একজন রুমানা মঞ্জুর শুধুই একজন রুমানা মঞ্জুর নয়

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৬/২০১১ - ২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুরোধ করবো লেখাটা পড়ার আগে আপনার পক্ষে বা বিপক্ষের মতামতগুলোকে ১৫ মিনেটের জন্যে তুলে রাখুন। আসুন আমরা একটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টিকে দেখার চেষ্টা করি।

গত কিছুদিন কাজের চাপ একটু বেশী ছিল। অনলাইন থেকে খবরের কাগজ পড়ার সময় হয়ে ওঠে নি।তবু দেশে কী হচ্ছে, না হচ্ছে সেটা ফেইসবুকের হোমপেইজ থেকে দেখে নিচ্ছিলাম মাঝে মাঝে। খবরটা চোখে পড়েছিল দিনের বেলাতেই। তবে বিস্তারিত পড়া হয় নি। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ল্যাপটপ ওপেন করে স্কাইপ থেকে বাংলাদেশে গার্লফ্রেন্ডকে কল দিলাম। কথা বলতে বলতে হঠাৎ সে বলল,
“পিংকী আপুর (আমার ছোটবোন) ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখেছো?”
আমি অন্যমনস্ক ভাবে বললাম, “না। কেন? কী লিখেছে?”
“আপু লিখেছে, জীবনে এই প্রথম বিয়ে নামক ব্যাপারটাকে ভয় পেলাম।”

আমি অন্যমনষ্ক ভাবে হাসি। কোন উত্তর দেই না। তবে তখনও বুঝতে পারি নি এই স্ট্যাটাসের অন্তর্নিহিত অর্থ। আমার মনোযোগ তখন ফেইসবুকে শরতশিশির আপুর শেয়ার করা একটা ভিডিওর প্রতি নিবদ্ধ। ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ একটা ক্লিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুমানা মঞ্জুরকে তাঁর স্বামী শারীরিক নির্যাতন করেছেন। সেটার রিপোর্ট।
আমার গার্লফ্রেন্ডকে ক্লিপটার কথা বলার পর সে সাথে সাথে বলল, “হ্যা, দেখেছি। মুখের অংশটা ব্লার করা ছিল। আম্মু এটা দেখে অনেক টেন্সড।”
আমি যে লিঙ্কটা দেখছিলাম সেটায় কোন কিছু ব্লার করা নেই। তাই অল্প একটু দেখেই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলাম। একটা পত্রিকা থেকে পড়লাম নাকের উপরের অংশ কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। আঙ্গুল দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা চোখ ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আরেকটাকে রক্ষা করা যাবে কিনা সে ব্যাপারে ডাক্তাররা নিশ্চিত নয়।
আমি যখন নিউজটা পড়ছিলাম তখন আমার গার্লফ্রেন্ড এ প্রসঙ্গেই কথা বলে যাচ্ছিল। বলতে বলতে হঠাৎ একসময় বলল, “জানো, আমার খুব ভয় হয়।”
সাথে সাথে আমি পাথর হয়ে গেলাম। আমাকে কোন প্রশ্ন করা হয় নি। তাই আমার উত্তর দেয়ারও কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু আসলে কি তাই? “আমার খুব ভয় হয়” নামক এই আপাত সাধারণ বাক্যটা কি আমাদের এক চরম বাস্তবতার মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে না? একজন নারী যে বিয়ের মাধ্যমে শুধু একটা নূতন সম্পর্কই শুরু করে না, একটা নূতন জীবনও শুরু করে – সে কোন নিশ্চয়তায় একটা ছেলের বুকে নির্ভাবনায় মাথা রাখবে? রুমানা মঞ্জুরও তো সেভাবেই মাথা রেখেছিল। সংসার করেছিল। তাঁদের একটা সন্তানও আছে। তারপরও যদি এমন নির্মমভাবে পাশবিক অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য হয় তাহলে কি ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক নয়? আমার নিজেরও ছোটবোন আছে। সেকি ভবিষ্যতে বিয়ের পর নিরাপদ থাকবে? প্রশ্নগুলো আমার মাথায় ঘুরতে শুরু করে। আর সাথে সাথেই আমি অনুভব করি একজন রুমানা মঞ্জুর শুধুই একজন রুমানা মঞ্জুর নয়। তিনি আমার মা, আমার ছোটবোন, আমার গার্লফ্রেন্ড – সবার পক্ষ থেকে পুরুষের কাছে একজন নারীর নিরাপত্তার প্রশ্নটি তুলে ধরেছেন।

মাত্র একদিন পরই আমি আবিষ্কার করলাম ঘটনার ভয়াবহতা আসলে রুমানা মঞ্জুরের ক্ষতবিক্ষত মুখেই সীমাবদ্ধ নয়। এর ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের প্রতিটা স্তরে স্তরে। প্রথমতঃ অপরাধীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের সময় লাগলো সপ্তাহ খানেক। তাও আদালতের কারণদর্শানোর নোটিশ জারির পরই কেবল সেটা সম্ভব হলো। একটা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে যখন একজন নারী নির্যাতনকারীকে ধরার জন্যে আদেশ দিতে হয়, তখন সে দেশের আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে।

তবে এর থেকেও ভয়াবহ হলো ধরা পড়ার পর একটা নরপশু যে মিথ্যে বর্ণনা দিল তা বিশ্বাস করে নির্যাতিত নারীর বিরুদ্ধে আপপ্রচার শুরু করা। ফেইসবুক, টুইটার এবং ব্লগগুলোতে যেভাবে এক শ্রেনীর মানুষ নরপশুটার পক্ষ নিতে শুরু করলো, তাতে মনে হলো একজন হাসান সাইদকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু এরকম হাজার হাজার হাসান সাইদ আমাদের সমাজে ঘাপটি মেরে রয়েছে। তারা শিক্ষিত, ভালো চাকরী করে। দেখে শুনে হাজার বেছে একটা মেয়েকে বিয়ে করবে। তারপর বেরিয়ে আসবে তাদের ভেতরের হাসান সাইদ। তারা তাদের স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন করে মৃত্যু-পথযাত্রী করবে এবং অন্য হাসান সাইদরা এসে বলবে, “একটা মানুষতো এমনি এমনি এমনটা করতে পারে না। নিশ্চয় কোথাও কোন সমস্যা রয়েছে।” নির্যাতিত নারীর নষ্ট হয়ে যাওয়া চোখটা তাদের সুস্থ থাকা চোখ দিয়েও দেখবে না বরং তারা যুক্তি দিয়ে এই পাশবিক আচরণকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবে। এ যেন এক চেইন রিএ্যাকশন। সমাজের জন্যে এক ক্যানসার!

আপাতত বিষয়টা এখানে থামিয়ে রাখছি। আবার ফিরে আসবো এই প্রসঙ্গে লেখার শেষ ভাগে।

রুমানা মঞ্জুরের ডাক নাম হেমা। তার স্কুল জীবনের এক বান্ধবীর ব্লগ থেকে পড়লাম, হেমা এবং হাসানের বিয়ের অনেক আগে থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। বুয়েটে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো ছেলেটা। মেধাবী সে বটেই। তা না হলে প্রথমতঃ বুয়েটে এবং তার উপর ইলেক্ট্রিকালে চান্স পেত না। কিন্তু পরের গল্প উল্টে যায়। হাসান পড়ালেখা শেষ করে বের হতে পারে না (অনেকের ধারণা হাসান বুয়েট থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার। আসলে তথ্যটা ভুল।)। আর হেমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দারুণ ফলাফল করে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের শিক্ষিকা রুমানা মঞ্জুর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে সেখানেই তাঁর থেমে যাওয়া নয়। তিনি ম্যাকগিল এবং টরোন্টোর পরই ক্যানাডার ৩য় সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান। আর এই পড়তে যাওয়াই তাঁর জন্যে কাল হয়।

আসুন আমরা এর পরের ঘটনা দুজনের বক্তব্য থেকে আলাদা আলাদা করে দেখার চেষ্টা করি:
রুমানা মঞ্জুর যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে তাঁর স্বামী হাসান সাইদ বর্তমানে বেকার। সে স্ত্রীর অতিরিক্ত সাফল্য মেনে নিতে পারছে না। তাই স্ত্রী মাস্টার্সের থিসিস জমা দেয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে দেশে আসার পর আর তাকে বিদেশে যেতে দিতে চাচ্ছিল না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সে পাশবিক আক্রমণ চালায় স্ত্রীর উপর। আক্রমণের সময়ও রুমানা মঞ্জুর তাঁর বাবার বাড়িতে ছিলেন।

এখানে কোন কোন কথাগুলো সম্ভাব্য মিথ্যা হতে পারে? হাসান সাইদ বেকার। এটা প্রমাণিত হয়েছে। সে থাকে শশুরবাড়ীতে, এটাও সত্য। সে পাশ-না-করা-ইঞ্জিনিয়ার। এটা বাস্তবতা। রুমানা মঞ্জুর যদি মিথ্যে বলে থাকে তাহলে সেটা হবে তার সাফল্যের প্রতি তার স্বামীর ঈর্ষা।

হাসান সাইদ অভিযোগ করেছে রুমানা পরকীয়া করছিল এক ইরানী ছেলের সাথে। সেই ঘটনার জের ধরে রুমানা তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। ঘুমের ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় হাসানের দৃষ্টি শক্তি প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অতঃপর সে রুমানার ফেইসবুক থেকে সেই ইরানী ছেলেকে খুঁজে বের করে আনফ্রেন্ড করতে গেলে দুজনের ধস্তাধস্তি হয়। আরেক বর্ণনায় হাসান বলেছে, রুমানা তার মুখের এমন অবস্থা নিজেই করেছে; এমন কি চোখও নিজেই উপড়ে ফেলেছে। তবে সবচেয়ে বড় যে অভিযোগ হাসান করে সেটা হলো, সে নাকি তার এক বন্ধু মারফত খবর পায় রুমানা ক্যানাডায় একা থাকে, বাঙালী কমিউনিটি থেতে দূরে থাকে এবং তার আচরণ সন্দেহজনক।

একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন হাসানের বর্ণনায় অনেক ফাঁক রয়েছে। এমন কি ক্ষেত্র-বিশেষে তার বর্ণনার ধরন অপ্রকৃতস্থ। রুমানা যার চোখ নষ্ট করে দিয়েছে সে ফেইসবুক থেকে একজনকে খুঁজে বের করে আনফ্রেন্ড করলো কী করে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে “আতশী কাচ দিয়ে”। অত্যন্ত অবাস্তব হলেও যদি ধরে নেই রুমানা নিজের চোখ নিজে উপড়ে ফেলেছে, তবু সে নিজের নাক নিজে কী করে কামড়ালো সে প্রশ্ন থেকেই যায়। এগুলো নিয়ে কথা বলার আসলে তেমন কোন প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষমাত্রই এটা বুঝবে এগুলো নিজেকে বাঁচানোর জন্যে হাসান বলছে। তবে যে প্রসঙ্গটা নিয়ে মানুষ কথা বলতে শুরু করেছে এখন, সেটা হলো পরকীয়ার বিষয়টা।

এখানে আমার নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমি গত সাড়ে তিন বছর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে থাকি। আমার এই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানের বাঙালী কমিউনিটির একটা প্রিয় এবং আলোচিত কাজ হচ্ছে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা ছড়ানো (কাছের মানুষের কাছে শুনেছি যুক্তরাজ্য এবং ক্যানাডায়ও একই চিত্র)। আয়ারল্যান্ডে আমি আইরিশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়তে এসেছিলাম। এখানে আমার কাজ করার প্রয়োজন ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়-বাসা-সিনেমা-স্পোর্সবার-বিশ্ববিদ্যালয়। এই ছিল আমার জীবন। পড়া শেষে আমি আয়ারল্যান্ড ছেড়ে চলে যাবো। আনন্দের স্মৃতিগুলো মনে রাখবো। তিক্তগুলো ভুলে যাবো। এই আমার উদ্দেশ্য। ফলে আমি বাঙালী কমিউনিটিকে এড়িয়ে গিয়েছি সযত্নে। বাসা শেয়ার করেছি ইউরোপিয়ানদের সাথে; অধিকাংশ সময় মেয়েদের সাথে। আমরা এক সাথে পার্টি করেছি, ঘুরেছি, ফান করেছি। এখন যদি কোন বাঙালী ভাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আমার আচরণ সন্দেহজনক, সেটাকে কীভাবে দেখবেন আপনারা? আমার চারিত্রিক সার্টিফিকেট নিতে বাঙালী কমিউনিটিতে যেতে হবে? যদি তাই হয়, তাহলে সেই সার্টিফিকেটের আমার দরকার নেই। রুমানাও একই কাজ করেছিল। আমি খুব ভালোভাবে বুঝি কেন সে এটা করেছিল।

রুমানার এই বাঙালী কমিউনিটিকে বর্জন করাটা অনেক পুরুষের কাছে “সন্দেহের কারণ” হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি আমরা ধরেও নেই রুমানা পরকীয়াই করছিল, তবু কি সেটা খুব বড় অন্যায় হয়ে যেতো? আমি অনেককে বলতে শুনেছি রুমানার আজকের অবস্থার কারণ সে নিজেই! কিন্তু কেন? একটা মেয়ে যদি কোন ছেলের সাথে আর সম্পর্কে না থাকতে চায়, তাহলে সেটা কি অন্যায়? সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয়া তার অধিকার। তার উপর এমন একজন স্বামী যে নিয়মিত তার উপর অত্যাচার করছে এবং তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত (হাসানের বক্তব্য খণ্ডানোর পর রুমানার অভিযোগই সত্য বলে মনে হয়), তাকে ছেড়ে অন্যের প্রতি দুর্বল হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। অথচ এর করণে (যদি রুমানা পরকীয় করে থাকে, তবে আমি বলছি না করেছে) আজ রুমানার সাথে যা ঘটলো তাকে এক শ্রেনীর পুরুষরা কত সুন্দর জাস্টিফাই করে ফেললো! একবারও ভাবলো না হাসান কিন্তু দিব্যি তার সুস্থ-সুন্দর চেহারা নিয়ে বসে রয়েছে।

হাসান সাইদের সমর্থন যারা করছেন, সেই মানুষগুলোর প্রতি আমার একটাই প্রশ্ন, এই ঘটনা যদি আজ আপনার বোনের সাথে ঘটতো, তাহলে কি ঠিক এভাবেই আপনারা আপনার বোনের নরপশু স্বামীকে সমর্থন করতে পারতেন?

লেখাটার একদম শেষে চলে এসেছি। এখনও আমার কানে বাজছে সেই কথাটা, “আমার খুব ভয় হয়”। আমি এই ভয় কী করে দূর করবো? আমি কি আমাকে চিনি? আমি বদলে যাবো না তো? রুমানাতো হাসানকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল। তবে তার কেন এই পরিণতি হলো? হাসানের ভেতরের পশুটা যেভাবে বেরিয়ে এলো সেভাবে কি আমার ভেতর থেকেও একটা পশু বেরিয়ে আসবে? যদি ধরে নেই আমি আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, তবু আমি কী করে বিশ্বাস করবো আমার ছোট বোনের সাথে এমনটা ঘটবে না? যারা আজ রুমানার স্বামীকে সমর্থন দিচ্ছে, আমার ছোটবোনের হবু-বরও যে তাদের দলভুক্ত নয় আমি সেটা কী করে বুঝবো?

প্রশ্নগুলো মাথার মধ্যে এলোমেলো আঘাত করছে। এটা বাস্তবতা। প্রশ্নগুলো আসবেই। আর সেজন্যেই একজন রুমানা মঞ্জুর শুধুই একজন রুমানা মঞ্জুর থাকে না। সে আপনার-আমার বোনে পরিণত হয়।

১৬ জুন ২০১১
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড।


মন্তব্য

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

সবকিছু নষ্টদের দখলে চলে গেছে!!! মন খারাপ

মূল্যবোধের জাগরণ দরকার, সমাজ সংস্কার দরকার, সার্বজনীন সচেতনতার দরকার, নৈতিক ও সুশিক্ষা দরকার আজ এই পচনধরা সমাজের!! আর কত রুমানার রক্ত ঝড়বে কেউ কি বলতে পারে?! মন খারাপ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত। সমাজে মূল্যবোধের জাগরণ হওয়া খুব দরকার। একজন রুমানাকে দেখতে পাচ্ছি। এরকম অনেক রুমানা নির্যাতন সহ্য করে চলেছে। মূল্যবোধের উদয় না হলে সেই অদেখা নির্যাতনগুলো বন্ধ করা যাবে না।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

আসলেই খুব দরকার নিয়াজ ভাই, খুব দরকার। "আমার খুব ভয় হয়" এর সামনে দাঁড়াব কী করে!!! মন খারাপ

অপছন্দনীয় এর ছবি

হাসান সাইদের সমর্থন যারা করছেন......এই ঘটনা যদি আজ আপনার বোনের সাথে ঘটতো...... সমর্থন করতে পারতেন?

জ্বী, পারতেন। যে কেউ যার সাথে এই ঘটনা ঘটাক না কেন, ওনারা সমর্থন করতে পারতেন, করতেন, এবং ভবিষ্যতেও করবেন। ছোট্টোবেলায় ভাবসম্প্রসারণ করতে গিয়ে একটা বাক্য পড়েছেন নিশ্চয়ই, "প্রাণ থাকলে প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয়না" - যাদের কথা বললেন তারা বাংলাদেশী মেল শভিনিস্ট সমাজের মেল শভিনিস্ট কাপুরুষবিশেষ, কারো ক্ষেত্রেই পাশবিকতা সমর্থন করতে বাধে না তাদের।

আমি নিজেও একা থাকতে পছন্দ করি। ক্যানাডায় তো বটেই, এমনকি ঢাকায়ও আমি পুরো সমাজকে এড়িয়ে একাই থাকতাম। সেজন্য পেছনে অনেক কথা হতো, কিন্তু এক দুইবারের পরে সামনে এসে কেউ বলতো না। বলতো না কারণ আমি সামাজিক ভদ্রলোক নই, আমাকে খোঁচা মারতে এলে চড় খেয়ে ফেরত যেতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করেছে এটা নিয়ে কথা বলতে, উলটো অপমানিত হয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। এই কুকুরগুলো এমনই, মুগুরটা ব্যবহার করুন, সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে, আর একটু ভদ্রতা করতে যান, গোড়ালিতে কামড় বসাবে। ক্যানাডারগুলোকে এড়াই ঠিক না, বরং বলা উচিত সামনে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিয়ে আসি যে পৃথিবীতে ওদের মত কীটপতঙ্গের অস্তিত্ব সম্পর্কেই আমি সচেতন নই।

ওই পশুটাকে তো বটেই, এই পশুর সমর্থনে অন্য যে পশুগুলো কথা বলে সেগুলোকেও ওর সাথে একই দড়িতে ঝোলানো উচিত। এবং আপনার খবর জানি না, আমার সাথে এরকম কোন পশুর পরিচয় হলে সামনে থেকে সরার আগে সে নিজের পশু পরিচয়ের পূর্ণ উপলব্ধি নিয়েই যাবে। নিজের চোখ নিজে আঙুল দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে তাই না? নির্লজ্জতারও একটা সীমা থাকা উচিত।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এই পশুগুলো যেভাবে ফেইসবুকে বিভিন্ন পেইজে কমেন্ট করছিল, আমার মনে হচ্ছিল যেন এদের জন্ম কোন নারীর মাধ্যমে হয় নি। মন খারাপ

guest_writer এর ছবি

হাসান সাইদের সমর্থন যারা করছেন......এই ঘটনা যদি আজ আপনার বোনের সাথে ঘটতো...... সমর্থন করতে পারতেন?

এই প্রশ্নটাই আমার বালিকা-বন্ধু রাজিব নামে তার এক বন্ধুকে(নাকি পশুকে? যে আমারও বন্ধু, যা ভাবতেই আমার এখন ঘৃণা হচ্ছে) করেছিল। তার জবাব ছিল এম্নি এম্নি নিশ্চয় কিছু ঘটেনি, এখানে অবশ্যই কিন্তু আছে ।তার এই চিন্তা কিন্তু হাসান সাঈদকে ধরার আগে থেকেই, যখন আমরা ফেসবুকে রুমানা মঞ্জুরের ভিডিওটা আপলোড করলাম তখন থেকেই। তার সাথে ফেসবুকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমার বালিকা বন্ধু আমাকে বলল "আমাকে একটা রিভালবার জোগাড় করে দিতে পারবে, শুধু দুটো গুলি থাকলেই হবে- ঐ দুইটা নরপশুর (হাসান সাঈদ ও রাজীব) জন্য।"
রাজিবের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব আজ ৭ বছর ধরে, অথচ এভাবেই এইসব নরপশুরা ভালোমানুষের বেশে আমাদের মধ্যে ঘাপ্টি মেরে আছে- বন্ধু হয়ে, আপনজন হয়ে.........

এদের সবাইকে একেবারে মেরে ফেললে হবেনা, এদের মারতে হবে বছরের পর বছর তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে রেগে টং

নির্ঝরা শ্রাবণ

Kamrul Hasan এর ছবি

"এই কুকুরগুলো এমনই, মুগুরটা ব্যবহার করুন, সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে, আর একটু ভদ্রতা করতে যান, গোড়ালিতে কামড় বসাবে। ক্যানাডারগুলোকে এড়াই ঠিক না, বরং বলা উচিত সামনে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিয়ে আসি যে পৃথিবীতে ওদের মত কীটপতঙ্গের অস্তিত্ব সম্পর্কেই আমি সচেতন নই।"

এইতো আসল কথা বাইর হইছে। মাইরের উপর ওষুধ নাই।
ইথিক্স একটা জেনেটিক্যাল ব্যাপার। সবার কাছ থেকে এটা আশা করা ভূল। এই মানুষরূপী পশুগুলোর একটাই অস্ত্র - কুৎসা রটানো। আর কুৎসা যে কত বড় সামাজিক অশান্তির উৎস এরা তা বোঝে না। আবার অনেকে বুঝেও অন্যকে ছোট করার উদ্দেশ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অন্যের ক্ষতিকরার মানসিকতা নিয়ে করে। অনেকে তো আবার এটাকে স্মার্টনেস মনেকরে। চারপাশে এখন আলোচনা মানেই কুৎসা রটনা। সামাজিক হবেন কি? অসামাজিক থাকাই ভালো। আমিও একা চলি। আমি ব্যতিক্রম বলে আমারও অনেক শত্রু।
অকারনে।
হিংসায়।

বাংলাদেশ ভর্তি শুধু জেলাস মানুষ দিয়ে।
এদেরকে মাইরের উপরই রাখতে হবে। দুঃখ এটাই যে বাংলার আবর্জনা গুলো সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরছে।

অপছন্দনীয় ভাই, আপনারে পছন্দ করলাম।

কুশল আহমেদ এর ছবি

এসব নরপশুদের ফায়ারিং স্কেয়াডে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা উচিত।

guest_writer এর ছবি

এসব নরপশুদের ফায়ারিং স্কেয়াডে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা উচিত।

এতে করে একজন সাইদকে না হয় ধ্বংস করা গেল, কিন্তু সাইদের যে বীজ সমাজ বয়ে চলেছে হাজার হাজার বছর ধরে, তা থেকে মুক্ত হতে না পারলে কাল অন্য এক সাইদ একই ঘটনা আবার ঘটাবে।

========
আমি জানি না

dihan এর ছবি

সাইদ-রুমানা নিয়ে লেখা পড়লাম। বুঝলাম যে সাইদের দোষ। আমি সাবধানে থাকব। বিয়া টিয়ায় আমি নেই। মেয়েরা বড় unpredictable

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমরা ছেলেরাও কম আন-প্রিডিকটেবল নয়। হাসান সাইদকেই দেখুন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অসাধারণ লেখা! সেকশন ৩ এর যুক্তি খন্ডনটা আর কোথাও দেখেছি। চমৎকার এই বিশ্লেষণের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। বিভিন্ন ব্লগে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কিছু মানুষের অপপ্রচার দেখে লিখতে বাধ্য হলাম।

শুভেচ্ছা রইলো।

কৌস্তুভ এর ছবি

চমৎকার আলোচনা। "একজন রুমানা মঞ্জুর শুধুই একজন রুমানা মঞ্জুর নয়" এ প্রচণ্ড সহমত।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শুভেচ্ছা রইলো।

তাসনীম এর ছবি

অসাধারণ লেখাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শুভেচ্ছা রইলো।

ধূসর অরণ্য এর ছবি

আপনার পরকীয়া এর ব্যাখ্যাটা আমার কাছে ক্লীয়ার না। "পরকীয়া" ঘৃণ্য । সেটা যেই করুক না কেন এবং যে কারনেই করুক না কেন , তাতে "পরকীয়া" জায়েজ হবে না।
রুমানার প্রতি আমার এতটুকু শ্রদ্ধাবোধ আছে যে আমি মনে করি, যদি উনি মনে করতেন ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত, উনি তখনই চলে যেতেন। এর জন্য কানাডা, বিদেশী ছেলে এসব কিছুর প্রয়োজন উনার ছিল না ।
রুমানাকে নিয়ে এভাবে লিখতে গিয়ে আপনি ওনাকে খাটো করেছেন বলে আমি মনে করি।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

প্রথমতঃ আমি বলি নি রুমানা মঞ্জুর পরকীয়া করেছেন। আমি বলেছি যদি করে থাকেন তবে সেটার পেছনে কারণ কী হতে পারে। লেখার শুরুতেই আমি বলে নিয়েছি আমি এখানে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে লিখবো। এখানে আমি তাঁর পক্ষ নিয়ে লিখি নি। তাই তাঁকে খাটো করা বা বড় করার কোন প্রচেষ্টাই আমার ছিল না।

দ্বিতীয়তঃ চলে যাওয়ার পেছনে কারণ লাগে। একজন মেয়ে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ঠিক করতে পারে যে সে তার স্বামীকে ছেড়ে চলে যাবো। এর জন্যে অন্য কোন পুরুষের প্রতি তার ভালো লাগা কাজ করতে পারে, স্বামীর ব্যবহারে অতি-বিরক্ত হয়ে এমনটা করতে পারে অথবা নির্যাতিত হয়ে এমন কাজ করতে বাধ্য হতে পারে। পরকীয়া এখানে একটা কারণ মাত্র। রুমানার ক্ষেত্রে যদি তা থেকে থাকে তবে সেটার স্বরূপ পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা আপনার-আমার দৃষ্টিকোন থেকে সম্ভব নয়। সেটা মানুষ থেকে মানুষে একেক রকম হবে। তাই "পরকীয়া ঘৃণ্য" এ কথা কোন ভাবেই মানতে পারছি না।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

আচ্ছা একটা বিষয় আমার কাছে স্পষ্ট নয় রুমানা যে পরকীয়া করতেন এটা কি প্রমাণিত হয়েছে? আমার কাছে তো এটা সাজানো নাটক মনে হচ্ছে, সাইদকে টাকায় কেনা উকিল শিখিয়ে দিয়েছে সম্ভবত! প্রমাণ ছাড়া রুমানাকে এটা বলা/অভিযুক্তই তো করা যায় না!

আর ব্যক্তিগতভাবে আমি পরকীয়াকে সমর্থন করি না, এটা সামাজিক সম্পর্কের যে বিশ্বাস তা ভঙ্গ করে। একি সাথে একজনের সাথে সামাজিক সম্পর্ক থাকবে আবার আড়ালে অন্য কারো সাথে অনৈতিক সম্পর্ক থাকবে, এতে চরম প্রতারণা করা হয়। দূষিত চরিত্রের কারণে পরকীয়া করলে তা আমার কাছে অপছন্দনীয়/ঘৃণ্যও বলা যায়। আর বেটারহাফের অত্যাচার/নির্যাতনের কারণে হয়ে গেলে/করতে হলে সেক্ষেত্রে তার উচিৎ খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্বসম্পর্কের ইতি টেনে যাকে ভালো লাগে তার কাছে যাওয়া। সম্পর্ক হবে ভালো লাগার ভিত্তিতে স্বত:স্ফূর্ত, বাধ্যবাধকতার ভিত্তিতে নয়।

পাঠক_২৩৮ এর ছবি

তাই "পরকীয়া ঘৃণ্য" এ কথা কোন ভাবেই মানতে পারছি না।

আপনি এখনো একই কথা বলে যাচ্ছেন? আপনি কি ব্লগের অন্য সবার লিখা পড়ছেন না? হাসালেন ভাই আপনি। ভাল থাকবেন।

ধূসর অরণ্য এর ছবি

আসলে আপনি মূল লিখা থেকে দূরে সরে গিয়ে বিভিন্ন অপ্রয়জনীয় বিষয় ( পরকীয়া, বিদেশে বাঙ্গালী কালচার) টেনে নিয়ে এসে মূল লিখাটাকে হালকা করে ফেলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা আপনি আবার লিখছেন

"পরকীয়া ঘৃণ্য" এ কথা কোন ভাবেই মানতে পারছি না

এই মানসিকতা নিয়ে আপনি সচলে ব্লগিং করেন ! ভাবতে অবাক ই লাগে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনি তো হাসলেন। আর আমি বিরক্ত হচ্ছি।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

পরকীয়ার বিষয়টা মোটেও অপ্রয়োজনীয় নয়। আমি হাসানের বলা দুটো কথার পরিপ্রেক্ষিতে পরকীয়া এবং বিদেশে বাঙালী কমিউনিটি - এই দুটো বক্তব্য এনেছি। মূলতঃ এ দুটো বক্তব্য ছাড়া এ লেখা এবং পত্রিকার একটা রিপোর্টের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না।

ভাই, একটা আইডি খুলে ব্লগিং করতে আসুন। আমরাও আপনার মানসিকতার সাথে পরিচিত হই চোখ টিপি

ধূসর অরণ্য এর ছবি

ভাই আমি আপনাদের মত বড় কোন ব্লগার না। ব্লগে ব্লগে ঘুরে লেখা পড়ি। সবখানে কমেন্ট ও করা যায় না ।এখানে করা যায়। তাই ব্লগার হবার সাধ জাগল মনে। সাঈদের কথা শুনেই রুমানা পরকীয়া করেছে ধরে নিয়ে, পরকীয়াকে জাস্টিফাই করতে লেগে যাওয়া, আমার কাছে মনঃপুত হয়নি। তাই এতকিছু লিখলাম। আপনার আর আপনার গার্লফ্রেন্ড এর মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখিত।আপনারা লিখুন। আমি না হয় পাঠক ই থাকলাম।

পাগল মন এর ছবি

আপনার যুক্তিগুলো অকাট্য। খন্ডানোর ভাষা আমার নেই।
তবে বাইরে বাঙালি কমিউনিটি নিয়ে কিছু বলার আছে। তার উপরে রুমানা মঞ্জুর আমার ইউনিভার্সিটিতেই পড়ছেন। বাঙালি কমিউনিটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাও যে খুব ভালো তেমন না কিন্তু মাঝে মাঝে কিন্তু এরাই দেশের বাইরে অনেক আপন হতে পারে। আর খারাপ ভালো সব কিছুরই আছে, সো খারাপটা চিন্তা করে সব কিছু থেকে দূরে থাকলে চলবে কী?

যাহোক, আমরা বাঙালি কমিউনিটি এখানকার বিষয়টা নিয়ে ইতোমধ্যে ইউনিভার্সিটি প্রশাসনে যোগাযোগ করেছি। ইউবিসির প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। আমরা উনার জন্য আমাদের করণীয় ঠিক করার জন্য একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলেছি। সেখানে বাঙালি ছাড়াও এখানকার ছাত্রছাত্রী যারা উনার ক্লাসমেট কিংবা রুমমেট ছিলেন তারা যোগ দিয়েছেন। আগ্রহীরা এখানে গিয়ে দেখতে পারেন এবং আপনাদের সাজেশন দিতে পারেন।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ভালো কিছু করলে সেটাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো। তবে এটাও ভুলে গেলে চলবে না আজ রুমানা মঞ্জুর যে সাপোর্টটা পাচ্ছেন সেটা অনেক বড় একটা ঘটনা ঘটে যাবার পর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের কমিউনিটিগুলোকে আরো সচেতন হতে হবে। তা না হলে নিজেদের অজান্তেই পেছনে কথা বলে আমরা অনেক মানুষের ব্যাক্তিগত জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারি।

শুভেচ্ছা রইলো।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

"আমার খুব ভয় হয়"— এই কথাটার কোনো জবাব আমার কাছেও নেই। খবরটা জানার পর থেকেই বারবার একটা কথাই মনে হচ্ছে, আমাকে কেন্দ্র করেও যদি না-বলা এই কথাটা ঘূণাক্ষরেও কারো মনে আসে, কী হবে আমার জবাব!

কথাগুলো যতোবার ভাবছি, ততোবার নিজের ভেতরেই নিজে কুঁকড়ে যাচ্ছি! মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে বারবার...

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনি যেভাবে বললেন, ঠিক তেমনই একটা অনুভূতি থেকে লেখাটা লিখতে বসেছিলাম। সহমত।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পুরুষ হিসেবে লজ্জিত।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

কয়েকদিন আগে ঠিক এমনটাই স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ফেইসবুকে। মন খারাপ

রাহিন হায়দার এর ছবি

স্বামী তার স্ত্রীর চোখ উপড়ে ফেলেছে, নাক কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেছে, এটা সুস্থ মস্তিষ্কে জাস্টিফাই করা সম্ভব না, স্ত্রী যাই করে থাকুন না কেন। বোঝা গেল, আশেপাশে প্রচুর অসুস্থ ও অসভ্য লোকজন!

আমি থাম্বনেইল দেখেই ভিডিওটা দেখার সাহস করি নি। দুর্ভাগ্যবশত, একটু আগে ঘটনার বিশদ বিবরণ পড়লাম।

দারুণ লিখেছেন। চলুক

আরাফাত৫২৯ এর ছবি

লেখক পরকীয়াকে সমর্থন করেছেন যেটা গ্রহণযোগ্য নয়। লেখক বলেছেন, আপনার বোনের সাথে এমন ঘটনা ঘটলে আপনি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতেন? আমার প্রশ্ন লেখকের গার্লফ্রেন্ড পরকীয়া করলে লেখক কি করতেন? বোঝা যাচ্ছে, লেখক অনেক ফান করছেন জীবনে ...(উনি নিজেই উনার লেখাতে বলছেন), আবার দেশেও উনার গার্লফ্রেন্ড আছেন। তাই পরকীয়ার ব্যাপারটা উনার কাছে হয়ত অনেক সস্তা হয়ে গেছে। বাস্তব কথা হল নিজের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে তা মেনে নেওয়াও ক্ষমতা বেশিরভাগ মানুষেরই নাই। এইটাই রিয়েল ফ্যাক্ট। তবে এই পুরা ব্যাপারটা প্রমাণ সাপেক্ষ। রুমানা পরকিয়া করছেন এর কোন ভ্যালিড প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নাই। আসলে এইখানে আমাদের আমজনতার ভূমিকা কি হবে সেটা ভাবা যাকঃ

১। রুমানাকে সাঈদ নির্যাতন করছেন, এইটা স্বীকৃত ও প্রমাণিত। সুতরাং সাঈদের শাস্তি অবধারিত।
২। রুমানা পরকীয়া করলে কিছুটা শাস্তি তারও প্রাপ্য। তবে সেটা প্রমাণ করতে হবে। যেটার অনেক গুণ বেশি সে ইতিমধ্য পেয়েছে কোন বিচার ছাড়াই।

কিন্তু আমজনতা দেখা যাচ্ছে সুস্পষ্ট দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। মূল বিষয় বাদ দিয়ে কে পশু আর কে নরপশু এই হিসাবেই অনেকে ব্যস্ত। মূল কথা, স্ত্রী নির্যাতন যেমন নিন্দিত, তামনি পরকীয়াও। দুইটাই শাস্তিযোগ্য এবং অঙ্গাঅঙ্গিক ভাবে জড়িত। রুমানার করুণ দশা দেখে করুণাবশত অনেকেই পরকীয়াকে সমর্থণ করছেন, যেটা গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে হয়।

সাঈদ পশু।

পাগল মন এর ছবি

আমরা কতটা খারাপ আপনার মন্তব্য সেটা আরো একবার প্রমাণ করলো। আপনি রুমানা মঞ্জুরকে চেনেন? মনে হয় চেনেন না। আপনি জানেনও না উনি কানাডায় বসে কী করেছেন। আর উনার নরপশু স্বামী কী করেছে সেটা আশা করি দেখেছেন। তারপরেও কিভাবে একজন নরপশুর কথায় আরেকজন যাকে চেনেন না, জানেন না তাকে সন্দেহ করতে পারেন। রুমানা পরকীয়া করেছেন না কী করেছেন সেটা কী আসলেই এতটা গুরুত্বপূর্ণ? হলে, কেন? কেউ পরকীয়া করলে কী তাকে এভাবে (অথবা মারধোর/মানসিক অত্যাচার) মারা জায়েজ হয়ে যায়?
তাছাড়া নরপশুটা জানত যে সে যদি পরকীয়ার কথা বলে তাহলে সে এরকম অনেকের সহানুভুতি পাবে। সেজনয়ই সে একথা বলেছে। তার একথা যদি বিশ্বাসযোগ্য হয় তাহলে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে রুমানা ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন, নরপশুটার কোন দোষ নেই। হায়রে বাঙালি!! মন খারাপ

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

প্রথা বিরোধী এর ছবি

জনাব আরাফাতের সাথে সম্পূর্নভাবে একমত পোষন করছি-
"১। রুমানাকে সাঈদ নির্যাতন করছেন, এইটা স্বীকৃত ও প্রমাণিত। সুতরাং সাঈদের শাস্তি অবধারিত।
২। রুমানা পরকীয়া করলে কিছুটা শাস্তি তারও প্রাপ্য। তবে সেটা প্রমাণ করতে হবে। যেটার অনেক গুণ বেশি সে ইতিমধ্য পেয়েছে কোন বিচার ছাড়াই ।
৩।সাঈদ পশু "

আমি বিশাস করি মানব সমাজের সবচাইতে কার্যকরী এবং গুরুত্বপুর্ণ সংগঠন হলো পরিবার; যা মানুষ কয়েক হাজার বছরে প্রমাণ করেছে এবং পাশ্চাত্য নতুন করে পোক্ত করতে চাইছে। রুমানা-সাঈদ কাহিনীর অবসান হোক সব সমাজ থেকে ।

কিন্তু এরকম পরিবারে বিবাহবন্ধনে "আবদ্ধ" পুরুষদের মধ্যে যারা চাকুরে বা অচাকুরে, সফল বা অসফল, সুন্দরী বা অসুন্দরী, দেশি বা বিদেশি সহধর্মীনিদের মাধ্যমে মুখে বা হাতে, অর্থনৈতিকভাবে বা চরম মানসিকভাবে, গৃহাভ্যন্তরে বা বাহিরে নির্যাতিত হচ্ছেন প্রতিদিন- তাদের নিয়ে কোন আইন বা সংগঠন বা মাধ্যম কথা বলে না ; মানবাধিকার তো মানুষের জন্যেই- আর "দূর্বল" পুরুষরাও তো মানুষ। কিন্তু দেশে-বিদেশে এরকম ঘটনা পুরুষেরা পৌরষিত লজ্জায় বা রুমানার মত সন্তান-সন্ততির ভবিষ্যতের কথা ভেবে বা নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে সব কিছু মেনে নেন । কিন্তু সহ্যের সীমা পেরিয়ে বা সহধর্মীনির আচরনে "provoked" হয়ে অনেকেই হয়ে ওঠেন " পশু সাঈদ"- সে হতে পারে আমাদের মত অনুন্নত দেশে বা উন্নত দেশে !!

আমি জানি আমার এহেন মন্ত্যবে অনেক অবিবাহিত বা মুক্ত-সম্পর্কে (open relation) বিশাসী অনেক পুরুষ এবং পৃথিবীর তাবদ নারী আহত হবেন । আমরা সভ্য মানুষ-মানুষীরা সত্যের কাছাকাছি যেতে চাই, থাকতে চাই; তা যত মধুর বা তিক্ত-ই হোক না কেন !!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

প্রথা বিরোধী - এর মন্তব্যের জবাব:
আপনাদের মন্তব্যই আমি আশা করছিলাম। আপনাদের জন্যেই তো এই পোস্ট। বিভিন্ন ব্লগে তথাকথিত প্রথা বিরোধীরা আসলে সনাতনী প্রথায় যেভাবে রুমানা মঞ্জুরকে আক্রমন করে যাচ্ছেন এবং এত বড় হীন অপরাধ করার পরও যখন সাইদের মত একটা পশু আপনাদের ঘুরিয়ে বলা কথার মাধ্যমে প্রচ্ছন্ন সমর্থন পাচ্ছে, তখন বসে থাকতে পারি না। লিখতে বাধ্য হই।

মন্তব্যের জন্যে কোন প্রতি মন্তব্য নেই। লেখাতেই বলেছি যা বলার।

প্রথা বিরোধী এর ছবি

একটি জোক নিয়াজ ভাইয়ের জন্যেঃ
A mouse was drunk and dancing disco in the marriage party
of a tiger.
One tiger asked to the mouse "Hey this is the marriage of
a tiger why the hell you are dancing here ??".
The mouse answered bravely
"I was a tiger before marriage...". !!!

নিয়াজ ভাই, বুকে সাহস নিয়া একটা বিয়া করেন- আপনার যেকোন এক গার্লফ্রেন্ডরে; তখন আশা করি অনেকের মতো আপনারও হাঁটুর-বুদ্ধি-মাথায় আসবে ! আর তখন আপনার কলম থেকে আরেক টি এরকম পোস্ট আশা করবো, "আমাদের" জন্যে ; অপেক্ষায় থাকলাম ।

ধূসর অরণ্য এর ছবি

(আমি সাঈদ- রুমানা এই প্রসংগেই যেতে চাচ্ছি না।লেখকের মানসিকতা আমার মধ্যে তীব্র কোতূহল এর সঞ্চার করেছে। ওনার মানসিকতার সাথে আরকেটু পরিচিত হবার জন্য আমার এই প্রচেষ্টা।)
প্রথমত, আমি সচলে প্রায়শই লিখা পড়ি। যেমন হিমু, মাহবুব মোর্শেদ, নজরুল ইসলাম এবং আরো অনেক। সবার সব মতের সাথেই হয়ত আমি সবসময় একমত হই না। কিন্তু ওনাদের অনেক মতামতই এবং সেই মতামতে আসার পেছনের যুক্তি গুলো আসলেই ভাবনার খোরাক যোগায়।
কিন্তু লেখকের এই "পরকীয়া" দর্শন কে সমর্থন করার মত আমি কোন যুক্তি ই খুঁজে পাচ্ছি না।
১। ধরুন আপনার গার্লফ্রেন্ড ( আমি কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। আপনার লিখায় আপনি এই ব্যাপারটি তুলে ধরেছেন বিধায় আমি লিখছি। দয়া করে একে গল্পের একটি চরিত্র হিসাবে কন্সিডার করুন, কোন ব্যাক্তিগত আক্রমণ নয়, প্লিজ) আপনাকে আজ জানালো যে ১ বছর আগে থেকেই তাকে আপনার পছন্দ নয়, কিন্তু তিনি সময় অন্য কাউকে পাননি বলে আপনার সাথে সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছেন। ৩ মাস আগেই আরেকটি ছেলের সাথে ওনার পরিচয় ঘটেছে। এখন তিনি ব্রেক আপ করতে চাচ্ছেন আপনার সাথে। তো আপনি কি বলবেন ঠিক আছে পুরো ব্যাপারটা?
২। বিদেশে আপনি যে জীবন যাপন করছেন, আপনি যদি দেশে থাকতেন এবং আপনার গার্লফ্রেন্ড যদি সেই একই লাইফ লিড করতো, বুকে হাতে দিয়ে বলুন তো, দেশে বসে আপনার একটুও খারাপ লাগতো না?
( এটা লেখকের সাথে আমার কথোপকথন এর একটা পর্যায়, এর সাথে সাম্প্রতিক কোন ঘটনার মিল খুঁজতে যাবেন না প্লিজ)

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ভাই আপনিও ফেঁসে গেলেন হো হো হো । আমার সাড়ে নয় বছরের সম্পর্কে ঠিক এমনটাই হয়েছে এবং আমি বলেছি "তুমি সুখি হও"। সে তার মত চলে গিয়েছে, আমি আমার মত নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি।

"এই লাইফ লিড" বলতে আপনি কী বোঝাচ্ছেন? আবারো একই কথা বলবো, ভাই 'ফান' শব্দটাকে এফ ইউ এন হিসেবে নিন। এফ ইউ সি কে হিসেবে নেবেন না।

আপনাদের মন্তব্য পড়ে আমার গার্লফ্রেন্ড রীতিমত বিরক্ত হয়েছে। যাইহোক, পরবর্তিতে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। লেখার বিষয়ে মন্তব্য করলে আমি জাবাব দিতে আগ্রহী থাকবো।

সজল এর ছবি

লেখক কোথায় পরকীয়াকে জায়েজ করেছেন বুঝতে পারলাম না। একজনের সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় আরেকজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া অবশ্য নিন্দনীয়, কিন্তু তার প্রতিকার হবে ডিভোর্স না হয় নতুন করে বোঝাপড়া। কিন্তু এখানে বউ/স্বামীকে পেটানোর ব্যাপারটা জায়েজ হয়ে যায় কিভাবে? "লেখক ফান করেছেন অনেক" এই কথাটা লেখক কোথায় বলেছেন? পরকীয়া উনার কাছে সস্তা হয়ে গেছে সেটাই কিভাবে বোঝা গেলো? আপনাকে একটাই কথা বলা যায়, আপনি হলেন একজন পারভার্ট, যে মেয়েদের সাথে থাকা শুনলেই মনে মনে চটি মহাকাব্য রচনা করতে লেগে যায়।

"রুমানা কিছুটা শাস্তি পেয়েছেন" এই কথা বলে বোঝাতে চাইছেন, উনি পরকীয়া করেছেন এই ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত। কিভাবে নিশ্চিত হলেন? আপনার কাছে প্রমাণ আছে? ঠিক আছে, কিন্তু পরকীয়ার শাস্তি কিভাবে মানুষের চোখ তুলে নেয়া, নাক কামড়ে ছিড়ে ফেলা হয়? তাও পুরো শাস্তি হয়নি, হয়েছে মাত্র "কিছুটা"! আপনি কি এখনো বর্বরদের যুগে পড়ে আছেন? নাকি এখনো বিবর্তনের শুরুর কোন ধাপে আটকে আছেন যে মানুষের অর্জিত নিয়ম-মূল্যবোধ-আর প্রথার ব্যাপারে এখনো জেনে উঠতে পারেন নি!

চোখ খুলুন, আর পারলে মানুষ হয়ে উঠুন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

প্রথমে ধন্যবাদ আমার বক্তব্যটা বোঝার জন্যে। অনেকেই বুঝতে চাচ্ছেন না আমি ঠিক কী বলেছি ওখানে। পরকীয়া শব্দটা হয়তো আমি ব্যবহার করতাম না যদি না হাসান সাইদ এটাকে মিডিয়ায় না আনতো এবং বিভিন্ন ব্লগে ছড়িয়ে দিত।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আরাফাত৫২৯ এর মন্তব্যের জবাব:

লেখক পরকীয়াকে সমর্থন করেছেন যেটা গ্রহণযোগ্য নয়।

কেন গ্রহনযোগ্য নয়? একটা মেয়ে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করে যদি অন্য কারো কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে থাকে, তবে কি সে সেখানে যেতে পারবে না? সম্পর্ক ভেঙ্গে সেখানে যেতে হলেও সময় লাগে। এবং সেই সময় টুকু সেই সম্পর্ককে পরকীয়াই বলতে হবে। গ্রহনযোগ্যতার মাপকাঠিটা একটু বাড়ান। তা না হলে ঘরে ঘরে আরো সাইদ তৈরী হবে।

আপনার বোনের সাথে এমন ঘটনা ঘটলে আপনি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতেন? আমার প্রশ্ন লেখকের গার্লফ্রেন্ড পরকীয়া করলে লেখক কি করতেন?

এই প্রশ্নটা করে আপনি ফেঁসে গিয়েছেন। আমার আগের সাড়ে নয় বছরের সম্পর্কে এমনটাই ঘটেছে। আমি কিন্তু কোন রকম সমস্যা না করে মেনে নিয়েছি এবং তাকে বলেছি, "তুমি সুখি হও"। আমি কষ্ট পেয়েছি কিন্তু এটাও বুঝেছি কাউকে আটকে রাখা যায় না। এই ব্লগে অনেকে আছে যারা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনে। তারা সেটা তখন দেখেছে। এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনার বোনের সাথে অমনটা হলে কী করতেন?

বোঝা যাচ্ছে, লেখক অনেক ফান করছেন জীবনে ...(উনি নিজেই উনার লেখাতে বলছেন), আবার দেশেও উনার গার্লফ্রেন্ড আছেন।

ভাই, ফান বলতে আমি এফ ইউ এন বুঝি, এফ ইউ সি কে বুঝি না। বন্ধুদের সাথে ফান করার প্রসঙ্গে দেশে গার্লফ্রেন্ড থাকার মধ্যে যে একটা অতিরিক্ত 'ও' যোগ করেছেন সেটাই আমাদের মানসিক অবস্থার যথার্থ চিত্র তুলে ধরছে। আপনি যতই সাইদকে পশু বলুন না, কেন আজ সাইদরা তৈরী হচ্ছে সেটা নিরপেক্ষ পাঠক আপনার এই একটা লাইন থেকেই বুঝে নিতে পারবে।

বাস্তব কথা হল নিজের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে তা মেনে নেওয়াও ক্ষমতা বেশিরভাগ মানুষেরই নাই।

আপনার সার্টিফিকেট পেয়েতো এখন নিজেকে মহৎ মনে হচ্ছে খাইছে

মূল কথা, স্ত্রী নির্যাতন যেমন নিন্দিত, তামনি পরকীয়াও। দুইটাই শাস্তিযোগ্য এবং অঙ্গাঅঙ্গিক ভাবে জড়িত।

এতক্ষণে আপনি আসলেই মূল কথাটা বলেছেন! আপনার মত যারা এটাকে মূল কথা মনে করে তদের বিরুদ্ধেই আমার এই পোস্ট।

ভালো থাকবেন।

অপছন্দনীয় এর ছবি

কেন আজ সাইদরা তৈরী হচ্ছে সেটা নিরপেক্ষ পাঠক আপনার এই একটা লাইন থেকেই বুঝে নিতে পারবে

আমি নিরপেক্ষ নই। কিন্তু তারপরেও বুঝতে পারছি কেন এরকম পশু তৈরী হয়।

pathok এর ছবি

একটা মেয়ে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করে যদি অন্য কারো কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে থাকে, তবে কি সে সেখানে যেতে পারবে না? সম্পর্ক ভেঙ্গে সেখানে যেতে হলেও সময় লাগে। এবং সেই সময় টুকু সেই সম্পর্ককে পরকীয়াই বলতে হবে।

পরকীয়ার ব্যাপারে আপনার এ মন্তব্যটি ভুল।
প্রথমত পরকীয়ায় শুধু একজন মহিলা না, একজন পুরুষও জড়াতে পারে এবং উভয় ক্ষেত্রেই এটা অপরাধ। আপনার যদি কারো সাথে সম্পর্ক রাখতে ভালো না লাগে তাহলে প্রথমে আপনাকে ওই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এরপর স্বভাবিক ভাবে নতুন সম্পর্কে জড়ানোর জন্য আপনি মুক্ত হবেন। কিন্তু একজনের সাথে সম্পর্ক রেখে চুপিচুপি আরো ভালো সঙ্গি যারা খোঁজতে থাকে তারা হচ্ছে নিন্ম পর্যায়ের কিট যাদেরকে সামাজিক আইনে শাস্তি দেয়া জরুরি। কারণ পরকীয়া হচ্ছে সমাজের বেসিক বিল্ডিং ব্লক যে 'পরিবার' তার ঘুনে পোকা, এটাকে সমর্থন করার কোন সুযোগ নেই।
আর আপনার "সাড়ে নয় বছরের সম্পর্কের" কথা যেহেতু বারবার টেনে আনছেন তাই প্রশ্নটা না করেই পারছি না, সে কি আপনার বিবাহিত স্ত্রী ছিল, নাকি প্রেমিকা? কথা শুনে মনে হচ্ছে প্রেমিকাই ছিল, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো নয় বছরের বেশি সময় পাওয়ার পরও কেন সে শুধু আপনার প্রেমিকাই থেকে গেল, এতোটা সময় পরেও কি তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার মতো পর্যাপ্ত পরিমান আত্ম শক্তি পাননি? নাকি আপনার মুক্ত স্বাধীন ফানে ভরা জীবনে দায়িত্বের বোঝাটা নিতে চাননি? আশা করি আপনার বর্তমান প্রেমিকা আপনার প্রেমিকা হতে হতে ক্লান্ত হয়ে অন্য কাউকে বেছে নেবে না আর আপনিও আরেক জনকে শুধু "তুমি সুখি হও" বলে বিদায় দিয়েছেন শুনিয়ে লোকে বলে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন না।

শিশিরকণা এর ছবি

আশচর্য! তাহলে তো স্বামী ছাড়া কারো সাথে কথা বলাই মহিলাদের পাপ। আমার তো মনে হয় এক সম্পর্ক ভেঙ্গে আরেক সম্পর্কে যাবার কিছু ধাপ আছে। যদি কোন বিবাহিতা মহিলার স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায় (যে কারণেই হোক), আর সে অন্য কোন পরিচিত পুরুষের প্রতি দুর্বলতা বোধ করে, কিন্তু কোন সম্পর্কে না জড়ায়, তাহলে কি সেটা পরকীয়া হবে?? মহিলা তো বিবাহের চুক্তিভঙ্গ করছেন না এখানে। মনে অন্যের প্রতি দুর্বলতা বোধ করা সত্ত্বেও তিনি স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকছেন। পরকীয়া তখনি শাস্তিযোগ্য সামাজিক অপরাধ যখন পারস্পরিক চুক্তি/ বিশ্বাস ভঙ্গ করা হচ্ছে যেটা সামাজিক জীবনের ভিত্তি। (প্লিজ ধর্ম টেনে আইনেন না এখন, ধর্ম সামাজিক নিয়মেরই অংশ। )

আর যৌনতা ছাড়া আর কোন ফান এর কথা কি এইসব মন্তব্যকারীদের মাথায় আসে না? অত্যন্ত স্থুল চিন্তা ভাবনা না হলে প্রথমেই এটা ভেবে নেয়ার কথা নয়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ছোরাচাকুবন্দুক  এর ছবি

মনে অন্যের প্রতি দুর্বলতা বোধ করা সত্ত্বেও তিনি স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকছেন

আপনার কাছে বিশ্বস্ততার সংগা কি?মেয়ে যদি চাকুরী জীবি হয়ে থাকে তাহলে অফিস করেছে নিয়মিত, অফিস থেকে স্বামীকে কল্‌ করেছে সময় ধরে, হ্যাগো খেয়েছো গো? মিস্‌ করছি গো? বাসায় ফিরে ডিনার প্রিপেয়ার করেছে, রাতের বেলা স্বামীর কাছে বিশ্বস্তার সঙ্গে মেলে ধরেছে নিজেকে, আর প্রতিটা সময় ভেবে গেছে আরেক পুরুষের কথা!!
দেশে তাহলে বিশ্বস্ততার সঙ্গা এখন এখানে গিয়ে ঠেকেছে!!

নৈষাদ এর ছবি

সুন্দর বিশ্লেষণ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আজকে বাংলাদেশের এক বড় চ্যানেলের এক কর্তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখলাম এই প্রশ্ন "কে অপরাধী? পরকীয়ায় আসক্ত রুমানা নাকি সংসার জীবনে হতাশ সাঈদ হাসান" !!!
কিছু বলতে ইচ্ছে করে নাই

রুমানা মঞ্জুরের যদি পরকীয়া থাকে, সেটা প্রমাণিত হলে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে, কিন্তু কামড়াকামড়ি কেন? সাঈদ হাসান যে পশু তা তো কামড়াকামড়িতেই স্পষ্ট। মানুষ কামড়াবে কেন?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

নজরুল ভাই, আপনার সাথে সহতম। অনেককে দেখলাম রুমানার বিরুদ্ধে একটা কাল্পনিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসানের বর্বরতাকে সহনূভুতির চোখে দেখছে। বিষয়টা সত্যিই আতঙ্কজনক।

পদ্ম এর ছবি

এই বিষয়ে কর্মক্ষেত্রে পুরুষ এবং কয়েকজন নারীর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছি।
টেবিল সেদিন'ই ঘুরে গেল যেদিন সাঈদ রুমানা'র চরিত্র নিয়ে বিশ্রী ইঙ্গিত করে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করলো। কেউ কেউ বলল, সুন্দর মেয়েদের ভাব আলাদা। এমনি এমনি কি আর বর এহেন আচরণ করে, মেয়েটার নাক উচাঁ।
আমার প্রশ্ন, রুমানার দোষ কোথায়? সে সুন্দরী? সে তার স্বামীর চাইতে সফল?

সত্যি হল আমাদের সমাজে আরো অনেক কাল মেয়েরা এভাবেই নির্যাতিত হবে। কারণ আমরা শুধু উচ্চ শিক্ষিত'ই হই, মানুষ হিসেবে আমরা বেড়ে উঠিনা।

সমাজের প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত নরপশুদের ধিক।

পদ্মজা

দময়ন্তী এর ছবি

কদিন ধরেই নানারকম ভাবছি, আপনার ভাবনার সাথে অনেক মিল পেলাম৷

আমি বিদেশে এবং দেশেও সাধারণভাবে বাঙালী কমিউনিটিকে এড়িয়ে চলি৷ এখন তো খুব সীমিতসংখ্যক ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ছাড়া কারো সাথেই কোনও ব্যক্তিগত বা সামাজিক সম্পর্ক রাখি না৷ আমি খুব ভালভাবে বুঝি রুমানা কেন তাদের এড়িয়ে চলেন৷

লেখাটা শেয়ার করছি৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

mohaOtit এর ছবি

শেষমেষ কিন্তু বাংলা কমিউনিটি ব্লগেই অনুভুতি শেয়ার করছেন :)।

দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার সুবাদে ভালো, মন্দ, সাধারন, অসাধারন, হুজুর, আস্তিক, নাস্তিক, সংশয়বাদী, বদ, মদখোর, চাপাবাজ ইত্যাদি সবধরনের দেশী মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত হয়েছে। তবে সাধারনভাবে বলতে গেলে আমার অভিগ্গতা খারাপ নয়। অন্যের চরম বিপদে যারা জান কবুল করে দিয়েছে তাদের ত্যাজ্য করি কিভাবে?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শেষমেষ কিন্তু বাংলা কমিউনিটি ব্লগেই অনুভুতি শেয়ার করছেন :)।

বাংলা কমিউনিটি ব্লগ আর বিদেশে বাঙালী কমিউনিটি এক নয়।

mohaOtit এর ছবি

বাংলা কমিউনিটি ব্লগ কি বাংগালীদের মিলনের স্হান নয়? কথায় কথায় বিদেশে বাংগালী কমিউনিটির বদনাম করাটা কোন কাজের কথা নয়। ধন্যবাদ।

mohaOtit এর ছবি

শেষমেষ কিন্তু বাংলা কমিউনিটি ব্লগেই অনুভুতি শেয়ার করছেন :)।

দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার সুবাদে ভালো, মন্দ, সাধারন, অসাধারন, হুজুর, আস্তিক, নাস্তিক, সংশয়বাদী, বদ, মদখোর, চাপাবাজ ইত্যাদি সবধরনের দেশী মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত হয়েছে। তবে সাধারনভাবে বলতে গেলে আমার অভিগ্গতা খারাপ নয়। অন্যের চরম বিপদে যারা জান কবুল করে দিয়েছে তাদের ত্যাজ্য করি কিভাবে?

অমিত এর ছবি

পোস্টের সাথে সহমত। তবে বাঙালী কমিউনিটির জেনারেলাইজেশন নিয়ে কিছু কথা আছে। বাংলাদেশে বাঙালী আছে ১৫ কোটি। কিন্তু বন্ধুত‌্ব হয় কতজনের সাথে ? বিদেশে বাংলাদেশের মানুষের একটা ছোট স্যাম্পলই হল বাঙালী কমিউনিটি। সবার সংগে মনের মিল হলে সেটাই হবে অস্বাভাবিক। তবে কারও না কারও সাথে ক্লিক করবেই।

উপরে অনেকেই দেখলাম পরকীয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলছেন ! কৌতূহল হচ্ছে, কি ধরণের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ?

পাগল মন এর ছবি

আমি আপনার সাথে প্রচন্ডভাবে সহমত। ভালো খারাপ সব কিছুরই আছে। তা থেকে ভালোটা বের করে অথবা বাছাই করে নেয়াটাই আসল কাজ।
আর পরকীয়া অবশ্যই নিন্দনীয় কিন্তু শাস্তি?! উনারা মনে হয় পাথর ছুড়ে অথবা দোররা মারার মত শাস্তির কথা চিন্তা করছেন। চিন্তিত

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

আরাফাত৫২৯ এর ছবি

আমার ২৫ নম্বর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলছি, আমি সুস্পস্টত ভাবেই বলছি সাঈদ অপরাধী। তার শান্তি প্রাপ্য। আমি রুমানার প্রতি নির্যাতনের বিচার চাই।

আর রুমানা হয়ত পরকীয়াই করেন নাই।

তাই আমার পয়েন্ট আপনাকে নিয়ে। আপনি রুমানার নির্যাতনের ব্যাপারটাকে আরো করুণ করার জন্য পোস্টের কোন এক জায়গাতে বলছেন, "যদিও আমরা ধরেও নেই রুমানা পরকীয়া করেছিল, তবু কি সেটা খুব বড় অন্যায় হয়ে যেত?"

শুনুন আমি আপনাকেই বলছি, পরকীয়া কি সমাজের খুব বড় একটা অন্যায় নয়?

রুমানার বিরূদ্ধে মিথ্যাচারটাকে ভ্যালিড করার জন্য আপনি আরেকটা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। এটা কতটা যুক্তিসঙ্গগত? আমি তো আগেই বলছি, রুমানা হয়ত পরকীয়াই করেন নাই। তাহলে কেন আপনার পরকীয়াকে হালাল বলার এক বৃথা চেস্টা করতেছেন?

"কেউ পরকীয়া করলে কী তাকে এভাবে (অথবা মারধোর/মানসিক অত্যাচার) মারা জায়েজ হয়ে যায়?"

উত্তরঃ কখনোই না। কিন্তু পরকীয়াকে পরকীয়া হিসাবে মানতে হবে। এর গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করতে হবে, মারপিট ছাড়াই। তবে কাউকে সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে পরকীয়াকে হালাল বলা যাবেনা। এইটাই আমার মূল পয়েন্ট।

আশাকরি পরের মন্তব্যে বলবেন না, আমি সাঈদ নরপশুর পক্ষে বলছি। আমি মন্তব্য আপনার পোস্টের প্রেক্ষিতে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

পরকীয়া কি সমাজের খুব বড় একটা অন্যায় নয়?

