্টারেস্টিং। হাসি

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমিও তেমন কিছু পত্রিকায় দেখি নি। তবে ফেইসবুকে কিছু ইংলিশ মিডিয়ামের পিচ্চিদের গতবছর হ্যালোউইন পালন করতে দেখেছিলাম। যদিও এ বছর এখনও কোন ছবির এ্যালবাম দেখতে পাচ্ছি না।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

নুসায়ের এর ছবি

পেলাস হাসি

ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

প্লাস এবং শেয়ার - দুয়ের জন্যেই অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

রজত এর ছবি

হ্যালোউইন ভালু পইলাম ।

আশা করি আমাদের দেশে যারা এই উৎসবটি পালন করা শুরু করেছে তারা আপনার লেখা থেকে অনেক কিছুই জানতে পাড়বে ।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

দারুণ পোস্ট, হ্যালোউইন নিয়ে জানা ছিলো না, জানলাম।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ছোটবেলায় তিন গয়েন্দা বই পড়ে প্রথম হ্যালোউইন ব্যাপারটা কী জেনেছিলাম। আরো জানার কৌতুহল ছিল। অলসতার কারনে জানা হয় নাই। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম।

auto
আজ রাতে বাইরে থেকে আসার সময় এই বাচ্চা ভুত গুলোর ট্রিক-অর-ট্রিট খেলা দেখছিলাম।

কমল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমি রাত ১২টায় বাসায় ফিরলাম আজ। দেখলাম চার দিকে সাজসাজ রব। উৎসব উৎসব পরিবেশ। হাসি

একটু অফটপিক প্রশ্ন করছি, আপনি কোন দেশে আছেন?

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সুইডেনে থাকি। গতকাল সব লেখায় ঢুকতে পারলেও আপনার লেখায় কেন যেন ঢোকা যাচ্ছিল না! আগের মন্তব্যটার সাথে 'বাচ্চা ভুত' গুলোর ছবি দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু একটা ঝামেলার কারনে দেখা যাচ্ছে না। আপনি কি জানেন কিভাবে ছবি পোস্ট করতে হয় এখানে?

কমল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এই ট্যাগটা[১] ব্যবহার করে ছবি সংযুক্ত করতে পারবেন।

[১] http://www.w3schools.com/tags/tag_IMG.asp

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখার কল্যাণে জেনে গেলাম অনেক কিছু। ধন্যবাদ। ফেইসবুক আর টুইটারে শেয়ার করলাম।

------------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শেয়ার দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

পল্লব এর ছবি

পোস্ট ভাল্লাগসে! বহুত কিসু জানলাম হ্যালোউইন নিয়ে। কিন্তু এখন মেজাজ খারাপ হইতেসে। আম্রিকার এক মফস্বলে আইসা পড়সি, লোকজন রাত্র আটটার মধ্যে ঘুমায়ে জায়। বাসার আশেপাশে এত্তগুলা আম্রিকান থাকে, ভাবলাম কিসু ভূত দেখব, কিসের কি? তিনটা ইন্ডিয়ান পিচ্চি খালি পাইলাম, বেচারারা একা একা ঘুরতেসে। শহরের কোথাও কিসু নাই। আপনেরে হিংসা লাগতেসে এখন।

পরশুদিন আরেক বড় ভাইয়া-আপুর সাথে বইসা এই দুইটা বানাইসি, জীবনে প্রথম। তাই সবাইরে দেখাইতে ইচ্ছা করতেসে দেঁতো হাসি
kumrakumra

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

"কুমড়া" কিন্তু দারুণ হয়েছে। আমার বরং উল্টা আপনাকে এখন হিংসা হচ্ছে হাসি

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

পল্লব এর ছবি

দেঁতো হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

কৌস্তুভ এর ছবি

কুমড়া ভালা হইসে। লোকজনের চাহনিই আলাদা!

নাশতারান এর ছবি

কুমড়ার জন্য গুরু গুরু

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

ব্যাপক তথ্যবহুল একটি লেখা...
চমৎকার লেগেছে...হ্যালোঊইন নিয়ে ধন্ধে ছিলাম, আমি আসলেই ভাবতাম এটি একটি ধর্মীয় উৎসব হবে মন খারাপ
শেয়ার দিলাম।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্যে এবং শেয়ার দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

নাশতারান এর ছবি

চমৎকার পোস্ট!

বাংলাদেশে হ্যালোউইন পালন করা হয় কি না জানি না। এক বন্ধুকে স্ট্যাটাসে হ্যালোউইন শুভেচ্ছা দিতে দেখেছিলাম অবশ্য।

[বানান: ধরণ > ধরন]

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ধরন বানানটা ঠিক করে দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আমার স্পেলচেকার ধরণ বলেও একটা বানান পাচ্ছে। এই ধরণ-এর অর্থ কী?

