আমার এ লেখার মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ ভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্যই কয়েকটা মাউস ক্লিকের মধ্যে হাতের নাগালে চলে আসে। আবেদন করার প্রক্রিয়াটাও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন করে দিয়েছে, এমন কি রেফারেন্স লেটার পাঠানোর ব্যবস্থা সহ। যে জানে ফেইসবুক কীভাবে ব্যবহার করে, সে আবেদনও করতে পারেবে নিজে নিজেই এবং কোন রকম এ্যাজেন্টের সাহায্য ছাড়াই।
আমার এ লেখার মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ ভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্যই কয়েকটা মাউস ক্লিকের মধ্যে হাতের নাগালে চলে আসে। আবেদন করার প্রক্রিয়াটাও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন করে দিয়েছে, এমন কি রেফারেন্স লেটার পাঠানোর ব্যবস্থা সহ। যে জানে ফেইসবুক কীভাবে ব্যবহার করে, সে আবেদনও করতে পারেবে নিজে নিজেই এবং কোন রকম এ্যাজেন্টের সাহায্য ছাড়াই।
বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ড – দুটো দেশেই যথাক্রমে পিএইচডি এবং মাস্টার্স পর্যায়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ হয়েছে আমার। সে সূত্র ধরে আমি জেনেছি এবং বেশ ভালো ভাবেই পরিচিত হয়েছি এ দুটো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি এই লেখাটাকে চারটা পর্বে ভাগ করেছি। প্রথম পর্বে আমি আলোচনা করবো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন কোর্স এবং সেগুলোতে আবেদনের জন্যে ডকুমেন্ট তৈরী ও আবেদনের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলবো। তৃতীয় পর্ব মূলত তাদের জন্যে যারা স্কলারশিপ খুঁজছেন। ঐ পর্বে থাকবে বিভিন্ন স্কলারশিপের তথ্য। সর্বপরি চতুর্থ তথা শেষ পর্বে থাকবে ভিসা প্রসেসিং এবং ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত টিপস।
আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতিতে। শুরুতেই একটি বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া ভালো। যদিও আমি দেশ বলছি দুটো, আসলে দেশ আছে পাঁচটা। বৃটেন, যার আরেক নাম ইউনাইটেড কিংডম, নিজের মাঝে চারটা দেশ তথা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলস-এ বিভক্ত। এছাড়া উত্তর আয়ারল্যান্ড (যারা এক সময় ইউনাইটেড কিংডমের অংশ ছিল) স্বাধীন হয়ে বর্তমানে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডে পরিণত হয়েছে (এ লেখায় যদি শুধু আয়ারল্যান্ড বলা হয় তাহলে পাঠক বুঝে নেবেন আমি রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে কথা বলছি)। নিচের ছবিতে আলোচ্য পাঁচটি দেশকে দেখানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজার কাজটা অনেকের কাছে একটু পীড়াদায়ক অনুভূত হতে পারে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভালো? একেক র্যাঙ্কিং একেক রকম কথা বলছে, কোনটা ঠিক? ইত্যাদি বহু কনফিউশন। এর সহজ উত্তর হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু র্যাঙ্কিং দিয়ে ভালো বা খারাপ বলা যায় না। এর পেছনে নির্ভর করছে বেশ কিছু ফ্যাক্টর। পিএইচডি বা রিসার্চ মাস্টার্স করতে যাবার আগে অবশ্যই দেখে নেয়া প্রয়োজন কোন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় কেমন। তাছাড়া আপনি যে বিষয়টা নিয়ে পিএইচডি করতে চান, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক রিসার্চ পারফর্মেন্স কেমন এবং আপনার সুনির্দিষ্ট গবেষণার উপর তাদের গ্রুপ আছে কিনা সেটাও দেখে নেয়া জরুরী। তাছাড়া একজন সুপারভাইজার খুঁজে পাওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাধারণ কোর্স ভিত্তিক মাস্টার্সের জন্যে এই অতিরিক্ত খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু এতটুকুই জানা যথেষ্ট যারা গবেষণায় ভালো, তাদের রেপুটেশনও ভালো হয় এবং ফলস্বরুপ তাদের তাদের ডিগ্রীর ভ্যালুও বেশী হয়। সাথে টিউশন ফিসটাও একটু চওড়া হবে, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই আশা করি।