লিভটুগেদার সমর্থন করে একবার লিখেছিলাম। তখন ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে গিয়েছি উত্তর দিতে গিয়ে। যাইহোক, পরকীয়া নিয়ে আরেকদিন লিখবো। তখন আলোচনা করবো।

বইখাতা এর ছবি

এই লেখার ও এ সম্পর্কিত অন্য কিছু লেখার মন্তব্য পড়ে দুঃখিত বোধ করছি। খুবই দুঃখিত বোধ করছি। আশা করি যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝতে পারছেন কেন মেয়েরা রুমানার মতোই অথবা তার চেয়ে কম অথবা তার চেয়ে বেশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। ......এরা আর বদলাবে না। তাই আসুন আমরা সবাই যার যার ক্ষেত্র থেকে সচেতনভাবে কাজ করি। আমাদের ছোট ভাই অথবা ছেলেকে তার ছোটবেলা থেকেই এমনভাবে বড় করে তোলার চেষ্টা করি যেন সে তার বোন, বান্ধবী, স্ত্রী ও অন্য মেয়েদেরকে যথাযথ সম্মান দেয়ার মানসিকতা অর্জন করে। শিক্ষার শুরু পরিবার থেকেই।

@ লেখকঃ ভাল লিখেছেন। ভয় হয়, সত্যিই ভয় হয়। সায়ানের লেখার লিংক দেবার জন্য ধন্যবাদ। তার লেখাটা ভীষণ ভাল লেগেছে।

ধূসর অরণ্য এর ছবি

ভয়ের কিছু নাই। আজকাল কত মা- ই তো পরকীয়ার জন্য সত্নান কে মেরে ফেলেছে। তাতে কি মা জাতির শ্রেষ্ঠত্ব কিছুটা কি কমেছে? মোটেও না। তবে সচেতন থাকবেন।

বইখাতা এর ছবি

অভয়বাণীর জন্য ধন্যবাদ। দ্বিমত করার কিছু নাই যে পুরুষমাত্রই নির্যাতক নন। কিন্তু

আজকাল কত মা- ই তো পরকীয়ার জন্য সত্নান কে মেরে ফেলেছে।

এর সাথে একমত হতে পারছি না। অতি অল্প কয়েকটি (এ মুহূর্তে দুইটি ঘটনা মনে পড়ছে) ঘটনার জন্য "আজকাল কত মা- ই তো ............" জাতীয় সরলীকরণ খুবই অদ্ভুত লাগছে। তবে শুধু আজকাল নয়, বহুকাল থেকেই যে বহু পরিবারের পুরুষরা নারী নির্যাতন করছে ও অনেক সময়েই সহিংস আচরণ করছে এর সপক্ষে আপনি দৈনিক খবরের কাগজগুলোতে প্রচুর উদাহরণ পাবেন।

মন মাঝি এর ছবি

আজকাল কত মা- ই তো পরকীয়ার জন্য সত্নান কে মেরে ফেলেছে।

'কত' মানে কয়টা জনাব ? একটু ঠিকঠাক করে বলেন তো দেখি 'আজকাল' ঠিক কয়টা মা পরকীয়ার জন্য ঠিক কয়টা সন্তান কে মেরে ফেলেছে ? ১টা ? ২টা ? ৩টা ? কি বলতে পারছেন না ?! আচ্ছা আচ্ছা, তাহলে 'আজকাল' না বরং গত ৫০ বছরেরই একটা হিসাব দেন না কেন ??

আপনি যতক্ষন হিসাবে ব্যস্ত (?!) সেই ফাঁকে আমি বরং আপনাকে একটু সাহায্য করি - ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল - এই সময়কালের চাঙ্কটায় ঠিক কতজন (রিপোর্টেড) নারীকে 'মেরে ফেলা হয়েছে' সেই তথ্য দিয়ে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক আধিদপ্তরের এক হিসাব মতে ঐ ১ দশকে (২০০০-এর আগস্ট পর্যন্ত) মাত্র ২৬,৩৭৩ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। আপনি কি বলতে পারবেন, ঐ একই সময়কালে অর্থাৎ ১৯৯০-এর দশকে - কিম্বা তার পরবর্তী দশকে - কিম্বা গত ৫০ বছরে, বা গত এক শতাব্দীতেই ধরুন না কেন - মায়ের হাতে পরকীয়ার জন্য নিহত সর্বমোট সন্তানসংখ্যা এই মাত্র এক দশকে নিহত নারীর অর্ধেক, ৪ ভাগের ১ ভাগ, ১০ ভাগের ১ ভাগ, কিম্বা ১০০ (১%) বা এমনকি ১০০০ (০.১%) ভাগের ১ ভাগও হবে ?

যদি মাত্র ১%-এর হিসাবও না দেখাতে পারেন (তাও ১ দশকের বিপরীতে ১ শতাব্দীর), তাহলে --

আজকাল কত মা- ই তো পরকীয়ার জন্য সত্নান কে মেরে ফেলেছে।

- এই চরম অমানবিক, বিভৎস, নৃশংস, সুইপিং স্টেটমেন্টের জন্য আমি আপনাকে কোন মানুষ-মায়ের সন্তান হিসাবে মানতে অস্বীকার করছি। আমার মনে হয় না কোন মানুষ-মায়ের গর্ভে জন্মে এরকম মন্তব্য কারো পক্ষে করা সম্ভব।

হ্যাঁ, নীচে আপনার সুবিধার্থে নারীর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের আরো কিছু হিসাব দিচ্ছি। এগুলো কোনমতেই পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয়, আসল অবস্থা আরো অনেক ভয়াবহ, তবু দেখুন তো পুরুষের বিরুদ্ধে নারীর এরকম আগ্রাসনের কোন সমতুল্য হিসাব/তথ্য/উপাত্ত আপনি দিতে পারেন কিনা --

ধর্ষন (১৯৯০-২০০১ নভে.) -- ২৫,১৩৮
এসিড আক্রমণ (১৯৯০-২০০১ নভে.) - ১০৮১
(সুত্রঃ ম.বি.অ.)

কিম্বা ধরুন ১৯৯৬-২০০১-এর মধ্যে ৮-৯টি পত্রিকায় শুধুমাত্র প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে একটা হিসাব --

হত্যা - ২২৭৮
ধর্ষন - ২৪৬৪
এসিড আক্রমণ - ৫৬৪
ফতোয়াজনিত নির্যাতন - ২২২

আবার ২০০১-২০০৪ সালের মধ্যে ৩ বছরে ঢাকা শহরের ২২টি থানায় লিপিবদ্ধ অভিযোগের ডেটা থেকে একটা হিসাব -

ধর্ষন - ৮০০
যৌন-নিপীড়ন (সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট) - ২৯৭
অপহরন - ১০৬৭
যৌতুকজনিত নিপীড়ন - ১১০৬
নারী পাচার - ১২১
এসিড নিক্ষেপ - ৩৭
আগুনে পোড়ানো - ৫৮

এটা সারা দেশের মধ্যে মাত্র ২২টা থানার হিসাব এবং ঐ ২২টার বিচারেও বাস্তবচিত্রের টিপ অফ দ্য আইসবার্গ মাত্র ! আমার কাছে পুরো দেশের জন্য সর্বসাম্প্রতিক কোন উপাত্ত নেই এই মুহূর্তে, কিন্তু সেটা আনুপাতিক বিচারে যা হওয়ার কথা তার থেকে অনেক অনেক বেশী বৈ কম হবে না। ট্রেন্ডটা ঐ রকমই। আর সে হিসাবের দরকারও নেই এখানে।

তো জনাব, আপনি দয়া করে কোন রিপোর্টেড তথ্য-উপাত্ত দেখাবেন কি, যাতে দেখা যায় গত ২০ বছরে বাংলাদেশের যে কোন ২২টা থানায় কত মা/নারী এখন পর্যন্ত কতজন পুরুষকে ধর্ষন করেছে, হত্যা করেছে, এসিড আক্রমণ করেছে, যৌতুকজনিত নিপীড়ন করেছে, পুরুষ পাচার (মূলত নারীর মত পতিতাবৃত্তি, যৌনদাসত্ব, ইত্যাদিতে নিয়োগের জন্য) করেছে, আগুনে পুড়িয়েছে বা পরকীয়ার জন্য সত্নান কে মেরে ফেলেছে ? এবং তা উপরের টিপ অফ দ্য আইসবার্গেরই ঠিক কত শতাংশ ? সেটা যদি না পারেন বা সেটা যদি উপরের টিপ অফ দ্য আইসবার্গেরও ১-২ শতাংশেরও বেশি না হয়, তাহলে -

আজকাল কত মা- ই তো পরকীয়ার জন্য সত্নান কে মেরে ফেলেছে।

- কোন মানুষ-মায়ের গর্ভে জন্মে এরকম মন্তব্য কারো পক্ষে করা সম্ভব, তা সে 'পরকীয়া-আপনকীয়া' বা যে কোন কীয়াজনিতই হোক না কেন - তা আমার পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন হবে।

****************************************

অপছন্দনীয় এর ছবি

চলুক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বিষয়খান বড়োই জটিল
কদিন আগে আম খেয়ে পিসি টেবিলের উপর রেখে দেয়া ছোরা দেখে বৌ ম্যাডাম চিৎকার করে উঠলেন- এটা এখানে কেন?

বললাম- চিন্তার কারণ নেই ম্যাডাম। এখন আর কেউ ছোরাচাকুবন্দুক দিয়ে বৌ মারে না। এখন ব্যবহার করা হয় উত্তরাধুনিক অস্ত্র- দাঁত আর নখ

তারপর তিনি আমার নখ পরীক্ষা করে নিশ্চিন্ত হবার পরে বল্লাম- এখন্ও সময় আসেনি। কয়েকদিন পর যখন আমি কাজকাম ছেড়ে দিয়ে জামাইভাতা নিয়ে গপ্প-কবিতা করব তখন সুযোগ বুঝে নখগুলা লম্বা করে নেবো...

০২

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ কিংবা কে দোষী আর কে নির্দোষ কিংবা কার থেকে কার দোষ কম কিংবা বেশি কিংবা ঘটনাটা রুমানা- হাসানের নাকি এক্স আর ওয়াইয়ের তার থেকে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো- বাংলাদেশের শহুরে মধ্যবিত্তের মধ্যে এইরকম ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। এর একটা বড়ো কারণ আমার কাছে মনে হয় আমরা জীবনযাপনে অনেকটা এগিয়ে গেলেও বিয়ে সংসার ছাড়াছাড়ি এগুলোর কালচারে একেবারেই আদিম রয়ে গেছি

আমরা এখন ইচ্ছামতো বিয়ে করার যতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করি দরকারে বিয়ে ভেঙে দেবার ক্ষেত্রে কিন্তু তার কানাকড়ির ভোগ করি না কিংবা করার কথা ভাবিও না

সেই যুগে সেই গ্রামে যে নারী কথা বলতে পারতো না সে কোথাও যাবার যায়গা নেই বলে কীভাবে জীবন কাটিয়েছে সেটাই বোধহয় সংসার টিকিয়ে রাখার বিষয়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা এখনও উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করি। এবং এটা ছেলে মেয়ে দুই পক্ষই করে

পোষাচ্ছে না যখন তখন আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো; আমরা বোধহয় মানসিকভাবে এই যায়গাটাতে এখনও পৌঁছাতে পারছি না

এবং এটার জন্যই জটিলতাগুলো বাড়ছে

ছোরাচাকুবন্দুক  এর ছবি

এখন আর কেউ ছোরাচাকুবন্দুক দিয়ে বৌ মারে না

এত নিশ্চিন্ত থাকবেন না ভায়া ! ছোরাচাকুবন্দুক এর ব্যবহার এখন ও আছে। স্ত্রী মারতে ব্যবহার না হলেও স্বামী মারতে কিন্তু ঠিকই কাজে লাগানো হচ্ছে। এইখানে দেখুন

আমির এর ছবি

# রুমানাকে সাঈদ নির্যাতন করছেন, এইটা স্বীকৃত ও প্রমাণিত। সুতরাং সাঈদের শাস্তি অবধারিত। এবং আমিও চাই।
আপনি তো কানাডা থাকেন ঐখানে সব কিছু সহজ বোঝা যাচ্ছে, লেখক অনেক ফান করছেন জীবনে ...(উনি নিজেই উনার লেখাতে বলছেন), আবার দেশেও উনার গার্লফ্রেন্ড আছেন, তার নাম কি গার্লফ্রেন্ড ? তাই পরকীয়ার ব্যাপারটা উনার কাছে হয়ত অনেক সস্তা হয়ে গেছে। বাস্তব কথা হল নিজের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে তা মেনে নেওয়াও ক্ষমতা বেশিরভাগ মানুষেরই নাই। এইটাই রিয়েল ফ্যাক্ট। আমার প্রশ্ন লেখকের গার্লফ্রেন্ড পরকীয়া করলে লেখক কি করতেন? অন্যার বিষয় তো তাই আ-হা-হা করে হিরো সাজতে চাইছেন। তবে এই পুরা ব্যাপারটা প্রমাণ সাপেক্ষ। রুমানা পরকিয়া করছেন এর কোন ভ্যালিড প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নাই। একটি
কথা মন্তব্য বিপক্ষে গেলেই পশু হয়ে যাইনা। কেন সাঈদ এমন করলো সেটা উপলব্দি করেন।

অপছন্দনীয় এর ছবি

মডুরামদের নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর কারণে একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে দুই মন্তব্যে - এটা মুছে দেয়া হলো।

অপছন্দনীয় এর ছবি

একটি কথা মন্তব্য বিপক্ষে গেলেই পশু হয়ে যাইনা। কেন সাঈদ এমন করলো সেটা উপলব্দি করেন।

একটা কথা বিপক্ষে গেলেই কেউ পশু হয়ে যায় না - ঠিক। তবে পশুত্ব প্রমাণের জন্য আবার বিশেষ একটার মন্তব্যের একটার বেশি লাইন লাগেও না। আপনি সাঈদের অবস্থা উপলব্ধি করতে পারছেন? আমি পারছি না, পোস্ট লেখকও পারছেন বলে মনে হয়না - আপনার সাথে আমাদের পার্থক্যটা সেখানেই।

ফান বলতে যে খালি সেক্স আর লিভিং টুগেদার বোঝায় না সেটা বোঝার ক্ষমতা আপনার না থাকতে পারে, যাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে এই পোস্ট, তাঁদের ঠিকই আছে।

পোস্ট লেখকের গার্লফ্রেন্ড এই পোস্টে এসেছেন শুধুমাত্র লেখার আঙ্গিকের প্রয়োজনে, তাঁর অন্য কোন ভূমিকা এখানে নেই। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক কী সেটা নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন? সাধারণভাবে নারীদের প্রতি আপনার মনোভাব কী আমি অন্তত খুব ভালোই বুঝতে পারছি।

আপনাদের মত সব মহামানবদের মন্তব্যে অদ্ভুত একটা প্যাটার্ন চোখে পড়ছে! এই একই প্যাটার্ন দেখি অন্য কিছু ক্ষেত্রেও - ব্যাপারটা আসলেই অদ্ভুত!

guest_writer এর ছবি

আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছিনা যে, সবাই হাসান মাসুদের মত একটা পশুর কথাকে কিভাবে বিশ্বাস করছেন? তার তো কোন কথার মিলই নেই আর সে তো চিরায়ত পন্থায় সবাইকে জানান দিয়েছে, রুমানা মঞ্জুরের চরিত্র খারাপ। এটাই সবচেয়ে সহজ আর পুরনো চাল, ফেঁসে গেলেই নারীকে কলঙ্কিত করা আর আমাদের সমাজেরও একটা বিশাল অংশ আছেন, যারা সবসময় নারীকেই বলীর পাঁঠা হিসেবে দেখতেই পছন্দ করেন।

বন্দনা কবীর এর ছবি

তিনদিন ধরে বিভিন্ন ব্লগের লেখা আর ফেইস্নুক স্টাটাস দেখে দেখে এখন আমি আমার কন্যাটির জন্য ভীত। আমার ছেলে সন্তানটিকে নিয়ে শংকিত। পোস্টদাতার মত গার্লফ্রেন্ডের মত আমারও ভয় করছে। ভয় করছে আমার মেয়েটির স্বামিটি সাইদের মত নর পশু হবেনা তো? আমার ছেলেটি বড় হয়ে সাইদের মত আচরন করবেনাতো?" ব্লগে ব্লগে এখন রুমানার চরিত্র নিয়ে বিশ্লেশনের মাতামাতি। সাইদের কর্ম যতটা না আলোচনায় আসছে তার চেয়ে শতক গুন বেশি আলোচনা হচ্ছে "পরকিয়া" শব্দটিকে কেন্দ্র করে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে সাইদের মত চিন্তা ভাবনার পুরুষেই সমাজ ভর্তি। তাহলে আমি কাকে বিশ্বাস করবো? আমার সঙ্গিটি যাকে আশ্রয় করে জড়িয়ে ধরে রাতে আমি ঘুমাই সে যে সন্দেহের বশবর্তি হয়ে এক সময় আমার চোখ খুব্লে তুলে ফেল্বেনা তার গ্যারান্টি আমি কোথা থেকে পাচ্ছি?

আরো একটা বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগে কথা হচ্ছে যে রুমানার ব্যাপারেই এতো তুলকালাম হচ্ছে কেন? প্রতিবাদ আন্দোলন ইত্যাদি হচ্ছে কেন? দেশের হাজারো রুমা রুনা জরিনা সখিনা আছে তারাও নিগৃহিত হচ্ছে নির্যাতিত হচ্ছে তাদের নিয়ে তো আন্দোলন হচ্ছেনা। তাহলে রুমানাকে নিয়ে এতো কিসের লাফালাফি? অনেকে তো রুমানা সখিনার জন্য দরদ দেখাতে গিয়ে পরকিয়ায় আসক্ত রুমানাকে ডাইরেক্ট বেশ্যা বানিয়ে দিচ্ছেন। আর পশু সাইদের কর্মকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন রুমানার সো কল্ড পরকিয়া করার জন্য। আজব!!

আসলে, এখন বুঝি আর আশ্চর্যও হইনা। রুমানা সুন্দরি শিক্ষিতা এটাই রুমানার দোষ। সুন্দরী মেয়েরা নাক উচা, তাদের ৪০ করে বয়ফ্রেন্ড ইথাকে, রুমানারও ছিল। সো, রুমানার উপরে যা করা হয়েছে তা যথার্থই হয়েছে। রুমানার পিতৃ পরিচয়টাও সম্ভবঃ এখন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে দেখেশুনে যা মনে হচ্ছে। কিছু কিছু আঁতেল আছেন যারা চূড়ান্ত ভাবে আর্মি বিদ্বেষি তারা এখন লাফাচ্ছেন রুমানার পিতার পরিচয় নিয়ে। শ্রেণী বৈষম্যের ধুয়ো তুলে পক্ষান্তরে তাদের মনের ভেতরের শ্রেণী বিদ্বেষ্টারই ন্যাংটো প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। জরিনা সখিনার অত্যাচারের জন্য যদি কোনো আন্দোলন না হয় তো তার দায় কি রুমানার হতে পারে? নাকি উচ্চবিত্ত সমাজের বৌ-ঝি'রা নারী না? তাদের জন্য দরদ দেখানো যাবেনা। তাই তাদেরকে নিয়ে আন্দোলন করা যাবেনা/ তাকে নিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে বিধায় সে এখন মুখোরচক বিষয়। রুমানার নষ্ট চোখ, অর্ধ্যেকটা নাক আমাদের স্বচ্ছ সুন্দর চোখ দুটোতে পড়ছেনা। আমরা আমাদের কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করা কান দিয়ে সাইদের কল্পিত গপ্প শুনে রতিসুখের আরাম বোধ করছি।
দুঃখিত, আমি সহসা এখানে কমেন্ট করি কিন্তু কিছু পুরুষের আচরন দেখে সত্যি-ই হতাশ বোধ করছি। নিজেকে প্রচন্ড অনিরাপদ বোধ করছি এদের মধ্যে দেখে। যেহেতু রুমার মত কিছু দোষ আমার মধ্যেও আছে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

যেহেতু রুমার মত কিছু দোষ আমার মধ্যেও আছে।

মন খারাপ

guesr_writer rajkonya এর ছবি

যেহেতু রুমার মত কিছু দোষ আমার মধ্যেও আছে।

চলুক

কল্যাণ ফৌজদার এর ছবি

এতো বিচার ফিচার এর নাটোক না করে অবিলম্বে গুলি করা হোক হাসা হা......দাকে

ভালো মানুষ এর ছবি

সমাজে র মানুষ গুলু (কিছু মানুষ) ভাবে কি করে নারী নামক মানুষ গুলু কে পিছনে রেখে পুরুষ শোসিত (হ্যা শোসিত) সমাজ কে সামনে র দিকে (আসলে পিছন দিকে) নিয়ে যাওয়া যায়.........।।তারা একবার এর জন্য ও ভাবে না যে নারীর জন্যই সমাজের অস্তিত টিকে আছে নারী বিহীন এই সমাজ কে তো কল্পনা করাও মহা অন্যায় আবার তাদের কে অস্মমান !!!!!!! ছী এই সমাজ! ছী সমাজের মানুষ গুলু কে!!!!!!!!!ছী সমাজের পুরুষ নামক বেহুষ মানুষ গুলু কে...............।। আমি বিশষাস করি সমাজ মানে হলো--------
(নারী + পুরুষ = সমাজ).........।আসুন সুমন এর মত নর পশু গুলু কে ঘঋনা করি.........। নারীর প্রতি সম্মান জানাই.........

