পুরাতন গল্পঃ শোন গো দখিনা হাওয়া...

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৫/২০০৯ - ১১:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

( অনেকদিন সচলে ঠিক কিছু লিখা হয় না কিন্তু সেই সাথে সময়ের বড় অভাব। এদিকে আবার এস্যাইমেন্টের কাজ করতে গিয়ে কম্পুর হার্ড ডিস্কে আমার লেখা পুরাতন একটা গল্প পেয়ে গেলাম। এইটা আমার সবচেয়ে দূর্বল লেখা গুলোর একটা কিন্তু কেন যেন এইটার প্রতি আমার দারুন মায়া। হয়ত পুরাতন কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় বলে। ভাবলাম থাকুক এই গল্প সচলায়তনে। তবে সাধু সাবধান পূর্ণ সচল হবার স্বাধীনতা এই গল্পে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এর সাহিত্য মান খুজতে চাওয়া বৃথা।)

সারাজীবন পড়ে এসেছি বালক বিদ্যালয়ে, তাই মেয়েদের সাথে গ্রুপে গল্প করতে গেলে তখন কিছুটা ভয় কিছুটা লজ্জা আর বেশির ভাগ সময় অস্বস্তিতে থাকি। আর এই সময় একদিন ঘটল এই ঘটনা। আমাদের সেইদিন ক্লাস নাই তাই আউল ফাউল ঘোরাঘুরি করে ফোন দিলাম আমার নতুন পরিচিত গ্রুপের একজনকে। সেই ব্যাটা বলে আমি তো ক্লাসে। তো তুই টিএসসির কোনায় দেখ, বাকিদের পাইলেও পাইতে পারিস।

টিএসসির কোনায় গিয়ে দেখি একী বিপদ। কেও নাই খালি গ্রুপের সবচেয়ে বেশি কথা বলা মেয়েটা একা একা বসে কি জানি করে। আমি ভাবলাম একা একা মেয়েদের সাথে গল্প করার থেকে পালান ভাল। তাই উলটা ঘুরে যেই মাত্র হাটা দিলাম ঠিক তখনি শুনি কে যেন পিছন থেকে ডাকে রাশেদ , এই রাশেদ , এদিকে আয়। আমি মনেমনে বলি আল্লাহ রক্ষা কর । আর শেষ পর্যন্ত কোন উপায় না দেখে কি আর করা ভেবে মেয়ের সামনে গিয়ে বসলাম।

ভাগ্যিস বসেছিলাম নাইলে আমার ভয়, লজ্জা আর অস্বস্তি কোন দিন কাটত কিনা সন্দেহ। প্রথমে কোন কথা আমি না খুজে পেলেও সমস্যা হল না কারন এই মেয়ে একাই দশজনের সমান কথা বলতে পারে। আস্তে আস্তে দেখি- আরে এই মেয়ে তো প্রচুর গল্পের বই পড়েছে। আর তখন আমার আর লাগে কি। আমিও আমার প্রিয় সাবজেক্টের গল্পে ডুবে গেলাম, সাথে মেয়েও।

যদিও গ্রুপের এই মেয়ের সাথে আমার কথা শুরু হয় সবার শেষে কিন্তু পরে দেখা গেল এর সাথেই আমার খাতির বেশি। আমরা খালি বইয়ের গল্প করি নানা ক্লাসিক সিনেমা দেখার জন্য কালচারাল সেন্টার গুলোতে ঘুরাঘুরি করি। এইভাবেই অন্যদের ভাষায় তথাকথিত আঁতেল ভাবেই আমাদের সময় কাটতে লাগিল। আঁতেল আঁতেল ভাবেই মেয়ে আমাকে বলে দেখ রাশেদ সাবধান তুই আবার আমার প্রেমে পরিস না। আমিও আঁতেল আঁতেল ভাবে উত্তর দিই- ছি, এই সব কি বলিস। আমাকে দেখলে কি এরকম মনে হয়। কিন্তু সর্বনাশ যা করার মেয়ে তা করে দিয়েছে পাগল কে সাঁকো নাড়ানোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।

