ভারত বনধঃ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ১২/০৩/২০১২ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুটো দেশের সম্পর্ক কেমন সে বিষয়ে বেশ ভালো ধারণা পাওয়া যায় তাদের বর্ডার দেখে। এই বর্ডার যে শুধু দুটো দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে ধারণা দেয় তা নয়, পাশাপাশি দেশ দুটোর মানসিকতারও একটা চিত্র তুলে ধরে। ইউরোপের মূল ভূখণ্ড তথা “মেইন ল্যান্ড ইউরোপ”-এর মধ্য ভাগ থেকে শুরু করে যত উত্তরে যাবেন ততই বিস্মিত হবেন সেখানকার বর্ডার দেখে। অন্য ভাবে বলা যায় বর্ডারের অনুপস্থিতি দেখে। গাড়ি চালিয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে চলে গেলেও টের পাওয়া যায় না। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের সাথেই লাগোয়া ব্রিটিশ আইলস-এ অবস্থিত যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের মাঝেও একই ভাবে কোন বর্ডার নেই। খোদ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আইন করে এখানকার বর্ডার তুলে দেয়া হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা রয়েছে স্থলপথে এই বর্ডার অতিক্রম করার। মোবাইল ফোনে যখন নেটওয়ার্ক পরিবর্তনের বার্তা আসে তখন বুঝেছিলাম বর্ডার অতিক্রম করেছি; কোন চিহ্ন দেখে নয়।

এর অর্থ এই নয় যে ঐ দেশগুলোতে অবৈধ ইমেগ্রেন্টদের অনুপ্রবেশ রোধ করার কোন ব্যবস্থা নেয় না কর্তৃপক্ষ। এই অবৈধ ইমিগ্রেন্টদের অধিকাংশই ভারতীয় উপমহাদেশীয় অথবা আফ্রিকান। যুক্তরাজ্যের বর্ডার এ্যাজেন্সিকে দেখা যায় অবৈধ ইমেগ্রেন্টদের অনুপ্রবেশ রোধ করার জন্যে নিত্য নূতন পদ্ধতি অবলম্বন করতে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে অবশ্যই দেখামাত্র গুলি করার মত কোন পদ্ধতি নেই। শুধু যুক্তরাজ্য নয়; যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডারও কম বৈচিত্রপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ও পশ্চিমে দুটো মহাসাগর এবং উত্তর ও দক্ষিণে দুটো বর্ডার। এই বর্ডার দুটো খুবই বৈচিত্রপূর্ণ। উত্তরের বর্ডারটা কানাডার সাথে। পাঁচ হাজার পাঁচশ পঁচিশ মাইল দীর্ঘ এই বর্ডারটা পৃথিবীর যে কোন দুটো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বর্ডার এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় “আনডিফেন্ডেড” বর্ডার। চেকপোস্ট থাকলেও এই বর্ডারে পেট্রলিং হয় খুব কম। অন্যদিকে মেক্সিকোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডারটা, যা কানাডার সাথের বর্ডারের এক-তৃতীয়াংশ, খুবই সুরক্ষিত এবং ঘনঘন প্রেট্রলিং করা হয়। এর কারণ মেক্সিকো থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ড্রাগ ট্র্যাফিকিং। খুবই স্পর্শকাতর ঐ বর্ডারেও কিন্তু গুলি করে হত্যার খবর শোনা যায় না।

এবার দৃষ্টি ফেরানো যাক আমাদের বাংলাদেশের বর্ডারের দিকে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের বর্ডার রয়েছে দুই হাজার চারশ উনত্রিশ মাইল। যুক্তরাজ্যের দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার সংবাদ থেকে তথ্য পাচ্ছি যে ভারত এই বর্ডারের সম্পূর্ণটাই কাটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে [১]। শুধু তাই নয়, নিরপেক্ষ মিডিয়া এই বর্ডারকে কীভাবে দেখছে সেটা বোঝা যায় যুক্তরাজ্যের আরেক স্বনামধন্য পত্রিকা দ্যা ইকোনোমিস্ট যখন ভারতের সাথে আমাদের বর্ডারকে নামকরণ করে পৃথিবীর অন্যতম ব্লাডিয়েস্ট বর্ডার হিসেবে [২]। এ বিষয়ে ইকোনোমিস্ট ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে “trigger-happy Border Security Forces” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং বলেছে তারা গত দশ বছরে এক হাজারের উপরে বাংলাদেশীকে সীমান্তে হত্যা করেছে [২]। দ্যা গার্ডিয়ান ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের আচরণকে নাম দিয়েছে “India's shoot-to-kill policy on the Bangladesh border” [৩]।

আন্তর্জাতিক মিডিয়া যখন এভাবে ভারতের সমালচনা করছে তখন ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স তথা BSF তাদের এই হত্যাকাণ্ড গুলোকে আত্মরক্ষা অথবা চোরাচালান রোধের দোহাই দিয়ে জায়েজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। BSF এর এই মিথ্যাচার এবং ভণ্ডামীর জবাবও কোন বাংলাদেশী মিডিয়া থেকে নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে,

The Indian Border Security Force (BSF) justifies the killing of suspects by claiming that they were evading arrest, or that they had to fire in self-defense. However, in the cases investigated by Human Rights Watch, the alleged criminals were armed with nothing but sickles, sticks, and knives, commonly carried by villagers in the area. The police reports filed by the BSF seldom mention injuries received by the BSF’s own personnel which suggest that the border guards may have used lethal force instead of attempting arrest. In a number of cases, the victims were shot in the back, indicating that they may have been shot while running away. In others, injuries indicating victims were shot at close range, support allegations that they may have been killed while in custody. [৪]