পাঠক ফারহানা  এর ছবি

সত্যি আমারও ভয় হচ্ছে। কতটুকু নিরাপদ আমরা এ সমাজে? আর ভালবেসে বিয়ে করার পরও যদি এমন পাশবিক অত্যাচারের শিকার হতে হয় তাহলে আমরা কাকে বিশ্বাস করব? কিভাবে বুঝব আমাদের নিরাপদ আশ্রয়টাও একদিন অনিরাপদ হয়ে যাবে না? চিন্তিত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

লেখা ও মন্তব্যগুলো পড়ে আমার কাছে এটি স্পষ্ট যে আমাদের সমাজের প্রতিটি কোণে এই বীভৎস ঘটনাটি ইতিমধ্যেই বিকট ভীতিকর অস্বস্তির ছায়া ফেলে গেছে। এর ফলে, সুসম্পর্ক বিরাজ করলেও স্ত্রী স্বামীকে নিরাপদ ভাবতে পারছেন না, ভালোবেসেও প্রেমিকা প্রেমিকের বাহু ধরে হতে পারছেন না নির্ভরতায় নির্ভার, সংশয়ের কাঁটাবিদ্ধ মন নিয়ে অসংকোচ হতে পারছেন না প্রেমিকের কাছে। কিংবা প্রেমিক, সেও অস্থিরতায় ভুগছে, না জানি তার প্রেমিকা তাঁকে কতটাই না অবিশ্বাস করছে প্রতিমুহূর্তে। কিম্বা হয়ত ভাবছে, তার ভেতরেও কি জন্তুটা লুকিয়ে আছে? হয়ত সেটা কখন যে লাফিয়ে নামবে নিয়ন্ত্রণহীন, কোন এক আঁধারের মুহূর্তে। যে স্ত্রীটি কিম্বা স্বামীটি সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে নীড়ে ফিরে একান্ত আপন জনার কাছে হৃদয় জুরাত, তাদের তাড়া করে ফিরবে অবিশ্বাসের ভুত, মনে হবে গোলাপের নিচে লুকিয়ে আছে কি কোন হন্তারক বিষের কাঁটা। পিতা শান্তিতে ঘুমুতে পারবেন না কন্যার কথা ভেবে। নিঃসন্দেহে এসব সন্দেহের ও অবিশ্বাসের বিস্তারণ পারিবারিক পরিধি ছাপিয়ে সমাজের চত্ত্বরেও অনভিপ্রেত মানসিক চাপের জন্ম দেবে। কর্মক্ষেত্রে বাড়বে অস্থিরতা, অস্থিরতা থেকে জন্ম নেবে কর্মবিমুখতা, শ্যাওলা জমবে সৃষ্টিশীলতার দীঘিতে। সামাজিক প্রেক্ষিতে এ ধরনের সমস্যাগুলো খুব জটিল ও অন্তর্ভেদী বলেই মনে হচ্ছে। তাই এ সমাজের সুচিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তেমন উদ্যোগের ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও যখন গা ভেজাচ্ছে না ঠিক তখনই জান্তব পশুপ্রবৃত্তির উল্লম্ফনের পক্ষেও সমাজের ক্লেদাক্ত অলিগলি থেকে বিবমিষাময় সাফাই শুনছি। হা হতশ্যি!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ইমরোজ এর ছবি

সাঈদকে সমর্থন দেওয়ার কারণ পড়তে গিয়ে হাসি পায়.........।। এই নাকি শিক্ষিত সমাজ!!!!!!!!!!!!!!

ইমরোজ এর ছবি

সাঈদকে সমর্থনের কারণ পড়তে গিয়ে হাসি পায়... এই নাকি আমাদের so called শিক্ষিত সমাজ..................।

তুলিরেখা এর ছবি

গত কয়েকদিন বেশ কয়েকটি পোস্ট পড়ছি এই বিষয় নিয়ে, বলতে গিয়ে কিছু বলতে পারছি না, আসলে বিষয়টা এরকম অভিঘাত রেখেছে যে যুক্তি ঢেকে দিচ্ছে আবেগ। কোনো কোনো কমেন্ট পড়ে এমন মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে যে রীতিমতন বন্ধ করে দিতে হচ্ছে সাইট।
এক জায়গার আলোচনায় দেখলাম সুন্দরী শিক্ষিতা মেয়েবন্ধুকে বিয়ে করে স্ত্রী করলে কনট্রোল করতে পারবে না বলে ছেলেটা সরে গেল। একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে "কন্ট্রোল" করবে, এই ভয়ানক স্পর্ধা কী করে কোনো মানুষের থাকতে পারে? বড়োজোর বলা যায় সংসার "ম্যানেজ" করার কথা, সমাজে ঠিকঠাক চলার কথা, সেখানে পুরুষ বা মহিলা যিনি বেশী ভালো পারবেন তিনি করবেন, অপরজন মানবেন। লীডার বা ফলোয়ার হওয়া দুটোই গৌরবের, কথাটা হলো কাজটা ঠিকমতন হচ্ছে কিনা! মহিলা হলেই সে ফলোয়ার হবে আর পুরুষ হলেই তাকে লীড করতে হবে এই ভয়ানক চাপের ব্যপার নতুন প্রজন্মকে কেন মানতে হবে? এ থেকে সোজাসুজি অস্বীকার করে বেরিয়ে আসতে হবে, কেউ কারুর চেয়ে খাটো নয়। পুরুষ বা মহিলা নয়, মানুষকে "মানুষ" হিসাবে দেখতে পারা এত কঠিন?

আসলে ঝেড়ে ফেলতে হলে আরো অনেক কিছু ঝেড়ে ফেলতে হবে, গোড়া থেকে। সম্বন্ধ বিয়ের গরুর হাটে গরু দেখার মতন মেয়েদেখা, পণ যৌতুক, মেয়ে জন্মালেই তাকে শ্বশুরবাড়ী যাবার জন্য তৈরী করা, মেয়েদের আবার পড়াশোনা চাকরি কেন, এদের ভালো "মা "হতে হবে( কই ছেলেদের বেলা তো তোদের এত পড়া কেন, ভালো "বাবা" হলেই হবে এরকম বলা হয় না! ), মানিয়ে গুছিয়ে নে মা আমার, শ্বশুরবাড়ী তোর আসল বাড়ী---এইসব সব পুরানো আমলের ধারণা ঝেড়ে ফেলতে হবে, নাহলে গোচরে অগোচরে এসব অপরাধ চলতেই থাকবে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অপছন্দনীয় এর ছবি

মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখা প্রাচীন সামাজিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহক তথাকথিত অভিজাতদের পক্ষে কঠিন। আর আকাশ থেকে খসে পরা ধর্মের মহান সমর্থকরা মুখে দাবী করেন তাঁরা নারীকেও মানুষ, বা সুপার-মানুষ হিসেবে দেখেন, কিন্তু কাজকর্মে প্রমাণ করেন তারা গরু ছাগলের চেয়ে বেশি কিছু নয়।

পাল্টাতে তো হবেই, কিন্তু তথাকথিত অভিজাতরা গিফট নাম দিয়ে খাট পালঙ্ক যৌতুক দেয়াটা নিজেদের আভিজাত্যের প্রকাশ মনে করেন, অধিকাংশ মেয়ের মা-বাবা মেয়ে বিয়ে দেয়াই আসল কর্ম এটা আঁকড়ে ধরে বসে থাকেন। এটা পাল্টানোর জন্য এখন মনে হয় আর কথা বলার কিছু নেই। 'মেয়ে দেখতে' আসলে যদি ঝাড়ুর লাঠি দিয়ে সারা শরীরে কালশিরে ফেলে দেয়া যায়, খাট পালঙ্ক 'গিফট' দিতে দেখলে যদি ওই খাট ভেঙে তার চ্যালাকাঠ মহান অভিজাত অভিভাবকের পিঠে আরেকবার ভাঙা যায় তাহলে কিছু হতে পারে।

আর পুরোনো আমলে ধারণা, যারা এখনো চোদ্দশ বছরের পুরোনো কথাবার্তাকে 'সব সময়ের' 'কখনো পাল্টাবে না' 'যেকোন সময়ে যে কোন ঘটনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য' বলে আঁকড়ে ধরে থাকেন তাদের মাথা ভেঙে সোজা ঘিলুর উপরে কলম দিয়ে লিখে না দিলে এ সময়ের কিছু মাথায় ঢুকবে বলে তো মনে হয় না।

Sunbeam এর ছবি

i think we should focus on what happened now.what Hasan actually did with rumana whatever rumana did....but it seems that Rumana's extra marrital relationship became much important..this is really funny..and this discovers the actual face of our so called educated society..
unfortunately hasan also knew that there are some people like him in the society..and so he used the same weapon that will favor him..and it worked
why are u bothered with the girlfriend of writer?..you people are really sick...pls try to be educated..but obviously not like Hasan..

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

হঠাৎ করে এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটিতে একটি অসংগত বিষয় চলে এসেছে- "পরকীয়া"। অথচ এই পোস্টে এই আলোচনা আসবে কেন বুঝছি না। যেখানে রুমানা এ জাতীয় কিছু করেনই নি!!! আমাদের উচিৎ এই পৈশাচিক ঘটনা গুলো যেন আর না ঘটে তার জন্য কী করণীয়, কী করলে সার্বজনীন সচেতনতা তৈরী হবে তাই আলোচনা করা। সাঈদ পশুটার উপযুক্ত শাস্তি কীভাবে সুনিশ্চিত করা যায় তা নিয়া বিশদ আলোচনা/কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। অথচ মূল বিষয় থেকে সবাই সরে যাচ্ছি।

আমি নিজেও ১৯ নং মন্তব্যে অত্যন্ত দু:খজনকভাবে এই অসংগত বিষয় 'পরকীয়া' নিয়ে (সমর্থন/অসমর্থন কোনটা কখন করা যাবে) একটি মন্তব্য করেছি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। মন খারাপ

'পরকীয়া' এই পোস্টের নিশ্চিতভাবে সম্পূর্ণ একটি অসংগতিপূর্ণ বিষয়। সবাইকে মূল বক্তব্যে ফিরে আসার অনুরোধ রইলো।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

যারা সাইদতে সমর্থন করছে, তারা বিষয়টাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে লেখার অর্থ পাল্টানোর চেষ্টা করছে। এটা খুব সাধারণ একটা টেকনিক যা কমিউনিটি ব্লগে এই ধরনের মানুষরা ব্যবহার করে থাকে। লক্ষ্য করলে দেখবেন যারা পরকীয়া নিয়ে কথা বলছে, তাদের একজনকেও আইডেন্টিফাই করা যাচ্ছে না। তারা নিজেদের অদৃশ্য রেখে এখানে স্ট্যানবাজি করছে। ব্যাপার না। আপনার অনুরোধের সাথে আমিও সুর মিলিয়ে বলতে চাই মূল বক্তব্যে ফিরে আসুন।

ধূসর অরণ্য এর ছবি

আপনার অনুরোধের সাথে আমিও সুর মিলিয়ে বলতে চাই মূল বক্তব্যে ফিরে আসুন।

সহমত।
রুমানার চোখের বর্তমান কি অবস্থা সেটা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে নাম্বার ওয়ান প্রায়োরেটি বলে আমি মনে করি।

পৃথ্বী এর ছবি

আমি জানতাম যে রুমানাকে একটা পর্যায়ে ঠিকই ব্যভিচারী বানানো হবে। পরকীয়ার ট্যাবুটা নিয়ে সব সমাজেরই কমবেশি ইমোশনাল কল্পিকেশনস আছে, কিন্তু সেক্সুয়ালি রিপ্রেসিভ সমাজ হিসেবে আমাদের মধ্যে মনে হয় এই আবেগটা অতিরিক্ত বেশি। যুক্তি-প্রমাণের কোন দরকার নেই, কোনভাবে ভুক্তভোগীকে(যে কিনা অবশ্যই একজন নারী) ব্যভিচারী দেখাতে পারলেই সমাজের নারী-পুরুষ ভুক্তভোগীর উপর হামলে পড়বে, পত্রিকার কাটতি বাড়বে, মাঝখান দিক দিয়ে অপরাধী চম্পট দিবে। And then, everybody lived happily ever after......

পরকীয়ার ব্যপারে আপনার বক্তব্যটাও আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। সাইদের বিচারের সাথে পরকীয়ার কোন সম্পর্ক না থাকলেও আমি এই ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই, কারণ এসব কুসংস্কার যতদিন থাকবে ততদিন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিন্দুমাত্র আস্থা না থাকলে তারা অন্যত্র ভালবাসা খুজলে সেটাকে আইনের ভাষায় কি বলে জানি না, কিন্তু যুক্তির দৃষ্টিতে তাকে মোটেই পরকীয়া বলা যায় না- বিশ্বাসের অনুপস্থিতিতে বিশ্বাস ভঙ্গ হয় কেমনে! বিয়ে যে একটা কাগুজে চুক্তি এটা অধিকাংশ বাঙ্গালী হয় জানে না, নয়ত ভুলে যায়। আমাদের কাছে প্রেমের চেয়ে চুক্তিটাই বেশি বড়। স্বামী-ত্রী কেউ কারও বিশ্বাস ভঙ্গ করে অন্য কারও সাথে প্রেম করলে সে অবশ্যই ক্ষমার অযোগ্য একটি কাজ করবে এবং এ ব্যাপারে বোধহয় দুনিয়ার কারও কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু উক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেখা উচিত তাদের মাঝে আদৌ পারস্পরিক আস্থা ছিল কিনা। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহিত কিনা সেটা এখানে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।

রুমানার এই ঘটনার মাধ্যমে সমাজের অনেকের মুখোশ যেমন খুলে পড়েছে, তেমনি পরকীয়া ও বাঙ্গালী সমাজের জেন্ডার রোল ও স্টেরিওটাইপিংয়ের মত ট্যাবু বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের এখন এই সুযোগটার সদ্ব্যবহার করা উচিত।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

"স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিন্দুমাত্র আস্থা না থাকলে" আমি মনে করি অবশ্যই একসাথে বসবাস করার কোন্ন প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে সামাজিক কিছু নিয়ম আছে তা আমি মানতে রাজি আছি, তা হল ডিভোর্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়সালা করে ফেলা উচিৎ। তবে যদি সেই দম্পতির কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান থাকে তবে তারা আরেকবার দুজনেই চেষ্টা করে দেখতে পারে আস্থা অর্জন করা যায় কী না। অবশ্য এরকম আস্থাহীন দম্পতির সন্তান নেওয়াই আমি সমর্থন করি না। সন্তান না নিয়ে তাদের শীঘ্রই বিচ্ছেদে চলে যাওয়া উচিৎ। "সম্পর্ক হবে ভালো লাগার ভিত্তিতে স্বত:স্ফূর্ত, বাধ্যবাধকতার ভিত্তিতে নয়।"

"আমাদের কাছে প্রেমের চেয়ে চুক্তিটাই বেশি বড়।" আসলেই এটি সত্য।

আমাদের চুক্তিমানসিকতা দূর করতে হবে, সম্পর্ক হবে প্রেমজাত, প্রেমনির্ভর। যতদিন প্রেমানুরাগ থাকবে সম্পর্ক থাকবে, যখন তা থাকবে না তখন এই পংগু সম্পর্কের বোঝা টানার দরকার নাই।

আয়নামতি1 এর ছবি

ইয়ে, মানে...

এস কে মজুমদার এর ছবি

আমি আমার প্রিও লেখকের লেখাটা পড়লাম! লেখক প্রিও হয় তাঁর লেখার জন্য অপ্রিও হয় অনেক কারনে, সেগুল উল্ল্যেখ নাইবা করলাম। আমি লেখক নই আমি পাঠক। আমাদের সবাই মতামত দেবার অধিকার আছে, নিয়াজ চৌধুরীর লেখায় যারা মত প্রকাশ করেছেন তাঁরা আমার নমশ্য। তবে কিছু মন্তব্য বেশ অবাক করার মতো যেমন একজন সম্মানিত পাঠক বলেছেন “ ওনার দেশে গালফ্রেন্ড(Girl Friend) আছে তার পরও তিনি অনেক ফান (Fun)করেছেন” আমার বুজতে একটু অসুবিধা হচ্ছে লেখার পাঠক সাহেব কি রাগান্বিত না ঈর্ষান্বীত!!!! আর পরকিয়ার কথাই যদি বলি যারা এই বস্তুটির ব্যাপক বিরোধী, তাঁদের জন্য বলছি রাধা কৃষ্ণের প্রেমও ছিল পরোকিয়া!!! শেখানেতো কেউ কারো নাক কান কাটেনি। আচ্ছা যাই হোক আমার মনে হয়নি লেখক পরকিয়াকে সমর্থন করেছেন, সমর্থন করেছেন একজন নারিকে যে যার কাছ থেকে যা পাওয়র কথা ছিলো তা পাননি। একটা কথা বলতে মন চাইছে, আমার মা আজকাল মায়েদের মতো অতো পাশ দেননি কিন্তু আমাকে অনেক শিক্ষা দিয়েছেন তার মধ্যে অন্ন্যতম হলো স্বামী আর স্ত্রী দুজন যদি দুজনকে সম্মান না করে তাহলে সংসার অশার হয। হয়তো তাঁদের দুজনের মধ্যে সবই ছিলো শুধু “সম্মান” ছাড়া!!! কে জানে ? তবে লেখকের প্রতি আমার একটা অনুরোধ অবশ্যই আছে সেটা হলো “গালফ্রেন্ড” শব্দ না ব্যবহার না করে আমাদের মতো পাঠকদের জন্য বাকদত্তা ব্যাবহারই বাঞ্চনিয তানাহলে পাঠকদের উত্তেজক মন্তব্যর জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে!!!!!! প্রর্থণা করছি রুমানা মঞ্জুর যেন সুস্থ হয়ে যান অন্তত এতটুকু আমরা আশা করতেই পারি একজন মানুষ হিসেবে... পুরুষ হিসেবে নয়!!!!!

অপছন্দনীয় এর ছবি

শব্দ পাল্টানোর আমি কোন প্রয়োজন দেখিনা। ওই শব্দের অর্থ বোঝার ক্ষমতা যে সব বিকারগ্রস্তদের নেই তাদের কথা চিন্তা করে কোন কিছু পাল্টানোরই কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

অপছন্দনীয় এর ছবি

প্রথমে খবরটা জেনে অবাক হয়েছিলাম, এরকম পশু তৈরী হয় কী করে সেটা ভেবে। আর এখন এই পোস্টের কিছু মন্তব্যে যা দেখছি তাতে এই জাতের প্রাণীতে যে পৃথিবী ছয়লাপ হয়ে যায়নি সেটাই মনে হচ্ছে সৌভাগ্যের বিষয়!