ব্রিটিশ আইলস-এ সবচেয়ে বেশী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ইংল্যান্ডে। এ দেশে প্রায় ৯০টা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিশ্ববিদ্যালয় সমমর্যাদার উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (হায়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউট) রয়েছে। এদের মাঝে যে সবাই খুব মান নিয়ন্ত্রণ করছে, তা নয়। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও খারাপ। তাই ইংল্যান্ডে পড়ালেখা করতে আসলে সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
১. প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়
২. রেডব্রিক বিশ্ববিদ্যালয়
৩. প্লেট গ্লাস বিশ্ববিদ্যালয়
৪. নূতন বিশ্ববিদ্যালয়
আমি সাজেস্ট করবো পিএইচডি অথবা রিসার্চ মাস্টার্স-এর জন্যে সবার চেষ্টা করা উচিত ক্যাটাগরি ১ এবং ২ এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তবে ৩ পর্যন্ত নামা যেতে পারে। তবে কোর্স ভিত্তিক মাস্টার্স তথা ‘টট মাস্টার্স’ পড়তে নিজের সামর্থ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশন অনুযায়ী সব ক্যাটাগোরি থেকেই নির্বাচন করতে পারেন। নিচে আমি প্রতিটা ক্যাটাগরি এবং তাদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করছি।
‘প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়’ ক্যাটাগরিটাই বলে দেয় এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পুরোনো। আসলে এই ক্যাটাগোরিটা শুধু ইংল্যান্ড নয়, বরং ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের সাতটা বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রে ডাকার জন্যে ব্যবহার করা হয়। এ সাতটা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৯৬ খৃষ্টাব্দ থেকে ১৫৯২ খৃষ্টাব্দের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদের মাঝে দুটো বিশ্বাবদ্যালয় ইংল্যান্ডে অবস্থিত, চারটা স্কটল্যান্ডে এবং একটা আয়ারল্যান্ডে। এরপর পুরো ব্রিটিশ আইলস-এ উনবিংশ শতাব্দীর আগে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় নি। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতি ছাড়াও এ অঞ্চেলের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় দুটো হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি অব কেম্ব্রিজ। এ দুটো প্রতিষ্ঠিান নিয়ে সুবিশেষ কিছু বলার প্রয়োজন দেখি না। নিউটন, ডারউইন, নিলসবোর, রাদারফোর্ড, ওয়াটসন, ক্রিক, চার্লস ব্যাবেজ, টিউরিং থেকে শুরু করে হালের স্টিভেন হকিংস – সবাই ৮০০ বছরের পুরোনো কেম্ব্রিজ থেকে এসেছে। ৮৮টা নোবেল বিজয়ী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে তাকে নূতন করে পরিচয় করিয়ে দেয়াটা দৃষ্টতার পর্যায়ে পড়ে। অন্যদিকে প্রায় হাজার বছরের পুরোনো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও এসেছে ৫৭ জন নোবেল বিজয়ী। এ দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোন পর্যায়ে সুযোগ পাবার জন্যে অসাধারণ এ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন দরকার। তবুও মাঝে মাঝে যখন কিছু বাংলাদেশীকে পড়তে দেখি, বেশ ভালো লাগে।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন যদিও প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কিন্তু সেটা ঠিক রেড ব্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ও নয়। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুই ক্যাটাগরির মাঝামাঝি স্থান দেয় হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসটাও দারুন মজার। পাঠকের জন্যে খুব সংক্ষেপে বলছি। ১২০৯ সনে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর স্কটল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে চারটা বিশ্ববিদ্যালয়, এমন কি অয়ারল্যান্ডেও একটা হয়েছে অথচ ইংল্যান্ডে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় হয় নি। শুধু তাই না, লন্ডন ছাড়া ইউরোপের আর সব নাম করা রাজধানী শহরে তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টা খুবই বিস্ময়কর ছিল ব্রিটিশদের জন্যে। তাই ১৮২৬ সনে কিছু জ্ঞানতাপস লন্ডন ইউনিভার্সিটি নামে একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন রাজধানী লন্ডনের বুকে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল ধর্মের আবরনে মোড়া এবং চার্চ এবং রাজতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণনে। কিন্তু লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিষ্ঠিত