ব্রেক্সিট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এক লেখায় সম্পূণর্ চিত্রটা পেয়ে যাবেন যদি ধৈর্য্য ধরে পড়েন। লেখাটা বড়, কিন্তু পড়লে হতাশ হবেন না আশা করি। যারা স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্ক করেন নিয়মিত, তাদের অবশ্যই পড়া উচিত। এছাড়াও যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারাও পড়লে উপকৃত হবেন। একটানা ছয় ঘণ্টা ব্যয় করে লেখা। পড়ে মতামত জানালে খুশি হবো।
BRExit বা ব্রেক্সিট শব্দটা এসেছে Britain Exit অথবা British Exit থেকে (দুটোই সঠিক)। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্রেক্সিট বলা হচ্ছে [১]। বৃটেন, ইউনাইটেড কিংডম, ইউকে অথবা যুক্তরাজ্য — যে নামেই ডাকা হোক না কেন, মূলত বোঝানো হয় একই দেশকে। এদেশটা ইউরোপের পশ্চিম পাশে মূল ভূখণ্ড থেকে খানিক দূরে অবস্থিত গ্রেট বৃটেন দ্বীপের সম্পূর্ণটা এবং আয়ারল্যান্ড দ্বীপের এক পঞ্চমাংশ নিয়ে গঠিত এবং চারটা গঠণমূলক রাজ্য তথা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দানর্ আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের সমন্বয়ে গঠিত যেখান থেকে মূলত ইউনাইটেড কিংডম নামটা এসেছে।
পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা প্রথমে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে বাড়ানো হয় ১৯৯৫ সন পর্যন্ত। এরপর ২০০৪ সন থেকে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোকেও অন্তভূক্ত করা শুরু হলে বৃটেনে ইউরোপের তুলনামূলক ভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল দেশের মানুষরা আসতে শুরু করে। এই আসার হার এতটাই বেশি যে শুধু গত বছর যত মানুষ ইউরোপ থেকে বৃটেনে এসেছে সেই সংখ্যাটা বৃটেনের অন্যতম শহর নিউক্যাসেলের জনসংখ্যার সমান। ফলে বৃটেনের অন্যতম রাজনৈতিক দল UKIP (উচ্চারণ ইউকিপ) জনমত গঠণ করতে শুরু করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে তাদের দেশকে বের করে আনার জন্যে (আরো অনেক কারণ আছে যা লেখার মধ্যভাগ থেকে আলোচনা করা হয়েছে)। সেই জনমতে আরো অনেকেই পরে যোগ দেয় যা শেষ পর্যন্ত একটা রেফারেন্ডাম তথা হ্যাঁ-না ভোটে রূপ নেয়।
আগামীকাল ২৩ জুন সেই ভোটের দিন। শুধু ব্রিটিশ, আইরিশ এবং কমনওয়েলথ ভুক্ত রাষ্ট্র সমূহের নাগরিকরা ভোটের মাধ্যমে স্বীদ্ধান্ত নিবে বৃটেন কি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকবে কি না। গত কিছু দিন অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন ব্রেক্সিট নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়েছে; পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। দেশ ও মহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে এই আলোচনা পৌঁছে গিয়েছে আটলান্টিকের ঐ পাড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে। পৌছে গিয়েছে ভারত এবং চীনে অথবা অস্ট্রেলিয়া, জাপান সহ এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যান্য দেশগুলোতে। যারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন, তারা প্রতিদিন আধ ডজন পক্ষে-বিপক্ষের পাঠানো লিফলেট বিনে ফেলছেন। যারা বৃদ্ধ তারা চিন্তিত পেনশন নিয়ে, যারা যুবক তারা চিন্তিত চাকরী হারানোর ভয় নিয়ে, যারা ব্যবসায়ী তারা ভাবছে ব্যবসা বুঝি কমে গেলো। আবার আশাবাদী মানুষও আছে যারা ব্রেক্সিটকে দেখছে নূতন দিনের সূচনা হিসেবে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে ঠিক কী কারণে বৃটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগ দিয়েছিল এবং কেন এখন বের হয়ে আসতে চাচ্ছে? বের হয়ে এলে সেটা বৃটেনের জন্যে, ইউরোপের জন্যে এবং সম্পূণর্ পৃথিবীর জন্যে অর্থনৈতিক ভাবে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে? এই লেখার পরবর্তী অংশগুলোতে সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
১৯৭৩ সনে বৃটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগ দিয়েছিল মূলত শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে জোটবদ্ধ হতে। যোগ দেয়ার পরপরই ১৯৭৫ সনে একটা রেফারেন্ডাম হয় যেখানে বৃটেনের নাগরিকরা ৬৭.২ শতাংশ ভোটে এই যোগ দেয়াকে সমর্থন করে ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দেয়। কিন্তু গত ৪১ বছরে প্রেক্ষাপটে অনেক পরিবর্তন এসেছে যা নূতন করে ভাবার মত যথেষ্ট কারণ সৃষ্টি করেছে। এই কারণগুলোর একটা ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখ করেছি অর্থাৎ ‘ইমিগ্রেশন’। ২০০৪ সনে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার সাথে সাথে বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ডের দিকে ঐ সব দেশের নাগরিকরা রীতিমত ধেয়ে আসে থাকার জন্যে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে সেটা তো তাহলে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন বা ইটালির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হ্যাঁ, এই দেশগুলোও অভিবাসী সমস্যায় আক্রন্ত কিন্তু সেই হারটা বৃটেনের মত নয়। এর প্রধান কারণ মূলত তিনটা: প্রথমটা ইংরেজি ভাষা। অভিবাসীদের কেউ কেউ কাজ চালানোর মত ইংরেজি পারে। আর যারা পারে না, তাদের মনস্তত্ব এরকম যে যদি শিখতেই হয় তবে ইংরেজি শেখাই ভালো তাহলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেটা কাজে লাগানো যাবে। দ্বিতীয় কারণটা জনসংখ্যা। বৃটেনের অন্যতম রাজ্য ইংল্যান্ড হচ্ছে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূণর্ (প্রতিবর্গ কিলোমিটারে England - 419, Holland - 408, Wales - 258, Germany - 226, Italy - 205। তথ্যসূত্র ডেইলি মেইল) [২]। অভিবাসীদের মধ্যে এই ধারণা কাজ করে যে জনসংখ্যা বেশি মানে কাজের সুযোগ বেশি। কথাটা সব সময় সত্য না হলেও বৃটেনের ক্ষেত্রে সত্য। আর সে কারণে বৃটেনকে বেছে নিয়েছে অনেকে। আর তৃতীয় কারণটা লন্ডন শহর। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ শহর লন্ডন। এই শহরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ও বিনিয়োগ। ফলে কর্মক্ষেত্রের সন্ধানে ইংল্যান্ডের মধ্যে লন্ডনই সবচেয়ে আকর্ষনীয় শহর। বলাবাহুল্য, লন্ডন জনসংখ্যার দিক দিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূণর্ শহরও বটে। আর এ সমস্ত কারণে কাজের সন্ধানে ছুটে আসা মানুষ ভীড় করতে শুরু করে বৃটেনে।
আলোচনার এই অবস্থায় অনেকের মাথায় একটা প্রশ্ন জাগতে পারে যে কাজের সন্ধানে এলে এবং পর্যাপ্ত কাজ থাকলে সেটা বরং বৃটেনের অর্থনীতির জন্যে ভালো। অথচ এটা কেমন করে একটা সমস্যায় পরিণত হলো? উত্তরটা আসলে বৃটেনের সামাজিক ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত। এখানে আয় করলে আপনি ট্যাক্স দিবেন, আবার আয়হীন থাকলে আপনি সুবিধা (বেনিফিট) ভোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আপনাকে থাকার জন্যে বাড়ি বা ফ্ল্যাট, ইউটিলিটি বিল (বিদু্যত, পানি, গ্যাস) এবং হাত খরচ দিবে। এছাড়া সবার জন্যেই স্বাস্থ সেবা বিনামুল্যে দেয়া হয়। যদিও এই সুবিধাগুলো বৃটেনের নাগরিকদের জন্যে সীমাবদ্ধ ছিল আগে (স্বাস্থ সেবা বাদে, এটা সবার জন্যে উন্মুক্ত ছিল গত বছর পর্যন্ত); কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের সদস্য হিসেবে যোগ দেয়ার পর বৃটেন সকল সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিককে তার নিজ দেশের নাগরিকদের মতই সুবিধা দিতে বাধ্য হয়। এটা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আইন যা বৃটেন মানতে বাধ্য (শুধু তাই না, ইউনিয়নের যে কোন আইন বৃটেনের নিজস্ব আইনকে বাতিল করার ক্ষমতা রাখে; যা নিয়ে পরে আলোচনা করা হয়েছে)। ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষ, বিশেষ করে যারা অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল দেশগুলো থেকে এসেছে, তাদের একটা অংশ কিছুদিন কাজ করার পর যখন সুবিধাগুলোর কথা জানতে পারে, অর্থাৎ ঘরে বসেই কোন কিছু না করেই টাকা পাওয়া যায় — এই বিষয়টা সম্পর্কে জানে, তখন তারা সুযোগটা গ্রহণ করে। চাকরী ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে থাকে যা সরকারের উপর একটা বোঝার মত চেপে বসার সামিল বলে ব্রিটিশ সরকার মনে করে। শুধু তাই না, তারা তখন নিজ দেশে রেখে আসা বাচ্চার জন্যে বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধা বৃটেন থেকে নিতে শুরু করে। এতে সামগ্রিক ভাবে বৃটেনে বেনিফিট ক্লেইম করা মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় যা সরকারকে চাপে ফেলে দেয়। পাশাপাশি, এই ঘরে বসে থাকা মানুষগুলো বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে শুরু করে যা বৃটেনের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তোলে। মূলত এ কারণটাই বৃটেনকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্যে উদ্বুদ্ধ করেছে।
যদিও উপরে উল্লখ করা কারণগুলো সরাসরি চোখে দেখা যাচ্ছে কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূণর্ কারণ রয়েছে যা ব্রেক্সিটের পক্ষে যারা মতামত দিচ্ছে তাদের প্রচারণায় এসেছে [৩]। এর মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ হচ্ছে মেম্বারশিপ ফিস এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক অবদান যা বৃটেন ইউনিয়নের জন্যে করে থাকে। হিসেবে দেখা যায় প্রতি সপ্তাহে বৃটেন নেট ৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের সেবায়। অর্থাৎ বৃটেন যে টাকা দেয় এবং যা সেবা হিসেবে পায় তার ব্যবধান এই ৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ড। যারা ব্রেক্সিটের পক্ষে, তাদের দাবী এই টাকা বৃটেনের উচিত নিজেদের সুবিধায় ব্যয় করা। এছাড়া বৃটেনকে প্রতি বছর প্রায় এক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সেবা এবং পণ্য ইউনিয়নকে দিতে হয় যা পরে ইউনিয়ন অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল রাষ্ট্রের জন্যে খরচ করে (ইউনিয়নের ভেতরে এবং বাহিরে)। অন্যদিকে বৃটেন ব্যবসা করার জন্যে ইউনিয়নের ‘ট্রেড ডিল’ তথা বানিজ্য চুক্তি সমূহের উপর নির্ভরশীল। তারা নিজেদের মত করে ট্রেডিং করার ক্ষমতা রাখে না যতক্ষণ সদস্য থাকবে। ফলে এত টাকা মেম্বারশিপ ফি দেয়ার পরও আয়ের মাধ্যমে তা তুলে আনার ক্ষেত্রে বৃটেন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এছাড়া আইন এবং ক্ষমতার বণ্টন আরেকটা বড় বিষয় যা নিয়ে বৃটেনের মানুষ খুশি নয়। বৃটেনের ডেইলি মেইল পত্রিকা তাদের এক সাময়িকীতে EU Law গুলোকে সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। কারণটা যুক্তিযুক্তও। আগেই বলেছিলাম আইনগুলোর কথা। ইউনিয়নের এই আইনগুলো পাশ হয় ব্রাসেলস থেকে যা বৃটেনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আইনকে বাতিল করে। স্বাভাবিক ভাবেই বৃটেনের মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে এই আইনগুলো কতটুকু তাদের স্বাথর্ দেখছে। কারণ যারা এই আইনগুলো পাশ করছে তাদের অধিকাংশই বৃটেনের প্রেক্ষাপটকে মাথাতেই রাখছে না। শুধু তাই না, বৃটেনের আদালতের স্বীদ্ধান্তকেও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আদালত বাতিল করে দিচ্ছে। ব্রসেলসে বসা বিচারকরা তাদের কলমের আঁচড়ে বৃটেনের অনেক রায়কে বাতিল বা পরিবর্তন করে দিচ্ছে যা ব্রিটিশরা মেনে নিতে পারছে না অনেক ক্ষেত্রেই।
অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যে নির্বাচন হয় সেখানে বৃটেন থেকে নির্বাচিত এমপিরাও থাকে। তাহলে তারা কেন বৃটেনের পক্ষে কথা বলতে পারবে না? এই প্রশ্নটাই হচ্ছে ব্রেক্সিটের অন্যতম আরেকটা কারণ! ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ক্ষমতার সুষম বন্টণ করতে গিয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। যেমন জাতিসংঘে নিরাপত্ত পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৫ রাষ্ট্রের ভেটো দেয়ার সমান ক্ষমতা রয়েছে। একই ভাবে G8 দেশ গুলোতেও তাদের সমান সমান ক্ষমতা। কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে কোন দেশ কতজন এমপি পাবে সেটা নির্ধারিত হয় সাধারণ নির্বাচনের মত, অর্থাৎ জনসংখ্যার ভিত্তিতে। বৃটেনের ইংল্যান্ড অংশটা ঘনবসতিপূণর্ হলেও স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ডের প্রায় সমান হওয়ার পরও সেখানে পুরো বৃটেনের মাত্র সাড়ে চার শতাংশ মানুষ বসবাস করে। ফলে পুরো স্কটল্যান্ডকে একটা আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা মাত্র একজন এমপি নির্বাচিত করে। ওয়েলস থেকে ৪জন এমপি আসে এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড থেকে ৩জন। এছাড়া ইংল্যান্ডের ৬৫টা আসন থেকে আসে ৬৫জন এমপি। অন্যদিকে জার্মানি থেকে আছে ৯৬জন এমপি এবং ফ্রান্স থেকে ৭৪জন যা বৃটেনকে ৭৩জন এমপি নিয়ে ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহৎ দেশ হিসেবে পার্লামেন্টে স্থান দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয় বৃহৎ হয়ে বৃটেন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্র যেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না তেমনই বিভিন্ন স্বীদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে জার্মানির দারস্থ হয়ে থাকছে। বৃটেনে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন চলে জার্মানির কথায়! আর এই প্রচলিত কথাটা (যা অনেকাংশে সত্যও) মেনে নেয়া ব্রিটিশদের পক্ষে কষ্টকর। এক্ষেত্রে একটা মজার তথ্য দিচ্ছি। লেখার শুরুতেই উল্লেখ করেছিলাম UKIP ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার পক্ষে সোচ্চার। এই দলটা বৃটেনের একমাত্র প্রথম সারির রাজনৈতিক দল যারা ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। অন্য সব দল ইউনিয়নে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ এই UKIP হচ্ছে বৃটেন থেকে নির্বাচিত সবচেয়ে বড় দল ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে। সর্বশেষ নির্বাচনে তারা অন্য সব দলকে পেছনে ফেলে বৃটেনের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিল ইউয়নিয়নের পার্লামেন্টে যা তারা শুধু ছাড়তেই চাচ্ছে না, দেশকেও বের করে নিয়ে আসতে চেষ্টা করছে।
এই সমস্ত কারণ ছাড়াও সবচেয়ে বড় যে কারণটা বৃটেনের মানুষের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করেছে তা হলো তুরষ্ক, আলবেনিয়া, মেসিডোনিয়া, মন্টেনেগ্রো এবং সার্বিয়ার মত দেশের জন্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের দপ্তরে সদস্য পথ পাবার দরজা খুলে দেয়া। এটা এখন সময়ের ব্যাপার যে এই দেশগুলো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ইউনিয়নে ঢুকে পড়বে। তখন এদের নাগরিকরা বিনা বাধায় বৃটেনে ঢুকতে এবং কাজ করতে পারবে যা বৃটেনের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, যে দলগুলো ইউনিয়নে থাকার পক্ষপাতি, তারা উপরে আলোচনা করা বিভিন্ন পয়েন্টকে যুক্তিখণ্ডন করলেও এই বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে যা স্পষ্টই নির্দেশনা দেয় যে তুরষ্ক বা আলবেনিয়া বৃটেনের জন্যে বড় হুমকি।
২০১৫ সনে অনুষ্ঠিত বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনের আগে তৎকালিন ক্ষমতাসিন দল কনজার্ভেটিভ পার্টির উপর চাপ বাড়তে থাকলে তাদের দলীয় নেতা এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রেক্সিট রেফারেন্ডামের প্রতি সমর্থন দেয়। ক্যমেরনের তখন শর্তসাপেক্ষে অবস্থান ছিল ইউনিয়ন ছেড়ে যাবার পক্ষে। তিনি বলেছিলেন যে যদি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা তার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে একমত না হন এবং বৃটেনের স্বার্থ দেখার চেষ্টা না করেন, তাহলে তিনি ছেড়ে যাবার পক্ষে অবস্থান নিতে পারেন।
ডেভিড ক্যামরনের এই অবস্থান বেশ কার্যকরি হয় কারণ নির্বাচনে জিততে যেমন এটা সহায়ক ছিল তেমনই বড় দেশগুলোর নেতাদের কাছে এটা একটা হুমকি হিসেবে পৌছে যায়। পরে নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই ক্যামেরন এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা গুরুত্বপূণর্ বৈঠকে বসেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সাথে। ব্রাসেলসে দিনভর আলোচনা শেষে রাতে নৈশ ভোজের সময় ঘোষণা দেন যে তারা একটা ঐক্যে পৌঁছাতে পেরেছে। পরদিন এই বৈঠকের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আসে বিভিন্ন ব্রিটিশ দৈনিকে যার মাঝে গার্ডিয়ান পত্রিকার আলোচনাটা ছিল বেশ তথ্যপূণর্ [৪]। সেখানে উল্লেখ করা হয় ক্যামেরনের প্রথম এবং প্রধান দাবী ছিল ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ বলে একটা নীতি। এই নীতি মোতাবেক ক্যামেরন প্রস্তাব করে যে সকল ব্রিটিশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের নাগরিক ১৮ বছর হলে অথবা যদি বাহিরে জন্ম হয়ে থাকে অথবা বাহির থেকে প্রবেশ করে, তাহলে বৃটেনে প্রবেশের পর চার বছর অপেক্ষা না করে বেনিফিট ক্লেইম করতে পারবে না। তবে যারা ইতিমধ্যে বৃটেনে রয়েছে তাদের জন্যে এটা কার্যকর হবে না। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ। এই নীতিটা অনেকটা তেমনই। ইউরোপিয়ানদের আটকাতে ক্যামেরন নিজের দেশের জনগনের বেনিফিট ক্লেইম করার পথ চার বছরের জন্যে বন্ধ করে দেয়। নীতিটা গৃহীত হলেও এটা কত বছর কার্যকর থাকবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়। ক্যামেরন প্রস্তাব করেছিল ১৩ বছর কিন্তু পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিক (যাদের দেশ থেকে প্রচুর মানুষ বৃটেনে আসে) প্রস্তাব করে ৫ বছর। পরে সেটা ৭ বছরে এলে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছায়। সাথে এটাও উল্লেখ করে দেয়া হয় এই সময় আর কোন ভাবে বৃটেন বাড়াতে পারবে না। এই নীতির মাধ্যমে বৃটেন নিশ্চিত করলো যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোন নাগরিক বৃটেনে এসে মাস ছয়েক কাজ করেই চাকরী ছেড়ে ঘরে বসে খাওয়া শুরু করতে পারবে না। এছাড়া চাইল্ড বেনিফিট নিয়েও আলোচনা হয় ঐ বৈঠকে। সেখানে বলা হয় বাচ্চা যে দেশে থাকবে, সে দেশের স্ট্যান্ডার্ডে তাকে ভাতা এবং সুবিধা দেয়া হবে, বৃটেনের স্ট্যান্ডার্ডে নয়।
এছাড়াও আরো দুইটা গুরুত্বপূণর্ অর্জন ক্যামেরনের পকেটে ঢুকেছে ঐ বৈঠক থেকে। প্রথমটি হলো, ইউরোকে রক্ষা করার জন্যে করা যে কোন আইন বৃটেনের জন্যে খাটবে না। বৃটেন তাদের নিজেদের মুদ্রা তথা পাউন্ডের স্বাথর্ রক্ষা করে চলতে পারবে। দ্বিতীয় অর্জনটি মূলত বড় প্রেক্ষাপটের অর্জন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটা নীতি রয়েছে যাকে বলা হয় ‘Ever-closer union’। এই নীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে ইউনিয়নের দেশগুলোকে ক্রমেই আরো কাছাকাছি আনা হবে। বৃটেন এই নীতির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তারা বানিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থে ইউনিয়নে থাকলেও সামাজিক ভাবে মিলেমিশে চলার পক্ষপাতি নয়। ফলে বৈঠকে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছায় যে এমন কোন আইন করা হবে না যা বৃটেনকে তাদের এই অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য করে অথবা করা হলেও সেক্ষেত্রে বৃটেনকে ঐ আইন মানতে বা কার্যকর করা থেকে অব্যহতি দেয়া হবে। ফলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তর দেশ হবার পরও বৃটেন ইউনিয়নের পার্লামেন্টে তাদের স্বাথর্ে-বিরোধী আইনকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।
এই বৈঠকের পরপরই ডেভিড ক্যামেরন ঘোষণা দেন যে তার দল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকতে প্রস্তুত এবং সেভাবেই তারা প্রচারণায় নামে। যেহেতু রেফারেন্ডাম আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, তাই রেফারেন্ডাম হবে কিন্তু ক্যামেরনের দল তাদের অবস্থান পাল্টে ফেলে। এক্ষেত্রে তারা এই অর্জনগুলোকে অবস্থান পাল্টে ফেলার কারণ হিসেবে দেখায়।
বার্নিং কোশ্চেন সম্ভবত একেই বলে! যদি বৃটেনের নাগরিকরা ঠিক করে তারা ইউনিয়নে থাকতে চায় না, তাহলে কী কী ঘটতে পারে সেটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর আলোচনা চলছে। অর্থনীতিবিদরা বলছে রেফারেন্ডামের ভোট যদি ‘হ্যাঁ’ হয় অর্থাৎ বৃটেন বের হয়ে আসে তাহলে পর দিনই পাউন্ডের দাম অনেক পড়ে যাবে। কেউ কেউ বলেছেন এটা আরেকটা রিসেশনের কারণও হতে পারে। মাকর্িন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পর্যন্ত ‘সবার স্বাথর্ে’ চেয়েছেন বৃটেন যেন ইউনিয়নে থাকে।