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই। এই পোস্ট না এলে হয়তো কিছু সুশীল(!) প্রাণীর দাঁত নখের চেহারাটা অজানাই থেকে যেতো।

অপ্রিয়1 এর ছবি

আমেরিকায় প্রতি ৫ জনে একজন ব্যাক্তিত্বের বিকারে ভুগছে (Personality Disorder). আমাদের দেশেও এই সংখ্যা কম হবার কোন কারণ নেই। তার ৫ জনের ১ জন আবার নির্যাতনকারী (abuser) হতে পারে। যে ব্যাক্তিত্বের বিকারে ভুগছে তাকে যতই সবাই মিলে গালাগালী দেন, ঘৃনা করুন তাতে কিন্তু তার কোন লাভ হয় না। এক সময় আমাদের পিতা মাতারা সত্ ও নির্লোভ ছিলেন, একটি ভালো চরিত্রের ছেলে দেখে ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে চাইতেন। এখন আমরা পাত্র/পাত্রি খোজার সময় চরিত্র দেখি না, ধন দৌলত দেখি, মেধা দেখি, এবিলিটি দেখি - তার পর সোজা বাসর ঘর। আপনার ৫ টা বোন থাকলে একজনের এই পরিণতি নিশ্চিত।

অপছন্দনীয় এর ছবি

চরিত্রও দেখে। তবে ছেলের নয়, তার বাপের এবং সম্ভব হলে পূর্বতন চতুর্দশ পুরুষের।

লূপীণ এর ছবি

চমৎকার!!!! আমি নিজেও চিন্তিত!!!!

guest_writer এর ছবি

আমি ৩ বছর ধরে বিবাহিত এবং আমার হাজবেন্ড ও একজন বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার।যদিও সে খুব ভালো তবুও এই ঘটনার পর থেকে আমার এবং আমার পরিবারেরও ভয় লাগছে আমার জন্যে । লাগাটা খুব অ্যাবনরমাল কিছু না । খুব আশা নিয়ে সবাই ভালো কাউকে খুজে নেয় । কিন্তু এর পরিনাম আসলে আমরা কেউই জানে না ।
nawarid nur saba

মিতালি এর ছবি

সাইদ/BUET কিন্তু নারী জাতি/DU কে আঘাত করেনি, আঘাত করেছে তার স্ত্রীকে। দুর্ভাগ্য/সৌভাগ্যক্রমে সে তার স্ত্রী, যার সাথে তার সুখ-দুঃখের সম্পর্ক, সম্পর্ক পারস্পরিক দেয়া-নেয়ার। আমাদের/বিশ্বের অনেক দেশেরই সংস্কৃতি অনুসারে পুরুষ আয় করে এবং তা দিয়ে স্ত্রী/সন্তান প্রতিপালিত হয়। আর স্ত্রী ঘর/সন্তানাদি সামলান। উন্নত বিশ্বে নারী-পুরুষ দুজনই আয় করেন, ঘর সামলান। ইহা পারস্পরিক ভালবাসা, পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক টান।
কোন পারিবারিক দ্বন্দ্ব/কলহকে একটা জাতির সাথে আরেকটা জাতির কলহ বলাটা বোকামো।

অপছন্দনীয় এর ছবি

এঞ্জিনিয়ার নাকি অন্য কিছু, এঞ্জিনিয়ার হলে বুয়েটের নাকি অন্য কোন জায়গার সেটা আসলে এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক।

প্রেয়সী এর ছবি

সত্যিই এই লেখাটা পড়ে এত শান্তি পেলাম যে বলার নয় শ্রদ্ধা । চারপাশে ম্যাডামের বিপক্ষে এমন এমন কথা বলা হচ্ছে যে নিজেকে ম্যাডামের সাপোর্টে দেখে ভাবছিলাম যে আমিই কেন একা। এমনকি যাকে আমার নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি সেও ম্যাডামের ভূমিকা নিয়ে বেশ সন্দিহান (তবে সে নরপশুটির পক্ষে কখনোই নয়)।

সবাই এত কিছুর পরেও কেন চোখ বন্ধ করে থাকে জানিনা। হ্যাঁ বিয়ে তো একটা কাগুজে চুক্তিই, কোটি কোটি মানুষ বিয়ে করছে কিন্তু আমি সন্দিহান যে তাদের সবার মধ্যে সত্যিকারের কোনো ভালোবাসা আছে কি না... সম্পর্কে ভালোবাসা থাকাটাই আসল, চুক্তি নয়, অবশ্যই। সে দৃষ্টিকোণ থেকে লিভ টুগেদার কেও সঠিকই মনে হয়। তারপরো আমরা সমাজের ভয় পাই, পরিবারের সামাজিক সম্মানের দিকে দৃষ্টি রেখে আমরা এমন কোনো কিছুই করতে পারিনা, পারিবারিক ethics আমাদের বারবারই বাধা দিতে থাকে। প্রচণ্ড ভালোবাসার দুর্বল মুহূর্তগুলোতেও মিলিত হতে পারিনা প্রিয় মনের মানুষটির সাথে, যারা মিলিত হয় তারাও চুপ করে যায়, সমাজের ভয়ে। বলতে দ্বিধা করে, কারণ এর নাম যে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক, এক কথায় ব্যাভিচার। ওঁয়া ওঁয়া পরকীয়াও আমাদের সমাজে তেমনই ethics বিরোধী, এর বিপক্ষে যাওয়া মানে প্রতারণা। কিন্তু মানব মন তো বড় বিচিত্র, সে শান্ত থাকতে পারে এমন উদাহরণ খুবই সামান্য। কেন কখন সে এ ধরণের কাজ করবে সেটাইতো ভাবনার বিষয়। একজন নারী, তার উপর বাঙ্গালী নারী সারা পৃথিবীতে খ্যাত তার স্বামীব্রতা image নিয়ে, এরা বিবাহের সম্পর্কে অত্যন্ত সত্য ও সচেতন, নিজের স্বামীকে ভালোবাসতে জানে নিজের মন প্রাণ হৃদয় লুটিয়ে দিয়ে। এটি আমার বক্তব্য নয় সারা পৃথিবীর মানুষের বক্তব্য, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে ও পত্রপত্রিকার ফিচারে তো তাই ছাপা হয়, এমনকি এদেশে জার্মান মুসলিম পর্যন্ত চলে আসে পাত্রী খুঁজতে। আমি নিজেও জানি ও বুঝি কেন একজন নারীর মন ভালোবাসার প্রতি সৎ। কিন্তু কখন এই ঘটনা থেকে বিচ্যুতি ঘটে? একজন মানুষের সহ্যের ক্ষমতা একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত। ক্রমাগত স্বামীর অবহেলা, বিভিন্ন চাওয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীকে পাশে না পাওয়া, যখন সে স্বামীকে পাশে পেতে চায় তখন স্বামীকে না পাওয়া, নিজেদের অনুভূতিগুলো sharing এর ক্ষেত্রে বিশাল gap , স্বামী সময় না দেয়ায় অনেক জরুরী কথাও বলতে না পারা, পরবর্তীতে সেটাই না বলার জন্য স্বামীর কাছে তিরস্কৃত হওয়া- এসবই তো তার মনকে বিষিয়ে তোলে সংসারের প্রতি। অনেক স্বামী ঠাট্টাচ্ছলেই হোক আরে সচেতন ভাবেই হোক না কেন স্ত্রীকে তার পরিবার নিয়ে অপমান করে, এতে তার স্ত্রীর মনে কি affect পড়ছে তা কিন্তু তারা কখনোই ভেবে দেখেননা- স্ত্রী নীরবে ফেলে চোখের জল। আমার নিজের আত্মীয় স্বজন এমনকি আমার মা বাবাকেই আমি এভাবে দেখেছি দুঃখী হতে। একজন পুরুষমানুষের উপর অনেক দায়িত্ব থাকে। সংসার সামলানো, সামাজিকতা, জীবনে ওঠার চিন্তা - স্বভাবতই তারা বহির্মুখী। তাদের বাইরের কোনো অঘটনের চাপ পারিবারিক জীবনেও পড়ে। তারা নিজের কষ্ট উষ্মা লুকাতে পারেননা। কারণে অকারণে তা স্ত্রী সন্তানের উপর ঝেড়ে ফেলেন। তার কষ্টের কারণ টাও স্ত্রী এর কাছে অনেক সময় ব্যক্ত করেননা পর্যন্ত। হয়ত অফিসে কোনো ঝামেলা হল, স্ত্রী বাসায় হয়ত খুশিমনে তার জন্য তারই প্রিয় খাবার রাঁধছেন পরম মমতায়। বাসায় এসে পুরুষ মানুষটি বাসায় এসে ভালোবাসা তো দূরে থাক কিছু না বলে খাবারের থালা পর্যন্ত উলটে দেন লবণ বা মশলা কম হয়েছে বলে। অথচ ভেবে দেখেননা এই স্ত্রীই কত কষ্ট করে সারা দিন পরিশ্রম করে গরমের মাঝে চূলার পাশে দাঁড়িয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই সব কিছু রান্না করেছেন। তারপর ক্লান্ত স্বামী যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন অনেক স্ত্রীই চোখের জল ফেলে তারপরও করে যায় স্বামীসেবা, হয়ত পা টিপে দেয়, নয়ত গা মুছিয়ে দেয়। স্বামীটি হয়ত তা জানেওনা। এসব যেমন সে যুগেও ছিল এখনো আছে- কোনোকিছুই শেষ হয়ে যায়নি। নারী সবসময়ই মমতাময়ী রূপে জন্ম নেয়। কিন্তু আগের যুগ থেকে এখনকার যুগের পার্থক্য হল শিক্ষা আর প্রযুক্তিতে। আমাদের এখনকার নারীরা শিক্ষিত, নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে জানে। নিজেরা কর্মক্ষম, তারা কেন এক তরফা ভাবে এভাবে পুরুষের অবহেলার শিকার হবে? আর আমাদের পূর্বপ্রজন্মের নারীদের যোগাযোগ বা পরিচয়ের উপাদান প্রযুক্তির অভাবে ছিল সীমাবদ্ধ। এখন সামাজিক নেটোয়ার্কিং সাইট থেকে শুরু করে মোবাইল YM কি নেই? এটিই কি একজন নারীর পক্ষে স্বাভাবিক নয় তার মনে দুঃখ কষ্ট গুলোকে তার চাপা পড়া অনুভূতিগুলোকে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সঙ্গীর সাথে শেয়ার করা? নারী স্বভাবতই বিশ্বাসী থাকতে চায়, কিন্তু অধিকাংশ পুরুষ এটিকে ইঙ্গিত ধরে নেয়, স্বাভাবিক বন্ধুত্বকে ভেবে ফেলে বেশি কিছু। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষেরাই provoke করে তার সাথে সম্পর্কে যাবার জন্য। একে কীভাবে কোন দিক দিয়ে কোন অর্থে কার সাথে নারীর প্রতারণা বলা যায়? কেউ বলবেন কী? একসময় ছিল যখন আশির দশকে একটা trend এসেছিল শিক্ষিত বৌ খোঁজার, কিন্তু তাকে চাকরী বাকরী করে সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্য না, শুধু সমাজে দেখাবার জন্য যে আমার ছেলের বউ বা আমার বউ শিক্ষিত। আজ অনেক মেয়েই চাকুরীর জন্য পোস্টিং পান বাইরে আলাদা থাকতে হয়ে স্বামী থেকে, অধিকাংশ এই সুযোগ গ্রহণ করেননা পরিবারের কথা ভেবে। কজন পুরুষ এমনটি করে বলতে পারেন? না পারবেননা। কারণ সব পুরুষই বহির্মূখী। যারা তেমন কিছু করেনওনা তারাও স্ত্রী এর বাইরে পোস্টিং হলে তার সাথে কখনো যেতে চাননা, কারণ লোকে কী বলবে সেই ভয়ে।

আজ ম্যাডামের এই ঘটনাটি আমাদের সবার চোখ খুলে দিয়েছে। আজ হাসান সাইদ নামক পশুটির মত হাজার হাজার মানুষ নিজের নাওয়া খাওয়া ভুলে নিজের কাজকর্ম ভুলে এই করুণ ঘটনাটিকে so called Juicy Social Gossip এ রূপান্তর করে এর থেকে নিজেরা মজা লুটার চেষ্টা করছে। কেউ দেখছেনা সেই নারীর কষ্ট যে হাস্পাতালের বেডে শুয়ে নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়ে ভীত, সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে লজ্জিত, কেউ দেখছেনা সেই পিতার কষ্ট যে নিজের চোখের সামনে নিজের কন্যার কষ্ট দেখছে, যে নিজের চোখের সামনে অন্ধত্ব বরণ করে নিতে দেখছে নিজ কন্যাকে কেউ তো তার কষ্ট দেখছেনা। জামাতারূপী কাল সাপ কে যে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন নিজের ঘরে।

এদেশের পত্রিকা গুলোর অবস্থান নিয়েও সংশয় আছে। একেক পত্রিকা এই ঘটনা নিয়ে একেক রকম মনগড়া কাহিনী বলছে। এক পত্রিকায় নরপশুটির যে বয়ান পাওয়া যাচ্ছে আরে পত্রিকায় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বা তার থেকেও ভিন্ন রকম। recently জানা গেল যে যেই কলেযে ম্যাডাম পড়তেন সেই কলেজেরই হোস্টেলে পাশপাশি রুমে নাকি ওই যুবক আর ম্যাডাম থাকতেন। (সূত্র ঃ আমাদের সময়) এমন যদি হয়েই থাকে তবে কিছুই বলার থাকেনা। বিদেশে অনেক হোস্টেলই কম্বাইন্ড, পুরুষ বা মহিলা আলাদা হোস্টেল নেই। আবার সেই নরপশুটি নাকি এমনও বলেছে ম্যাডাম নাকি কোনো স্কলারশিপই পানইনাই, সব মিথ্যা কথা, ওইখানকার ডিগ্রী পেলে নাকি সিটিজেনশিপ পাওয়া যাবে আর এরপর তিনি তার স্বামীকে নিয়ে যাবেন, সেজন্য নাকি হাসান তাকে সেখানে যাবার জন্য তার একমাত্র গাড়ি বেঁচে টাকা দিয়েছিলেন। কত প্রকার মিথ্যা বয়ান।

স্বামী যদি কিছু না করতেই পারে তবে সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তোমাকেই এগিয়ে আসতে হবে, হয়ত ম্যাডাম তাই করতে চেয়েছিলেন, কানাডায় ডিগ্রী নিতে চেয়েছিলেন তাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল।

এদেশের স্বামী স্ত্রীরা এত কিছুর পরো শুধু সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে রয়ে যান সম্পর্কের হাজার টানাপোড়েন সহ্য করে। আর নির্যাতিত হন শারীরিক ও মানসিকভাবে, till their Last Breath....

একজন এখানে কমেন্টে লিখেছেন কত মাই তো সন্তান হত্যা করে পরকীয়ার জন্য- তিনি এটা কি বললেন? তিনি কি জানেননা Exception Cannot Be An Example - এটি পরীক্ষিত সত্য। একজন মা এ কাজ করেছেন তাই বলে কত মা কীভাবে হয়ে গেল?

মেয়েদের চরিত্রে আঙ্গুল তুলে এদেশের অনেক পুরুষই অসুস্থ এক প্রকার মজা নিতে চান কিন্তু কখনো ভাবতে চাননা যে তাদের নিজেদের মাঝে খোট আছে কিনা। যে নারী পরকিয়ায় জড়াল তার সাথে যে সম্পর্ক করছে সেও তো একজন পুরুষই? তাই নয় কি? নাকি অন্য গ্রহ থেকে আসা এলিয়েন? নারী কি নিজে থেকে উৎসাহী হয়েই সম্পর্ক করে নাকি অন্য সুযোগসন্ধানী পুরুষ তাকে provoke করে কোনটা? আমার নিজের অনেক ছেলে বন্ধুকেই বলতে শুনেছি যে মেয়ে মানুষকে পটানো সবচেয়ে সোজা, কয়দিন তার ভালো বন্ধু সাজতে হবে, তার দুঃখ কষ্ট গুলো আস্তে আস্তে শুনতে হবে, বেশি বেশি সহানুভূতি দেখাতে হবে, নিজের কিছু দুঃখকষ্টের কাহিনী বানিয়ে বলে কান্নাকাটি করতে হবে তার কাছে, তারপর সুযোগ বুঝে তাকে একদিন বলতে হবে তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা, পৃথিবীর সব সুখ তোমাকে এনে দেব আমি।- এরপর নাকি মেয়েটা single থাকুক অথবা যে কোন ব্যক্তির সাথেই সম্পর্কে থাকুক সে তা ছেড়ে তার কাছে আসতে বাধ্য। অথচ স্বপ্নালু চোখে আসা বেচারী মেয়েটি বুঝলোনা যে সে নতুন সঙ্গীর কাছে এক ধরণের খেলার আর আমোদের পাত্রী।

আপনারাই বলুন এভাবে আমরা নারীরা সমাজের সব ক্ষেত্রেই Mind Game এর স্বীকার কেন হই? আবার আমরাই কলঙ্কের কালিমা বয়ে নিয়ে বেড়াই?

ম্যাডাম যাই করুন, যেমনই হোন, সত্য আমরা কিছুই এখনো জানিনা। কাজেই ম্যাডামের জন্য আমার ভালোবাসা রইল।

ধন্যবাদ।
শ্রেয়া।

প্রেয়সী এর ছবি

সত্যিই এই লেখাটা পড়ে এত শান্তি পেলাম যে বলার নয় শ্রদ্ধা । চারপাশে ম্যাডামের বিপক্ষে এমন এমন কথা বলা হচ্ছে যে নিজেকে ম্যাডামের সাপোর্টে দেখে ভাবছিলাম যে আমিই কেন একা। এমনকি যাকে আমার নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি সেও ম্যাডামের ভূমিকা নিয়ে বেশ সন্দিহান (তবে সে নরপশুটির পক্ষে কখনোই নয়)।

সবাই এত কিছুর পরেও কেন চোখ বন্ধ করে থাকে জানিনা। হ্যাঁ বিয়ে তো একটা কাগুজে চুক্তিই, কোটি কোটি মানুষ বিয়ে করছে কিন্তু আমি সন্দিহান যে তাদের সবার মধ্যে সত্যিকারের কোনো ভালোবাসা আছে কি না... সম্পর্কে ভালোবাসা থাকাটাই আসল, চুক্তি নয়, অবশ্যই। সে দৃষ্টিকোণ থেকে লিভ টুগেদার কেও সঠিকই মনে হয়। তারপরো আমরা সমাজের ভয় পাই, পরিবারের সামাজিক সম্মানের দিকে দৃষ্টি রেখে আমরা এমন কোনো কিছুই করতে পারিনা, পারিবারিক ethics আমাদের বারবারই বাধা দিতে থাকে। প্রচণ্ড ভালোবাসার দুর্বল মুহূর্তগুলোতেও মিলিত হতে পারিনা প্রিয় মনের মানুষটির সাথে, যারা মিলিত হয় তারাও চুপ করে যায়, সমাজের ভয়ে। বলতে দ্বিধা করে, কারণ এর নাম যে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক, এক কথায় ব্যাভিচার। ওঁয়া ওঁয়া পরকীয়াও আমাদের সমাজে তেমনই ethics বিরোধী, এর বিপক্ষে যাওয়া মানে প্রতারণা। কিন্তু মানব মন তো বড় বিচিত্র, সে শান্ত থাকতে পারে এমন উদাহরণ খুবই সামান্য। কেন কখন সে এ ধরণের কাজ করবে সেটাইতো ভাবনার বিষয়। একজন নারী, তার উপর বাঙ্গালী নারী সারা পৃথিবীতে খ্যাত তার স্বামীব্রতা image নিয়ে, এরা বিবাহের সম্পর্কে অত্যন্ত সত্য ও সচেতন, নিজের স্বামীকে ভালোবাসতে জানে নিজের মন প্রাণ হৃদয় লুটিয়ে দিয়ে। এটি আমার বক্তব্য নয় সারা পৃথিবীর মানুষের বক্তব্য, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে ও পত্রপত্রিকার ফিচারে তো তাই ছাপা হয়, এমনকি এদেশে জার্মান মুসলিম পর্যন্ত চলে আসে পাত্রী খুঁজতে। আমি নিজেও জানি ও বুঝি কেন একজন নারীর মন ভালোবাসার প্রতি সৎ। কিন্তু কখন এই ঘটনা থেকে বিচ্যুতি ঘটে? একজন মানুষের সহ্যের ক্ষমতা একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত। ক্রমাগত স্বামীর অবহেলা, বিভিন্ন চাওয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীকে পাশে না পাওয়া, যখন সে স্বামীকে পাশে পেতে চায় তখন স্বামীকে না পাওয়া, নিজেদের অনুভূতিগুলো sharing এর ক্ষেত্রে বিশাল gap , স্বামী সময় না দেয়ায় অনেক জরুরী কথাও বলতে না পারা, পরবর্তীতে সেটাই না বলার জন্য স্বামীর কাছে তিরস্কৃত হওয়া- এসবই তো তার মনকে বিষিয়ে তোলে সংসারের প্রতি। অনেক স্বামী ঠাট্টাচ্ছলেই হোক আরে সচেতন ভাবেই হোক না কেন স্ত্রীকে তার পরিবার নিয়ে অপমান করে, এতে তার স্ত্রীর মনে কি affect পড়ছে তা কিন্তু তারা কখনোই ভেবে দেখেননা- স্ত্রী নীরবে ফেলে চোখের জল। আমার নিজের আত্মীয় স্বজন এমনকি আমার মা বাবাকেই আমি এভাবে দেখেছি দুঃখী হতে। একজন পুরুষমানুষের উপর অনেক দায়িত্ব থাকে। সংসার সামলানো, সামাজিকতা, জীবনে ওঠার চিন্তা - স্বভাবতই তারা বহির্মুখী। তাদের বাইরের কোনো অঘটনের চাপ পারিবারিক জীবনেও পড়ে। তারা নিজের কষ্ট উষ্মা লুকাতে পারেননা। কারণে অকারণে তা স্ত্রী সন্তানের উপর ঝেড়ে ফেলেন। তার কষ্টের কারণ টাও স্ত্রী এর কাছে অনেক সময় ব্যক্ত করেননা পর্যন্ত। হয়ত অফিসে কোনো ঝামেলা হল, স্ত্রী বাসায় হয়ত খুশিমনে তার জন্য তারই প্রিয় খাবার রাঁধছেন পরম মমতায়। বাসায় এসে পুরুষ মানুষটি বাসায় এসে ভালোবাসা তো দূরে থাক কিছু না বলে খাবারের থালা পর্যন্ত উলটে দেন লবণ বা মশলা কম হয়েছে বলে। অথচ ভেবে দেখেননা এই স্ত্রীই কত কষ্ট করে সারা দিন পরিশ্রম করে গরমের মাঝে চূলার পাশে দাঁড়িয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই সব কিছু রান্না করেছেন। তারপর ক্লান্ত স্বামী যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন অনেক স্ত্রীই চোখের জল ফেলে তারপরও করে যায় স্বামীসেবা, হয়ত পা টিপে দেয়, নয়ত গা মুছিয়ে দেয়। স্বামীটি হয়ত তা জানেওনা। এসব যেমন সে যুগেও ছিল এখনো আছে- কোনোকিছুই শেষ হয়ে যায়নি। নারী সবসময়ই মমতাময়ী রূপে জন্ম নেয়। কিন্তু আগের যুগ থেকে এখনকার যুগের পার্থক্য হল শিক্ষা আর প্রযুক্তিতে। আমাদের এখনকার নারীরা শিক্ষিত, নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে জানে। নিজেরা কর্মক্ষম, তারা কেন এক তরফা ভাবে এভাবে পুরুষের অবহেলার শিকার হবে? আর আমাদের পূর্বপ্রজন্মের নারীদের যোগাযোগ বা পরিচয়ের উপাদান প্রযুক্তির অভাবে ছিল সীমাবদ্ধ। এখন সামাজিক নেটোয়ার্কিং সাইট থেকে শুরু করে মোবাইল YM কি নেই? এটিই কি একজন নারীর পক্ষে স্বাভাবিক নয় তার মনে দুঃখ কষ্ট গুলোকে তার চাপা পড়া অনুভূতিগুলোকে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সঙ্গীর সাথে শেয়ার করা? নারী স্বভাবতই বিশ্বাসী থাকতে চায়, কিন্তু অধিকাংশ পুরুষ এটিকে ইঙ্গিত ধরে নেয়, স্বাভাবিক বন্ধুত্বকে ভেবে ফেলে বেশি কিছু। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষেরাই provoke করে তার সাথে সম্পর্কে যাবার জন্য। একে কীভাবে কোন দিক দিয়ে কোন অর্থে কার সাথে নারীর প্রতারণা বলা যায়? কেউ বলবেন কী? একসময় ছিল যখন আশির দশকে একটা trend এসেছিল শিক্ষিত বৌ খোঁজার, কিন্তু তাকে চাকরী বাকরী করে সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্য না, শুধু সমাজে দেখাবার জন্য যে আমার ছেলের বউ বা আমার বউ শিক্ষিত। আজ অনেক মেয়েই চাকুরীর জন্য পোস্টিং পান বাইরে আলাদা থাকতে হয়ে স্বামী থেকে, অধিকাংশ এই সুযোগ গ্রহণ করেননা পরিবারের কথা ভেবে। কজন পুরুষ এমনটি করে বলতে পারেন? না পারবেননা। কারণ সব পুরুষই বহির্মূখী। যারা তেমন কিছু করেনওনা তারাও স্ত্রী এর বাইরে পোস্টিং হলে তার সাথে কখনো যেতে চাননা, কারণ লোকে কী বলবে সেই ভয়ে।

আজ ম্যাডামের এই ঘটনাটি আমাদের সবার চোখ খুলে দিয়েছে। আজ হাসান সাইদ নামক পশুটির মত হাজার হাজার মানুষ নিজের নাওয়া খাওয়া ভুলে নিজের কাজকর্ম ভুলে এই করুণ ঘটনাটিকে so called Juicy Social Gossip এ রূপান্তর করে এর থেকে নিজেরা মজা লুটার চেষ্টা করছে। কেউ দেখছেনা সেই নারীর কষ্ট যে হাস্পাতালের বেডে শুয়ে নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়ে ভীত, সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে লজ্জিত, কেউ দেখছেনা সেই পিতার কষ্ট যে নিজের চোখের সামনে নিজের কন্যার কষ্ট দেখছে, যে নিজের চোখের সামনে অন্ধত্ব বরণ করে নিতে দেখছে নিজ কন্যাকে কেউ তো তার কষ্ট দেখছেনা। জামাতারূপী কাল সাপ কে যে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন নিজের ঘরে।

এদেশের পত্রিকা গুলোর অবস্থান নিয়েও সংশয় আছে। একেক পত্রিকা এই ঘটনা নিয়ে একেক রকম মনগড়া কাহিনী বলছে। এক পত্রিকায় নরপশুটির যে বয়ান পাওয়া যাচ্ছে আরে পত্রিকায় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বা তার থেকেও ভিন্ন রকম। recently জানা গেল যে যেই কলেযে ম্যাডাম পড়তেন সেই কলেজেরই হোস্টেলে পাশপাশি রুমে নাকি ওই যুবক আর ম্যাডাম থাকতেন। (সূত্র ঃ আমাদের সময়) এমন যদি হয়েই থাকে তবে কিছুই বলার থাকেনা। বিদেশে অনেক হোস্টেলই কম্বাইন্ড, পুরুষ বা মহিলা আলাদা হোস্টেল নেই। আবার সেই নরপশুটি নাকি এমনও বলেছে ম্যাডাম নাকি কোনো স্কলারশিপই পানইনাই, সব মিথ্যা কথা, ওইখানকার ডিগ্রী পেলে নাকি সিটিজেনশিপ পাওয়া যাবে আর এরপর তিনি তার স্বামীকে নিয়ে যাবেন, সেজন্য নাকি হাসান তাকে সেখানে যাবার জন্য তার একমাত্র গাড়ি বেঁচে টাকা দিয়েছিলেন। কত প্রকার মিথ্যা বয়ান।

স্বামী যদি কিছু না করতেই পারে তবে সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তোমাকেই এগিয়ে আসতে হবে, হয়ত ম্যাডাম তাই করতে চেয়েছিলেন, কানাডায় ডিগ্রী নিতে চেয়েছিলেন তাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল।

এদেশের স্বামী স্ত্রীরা এত কিছুর পরো শুধু সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে রয়ে যান সম্পর্কের হাজার টানাপোড়েন সহ্য করে। আর নির্যাতিত হন শারীরিক ও মানসিকভাবে, till their Last Breath....

একজন এখানে কমেন্টে লিখেছেন কত মাই তো সন্তান হত্যা করে পরকীয়ার জন্য- তিনি এটা কি বললেন? তিনি কি জানেননা Exception Cannot Be An Example - এটি পরীক্ষিত সত্য। একজন মা এ কাজ করেছেন তাই বলে কত মা কীভাবে হয়ে গেল?

মেয়েদের চরিত্রে আঙ্গুল তুলে এদেশের অনেক পুরুষই অসুস্থ এক প্রকার মজা নিতে চান কিন্তু কখনো ভাবতে চাননা যে তাদের নিজেদের মাঝে খোট আছে কিনা। অথচ তারা এটা ভেবে দেখেননা যার সাথে সেই নারীটি সম্পর্ক করে সেও একজন পুরুষ, কোনো এলিয়েন নয়।মেয়েদের চরিত্রে আঙ্গুল তুলে এদেশের অনেক পুরুষই অসুস্থ এক প্রকার মজা নিতে চান কিন্তু কখনো ভাবতে চাননা যে তাদের নিজেদের মাঝে খোট আছে কিনা। যে নারী পরকিয়ায় জড়াল তার সাথে যে সম্পর্ক করছে সেও তো একজন পুরুষই? তাই নয় কি? নাকি অন্য গ্রহ থেকে আসা এলিয়েন? নারী কি নিজে থেকে উৎসাহী হয়েই সম্পর্ক করে নাকি অন্য সুযোগসন্ধানী পুরুষ তাকে provoke করে কোনটা? আমার নিজের অনেক ছেলে বন্ধুকেই বলতে শুনেছি যে মেয়ে মানুষকে পটানো সবচেয়ে সোজা, কয়দিন তার ভালো বন্ধু সাজতে হবে, তার দুঃখ কষ্ট গুলো আস্তে আস্তে শুনতে হবে, বেশি বেশি সহানুভূতি দেখাতে হবে, নিজের কিছু দুঃখকষ্টের কাহিনী বানিয়ে বলে কান্নাকাটি করতে হবে তার কাছে, তারপর সুযোগ বুঝে তাকে একদিন বলতে হবে তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা, পৃথিবীর সব সুখ তোমাকে এনে দেব আমি।- এরপর নাকি মেয়েটা single থাকুক অথবা যে কোন ব্যক্তির সাথেই সম্পর্কে থাকুক সে তা ছেড়ে তার কাছে আসতে বাধ্য। অথচ স্বপ্নালু চোখে আসা বেচারী মেয়েটি বুঝলোনা যে সে নতুন সঙ্গীর কাছে এক ধরণের খেলার আর আমোদের পাত্রী।

আপনারাই বলুন এভাবে আমরা নারীরা সমাজের সব ক্ষেত্রেই Mind Game এর স্বীকার কেন হই? আবার আমরাই কলঙ্কের কালিমা বয়ে নিয়ে বেড়াই?

ম্যাডাম যাই করুন, যেমনই হোন, সত্য আমরা কিছুই এখনো জানিনা। কাজেই ম্যাডামের জন্য আমার ভালোবাসা রইল।

ধন্যবাদ।
শ্রেয়া।

যুবরাজ এর ছবি

চলুক

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

ojana এর ছবি

এক সময় মানুষের দরকার ছিল তাই তারা একত্রে থাকত।এখন আর দরকার নাই! সবাই বুঝে। সবাই অনেক বুঝ্মান। আমি পারসনাল্লি তাই এখন থেকে এ একা থাকি। দেখেন সাইন্স আপ্নাকে অনেক কিছু দিয়েছে। যারা নারী কে টলারেট করতে পারেন না তারা একা থাক্তে পারেন। কোন বাপার না। আপ্নাদের জন্ন adult movie ase....টাকা থাকলে নারী ও পাবেন যে কোন কথা ই বল্বে না। so dont worry khali khali pachal pairen na. ghum den jaia. .......ar hasan masud re paile ami ekta kotha e boltam ...."tui to ekta stupid....maia manush kono din marte hoi???......hei din gesega.....ohon kono oshohay purush re kop dia taka poisha nia gele keu fira dekhe na....kintu kono maia manush jore kotha koile e 100 jon agaia ahe...apa kono somossa hoise naki...???/.......tui hala golay roshi de somoy thakte...".....

blog e dhukle aj kal valo lage .....karon onek gyani manush ase bojha jai........kintu rastay ber hoile kharap lage .........karon manush gulo sob onnay kore beray....ashun amra jara gyni asi sobai blog e golabaji kori......percentage barbo...taka poisha o barbo......ashole taka e sob....!! ki bolen...????

আনীতা এর ছবি

উফ!কেমন নরপশু!!

আকতার ইয়াছমিন এর ছবি

আমি ভীত ও আতঙ্কিত,দাম্পত্য জীবন নিয়ে।।
একজন নারী ,,সর্বোপরি একজন মানুষ হিসেবে-এই জানোয়ার -টার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই,...যাতে পরবর্তীতে স্বামীত্ব(এ সাইদ পশু'টার মতো) ফলাতে না পারে কোন স্ত্রী'র উপর।

একজন সাইফুর রহমান এর ছবি

আমার নিজের মনেও একটা প্রশ্ন এসেছিলো, কেন রুমানা ম্যাডাম এতদিন ধরে সব মুখ বুজে সহ্য করলেন, কাউকে কিছু জানতে দিলেন না। এখন বুঝতে পারছি, আমাদের সমাজে বিকৃত নপুংসক মনমানসিকতার লোকজন এটা নিয়ে তামাশাই করত শুধু। হায়রে, এই চিরায়ত লোকলজ্জার ভয়ই ওনার জীবন ধ্বংস করলো, উপরি হিসাবে এখন আবার জুটছে কিছু পার্ভার্টদের অসহ্য ম্যাৎকার।

guest এর ছবি

হাসান বলছে সে নাকি অনুতপ্ত ।Firing Squad দ্বারা মৃত্তু চায় ।শাস্তি থেকে খালাস পাওয়ার জন্য Engineering বুদ্ধি আটছে ।মনিরের মত ওরও ফাসী হোক ।

shormee এর ছবি

ভাই শুনেন অনেক ভাল লিখেছেন, যারা সাইদ এর মত পশু দের সমর্থন করে, তাদের কান টা ধরে দেশের বাইরে পাঠায় দেয়া দরকার। আর কেউ হটাত ঘুম থেকে উঠে তো আর ভাবে না যে কাউকে তালাক দিবে, যদি রুমানা পরকীয়া করেও থাকে আমি কোন দোষ দেখি না, এইরকম একটা পাগলের সাথে সে যে ১০ বছর ছিল,সেইতাই বিশাল বড় ব্যাপার রেগে টং

অতিথি লেখক(শান্তিপ্রিয়) এর ছবি

'আমার খুব ভয় হয়'-- সে কথা আপনার গার্লফ্রেন্ড বলেছেন, সে কথা মনে হওয়া সত্ত্বেও বলতে পারিনি আমি আমার বেছে নেয়া ভবিষ্যত জীবনসঙ্গীকে। এমনটা মনে হওয়ায় নিজেকেই ছোট মনে হয়েছে। একটা সম্পর্কে বিশ্বাসই তো সব, সেখানে সংশয় প্রকাশ? তারপরই মনে হয়েছে ম্যাডামও তো বিশ্বাস করেছিলেন। ওনাদের নাকি ১০ বছরের প্রেম ছিল, তারপর এতদিনের দাম্পত্য-- তারপরও এ ঘটনা? বিশ্বাস করতেও যে ভয় হয় আজকাল!

-শান্তিপ্রিয়

Kamrul Hasan এর ছবি

আমাদের অনেক শেখার বাকি।
আমরা এখনো শিখিনি প্রেম আর পাগলামীর পার্থক্য। চারপাশে যত প্রেম দেখি হিন্দি আর বাংলা মূভিতে সবই তো পাগলামী।
"আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালবাসি।" - দরকার নাই এমন ভালবাসার।

The Reader এর ছবি

" ৮৮ | লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: শনি, ১৮ Jun ২০১১, ০৬:২৪ AM) ---পুরো লেখার উদ্দেশ্যকেই পরিবর্তন করে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। তবে আমি আশাবাদী যারা নিরপেক্ষ পাঠক, তারা বুঝতে পারবে এদের আসল উদ্দেশ্য।"

আমি একজন নিরপেক্ষ পাঠক । আমি নিয়াজ ভাই এর পোস্ট টির মূল বক্তব্বের সাথে পুরোপুরি সহমত পোষণ করি । অবাক হচ্ছি এটা লক্ষ্য করে যে অনেকেই লেখাটির সারমর্ম কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে কৌশলে সায়িদ নামক নরপশুটির কাণ্ড কে সমর্থন দিচ্ছেন । সায়িদ এর পক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য দেখেই সমাজের তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত পুরুষ দের মানসিক বৈকল্য তা আঁচ করা যায় । তাই আমি অ ৭৩ নং মন্তব্বকারির মত বলতে চাই----
"৭৩ | লিখেছেন ইমরোজ (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: শুক্র, ১৭ Jun ২০১১, ০৯:৪৫ PM)

সাঈদকে সমর্থন দেওয়ার কারণ পড়তে গিয়ে হাসি পায়.........।। এই নাকি শিক্ষিত সমাজ!!!!!!!!!!!!!!"

আর একদল পাঠক ওই পশুটিকে সমর্থন যোগানর জন্য মূল বক্তব্য থেকে দূরে সরে গিয়ে রুমানার পরকীয়া প্রেম(যেটা কিনা প্রমাণিত হয়নি এবং সচেতন ব্যাক্তি মাত্রই বুঝে থাকবেন যে অভিযোগটি সায়িদ নরপশুটি করেছে কেবল তার নিজের দোষ ঢাকবার জন্যই ) এবং পরকিয়ার উপযুক্ত শাস্তি নিয়ে উচ্চস্বরে অভিমত দিতে অতি ব্যাস্ত ।

আমার কথা হল, পরকীয়া দোষনিয় অপরাধ হলেও তার শাস্তি বন্য পশুর মত আক্রমন করা নয় বরং যদি রুমানা অপরাধী হয়েই থাকে তাহলে সায়িদ আইনের আশ্রয় কেন নিলনা? সে কেন রুমানা কে পৈশাচিক কায়দায় আক্রমন করল? এরকম জঘন্য অপরাধ করে সে নিজের মানুষ নামক পরিচয় কে এ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ।

অপর একদল মন্তববকারি লেখকের ব্যক্তিগত জীবন যাপন পদ্ধতি এবং তার মানসিকতার সমালোচনায় মুখর । তাদের উদ্দেশে আমি যা বলতে চাই তা হল, "আগে নিজের মানসিকতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করুন তারপর লেখকের মানসিকতার ত্রুটি বের করতে আসুন ।"

হাসান সায়িদ এর বর্বরতা আমার বোন দের নিয়ে ভাবতে বসায় বলেই - রুমানা মঞ্জুর শেষ পর্যন্ত শুধুই একজন রুমানা মঞ্জুর থাকে না , সে আমার একজন বোন এ রুপান্তরিত হয় ।

সবশেষে আমি হাসান সায়িদ নামক পশুটির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি কামনা করি, কিন্ত্, নাম না জানা আরও অনেক তথাকথিত বিকৃতমস্তিষ্ক "হাসান সায়িদ" এবং তাদের নিঃশব্দ আক্রমনের কথা চিন্তা করে ভীত হই ।

পাঠক১ এর ছবি

এখানে কে কোন মন্তব্যে সাইদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে তা আমি খুঁজে পেলাম না, প্রত্যেকটা মানুষকেই দেখলাম সাইদের অপরাধের জন্য তার যথাযোগ্য শাস্তি দাবী করেছে। তবে হা উপরের অনেক মন্তব্যে অনেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে চেয়েছেন "যদি রোমানা পরকীয়ায় জড়িয়ে থাকে" তাহলে তারও যেন যথাযোগ্য শাস্তি হয়। এবং আমার মতে দুটি দাবীই সঠিক। এখানে আপনাদের বুঝতে হবে রোমানার কোন দোষ থাকতে পারে এটা বলা মানেই সাইদের পক্ষে বলা না।
আর মূল সমস্যাটি বাধিয়েছেন ব্লগের লেখক নিজে, রোমানাকে সমর্থন দেয়ার সুন্দর মোরকের মধ্যে তিনি আপাত অসম্পর্কিত 'পরকীয়া' করাকে সমর্থন দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তার এরকম নোংরা প্রবৃত্তিকে যারা সমর্থন করেনি তাদেরকে আবার সে ও তার সহযোগিরা নানা ভাষায় গালিগালাজ করার চেষ্টা করছে, যেটা খুবই লজ্জাজনক (যারা এরকম যুক্তিতে না পেরে গালিগালাজের দিকে এগোয় তারাই আসলে বাস্তব জীবণে বউদের সাথে কথায় না পেরে তাদের উপর হাত চালাবে)। এ সমস্ত আপাত নারীবান্ধব: যারা অপরাধ নয়, স্পেসিফ্যাক্লি নারীর উপর অপরাধে রোদন করে অন্য নারীদের কাছে নায়ক সাজার চেষ্টায় লিপ্ত এদেরই মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে বাস্তব জীবনে ধূর্ত নারীকামি পশু।

অপছন্দনীয় এর ছবি

১। দয়া করে ভদ্রমহিলার নামের বানানটা ঠিক লেখার চেষ্টা করুন। ইংরেজী বানানটা এখানে পাবেন

২।

রোমানাকে সমর্থন দেয়ার সুন্দর মোরকের মধ্যে তিনি আপাত অসম্পর্কিত 'পরকীয়া' করাকে সমর্থন দেয়ার চেষ্টা করেছেন

বাংলা পড়ে বোঝেন? বুঝলে পোস্ট আর মন্তব্যগুলো আরেকবার পড়ে দেখুন। আর না বুঝলে বোঝে এমন কাউকে এনে অনুবাদ করে দিতে বলুন।

৩।

তার এরকম নোংরা প্রবৃত্তিকে যারা সমর্থন করেনি তাদেরকে আবার সে ও তার সহযোগিরা নানা ভাষায় গালিগালাজ করার চেষ্টা করছে

সহযোগী মানে জানেন? আপনার কি ধারণা, এখানে একটা দল পাকিয়ে লোকজন সাঈদের বিরুদ্ধে চেঁচাচ্ছে?

৪।

যারা এরকম যুক্তিতে না পেরে গালিগালাজের দিকে এগোয় তারাই আসলে বাস্তব জীবণে বউদের সাথে কথায় না পেরে তাদের উপর হাত চালাবে

"যুক্তিতে না পারা" এবং "গালিগালাজ করা"র উদাহরণ দিন দয়া করে। "বউদের সাথে কথায় না পেরে" তাই না? আপনি কি বলতে চান নারীরা কথা বলতে এক্সপার্ট বা এ ধরনের কিছু? মন্তব্যকারীর ধরন বুঝতে একটা দু'টো ব্ল্যাংকেট স্টেটমেন্টের বাইরে আর কিছু লাগে না।

৫।

এ সমস্ত আপাত নারীবান্ধব: যারা অপরাধ নয়, স্পেসিফ্যাক্লি নারীর উপর অপরাধে রোদন করে অন্য নারীদের কাছে নায়ক সাজার চেষ্টায় লিপ্ত এদেরই মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে বাস্তব জীবনে ধূর্ত নারীকামি পশু।

কি অসাধারণ বাক্য। সাহিত্য পুরস্কার দেয়ার কোন ক্ষমতা আমার থাকলে আপনি ওটা পেয়ে যেতেন - এমন আবেগঘন কথা লিখতেও কলমের জোর লাগে। আপনার মতে সবার কী করা উচিত? উপরের মহামানবদের সাথে গলা মিলিয়ে আসল ব্যাপার নিয়ে কোন কথাই না বলে পরকীয়া কী, সেটা করলে কী কী হয়, রুমানা মঞ্জুর সেটা করেছেন কিনা, করলে তাঁর কতখানি(!) শাস্তি(!) পাওয়া উচিত এসব নিয়ে কথা বলা উচিত? মননশীলতার প্রকাশ ঘটাতে খুব বেশি কিছু লাগে না।

ভালো মত পড়ে দেখুন, যে মহামানবদের মন্তব্যগুলোতে আপনার মতে সাঈদের শাস্তি চাওয়া হয়েছে সেগুলোতে একটা কি দুইটা বাক্য পাবেন সাঈদ সম্পর্কিত, বাকিগুলো সবই পরকীয়া ইত্যাদি - ওই মন্তব্যগুলো যারা করেছে তাদের মন্তব্যের লক্ষ্য কোনদিকে সেটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।

দয়া করে হয় সচলায়তনে নিবন্ধন করে সচলায়তনের নিকনেম ব্যবহার করুন, আর নিবন্ধন করতে না চাইলে নিজের আসল নামেই মন্তব্য করুন।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

প্রথম আলোতে প্রকাশিত এই লেখাটি খুব ভাল লাগল। শেয়ার করলাম এখানে আর কয়েকটা লাইন কোট করলাম, http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-06-18/news/163189

রুমানা যে কত ভালো, কত জনপ্রিয়, কত মেধাবী—পরিচিত ব্যক্তিরা বারবার বলে গেছেন। প্রশ্নাতীতভাবে তিনি মেধাবী ও মিষ্টভাষী। কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখি একবারও, নিপীড়নের ঘটনায় নির্যাতিতার চরিত্র কেন এত প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে? নিপীড়নে রক্তাক্ত নারীর পাশে দাঁড়াতে কি আরও কোনো কারণ প্রয়োজন পড়ে? রুমানার নিপীড়নকে বুঝতে, তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল হতে, তাঁর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে কি রুমানার ‘ভালো’ মেয়ে হওয়া জরুরি? তিনি ভালো না হলে কি এই নিপীড়ন যৌক্তিক হয়ে যায়? নির্যাতনের পর রুমানা ‘ভালো’ মেয়ে, এই আলোচনা আসে সেই সামাজিক মন থেকে, যেখানে ধরে নেওয়া হয়, ভালো মেয়ে নয়, ‘খারাপ’ মেয়ের প্রতি নির্যাতন হয়। কেননা ‘খারাপ’ মেয়ে নিপীড়ন একভাবে আহ্বান করে, নির্যাতনের কারণ সৃষ্টি করে।

bibekban এর ছবি

i really appreciate you to write this article....believe it or not....if her husband thought she was engaged with extra-marital relationship with anybody, still he has no right to beat or hurt her......he could just leave her....or divorce her.....i cant belive this ...how do some people support that stupid husband????
Note that: i also agree with u about the condition of Bangladeshi Community living abroad..... u r right.....if u can backbite....u have bigger groups.....otherwise...u r alone and everybody is doing backbite about u.....it happens also with me....i am still proud of being alone here rather doing backbite....same thing may happen incase of her...so we want extreme punishment for that stupid husband..

যুবরাজ এর ছবি

এই বিষয়ে অনেক কথা হয়ে গেছে আর কথা না বাড়াই। শুধু একটা মেইল আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই, দয়া করে পড়ুন একটু।

"From: saif Islam

To:

; shahin akter

Sent: Sat Jun 18 14:01:14 2011

Subject: About Rumana Manzur from Canada

Respected Editor,

We are the Bangladeshi families and community members form Vancouver and University of British Columbia (UBC), Canada. Rumana Manzur, a Bangladeshi Student from the UBC, recently became victim of a terrible attack. We request you to kindly publish our following letter, containing our knowledge and experience with Rumana when she was here in Canada, at your well-reputed newspaper.

Dear Citizens of Bangladesh and our respected friends in the media,

We are Bangladeshi families from Vancouver and University of British Columbia (UBC), Canada. We are deeply shocked and mourning the brutal attack on our sister Rumana Manzur. We are writing this letter out of grave concern observing the attempts made to establish a baseless extramarital story by Rumana’s husband. The Bangladeshi community in the University of British Columbia is a very small community. It is simply impossible for anyone to have an extramarital affair without being noticed by the community members.

When we met Rumana for the first time, she appeared to be an extremely nice, polite and a brilliant Bangladeshi student. We found her to be a very serious student and at the same time dedicated to her family. At numerous occasions she expressed her concern to finish her Degree as soon as possible and return to her family in Bangladesh. As families living abroad we understood her anxiety and tried to extend our support. Rumana has been living thousands of miles away from her family. Both Bangladeshi and other international students extended their support. She always used to reciprocate with her friendly behaviour, kind words and her excellent cooking.

We were also very impressed with her regular practice of saying prayers five times a day in spite of her busy schedule. Every time we visited her place we found her opening the door with her head covered. In last Ramadan, she tried to attend masjid programs as much as possible. Muslim students here helped her especially to get halal foods. This is normal here that a Muslim is helping his/her brothers or sisters. We don’t think existence of any immoral or extra marital relationship in this generosity. We would have surely noticed that.

She never mentioned any bad things about her husband’s profession rather in many occasions she asked us what could be the possible business opportunities for her husband to run here in Canada. We always found her putting priority on her daughter’s well being. Her heart and soul effort was to bring her family here in Canada.

She had a childlike simplicity and innocence. She was extremely friendly with our children in the community. Wherever she went, she was children’s friend. She could communicate with children very easily and we are very grateful to her for the remarkable manners and courtesy she maintained which became examples to follow for our children.

All through her days for last 9 months, she never diverted from her study (which is why she was here for) and her love towards her daughter and husband. She used to miss them every single moment. The cell phone she used didn’t have signal within her building. So she always had to come outside of the building and spent long hours to talk with her daughter and husband irrespective of harsh winter condition, study load etc. Later she started using Skype for constant communication regarding the well being of her daughter and husband. She even used to teach her daughter, helping her with homework, and many other things for example how to draw flowers through Skype. We watched her regular attempts to buy expensive toys for her daughter with her very limited funding.

She was supposed to finish her thesis writing here in Canada. She could have stayed here with this perfect excuse if she had other motive or interest. But she virtually struggled to go back home and write her thesis from Bangladesh. It was too risky to be away from her supervisor at this stage and also expensive as she needs to come back to defend her thesis. Still she opted to do so just to be with her daughter and husband. We forbade her to go back for good reasons but she plainly said she can’t endure any more distance from her family. She said it’s enough for her to be away for eight months but no more. For the same reason she deferred her PhD for one more year. In normal course, she is supposed to start her PhD from next September, but she said she wants to compensate her absence from her family by being with them next year and she only would come back for her PhD if she can bring her daughter and husband and afford to stay together. As an international student, it is very hard to afford financially if she doesn’t get good funding. So she took one year to source a good funding option.

We are simply speechless, appalled, and deeply hurt in the incident of the false accusation of Rumana’s extramarital affair.

It is such a pain to observe that Rumana only went back to her family to lose the most precious gift from The Almighty, her eyesight. We feel that it is our duty to take a very strong stance against any kind of accusation that may come on our dear friend Rumana. It is our ardent request not to put this unfortunate woman, a brilliant Bangladeshi scholar, on the guillotine of character assassination.

On behalf of the Bangladeshi families in Vancouver and at the University of British Columbia who know Rumana Manzur."

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ভাই, মাঝেমাঝে আমার মনে হয় কি জানেন? পৃথিবীটা এত নোংরা হয়ে গেছে, মানুষের মন এত বেশী অসভ্যতায় ভরে গেছে যে ভালো মানুষদের থাকার জায়গা হিসেবে পৃথিবীটাকে আর ভাবা যাচ্ছেনা। যে যত বেশী ত্যাগ স্বীকার করে, সে তত বেশী কষ্টভোগ করে। অদ্ভুত!

দুচোখ হারিয়ে তীব্র যন্ত্রণায় কাতর একটা মানুষ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারেনা। অথচ প্রচন্ড কষ্টের সাথে লক্ষ্য করলাম মানুষ ঐ পশুটার সুবিধার জোরে সাজানো মিথ্যা প্রেসকনফারেন্সের তথ্য নিয়েই বেশী উৎসাহী। কারণ হয়তো রুমানার কথাগুলোতে কোনো চটকদারিত্ব ছিলোনা। মানুষ কত নোংরা হয়!

যে পত্রিকাগুলো সাঈদের মিথ্যাকথাগুলোকে ফলাও করে ছেপেছে, তারা কি এখন এই মেইলটা বাংলায় অনুবাদ করে ছাপাবে?

আরেকটা কথা, অন্যান্য ফোরামে এই মেইলের কন্টেন্ট শেয়ার করার অনুমতি দেবেন?

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

কাউকে দেখলে/কিছু কথা শুনলেই বোঝা যায় সে কেমন, আমার ধারণা হয়েছিল রুমানা সুশিক্ষিত সুন্দর মনের মানুষ নি:সন্দেহে। কিন্তু আপনার এই মেইল পড়ে আমি অনুধাবন করলাম উনি একজন উন্নত শুদ্ধ মানুষ।

এটা আমাদের জন্য নির্মম লজ্জার যে কিছু মানুষ সাঈদ পশুর মিথ্যাচার বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল!!! তাদের উচিৎ স্ববিবেকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করত: ঘুনেধরা মানসিকতা পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হওয়া।

যুবরাজ ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই অতিগুরুত্বপূর্ণ মেইলটি শেয়ার করার জন্য। আমি একটি অনুরোধ করব বা আমার কাছে মনে হচ্ছে এই মেইলটিকে কেন্দ্র করে একটি পোস্ট হতে পারে, যা খুব দরকার। আপনি সময় করতে পারলে পোস্টটি করুন। মেইলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ খুউব!!!

বইখাতা এর ছবি

মেইল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক(শান্তিপ্রিয়) এর ছবি

@ আনন্দী কল্যাণ: আপনি যে কথাগুলো তুলে ধরেছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন পুরুষ নির্যাতিত বা জখব হলে তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না। কিন্তু একজন নারী নির্যাতিত হলে তাকে আগে প্রমান করতে হয় তিনি ভাল, নির্যাতিত পাবার জন্য অযোগ্য। তাহলেই সমাজ তার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সহমর্মিতা জানায়। হায় সমাজ!

পাঠক১২৩ এর ছবি

[url=http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-06-18/news/163251]এখানে দেখুন[/url

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কালের কণ্ঠের রিপোর্ট

নিজ হীনম্মন্যতা থেকেই রুমানার চোখ উপড়ে ফেলতে চেয়েছি
রিমান্ডের প্রথম দিনে সাইদের স্বীকারোক্তি

গাফফার খান চৌধুরী ॥ আমার জীবনই যখন বিপন্ন, তখন রুমানাকে বাঁচিয়ে রেখে লাভ কী? এমন ভাবনা থেকেই কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক রুমানা মঞ্জুরকে বীভৎসভাবে হত্যার পরিকল্পনা করে তাঁর স্বামী হাসান সাইদ। প্রথমে রুমানাকে গলাটিপে হত্যার কৌশল নেয়। তা ব্যর্থ হলে দ্রুত তাকে বীভৎসভাবে হত্যা করতে উন্মাদের মতো রুমানার চোখ, মুখসহ স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে। দুই গৃহকর্মীর জন্য রুমানা হত্যার পরিকল্পনা সফল হয়নি। রুমানাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আবার হামলা চালাতে বাসার ছাদে গিয়ে পালিয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

রুমানার স্বামী সাইদ দু'দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনেই এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। মামলা তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দৰিণ) মনিরুল ইসলাম সাইদের বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, গত ৫ মে রম্নমানা কানাডা থেকে দেশে ফেরে। কয়েক দিন পর থেকেই নানা কথা নিয়ে রুমানার সঙ্গে সাইদের পারিবারিক কলহ চলছিল। কলহের এক পর্যায়ে রুমানা উত্তেজিত হয়ে স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সাইদের মনে ইরানী যুবকের সঙ্গে রম্নমানার পরকীয়ার বিষয়টি নাড়া দেয়। একইসঙ্গে সাইদের মনে হয় আমার জীবন যখন বিপন্ন, তখন রম্নমানাকে জীবিত রেখে লাভ কি? আমি যেহেতু বাঁচতে পারব না, অতএব রুমানাকেও বাঁচতে দেব না। এরপর থেকেই রম্নমানাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাইদ। প্রথমে রম্নমানাকে গলা টিপে হত্যার পরিকল্পনা করে। এতে প্রকৃত শাসত্মি হবে না ভেবে রম্নমানাকে বীভৎসভাবে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে বেধড়ক মারধরের পর হত্যার জন্য রম্নমানার গলা টিপে ধরে। এ সময় রম্নমানার চিৎকারে বাড়ির সবাই এগিয়ে গেলে সে যাত্রা পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। পরে পরিবারের হসত্মৰেপে তা মিটমাট হয়। সর্বশেষ গত ৩ জুন রম্নমানার মা গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে গেলে স্ত্রী হত্যার পরিকল্পনা করে সাইদ। সুযোগ বুঝে গত ৫ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রম্নমানাকে হত্যার উদ্যোগ নেয়। সাইদ রম্নমানাকে ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রম্নমানার গলা টিপে ধরে। রম্নমানা সজোরে আঘাত করে নিজেকে মুক্ত করে ফেলেন। এ সময় সাইদের চোখের চশমা পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রম্নমানাকে বীভৎসভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাল, নাক, মুখসহ স্পর্শকাতর স্থানে কামড়াতে থাকে। সাইদ রম্নমানার নাকে কামড় দিয়ে ৰতবিৰত করে। চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে। রম্নমানা প্রাণে বাঁচতে চেষ্টা করতে থাকেন।

রম্নমানার চিৎকারে তাদের গৃহকর্মী সামছুন্নাহার ও লতিফা এগিয়ে যায়। তারা বন্ধ দরজায় অনেকৰণ ধাক্কাধাক্কি করে। দরজা না খুললে তারা বিকল্প চাবি দিয়ে ঘরের দরজা খুলে ফেলে। দুই গৃহকর্মী সারা ঘরে রক্ত দেখে চিৎকার করতে থাকে। পরে গৃহকর্মীরা রম্নমানার পিতা মেজর (অব) মনজুর হোসেনকে টেলিফোনে বিষয়টি জানায়। তিনি দুই গৃহকর্মীকে পাশের ফ্ল্যাটের শাহজাহানকে বিষয়টি জানাতে বলেন। তিনি সাইদের ভাইকে ফোন করে সাইদকে নিয়ে যেতে বলেন। হত্যার পরিকল্পনা ভেসত্মে যাওয়ায় সাইদ বাসার ছাদে রম্নমানাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আবারও হামলা চালানোর জন্য লুকিয়ে থাকে। সন্ধ্যা পর্যনত্ম সাইদ সেখানেই ছিল। শেষ পর্যনত্ম পুলিশ বিষয়টি জেনে গেলে সাইদ সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে এ নিয়ে তোলপাড় শুরম্ন হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সাইদকে গ্রেফতার করতে সৰম হয়।
ডিবি ডিসি মনিরম্নল ইসলাম সাইদের বরাত দিয়ে আরও জানান, চোখের সমস্যার কারণে সাইদের বুয়েটের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। সাঈদ দিন দিন অন্ধত্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং স্বল্পসময়ের মধ্যে সে চিরতরে অন্ধ হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা সর্বৰণ সাইদকে তাড়া করে বেড়াত। এরপর ইটভাঁটি, সিএনজি ও সর্বশেষ শেয়ার ব্যবসায় লোকসানের মুখে পড়ে সাইদ পুরোপুরি দিশেহারা হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে সংসারে অশানত্মি সাইদকে রীতিমতো অস্থির করে তোলে। অন্ধ হয়ে যাওয়ার ঈর্ষা থেকেও সাইদ রম্নমানাকে চিরতরে অন্ধ করে দেয়ার জন্য আঙ্গুল দিয়ে রম্নমানার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করতে পারে। অহেতুক ভয় থেকেই রম্নমানাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে সাইদ। পরবর্তীতে হত্যার পরিকল্পনা গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে ক্রসফায়ারে দিতে সাইদ বহুবার পুলিশকে অনুরোধ করে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাই, লিঙ্কটা শেয়ার করার জন্যে। যদিও কারো জন্যে মৃত্যু কামনা করা ঠিক নয়, তবু এই পশুটার জন্যে কায়মনে সেটা কামনা করছি।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রস্তর যুগের ব্লগিংকালে আমরা প্রায়শইঃ দেখতাম ভালো লেখাগুলোতে যে কোন অজুহাতে ছাগুদল এসে মুখ দেয় আর ছাগু মুখ দেয়া মানেই পোষ্টের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হওয়া।

এই পোষ্টের অবস্থা ও তাই দাঁড়িয়েছে। কোন যুক্তিসংগত কথা নাই, হুট করে এসে ছাগলামীর শুরু।

ছাগুদলের জানা দরকার বাংলাদেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিয়ে হয় যে আইন অনুসরনে সেটি মুসলিম পারিবারিক আইন, শরীয়া আইন নয়। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী দুইজনই সম্পর্কের বনিবনা না হলে পরস্পরের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাবার অধিকার রাখে দুজনই।
যেহেতু বিয়ে একটি আইনগত চুক্তি, চুক্তির শর্তানুযায়ী বিবাহকালীন সময়ে পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে। বিবাহকালীন সময়ে যে কেউ অবিশ্বস্ত হলে চুক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার/করার শাস্তি কি?
একজন বিবাহিত পুরুষ কিংবা নারী তার কাউন্টার পার্টের সাথে চুক্তি বাতিল করে দিতে পারে অর্থ্যাৎ বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে। এর বেশী কিছু করার , শারীরিক কিংবা মানসিক শাস্তি দেয়ার অধিকার কারো নাই।

সাইদ যা করেছে, তা কোন যুক্তিতে কোন আবেগেই জাস্টিফাই করার নয়। আইন অনুযায়ী তার সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে। পিরিয়ড।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

বিভিন্ন ব্লগে ছাগুরা কুৎসা রটানো শেষে যখন দেখছিল আর শান্তি পাচ্ছে না, তখন এসে এখানেও হামলে পড়েছিল। তাদের করা বেশ কিছু কমেন্ট দেখে আমি রীতিমত বিস্মিত হয়েছি। যেহেতু এখানে লগ-ইন না করে কিছু লিখলে সেই লেখায় ব্যক্তির দায়ভার নেই, তাই তারা ঠিক তাদের মনের কথাগুলো বলে গিয়েছে। হয়তো এই কথাগুলো লোকচক্ষুর সামনে তারা বলতে পারতো না। কিন্তু ঘরে বদ্ধ কামরায় বৌ-এর উপর নির্যাতন হিসেবে ঠিকই প্রয়োগ করতো। এটা সমাজের জন্যে একটা এলার্ম, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

অপছন্দনীয় এর ছবি

ওই যুগে ব্লগের সাথে পরিচয় ছিলো না। তবে এই পোস্ট দেখে আন্দাজ করতে পারছি ঘটনা কী ঘটতো! উপরে দেখুন এক মহাত্মা আবার ছাগুরাম বিরোধীরাই বউকে ধরে পেটাবে জাতীয় এক চরম 'বাস্তববাদী' মতামত ঝেড়েছেন, সপ্তাহখানেকের জন্য মেজাজের বারোটা বাজাতে এদের দুই একটা মন্তব্যের বেশি আর কিছু লাগে না।

অনুপম এর ছবি

অসাধারণ লেখা !!! যারা মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই । তবে আমার ভয় হচ্ছে যে সম্ভবত অপরাধীর সঠিক বিচার হবে না ( এদেশে অবশ্য এটাই স্বাভাবিক ঘটনা ।)
"আমার খুব ভয় হয় " --- এই কথাটাকে এখন আমার খুব ভয় হচ্ছে !!!

নিত্যানন্দ রায় এর ছবি

কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে কি এই নষ্ট সমাজে বেচে থাকা সম্ভব? চারেপাশে এতো এতো অন্যায়, অনাচার প্রতিবাদী হওয়া তো দূরের কথা ( প্রতিবাদ করতে চাইলে কত দিন টিকে থাকবেন সেটা এক প্রস্ন ) নিরবে মুখ বুজে সহ্য করা অথবা দর্শক হয়ে শুধু অবলোকন করা, এভাবে একটা সুস্থ বিবেকবান মানুষ বেচে থাকতে পারে ?

--------------------
নিত্যানন্দ রায়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।