করা হয় সেকুলার হিসেবে। ফলে তৎকালিন রাজা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যাটাস তথা ‘রয়েল চার্টার’ দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু ততদিনে ক্লাস শুরু হয়েছে অথচ ডিগ্রী দেয়ার অধিকার নেই। চাপে পড়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এরই মাঝে ১৮২৯ সনে রাজা এবং চার্চের অনুসারীরা ‘কিংস কলেজ লন্ডন’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং রয়েল চার্টারও পেয়ে যায়। ফলে দুটো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রেশারেশি চরম আকার ধারন করে। এই রেশারেশিরই এক পর্যায়ে লন্ডন ইউনিভার্সিটিকে প্রস্তাব দেয়া হয় তারা যদি নাম পরিবর্তন করে আরেকটি নূতন প্রস্তাবিত ‘ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন’-এর কলেজ হিসেবে যোগ দেয়, যেখানে কিংস কলেজও যোগ দিবে বলে জানিয়েছে, তাহলে তারা তাদের ছাত্রদের ডিগ্রী দিতে পারবে। এক রকম বাধ্য হয়েই তারা শেষ পর্যন্ত এ প্রস্তাব মেনে নেয় এবং ১৮৩৬ সনে ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’ (UCL) হিসেবে নাম পরিবর্তন করে। সেদিনই ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কিংস কলেজ লন্ডনও যোগ দেয় ফেডারেশনে।
এই ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের গঠনটা একটু জটিল। তাই পাঠকের সুবিধার জন্যে ব্যাখ্যা করছি। প্রথমেই মনে রাখতে হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অর্থাৎ এটা অনেকগুলো কলেজের ফেডারেশন। আপনি সরাসরি এখানে পড়তে পারবেন না। আপনাকে একটা কলেজের মাধ্যমে পড়ে তাদের ডিগ্রী নিতে হবে। এটার পড়াশোনা দু ধরনের। ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল। ইন্টার্নাল হচ্ছে যারা সরাসরি ওদের কলেজে পড়ে। আর এক্সটারনাল হচ্ছে যারা বাহির থেকে ওদের ডিগ্রী দেয় যেমনটা বাংলাদেশে বিভিন্ন ল’ স্কুল দিয়ে থাকে। যাইহোক, ইন্টার্নালি বিশ্ববিদ্যালয়টার দুটো ভাগ রয়েছে। একটা ভাগ হচ্ছে ‘লিস্টেড বডি’। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এরা ছাত্রদের পড়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার আয়োজন করে; অনেকটা বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত। অন্যদিকে, আরেকটা ভাগ হচ্ছে ‘রিকগনাইজড বডি’। এই কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী দেয় কিন্তু পড়ানো এবং পরীক্ষা নেয়ার কাজ নিজেরাই করে। এদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক রকম স্বাধীন বলা যায়। এ কারণে এই কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় সমতুল্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, কিংস কলেজ লন্ডন, লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স, কুইনমেরী – এরা সবাই ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কলেজ ছিল বা আছে। হ্যা, কথাটা ‘ছিল বা আছে’ লেখার পেছনে কারণ আছে। ২০০৯ সনে ইম্পেরিয়াল কলেজ ফেডারেশন ছেড়ে নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে যদিও ঐতিহ্যের কারণে নাম পরিবর্তন করে নি। এছাড়া ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, কিংস কলেজ লন্ডন এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স-কে নিজেদের ডিগ্রী দেয়ার ক্ষমতা দিয়ে দেয়া হয়েছে যা তারা এখন দিচ্ছেও। তাদের সাথে ফেডারেশনের সংযোগটা খুবই নাজুক এখন এবং কয়েক বছরের মধ্যে তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য যে এই চারটা প্রতিষ্ঠানই বিশ্ববিখ্যাত এবং পিএইচডি ও মাস্টার্স করার জন্যে লন্ডনের বুকে আদর্শ স্থান। এছাড়া কুইনমেরি, যারা জনপ্রিয় কলেজগুলোর মধ্যে এখনও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ডিগ্রী দিচ্ছে, উচ্চশিক্ষার জন্যে লন্ডনে একটা ভালো প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়াও আরেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না বললেই নয়। সেটা ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক একটা ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টার নাম আলাদা ভাবে বলার কারণ এরা দাবী করে তারা অক্সফোর্ড এবং কেম্ব্রিজের পর ইংল্যান্ডের ৩য় বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে উইকিপিডিয়াতে আমরা অনেক তর্কও করেছি। সব শেষে একটা আর্টিকেল তৈরী করা হয়। সেটা এখান থেকে পড়তে পারবেন। শুধুই আগ্রহী পাঠকদের জন্যে এই লিঙ্কটা। আপনি চাইলে পুরোপুরি স্কিপ করে যেতে পারেন।