যাদেরকে BFS অস্ত্রে সজ্জিত দাবি করে, অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় তারা আসলে রাখাল যারা গবাদি পশু চরাতে চরাতে সীমান্তের কাছে চলে গিয়েছিল। এমন কি তারা যদি অবৈধ অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাও করে থাকে অথবা চোরাচালানের সাথে যুক্ত থাকে, তবুও তাদের দেখামাত্র গুলি করার কোন কারণ নেই। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর বর্ডারের উদাহরণটা টেনে আনা যায়। বাংলাদেশ-ভারতের বর্ডারের চেয়েও অনেক বিপজ্জনক এবং ভয়াবহ সেই বর্ডারে গোলাগুলির সংবাদ প্রায় শোনা যায়ই না। আর যদি হয়ে থাকে, তবে সেটা হয় রীতিমত পত্রিকার মূল সংবাদ এবং তাতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তোলপাড় ওঠে। এর সঙ্গত কারণও রয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের নীতিমালা হচ্ছে,

The United Nations Basic Principles on the Use of Force and Firearms by Law Enforcement Officials calls upon officials to apply, as far as possible, non-violent means before resorting to the use of force and firearms. Even in self-defense, intentional lethal use of firearms is permitted only when strictly unavoidable in order to protect life. Officials are required to exercise restraint and “act in proportion to the seriousness of the offence.” [Basic Principles on the Use of Force and Firearms by Law Enforcement Officials, adopted by the Eighth United Nations Congress on the Prevention of Crime and the Treatment of Offenders, Havana, 27 August to 7 September 1990, U.N. Doc. A/CONF.144/28/Rev.1 at 122 (1990)]

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে ভারত যে শুধু বাংলাদেশকেই পরোয়া করে না, তা নয়। তারা জাতিসংঘেরও তোয়াক্কা করে না; অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। এটা ভারত বিষয়ে বাংলাদেশের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির একটা আদর্শ উদাহরণ। বাংলাদেশ এবং ভারত যখন দাবি করে তারা একে অপরের ভালো বন্ধু; তখন আড়াই হাজার মাইল কাটাতারের বেড়ায় আবৃত বর্ডার, দেখামাত্র গুলি করার নীতি এবং দশ বছরে এক হাজারের মত মানুষ হত্যা করার যে ঘটনা এতক্ষণ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তথ্যসূত্র ব্যবহার করে আলোচনা করলাম তা কী প্রকাশ করে? কোন ভাবেই কি তা বন্ধুত্বের স্মারক হতে পারে? না, হতে পারে না। কিন্তু এই “পারে না” কথাটা যাদের বলার কথা, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তারা অন্য সুরে কথা বলছেন। গত ২১ জানুয়ারী ২০১২ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং সরকারের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন,

এটার সঙ্গে কিছু গরু চুরি থেকে শুরু করে মাদক চুরি, অনেক কিছু এটার সঙ্গে জড়িত। সীমান্তে যারা বসবাস করছে, তাদের ও বাইরে থেকে শুনি- এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। আগেও ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। এটা নিয়ে রাষ্ট্র খুব বেশি চিন্তিত নয় [৫]

প্রিয় পাঠক, ঠিক এরকম একটা প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আজ সময় এসেছে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করার। হয়তো রাষ্ট্র চিন্তিত নয় কিন্তু দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের চিন্তিত হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। নদীর পানি বণ্টন থেকে শুরু করে বাণিজ্য, সেবাখাত, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, সিনেমা, ক্রিকেট – কোন ক্ষেত্রটায় ভারত আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে না? প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি শোষণ মূলক মানসিকতা নিয়ে আমাদের উপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে এবং আমরা তা মেনেও নিচ্ছি। রাষ্ট্রিয় ভাবে আমাদের এই নমনীয় নীতির ফলেই কিনা জানি না, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ নামক তাদের যে প্রতিবেশী রয়েছে তাদের কিছু মানুষকে গুলি করে মেরে ফেললে তেমন হট্টগোল হবে না। তারই ফল স্বরূপ আমরা দেখতে পাই কাটা তারে ফেলানীর লাশ ঝুলতে এবং জানতে পারি পরবর্তিতে লাশটাকে নিয়ে জাওয়ানদের অসুস্থ কামচরিতার্থ করার ঘটনা। আমরা আরো দেখতে পাই হাবিবুরকে নগ্ন করে জননাঙ্গে পেট্রল ঢেলে দিয়ে সেটা ভিডিও করতে কিম্বা সাইদুরকে মৃত্যুর আগে হাতে-পায়ের রগ কাটার পাশাপাশি অন্ডকোষও কেটে নিতে। এ রকম মধ্যযুগীয় অসংখ্য বর্বরতার ঘটনা আপনারা পড়তে পারবেন ধূসর গোধূলি দার BSF Cronicle আর্কাইভে [৬]। এছাড়া BSF এর হত্যা এবং আত্যাচারের তুলনামূলক চিত্র দেখতে পাবেন ধূসর গোধূলি দারই লেখা সচলায়তনের আরেকটা প্রতিবেদনে [৭]।

অন্য সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করে গেলেও এই সীমান্ত হত্যায় যদি আজ আমরা চুপ করে থাকি তবে সেটা আমাদের সার্বভৌম অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আর সে কারণে আমরা মনে করি ন্যূনতম আত্মমর্যাদা থাকলে আমাদের সকল বাংলাদেশীর প্রতিবাদী হয়ে ওঠা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেই প্রতিবাদের ধরন কেমন হবে? সেটা কি কেবলই ফেইসবুকে কিছু প্রতিবাদী স্ট্যাটাস অথবা প্রোফাইল পিকচার দেয়া অথবা মানববন্ধন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? প্রতিবাদের এই প্রকারকে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই কিন্তু এর কার্যকারিতা বাস্তবে খুব কম। আর সেজন্যে সচলায়তনের কিছু সম্মানিত ব্লগার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। এর পেছনে মূল যে কারণটি কাজ করেছে তা হলো বাংলাদেশে ভারতের বাজার। এই বাজার এতটাই বড় যে একে তুচ্ছ করার মত বোকামী ভারত করবে না। গত পহেলা মার্চ আমরা এক দিনের জন্যে ভারত বনধ পালন করেছি। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন সেদিন ভারতীয় মোবাইল কোম্পানী এয়ারটেল পত্রিকার পাতায় বড় বড় করে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, শুধু সেদিন যদি কেউ রিচার্জ করে তাহলে তার ক্রেডিট দ্বিগুণ করে দেয়া হবে। প্রিয় পাঠক, এটা ছিল চোখে দেখা যায় এমন একটা প্রতিক্রিয়া। আমাদের বিশ্বাস এ ধরনের প্রতিক্রিয়া অন্যান্য ভারতীয় পণ্য উৎপাদনকারী এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানেও হয়েছে। এ বিষয়ে একটা কথা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন। ব্যক্তিগত ভাবে এয়ারটেল বা অন্য কোন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের বিরোধ নেই। দ্বন্দ্বটা আদর্শের। বিরোধটা জাতিগত এবং সেটারও সৃষ্টি ভারতের হাতে।

