আটলান্টিকের পাড়ে শীতের রাতগুলো
ঝুপ করে নেমে আসে; কালো কুয়াশার চাদরে
আপাদমস্তক ঢেকে যেন কোন ফেরারী আসামী।
তারপর একটু একটু করে গভীর থেকে গভীরতর হতে হতে
গ্রাস করে নিতে থাকে মহাকালের বুক থেকে
ঝরে যাওয়া একেকটি দিন।
ক্ষয়িষ্ণু সেই রাতগুলোয় উষ্ণ চিমনির পাশে
নীরবে, একাকী বসে এক দ্বীপান্তরী নাবিক ভাবে
ভীরু চোখে তাকিয়ে থাকা “সেই” বালিকার কথা।
হায় মহাকাল, এখানেই তোমার ব্যর্থতা;
তুমি সব কিছু অতীত করে দিতে পারো
শুধু স্মৃতিগুলো ছাড়া। তুমি কি দেখতে পাও–
কারো স্মৃতিতে, অস্তিত্বে, আর্তনাদে;
প্রতিটা কল্পনার সোপান জুড়ে
তোমার অজর ভ্রূকুটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে
বেঁচে থাকে সেই বালিকা; বর্তমানের বুকে।
তার নূপুর পরা নগ্ন পায়ের ধ্বনি
তার শরীরের গন্ধ; তার ওষ্ঠের উষ্ণ স্পর্শ
মহাকালের বুকে চাবুক চালিয়ে জানান দেয়–
সে অতীত হয় নি; কালান্তে সে কেবলই বর্তমান।
তাই তো আটলান্টিকের পাড়ে শীতার্ত রাতে
দ্বীপান্তরী সেই নাবিকের বুকে
হাজার বছর ধরে, হাজার রাতের কান্নায়
বেঁচে থাকে, বেঁচে থাকবে
ভীরু চোখে তাকিয়ে থাকা “সেই” বালিকা।
১ ডিসেম্বর ২০১০ (রাত ১টা ১৬ মিনিট)
আটলান্টিকের পাড়ে, এক শীতের রাতে
আয়ারল্যান্ড দ্বীপ হতে।
মন্তব্য
ভালো লেগেছে কবিতা।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। অসংখ্য শুভেচ্ছা রইলো।
হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া
টুইটার
আপনার ডায়েরী গুলো সবগুলো পড়েছি আগেই। আজকে কবিতা ভালো লাগলো।
আমার ডায়েরী এবং কবিতা - এ দুটো যেন আমার নিজের ভূবন। ইচ্ছেমত যা খুশি লেখার খাতা! আপনার ভালো লেগেছে জেনে তাই পাগলামীগুলো আরো মাথায় চড়লো । শুভেচ্ছা রইলো।
হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া
টুইটার
নিয়াজ ভাই, ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম...
শাহেদ সেলিম
অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাটা দেখেছি, কিন্তু এখনও পড়া হয় নি। পড়ে মন্তব্য জানাবো।
হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া
টুইটার
শাহেদ সেলিম
ভাল লাগলো যেন একটি কবিতা একটি উপন্যাস!! আমাকেও যেন সেই দ্বীপে নিয়ে গেলেন এই কবিতা দিয়েই ।।।।।।!
গুল্লা সানোয়ার
জর্জ বেস্ট কই?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন