আজ রাতে শীত আসলেই বেশি পড়েছে, সামান্য এই চাদরে কিছুতেই মানতে চাইছে না। শীতে খাটের উপর রেবেকা কেমন গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে, দেখে মায়াই লাগে। আহারে মেয়েটা কত রাত না জানি, না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। কম্বলটাও পুরান, পাতলা। রেবেকার শীত মানছে বলে মনে হয় না, কিন্তু শালা কিছুই করার নেই। বিয়ের পর মেজ ভাই যে নতুন কম্বলটা পাঠিয়েছিলেন করাচী থেকে বেশ ওম হত ওটাতে। কিন্তু সোলাইমানের বাচ্চা সব নিয়ে গেল। শখ করে বানানো সেগুন কাঠের টেবিল টা, বাবার আমলের সেই লোহার আলমারী , ঘরে থাকা মাত্র তোলা বেতনের টাকাটা, সব নিয়ে গেল। এমনকি নিয়ে গেল রেবেকাকে।
ভাইয়া বলেছিল কম্বলটা মারীতে শীতের সময় বেড়াতে গিয়ে কেনা, হবেও বা। গায়ে দিলেই কেমন যেন একটা আরাম লাগত। কত স্মৃতি ছিল কম্বলটাকে ঘিরে। আমাদের বিয়ে হয়েছিল ডিসেম্বরের শেষে, প্রচন্ড শীত তখন। প্রথম প্রথম কত উত্তেজনাই না ছিল কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি এই কম্বলের তলে। কিন্তু এখন? নাকি সাত বছর হয়ে গেল বলে সময়ের সাথে ভালবাসাও ঝিমিয়ে পড়েছে। তা আবার কি করে হয়? নাইলে সোলায়মানকে গুলি করার সময় আমার হাত কাঁপত, এত পাহারার মধ্যে ঐ বাড়ীতে ঢুকতে আমার বুক কাঁপত।
রাতের বেলা সিগ্রেট টানতে একটা অন্য রকম মজা আছে । ধোয়ার সাথে সাথে মনে হয় মাথার সব চিন্তা হালকা হয়ে যায়। আজকে রাতে অনেক সিগ্রেটের দরকার ছিল, মাথাটা হালকা করার দরকার ছিল। কিন্তু আছে মাত্র তিনটা। এও বা কম কি, এই অকালের মাঝে একটা সিগ্রেট বা কয়জনের আছে, তাও বিদেশি সিগ্রেট।
আমি জানি এই ভাঙ্গাচোরা সময়ে, এই শহরে আমাকে নিয়ে অনেক গল্প। যার কিছুটা সত্য বেশিটা কল্পনা। তবে সবটাই আমার সাহসের গল্প। তবু কেন জানি মনে হয় সবাই হাসছে আড়ালে আবডালে, আমাকে নিয়ে, রেবেকা কে নিয়ে। আমার গল্প গুলো ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছে রেবেকাকে ধরে নিয়ে যাবার গল্প, ওর হারান সময়ের গল্প, আমার রেবেকাকে ফিরে পাবার গল্প কিংবা আমাদের আবার একসাথে থাকার গল্প।
সত্য কিংবা মিথ্যা এই শহরে গল্পের কখনো অভাব হয়নি, না যুদ্ধের আগে, না যুদ্ধের পরে। আমাদেরও কি গল্পের অভাব পরেছিল? কতশত গল্প। আজকের গল্প কালকের গল্প কিংবা আগামী বছরের গল্প অথবা অনাগত সন্তানের গল্প। কি হবে তার নাম, কার ন্যাওটা হবে সে? এরকম কতই না গল্প। কিন্তু গল্প ছেড়ে বাস্তবের পৃথিবীতে নেমে আসেনি সে সন্তান। রাতের পর রাত আমরা আমাদের ব্যর্থতায় দুমড়ে গেছি মুচড়ে গেছি। চারিদিকের সন্তানহীনতার সন্দেহের তীর আমাদের বিদ্ধ করেছে, তবু আমাদের ভালবাসা আমাদের গল্প কে আগলে রেখেছি্ল, আমাদের স্ব্প্ন কে আকড়ে রেখেছিল।