আমরা ঠিক করেছি আগামী ১৫ মার্চ আবার ভারত বনধ করবো। ডাকটা আমরা একদিনের জন্যে দিচ্ছি কিন্তু এটাকে আমরা অভ্যাসে পরিণত করতে চাই। আমরা ভারতকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে, তোমরা বাংলাদেশের ব্যাপারে তোমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করো এবং সীমান্তে তোমাদের যে মধ্যযুগীয় বর্বর প্রহরীরা রয়েছে তাদের এখনই নিয়ন্ত্রণ করো। তা না হলে বাংলাদেশে তোমাদের যে বিশাল বাজার রয়েছে সেটা আজ হোক বা কাল, ধসে যাবে। ধসিয়ে দেয়া হবে। আমরাই দেব।

আপনি কি আছেন এই আন্দোলনে আমাদের সাথে?

তথ্যসূত্র

[১] Fencing off Bangladesh, Delwar Hussain, The Gurdian, United Kingdom, 5 Sept. 2009
Weblink: http://www.guardian.co.uk/commentisfree/2009/sep/05/bangladesh-india-border-fence
[২] Almost all quiet on the eastern front, The Economist, United Kingdom (Delhi Branch), 18 April, 2011.
Weblink: http://www.economist.com/blogs/banyan/2011/04/indias_border_bangladesh
[৩] India's shoot-to-kill policy on the Bangladesh border, Brad Adams, The Gurdian, United Kingdom, 23 January 2011.
Weblink: http://www.guardian.co.uk/commentisfree/libertycentral/2011/jan/23/india-bangladesh-border-shoot-to-kill-policy
[৪] Excessive Use of Force and Indiscriminate Killings by the BSF, Human Rights Watch publication. 9 December 2010.
Weblink: http://www.hrw.org/en/node/94641/section/6
[৫] সীমান্তের ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটবে: আশরাফ, BDNews24.com, বাংলাদেশ, ২১ জানুয়ারী ২০১২
Weblink: http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=183611&cid=3
[৬] BSF Cronicle, Blogspot Blog, সর্বশেষ হালনাগাদ ৮ মার্চ ২০১২
Weblink: http://bsfchronicle.blogspot.com/
[৭] সীমান্তে বিএসএফ'এর হত্যার তুলনামূলক চিত্র এবং 'ভারত বনধ', ধূসর গোধূলি, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২
Weblink: http://www.sachalayatan.com/dhushor/43517

১১ মার্চ ২০১২
গ্লাসগো, যুক্তরাজ্য


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

কুমার এর ছবি

চলুক সাথে আছি।

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

আছি চলুক

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি


অসাধারণ পোস্ট।
ভারত বনধের সাথে আছি।

তারানা_শব্দ এর ছবি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

rabbani এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
দাদাভাই এর ছবি

মজা লন মিয়া?? একদিন দুইদিন বন্ধ কইরা ওগো কুন গোপন কেশ ও ছিরা যাইব না । আমি এই বছর কোন ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট কিনি নাই । আবসলিউটলি নাথিং। আমার গায়েও কাপড় আছে, পেটেও ভাত আছে। আর টিভি তো দেখি ই না। বাইচা নাই আমি ?? কি মনে হয়?? আমগো উত্তরায় মেলাডি ইন্ডিয়ান থাকে। চান্স পাইলেই গারামু , মিস নাই। এখন আপনারা ইচ্ছা করলে আমারে গাইল পারতে পারেন।

মডু ভাই কমেন্ট ব্লক ও করতে পারেন, মন এর কথা ডা কইলাম আর কি ।

রু (অতিথি) এর ছবি

আপনার জন্য একটা লিনক দেই http://www.youtube.com/watch?v=Y4MnpzG5Sqc

ভিডিওটার প্রথম কথাই হচেছ Nothing is more powerful than an idea

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমগো উত্তরায় মেলাডি ইন্ডিয়ান থাকে। চান্স পাইলেই গারামু , মিস নাই।

এরকম বিদ্বিষ্ট আচরণ এই আন্দোলন বহির্ভূত।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমগো উত্তরায় মেলাডি ইন্ডিয়ান থাকে। চান্স পাইলেই গারামু , মিস নাই।

এটা যদি আপনার মনের কথা হয় তাহলে আপনাকে আর কে গাইল দিবে; নিজেই নিজেকে অনেক ছোট করলেন।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

মজা লন মিয়া?? একদিন দুইদিন বন্ধ কইরা ওগো কুন গোপন কেশ ও ছিরা যাইব না । আমি এই বছর কোন ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট কিনি নাই । আবসলিউটলি নাথিং। আমার গায়েও কাপড় আছে, পেটেও ভাত আছে। আর টিভি তো দেখি ই না। বাইচা নাই আমি ?? কি মনে হয়?? আমগো উত্তরায় মেলাডি ইন্ডিয়ান থাকে। চান্স পাইলেই গারামু , মিস নাই। এখন আপনারা ইচ্ছা করলে আমারে গাইল পারতে পারেন।

ভারতীয় পণ্য যে সবাই ব্যবহার করে তেমনটা কেন ভাবছেন? আমি ব্যক্তিগত ভাবে কখনই ভারতীয় পণ্য কিনি না কেননা তাদের পণ্যের মান ভালো না। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তার পরও ভারতীয় পণ্য কিনছেন। ভারতীয় সেবা নিচ্ছেন। তাদের সাথে নিয়ে এবং সবাই এক হয়ে এই অন্দোলন। আপনি না কিনলেও আন্দোলনে যোগ দিন। এই পণ করে যোগ দিন যে ভবিষ্যতেও কিনবেন না।