পাগল কে সাঁকো নাড়ানোর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার ফলশ্রুতিতে সেই রাতেই আমার মনে হতে থাকল মেয়েটা আসলে কেমন? যতই ভাবি ততই মনে হয় খারাপ না বরং আমার জন্য পারফেক্ট। দুইজনেই আঁতেল। এই ভাবে দেখি মনের মাঝে সূক্ষ কিছু অনূভূতির দোলাচালের খেলা শুরু হল। আমার কাজকাম সব এই দোলাচালে প্যাঁচায়ে যেতে লাগল।

আগেই বলেছি লজ্জা আর অস্বস্তি কাটিয়ে কিভাবে কিভাবে যেন আমি বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে মেয়ের দিকে অনুভূতির সূক্ষ দোলাচালে ঝুলতে থাকলাম। এইভাবে দিন যায় সপ্তাহ যায় মাস যায়। আমার অনুভূতির দোলাচাল আর গাঢ ভাবে কোন একদিকে হেলে যায়। আমি মনে মনে বলি, ব্যাপার টা তো খারাপ না।

কিন্তু মেয়ে আমাকে কিছুদিন পরপর মনে করিয়ে দেয় সাবধান , তুই কিন্তু ভুলেও আমার প্রেমে পড়িস না। আমি বরাবরের মত বলি- ছিঃ, তোর কি আমাকে এই রকম মনে হয়। কিন্তু মনে মনে শয়তান বলে- দেখ ভেবে , ব্যাপার টা কিন্তু খারাপ না।

সময় প্রবাহমান। তাই আমরা বিকাল বেলা ফুচকা খাই, সন্ধ্যায় ক্লাসিক সিনেমা দেখার জন্য কালচারাল সেন্টার গুলোতে ঘুরাঘুরি করি আর দিনের বেলা দেশ ও জাতির জটিল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের দেখলে বাকিরা বলে তোদের জুটি ভাল মানিয়েছে। শুনে মেয়ে ক্ষেপে যায়, বলে- পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। আমি বলি- নাহ পোলাপাইনের মন মানসিকতা চেঞ্জ হইল না। কিন্তু মনে মনে বলি- ব্যাপার টো তো খারাপ না।

একদিন আড্ডায় সবার সাথে কথায় কথায় মেয়ে বলে আমার প্রেমিক হবে দারুন হ্যান্ডসাম। সবাই বলে প্রেমিক হবেকিরে, এখন তাইলে কি চলে? আমি তাড়াতাড়ি বলি- না না, আমরা শুধুই বন্ধু। আর সবার সামনে আমাদের বন্ধুত্ব প্রমান করার জন্য আমি হাটু সমান লম্বা শার্ট পড়ি, চুল গুলো আর আউলা ঝাউলা করে দিই, সবার সামনে আর বোকা বোকা কথা বলি। কিন্তু প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় ঠিক করি আর না এই লম্বা শার্ট, কালকে থেকেই আমি হ্যান্ডসাম হয়ে যাব।

কথায় আছে সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। আর তাই মেয়ের চারপাশে নতুন পাখিরা ভীড় করে, দারুন সব গল্প বলে। সে সব শুনে মেয়ে হেসে গড়িয়ে পরে আর পাশে বসে আমি হিংসায় চোখ ছোট করে সমাজ দর্শনের উপর কিনা নতুন বইয়ে ডুবে থাকার ভান করি।

পহেলা ফাল্গুনের টিএসসির ভিতরে অনুষ্ঠানে মেয়ে যখন বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে আসে তখন আমার একটা হার্টবীট মনে হয় মিস হয়। মনে মনে শয়তান বলে ব্যাপার টা কিন্তু খারাপ না। মেয়েকে বলি- তোকে দেখলে আজকে যে কোন ছেলের মাথা ঘুরায়ে যাবে। মেয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আমাকে বলে- কিরে আমার প্রেমে পড়লি নাতো আবার। আমি বলি- আরে না না, আমি অন্য ছেলেদের কথা বলছিলাম।

দিন যায় মাস যায় আমার অনুভূতির দোলাচাল আর একদিকে হেলে যায়। তাই মেয়ে কে একদিন রাতে ফোন দিই। ফোন ধরেই মেয়ে আমাকে ঝাড়ি মারে কিরে এত রাতে ফোন দিছিস কেন? আমি হঠাত ভয় পেয়ে বলি- না মানে কালকের পরীক্ষার সিলেবাস জানি কি? মেয়ে বলে এই তোর কি মাথা খারাপ হইছে নাকি। তোর আর আমার কি ডিপার্টমেন্টে এক? আমি বলি ও তাইতো, ভুল হয়ে গেছে। মেয়ে বলে কালকে পরীক্ষা আর রাত একটার সময় তুই মানুষের কাছ থেকে সিলেবাস জানতে চাস, তোর হইছে কি? আমি আর ভয় পেয়ে হঠাত ফোন রেখে দিই। মন থেকে কে যেন বলে শেষ, সব শেষ।

আর তাই পরের কয়েকদিন আমি ফোন বন্ধ রাখি, মেয়েকে এড়িয়ে চলি। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয় না। কলাভবনের সিড়িতে মেয়ে আমাকে একদিন পাকড়াও করে ফেলে। বলে ঐদিন যা হবার হইছে। তুই ভুইলা যা আমিও যাচ্ছি। আমিও খুশিতে বলি সরি দোস্ত আর এরকম হবে না। কিন্তু শয়তান মনে মনে বলে- হইলে কিন্তু ব্যাপার টা খারাপ হইত না।

এইভাবে কিভাবে যেন আস্তে আস্তে একটা বছর শেষ হয়ে আরেকটা বছরের মাঝামাঝি এসে গেল। এইসময় একদিন সকাল আটটার ক্লাস করছি সবচেয়ে ডেঞ্জারাস স্যারের। এর মাঝে দেখি মেয়ে বারবার ফোন দেয়। আমি স্যারের ভয়ে বারবার কেটে দিই। মেসেজ পাঠালাম দোস্ত আমি ক্লাসে। ফিরতি মেসেজ আসল প্লীজ একটু তাড়াতাড়ি টিএসসির সামনে আয়। আমি দাড়িয়ে স্যারকে বলি- স্যার, আমার এক বন্ধুর এক আত্মীয়ের জন্য রক্তের দরকার। আমার রক্ত দিতে যাওয়া খুবি জরুরী। স্যার বলে তাই নাকি বাবা? তাইলে যাও তাড়াতাড়ি যাও। আমি বলি জ্বী আচ্ছা স্যার। এক দৌড়ে পৌছে যাই টিএসসি।

গিয়ে দেখি মেয়ের চোখ ফোলা ফোলা। আমি বলি কিরে সারা রাত ঘুমাস নাই। মেয়ে বলে না একটা চিন্তায় সারারাত কেটে গেল। আমি বলি- হুম বুঝছি। তা এত সকালে ডাকাডাকি কেন? মেয়ে বলে- একটা কথা আছে। আমি বলি- বলে ফেল। মেয়ে বলে- কালকে রাতে ঠিক করলাম পরীক্ষার সিলেবাস জানার জন্য তোর আর ভয়ে ভয়ে ফোন করার দরকার নেই। আমি বলি তার মানে? মেয়ে বলে- মানে তোর আর লম্বা শার্ট পড়া চলবে না। আমি চোখ বড় বড় করে তাকাই। দেখে মেয়ে হঠাৎ হেসে উঠে। এইটা দেখে মনের ভিতর কে যেন গেয়ে উঠে শচীন দেব বর্মণের গান - শোন গো দখিনা হাওয়া প্রেমে পরেছি আমি।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

প্রথমে ভেবেছিলাম গল্পটা পড়বোনা, মনে মনে ভাবলাম পড়লে ক্ষতি কী? অর্ধেক পড়ে ভেবেছিলাম, থাক আর পড়িনা; শয়তান বলে পড়ে ফেল, পড়ে ফেল।

সুন্দর গল্প। সত্যি যদি হয়ে থাকে তো অভিনন্দন। প্রেম খুবই ভালো জিনিস, তবে একজনের প্রতি সীমাবদ্ধ রাখা দরকার। আমার বন্ধুদের অধিকাংশই এখনো ব্যাচেলরই রয়ে গেছে, অথচ আমার মেয়ের বয়স ৫এর বেশী। এহ হে, কী বলতে কী বলে ফেললাম।

নিবিড় এর ছবি

শয়তানের কুমন্ত্রনায় পরার জন্য ধন্যবাদ হাসি
মনে রাখতে হবে গল্প তো গল্পই দেঁতো হাসি
তবে সত্য মিথ্যা ব্যাপারটা আপেক্ষিক চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহুক্ষণ ধরে জিমেইলে অনেকগুলো বাংলা মেইল করতে হলো
আমার এই পিসিতে কী একটা ঝামেলায় জিমেইলে বাংলা লিখতে গেলে কুস্তি করতে হয়
তাই বরাবরই আমি সচলের কোনো পোস্ট খুলে কমেন্টের ঘরে মেইল লিখে গিয়ে কপি পেস্ট করি

অতক্ষণ ধরে শিরোনাম কিংবা গল্প কোনোটার দিকে না তাকিয়েই এই কমেন্টের ঘরে অনেকগুলো মেইল করে নিয়ে পেস্ট করে বন্ধ করতে গিয়ে উঁকি মেরে দেখি একটা পোলা আর একটা মাইয়া গড়াইতে গড়াইতে গর্তের দিকে যায়

আমি আর একটু আগাইয়া যাই; দেখি কী হয়

শেষমেশ একেবারে শেষ মাথায় এসে দেখি- নাহ
পোলা মাইয়া দুইটাই ডুবল এক্কেরে সুরসুর কইরা...

০২

একেবারে টানটান একটা গল্প

রেনেট [অতিথি] এর ছবি

কবে শেষে আবার আপনার ব্যক্তিগত মেইল সচলে প্রকাশ করে দেন...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জ্বি না
বুদ্ধি কম হলেও বেকুব না অত
এই কাম করি সচলে লগইন না করে যাতে ভুলে টিপ পড়ে গেলও পোস্ট না হয়ে যায়

নিবিড় এর ছবি

হুম... বুঝলাম। আগে রাতের দিকে ঢুকলেই আপনারে লগ ইন দেখতাম। এখন দেখি না তাইলে এই ব্যাপার। আর আজকালকার পোলাপাইনরা গর্তে পড়ার জন্য উদগ্রীব থাকে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আহা কে বলেছে পুরাতন গল্প ।
একেবারে চিরকালীন মিষ্টি প্রেমের গল্প।

নিবিড় এর ছবি

হুম...... বড়ই মিষ্টি হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রেনেট [অতিথি] এর ছবি

দারুণ লাগলো চলুক

তবে...বি ডি আর ভাইয়ের শালীরা যেন না দেখে...(নাকি একই ব্যক্তি?)

রেনেট এর ছবি

লগ ইন করে ৫ দাগিয়ে গেলাম
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নিবিড় এর ছবি

লগ ইন করার জন্য ধন্যবাদ (দেতোহাসি)
অফটপিকঃ আর আপনার অনুমানের ক্ষমতায় আমি সত্যই অভিভূত যেভাবে বিডিআর ভাইয়ের ভবিষ্যত শ্যালিকা নিয়ে অনুমান করে ফেললেন চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভালো লাগছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

নিবিড় এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রানা মেহের এর ছবি

দুষ্ট প্রেমের মিষ্টি গল্প দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নিবিড় এর ছবি

দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জয়বাবা প্রেমনাথ। কুবুদ্ধি দিলে কইতাম, বস, আমার পতাকাতল ছাইড়েন না। এই প্রেমট্রেম সবই মিছা মায়া, ভ্রান্ত ধারমা, সবই নিগার সুলতানা। আইজকা মরলে কাইল বাদে পরশু তিনদিন। কি হৈবো এইসব গাতাগুতায় পইড়া। তারচাইতে লন, আসেন, ধরেন, আমাগো গুরুপের ফরম ফিলাপ কইরা যোগদেন, তিন জাহানের অশেষ টাংকিবাজী টেকনিক হাসিল করেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নিবিড় এর ছবি

কি যে বলেন ধূগোদা, আপনার পতাকা ছাড়ার কোন ইচ্ছাই নাই অ্যাঁ দেখেন না পোষ্টে পোষ্টে শ্যালিকা খুজিয়া বেড়াই দেঁতো হাসি
আর ইহা তো নিছক একখানা গল্প মন খারাপ তাই বৃথাই কেন নিগার সুলতানার পিছনে ছুটাছুটি চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ভুতুম এর ছবি

কি কন দুর্বল গল্প? আমার তো বেশ লাগলো।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

নিবিড় এর ছবি

হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সবজান্তা এর ছবি

সিরাম গল্প !

পুনশ্চঃ এইটা কি জীবন থেকে নেওয়া সিরিজ চলছে না কি ?


অলমিতি বিস্তারেণ

নিবিড় এর ছবি

আপনারে সিরাম একটা ধন্যবাদ হাসি

পুনশ্চঃ কি যে বলেন এই অল্প বয়সেই যদি জীবন নিয়ে সিরিজ লেখা শুরু করি তাইলে পরে আর লিখব কি?


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুণ রোমান্টিক একটা গল্প। হাসি

তা নিবিড় সাহেব এই কাহিনী কত দিন ধইরা চলতাছে? আপনে তো ভাই খুব খ্রাপ। এইরম ঘটনা ঘটায়া আবার এর ওর কাছে শালীর খোঁজ করেন।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নিবিড় এর ছবি

গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি
নাশুদা খিয়াল কইরা হাসি আমি কিন্তু ধূগোদার পতাকা ছাড়ি নাই, তাই সাবধান।
অফটপিকঃ আমি কিন্তু একজনের কাছেই শ্যালিকার দাবী জানাইছিলাম চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ শ্যালিকা দস্যুর গল্প আসিতেছে শিঘ্রই দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

গল্প ভাল্লাগসে, তয় পেরেম পিরিতি বড়ই জুটিল মন খারাপ

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

নিবিড় এর ছবি

হুম কবি বলেছেন- প্রেম, পিরিতি আর ভালবাসা এই তিনই সর্বনাশা


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার শয়তান ভাগ্যকে আমি হিংসা করি। শয়তান সবার দিকে সুনজর দেয় না ক্যান?

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নিবিড় এর ছবি

আপনারেও আমি হিংসা করি কারণ আমার ট্রেনের জানালায় কিছুই দেখা যায় না মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মূলত পাঠক এর ছবি

আচ্ছা এই গল্প লেখার জন্য অত আমতা আমতা করার দরকারটা কী ছিলো? আমি ঐ মুখবন্ধ দেখে পাতা বন্ধ করে চলে গেছিলাম প্রথমে, তারপর পরে এসে পড়ে দেখি গল্প তো ভালোই মজার। ফূর্তি পেলাম পড়ে। আরো লিখুন।

নিবিড় এর ছবি

মুখবন্ধ দিলাম আসলে সবার মুখ বন্ধ করার জন্য দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দ্রোহী এর ছবি

মুখ তো বন্ধ হয়নি। উল্টে উশখুশ করছে খোলার জন্য। গল্পটা পড়ে কেন জানি মনে হচ্ছে এটা আপনার জীবন থেকে নেয়া।

দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

আরে লেখার ট্যাগ দেখেন, গল্প মন খারাপ আর মামলা প্রমাণ করার মত প্রয়োজনীয় দলিল-দস্তাবেজর বড়ই অভাব চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

খুব ন্যাচারাল গল্প! ভালো লাগলো হাসি

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মফিজুল হক [অতিথি] এর ছবি

খুব সুন্দর লিখছেন নিবিড় ভাই। পড়ে মজা পেলাম।

নিবিড় এর ছবি

মজা পেয়েছেন শুনে ভাল লাগল


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দ্রোহী এর ছবি

বাহ।

এই গল্পটা দিয়ে বেশ চমৎকার একটা প্যাকেজ নাটক করা যাবে। দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ কিন্তু শেষটা হইবো এট্টু টেরেজেটিক। মানে কাহিনীতে কিঞ্চিৎ টুইষ্ট ঢলা হৈবো আরকি! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

টুইষ্ট হইলেও লাভ নাই। ধু.গোর কপাল শিকে ছিঁড়বে না। রায়হান আবীররা যতদিন বেঁচে থাকবে ধু.গো ততোদিন অবিবাহিতই থেকে যাবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনের বামা আল ফাকিঙে কূয়া নাই মেম্বর? আব-ই-জমজম পানিতে আপনেরে কুলকুচা করাইতে হইবো। খালি অলক্ষুইন্যা কথা কন। এমনেই কপালের অবস্থা ব্যাড়াছ্যাড়া তার উপ্রে আপনে এমনে কইলে কিমুন লাগে কন! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নিবিড় এর ছবি

রায়হান আবীর খুব খ্রাপ পোলা দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

সুন্দর গল্প... স্বপ্নের মত...

মানুষতো তার স্বপ্নের সমানই বড়...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

নিবিড় এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ জিএমটি ভাই


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

পলাশ দত্ত এর ছবি

প্রথমে ভেবেছিলাম গল্পটা পড়বোনা, মনে মনে ভাবলাম পড়লে ক্ষতি কী? অর্ধেক পড়ে ভেবেছিলাম, থাক আর পড়িনা; শয়তান বলে পড়ে ফেল, পড়ে ফেল।

ভালো লাগছে। কিন্তু এটাকে গল্প বলে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। চোখ টিপি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নিবিড় এর ছবি

সত্য বড়ই নিষ্ঠুর পলাশ'দা চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সত্যি ঘটনা এইরকম গল্প ট্যাগ লাগাইয়া দেওয়া নাজায়েজ কার্য। চোখ টিপি
জীবন থেকে নেওয়া গঠনায় চ্রম আনন্দ পাইলাম। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিবিড় এর ছবি

আয়হায় এইসব কি বলেন ইয়ে, মানে... এইভাবে বললে তো শালী সন্ধানী মিশন ব্যর্থ হবে চোখ টিপি
অফটপিকঃ আপনারে ঘোল খাওয়াইতে পেরে দারুন লাগছে দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

জ্বি
তয় গরমের দিন। ঘোলের শরবতে দুই টুকরা বরফ ফালাইয়া দিয়েন। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নিবিড়, তোমার জীবনের খুচরো গল্প খুব উপাদেয় হইছে। তবে মেয়েটিকে কি আমি চিনি? মানে সেকি অপ্র ভাইয়ের কেউ? চোখ টিপি

নিবিড় এর ছবি

পান্থ ভাই দুনিয়া বড়ই ছোট। তাই আপনে যদি কাউকে চিনেন, আর সে যদি অপ্র ভাইয়ের কিছু হয় তাইলে আর আমার দোষ কি চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

হ্যাঁ ভাই!!!!সুপার ডুপার প্রেম কাহানি!!!

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

নিবিড় এর ছবি

টুটূল ভাই কি সিনেমা বানাবেন নাকি????


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ফারুক হাসান এর ছবি

কঠ্ঠিন গল্প!!!!
ক্যান যানি এই লাইনরে গান গান মনে হচ্ছে,

সর্বনাশ যা করার মেয়ে তা করে দিয়েছে
পাগল কে সাঁকো নাড়ানোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।

নিবিড় এর ছবি

হুম...পাগল কে কিছু মনে করিয়ে দেওয়ায় বিপদজনক হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সিরাত এর ছবি

ফাটাফাটি লাগলো রে ভাই! কি দারুন একখান গল্প থিকা আমাগো বঞ্চিত করছেন এতদিন!!

এত ডরান কি নিয়া? একটু খারাপ মাঝে মাঝে লেখা তো হইতেই পারে, কামড়াইবো?

আর মাহবুব লীলেন ভাইয়ের মত কাজকারবার আমিও করি, কমেন্ট ঘরে বাংলা লিখা সব জায়গায় মারি! হাসি

নিবিড় এর ছবি

হুম... ভয়ে ছিলাম যদি কামড়ায় দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রায়হান আবীর এর ছবি

রায়হান আবীররা যতদিন বেঁচে থাকবে ধু.গো ততোদিন অবিবাহিতই থেকে যাবে।

চলুক চলুক চলুক

নিবিড় এর ছবি

খ্রাপ, খুব খ্রাপ রেগে টং


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি নেটে নাই, আর চামে আমারে খ্রাপ খ্রাপ কইয়া বেড়াইছ এই কয়দিন, না? খাড়াও দেখাচ্ছি মঝা!!

নিবিড় এর ছবি

তুই তো খুব খ্রাপ, মজা বানান ভুল দেঁতো হাসি আর কূটনামী করতে যাইতেছি চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নিবিড় এর ছবি

ধূগোদা আমিও সেই কথায় বলতে চাইছিলাম আরকি দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তানবীরা এর ছবি

মাইয়াটার জন্য মায়া লাগতাছে। আহারে আছিলি ভালো, কেনো সাইদ্ধা সাইদ্ধা গত্তে পড়লি?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নিবিড় এর ছবি

আমারো মায়া হচ্ছে হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

স্বপ্নাহত এর ছবি

তোর এই গল্পটা আসলে সিরাম চলুক

---------------------------------

তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নিবিড় এর ছবি

তাই নাকি হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আগেই পড়সিলাম। কমেন্ট করা হয়নি।

তোমার নিজের জীবনের কাহিনী লেখার জন্যই গল্পটা এত সুন্দর হইসে। খুব ভাল্লাগল। আর, তোমার কাহিনীর সাথে আমাকে জড়ানো এবং সন্দেহপ্রবণ মনের কারণে রেনেট ভাই আর পান্থ'দাকে মাইনাস!

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আত্মজীবনীটা রসালো এবং উপাদেয়, খাসা!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তিথীডোর এর ছবি

শোনোগো দখিন হাওয়া প্রেম করেছি আমি

গল্প খাসা, তবে পরা তো যায় না.. প্রেমে 'পড়তে' হয়। যাকে বলে পপাত ধরণীতল। খাইছে চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

হ, নিবিড়ের প্রেমে 'পড়া'র কাহিনী 'পড়া' হল বদনবইয়ে লিঙ্ক পেয়ে, বেশ লাগল... হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমিতো তখনই পড়ছিলাম, কমেন্ট নাই ক্যান আমার? চিন্তিত

সুন্দর গল্প। রাশেদ মোশাররফ নায়ক হিসাবে খ্রাপ না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।