'উজ্জ্বাপন' বানানটা লেখায় ভুল আছে। অন্তত স্পেলচেকার তাই ধরেছে। কিন্তু সঠিকটা সাজেস্ট করতে পারছে না। সাহায্য দরকার।

শুভেচ্ছা রইলো।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

নাশতারান এর ছবি

ধরণ অর্থ ধারন(to hold)।

আর যে বানানটা খুঁজছেন সেটা হবে উদযাপন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না আপনাকে। মাঝে মাঝে এভাবে ধরিয়ে দিলে উপকৃত হবো।

আরেকটা বানান নিয়ে সমস্যায় আছি। আমার স্পেল চেকার জিজ্ঞাসা ঠিক ধরে কিন্তু 'জিজ্ঞেস' বা 'জিজ্ঞাস' বানানটা ভুল বলছে। স্পেল চেকার কি ঠিক তথ্য দিচ্ছে?

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

নাশতারান এর ছবি

জিজ্ঞাসা আর জিজ্ঞেস ঠিক। জিজ্ঞাস ভুল।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।
চলুক


কাকস্য পরিবেদনা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা। হাসি

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

কাজী মামুন এর ছবি

সুন্দর উপস্থাপনা।
বাংলাদেশের হ্যালোউইন উদজাপন নিয়ে আরো কিছুটা লিখতে পারতেন, অথবা লিখতে পারেন ভিন্ন কোনো পোস্টে।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

বাংলাদেশে হ্যালোউইন উজ্জাপন একটা ছোট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ। তাছাড়া আমি নিজে দেশছাড়া গত তিন বছর। যতটুকু যা দেখছি ফেইসবুকের মাধ্যমে। সেই তথ্য দিয়ে লিখতে গেলে হয়তো বায়স্ড পোস্ট হয়ে যাবে।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

হাসিব এর ছবি

এইটা কি স্টিকি পোস্ট?
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সম্ভবত না। আমি পোস্টে ছোট এডিট করেছিলাম (টাইপো)। এরপর পোস্টটা উপরে চলে এসেছে!

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

মূলত পাঠক এর ছবি

তথ্যসমৃদ্ধ আর খেটেখুটে লেখা, পড়েও খুব ভালো লাগলো।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

বাউলিয়ানা এর ছবি

বাহ! দারুন লিখেছেন।

অনেক কিছু জানলাম।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
দুর্দান্ত এর ছবি

বাহ! বেশ অনেককিছুই জেনে গেলাম। ধন্যবাদ।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সামনে অন্য বিষয় নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। আশা করি তখনও আসবেন পড়তে।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী।
আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখা ছড়াটা এখানে রেখে গেলাম।

হ্যালোউইনের উৎসবে > সেজেছে আজ ভূত সবে!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সেই ছোট বেলা থেকে আপনি আমার খুব প্রিয় ছড়াকার। প্রিয় ছড়াকারের কাছ থেকে ছড়ায় ছড়ায় মন্তব্য পাওয়া অন্য রকম আনন্দের।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো! একসময় স্বভাব ছিলো গুগল মামা কে গুতিয়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে পড়াশোনা করা! তখন হ্যালোউইন নিয়ে অনেক কিছুই জেনেছিলাম! সেগুলো ঝালাই হলো আপনার পোস্টটা পড়ে! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপু। ভালো থাকবেন।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইয়ে, মানে বলতে চাচ্ছিলাম - আমার নয় বছর বয়সী মেয়ের তো বটেই, আমারও হ্যালুইন ভীষণ ভীষণ পছন্দের একটা ব্যাপার! যখনই সুযোগ পাই কদমা, বাতাসা খাওয়া মানুষ আমি, হ্যালুইনের সময় যে আপাদমস্তক চিনি'র তৈরী ক্যান্ডি কর্নগুলা পাওয়া যায় তার সম্যক সমাদর আমি না করলে কে করবে, বলেন?!

লেখা ভালো লাগলো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপু, মজা লাগলো আপনার কমেন্টটা পড়ে। হয়তো এমন একদিন আসবে যখন আমরা লিখবো হ্যালোউইন-এর খাদ্য তালিকায় বাতাসা, হাওয়াই মিঠাই অন্যতম যা বাংলাদেশ থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হাসি

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া

রাত্রি এর ছবি

হ্যালোয়িন সম্পর্কে জানা ছিল না কিছুই। অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম। কিছু বানান সম্পর্কেও জানা হয়ে গেল। এভাবে আরো অনেক কিছু জানতে পারব বলে আশা করছি।

Mohammad Irfan  এর ছবি

হ্যালোয়িন সম্পর্কে জানা ছিল না কিছুই। অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম।

Sayed Foysal Ahmed এর ছবি

আমরা প্রতিদিনি এই উৎসব পালন করি। প্রতিদিন সরকারী ও বিরোধী দলের কর্মকান্ড আমাদের কাছে এই রকমেরই উৎসব।

শাব্দিক এর ছবি

আজকে গুগলে হ্যালোউইন এর ছবি দেখে এর সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করছিল। আপনার পোস্টটা পড়ে সেটা সম্ভব হল। ধন্যবাদ।
তবে আমি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে পালন করতে দেখিনি হ্যালোউইন।

বৃষ্টির রঙ এর ছবি

ভালো লেগেছে...।

Nusrat Sharmin এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।এটা কি ফেসবুকে শেয়ার করা যাবে?

rizve এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।