ঠিক সেই সময় আমাদের ঝিমিয়ে আসা স্বপ্নের সমান্তরালে চারিদিকে জেগে উঠছিল আরেক নতুন স্বপ্ন। তার রেশ আমাদের এই ছোট শহরেও এসে লেগেছিল। চায়ের কাপ থেকে রাস্তার মিছিলে কিংবা শহরের একমাত্র কলেজে সবখানেই স্বপ্নবাজরা নতুন দিনের কথা নতুন দেশের কথা বলত। কিন্তু হঠাত একদিন সব পালটে গেল। শহরে নতুন আসা জলপাই রঙের ট্রাকের সাথে সাথে স্বপ্নবাজরা কেও মারা গেল কেওবা পালিয়ে গেল সাথে নিয়ে গেল স্বপ্নটা কে। কিন্তু আমরা আমাদের স্বপ্নটাকে আকড়ে রয়ে গেলাম এই মৃতপ্রায় শহরে।
আমরা রয়ে গেলাম কিন্তু পালটে গেল আমাদের পরিচিত শহর বদলে গেল আমাদের পরিচিত মানুষ গুলো। বাবার অতিপ্রিয় ছাত্র রহমানিয়া লাইব্রেরীর মালিক সোলায়মানের মাথায় রাতারাতি কিস্তি টুপি উঠে আসল। তার বাসার সামনে হাসি মুখে অনুগ্রহ প্রার্থীরা নতুন ভীড় তৈ্রি করল। কিন্তু বাজার কাপিয়ে ঠা ঠা করে হাসা বিজন কাকার হাসি হঠাৎ হারিয়ে গেল। প্রশ্ন করলেই বলত- ঘোর কলিকাল রে বাবা, ঘোর কলিকাল।
এতকিছুর পরেও আমরা আমাদের স্বপ্নকে আকড়ে ধরে রেখেছিলাম। কারফিউ মাখা রাতের শুনশান নীরবতার মাঝে আমারা ভাবতাম, আমাদের মাঝে আগামীতে এমন কেও হয়ত আসবে যে কিনা শত কারফিউ এর মাঝেও তার কান্নার স্বরে তার উপস্থিতি জানান দিবে।
কিন্তু হঠাৎ একদিন আমাদের বাসার সামনে সোলায়মানের কিস্তি টুপি দেখা দিল। আমার বুকশেলফের বই গুলো ধোয়ার সাথে আকাশে মিলিয়ে গেল, সাথে হারিয়ে গেল সেগুন কাঠের টেবিল টা কিংবা বাবার আমলের সেই লোহার আলমারী। আর আরো হারাল রেবেকা, জলপাই খাঁচার ভিতর। আমি তখন কিছুই করতে পারিনি কারন বিজন কাকার ভাষায়- ঘোর কলিকাল, চারিদিকে ঘোর কলিকাল।
স্বপ্ন হারান আমি নিজেকে হঠাৎ কয়েকদিন পর আবিষ্কার করি অন্য দেশে আমাদের শহরের পালাতক স্বপ্নবাজদের মাঝে। এইখানে কান পাতলেই খালি শুনা যায় লেফট রাইট, লেফট আর মাঝে চিৎকার- জোয়ান হুশিয়ার, কাধে অস্ত্র। আমিও মিশে যাই এই স্বপ্নবাজদের সাথে কিন্তু আমার স্বপ্ন থাকে ভিন্ন, রেবেকা কে ফিরে পাবার স্বপ্ন।
সেই সময়ের কতশত গল্প কতশত কথা আর কত দুঃসাহস। কিন্তু সব কিছুর পরেও আমার চোখে খালি ভাসে রেবাকা কে ফিরে পাবার দৃশ্য। নভেম্বরের এক শেষ রাতে দরজা ভেঙ্গে যখন আমরা ভিতরে ঢুকলাম তখন বেচারী হয়ত ভিতরের আর বাকি সবার মত ভেবেছিল সেই রোজকার মত আজো কাওকে নেওয়া হবে তারপর কয়েক ঘন্টা পর নিস্তেজ ভাবে হয়ত ফিরিয়েও দেওয়া হবে। তাই বাকি সবাই যখন আমাদের দেখে লজ্জায় নিজেকে লুকাতে ব্যস্ত তখনো রেবেকা অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল কিন্তু কেন ওভাবে তাকিয়ে ছিল তা আর কখন জিজ্ঞেস করা হয় নি।
আসলে জিজ্ঞেস করা হয়ে উঠে নি। চারিদিকে তখন অনেক ব্যস্ততা, ঝড়ের বেগে তখন আমরা সামনে এগিয়ে চলছি আর তাই পরের কোন এক অলস সময়ের জন্য রেখে দিয়েছিলাম সেই প্রশ্ন। কিন্তু যেমন হঠাৎ করেই শুরু হয়েছিল ঠিক তেমনি হঠাৎ করেই শীতের এক বিকেল বেলা শেষ হয়ে গেল ব্যাপারটা। আর তাই স্বপ্নবাজরা তাদের দেশ ফেরত পেল, আমি পেলাম রেবেকা কে। কিন্তু রূপকথার গল্পের মত দৈত্যের মৃত্যুর পরেও শেষ হল না আমাদের গল্প।
শীতের প্রায় শেষ তখন, চারিদিকে সব ঠান্ডা হয়ে আসছে। আবার গল্প জমে উঠছে বাজারের চায়ের দোকানের সামনে। ঠিক সেই সময় কোন এক বিকেল বেলা বমির শব্দে রেবেকা জানান দিল নতুন এক খবর এর, আচমকা। হতভম্ব আমি তাকিয়ে থাকি রেবেকার দিকে আর বিজয়ের হাসি দিয়ে চাচী চিৎকার করে বলেন- আগেই কইছিলাম তোরে। নিস না, এমন মাইয়ারে ঘরে নিস না। বংশের মান ইজ্জত আর কিছুই থাকল না, পোড়া কপাল তোর। সেই সময় আমার দিকে তাকিয়ে এক দূর্বল হাসি দিল রেবেকা , বিস্মিত আমার জিজ্ঞেস করা হয় নি সেই হাসির কারণ। ঠিক একি ভাবে জিজ্ঞেস করা হয় নি অন্যদের হাসির কারণ, আমাকে দেখে বাজারের দোকানে গল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ।
কিন্তু আমার গল্প বা রেবেকার গল্প অথবা আমাদের নিয়ে গল্প আমার চারপাশে ক্রমশ এক দেওয়াল তুলতে শুরু করল। চারপাশের হাসির দেয়াল যেন বলতে চাইল- হয় নায় তোমারে দিয়ে সাত বছরে কিছুই হয় নায়। আমি যতই প্রতিবাদ করতে চাই ততই যেন এই দেয়াল বলে উঠে- তোমারে দিয়ে না হইলেও কিন্তু জানোয়ার গুলারে দিয়ে ঠিকি হইছে।
রাতের পর রাত আমি র্নিঘুম জেগে থাকি বিছানায় আর মাথার ভিতরে যেন ঘুরতে থাকে সারাদিনের হাসি গুলো। কিন্তু আমার পাশেই ঘুমিয়ে থাকে শ্রান্ত রেবেকা। আর আমার মাথার ভিতর ঘুরতে থাকে আমাদের পুরান সময়ের সব গল্প, আমাদের অনাগত সন্তানের জন্য গল্প, আমাদের ভালবাসার গল্প। রেবেকা সেই সব স্বপ্নের খুব কাছাকাছি কিন্তু আমি বুঝতে পারি সেই স্বপ্নে আমার কোন ভাগ নেই দায় নেই। বুকের ভিতর টা কেন জানি জ্বলতে থাকে অবিরাম রাতের পর রাত।
শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকা রেবেকার শরীরের স্ফীত অংশ যেন জানান দেয় ভালবাসার আরেক অংশীদারের কথা। মাথার ভিতর ঘুরতে থাকা হাসি গুলো যেন জানান দেয় এই অংশীদারের জন্ম তোমার শরীর থেকে নয় বরং ভীনদেশি কোন শরীর থেকে। কিন্তু আরেকটা কে যেন জানান দেয় এই তো রেবেকা ঘুমিয়ে থাকা সেই শান্ত পুরান রেবেকা। আর তাই প্রতি রাতের মত মাথার ভিতর সব গুলিয়ে যায়।
হাতের শেষ হয়ে আসা আগুন জানান দেয় এইটাই শেষ সিগ্রেট কিন্তু শেষ হয় না মাথার ভিতর চিন্তা গুলো। ধোয়া গুলো ক্রমশ উড়ে যেতে থাকে সাথে আমি তাকিয়ে থাকি রেবেকার দিকে। রেবেকার হাল্কা শ্বাসের শব্দও যেন আমি টের পাই আর টের পাই আমার হাতের কাঁপন কিন্তু কে যেন মাথার ভিতর জানান দেয় সেই হাসির কথা। আর এলোমেলো হয়ে যায় বুকের ভিতর সব পরিকল্পনা। তবুও বা হাতে সিগ্রেট টাতে শেষ টান দিয়ে কাঁপতে থাকা ডান হাতে ধরা বালিশ হাতে শান্ত ভাবে ঘুমিয়ে থাকা রেবেকার দিকে তাকাই কারণ ব্যাপার টা শেষ করতে হবে, আজি।
মন্তব্য
নাহ্, পোলাটা বড়োই ভালো লেখে! খুবই চমৎকার গল্প। সত্যিই খুব ভাল্লাগসে। চালায়া যাও।
যদি কিছু মনে না করো, লেখায় বানান আর যতিচিহ্নে অনেক ভুল চোখে পড়লো। এখন তো সম্পাদনা করতে পারবা নিজেই। করে ফেলো।
চারুকলায় এত ব্যস্ততা থাকার পরেও টাইম লস করে গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আর আমার বানান নিয়ে আমিই সব সময় ব্যস্ত থাকি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আরে কী যে কও না! আমার তো কোন ব্যস্ততাই নাই।
আর, আমি তো জানতাম তুমি কচিকাঁচা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকো
ভয় পাইছেন তাইলে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ভয়! সে কী জিনিস!
আর তোমার মতো এত্তো চিকনা একটা মানুষকে ভয় পাইলে চলে নাকি?
অফ টপিক: তোমার ইয়াহুতে একটা মেইল দিসি। সচলে মেসেজ পাঠানো গেল না কেন যেন।
- গুণীজনে বলে ছয় বছরের পর যে সকল সম্প্র টিকে যায় সেগুলোতে আসলেই ভালোবাসা নামক সিস্টেম লস বিদ্যমান। তবে সেটা সংখ্যায় খুবই নগণ্য আর বেশিরভাগ বৈবাহিক সম্পর্ক গুলোই হলো টাইম কিলিং।
গল্প ভাল্লাগছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিন্তু তারপরেও আমরা সবাই সিস্টেম লস নামক বস্তু টা তে পরতে চাই গুরু
আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
সিস্টেম লসে পড়ার জন্য তোমার আকুতি দেখে মনটা কষ্টে ভরে গেল
নিজে তো আগেই সিস্টেম লসের শিকার তাইলে আমাকে নিয়ে টানাটানি কেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ও, তারমানে কি তুমি সিস্টেম লসে পড়তে চাও না?!
ঐটাও তো বলি নাই
আফটপিকঃ আপনার চার শ্যালিকার একজন কিন্তু আবার আমার পরিচিত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
- বিডিআর একহালি শ্যালিকা নিয়া ঘুরে নাকি?
কত অজানারে মোতাব্বির!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খালি একহালি হইলে হইত গো গুরু কিন্তু এরা পুরা সুন্দরী আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি কিন্তু
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এই ছেলেটার আবার মাইর খাওয়ার শখ হইসে!
মাইর দেন আর যাই দেন মনে রাইখেন আমি হইলেই হতে পারি আপনার.........
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ডাবল মাইর!
মাইর দেন আর যাই দেন মনে রাইখেন আমি হইলেও হইতে পারি আপনার.........
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নাহ, স্যার আসলে বস মানুষ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গল্পটা ভাল্লাগছে। দুইবার পড়লাম।
=============================
পড়ার জন্য ধন্যবাদ সুখী মানুষ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আসলেই থাকে তো?
=============================
কি থাকে?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চমৎকার গল্প।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল আপু
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ভাল লাগল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
খুবই চমৎকার একটা গল্প, নিবিড়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ শিমুলাপু
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বাহ! দারুন গল্প আপনার! সহজেই বসে গেলো মনের ভেতরে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা আপনার কথায় লজ্জা পেলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
উত্তমপুরুষে লেখা খুব কম লেখাই ভাল্লাগে। এটা লাগলো। পাঁচতারা দিলাম। লিখুন আরো প্লিজ ।
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
আমি আসলে উত্তম পুরুষ ছাড়া কখন লিখি নি তাও আপনার ভাল লেগেছে জেনে আর লেখার জন্য অনুপ্রাণিত হলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অতি ভালো লেগেছে গল্প নিবিড়।
সত্যি বলতে কি
আপনার শেষ কটা লেখা পড়ে একবার ভাছিলাম বলি
আপনি সিরিয়াস গল্পও যেহেতু খুব ভালো লেখেন
সব লেখার পাশাপাশি গল্পটাও ছাড়বেন না।
চমতকার লাগলো। এরকম লিখুন আরো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মেহের আপু আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল।
আপনার উপদেশ টা মনে থাকবে আপু ।
আর আর ভাল কিছু লেখার চেষ্টা করব অবশ্যই।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
একজন সুপরিচিত বীরাঙ্গনার ৭১এ আসল ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক (নিশ্চয়ই অহেতুক) প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে আমি সমস্যার কারণ বুঝলাম না। হাসি তো হয় আনন্দের, বিশ্বাসের, কৃতজ্ঞতার, ভালোবাসার।
অবশ্য শিল্পকর্মকে যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করা অনুচিত। চমতকার গল্প।
আমি এইখানে বীরাঙ্গনার ভূমিকা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলি নি। বরং এক মুক্তিযোদ্ধার সমাজের চাপে পরাজয় দেখাতে চেয়েছি।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এটা তো ৭২ সালের ঘটনা; তখনো অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা মনোবল হারায় নি বলে আমার ধারণা ছিল। তাই খটকা লেগেছিল উত্তম পুরুষের অপ্রত্যাশিত আচরণে। তার কথাই বলেছি, বীরাঙ্গনার কথা নয় অবশ্যই।
আপনার উত্তর মনে হয় তানবীরা আপুকে দেওয়া আমার উত্তরে পেয়ে যাবেন। ভাল থাকবেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
গল্প ভাল লেগেছে।
বেশ কিছু অংশে রিপিটেশন চোখে পড়লো- মাঝের দুটি প্যারায় "গল্প" বা স্বপ্ন- এসবের বিশেষ করে। নিবিড় কি একটানা লিখে যাও নাকি যখন লিখো? সেরকম একটা ভাব আছে লেখায়। আবার রিপিটেশান দেখে মনে হলো উল্টো- হয়ত আলাদা আলাদা করে লেখা এ গল্পের অংশগুলো, লেখক নিজে পুরোটা একবারে পড়ে উঠবার সময় পায়নি।
যাই হোক, আমি একটা তারা কমিয়ে দিয়ে গেলাম। পরের বার যেন পাঁচটাই দিতে পারি, এই আশায়।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফু ভাই আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
আমি আসলে একটানে লিখে যাই তাই অনেক ভুল চোখে পড়ে না। তবে আপনি যে রিপিটিশনের কথা বলছিলেন তা অবশ্য ইচ্ছে করে করা। আমি লেখার সময় মুখে মুখে বলি আর লেখি, এই গল্পের ঐ অংশগুলো লেখার সময় শব্দগুলো ভাল লাগছিল কিন্তু এখন বুঝতে পারছি পড়ার সময় ততটা ভাল লাগছে না। রিভিশন না দেওয়ার ফল।
পাঁচ তারার দরকার নেই আপনি যে গল্পটা পড়ে ভাল বলেছেন সেইটাই অনেক বেশী। তবে পরের বার আশা করি ভুলগুলো শুধরে নিতে পারব। ভাল থাকবেন কনফু ভাই।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নিবিড়, দারুণ একখানা গল্প লিখেছো।
ধন্যবাদ পান্থ ভাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
পরিনত লেখা নিবিড় কিন্তু পরাজয় কেনো দেখাতে চেয়েছো?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পড়ার জন্য ধন্যবাদ তাতা আপু। গল্পের প্রধান চরিত্রটাকে খেয়াল করেন দেখবেন সে তার স্ত্রীকে একভাবে চেয়েছে কিন্তু তার ব্যতিক্রম সহ্য করতে পারে নি। তার এইক্ষেত্রে মানসিক দন্দ্বটাই আমি গল্পে উপজীব্য করতে চেয়েছি। আর এই ক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে এই চরিত্রের এই সময়ে পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই গল্পের এই পরিণতি।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ক্যাম্নে লিখলিরে এইটা?
এই গল্প অনেকক্ষণ আমার মাথায় ঘুরবো...
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হাত দিয়ে লিখছি দোস্ত
কোনকিছু নিয়ে বেশী চিন্তা করা ঠিক না তাইলে মাথা আওলায়া যাইতে পারে তাই পড়াশুনায় মন দাও......
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
একটা পূর্ণাঙ্গ গল্প।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ বাউল ভাই।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
উত্তমপুরুষে লেখা খুব কম লেখাই ভাল্লাগে। - s-s
তাই খটকা লেগেছিল উত্তম পুরুষের অপ্রত্যাশিত আচরণে - বজলুর রহমান
প্রথমেই বলে নিই নিবিড়, আপনার গল্পটা ভালো লেগেছে ।
আবার সেই সংশয়ের কথাও উঠে আসছিলো, এই গল্পটা কি নাম পুরুষে লেখা যেতো না ! চারপাশে, বিশেষত ব্লগ মাধ্যমগুলোতে উত্তম পুরুষে লেখা গল্প কাহিনীর বন্যা দেখে আশংকাই লাগে, এ কি আমদের গল্প বলে যাবার ক্ষীণ ক্ষমতার দায় ! না কি পরিশ্রমে ভয় !
তর্কের খাতিরে ভুরি ভুরি উদাহরণ নিয়ে আসা যাবে উত্তম পুরুষে লেখা মহত্ সাহিত্যকর্মগুলোর, জানি । আমাদের সাহিত্যে তো বটেই, বিশ্ব সাহিত্যেরও । কিন্তু উত্তম পুরুষে লেখা কথাসাহিত্যের সব চেয়ে বিপদের জায়গা মনে হয় এই, লেখকের আলস্যের সুযোগ নিয়ে বেয়াড়া লেখাগুলো গল্প না হয়ে কিচ্ছা হয়ে যায়
লেখাই বাহুল্য, আশারও কথা, আপনারটা সেই অর্থে তা হয় নি ।
ভালো থাকবেন ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুপান্থদা আপনাকে এইখানে দেখে ভাল লাগল।
আমি আসলে নিতান্তই একজন আনাড়ী লেখক যে কিনা শুধু মাত্র মনের আনন্দে লেখে যায় কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়া। আমি লেখতে বসলে কোন একটা কাহিনি মাথায় রেখে হাতে যা আসে এক বসায় লেখে যাই। আর এই ধাচের লেখার জন্য বোধহয় উওম পুরুষের থেকে আর কোন ভাল এবং সহজলোভ্য উপায় নেই। তবে আপনার কথা মনে থাকবে। চেষ্টা করব ভবিষ্যতে আমার এই দূর্বলতা কাটিয়ে অন্যরকম কিছু লেখার।
তারপরেও আপনার গল্প ভাল লেগেছে যেনে ভাল লাগল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নিবিড়, সুন্দর গল্পের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পৃথিবীটা খুব ছোট জায়গা তাই আমিও এখন জেনে গেছি।
ধরে ফেলছেন তাইলে খুজেন, ভাল করে খুজেন। তাইলে অন্তত দেড় হালি পরিচিত লোকজন পাবেন
পড়ার জন্য ধন্যবাদ মুয়ীদ ভাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নতুন মন্তব্য করুন