এবারের অলিম্পিকে খেলার তালিকায় রয়েছে ২৬ ধরনের খেলা যা গত বারের তুলনায় দুটো কম। বেইজবল এবং সফ্টবল অলিম্পিকের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা IOC শেষ মুহূর্তে বাদ দিয়ে দেয়। এর পরিবর্তে রাগবী সেভেন এবং টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেট ঢোকানোর একটা চেষ্টা করেছিল লন্ডনের আয়োজকরা কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই আর অন্তর্ভুক্ত হয় নি। এদিকে ফুটবলে ১৯৭২ সনের পর এই প্রথম গ্রেট বৃটেন দল দিল। এটা নিয়ে বৃটেনের চার দেশ, অর্থাৎ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনগুলোর মধ্যে বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। তাদের কথা ছিল চার দেশ এক সাথে, এক দলের হয়ে খেলতে পারে না! এই বিতর্কে এসে আবার নাক গলিয়েছিল প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। বেচারা চেয়েছিল চার এ্যাসোসিয়েশনকেই বুঝিয়ে রাজি করাতে। রাজি তো তারা হয়ই নি, মাঝখানে বিনা কারণে কটু কথা শুনতে হয় ব্রাউন সাহেবকে। যাইহোক, সবশেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে ইংল্যান্ডের অনুর্ধ ২৩ দলকেই বৃটেন বলে চালিয়ে দেয়া হবে; যদিও পরে রায়ান গিগস সহ আরো চারজন ওয়েলশ ফুটবলারকেও দলে নেয়া হয়।
এতো গেলো অলিম্পিকের কাগজ-কলমের ব্যাপার। এবার তাকানো যাক ইভেন্টগুলোর দিকে। বরাবরই অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি পদক বরাদ্দ দেয়া থাকে এ্যাথলেটিক্সের জন্যে। এবার ৪৭টা সোনার জন্যে লড়াই হবে ট্র্যাকে। আর এ লড়াইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট “দ্রুততম মানব” এবং “দ্রুততম মানবী” হবার দৌড় – অর্থাৎ ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। এবারের মেয়েদের ১০০ মিটারের ফাইনাল হবে অগাস্টের ৪ তারিখ এবং ছেলেদের ৫ তারিখ। আর যাই দেখুন বা না দেখুন, এ দুটো দৌড় মিস করবেন না কিন্তু! জ্যামাইকার ইওহান ব্লেককে – যে আবার কিনা ভালো ক্রিকেটও খেলে! – ধরা হচ্ছে ছেলেদের দৌড়ে টপ ফেভারিট। অন্যদিকে মেয়েদের দৌড়ে একই দেশের শেলীকে ফেভারিট মনে করা হচ্ছে। এছাড়া আরেকটা আকর্ষণীয় দৌড় হচ্ছে ম্যারাথন যা হবে ৫ এবং ১২ অগাস্ট যথাক্রমে মেয়েদের এবং ছেলেদের জন্যে।
দৌড়ের পরই সম্ভবত অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট হলো সাঁতার। ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল বিজয়ীকে বলা হয় দ্রুততম সাতারু। ছেলেদের সাঁতারটা হবে অগাস্টের ১ তারিখ, মেয়েদেরটা ২ তারিখ। ছেলেদেরটা কে জিতবে বলা কঠিন কিন্তু মেয়েদেরটা জার্মানীর ব্রিটা স্টেফেনের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। এই নারীর দখলেই আছে বর্তমান বিশ্বরেকর্ড এবং অলিম্পিক রেকর্ড, দুটোই। ফ্রি-স্টাইল ছাড়াও সাঁতারের রয়েছে ব্যাকস্ট্রোক, ব্রেস্টস্ট্রোক এবং বাটারফ্লাই ক্যাটাগোরির অনেকগুলো ইভেন্ট। সাথে থাকছে ১০ কিলোমিটার সাঁতারের ম্যারাথন। এবার ৩৪টা পদক শুধু সাঁতারের জন্যে রয়েছে, সাথে আরো ৮টা ডাইভিং-এ, দুটো সিনক্রোনাইজড সুইমিং-এ এবং দুটো ওয়াটার পোলোতে। মোটকথা, এবারের অলিম্পিকে জমজমাট লড়াই দেখা যাবে পানিতেও।
এর পর অলিম্পিকে কোন ইভেন্টটা সবচেয়ে আলোচিত? সম্ভবত জিম্নাস্টিক্স। আর্টিস্টিক, রিদমিক এবং ট্র্যাম্পোলাইনিং – মোট তিন ক্যাটাগোরিতে ১৮টা পদক থাকছে এবার। তারপরই আছে স্যুটিং (১৫টা পদক), বক্সিং (১৩টা পদক) এবং ফেন্সিং (১০টা পদক)। এছাড়াও জুডো, ওয়েটলিফ্টিং, টেবিল টেনিস, রোইং, সেইলিং, ভলিবল, হ্যান্ডবল, সাইক্লিং সহ থাকছে আরো অনেকগুলো ইভেন্ট।
এবার আলোচনা করছি এমন কিছু খেলা নিয়ে যা একক ভাবেই জনপ্রিয়। এর মাঝে সবার আগে থাকবে ফুটবল। এবারের অলিম্পিক অনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবার আগেই গত ২৬ তারিখ গ্লাসগোতে শুরু হয়ে গিয়েছিল ফুটবলের আসর। বরাবরের মত এবারও ফেভারিট ব্রাজিল। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্যে হৃদয় ভাঙ্গা সংবাদ হলো, তারা কোয়ালিফাই-ই করতে পারে নি। বাছাইপর্বে উড়ন্ত সূচনা করা আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্টের জন্যে উরুগুয়ের কাছে অলিম্পিকের স্লটটা হারায়। অথচ আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকেও হারিয়েছিল। কিন্তু উরুগুয়ে আর ইকুইডরের সাথে ০-১ এর দুটো হারই তাদের জন্যে কাল হয়েছে। অন্যদিকে উরুগুয়ে মূল পর্বে এলেও শেষ ম্যাচে ০-৬ গোলে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল। যত দূর খেলা গড়িয়েছে এখন পর্যন্ত, তাতে মনে হচ্ছে উরুগুয়ে সেই হ্যাঙওভার কাটিয়ে উঠতে পারে নি এখনও। এছাড়া ইউরোপ থেকে আয়োজক হিসেবে বৃটেন এসেছে। আগেই বলেছি, ৭২ এর পর এই প্রথম তারা ফুটবলে এলো। তাদের সাথে যোগ্যতা বলে ইউরোপ থেকে এসেছে বর্তমান অনুর্ধ ২৩ বিশ্বচ্যাম্পিয়ান স্পেন, সুইজারল্যান্ড এবং বেলারুশ। তবে এশিয়ার জায়ান্ট জাপানের কাছে চরম নাকানি-চুবানি খেয়ে প্রথম ম্যাচ ০-১ গোলে হেরেছে স্পেন। এশিয়া থেকে আরো থাকছে দক্ষিন কোরিয়া এবং নূতন চমক আরব আমিরাত। গ্যাবন, মরোক্ক, মিশর এবং সেনেগাল (প্লে অফের মাধ্যমে) থাকছে আফ্রিকা থেকে। মধ্য এ্যামেরিকা থেকে এসেছে মেক্সিকো এবং হন্ডুরাস। (ফাইনালের আগে আগে ফুটবল নিয়ে আলাদা করে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে, দেখা যাক সময় করতে পারি কিনা)
যারা টেনিস পছন্দ করেন, তাদের জন্যে এবারের অলিম্পিক যেন বছরের দ্বিতীয় উইম্বল্ডন! হ্যা, ম্যাচগুলো হচ্ছে উইম্বল্ডনেই। স্পেনের নাদাল বাদে ছেলেদের টেনিসে বিশ্বের নামীদামী সবাইকেই পাওয়া যাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের ফেদেরার, সার্বিয়ার নোভাক এবং বৃটেনের মারি শীর্ষ তিন সিডার এবার। অন্যদিকে মেয়েদের নাম্বার ওয়ান বেলারুশের ভিক্টোরিয়ার সাথে থাকছে যুক্তরাষ্ট্রের সেরেনা উইলিয়ামস এবং রাশিয়ার মারিয়া শারাপভা। মনে হয় না গ্ল্যামারের কমতি হবে এবারের অলিম্পিক টেনিসে!
হকিতে আবার সেই ফুটবলের সমস্যা। বৃটেনের চার দেশ আলাদা করে খেলে। এখানে বরং প্যাঁচ আরেক কাঠি উপরে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড এক সাথে আয়ারল্যান্ড নামে হকি খেলে। এখন কে কোথায় খেলবে? যাইহোক, শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে ইংল্যান্ড হকির পরিচালনায় স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস থেকে খেলোয়াড় নিয়ে বৃটেন দল গঠন হবে। নর্দার্ন আইরিশদের জন্যে IOC একটা সুবিধা আগেই দিয়ে রেখেছে। তারা চাইলে বৃটেন অথবা আয়ারল্যান্ড, যে কোন দলের হয়েই খেলতে পারবে। এছাড়া আরো থাকছে পাকিস্থান, ভারত এবং কোরিয়া এশিয়া থেকে, জার্মানী, নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়াম ইউরোপ থেকে, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ওশেনিয়া থেকে, আর্জেন্টিনা ল্যাতিন আমেরিকা থেকে এবং দক্ষিন আফ্রিকা আফ্রিকা থেকে। এছাড়া স্পেনকে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রনের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে। ফুটবলের সাথে হকির একটা পার্থক্য হচ্ছে, এখানে সরাসরি জাতীয় দলগুলো খেলছে। ফলে অলিম্পিকের হকিকে একটা মিনি বিশ্বকাপ বলা যায়।
সবশেষে, বাস্কেট বল। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ছেলে এবং মেয়ে - দুই ক্যাটাগোরিতেই যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে আছে এখন। ছেলেদের ইভেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাল্লা দেবার মত দল আছে মাত্র দুটো, স্পেন এবং আর্জেন্টিনা এবং মেয়েদের ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়া। আয়োজক বৃটেনও নাম লিখিয়েছে বটে, কিন্তু তাদের র্যাঙ্কিং সবার নীচে, ৪৩ এবং ৪৯; অতএব গোনায় তাদের আগেই বাদ দেয়া ভালো।
এই ছিল মোটামোটি অলিম্পিকের খেলাগুলোর উপর একটা তুলনামূলক আলোচনা। আগামী ৩১ জুলাই আমি লন্ডন যাচ্ছি, উদ্দেশ্য অলিম্পিক পার্ক ঘোরা এবং ছবি তোলা। খেলার টিকেট রীতিমত হাওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই সামর্থের মধ্যে কিছু জোগার করতে পারি নি। কিন্তু খেলার মাঠে সিটগুলো ফাঁকা দেখে অবাকই হচ্ছি। খোদ বিবিসি আজ রিপোর্ট করেছে, “টিকেট কোথায় গেলো” নিয়ে! লন্ডন গিয়ে আবারও চেষ্টা করবো টিকেট ম্যানেজ করার। না পারলে, সচলায়তনের জন্যে অন্তত কিছু ছবি নিয়ে নূতন পোস্টে আবার হাজির হবো।
মন্তব্য
অলিম্পিক দেখা হোক না হোক, লন্ডন এসে যদি দেখা না করেন তাহলে কিন্তু অভিশাপ লাগবে!
দেখা অবশ্যই করবো। সাথে একটা অনুরোধও থাকছে। UCL ঘুরে দেখাতে হবে
টুইটার
৫ জন অ্যাথলিটের সাথে যাওয়া ১৬ জন কর্মকর্তার গতিবিধি নিয়ে অনুসন্ধানী ব্লগিঙের অপেক্ষায় আছি। এই ১৬ জন ওখানে গিয়ে কী করেন, জানতে বেয়াপক কৌতূহল হচ্ছে। কেউ জানাতে পারেন?
আমি চেষ্টা করবো খোঁজ নেয়ার। তবে যতটুকু মনে হয়, তারা ঘুরে-ফিরে শাপিং করে এবং মাঝে মাঝে ফ্রি-তে অলিম্পিক দেখে হলিডে কাটাবেন। কারণ আমাদের খেলোয়াড়রা সাধারণত হিটেই বাদ পড়ে যায়। এর পর তো আর কোন কাজ থাকার কথা না।
টুইটার
নতুন কিছু না, বাংলাদেশে থেকে প্রথম অলিম্পিকে প্রতিযোগী গিয়েছিল ১৯৮৪ সালে, অ্যাথলেট সাইদুর রহমান ডন, তখন তার সাথেও দুইজন কর্মকর্তা ছিল লস অ্যাঞ্জেলসে।
facebook
আর্জেন্টিনার বাদ পড়ার খবরে মনটা ভালো হয়ে গেল।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
পিপিদা আপনি এত পাষান, নির্ঘাত ব্রাজিলের সমর্থক আপনি
বেচারা-রা বাছাই পর্বে খেলেছিল ভালই, শুধু প্রয়োজনের সময় ম্যাচগুলো হেরে বসেছে!
টুইটার
অনেক গোছানো লেখা.... নিয়মিত চাই অলিম্পিক চলাকালীন..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনাকে ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো আগামী পর্বে ছবি সহ লিখতে।
টুইটার
৫ জন খেলোয়ারের জন্য দেখলাম শেখ হাসিনা আর তার ছেলে দুইজনেরই মাঠে হাজির। তার ২ দিন আগে দেখলাম আসাদুজ্জাম নূর রাত ১২ টার দিকে স্ট্রাটফোর্ড এর নতুন ওয়েস্টফিল্ড সপিং সেন্টারে ঘুরঘুর করতাছে। খারাপ না । ৫ জনের জন্য পুরা আওয়ামী লীগ দাওয়াত খাইতে হাজির। ওপেনিং কম্টেটরের বাংলাদেশ নিয়ে কথাটা অনেকের খারাপ লাগলেও আমার বেশি খারাপ লাগে নাই। জীবনে মেডেল জিতে নাই, ১৬০ মিলিয়ন মানুষের মাঝখান থেকে পাঠাইছে মাত্র ৫ জন!
পাপারাজ্জি হয়ে যেতেন
আসাদুজ্জামান নূর স্ট্রাটফোর্ড এর নতুন ওয়েস্টফিল্ড সপিং সেন্টারে কি নিজের টাকায় ঘুরছে, নাকি দেশের টাকায় নাকি আওয়ামী লীগের টাকায়? এটা জেনে মন্তব্য করেছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
@নজরুল ইসলাম, এটা কি করে জানবো? ভাই কার টেকাট মজা নিতাছেন, এটা তো জানতে চাওয়া যায় না। টাইম ও পরিস্থিতি বিবেচনায় আনলে এখানে সরকারী টাকায় ঘুড়ায় চান্স ৮০%। মোস্ট প্রোবাবল একটা জিনিসকে ফেক্ট হিসাবে ধরে নেয়া হয়েছে।
@নিয়াজ ম চৌধুরী, ওয়েল হাসিনায় সমস্যা নাই। সাইন্টিস্ট আমেরিকান ছেলেটে কিন্চিত সমস্যা আছে আমার। আর এতটুক কনফার্ম করতে পারি। এই ৫ জনের জন্য ৭০/৮০ জনের একটা সকরারী গ্রুপ আসছে। ধন্যবাদ।
আমি তো শুনেছিলাম ১৬/১৭ জন। ৭০/৮০ জন নাকি? তবে এই কর্মকর্তাদের ঘোরা সরকার বদলের সাথে বদল হয় না। নূতন সরকার আসলে এরাও নিজেদের রূপ পাল্টে ফেলে। ফলে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে তারা ঘুরতেই থাকে।
টুইটার
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তা হিসেবে গিয়েছেন, এমন টা ভাবার কোন কারণ নেই। কর্মকর্তা একটা দলের অংশ। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ দলের অংশ ছিলেন না। তিনি ছিলেন অতিথি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান এবং তাদের স্ত্রীরা অতিথি হিসেবে দলকে সমর্থন দিতে এসেছিল। মিশেল ওবামা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে। এখন যদি বলা হয় তিনিও যুক্তরাষ্ট্র দলের কর্মকর্তা ছিলেন, তাহলে সেটা কি হাস্যকর শোনাবে না? আর তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী অতিথি হিসেবে গিয়েছেন, এতে এত লাগছে কেন? আর কর্মকর্তারা সবাই আওয়ামী লীগ করে, এমনটাই বা ভাবছেন কেন? এই চল তো বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ও ছিল। দায়টা ঢালাও ভাবে কোন রাজনৈতিক দলকে না দিয়ে সিস্টেমকে দিন। তাহলে হয়তো সমাধানের পথ বের হলেও হতে পারে।
টুইটার
তারেক ভাইয়া তো "নিজের পয়সায়" লন্ডনেই থাকেন। উনি যান নাই?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নিয়মিত আপডেট আসুক আপনার হাত ধরে।।
আপনার লেখাগুলোয় যত্নের স্পষ্ট ছাপ থাকে, বেশ ভালো লাগে
এবারের অলিম্পিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান ভাল লাগেনি, হয়তো আমি থিম বুঝতে পারিনি তাইতে। হ্যাঁ, তবে আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে। ভাল থাকুন।
নতুন মন্তব্য করুন