এবার আলোচনা করছি ‘রেডব্রিক বিশ্ববিদ্যালয়’ নিয়ে। মূলত ইংল্যান্ডের ছয়টা বিশ্ববিদ্যালয়কে রেডব্রিক বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয় যারা বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত। এরা বেশ সুনামের অধিকারী এবং কয়েকটা রীতিমত বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার যারা ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের মধ্যে সুবচেয়ে পুরোনো। এরপর আছে বার্মিংহাম, লিভারপুল, লিডস, শেফিল্ড এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্বাবিদ্যালয়গুলো বৃটেনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল শহরগুলোতে হয়েছে। এ্যাডগার পিয়ারস নামের একজন প্রফেসার এদের একত্রে ‘রেডব্রিক’ বলে ডাকার পর থেকে এই টার্মটা আলোচনায় আসে। পরবর্তীতে নটিংহাম, সাদাম্পটন, এক্সটার, হাল, লেইস্টার এবং নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই ক্যাটাগোরিতে যোগ করেন কেউ কেউ। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা এবং গবেষণার মানে বেশ এগিয়ে এবং পিএইচডি ও মাস্টার্সের জন্যে খুবই ভালো প্রতিষ্ঠান।
১৯৬০-এর দশকে ‘রবিনস রিপোর্ট অব হায়ারএডুকেশন’-এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘প্লেট গ্লাস’ বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়। এদের মধ্যে ওয়ারউইক, ইয়র্ক এবং সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় বেশ নাম করা। একই ভাবে ১৯৯২ সনে একটা আইন করে বৃটেনে বিভিন্ন পলিটেকনিককে বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যাটাস দেয়া হয়। তাদের এবং তাদের পর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘নিউ ইউনিভার্সিটিজ’ বলা হয়। এদের মধ্যে, কিংস্টোন এবং ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় তুলনামূলক ভাবে ভালো তবে পিএইচডি করার জন্যে এই ক্যাটাগোরির কোন বিশ্ববিদ্যালয় আমি সাজেস্ট করি না।
যারা উপরের এত এত আলোচনা পড়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলছেন বারবার, তাদের জন্যে একটা লিঙ্ক শেয়ার করছি। এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। এটা রাসেল গ্রুপের ২০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা। ১৬টা ইংল্যান্ড থেকে, দুটো স্কটল্যান্ড এবং একটা করে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস থেকে রয়েছে। শিক্ষার মান ও রিসার্চের গুনে এরা বৃটেনের সেরা। এদের উপর আপনি ভরসা করতে পারেন।
এবার স্কটল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করছি। স্কটল্যান্ডে মোট পনেরটা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এদের আমরা তিনটা ভাগে ভাগ করতে পারি – ১. প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়, ২. প্লেটগ্লাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩. নূতন বিশ্ববিদ্যালয়। হ্যা, ইংল্যান্ড-এর সাথে পার্থক্য শুধু রেডব্রিক কেটাগোরি। ঐ সময় স্কটল্যান্ডে কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় নি।
নিজেদের ‘শিক্ষা’ নিয়ে স্কটিশরা বেশ গর্ব করে। গোড়া এই জাতির অনেককে বলতে শুনি “যখন ইংল্যান্ডের দুটো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তখন আমাদের চারটা ছিল”। কথাটা মিথ্যে না। ১৪১৩ সনে প্রথম স্কটিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যার নাম সেইন্ট এন্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে আট হাজারের কিছু বেশী ছাত্রছাত্রী পড়ে এই ছোট্ট কিন্তু নামী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। নর্থ সি-এর ঠিক সৈকতে অবস্থিত ক্যাম্পাসটায় যে কোন সময় চাইলেই আপনি বই হাতে সমুদ্রে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে পারবেন! তবে স্কটিশ জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি মূলত এর প্রধান দুই শহরের দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরে এসেছে। ১৪৫১ সনে