যেহেতু গত ৪১ বছর ধরে ইউরোপিয়ানদের প্রচুর ব্যবসা গড়ে উঠেছে, সেক্ষেত্রে প্রথম ঝড়টা যাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর দিয়েই। এক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে সেন্ট্রাল লন্ডন সবার আগে আক্রান্ত হবে। একই ভাবে পুরা ইউরোপ জুড়ে বৃটেনের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানী করা হয় যা সরাসরি বিভিন্ন আইন এবং অতিরিক্ত খরচের কাঁটাতারে আবদ্ধ হবে। এক্ষেত্রেও রপ্তানী কমবে, সাথে ব্যবসাও। আর এই সমস্ত বিষয়গুলো শেষ পর্যন্ত প্রোপার্টি তথা জমির বাজারে আঘাত করবে। এক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও জানা-শোনা শেয়ার করছি। আমার স্ত্রী ইনভেস্টমেন্ট ব্যঙ্কিং সেক্টরে কর্মরত রয়েছে। গতকাল বৃটেনের খুব নাম করা একটা প্রোপার্টি ফান্ডের ফান্ড ম্যানেজার আমার স্ত্রীর সাথে এবং তার দুই বসের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। সেখানে পুরাটা সময় মূলত ব্রেক্সিট নিয়েই কথা হয়েছে। সেই ফান্ড ম্যানেজার জানায় ব্রেক্সিটে সেন্ট্রাল লন্ডন প্রচণ্ড ভাবে ধাক্কা খেতে যাচ্ছে। সে কারণে তারা তাদের সব বিনিয়োগ সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে সরিয়ে ফেলেছে। তার কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যারা বিনিয়োগ করে রেখেছে তারা ব্রেক্সিট নিয়ে খুবই চিন্তিত। সেটা শেয়ার বাজারে হতে পারে, জমির বাজারে হতে পারে অথবা সরাসরি কমোডিটি মার্কেটেও হতে পারে। কিন্তু আসলে কী হতে পারে বা হতে যাচ্ছে, সেটা জোর দিয়ে এই মুহূতর্ে বলা মুশকিল।
তবে ব্রেক্সিটের ফলে বৃটেন এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াতে কোন সমস্যা হবে না। পর্যটন বা এ ধরনের ব্যবসা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও কম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৃটেন স্বাধীনতাও পাবে। যেমন, বানিজ্য চুক্তি করার ক্ষেত্রে। তখন তারা যুক্তরাষ্ট্র, কানডা বা চীন যেভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে ব্যবসা করে, সেভাবে ব্যবসা করতে পারবে। দৈনন্দিন জীবনও স্বাভাবিক থাকবে বলেই সবাই মনে করছে। তবে অর্থনীতি ঠিক না থাকলে সেই স্বাভাবিক থাকাটা কত দিন, সেটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে থাকছে।
প্রতিটা নির্বাচনের সময়ই জরিপ খুব গুরুত্বপূণর্ ভূমিকা রাখে। এবারও রাখছে বৃটেনে। সর্বশেষ জরিপে দেখা গিয়েছে ৪৪% হ্যাঁ এবং ৪৪% না ভোট দেয়ার পক্ষে। বাকি যে ১২% ভোটার রয়েছে, মূলত আগামীকালের ডিসিশন তারাই দেবে। বলাবাহুল্য, সেই ১২% শতাংশের মধ্যে আমি নিজেও রয়েছি।
মন্তব্যে কেউ কেউ বলছেন যে লেখাটায় ব্রেক্সিটের বিপক্ষের যুক্তিগুলো উঠে আসে নি অর্থাৎ কেন বৃটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকবে এবং থাকলে কী কী সুবিধা পাবে সেটা উল্লেখ করা হয় নি। সরাসরি ওভাবে উপস্থাপন করার কাজটা আমি ইচ্ছে করে এড়িয়ে গিয়েছি কারণ লেখাটাকে কোন পক্ষের প্রচারণা হিসেবে তুলে ধরতে চাই নি। বরং ধাপে ধাপে বলে গিয়েছি কী কারণে রেফারেন্ডামটা এলো (পক্ষের কারণগুলো ওখানে চলে এসেছে), বর্তমান সরকার কী করছে (পক্ষের অনেকগুলো সমস্যার সমাধানও এখানে আলোচনা করা হয়েছে) এবং সর্বশেষ “তবুও যদি ব্রেক্সিটে বেরিয়ে যাবার পক্ষে রায় আসে?” অংশে তুলে ধরেছি ইউনিয়নে থাকার পক্ষের যুক্তি। হতে পারে আমার লেখার এই কাঠামো কারো কারো কাছে লেখাটাকে ‘বের হয়ে আসার’ পক্ষের লেখা হিসেবে একে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। তাই সংক্ষেপে নিচের পয়েন্টগুলো তুলে ধরছি যা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে তথা কেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকা জরুরী তা জানাচ্ছে।
তবে সব শেষে আবারও বলবো, বৃটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকার পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি এটাই যে মূল সমস্যা তথা অভিবাসীদের কী করে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক রকম সমাধানের মধ্যে নিয়ে এসেছে (‘ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান’ অংশট আবার পড়তে বলবো)। এরপরও ইউনিয়ন ছেড়ে বের হয়ে আসাটা বৃটেনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
[১] রেফারেন্ডাম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য
https://en.wikipedia.org/wiki/United_Kingdom_European_Union_membership_referendum,_2016
[২] ইউরোপের ঘনবসতিপূণর্ দেশ সমূহ
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2530125/This-worryingly-crowded-isle-England-officially-Europes-densely-packed-country.html
[৩] ব্রেক্সিটের পক্ষের কারণ
http://www.dailymail.co.uk/news/article-3653526/Undecided-Read-essential-guide-giving-20-reasons-choose-leave.html
[৪] ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে বৃটেনের নেগোসিয়েশন
https://www.theguardian.com/world/2016/feb/19/camerons-eu-deal-what-he-wanted-and-what-he-got
মন্তব্য
দুঃখিত, এই লেখায় কোনোভাবেই "সম্পূর্ণ চিত্র" পাচ্ছিনা, আর কোনো পাঠকও পাবেন বলে মনে হয় না। লেখায় মূলত ব্রেক্সিটের পক্ষের যুক্তিগুলৈ এসেছে, ব্রেক্সিটের বিপক্ষে কারা , কেন---এই চিত্র একেবারেই অনুপস্থিত।
---কৌতুহলি
আমি কিন্তু একাধিকবার বলেছি UKIP ছাড়া ব্রেক্সিটের বিপক্ষে সকল রাজনৈতিক দল। তারা একটাই কথা বলছে অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে। কিন্তু সেটা কীভাবে পড়বে, কখন পড়বে কিম্বা আদৌ পড়বে কিনা, কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছে না। আর এই লেখায় আমি মুলতঃ পক্ষ বা বিপক্ষের যুক্তিকে আলাদা নাম দিয়ে হেডিং দেই নি। কিন্তু ঠিকই বলেছি বের হয়ে গেলে কী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যতটুকু বলেছি, অতটুকু তথ্যই প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া পক্ষের প্রতি আমার কোন পক্ষপাত নেই। বরং পক্ষের যুক্তিগুলো গুছিয়ে লিখলে আরো অনেক কিছুই লেখা যেত যা আমি এড়িয়ে গিয়েছি।
টুইটার
কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম এ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবো, কষ্ট কমিয়ে দিলেন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে ভবিষ্যতে লিখতে পারেন, ব্রেক্সিট-গ্রেক্সিট বাদেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যত নিয়ে প্রায়ই উত্তপ্ত বিতর্ক হয়।
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উদ্দেশ্যটা আমার কাছে বরাবরই ভালো মনে হয়। কিন্তু এর গঠনে ত্রুটি রয়েছে। কেন তেমনটা মনে হয়, তা নিয়ে অন্য একদিন লিখবো তাহলে।
টুইটার
ব্রেক্সিট নিয়ে এতদিন ভাসাভাসা জানতাম। আপনার লেখায় অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
ধন্যবাদ। তথ্যসূত্রে উল্লেখ করা লিঙ্কগুলো পড়লে ধারণা আরো পরিষ্কার হবে বলে মনে করি।
টুইটার
একটু পার্থক্য আছে মনে হয়। ব্রিটেইন আর ইউকে এক নয়। উইকিতে এটা পেলাম,
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আসলে আমার ভুল হয় নি। শুধু বৃটেন বললে সেটা দেশটাকে বোঝাবে আর গ্রেট বৃটেন বললে সেটা দ্বীপটাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রেট বৃটেন বললে দেশকেও বোঝায় যেমন অলিম্পিকে Team GB অথবা পাউন্ডের ক্ষেত্রে GBP।
এখানে দেয়া আছে কোন কোন নামে দেশটাকে ডাকা হয়।
https://en.wikipedia.org/wiki/United_Kingdom#cite_note-14
ডেইলি মেইলের ক্ষেত্রে করা মন্তব্যটায় আমিও একমত। তবুও এই রেফারেন্সটা ব্যবহার করেছি কারণ তারা গুছিয়ে লিখেছে যা অন্যরা লিখছে না। অধিকাংশ পত্রিকার অবস্থান সম্ভবত থাকার পক্ষে ফলে বিপক্ষের কারণগুলো আসছে না সামনে। হাতে প্রচুর লিফলেট আছে, ওখানে এই তথ্য গুলো আছে কিন্তু সেটা তো আর রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায় না, তাই বাধ্য হলাম।
টুইটার
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
একটু একপেশে হয়ে গেল মনে হয় । আপনি কেবল ব্রেক্সিটের পক্ষের কিছু যুক্তি তুলে ধরছেন ।
কথাটা কিন্তু ঠিক না । ব্রিটেইন ৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দেয়ার কথা কিন্তু রিবেট, ছাড় ( মার্গারেট থ্যাচার নেগোশিয়েট করেছিলেন ১৯৭৫ এ ) কেটে রেখে মাত্র [url= http://www.bbc.co.uk/news/uk-politics-eu-referendum-35943216]১৬০-১৭০[/url] মিলিয়ন পাউন্ড দেয় । কিন্তু তার পরিবর্তে ইউকে যে পরিমান ব্যবসায়িক ডিল পায় ( মুলত ইউকের সার্ভিস সেক্টর ) তা অনেক অনেক গুন বেশি । আর হাতে গোনা ২/১ অর্থনীতিবিদ ছাড়া ( তাও খুব একটা কনফিডেন্ট ভাবে না ) পুরা দুনিয়ার তাবত অর্থনীতি এক্সপার্টরা জানাচ্ছে অর্থনীতির জন্য ব্রেক্সিট মোটেও ভালো কিছু হবে না ।
প্রথম থেকেই যেই বিষয়টি এই রেফারেন্ডামে ইউ ছেড়ে যাওয়ার পক্ষের গাড়ির চাকা সচল রেখেছে সেটা হলো ইমিগ্রেন্ট বিরোধী ক্ষোভ । কিন্তু সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে নাইজেল ফারাজের মত উগ্রবাদী শেতাঙ্গ নেতার পিছনে দাড়ানোটা ভয়ানক বিপজ্জনক । কারন তার দলের অস্তিতই ( মুল উদ্দেশ্য এবং আদর্শ ) ইয়োরোপীয়ান খেদানোকে ঘিরে । সেই লক্ষে্য সফল হওয়া মাত্র পার্লামেন্ট পর্যায়ে তাদের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে । তখন কিন্তু তারা খেদানোর জন্য নতুন ইমিগ্রেন্ট টার্গেট খুজবে ।
আর কয়েকদিন আগে উগ্রবাদী শেতাঙ্গের হাতে এমপি জো কক্সের খুন হবার ঘটনাটা এড়িয়ে যাচ্ছেন । জো কক্স ইমিগ্রেন্টদের নিয়ে কাজ করতেন । সেই কারনেই কিন্তু তাকে উগ্রবাদী শেতাঙ্গদের হামলার স্বীকার হতে হলো । উগ্রবাদী প্রচারনাকেই কিন্তু আমি তার মুল কারন হিসেবে দেখছি ।
আমি দুটি সহজ কারনে থাকার পক্ষপাতি ঃ
১। স্টেবল অর্থনীতিতে থাকা অবস্থায় আমি কেন অনিশ্চিত অর্থনীতির দিকে যাবো ।
২। যে কোন অবস্থাতেই আমি নাইজেল ফারাজের মত বর্ণবাদী উগ্র শেতাঙ্গের সাথে এক কাতারে সামিল হয়ে বর্নবাদকে শক্তিশালী হতে দিতে রাজী নই ।
নিজের ঢোল নিজে বাজাই । পইড়া দেখেন ।
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55973
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
==========
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
"তবুও যদি বেরিয়ে যাবার পক্ষে রায় আসে?" — এই হেডিং-এ যা যা বলেছি, তার থেকে বেশি পক্ষে লেখার আসলে নেই। তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ইউনিয়নে থাকার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট। তবে আপনার পুরা মন্তব্য ব্রেক্সিটের বিপক্ষে গেলো।
জো কক্সের খুনটা আমার লেখার প্রেক্ষাপটের সাথে সরাসরি যায় না। আমি চেষ্টা করেছি ব্রেক্সিটের রেফারেন্ডাম কেন উঠে এলো আলোচনায়, সেটাকে তুলে ধরতে। সপ্তাহ দুই আগে ঘটে যাওয়া খুন সেখানে ঠিক কী ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা বুঝতে পারলাম না। সে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করতো, সে কারণে তাকে একদল উগ্রবাদী হত্যা করেছে। এখন আমি যদি বে্রক্সিটের পক্ষে দাঁড়াই, তার অর্থ কোন ভাবেই উগ্রবাদীদের সমর্থন করা হবে না। ঐ দিকে যুক্তা চাঁপাতে গেলে ফ্যালাসি হয়ে যাবে।
১ এর সাথে একমত কিন্তু ২ এর সাথে কোন ভাবেই একমত না। নাইজেল ফারাজ কী ভাবছে সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। আমি দেখবো কোনটা বৃটেনের জন্যে সঠিক। সেটা যদি নাইজেল ফারাজও ভাবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না (তবে বলছি না যে আমি ব্রেক্সিটের পক্ষে )।
আপনার লেখাটা পড়ে মতামত জানাবো কাল।
টুইটার
আমি এতদিন ভাবতেছিলাম যে আই ডোন্ট কেয়ার হোয়াট হ্যাপেন্স। কিন্তু এখন যখন টেলি দেখতেসি; আমি পুরোপুরি কনফিউসড। কারো কথাই কনভিন্সিং মনে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ এক কথাই বলতেছেন; ইকোনোমিক ধ্বস, সিঙ্গেল মার্কেট বানিজ্য।
অপরদিকে বরিস সাহেব বলছেন ৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের কথা যা কিনা মিঃ ক্যামেরন ডিনাই করছেন। সিউর এনাফ সবটাই শুধু ইউনিয়নেই যায় না, ফেরতও আসে অর্ধেকের মতন।
লিভ ক্যাম্পেইনের প্রধান সমস্যা ইমিগ্রেশন। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো থেকে আসা জনগণ ব্রিটেনের অর্থনীতিতে কতটুকু অবদান রাখে সে নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে; অন্তত ইস্ট লন্ডনে যা দেখছি গত কবছরে। এই মাত্র সেদিনও দেখলাম ট্রেনে ব্যান্ড পার্টি নিয়ে উঠে ভিক্ষা করছে। মনে হয়না বিষয়টা আর জোকের পর্যায়ে আছে।
ইউনিয়ন থেকে বের না হলে ইকোনোমির সত্যিকারের অবস্থা কি হবে তার প্রেডিকশান কিভাবে এরা করে! ব্যাবসায়ীমহল আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে যেহেতু ইইউর ল এর পরিবর্তে ব্রিটিশ ল আসবে। কিন্তু উল্টোটাও তো হতে পারে; হতে পারে সাময়িক ধাক্কা শেষে ব্রিটেন ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আফটার অল মিঃ ক্যামেরন গত বছর তো তাই বললেন।
লিভ ক্যাম্পেইনের অন্যতম সাপোর্টার নাইজেল ফারাজ। এই লোকটারে খাটাশ বললেও কম বলা হয়! এই ইউকিপের এক এমপির বিরুদ্ধে রেসিস্ট কমেন্ট করার অভিযোগ আছে আর ফারাজ গিয়ে পাবলিকলি ওঁরে ডিফেন্ড করে। এই লোক ব্রেকিং পয়েন্ট নামের পোস্টারে রেফারেন্ডাম নিয়ে নোংরা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। অবশ্য ফারাজ ই আবার ইইউ পার্লামেন্টে গিয়ে ধুয়ে দিয়েছিল।
আমার মনে হয় ব্রেক্সিটের এই রিস্কটা নেয়াই যায়। ব্রিটেন খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা আমি মানতে নারাজ। ব্রিটেন উইল ডেফিনিটলি ফাইন্ড এ ওয়ে। ব্রাসেলসে মাথা নত করার চেয়ে অভ্যন্তরীণ আইন প্রণয়নে আরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে, স্বকীয়তা থাকবে। মে বি ইট ইজ ওরথ দ্য রিস্ক।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দুঃখিত। ওভাবে চিন্তা করিনি।
যারা ৩৫০ মিলিয়ন দাবী করছে, তারা নেট খরচটাই ধরছে অথর্াৎ যাওয়া এবং আসার পর যেটা থাকে সেই ব্যবধানটা। কিন্তু তবুও এই সংখ্যাটা নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত রয়েছে। এটা আসলে কোন স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড সংখ্যা নয়। তবে এক্ষেত্রে অন্তত ১৭৫ মিলিয়ন যে বৃটেন থেকে বের হয়ে যাচ্ছে (ফেরত আসার পর ব্যবধান), সেটা ইউনিয়নে থাকার পক্ষের সমর্থকরাও স্বীকার করেছে।
এই সমস্যাটা মোকাবেলা করার জন্যেই 'ইমার্জেন্সি ব্রেক' এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ লক্ষ্য করে দেখবেন আলোচনায় সেটা খুব কম আসে। এর কারণ সম্ভবত এই যে এই সমাধানটা আলোচনায় আনলে এবং পরবর্তীতে বৃটেন ইউনিয়নে থাকলে সেটা কনজার্ভেটিভ পার্টির বিশাল বিজয় হিসেবে দেখা হবে। সে কারণে লেবার বা লিবডেম এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে অপ্রস্তুতবোধ করে।
এটা আমারও কথা। না বের হলে বুঝবে কী করে যে অমন খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে? ভালোও তো হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ রিস্ক নিতে চায় না। তাছাড়া একটা বড় রিসেশন কাটিয়ে উঠেছে বিশ্ব। এই মুহূতর্ে আরেকটা অর্থনৈতিক সমস্যার দিকে হাঁটার ইচ্ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোরও নেই।
একমত। মূলত এ কারণেই আমার পুরা লেখায় তার দলের নাম উল্লেখ করলেও তার নাম আমি উল্লেখ করি নি।
দেখা যাক আগামীকাল কী হয়
টুইটার
ইমিগ্রেন্টরা অর্থনীতিতে নেট কন্ট্রিবিউটর । মানে তারা যা নেয় তার চেয়ে বেশি দেয় । শুধু ইয়োরোপীয়ান ইমিগ্র্যেন্টদের কথাই বলছি । আর যে কোন অর্থনীতির উন্নতি হলে কাজের খোজে ইমিগ্রেন্ট আসবেই । এই দেশের ইন্ডাস্ট্রি গুলারো সেই ইমিগ্রেন্ট ওয়ার্কফোর্স ( নার্স, ডাক্তার , ক্ষেতে খামারে, বিল্ডিং কন্সট্রাকশনে ) দরকার । আপনি দাবী করতে পারেন সেটা ভিসার মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে আনলেই হয় । কিন্তু বিষয়টা সময় সাপেক্ষ ।
একটু নিজেই চেক করে দেখতে পারেন কথাটা সত্য না মিথ্যা । ইউকে কন্ট্রবিউট করে ১৬০ মিলিয়ন পাউন্ড পার উইক ।
কিন্তু তার বেনিফিট হিসেবে শত শত বিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা করে নেয় । সেই লাভের টাকা সরকার খরচ করে ইউকের পাবলিক সার্ভিসে ( হাসপাতাল, স্কুল, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ) । হুট করে ইইউ থেকে বের হয়ে আসলে এই গ্যাপটা পুরন করবে কে ?
কোন অর্থনীতি আসলে অনিশ্চয়তা পছন্দ করে না । ব্রেক্সিট হলে যে কোন ট্রেড ডিল ঠিক হতে মিনিমাম কয়েক বছর লেগে যাবে । সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে কিন্তু কোন অর্থনীতিই গ্রো করে না । ইউএস এর হাউজিং মার্কেটের ধ্বসের ধাক্কায় কিন্তু পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দা লেগেছিল কয়েক বছরের জন্য । মনে আছে নিশ্চই । ব্রেক্সিট কিন্তু তার চেয়ে বড় ধাক্কা দিবে ।
জেনে শুনে সেই রিস্ক নেয়াটা আমার ব্যক্তিগত ভাবে যুক্তিযুক্ত মনে হয় না ।
সোজাসাপ্টা একটা উদাহরন দেই । কেউ আপনার সামনে ১০০০ টাকা আর একটা মানিব্যগ রেখে বললো ২ টার যে কোন একটা তুমি নিতে পারো । আপনি জিজ্ঞেস করলেন মানি ব্যাগে কি থাকতে পারে । সে বললো মানি ব্যাগে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা থাকতে পারে , আবার কিছু নাও থাকতে পারে । ব্রেক্সিটের প্রমিসটা অনেকটা ১০০০ নগদ টাকার বিনিময়ে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা বা কিছুই নাও রিস্ক নিতে বলার মত । অর্থনীতি কলাপ্স করলে কিছুই না পেতে পারি আমরা । লালনের ভাষায় বলতে গেলে, " বাকির লোভে কি নগদ ছাড়া ঠিক হবে ? "
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
==========
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
এই বক্তব্যের সূত্র কোথায়? মানে সবধরনের ইমিগ্রেন্টরা অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করে এর ভিত্তি কোথায়?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
http://www.economist.com/news/britain/21631076-rather-lot-according-new-piece-research-what-have-immigrants-ever-done-us
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
==========
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
ইয়োরোপের ইমিগ্রেন্ট্রা নেট কনট্রিবিউট করে অর্থনীতিতে ।
http://www.economist.com/news/britain/21631076-rather-lot-according-new-piece-research-what-have-immigrants-ever-done-us
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
==========
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
এইটাতে স্পষ্ট হল না যে সবধরনের ইমিগ্র্যান্ট কনট্রিবিউট করছে, বরং শেষের দিকে লেখা শুধু কমবয়েসীরাই কনট্রিবিউট করছে। শুধু তাই নয়, ই-ইউ থেকে ইমিগ্র্যান্ট না নিয়ে এশিয়া থেকে নিলে কি লাভ বা ক্ষতি সে তুলনাও নেই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
যে কোন দুই দেশের মাঝে ইমিগ্রেশন, কাজ করার সুবিধা কতটা সহজ হবে তা নির্ধারন করে দুই দেশের মধ্যেকার বানিজ্য । ইউকের সবচেয়ে বড় ১০টা বানিজ্য পার্টিনারের মধ্যে ৮ টা দেশই ইইউ এর মেম্বার দেশ । শুধু যদি সার্ভিসের কথা ভাবেন যা ইউকের আয়ের প্রায় ৬০% তাহলে টপ ৫ টা ট্রেডিং পার্টনার দেশই ইইউ এর মেম্বার । এই যে সহজে কোন ট্যাক্স না দিয়ে এই দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা করতে দেখছেন সেই ট্রিটির একটা মুল পিলার ফ্রি মুভমেন্ট অব মাইগ্রেন্ট । ইউকে এই দেশগুলাতে যা এক্সপোর্ট করে তার ১% ও ভারত, বাংলাদেশের মত দেশে এক্সপোর্ট করে না । আমাদের দেশ গুলো থেকে তারা কেবল ইম্পোর্ট করে । চায়নার সংগে তাদের এক্সপোর্টের নতুন নতুন ডিল হচ্ছে তাই চায়নার নাগরিকদের জন্য ভিসা ব্যবস্থা সহজ করে দিচ্ছে । সুতরাং আমাদের দেশগুলোকে ভিসা সুবিধা দেয়ার যৌক্তিক কোন কারন দেখছি না ।
আর এশিয়া থেকে হুট হুট করে লাখ লাখ মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার আনার পথটাও এতোটা সহজ না । সিকিউরিটি একটা বড় রিস্ক । ইইউ এর দেশের নাগরিকের সিকিউরিটির ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করার খুবই সহজ । সুতরাং কাউকে যে কোন কাজে নিয়োগ দেয়ার আগে তার সহজেই এই চেকটা করা যায় [এক্সেপশন আছে মেনে নিয়েই বলছি ] । কিন্তু হুট করে লাখ লাখ এশিয়ান ওয়ার্কার আনতে গেলে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা এতোটা সহজ না । আপনার গ্রোয়িং অর্থনীতিতে যখন স্মুথ শ্রমিক সাপ্লাই দরকার তখন কেনো আপনি ঝামেলাযুক্ত পথে যেতে চাইবেন । ইয়োরোপের শ্রমিকরা কিন্তু নিজ নিজ স্কিল বুঝে কাজ খুজে হাজির হয়ে যায় । এশিয়া বা আফ্রিকা থেকে আনতে গেলে বেস বড় সড় একটা ডিপ্লোমেটিক প্রসেস আছে । খুব একটা সহজ নয় পথটা ।
হ্যা কথা সত্য । এবং ইউ মাইগ্রেন্টদের বড় অংশটাই অল্পবয়স্ক এবং কর্মক্ষম ।
গার্ডিয়ানের এই আর্টিকেল টা পড়ে দেখতে পারেন ।
https://www.theguardian.com/uk-news/2014/nov/05/uk-magnet-highly-educated-migrants-research
আমার কথা হচ্ছে যেই ইমিগ্রেন্টরা অর্থনীতিতে কন্ট্রিবিউট করছে , সরকারের ব্যর্থটা ঢাকতে গিয়ে তাদের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়াটা অন্যায় । এতে করে কেবল অ্যান্টি ইমিগ্রেন্ট সেন্টিমেন্টটাই জোরদার হবে । লাভজনক কিছুই হবে না ।
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
এই আর্টিকেল পড়ে তো মনে হচ্ছে ইউকিপ না, ব্রিটিশ শ্রমিক সংগঠনগুলিও ব্রেক্সিটের পক্ষপাতী!
ব্রেক্সিটে শ্রমিকদের লাভ, তাদের প্রতিযোগি কমছে, কিন্তু মালিকদের ক্ষতি কারণ তাদের বাজার কমছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
একমত। আমি নিজেকে দিয়েই বিষয়টা বুঝতে পারি। আমি গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছি। আমাকে রিসার্চ পজিশন পেতে হলে ওয়ার্ক পার্মিট নিয়ে তারপর পেতে হয়। কিন্তু একজন ইউরোপিয়ান সেটা খুব কম ঝামেলার মধ্য দিয়ে গিয়ে এবং দ্রুত পেয়ে যায়। ফলে যারা রিক্রুট করছে, তারা ইউরোপিয়ানই পছন্দ করবে যদি একই মানের দুইজন প্রার্থী থাকে। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর একজন ইউরোপিয়ান এবং আমি একই কাতারে চলে আসবো।
কিন্তু মালিক পক্ষের দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টা খারাপ। এ কারণেই মূলত আমার স্ত্রীর অফিসের যে উদাহরণ দিলাম, সেই মত এবং আমার মত মিলছে না। ওর অফিস হচ্ছে মালিক পক্ষ। আর আমি কমর্ী।
টুইটার
এইটা নির্ভর করবে ব্রেক্সিট ডিলটা কেমন হবে তার উপরে। ব্রেক্সিট ডিলের কয়েকটা পসিবিলিটিই ওপেন আছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার এই অ্যাসারশনটা মারাত্মক রকম ভুল মনে হচ্ছে । ব্রেক্সিট হলেও কিন্তু মাইগ্রেন্ট ফ্লো বন্ধ হচ্ছে না । ইউকে যদি সিংগেল মার্কেটে ব্যবসা করতে চায় তাহলে যেই £১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড এখন করে তখনো মিনিমাম সেই কন্ট্রিবিউশন করতেই হবে এবং মাইগ্রেন্টদের ফ্রি মুভমেন্টেও অ্যাগ্রী করেই ট্রেড করতে হবে । সুতরাং ইইউ এর সিটিজেনরা সেই প্রায়োরিটি পাবেই ।
** ইউকে ইইউ রিসার্চ ফান্ডিং এর নেট বেনিফিশিয়ারি । জার্মানির পরেই ইইউ থেকে সেকন্ড হাইয়েস্ট ফান্ডিং রিসিভ করে ইইউকে । এই হিসাব কিন্তু ব্রেক্সিট গ্রুপ তাদের £১৭০ মিলিয়নের হিসাবে দেয় নাই ।
রয়েল সোসাইটির ইইউ ফান্ডিং এর ব্রেকডাউন দেখেন । বিবিসির এই [url= http://www.bbc.co.uk/news/science-environment-25961243]রিপোর্টাও[/url] পড়ে দেখতে পারেন ।
মাঝখান থেকে ২/৩ বছরের অনিশ্চয়তায় ( যে সময়টা লাগবে ট্রেড ডিল ঠিক করতে ) পুরো অর্থনীতি বাঁশ মারা খেয়ে যাবার একটা উজ্জ্বল সম্ভবনা আছে । আর অর্থনীতি বাঁশ খেলে প্রথম ধাক্কাটা লাগে আরএনডি তে । রিসার্চ এর ফান্ডিং বাঁশ মারা খাবে । ব্রেক্সিটের পক্ষের লোকেরা প্রথম শোনাচ্ছিল ইইউ কন্ট্রিবিউশন থেকে যা বেচে যাবে তা দিয়ে চারিদিকে উন্নয়নে উন্নয়নে ভরে যাবে । শিয়ালের বাচ্চার হিসাবের মত । পরে যখন ব্রেকডাউন চাওয়া হইলো তখন দেখা গেল নেশনাল হেলথ সার্ভিসের বাইরে আর অন্য সেক্টরে দেয়ার মত ট্যাকাটুকা থাকতেছে না । তখন আমতা আমতা করে চেপে গেলেন । শুনে দেখতে পারেন ।
https://www.youtube.com/watch?v=R6miXraNTCs
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইউকিপই একমাত্র যারা ব্রেক্সিটের পক্ষে। এছাড়া ছোট ছোট অগর্ানাইজেশন রয়েছে যারাও পক্ষে রয়েছে, যেমনটা আপনি দেখালেন।
টুইটার
অর্থনীতি ভেঙে পড়বে এইটা বাড়াবাড়ি, কিছু কিছু সেক্টর কিছু দিনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে - তবে সেটা দ্বিপাক্ষিক - কিছু ক্ষতি বাকি ইউরোপীয়দের আর কিছু ব্রিটিশদের। এর পরের ধাপে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়ে আবার সব ঠিকঠাক হবে। অর্থনীতির ক্ষতি আমি সাময়িক দেখছি। তুলনায় ইমিগ্রান্ট-সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। ভুল লকজন দেশে ঢোকার একটা নির্দিষ্ট পথ বের করে ফেললে তাদের সেখান থেকে বের করার সম্ভাবনা কম। সেই ক্ষেত্রে ব্রিটেনকে আমেরিকার মত সবার জন্য বেনিফিট কমিয়ে দিতে হবে বাজেট দেখতে গিয়ে। মোটের ওপর সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি। আমি ব্রেক্সিটের পক্ষে, ব্রিটেনের জন্য ভাল হবে বলে মনে হয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমার আট বছরের প্রবাস জীবনে এই নিয়ে তিনটা রেফারেন্ডাম দেখলাম। প্রতিটাতেই 'অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে' বলে ভয় দেখানো হয়েছে। গত বছর যখন স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার রেফারেন্ডামটা এলো, তখনও এই কথা বলে ফলাফল নিজেদের দিকে নিয়েছিল ওয়েস্টমিনিস্টার কেন্দ্রিক 'না' এর সমর্থকরা। এবারও এটাই ট্রাম্প কাডর্। আমি অর্থনীতির খুব বেশি কিছু বুঝি না, তবে এটা বুঝি মানুষ যখন ভয় পায়, তখন তারা অসহায় হয়ে পড়ে এবং নিজের ভোটটা রোবটের মত আত্ম সমর্পন করে আসে।
আমার লেখায় এ প্রসঙ্গটা তুলতে গিয়েও তুলি নি। যেহেতু চেষ্টা করেছি নিরপেক্ষ থেকে লেখার, তাই এই প্রসঙ্গটা তুললে লেখাটাকে অনেকে বায়াসড বলবে ভেবে এড়িয়ে গিয়েছি। এখন মন্তব্যে কিছুটা শেয়ার করছি। বাসায় ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রায় প্রতি দিনই প্রচুর লিফলেট আসে। সেখানে এই বিষয়টা ভালো করে আলোচনা করা হয়েছে। ক্ষতিটা দুই দিকেরই হবে শুরুতে। তবে সেটা সাময়িক। তারপর ধীরে ধীরে বৃটেন আর দশটা বাহিরের দেশের মত বানিজ্য করতে শুরু করবে। শুধু তাই না, সুইজারল্যান্ড এবং নরওয়ে যেভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে না থেকেও বানিজ্য করে, সেই মডেলটা বৃটেনের জন্যেও প্রযোজ্য। তাই ব্যবসায় প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে, এটা কিছুটা বাড়াবাড়িই। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন কী করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে বানিজ্য চুক্তিগুলো করছে? সেভাবেই বৃটেনও এগিয়ে যাবার কথা তাদের নূতন চুক্তিগুলো নিয়ে।
বেনিফিট কমিয়ে দেয়ার পথেই হাঁটছে বৃটেন। 'ইমার্জেন্সি ব্রেক' বলে একটা কনসেপ্ট পাশ হয়েছে। যদি ইউনিয়নে থাকেও, তবুও এটা ব্যবহার করে ইমিগ্রান্টদের উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করবে বর্তমান সরকার।
টুইটার
অতদিন বিষয়টা নিয়ে খালি কথাবার্তা শুনতাম। আজ বুঝলাম কিছুটা
আমি মোটামোটি ঘটনাটা কী, সেটা যথাসাধ্য নিরপেক্ষ থেকে বলার চেষ্টা করেছি। তবে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর মতামত রয়েছে যা এড়িয়ে গিয়েছি। আসলে 'হ্যাঁ' এবং 'না' উভয়ের প্রচারকরা যে যেভাবে পারছে, তথ্য দিয়ে মানুষকে নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছে। ফলে প্রচুর ভুল অথবা ভয় দেখানো তথ্যও ঘুরে বেড়াচ্ছে ওয়েবে। সেগুলোকে ফিল্টার করেই লেখাটা দাঁড় করালাম।
টুইটার
অভিবাসী সমস্যাটা শুধু ব্রিটেনে না। জার্মানি, সুইডেনের মতো দেশের জন্যও বেশ বড় সমস্যা বলে মনে হয়। অন্তত সামাজিকভাবে। এইসব দেশে বেড়াতে গেলে গত ৩ বছরের পার্থক্য চোখে পড়ে খুব। অভিবাসী সমস্যা মেটাতে সুইডেন, ডেনমার্কে বর্ডার কনট্রোল বসানো হয়েছে কয়েকমাস হলো। কিন্তু আমার মনে হয়, এই সমস্যা মেটাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একসঙ্গে বসে চিন্তা করা দরকার। একটা দেশ একা আলাদা হলে তাতে বিশেষ লাভ হয় বলে মনে হয়না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একমত। আমিও মনে করি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যকার সমস্যার আলোচনা ওখানেই হওয়া উচিত এবং সেটাই বেশি কার্যকর হবার কথা। যদিও তেমন আলোচনা খুব একটা চোখে পড়ে না।
টুইটার
একমত । তবে ব্রিটিশ সোসাইটির একটা বড় অংশ সেটা থেকে গা বাচিয়ে চলতে চাইছে । ইয়োরোপের অন্যান্য দেশগুলো সিরিয়া থেকে আসা লক্ষ লক্ষ শরনার্থীর দায়িত্ব নিলেও ব্রিটেন হাজার খানেকের বেশি নেয় নি । জেনোফোবিয়াটা এখন এই দেশে এমনই মারাত্মক আকার ধারন করেছে ভোট হারানোর ভয়ে কেউ সাহস করে বলতে পারছে না যে ইয়োরোপের অন্যান্য দেশের মত আমাদের আরো ইমিগ্রেন্ট নেয়া উচিত । আমার কাছে বিষয়টা সিম্পলি ইম্পেরিয়াল হ্যাংওভার আর সেলফিশ আচরনের কম্বিনেশন মনে হয় ।
এমপি জো কক্স খুন হবার মুল কারন তার সিরিয়ান ইমিগ্রন্টদের প্রতি সিম্প্যাথি
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
একপেশে আলোচনা বলে মনে হলো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আরো কিছু তথ্য যুক্ত করার চেষ্টা করছি। ঘণ্টাখানেক পরে পড়ে মতামত জানালে খুশি হবো।
টুইটার
তথ্যবহুল আলোচনা। লেখককে ধন্যবাদ।
সাইয়িদ রফিকুল হক
পড়ার জন্যে এবং মন্তব্যের জন্যে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
টুইটার
ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার কারণে ব্রিটেন কি কি সুবিধা পাচ্ছে সেটার আলোচনা না থাকায় তুলনামূলক চিত্রটা পেলাম না।
আর এই 'বসে বসে স্যোশাল সিকিওরিটি খাওয়ায়' কতটা সত্য আর কতটা জেনোফোবিয়া?
ঘরে বসে যদি খাওয়াই যায়, তাহলে ব্রিটিশরা নিজেরাও কেন সেটা করে না? কেন শুধু অভিবাসিরাই এমন করবে?
অথবা কতপার্সেন্ট আদি ব্রিটিস এই কাজ করে, আর কত পার্সেন্ট অভিবাসি এটা করে?
আপনি যে শেষ মেস ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেবেন তেমন মনে হয়েছে লেখাটা পড়ে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এটা একটা ভালো পয়েন্ট। আমি আলাদা ভাবে পোস্টের নিচে যুক্ত করার চেষ্টা করছি ঘন্টাখানেকের মধ্যে।
এটা একটা প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সমস্যা। তবে সেটা ব্রিটিশদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল আগে। এমন কি বাংলাদেশ থেকে প্রফেসার ইউনুসকে আনা হয়েছিল গ্লাসগোতে। সেখানে তিন-চার জেনারেশন ধরে এভাবে বসে বসে খায়। ফলে তারা চাচ্ছিল ইউনুস তার তত্ব দিয়ে তাদের ভালো করে তুলুক। কিন্তু সেটা আর সফল হয় নি (সে আরেক গল্প। অন্য কোন দিন করবো)। লন্ডন বা বৃটেনের অন্যান্য শহরেও চিত্রটা একই। ফলে এ থেকে ইউরোপিয়ান নাগরিকরাও সুবিধা নেয়ার পথটা খুঁজে পেয়েছে। আমি প্রায় দুই বছর তিনটা ইউরোপিয়ান ছেলের সাথে বাসা শেয়ার করেছি। তারা পুরাটা সময় বসে বসে খেয়েছে। একটা ছেলে ক্যাশ জব হিসেবে একটা কাজ করতো কিন্তু দেখাতো সে বেকার। অন্যরা কিছুই করতো না। তবে এই সংখ্যাটা ব্রিটিশদের মত বসে খাওয়ার তুলনায় খুবই নগণ্য বলে আমার বিশ্বাস।
আমি আসলে ইউনিয়নে থাকার পক্ষপাতি। সেটার মূল কারণ অর্থনৈতিক একটা সাপোর্ট থাকে পাশে EU এর মাধ্যমে। বৃটেন একা থাকলে এবং সমস্যায় পড়লে তখন বিপদটা যতটা বড় তার থেকেও অনেক বড় অনুভূত হয়। ২০০৯ এর রিসেশন আমাকে এই শিক্ষাটা দিয়েছে।
টুইটার
খুবই নগন্য ।
http://i.imgur.com/gUtrVKQ.png
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
"ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার কারণে ব্রিটেন কি কি সুবিধা পাচ্ছে"--সুবিধা । বলতে আসলে তেমন কিছু না। ব্রিটেন এখন আর উতপাদনকারী কোন দেশ না। ইইউ হওয়াতে সবচেয়ে সুবিধা জার্মানদের, তারা তাদের অনেক উতপাদন প্লান্ট পূর্ব ইউরোপে সরিয়ে নিয়েছে খরচ কমানোর জন্য। ইইউ তে সুবিধা ছোট গরীব ইউ দেশগুলো, তারা ইইউ থেকে টাকা পায় যেটাকা বড় দেশ গুলোকে দিতে হয়। এখানে হিসাব আছে (বিবিসি থেকে নেয়াঃ http://www.bbc.co.uk/news/live/uk-politics-eu-referendum-35603388)
১। ইইউ থেকে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়, সেই হিসাবে ইউকে সেখানে প্রতি সপ্তাহে দেয় ২৭৬ মিলিয়ন পাউন্ড
২। এই ২৭৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিপরীতে সেখান থেকে ফেরত আসে ১১৫ মিলিয়ন পাউন্ড করে, এই টাকা এখানে ফার্মিং, সাইন্টিফিক রিসার্চ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষনা, এই সব কাজে খরচ করার কাজে এই টাকা ব্যবহার হয়।
৩। সুতরাং ইইউ তে ইউকে এর অবদান প্রতি সপ্তাহে ১৬১ মিলিয়ন পাউন্ড, যে টাকা এখানে আসেনা, এটা ইইউ এর গরীব দেশে খরচ হয়, অনেক দেশ দেউলিয়া হতে যায়, তাদেরকে টাকা দেয়।
সাজ্জাদূর রহমান
ব্রেক্সিট নিয়ে জন অলিভারের চমৎকার ভিডিও https://www.youtube.com/watch?v=iAgKHSNqxa8
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এটা যেদিন প্রকাশিত হয়েছিল (ফেইসবুকে ট্রেন্ডিং এ ছিল তখন) সেদিনই দেখেছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানেও কিন্তু কেন ইউনিয়নে থাকতে হবে, তার উপর শক্তিশালী লজিক আসে নি (৩৫০ মিলিয়নের বিতর্কটা ছাড়া)। বরং ইউনিয়ান থেকে বের হয়ে আসার জন্যে সবচেয়ে জোরালো যারা (ইউকিপ) তাদের চারিত্রিক বিশ্লেষণ এসেছে। আমার মনে হয় থাকার পক্ষে যারা প্রচারণা চালাচ্ছে, তারা বের হয়ে যাবার পক্ষের তুলনায় দুর্বল অথবা বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নেয় নি।
টুইটার
ইইউ থেকে আসা রিসেন্ট মাইগ্রেন্টরাই অর্থনীতিতে যতটা নেয় তার চেয়ে বেশি কন্ট্রিবিউট করে । প্রতি £১ পাউন্ড সুবিধার বিনিময়ে তারা £ ১.৩৪ কন্ট্রিবিউট করে । মানে তারা নেট কন্ট্রিবিউটর ।
https://fullfact.org/immigration/do-eu-immigrants-contribute-134-every-1-they-receive/
এই গেল ডিরেক্ট অর্থনীতিতে কন্ট্রিবিউশনের হিসাব । ব্রিটেনে একটা বড় অংশের নেটিভ সোসাল সিকিউরিটির উপর নির্ভর করে চলে । তাদের কিন্তু অর্থনীতিতে কোন কন্ট্রিবিউশন নাই । তাদের হয়ে সাবসিডি দেই আমরা ইমিগ্রেন্টরাই ।
আর বেনিফিট ক্লেইম করার ক্ষেত্রেও তারা খুবই ক্ষুদ্র একটা একটা অংশ । টোটাল বেনিফিট ক্লেইমেন্টের সংখ্যার মাত্র ২% ।
http://www.telegraph.co.uk/news/uknews/immigration/11255425/How-much-do-immigrants-really-claim-in-benefits.html
ইমিগ্রেন্ট বিরোধী স্লোগান এমনই এক বিষাক্ত জিনিস সেটা যে কোন দেশে, যে কোন সময়ে ড্রপ করে দেন না কেন, বেশ ভালো ভাবেই কাজ করে । আমেরিকা পুরা দেশটাই মাইগ্রেন্টদের কন্ট্রবিউশনে তৈরি কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত লোকের ভোটের কিন্তু অভাব হয় নাই । সেইম ভাবেই যতই আপনাকে আমি ইউনিয়নে থাকার সুবিধা দেখাই বা মাইগ্রেন্টেদের কন্ট্রিবিউশন দেখাই না কেন, ট্রেনে রোমেনিয়া থেকে আসা কোন এক মাইগ্রেন্টদের ভিক্ষা করে স্পোরাডিক ঘটনা দেখে দেখেই আপনার মন বিষিয়ে উঠবে, যা কোন লজিকের বাপের সাধ্য নাই ক্লীন করে ।
আগেও বলেছি, আবারো রিপিট করছি, নাইজেল ফারাজের মত বর্নবাদী লোকের সাথে দাড়িয়ে ইমিগ্রেন্ট বিরোধী স্লোগান দিয়ে অ্যান্টি ইমিগ্রেন্ট সেন্টিমেন্টটাকে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে । এই টাইপের সেন্টিমেন্ট কিন্তু দিন শেষে ভালো কিছু বয়ে আনবে না । কারন দিনশেষে, উগ্র শেতাঙ্গ গোষ্ঠির কাছে ২/৩ জেনারেশন পরেও আমি ইমিগ্রেন্ট বা “ফাকিং পাকি” ।
ভালো থাকবেন ।
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
==========
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
ভাই মামুনুর রশিদ, আপনি তো মনে হচ্ছে ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলছেন।
ইমিগ্রান্টদের কন্ট্রিবিউশন নিয়ে কথা হচ্ছে না। ইমিগ্রান্ট রা কন্ট্রিবিউশন করে, এখানে যত নন-ইইউ ইমিগ্রান্ট আছে, তারাও কন্ট্রিবিউট করে। এখানে ইমিগ্রান্ট বন্ধ হবে, সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে একটা নিয়ম এর ভিতর ইমিগ্রেশনের। আমরা যারা নন-ইইউ আছি, আমাদের ভিসা ফি দিতে হয়, একটা প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে আসতে হয়, কিন্তু ইইউ দের সেটা দিতে হয় না। তারা আমাদের মতো প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়েই এখানে আসুক, কেউ তো মানা করছে না। ব্রেক্সিট পক্ষদের সেটাই কথা, এখানে সবার জন্যই এক নিয়ম করতে হবে। আমাদের নন-ইইউ দের যে ঝক্কি ঝামেলার ভিতর দিয়ে আসতে হয়, ইইউ রাও সেভাবেই আসবে। তাতে তো অসুবিধা নাই।
আপনি আমেরিকার উদাহরন দিলেন। সেখানে সবাইকেই নিয়ম মাফিক যেতে হয়। আগেই বলেছি, এখানে ইমিগ্রান্ট নিয়ে কথা হচ্ছে না। কথা হছে নিয়মের ভিতর দিয়ে ইমিগ্রেশন, যেটা আমরা নন-ইইউ দের জন্য আছে। এই নিয়মের কারনেই আমাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমানে আসতে পারে, কিন্তু ইইউ রা যে কেউ আসতে পারে। এখানে অনেক আগেই থেকেই বলা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া বা কানাডার মতো নিয়ম করতে, সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা আসতে পারবে আসবে। আমাদের নন-ইইউ দের জন্য কঠোর নিয়ম থাকবে, কিন্তু ইইউ দের জন্য নিয়ম থাকবে না, তাতো হয় না।
সাজ্জাদুর রহমান
বেশ ভাল লিখেছো নিয়াজ। আমি এই বিষয়ে লিখতে চাইছিলাম, কিন্তু সাজিয়ে গুছিয়ে করতে পারি নাই।
আসলে দুই পক্ষই অনেক বানিয়ে বানিয়ে কথা বলছে, মানুষদের ভিতর ভীতি ছড়াচ্ছে। আমি দুই পক্ষের অনেক কেই জিজ্ঞাসা করেছি আসলে ইউকে বছরে কত টাকা দেয়, আর বিনিময়ে কত টাকা পায়? কেউ ঠিক মতো উত্তর দিতে পারে না। ইইউ এর সদস্য হিসাবে সেখানে টাকা দিতে হয়, সেখান থেকে টাকা আবার এই দেশের অনেক কিছুতে খরচের কাজে ফেরত আসে। ইউ থেকে যে টাকা এখানে আসে, সেই টাকা ইউকে এর টাকা, তবে ইইউ অনেক টাকা তাদের কাছে রেখে দেয়। বিবিসি একটা হিসাব দিয়েছেঃ
১। ইইউ থেকে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়, সেই হিসাবে ইউকে সেখানে প্রতি সপ্তাহে দেয় ২৭৬ মিলিয়ন পাউন্ড
২। সেখান থেকে ফেরত আসে ১১৫ মিলিয়ন পাউন্ড করে, এই টাকা এখানে ফার্মিং, সাইন্টিফিক রিসার্চ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষনা, এই সব কাজে খরচ করার কাজে এই টাকা ব্যবহার হয়।
৩। সুতরাং ইইউ তে ইউকে এর অবদান প্রতি সপাতে ১৬১ মিলিয়ন পাউন্ড, যে টাকা এখানে আসেনা, এটা ইইউ এর গরীব দেশে খরচ হয়, অনেক দেশ দেউলিয়া হতে যায়, তাদেরকে টাকা দেয়।
এখানকার স্বাস্থ্য সেবাতে ফান্ডিং এর অভাবে অনেক সেবা ভালকরে দিতে পারছেনা, ফান্ডিং এর অভাবে হাস্পাতালে ডাক্তার কম, স্পেসালিস্ট ডাক্তার এর অ্যাপয়ন্টমেন্ট পেতে কয়েক মাসও লেগে যায়। আমার বাচ্চার জন্য যেখানে ২/৩ মাস সর্বোচ্চ লাগার কথা, সেখানে লেগেছে ৫ মাস। জিজ্ঞাস করলে বলে ডাক্তার কম। ব্রেক্সিট দের মত হলো, যে টাকা ইইউতে দিতে হচ্ছে, ঐ টাকার কিছু এখানে স্বাস্থ্য সেবাতে খরচ করা যাবে।
এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বড় কর্তারা ইইউ তে থাকার পক্ষে, কারন তাদের যুক্তি হলো তারা ইইউ থেকে গবেষনার কাজে টাকা পায়। কিন্তু ইইউ তো এখানে তাদের নিজেদের টাকা দেয় না, ইউকে টাকা দেয়, সেখানকার কিছু টাকা এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনার খাতে পাঠানো হয়। এদের টাকাই এদের কাছে কিছুটা ফেরত আসে। তবে এটা ঠিক, ইউকে সরকার নিজেদের টাকা হলেও ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনার কাজে তেমন কিছু দেয় না, ইইউ এর মাধ্যমে হলেও ছোট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো গবেষনার কাজে কিছু টাকা পায়, যদিও টাকাটা নিজেদের দেশের।
ইইউ এর নিয়মের কারনে আমরা যারা নন-ইইউ আছি, আমাদের সমস্যা বেশী। চাকরীতে ঢুকতে গেলে ইইউ দের প্রথমে নিতে হবে, আমাদের নিতে গেলে কোম্পানীর অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়, তাদেরকে ৩ মাস ধরে বিজ্ঞাপন দিয়ে রাখতে হবে, নন-ইইউ কে কেন নিচ্ছে সেটার কারন দেখিয়ে আবেদন করতে হয় ইমিগ্রেশনে, টাকাও দিতে হয়। এই কারনে বড় কিছু কোম্পানী ছাড়া বাকিরা এই ঝামেলাতে যেতে চায় না। আজ থেকে ১০ বছর আগেও যে কোন কোম্পানী চাইলেই নন-ইইউ দের কে নিতে পারতো, এখন ইইউ এর এই আইনের কারনে আর পারে না। কোথাও কোন নন-ইইউ কে নেয়া হলে কোন ইউ যদি সেই নিয়োগের চ্যলেঞ্জ করে, তাহলে সেই কোম্পানীকে উত্তর দিতেই হবে। এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছিল বেলফাস্টের কুইন্স ইউনিভার্টিতে। সেখানে রিসার্স এসিসট্যান্টের একটা পোস্ট ছিল, এক নন-ইইউ চান্স পেয়েছিল, যে ইইউ এর লোকটা দিয়েছিল সে ইংলিশ ঠিকমতো বলতে পারতোনা, তাকে না নিয়ে নন-ইইউ কে নিয়েছিল। পরে ইইউ এর সেই লোকটা চ্যালেঞ্জ করেছিল ভাষার বিষয়টা নিয়ে, বিজ্ঞাপনে যেহেতু ইইউ এর মানুষদের জন্য ইংরেজী জানতে হবে সেটা ছিল না, পরে তাকেই নিতে হলো।
আমরা নন-ইইউ এর যারা আছি, আমাদের ভিসা ফি দিতে হয়, একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসে এখানে থাকতে হয়। আমরা আর ইইউ এর ইমিগ্রান্ট রা আলাদা। আমার কথা হলো, তারা মিলিয়ন মিলিয়ন এখানে আসুক অসুবিধা নাই, কিন্তু তাদেরকে আমাদের মতোই একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে।
সাজ্জাদূর রহমান
যে কোন দুই দেশের মাঝে ইমিগ্রেশন, কাজ করার সুবিধা কতটা সহজ হবে তা নির্ধারন করে দুই দেশের মধ্যেকার বানিজ্য । ইউকের সবচেয়ে বড় ১০টা বানিজ্য পার্টিনারের মধ্যে ৮ টা দেশই ইইউ এর মেম্বার দেশ । শুধু যদি সার্ভিসের কথা ভাবেন যা ইউকের আয়ের প্রায় ৬০% তাহলে টপ ৫ টা ট্রেডিং পার্টনার দেশই ইইউ এর মেম্বার । এই যে সহজে কোন ট্যাক্স না দিয়ে এই দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা করতে দেখছেন সেই ট্রিটির একটা মুল পিলার ফ্রি মুভমেন্ট অব মাইগ্রেন্ট । ইউকে এই দেশগুলাতে যা এক্সপোর্ট করে তার ১% ও ভারত, বাংলাদেশের মত দেশে এক্সপোর্ট করে না । আমাদের দেশ গুলো থেকে তারা কেবল ইম্পোর্ট করে । চায়নার সংগে তাদের এক্সপোর্টের নতুন নতুন ডিল হচ্ছে তাই চায়নার নাগরিকদের জন্য ভিসা ব্যবস্থা সহজ করে দিচ্ছে । সুতরাং আমাদের দেশগুলোকে ভিসা সুবিধা দেয়ার যৌক্তিক কোন কারন দেখছি না । আপনি কেবল ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে ইইউ নাগরিকদের এক হাত নিতে চাইলে সেটা ভিন্ন কথা ।
আমার উপরের কমেন্টটাও তাই ভিন্ন প্রসঙ্গের না । কারন শুরু থেকেই ব্রেক্সিট পক্ষের আর্গুমেন্ট ইমিগ্রেন্টরা পাবলিক সার্ভিসের উপর চাপ ফেলছে । আমি বলছি তারা কন্ট্রিবিউট করছে । চাপ তৈরি হচ্ছে কনজারবভেটিভ সরকার পাবলিক সার্ভিসে ইনভেস্ট না করার কারনে । ডাক্তার নেই কারন সরকার ইনভেস্ট করছে না । যে কোন অর্থনীতির উন্নতি হলে কাজের সন্ধানে মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার আসবেই । গ্রামের লোক যেমন ঢাকায় আসে ব্যপারটা তেমনই । আগের কমেন্টেই বলেছি মাইগ্রেন্টরা শুধু এসে বসে থাকে না । কাজ করে , কন্ট্রবিউট করে । ইনভেস্ট না করে পাবলিক সার্ভিসে ডাক্তার, নার্সের শর্টেজের দায়ভার কিন্তু মাইগ্রেন্ট এর না, সরকারের ।
এই দেশের অর্থনীতি এবং অনেক পাব্লিক এবং প্রাইভেট সেকটর সচল রাখার জন্য ( হাসপাতাল, বিল্ডিং কন্সট্রাকশন, রিসার্চ, কৃষি, হসপিটালিটি ) মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার দরকার । শ্রমিকের ফ্রি মুভমেন্ট এই বিষয়টাকে সচল রাখে । হুট করে ভিসা সিস্টেম চালু করাটা আসলে এতো সহজ না ।
*** আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, ব্রেক্সিট হলেও কিন্তু মাইগ্রেন্ট ফ্লো বন্ধ হচ্ছে না । ইউকে যদি সিংগেল মার্কেটে ব্যবসা করতে চায় তাহলে যেই £১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড এখন করে তখনো মিনিমাম সেই কন্ট্রিবিউশন করতেই হবে এবং মাইগ্রেন্টদের ফ্রি মুভমেন্টেও অ্যাগ্রী করেই ট্রেড করতে হবে । কিন্তু মাঝখান থেকে ২/৩ বছরের অনিশ্চয়তায় ( যে সময়টা লাগবে ট্রেড ডিল ঠিক করতে ) পুরো অর্থনীতি বাঁশ মারা খেয়ে যাবার একটা উজ্জ্বল সম্ভবনা আছে ।
সুত্র :
http://www.worldstopexports.com/united-kingdoms-top-import-partners/
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
==========
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
"পরদাদা জমিদার ছিল" এই রোগে ভোগা লোকজন কারো সাথে মিলে চলতে পারেনা। ব্রিটিশদের বর্তমান অবস্থা অনেকটা তাই। একসময় দুনিয়া শাসন করতো এই ব্যাপারটা যত তাড়াতাড়ি ভুলতে পারা যাবে, ততই মঙ্গল। সেই দিন আর নাই। ইউরোপ ছেড়ে একাকি ব্রিটেনকে কেউ নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম থেকে বেশী পাত্তা দিবেনা। তার উপরে আগামি ১০ বছর বছর পরে স্কটল্যান্ডও আলাদা হযে যাবে।
ব্রিটেনের প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ যে অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশে আছে সেটা খুব কমই আলোচনাতে আসে।
আমি অবশ্য ব্যাক্তিগত ভাবে চাই ইউকে আলাদা হোক কারন তাদের একটা ভালো শিক্ষা দরকার।
“ লেটস টেক আওয়ার গ্লোরিয়াস কান্ট্রি ব্যাক “, এই হলো ব্রেক্সিটের স্লোগান । একটা বিশাল ধাক্কা না খেলে আসলে এদের ইম্পেরিয়াল হ্যাং ওভার কাটার সম্ভবনা কম ।
আসলেই মনে হয় এদের একটা শিক্ষা দরকার । তবে ভয়টা হলো ইউকের মত একটা বড় অর্থনীতি ধাক্কা খেলে সেইটার রেশে পুরা দুনিয়ার অর্থনীতিতে বাজে প্রভাব পড়বে । আর পকেটে পয়সা আর অভাব থাকলে এই ইমিগ্রেন্ট বিরোধী সেন্টিমেন্ট এবং উগ্রবাদ আরো বাড়বে । রিসেশন থেকে কাটায়ে উঠে মাত্র সোজা হয়ে দাড়াইছে । এর মাঝে আরেক ধাক্কা লাগলে সেইটা কাটাইতে আরো কয় বছর লাগে কে যানে । পাগলের উপর রাগ করে মাটিতে তো ভাত খাইতে পারি না । তাই আপ্রান চেষ্টা করতেছে এদের সেন্সে আনার ।
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
ব্রেক্সিট দেখে যদি কাল নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স আর সুইডেনও বেরিয়ে যেতে চায়, তাহলে কি হবে? ইতিমধ্যে এই দেশগুলোতে রাজনীতিবিদেরা সাড়া তুলছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
যা হবার হয়েই গিয়েছে। এখন দেখা যাক, এই 'স্বাধীনতা' নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন কতটা গ্রেট হয়।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
ইয়ামেন ভাই, অন্তত দুই বছর এদের অর্থনীতি মাটিতে গড়াবে। এই সময়টা যদি ঠিক মত পার করতে পারে এবং ইউরোপিয়ান যারা এখন বৃটেনে রয়েছে, তাদের দেশে ফিরে যেতে না হয় এরকম একটা আইন করতে পারে, তবেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আর যদি সেগুলো না হয়, তাহলে হয়তো পৃথিবীকে নিয়ে এরা আরেকটা রিসেশনে ঝাঁপ দিবে।
গত তিন দিনে যতগুলো ভয়াবহ বাস্তব সমস্যার কথা জানলাম, এর একটাও রিমেইন ক্যাম্পেইন থেকে প্রচার করে নি। এরা হয়তো ধরেই নিয়েছিল রিমেইন জিতে যাবে। যাইহোক, বিস্তারিত নিয়ে সামনে আরেকটা পোস্ট দিব আগামী সপ্তাহে।
টুইটার
ইউকেতে জিনিসপাতির দাম নিয়ে একটা পূর্বাভাস দিয়েছে বিবিসি।
হিমু ভাই, সামগ্রিক ভাবে বৃটেনের অবস্থা খুবই খারাপ। শুধু দামই বাড়ছে না, ধারণা করা হচ্ছে জমির দাপ ৮ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে যাবে। আজকে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে বৃটেনের সবচেয়ে বড় তিনটা ব্যঙ্কের দুইটার (বার্কলেস এবং রয়েল ব্যঙ্ক অব স্কটল্যান্ড) শেয়ার এতই পড়ে গিয়েছিল যে সাময়িক ভাবে বিক্রি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ যে বিষয়টা চোখে পড়ছে, তা হলো বর্ণবাদী আচরণ। রাস্তা-ঘাটে ইস্ট ইউরোপিয়ানদের সরাসরি বর্নবাদী কমেন্ট করা হচ্ছে। নিয়মিত বিবিসি পড়ছি এবং তাদের লিঙ্কগুলো সংরক্ষণ করছি। আরো কিছুদিন যাক, আগামী উইকএন্ডে বসে ব্রেক্সিট পরবতর্ী অবস্থা নিয়ে একটা লেখা দিব।
টুইটার
ভোটাভুটি তো শেষ, ফলাফলও ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছেন নিশ্চয়। তবে এই পরিসংখ্যানটা দেখে আবার নতুন করে বুঝলাম, তরুণরাই আসলে এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ।
একমত। ফেইসবুক বা ব্লগে কাউকে এই বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করতে শুনি নি। অথচ আশার আলো বলতে আমি এটাই দেখেছি এবারের রেফারেন্ডামটায়। আপনিই প্রথম যিনি বিষয়টা তুলে আনলেন।
টুইটার
এই বিষয়টা নিয়ে অনেক ধোয়াশা ছিল, এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারলাম । ধন্যবাদ লেখককে ।
আপনাকেও ধন্যবাদ। আগামী রোববার আরেকটা লেখা দেয়ার ইচ্ছে আছে। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
টুইটার
আইএমএফ, আইএফএস ( লিস্ট দিলে সচলে আলাদা পোস্ট দেয়া লাগবে ) থেকে শুরু করে সবাই ওয়ার্নিং দিয়েছে ব্রেক্সিট হলে অর্থনীতি কলাপস করবে । দুনিয়ার কোন ক্রেডিবল অর্থনীতিবিদকে আমি শুনি নাই এই ডিভোর্সের পক্ষে সমর্থন দিতে ।
অফেন্ডিং মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত, কিন্তু আপনারা আসলে কি কোমায় ছিলেন যে এখন দাবী করতেছেন যে এই ওয়ার্নিং গুলা শুনেন নাই । দুনিয়ার ক্রেডিবল সব লোক এই ওয়ার্নিং দিয়ে গেছে অথচ ব্রেক্সিটের পক্ষের কিছু উগ্র জাতীয়তাবাদী আর বর্ণবাদী লোক তাদের মিথ্যাবাদী, প্রপাগান্ডা বলে উড়ায়ে দিছে । আর ব্রেক্সিটের পক্ষের লোকজন লোকজন তাদের কথায় বিশ্বাস করে গেছে । আপনিও আপনার উপরের মন্তব্যে বলেছেন আপনি বিশ্বাস করেন না ইইকের অর্থনীতি ধ্বসে পড়বে না । ইউকের রাজনৈতিক দলের মধ্যে সেই গৃহযুদ্ধ শুরু হইছে তা আগামী ২/৩ মাসে শেষ হবে না । সুতরাং অর্থনীতি এই ২/৩ মাসে স্টেবল হবার কোন কারন নাই ।
গত ২/৩ দিনে যেভাবে রেসিস্ট ঘটনা শুরু হয়েছে তাতে আপনি কি করে ভাবেন যে পলিটিকেল পার্টিগুলা ইলেকশনে এমন কোন প্রমিস করবে । ব্রেক্সিট উগ্র জাতীয়তাবাদীতার যেই জোয়ার শুরু করেছে তাতে যেই পলিটিকেল পার্টিই ইমিগ্রেন্টদের পক্ষে কথা বলবে তারাই ভোট হারাবে ।
ব্রেক্সিট ইইউ আর ব্রিটেইনকে মুখোমুখি দাড়ায়ে করায়ে দিছে । ইইউ এর বাইরে ব্রিটেইন সাকসেসফুল হইলে ইইউ এর অন্যান্য মেম্বার স্টেট ( ডেনমার্ক, সুইডেন ) বের হয়ে যাবার জন্য উৎসাহিত হতে পারে । সুতরাং ইইউ ব্রিটেইনকে কোন ফেভারেবল ডিল দিবে না বিষয়টা রেফারেন্ডামের আগ থেকেই দিনের মত পরিষ্কার ছিল । উগ্র জাতীয়তাবাদী, বর্নবাদীর কাছে এই গুলার কোন গুরুত্ব নাই । নিজে না খাইয়া থাকলেও ইমিগ্রেন্ট দুর হইছে, ইইউ এর কালো ছায়া থেকে মুক্তি পাইছে এই সুখে বিয়ার খাইয়া নিজের মুতে মধ্যে ঘুমায়ে থাকতে তার কোন আপত্তি নাই থাকতে পারে । কিন্তু এশিয়ান কমিউনিটি ( অ্যাট লিস্ট শিক্ষিতরা ) যারা বিভিন্ন আশায় ব্রেক্সিটে ভোট দিছিল তারা কি সান্তনা নিয়ে রাইত গুজার করবে সেটাই ভাবি !!
আপনার মন্তব্যের এই জায়গাটাই আসলে আপনার যুক্তির দৈন্যতা বলে দেয় । নাইজেল ফারাজ আমার দেখা একমাত্র রাজনীতিবিদ জীবনে যাকে আমি কোন ক্রেডিবল সুস্থ কথা বলতে শুনি নাই । উদাহরন দিতে পারবেন বলে মনে হয় না । অথচ ব্রেক্সিটের মত একটা উগ্রজাতীয়তাবাদী, বর্ণবাদী ক্যাম্পেইনে আপনি ধরে নিলেন ফারাজ ব্রিটেইনের ভালোর কথা বলবে । সুস্থ কোন বাঙ্গালীর স্লোগান যখন জামাতি নেতার সাথে মিলে যায় ( তা জামাত বাংলাদেশের উন্নতির কথা বললেও ) তখন তার যেমন ঠান্ডা মাথায় বসে ১০ মিনিট ভাবা উচিৎ তেমনি আপনার স্লোগান, যুক্তি যখন ফারাজের মত বর্ণবাদী লোকের সাথে মিলে গিয়েছিল তখন আপনার উচিৎ ছিল বসে ১০ মিনিট ঠান্ডা মাথায় ভাবা ।
আর বর্ণবাদীতার যে জোয়ার শুরু হবে সেটা বুঝতে হাউইকর হইতে হয় না । সচলের আমার লেখাটাতেই আভাস দিছিলাম । ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেয়া ১৭ মিলিয়ন লোকের একটা বড় অংশ অ্যান্টি ইমিগ্রেন্ট সেন্টিমেন্ট থেকে ভোট দিছে । ইইউকের এমন এমন জায়গার লোক ( পশ্চিম এবং উত্তর ওয়েলস ) অ্যান্টি ইমিগ্রেন্ট সেন্টিমেন্ট থেকে ভোট দিছে যারা জীবনে ইমিগ্রেন্ট দেখছে কিনা সন্দেহ আছে । নাইজেরল ফারাজের পার্টির সমর্থক ব্রিটেইনে ৪ মিলিয়ন । দেশের পপুলেশনের ৮% । এরা কেউ মৃতভাষী ভদ্রলোক না । ৫২% লোক ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়ে প্রকারান্তরে তাদের ইমিগ্রেন্ট হেটিং সেন্টিমেন্টকেই জায়েজ করে দিছে । এখন তাই তারা রাস্তাঘাটে বের হয়ে ইয়োরোপীয়ান, এশিয়ান নির্বিচারে সবাইরে গালিগালাজ করতেছে । বর্ণবাদীতা আর ঘৃনার যেই প্যানডোরার বক্স খুলে দিছে এই ক্যাম্পেইন তা সহজে বন্ধ হবার চান্স কম ।
এখন তো হাত কামড়ান ছাড়া উপায় নাই । এইটা দেখেন ঃ [url= https://www.youtube.com/watch?v=d8NdQrGljHM]জন অলিভার পোস্ট ব্রেক্সিট [/url]
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
https://youtu.be/37iHSwA1SwE
ব্রেক্সিট নিয়ে পৌণে দুই মিনিটের এই ভিডিওর চেয়ে ভালো ব্যাখ্যা আর দেয়া সম্ভব না।
বাই দ্য ওয়ে, ব্রেক্সিটের সঙ্গে মুড়ি খাওয়ার একটা সম্পর্ক থাকলেও রুটি খাওয়ার কি কোনো গোপন সম্পর্ক আছে? নিচে দেখি ফেসবুকের প্লাগইনে এসএন রুটি মেকার তাদের এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্রেক্সিট নিয়ে পৌণে দুই মিনিটের এই ভিডিওর চেয়ে ভালো ব্যাখ্যা আর দেয়া সম্ভব না।
বাই দ্য ওয়ে, ব্রেক্সিটের সঙ্গে মুড়ি খাওয়ার একটা সম্পর্ক থাকলেও রুটি খাওয়ার কি কোনো গোপন সম্পর্ক আছে? নিচে দেখি ফেসবুকের প্লাগইনে এসএন রুটি মেকার তাদের এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
গত কয়েক মাস লাগাতার ভাবে সব মিডিয়া ব্রিক্সিটের ফলাফল পরিসংখ্যান সহ লিখে আসছে, তারপরেও হুস না ফিরলে তো কিছু করার নেই। এখন আটকে উঠে লাভ কি, রোগী তো ডেড।
ব্রিটেন আসলে ২য় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা খুব বেশী ভোগ করেনি, ফলে ইউরোপিয়ান মেইনল্যান্ডের একত্রে থাকার প্রয়োজনীয়তা তাদের কখনো বুঝার কথা নয়। ইউরোপের হাজার বছরের ইতিহাসে গত ৭০ বছরই মোটামুটি শন্তিপুর্ন ছিল। ফরাজ আর বরিষদের চুলকানি শুরু হয়েছে, এখন কতদিন থাকে এই অবস্থা সেটাই দেখার বিষয়। তবে মেইন কালপ্রিট হল ক্যামারুন, ইলেকশনে জেতার লোভে সেধে সেধে রেফারেন্ডাম ঘোষণা করে এখন পুটু নিয়ে টানাটানি ...
নতুন মন্তব্য করুন