আমাদের আন্দোলনে কী ছেড়া যাবে এবং কী ছেড়া যাবে না সেটা সময় বলে দেবে। তবে আপনি যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাচ্ছেন তাতে হয়তো দু একজনের গোপন কেষই ছিড়তে পারবেন, এর বেশি কিছু নয়।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক

তারাপ কোয়াস এর ছবি

চলুক সময়াভাবে আগের পোষ্টগুলাতে মন্তব্য করার সুযোগ হয়ে উঠেনি তবে ব্যক্তিগতভাবে এই প্রবাসেও আমি ভারতীয় পণ্য বর্জন করেছি(শুধু বিশেষ দিনেই নয় বাকি দিনগুলাতেও)।

এই প্রসঙ্গে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সবার সাথে ভাগ করি: প্রায় ছয় বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের কোন এক দেশে কোন এক বিষয়ে একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী সম্ভবত শুধুমাত্র আমার গায়ের রং দেখে তিনি সরাসরি হিন্দি ভাষায় আমার কাছে কোন এক বিষয়ে জানতে চাইলেন। উল্লেখ্য যে ওখানে স্থানীয় ভাষার পর ২য় ভাষা হিসাবে অ-লিখিতভাবে হিন্দি ভাষাই ব্যবহৃত হয়(আমার দেখা মতে)। আমি তখন ওই ভদ্রলোককে সোজা বাংলায় তার উত্তর দিয়ে দেই। তখন তিনি ইংরেজিতে জানতে চান আমার দেশ সম্পর্কে। আমার ভাঙ্গাচোরা ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উনাকে জানালাম যে আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি আর আমার দেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা এবং সেখানে হিন্দি ভাষায় কেউ কথা বলে না(যারা আমার দেশে হিন্দি ভাষায় কথা বলে থাকেন(মাতৃভাষা হিসাবে) তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক) আমি কিন্তু হুবহু এই কথাই বলেছিলাম।


love the life you live. live the life you love.

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনার মত আমিও এমনটা করি প্রবাসে। অনেকে সরাসরি আমার সাথে হিন্দীতে কথা বলা শুরু করে যেন হিন্দী আমার না জানার কোন কারণ নেই! আমি তাদের সরাসরি ইংরেজীতে বলি "তুমি কী বলছো আমি বুঝতে পারছি না। ইংরেজী বলো।" তারপর তারা ঠিকই 'সুপথে' চলে আসে হাসি

শামীম এর ছবি

ব্যক্তিগত সামর্থ্যের মধ্যে রঙিন পোস্টার প্রিন্ট করা সম্ভব না। সরাসরি সাদাকালোতে প্রিন্ট দিলেও হয়তো সব কথা ফুটবে না। তাই আকর্ষনীয় এবং A4 আকারে প্রিন্টযোগ্য পোস্টারের অপশন থাকলে ভালো হত। এর আগে মুস্তাফিজ ভাইয়ের করা ইংরেজী পোস্টারটায় কালো ছিল ব্যাকগ্রাউন্ডে - প্রিন্টারে ঐ বস্তু ঢুকালে দুইদিনে কালি শেষ। তাই ইনভার্ট (নেগেটিভ) করে তারপর গ্রে স্কেলে প্রিন্ট নিয়েছিলাম - ভালই ফুটেছিলো, তবে সেটা সাদাকালোর জন্য বানানো হলে আরো ফুটতো।

এই পোস্টের পোস্টারটা (যা তিনটা পোস্টারের সমন্বয়ে তৈরী) বা এরকম সাদাকালো ভার্সন চাই। আপাতত আমি একটা করলাম, যা সহজেই আমার পক্ষে কর্মক্ষেত্রে প্রিন্ট করে সাঁটিয়ে দেয়া সম্ভব।

ভারতের বাণিজ্য প্রভাব প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ে গেল। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ঈদের আগে সম্ভবত দুই সপ্তাহ বাংলাদেশের বিজিবি (তৎকালীন নাম আলাদা ছিল মনে হয়) বর্ডারে চোরাচালান বন্ধ করে দিয়েছিলো -- যেটাকে বলে সিল করে দেয়া। এটার প্রতিক্রিয়া পড়েছিলো বাজারে। পরিচিতা একজন বুটিক শিল্পী জানালেন যেখানে উনি ধারণা করেছিলেন ২০ হাজার বিক্রয় হবে সেখানে বিক্রয় ২ লক্ষ পার হয়ে গিয়েছিলো - ক্রেতারাও দেশীয় বুটিকের মানে সন্তুষ্ট ও অবাক।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

স্যাম এর ছবি

স্যাম এর ছবি
স্যাম এর ছবি
স্যাম এর ছবি
শামীম এর ছবি

চমৎকার। ধন্যবাদ।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শামীম ভাই, চমৎকার হয়েছে। পোস্টারটা মূলতঃ আমাদের অতিথি স্যাম করেছেন। তার করা আরো কিছু পোস্টার রয়েছে। আপনি সময় নিয়ে ওগুলোও একটু এডিট করে দিলে প্রিন্ট নিতে সুবিধা হতো।

তোফায়েল এর ছবি

এবার কোমরে গামছা বেধে নেমেছি। অলরেডি সব বন্ধু বান্ধবদের জানিয়ে দিয়েছি। সবাইকেই বুজাতে পেরেছি মনে হয়।

'জাগো বাহে কোনঠে সবাই।'

রায়হান আবীর এর ছবি

চলুক

shafi.m এর ছবি

শেয়ার ও বুকমার্কট করে রাখলাম। ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই।

শাফি।

bekubanondo এর ছবি

আমেরিকা-মেক্সিকো, আমেরিকা-কানাডা, কিংবা ইউরোপ জুড়ে কোন জায়গায় বর্ডারের অন্য পার থেকে জঙ্গীগোষ্ঠী সহায়তা পায়??এই বিষয়ে একটু আলোকপাত করলে ভাল হত।

হিমু এর ছবি

এই এক ক্যানেস্তারা আর কত বাজাবেন দাদা? বিএসএফ শেষ কবে গুলি করে জঙ্গি মেরেছে? মারে তো গরুচালানীদের কাছ থেকে বখরা না পেলে। কাসাব আর তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা যে খোদ মুম্বাইতে গিয়ে মানুষ মেরেধরে একাকার করে ছেড়েছিলো, আপনাদের বিএসএফ কোথায় বসে বাল ছিঁড়ছিলো্ তখন?

জেগে উঠে কফির ঘ্রাণ নিন। অভাবে চা। ফেন্সিডিল বেচে খায় যারা, তাদের মুখে জঙ্গি নিয়ে প্যানপ্যান শোভা পায় না।

shourov এর ছবি

বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন নিজেরা নিজেদের গন্ডায় গন্ডায় মারলেও কোন শোরগোল হয় না কিন্তু বাইরের কারো হাতে একজন মারা পড়লেই চতুর্দিকে মাতম শুরু হয়। কেন এমনটা ঘটে বলে আপনি মনে করেন?

হিমু এর ছবি

যে কারণে আপনারা হোম-গ্রোন জঙ্গিদের নিয়ে টুঁ শব্দ না করে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে লুঙ্গির নিচে কামানবাহী কাল্পনিক কিশোর জঙ্গিদের নিয়ে মাতম করেন, সেই একই কারণে মনে হয়। আর বাংলাদেশের ভেতরে প্রতিদিন গণ্ডায় গণ্ডায় লোক খুনাখুনি করার কারণে তাদের একজনকে ধরে খুন করার অধিকার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী রাখে না বলে।

Guest এর ছবি

‍‍‌‌"মোছলমানের হাতে মোছলমান মারা পড়া" বা "হিঁদু কর্তৃক মোছলমান নিধন" এদুটোর মাঝে একটা বর্ডারলাইন আছে। মোছলমান জঙ্গিরা IED দিয়ে স্বজাতি হাজারে হাজার মেরে ফেললে সেটা ডিসকাউন্ট করা কর্তব্য, আর তার অন্যথা হলেই সেটা ইগোটিস্টিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। জানেন তো বিশ্বজুড়ে এটাই ঘটছে। আপনারাও যদি এমন কোন জাত্যাভিমান ভিতরে পুষে রাখেন এবং সেটাই মাতমের কারণ হয়ে থাকে দ্যান ডোন্ট বি অ্যাশহেমড, লেট ইট বি নোন, এন্ড উই উইল আন্ডাসট‌্যান্ড য়্যুর পেইন।

হিমু এর ছবি

হাজারে হাজারে স্বজাতি মেরে ফেলা "মোছলমান জঙ্গি" বাংলাদেশে নাই। পাকিস্তানে আছে। ভারতীয়দের অনেকেরই অক্ষরজ্ঞান আছে কিন্তু ভূগোলজ্ঞান মমতা ব্যানার্জির মতোই খারাপ। তাদের চোখে বাংলাদেশ আরেকটা পাকিস্তান মাত্র, যেখানে হাজারে হাজারে "মোছলমান জঙ্গি" ঘুরে বেড়ায় আর রাত হলে সীমানা পেরিয়ে নিরীহ ভারতীয়দের পুটকি মারতে ভারতে ঢুকে পড়ে। না ভাই, সমস্যাটা হিন্দুর হাতে মুসলমান মারা পড়া না, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর হাতে বাংলাদেশের নাগরিকের নির্বিচার হত্যা আর নির্যাতন নিয়ে। আগে মানুষ হন, তারপর হিন্দু আর ভারতীয় হয়েন। আপনার আশেপাশের লোকজন কি আগে আপনার মতোই অমানুষ, তারপর হিন্দু, তারপর ভারতীয়, যাদের ছেলেবেলায় তাদের মা ঘুম পাড়ানোর জন্যে বলতো, সো যা বেটা সো যা নাহি তো মোছলমান জঙ্গি আ যায়েগা? মানুষ হওয়ার জন্যে পয়সা লাগলে ফেন্সিডিল পাচার করে পাওয়া পয়সা কিছুটা সেই কাজে লাগান, আমরা মাইন্ড করবো না।

তোফায়েল মিয়াজী এর ছবি

মানুষ হওয়ার জন্যে পয়সা লাগলে ফেন্সিডিল পাচার করে পাওয়া পয়সা কিছুটা সেই কাজে লাগান, আমরা মাইন্ড করবো না।

মোক্ষম জবাব।

Hasan এর ছবি

এই ব্লগের কোথাও কি "মোছলমানের হাতে মোছলমান মারা পড়া" বা "হিঁদু কর্তৃক মোছলমান নিধন" এর উল্লেখ আছে? অই বর্ডারলাইন এখানে প্রযোজ্য হবে কেন? এখানে ভারতীয় দ্বারা বাংলাদেশী মানুষ মারার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। ভারতীয় লোকজন এখনও মোসলমান জুজুর ভয়ে কাতর, বাংলাদেশী রা নয়।মহাত্তা গান্ধী মারা যাওয়ার পর হত্যাকারী হিন্দু না মুসলিম প্রশ্ন হইসিল, বাংলাদেশে শেইখ মুজিব বা জিয়া হত্যার পর এইসব প্রশ্ন হই নাই। ওই ধরনের জাত্যাভিমান ভারতীয় বা পাকিদের বেশি, আমাদের নেই। আফসোস, এই সমস্ত ছাগলও বাংলা পড়তে পারে।

হিমু এর ছবি

কে জানে, এরপর হয়তো এসে বলবে, ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের মোছলমান জঙ্গি কিশোররাই সীমানা পেরিয়ে দিল্লি গিয়ে হাজার হাজার শিখকে খুন করেছিলো।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

‍‍‌‌"মোছলমানের হাতে মোছলমান মারা পড়া" বা "হিঁদু কর্তৃক মোছলমান নিধন" এদুটোর মাঝে একটা বর্ডারলাইন আছে। মোছলমান জঙ্গিরা IED দিয়ে স্বজাতি হাজারে হাজার মেরে ফেললে সেটা ডিসকাউন্ট করা কর্তব্য, আর তার অন্যথা হলেই সেটা ইগোটিস্টিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। জানেন তো বিশ্বজুড়ে এটাই ঘটছে। আপনারাও যদি এমন কোন জাত্যাভিমান ভিতরে পুষে রাখেন এবং সেটাই মাতমের কারণ হয়ে থাকে দ্যান ডোন্ট বি অ্যাশহেমড, লেট ইট বি নোন, এন্ড উই উইল আন্ডাসট‌্যান্ড য়্যুর পেইন।

বিএসএফ-এর মত আপনারাও কম যান না! সাদা চোখে দেখা যায় এমন একটা বিষয়কে আপনারা প্রতিনিয়ত ঘোলা করার চেষ্টা করছেন। প্রথমে জঙ্গিবাদের ধুয়া তুললেন। সেটার জবাব দেয়ার পর এখন ধর্মকে নিয়ে টানাটানি শুরু করেছেন। শুধু নিজের দেশেরটা না পড়ে যদি একটু বাহিরের দেশের খোঁজ খবর রাখতেন, তাহলে জানতেন যে বাংলাদেশে ধর্ম কখনও দাঙ্গায় রূপ নেয় নি। আমাদের স্বাধীনতার পর এমন কোন উদাহরণ কেউ দেখাতে পারবে না। জাতি হিসেবে এটা আমাদের সাফল্য যেখানে আপনারা এবং আপনাদের প্রতিবেশী ফাকিস্থান ব্যর্থ।

হিমু এর ছবি

উনি এবং ওনার মতো ভারতীয়রা "মোছলমান জঙ্গি"ভরা বাংলাদেশে মালসামানা বিক্রির সময় এই প্রশ্নগুলি গোল করে পাকিয়ে মনে হয় কোনো গোপন জায়গায় ঢুকিয়ে রাখেন।

দুর্দান্ত এর ছবি

সাই দ এর ছবি

আজকাল একটা ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে- পশ্চিমবঙ্গের অনেক ভারতিয়দের মধ্যে । উনারা একটু বেশি ভারতিয় হবার চেষ্টায় লিপ্ত। উত্তর ভারতিয় কর্তাদেরকে খুশি করার জন্য নাকি নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার জন্য?? নিজভুমে পরবাসি না হলে তো কারও এমন আচরণ হওয়া স্বাভাবিক নয়।

অরফিয়াস এর ছবি

মানুষের চামড়ায় মোড়া হলেও কিছু সত্যিই পশু থেকে যায়, দুঃখ যে সমাজটা এদের কথাতেই চলে, আর যখন দলবদ্ধ হয়ে কারো ঘরে আগুন দিতে হয়, এদের তখন বীরত্ব দেখবার মতো হয়, ভারতের রাজনীতিবিদরা জঙ্গী জুজুর ভয় দেখিয়ে জনগনকে তটস্থ রাখে আবার নিজেরাই আরেক দেশের মানুষের সাথে জঙ্গীপনা করে, এদের সব থেকে ভালো জঙ্গীপনা দেখা যায় বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসে গেলে, স্যুট-টাই পড়া অজস্র জঙ্গির দেখা মেলে সেখানে, প্রতিদিন যারা অসহায় মানুষদের ডেকে তাদের বীরত্ব প্রদর্শন করে, আর নারীদের চেখে দেখার বাসনায় জিভ ঝুলিয়ে বসে থাকে|

জঙ্গীরা তো বোমা মেরে স্বীকার করে, নির্বিচারে মানুষ মেরে সেটা স্বীকার করার মতো মেরুদন্ডও তো নেই ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের, যত্তসব।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

Hasan এর ছবি

কাশ্মির বা সেভেন সিস্টার এ আপনারা যত লোক মারসেন, তার কিছু অংশ মার্কিনী রা মারলে কি করতেন? তাদের প্রেম দিতেন কলসির কানার বদলে?

হিমু এর ছবি

বলা যায় না, দিতেও পারতো। আজমল কাসাবকে তো জামাই আদর করেই রেখেছিলো। কাসাবের কপাল ভালো সে গরু কিনতে ভারতে ঢুকে নাই, মানুষ মারতে ঢুক্সিলো।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন নিজেরা নিজেদের গন্ডায় গন্ডায় মারলেও কোন শোরগোল হয় না কিন্তু বাইরের কারো হাতে একজন মারা পড়লেই চতুর্দিকে মাতম শুরু হয়। কেন এমনটা ঘটে বলে আপনি মনে করেন?

এ প্রসঙ্গে আপনার জন্যে একটা প্রশ্ন ছিল আমার। কারগিল সীমান্তে যখন আপনাদের সৈন্যরা মারা পড়ছিল, তখন কান্না করছিলেন কেন এত? ভেতরে তো গণ্ডায় গণ্ডায় মানুষ নিয়মিতই মরছে ভারতে। তাহলে এত শোকের কী ছিল?

এই প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে আমাদের যে প্রশ্ন আপনি করেছেন সেটার উত্তরও আপনিই খুঁজে নিতে পারবেন।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমেরিকা-মেক্সিকো, আমেরিকা-কানাডা, কিংবা ইউরোপ জুড়ে কোন জায়গায় বর্ডারের অন্য পার থেকে জঙ্গীগোষ্ঠী সহায়তা পায়??এই বিষয়ে একটু আলোকপাত করলে ভাল হত।

পায় এবং খুব ভালো করে পায় যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো বর্ডারে। এই রেফারেন্সগুলো দেখুনঃ

[১] http://www.newsmax.com/Murdock/terrorists-mexico-border/2010/06/25/id/363056
[২] http://www.10news.com/news/27780427/detail.html
[৩] http://www.foxnews.com/us/2010/05/26/terror-alert-mexican-border/

এ রকম আরো অসংখ্য রেফারেন্স পাবেন গুগলেরই এই সার্চে ক্লিক করে। কিন্তু তাই বলে যুক্তরাষ্ট্র বর্ডারে যত্রতত্র লাশ ফেলছে না।

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দ্বারা যতটা আক্রান্ত, পৃথিবীর আর কোন দেশ ততটা আক্রন্ত নয়। ভারত-তো নয়ই। আপনাদের যত জঙ্গিবাদ সেটা আপনাদের নিজেদের তৈরী। কাশ্মির বা সেভেন সিস্টারের সাথে সংঘাত বাংলাদেশ তৈরী করে দেয় নি।

এরপর যে প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতাম সেটা হিমু ভাই বলে দিয়েছেন। হিউমেন রাইট ওয়াচও বলেছে (আমার আর্টিকেল দ্রষ্টব্য)। অতএব ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন, সমস্যাটা কার? আমি নিশ্চিত বিবেক থাকলে উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন।

পুনশ্চঃ এই প্রসঙ্গে ভবিষ্যতে বিস্তারিত লিখবো। পড়ার আগাম আমন্ত্রণ রইলো।

স্যাম এর ছবি

সাথে আছি। ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই

Morsheda Begum এর ছবি

সহমত প্রকাশ করছি । এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিবাদের মাধ্যমে আমরা নিশ্চয় বড় একটা সফলতা পাব । উত্তম জাঝা!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঠিক আছে।

হেলাল এর ছবি

সাথে আছি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সাথে আছি। চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আছি।

ধূসর জলছবি এর ছবি

সাথে ছিলাম ,আছি। ভারতের যাবতীয় আগ্রাসন বন্ধ হোক। গতবারের চেয়ে এবার আরও বেশি মানুষকে জানাতে পারব আশা রাখি।

অরফিয়াস এর ছবি

লেখার লিঙ্ক

আমার একই প্রসঙ্গে লেখার একটা লিঙ্ক জুড়ে দিলাম|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ওয়ারেশ এর ছবি

দারুন লিখেছেন।।।

আছি।।।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর নির্বিচার হত্যা ও বর্বরোচিত আচরনের জন্য আমরা ক্ষুব্ধ, অপমানিত।
১৫ই মার্চ ভারত বনধ কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।

ধন্যবাদ, সময়োচিত পোস্টটির জন্য।

অতিথি এর ছবি

বিশ্বকে এই প্রতিবাদ এর ব্যাপারে আমরা জানিয়ে দিতে পারি। এশিয়া কাপে কাল ভারতের ম্যাচে কোন ব্যানার বা পোস্টার প্রদর্শন করে।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

পোস্টের বক্তব্যের সাথে শতভাগ একমত এবং ১৫ মার্চ ভারতীয় পণ্য ও সেবা বর্জনের সাথে আছি।
ভারতীয় পণ্য ও সেবা বর্জনের কর্মসূচী সফল হোক !!!!

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ডাইনোসর এর ছবি

মাঝে মাঝে আমার মন্তব্য পোষ্ট হয়না। ব্যপার কিছুই বুঝতেছি না।

ইন্ডিয়ার পণ্য বর্জন শুরো করেছি কয়েক মাস আগে থেকেই। তবে নতুন দিনটির জন্য চেনাজানাদের সাথে নতুন করে প্রচারনা চালাবো।

guest_writter এর ছবি

গত সপ্তাহের বুধ কি বৃহস্পতিবারে সময় নিউজ চ্যানেলের সন্ধ্যার খবরে দেখলাম সীমান্ত এলাকায় বাঁশের খুটির ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ পাচার করে নিচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের সীমানায় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে অভিনব উপায়ে এই বিদ্যুৎ পাচার করা হচ্ছে, কিন্তু মিটার বাংলাদেশেই আছে। ফলে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল ঐ এলাকার সাধারন জনগণকে দিতে হচ্ছে। অথচ, তার নিজেরা বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারছেন না। ফলে দেখা যাচ্ছে সীমানার ঐপাড়ের সুজলা সুফলা জমি, আর এই পাড়ে মাটি ফেটে চৌচির।
(বিঃ দ্রঃ- ঠিক কোন দিনের সংবাদ ছিলো এবং কোন সীমান্ত এলাকা সেটা আমি ভুলে গিয়েছি। তাই তথ্য অসম্পুর্ণতার জন্য দুঃখিত। আমি চেষ্টা করছি পুরো সংবাদটা পাওয়ার জন্য। পাওয়া মাত্রই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শেয়ার করব।)

এইমাত্র এন টিভির দুপুরের সংবাদ দেখে জানতে পারলাম ফেনী নদীর রামগড় সীমান্ত দিয়ে নদী থেকে পানি পাচার করছে ভারত। অনেকগুলো পাইপলাইনের মাধ্যমে নদীথেকে পানি চলে যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এর ফলে রামগড় এবং ফটিকছড়ি এলাকার কৃষকরা তীব্র পানির সংকটে পড়েছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী আশেপাশের এলাকায় নদীর সাথে সংযুক্ত খালগুলোতে পানির প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে।
ভারত প্রথমে বাংলাদেশকে তাদের তৃতীয় শ্রেনীর নিম্নমান পন্যের বাজারে পরিণত করল। আমরা লক্ষী, শান্ত, সুবোধ বালক-বালিকার মত সেগুলো গিললাম। কিন্তু এখন?????????????? এই আগ্রাসন বন্ধের উপায় কি??????

দীপাবলি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এই আগ্রাসন বন্ধের উপায় কি??????

উপায় হলো ভারতের থার্ড ক্লাস নিম্নমান পণ্যের কান ধরে ভাগাড়ে ফেলে দেয়া। বাংলাদেশী হিসেবে মাথাঝাড়া দিয়ে দাঁড়ানো। ভারতীয় যেকোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলকে উইদ ডিউ রেসপেক্ট মধ্যমা দেখিয়ে দেয়া। ভারতীয় সেবাদানের যে ব্যাঙের ছাতা গড়ে উঠেছে আমাদের দেশে, সেগুলোকে রূপসা চপ্পল দিয়ে মাড়িয়ে নিজের দেশের সেবা গ্রহণ করা।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক

guest_writter এর ছবি

আমি ব্যক্তিগতভাবে ভারতীয় কোন পন্য বা সেবা ব্যবহার করিনা। তাই নতুন করে বর্জনের প্রয়োজনও নেই। কারন ঐসকল পন্যের প্রতি আমার কোন আসক্তি নেই। তবে চেষ্টা করছি যতবেশি পারি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু এবং আশেপাশের মানুষকে সচেতন করার জন্য। আশা করছি একদিন সফলতা আসবেই।

দীপাবলি।

কাজি মামুন এর ছবি

চলুক

সাবেকা এর ছবি

সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো ।

অবজার্বার এর ছবি

আজকে বিবিসি বাংলার সন্ধ্যার খবরে শুনলাম হাবিবুর রহামানের উপর অত্যাচার চালানো ৭ জন বিএসএফ সদস্যের প্রত্যেকের ৩ মাস সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে এবং একজন হেড কন্সটেবলের পদাবনতী ও পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য 'বেতন বৃদ্ধি' বন্ধ করা হয়েছে।

দ্যা রিডার এর ছবি

তাতে কি হাবিবুর এর জীবন ফেরত এসেছে ? এতেই কি হাবিবুরের পরিবারের কান্নার দাম শোধ হয়ে গিয়েছে? হয়নি । অতএব প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে ।

shafi.m এর ছবি

এ তো গরু মেরে জুতা দান নয়, যে হারামিরা হাবিবুররে মারল তাকে এক মাস বসিয়ে রেখে নতুন দামি জুতা দেয়া হল যেন এরপর থেকে ভাল ভাবে জুতা মারতে পারে? ভারতের পলিসি মেকাররা কি টুইস্টেড টুয়েল্ভ ইয়ার ওল্ড নাকি? বাচ্চা কালে বাবা-মার অভাবেও এমন ফাল্তু মন-মানুষিকতা হবার কথা নয়। ধুর।

শাফি।

দ্যা রিডার এর ছবি

সাথে ছিলাম , আছি , থাকব চলুক

সামিয়া এর ছবি

ভারত বনধ এর সাথে সহমত পোষণ করে ব্যানারের মূল কথাগুলো সিসিবির ব্যানারে ব্যবহার করলাম। আশা করি অমত হবে না।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অমত হবার প্রশ্নই আসে না। মূল লেখায় উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম, তাই এখানে বলে যাচ্ছি - ব্যানারটা আমাদের সচলায়তনের অতিথি সদস্য 'স্যাম'-এর করা তিনটি পোস্টারকে এক করে করেছি আমি। তাই মূল কৃতিত্ব তিনিই পাবেন।

ফায়যুর রাহমান এর ছবি

শ্রদ্ধার সঙ্গে একমত।

হাবীব এর ছবি

আমাদের উচিত সকল রকম ভারতীয় পণ্য বর্জন করে এর প্রতিবাদ করা---। আসুন আমরা সবাই এয়ারটেলসহ সকল ভারতীয় পণ্য ও সেবা বর্জন করি। দেশের প্রতি মমত্ববোধের সাথে এতটুকু মনে রাখবেন ভারতীয় পণ্য গুণে-মানে আমাদের দেশী পণ্যের চেয়েও খারাপ, আর তাই এগুলো কম দামে পাওয়া যায়।

হিমু এর ছবি

টিএসসির দেয়াল থেকে, মাহবুব আলমের সৌজন্যে

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আসাধারণ। এটাকে একটা পোস্টার বানানো যায় না হিমু ভাই?

Shazzad এর ছবি

পশ্চিম বাংলা থেকে যারা কমেন্ট করছেন তাদের কাছে একটি সহজ প্রশ্ন-
মনে করুন, আপনার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে একটি নেড়ি কুত্তা বাসায় ঢুকে গেল। আপনি তাকে জামাই আদর করবেন না ঠিকই কিন্তু নুন্যতম মানবিক অনুভূতি থাকলে বড়জোর পেটে লাথি দিয়ে আবার রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসবেন।নাকি কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলবেন?অথবা শুধু গুলি করলে স্যাডিস্ট চরিত্রের পরিপূর্ণ প্রকাশ হয় না বলে বেয়নেট দিয়ে নির্মমভাবে খুঁচিয়ে জ্যান্ত প্রাণীটির ডান চোখ উপড়ে ফেলবেন?নাকি বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে খুলি ফাটিয়ে ঘিলু বের করবেন?তাতেও ক্ষান্ত না দিয়ে মৃতদেহ বিকৃত করে প্রদর্শনীর বস্তুর মত দেয়ালে(পড়ুন কাঁটাতারে) ঝুলাবেন?
আপনারা নাক-উঁচা কলকাত্তাই বাবুরা বাংলাদেশিদের কি কুকুরের চেয়েও অধম মনে করেন?
আমার এই প্যাঁচাল পাড়ার উদ্দেশ্য হল আপনাদের মাঝে অন্তত এটুকু বোধ জাগ্রত করা যে bsf যা করছে ভুল করছে।কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে অন্য মানুষ তো দূরের কথা,স্রেফ কুকুরের সাথেও এরকম আচরণ করা সাজে না।
আসলে এসব প্রশ্ন করে কোন লাভ নেই। যুগে যুগে দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদীদের চেহারাটা একইরকম।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
স্যাম এর ছবি

আগেরবার এর চাইতে এবার সাড়া বেশী পেয়েছি ভারত বন্ধ এ হাসি - বন্ধুরা সংখ্যায় বেশী জেনেছে - কিন্তু আরো কিছু করা দরকার - আরো একটু প্ল্যান দরকার - সীমান্ত হত্যা বন্ধ হোক - শুভকামনা!

ইসতিয়াক শুভ  এর ছবি

আহা, দেখলাম আজকে। তবে না দেখেও আপনাদের সাথেই ছিলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।