স্কটল্যান্ডের বৃহৎ শহর গ্লাসগোতে প্রতিষ্ঠিত হয় গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৫৮২ সনে রাজধানী শহর এডিনবরায় প্রতিষ্ঠিত হয় এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন অর্থনীতির জনক এ্যাডাম স্মিথ, এন্টিসেপ্টিকের অবিষ্কারক লর্ড লিস্টার, তাপগতি বিদ্যার জনক লর্ড কেলভিন, স্টিম ইঞ্জিনের আবিষ্কারক জেমস ওয়াট, কার্বন ডাই অক্সাইড-এর আবিষ্কারক জোসেফ ব্ল্যাক, নিষ্ক্রিয় গ্যাসের আবিষ্কারক উইলিয়াম রামজি, টেলিভিশনের অন্যতম আবিষ্কারক জন ল’গি, রাদারফোর্ডের সাথে যৌথ ভাবে নিউক্লিায়ার রিএ্যাকশনের প্রবক্তা ফেড্রিক সড্ডি প্রমুখ। অন্যদিকে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন টেলিফোনের আবিষ্কারক গ্রাহামবেল, ইলেক্ট্রম্যাগনেটিকের জনক জেমসক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, শার্লকহোমস এর লেখক আর্থার কোনান ডয়েল, ট্রেজার আইল্যান্ডের লেখক রবার্ট লুইস স্টিভেনসন, কবি ওয়াল্টার স্কট, বেইজ থিউরমের প্রবক্তা থমাস বেইজ প্রমুখ। উপরের নামগুলো শুনলেই বোঝা যায় স্কটিশ সমাজ গঠনে এ দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান কত খানি। স্কটল্যান্ড থেকে রাসেল গ্রুপে যে দুটো স্কটিশ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তারা এরাই। এছাড়াও স্কটল্যান্ডে আরেকটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ্যাবার্ডিন শহরে অবস্থিত এ্যাবার্ডিন বিশ্ববিদ্যালয় বৃটেনে বেশ নাম করা।
এর পরের ভাগে রয়েছে প্লেটগ্লাস বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ষাটের দশক বা তার পরপরই। এদের মধ্যে স্ট্রাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়, হেরিওট ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়, ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টিরলিং বিশ্ববিদ্যালয় ভালো স্কটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ১৯৯২ সনে প্রতিষ্ঠিত ‘নূতন বিশ্ববিদ্যালয়’-গুলোর মধ্যে এডিনবরা নেপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, রবার্ট গর্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট অব স্কটল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লাসগো ক্যালডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, ডান্ডি এবার্টে বিশ্ববিদ্যালয়কে মধ্যম মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০০৭ সনে কুইন মার্গারেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০১১ সনে ইউনিভার্সিটি অব হাইল্যান্ডস এন্ড আইল্যান্ডস প্রতিষ্ঠিত হয় যারা স্কটল্যান্ডের নবীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। এই লিঙ্ক থেকে সবগুলো স্কটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এক সাথে পাওয়া যাবে।
ওয়েলস-এ রয়েছে দশটা বিশ্ববিদ্যালয়। এদের অধিকাংশই আগে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস (যা ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের মত একটা ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়)-এর কলেজ ছিল। বর্তমানে এরা স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। ওয়েলসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার মানের দিক দিয়ে সেরা। ওয়েলসের রাজধানী শহর কার্ডিফে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রচুর বাংলাদেশী ছাত্র পড়তে দেখা যায়। ওয়েলসে আরো রয়েছে মধ্যম মানের সনসি বিশ্ববিদ্যালয়, গ্ল্যামারগন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব কার্ডিফ ইন্সটিটিউট অব ওয়েলস বিভিন্ন কলেজের মাধ্যমে এম.বি.এ অফার করে থাকে। যাদের ১৫-২০ হাজার পাউন্ড খরচ করে এম.বি.এ ডিগ্রী নেয়ার সামর্থ্য নেই, তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী লন্ডন, ডাবলিন বা অন্যান্য শহরে অবস্থিত পার্টনার কলেজের মাধ্যমে ৫-৮ হাজার পাউন্ড টিউশন দিয়ে নিতে পারে।
এবার আয়ারল্যান্ড দ্বীপের দিকে তাকানো যাক। আয়ারল্যান্ড অর্থাৎ রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডে সাতটা বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটা বিশ্ববিদ্যালয় সমমানের ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি রয়েছে। রাজধানী শহর ডাবলিনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ডাবলিন সাতটা প্রচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের যৌথ রানী, রানী প্রথম এলিজাবেথের নির্দেশে অক্সফোর্ড ও কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। রানীর বাবা অস্টম হেনরী প্রতিষ্ঠা করেছিল ট্রিনিটি কলেজ কেম্ব্রিজ। কথিত আছে সেই নামকরণ থেকে উৎসাহি হয়ে রানী তার প্রতিষ্ঠা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কলেজের নামকরণ করেন ‘ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন’। কিন্তু পরে ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় নি। ফলে চারশ বছরে ইতিহাসে ট্রিনিটি টিকে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কলেজ হিসেবে। ট্রিনিটি অক্সফের্ডের ওরিয়েল কলেজ এবং কেম্ব্রিজের সেইন্ট জোন্স কলেজের সিস্টার কলেজও। যেহেতু ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোন কলেজ নেই, তাই ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন বললে ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়কেই বোঝানো হয় এবং উল্টাটা। এছাড়া আয়ারল্যান্ডে আরো রয়েছে ১৮৫৪ সনে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন (ইউসিডি) যা আইরিশ রিপাবলিকের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। ট্রিনিটি এবং ইউসিডি শুধু আয়ারল্যান্ড বা ইউরোপেই নয়, আন্তর্জাতিক ভাবে খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। আয়ারল্যান্ডে পড়তে গেলে এদুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে চেষ্টা করার কথা আমি সবার আগে বলবো। এছাড়া ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) এবং ডাবলিন ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি (ডিআইটি) আরো দুটো ভালো অপশন। ডাবলিনের বাহিরে ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক (ইউসিসি) বেশ পুরোনো এবং স্বনামধন্য। এছাড়াও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আয়ারল্যান্ড গলওয়ে, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আয়ারল্যান্ড মেনুথ এবং ইউনিভার্সিটি অব লিমেরিক মধ্যম মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিবেচিত হয় আয়ারল্যান্ডে।
নর্দান আয়ারল্যান্ডে রয়েছে দুটো বিশ্ববিদ্যালয়। কুইন্স ইউনিভার্সিটি অব বেলফাস্ট তাদের মধ্যে সেরা। রাজধানী শহর বেলফাস্টে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টা একই সাথে আইরিশ এবং ব্রিটিশ। দুদিক থেকেই সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এখানে পড়লে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাসেল গ্রুপেরও সদস্য। এছাড়া রয়েছে আলস্টার ইউনিভার্সিটি যা দুই আয়ারল্যান্ডের মধ্যে ছাত্র সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টির স্ট্রাকচার অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মত ক্যাম্পাস বেইজড। চার শহর – বেলফাস্ট, কলেরিইন, ডেরী এবং জর্ডানস টাউন-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটা ক্যাম্পাস রয়েছে। প্রতিটা ক্যাম্পাস-ই কম-বেশী স্বয়ংসম্পূর্ণ।
এই ছিল মোটামোটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি। কথায় কথায় অনেক কিছু বলা হয়ে গেলো। আসলে উইকিপিডিয়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রজেস্টের হয়ে কাজ করছি অনেক দিন। ফলে এদের ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি এবং তর্ক বিকর্ত করেছি প্রচুর। সেজন্যে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা বলতে গেলে কিছু গল্পও চলে আসে। আশা করি পাঠক বিরক্ত হবেন না। উপরে আমি বিভিন্ন টার্মের সাথে লিঙ্ক যোগ করেছি। সেগুলোতে একটু চোখ বোলালে আশা করি আরো বিস্তারিত ধারণা পাবেন। আজ এখানেই থামছি। আগামী পর্বে আলোচনা করবো কোর্স, ডকুমেন্ট তৈরী এবং আবেদন করার প্রক্রিয়া নিয়ে।
১ ফেব্রুয়ারী ২০১২
গ্লাসগো, যুক্তরাজ্য
মন্তব্য
অনেক দিন পর স্পেলচেকার ছাড়া বাংলা লিখলাম। বেশ কিছু বানান ভুল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্ঠিতে দেখলে খুশি হবো।
টুইটার
শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
এতোদিন কোথায় ছিলেন?
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নূতন জীবনে ব্যস্ততার কারণে অনুপুস্থিত ছিলাম!
টুইটার
নূতন জীবন
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন সাথে পরিচিত মানুষ এবং পুরো জগত। সেজন্যে বললাম নূতন জীবন।
টুইটার
বরাবরের মতোই প্রাণবন্ত লেখা!! পরের পর্বগুলার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম!!
আশা করি পিএইচডি'র ব্যাস্ততার মাঝেও তাড়াতাড়ি লিখবেন বাকি পর্বগুলা
দুটো পর্ব দ্রুত লিখেছি। পরের পর্বটা হয়তো উইকে-এন্ডে লিখে সোমবারের আগেই পোস্ট করতে পারবো।
শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
কাজের পোস্ট। ধন্যবাদ।
_________________
[খোমাখাতা]
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
টুইটার
অনেক গোছানো, তথ্যনির্ভর লেখা।
পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে আছি। ।।(মোর বিলাতে পড়তে যাইবার মুঞ্চায়...)
অসংখ্য ধন্যবাদ। পরের পর্ব দিয়েছি। আশা করি পড়ে মতামত জানাবেন।
টুইটার
অনেক ধন্যবাদ।
টুইটার
যদিও আপনার পোস্টটি আমার ভর্তি বিষয়ক কোন কাজে আসবেনা তবুও প্রচুর তথ্যনির্ভর হওয়ার কারনে মনযোগ দিয়ে পুরোটাই পড়লাম। অনেক নাজানা তথ্যও জানা হলো।
ধন্যবাদ, বিশদে লেখার জন্য।
আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
টুইটার
লেখাটা দশ বছর আগে লিখলে আমার কত্ত কাজে দিত
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমাদের ছোট ভাইবোনদের যেন কাজে লাগে সেজন্যেই-তো লেখা। তাদের যেন আমাদের মত আফসোস না থাকে।
টুইটার
বোঝা যাচ্ছে লিখাটা যথেষ্ট সময় নিয়ে লিখেছেন এবং খুব গুছিয়ে ও তথ্যপূর্ণ, সেজন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
টুইটার
ধন্যবাদ।
টুইটার
-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
ধন্যবাদ।
টুইটার
বাহ, বেশ তথ্যবহুল ইন্টারেস্টিং প্রবন্ধ তো।
আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিছুটা গল্পের মত করে লিখলাম। তবে পরের পর্বগুলো শুধুই নিয়মকানুন নিয়ে হবে।
টুইটার
অনেক ভালো লাগলো.....মনোযোগ দিয়ে পড়লাম....
পড়ার জন্যে এবং ব্লগে আসার জন্যে শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
অসংখ্য ধন্যবাদ।
টুইটার
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা। এতদিন ধরে এরকম একটা লেখা খুজছিলাম। আমি আসলে ব্রিটেন অথবা আয়ারল্যান্ড যেতে চাই ক্রেডিট ট্রান্সফার করে। ভাই আপনি যদি অনুগ্রহ করে আমাক আপনার ইমেইল ঠিকানা দেন তাহলে আমার খুব উপকার হবে।
আমার সাথে যোগাযোগ করতে এই[১] ঠিকানা বরাবর মেইল করতে পারেনঃ
[১] chowdhun [এ্যাট] alumni.tcd.ie
টুইটার
নিয়াজ ভাইয়া আপনি যদি আমাক আপনার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবো সেটা জানান তাহলে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
উপরের মন্তব্যে আমি যে মেইল এ্যাড্রেসটা দিয়েছি ঐ বরাবর যোগাযোগ করতে পারেন।
টুইটার
পর্বগুলো পড়ার কিছুটা সময় বের করতে পারলাম নিয়াজ ভাই, জানেন পরীক্ষা চলছে।
খুব খুব উপকার করবে আমাদের। বিস্তারিত এবং সম্পূর্ণ ভাবে লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা।
_____________________
Give Her Freedom!
অনেক দরকারি পোস্ট। বাকি পোস্ট গুলা পরতে হবে।
ভাল লাগলো অনেক। আপনার আলোচনা আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে।
very helpful....thank you mr. murshed.
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন