মন পবনের নাও ০৭- পড়ালেখা সহজ ব্যাপার নয়

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: শনি, ১৫/০৮/২০০৯ - ৭:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০।
চলেন একটু আগে যাই মানে বেশ কয়েক বছর আগে, ধরুন যখন আমি ফোর বা ফাইভে পড়ি। ঠিক সেই সময় আমাদের বাসায় একটা বই ছিল সবুজ মলাটের, ছুটির ঘন্টা। সুনীল সম্পাদিত সেই বইয়ের কার জানি একটা গল্প ছিল- পড়াশুনা সহজ ব্যাপার নয়। সেই গল্পের প্রধান তিন চরিত্রের মধ্যে দুই জন ছিল দুই ভাই, কাবুল আর টাবুল। পড়াশুনা বাদে হেন কোন দূষ্কর্ম নাই যা তারা করত না। নানা ভাবে জ্বালিয়ে বাসার একশ এক টিউটর কে তাড়ানো কিংবা ট্রেনে চড়ে বাড়ি থেকে পালানো আর সাথে একেক ক্লাসে বছর দু'তিন করে থাকা সবছিল তাদের কাছে ডাল ভাত। কিন্তু বেচারারা ভুলে গিয়েছিল ওস্তাদেরো ওস্তাদ থাকে। তাই একদিন তাদের বাবা-মা হাজির করে তাদের নতুন টিউটর ধুরন্ধর সামন্তকে। তারপর? তারপর আর কী পুরা সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। কিন্তু বললাম না ওস্তাদেরো ওস্তাদ থাকে তাই বেচারা কাবুল আর টাবুলের যত জাড়িজুড়ি ধরা খেতে থাকে। বেচারারা বুঝতে পারে পড়াশুনা ব্যাপারটা আসলে অতটা সহজ নয়। ধুরন্ধর সামন্তের মত ঐরকম ধুরন্ধর কোন ওস্তাদ না থাকলেও আমার কিন্তু বুঝতে দেরী লাগে নি যে আসলেই পড়াশুনা ব্যাপারটা কোন সহজ ব্যাপার নয়।

০১।
আমি হলাম লক্ষ্যহীন মানুষ। কিন্তু কীভাবে কীভাবে যেন কলেজে উঠার পরা আমিও একটা লক্ষ্য ঠিক করে ফেললাম। মানুষজন কত ভাবে তাদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে। কেউ তার বাপ-মা, ভাই-বোনদের বা আত্মীয়-স্বজনদের দেখে আবার কেউ বা তাদের জ্ঞান অর্জনের আগ্রহের দিকটা কে মাথায় রেখে। কিন্তু আমি এসবের কোন কিছুর ধার ধারলাম না আমি ঠিক করলাম নাটক দেখে। চড়ুইভাতি নামক এক নাটক দেখে আমি ঠিক করলাম বুয়েটে পড়তে হবে। কারণ? কারন আর কিছুই না চড়ুইভাতি ফ্যান্টাসী। কিন্তু বাস্তব আর ফ্যান্টাসী এক না। তাই আবার অনেকটা লক্ষ্যহীন ভাবে বন্ধুরা অনেকেই ঢাকা বিশ্ব্বিদ্যালয়ের ফর্ম কিনছে তাই আমিও কিনি এইভাবে হাজির হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ঢাবির শুরুতে ভাবতাম আরে হেসে খেলে যেখানে টিকা যায় সেইখানে পড়াশুনা করে কিছু একটা হওয়া কোন ব্যাপার না। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সত্য না, ব্যাপারটা যে সত্য না সেইটা টের পেলাম জীবনের দ্বিতীয় টিউটোরিয়াল ক্লাসে। স্যার একটা কাজ দিয়েছিল সেইটা হাতে নিয়ে হঠাৎ করে বলে উঠলেন এইটা কার খাতা? আমি হেসে জবাব দিলাম স্যার আমার। এইবার স্যারের পালটা প্রশ্ন ক্লাসের বাকী সবার উদ্দ্যেশে- এই ছেলেকে কে এই ক্লাসে পড়াশুনা করার যোগ্যতা দিছে কে? তারপর প্রশ্নবাণে আমার পুরাতন স্কুল কলেজের নাম বের করে তাদের ভিতর থেকে কীভাবে এই প্রডাক্ট বের হয় এই সন্দেহ পোষণ করে স্যার জানিয়ে দিলেন আমি যে সেইসব স্কুল কলেজের ছাত্র তা তার বিশ্বাস হয় না। অবশ্য স্যারের দোষ দিয়ে লাভ নাই economics যদি কেউ e এর বদলে i দিয়ে লিখে তাইলে তাকে এর থেকে ভদ্র ভাষায় অবশ্য কিছু বলা সম্ভব না।

০২।
আমাদের কলেজে সম্ভবত ক্যান্ডিডেটস টাইমে বা ইলাভেনের শুরুর দিকে একজন ম্যাডাম আসলেন। জাবি থেকে পাশ করে আসা একদম নতুন, সম্ভবত ছাত্রী ছাত্রী গন্ধ তখনো গা থেকে ঠিক করে যায় নি। ক্লাসে আসলে ছুটাছুটি করেন, বাচ্চাদের মত আচরণ। আমাদের জন্য ব্যাপারটা নতুন কারণ আমাদের কলেজে ম্যাডাম মানেই জাদরেল কিছু, অন্তত তখন পর্যন্ত কলেজে বাকী ম্যাডামদের জন্য এই কথাই খাটে। তো এই নতুন ম্যাডাম আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু উলটা পালটা করে দিলেন। আমার আর আমার বন্ধু রোকনের তো শখ ছিল আমরা বিয়ে করব হয় মিশরী বা কাশ্মীরী নাহলে ইরানী কোন মেয়ে কারণ কেমনে কেমনে জানি আমাদের ধারণ হয়েছিল এইসব দেশের মেয়েরা অসাধারণ সুন্দরী, আসলে যাকে বলে কৈশরিক ফ্যান্টাসী। হোস্টলে কত রাত যে আমরা দুই জন সাথে মাঝে মাঝে আর অন্য কয়েক জন এই বিষয়ে আলাপ করে কাটিয়েছি তার ইয়াত্তা নেই। সেই রোকন কিনা একদিন আমার কাছে এসে বলে তার বাংলাদেশী কোন মেয়ে কে বিয়ে করতে সমস্যা নেই। অবাক হয়ে আমি যখন পালটা প্রশ্ন করলাম- মানে? তখন ব্যাটা বলে, আসলে ম্যাডামের মত মেয়ে হলে যে কোন বাংলাদেশী মেয়েকে বিয়ে করতে তার সমস্যা নেই। এত বড় বিশ্বাসঘাতকতার পরেও আমি অবশ্য কিছু বললাম না কারণ আমার মনেও ঘুরছিল- হায়রে ম্যাডাম যদি আর মাত্র দশ বার বছর পরে জন্মাত।

তো একদিন কলেজে ম্যাথ পরীক্ষায় ম্যাডাম হলেন গার্ড। আমার পাশে বসেছিল শুভ্র। পরীক্ষা হলে যার নানা কাজকর্ম আমাদের কাছে এখনো কিংবদন্তী। পরীক্ষা চলার আধা ঘন্টা পরে শুভ্র তার ভগবান, আমার আল্লাহ সহ আশেপাশের সবার দোহাই দিয়ে বলল আজকে না দেখালে সে শেষ, শেষ মানে পুরাই শেষ, ফেল। হাজার হইলেও আমার হোস্টেল জীবনের প্রথম রুমমেট তাই তার কথা তো ফেলে দেওয়া যায় না। কিন্তু এই দেখা দেখির এক পর্যায়ে টের পেলাম আমার খাতা ডেস্ক ছেড়ে ম্যাডামের হাতে আশ্রয় নিয়েছে। খাতা হাতে ম্যাডামের এক কথা পড়াশুনা না পারলে আমার উচিত বসে থাকা কিন্তু কোনভাবেই শুভ্রের মত ভদ্র ছেলে কে পরীক্ষার হলে ডিস্টার্ব করা ঠিক না। আমি তখন কি আর বলব কারণ আমার মনে তখন বেজে চলেছে- হায়, উলটা বুঝলি রাম।

০৩।
তখন আমি নতুন ক্লাস নাইন। পড়াশুনার থেকে পিঠের উপর গজানো পাখনা নাড়াচাড়া করানোতেই বেশী উৎসাহ। এর কুফল অবশ্য টের পেলাম কয়েক দিন পর পাক্ষীক পরীক্ষার সময়। হায়ার ম্যাথ পরীক্ষা, অর্ধেক সিলেবাস করে এসেছি। হলে দেখি তিন অংকের মধ্যে একটা কমন আর একটা হয়ত চেষ্টা করলে মিলাতে পারি টাইপ অবস্থা। শুরু করলাম যেইটা হাফ পারি সেইটা দিয়ে কিন্তু ঐটা মিলাতে মিলাতে দেখি আর যেই টাইম বাকী আছে তাতে বাকী অংক কোন ভাবেই লিখে শেষ করা যাবে না। এই সময় পাশের সিটের সায়মন বলল- দোস্ত এই অংকটা দেখ, দেখে লিখে শেষ কর। তাকিয়ে দেখি আমি যেই অংকটা পারি না এইটা সেই অংক সবচেয়ে বড় কথা সাইজে ছোট অংক। এইবার প্রশ্ন করলাম- তুই সিউর তো যে অংক ঠিক আছে। জবাব এল- আরে শালা কালকে রাতেই এই অংক করছি, ঠিক না হয়ে পারে। এত কনফিডেন্স দেখানোর পর বেচারাকে তো আর উপেক্ষা করা যায় না। তাই নিশ্চিন্ত মনে লিখলাম অংক।

পরের সাপ্তাহে স্যার খাতা দিলেন, হাবীর স্যার। দারুন কড়া মানুষ। আমাদের এই পরীক্ষায় ২৫ এ ১০ এ পাশ কিন্তু স্যার যারা ১৫এর নীচে পাবে তাদের কানটানা নিশ্চিত। তাই ক্লাসের আগেই টয়লেটে পালায়ন। এর মধ্যে প্রায় মিনিট বিশেক পর সম্ভবত হাসিন টয়লেটে এসে দাঁত বের করে জানাল আমি ফেল করছি। অংক নাকী একটা হয়েছে তাই পেয়েছি সাত। এই অবস্থায় ক্লাসে স্যারের সামনে তো আর পরা যায় না তাই টয়লেটে অবকাশ যাপন করতে থাকলাম আর খেপতে থাকলাম। কারণ হাসিন আমার খাতা দেখছে। ওর কথামত আমি যেইটা নিজে করছি সেইটা ঠিক আছে কিন্তু যেইটা দেখে লিখছি সেইটা ভুল। তাই সায়মনের উপর রাগতে রাগতে রাগের শেষ সীমানায় পৌছানোর পর ক্লাস শেষ হবার ঘন্টা বাজল। দৌড়ে ক্লাসে গিয়েই প্রথমে বেচারা সায়মন কে ধরে মারমুখী ভংগীতে আমার প্রশ্ন ছিল- ঐ, তুই আমারে ফেল করাইলি কেন? এইবার সাইমনের নির্বিকার উত্তর- দোস্ত খেপিস না, আমিও ফেল করছি। শূণ্য পাইছি।

০৪।
ওপেন বুক এক্সাম বলে একটা শব্দ আছে ইউনীতে আসার আগ পর্যন্ত এটা জানতাম না, সম্ভবত আমাদের ক্লাসের আর অনেকেই জানত না। তাই একদিন এক ম্যাডাম যখন জানাল ওনার পরবর্তী পরীক্ষা ওপেন বুক এক্সাম তখন আর আমাদের পায় কে। এমনিতেই ছেলেমেয়েরা সারা বছর পড়ে না তারু উপর যখন বই খুলে লেখার অবাধ স্বাধীনতা তাইলে আর পরীক্ষার আগের রাতেও পড়ার দরকার কী। তবে পড়াশুনার কী দরকার এইটা টের পেলাম এক্সাম হলে। সবার কাছে গাদা গাদা বই, নোট আর ফটোকপি। কিন্তু কিসের কী, কোন পাত্তা নাই। ম্যাডাম এমন প্রশ্ন করে রেখেছে যে ছেলে মেয়েরা বই খুলেও পার পাচ্ছে না। আর ম্যাডাম সারা ক্লাস জুড়ে হাটে আর মুচকি মুচকি হাসে। আর মাঝে মাঝে হাঁক ছাড়ে সবাই তাড়াতাড়ি লেখ, সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে কি আর খাতা ভরে? তাই আর বাকী সবার মত আমিও মনের মাধুরী মিশিয়ে আন্দাজে অনেক কিছু লিখে দিয়ে আসলাম।

তবে এর আসল মজা শুরু হল ম্যাডামের খাতা দেওয়ার সময়। এই প্রথম ম্যাডাম ক্লাসে খাতা এনে সবার সামনে নাম্বার দিচ্ছেন। না দিলেই সম্ভবত ভাল হত। কারণ একেকটা খাতার যা অবস্থা, ম্যাডামের লাল কালিতে ভরে গেছে। প্রথমে বেশীর ভাগ ক্লাসের ভাল ভাল ছাত্রছত্রীদের খাতা। এদের যদি এই অবস্থা হয় তাইলে আমার মত ব্যাকবেঞ্চারদের তো জান শেষ। শূণ্য অসংখ্য, দুই একও প্রচুর। এমন কি দুই জনকে ম্যাডাম মাইনাস মার্কিং করেছেন। মানে পরের পরীক্ষায় যা পাবে তা থেকে এইবারের প্পাপ্ত মাইনাস নাম্বার মাইনাস হবে। খাতা দেওয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে ঠিক সেই সময় ম্যাডাম হঠাৎ বললেন রোল ১১০ দাড়াও, তোমার চেহারাটা আমি একটু দেখতে চাই। বুঝলাম আমি এইবার শেষ। এইবার কোন গন্ডগল পাকালাম এইটা বুঝার চেষ্টা করতে করতে দাড়ালাম। এইবার অবাক করে দিয়ে ম্যাডাম বলল- কংগ্র্যাচুলেশেন, তুমি হায়েস্ট পেয়েছ। তোমার খাতা দেখে মনে হয়েছে তুমি পড়াশুনা বুঝে করেছ, মুখস্ত না। ক্লাসের সবাই বড় বড় চোখ করে দেখতে লাগল আর আমিও চোখ বড় বড় করে ভাবতে লাগলাম- যেইবার পড়ে পরীক্ষা দিলাম সেইবার লোয়েস্ট আর যেইবার মোটামুটি পড়াশুনা না করেই পরীক্ষা দিলাম সেইবার হায়েস্ট। ওপেন বুকের লীলা বুঝা বড় দায়।

০০।
আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন আশেপাশের সবার মেধাবী বাচ্চাদের দেখে আমার বাবা মায়েরও শখ হল তাদের ছেলে কে বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়াবে। তাই থানা পর্যায়ের সবচাইতে জাদরেল শিক্ষক কে ঠিক করা হল আমার টিউটর হিসেবে। ব্যাপারটা আমার মোটেও ভাল লাগল না কারণ যেই সময় বাকী সবাই মাঠে খেলবে সেই সময় পড়াশুনা করার মত অত্যাচার আর নাই। স্যারের সাথে প্রথম দুই একদিন পড়া নিয়ে গাইগুই করার চেষ্টা দেখিয়ে ভয়ে সেই রাস্তা খালাস করে দিলাম। কিন্তু স্যার তারপরেও আমার উপর সন্তুষ্ট হতে পারেন না। প্রতিদিন পড়া শুরু করার আগে একটা টেস্ট দেই যার রেজাল্ট দেখে দিন দিন উনার ভ্রু আর বেশী করে কুঁচকায়। তখন উনি একটা কাজ শুরু করলেন। প্রতিদিন পড়াশেষে আমাকে একটা করে গল্প বলেন, উনার প্রক্তন ছাত্রদের গল্প। যারা কিনা একেক সময় দারুন দারুন সব রেজাল্ট করেছে। যারা আমার মতই পড়তে চাইত না কিন্তু এখন অনেক বড় বড় মানুষ। এইটা সম্ভবত ছিল আমার উপর খাটানো কোন শিক্ষকের সবচাইতে দারুন ট্রিক্স। কারণ একসময় টের পেলাম আমিও স্যারের ঐসব ছাত্রদের মত হতে চাইছি মনে মনে। ভাবতে ভালই লাগত কোন একদিন স্যার আমার গল্প বলবে অন্য কোন ছাত্রের কাছে। গল্পের মাধ্যমে স্যার যে কাজটা করতে চেয়েছিলেন সেইটা সম্ভবত আমার শিক্ষাজীবনের অন্যতম বড় শিক্ষা, স্বপ্ন দেখতে শিখা।

আজ এত বছর পরে আমিও অনেক কে পড়াই। হয়ত এত বড় কিছু না সামান্য টিউশনী। কিন্তু সবসময় চেষ্টা করি যাদের পড়াই তাদের মনে বহু বছর আগে স্যারের খাটানো পুরান সেই ট্রিক্সের ব্যবহার করতে। কারন আজকে দেখা একটা ছোট স্বপ্নও আমূল বদলে দিতে পারে এইসব ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত। তাই পড়ানোর মাঝে সবাই কে স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করি কারন হাজার হলেও পড়াশুনা ব্যাপারটা অত সহজ নয় হাসি


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

চড়ুইভাতি দেখে তুই বুয়েটে পড়বি ঠিক্করছিলি? খিকয!! আমি ঠিক করছিলাম আর্কির মেয়ের সাথে প্রেম করবো খাইছে


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

নিবিড় এর ছবি

খিকয! স্বপ্ন যখন সত্য হল চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ওহে আবীর একি বললিরে! মাথা ঠিক ছিলোতো তখন??

---------------------
আমার ফ্লিকার

নিবিড় এর ছবি

খিকয


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রায়হান আবীর এর ছবি

মেশিন ডিজাইন পরীক্ষা নি? যা যা পড়তে যা!!! শয়তানী হাসি (এডিট করলাম। সাবজেক্ট নাম গেরায় দিসিলাম। খাইছে )


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

মাইক্রোপ্রসেসর মন খারাপ(
কিন্তু সিলেবাসের সাইজ গিগা-পেটাবাইটের মন খারাপ(

---------------------
আমার ফ্লিকার

রেজুয়ান মারুফ এর ছবি

মজার মজার সব কাহিনী!
জাবি থেকে পাশ করা সেই ম্যাডামের পেছনে সিরিয়ালটা কি বেশ লম্বা ছিল?

-----------------------------------------------------------

আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কাব্য নিয়ে ঘুরি।

আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কব্য নিয়ে ঘুরি।

নিবিড় এর ছবি

লম্বা মানে বহু লম্বা ছিল, দুই একজন তো এখনো স্বপ্ন দেখে চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

দারুণ লেখা..... পড়তে ভীষণ মজা লাগলো।

হাজার হলেও পড়াশুনা ব্যাপারটা অত সহজ নয়

তা আর বলতে... চোখ টিপি

নিবিড় এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

১।
আহেম, বাংলা ডিপার্টমেন্ট কি বদলে গেছিলো নাকি আমরা আসার পর? চোখ টিপি
২।
হাবীব স্যারকে কড়া বললে খুব অবাক লাগে। আমরা নাইনে থাকাকালীন বোধহয় স্যার ঢুকেছিলেন কলেজে, বেশ বন্ধুসুলভ ছিলেন। কলেজ ছেড়ে আসার সময় অল্প যে দুয়েকজন শিক্ষকের চোখ ভিজেছিলো আমাদের জন্যে, হাবীব স্যার একজন।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিবিড় এর ছবি

১।
বাংলা ডিপার্টমেন্টের ধার কমে নি কিন্তু প্রথমে ভূগোল আর পরে ইংরেজী ডিপার্টমেন্টের ধার বেড়ে গিয়েছিল চোখ টিপি
২।
হাবীব স্যার আসলেই খুব ভাল মানুষ। কড়া বলতে আমি আসলে পড়াশুনার ব্যাপারে ওনার মনযোগের কথা বুঝিয়েছি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

কাইল্কা ২১০ নম্বরের মাইক্রোপ্রসেসর টার্ম ফাইনাল। পড়তে পড়তে জান শেষ প্রায় মন খারাপ
ভাবছিলাম কাল্কেই পড়বো লেখাটা। কিন্ত পড়া ফালায় এখনই পড়লাম। দারুন হইছে দেঁতো হাসি

পড়ালেখা সহজ ব্যাপার নয়

কথাটা সূর্য উঠার মতই সত্য মন খারাপ

---------------------
আমার ফ্লিকার

নিবিড় এর ছবি

পরীক্ষার আগের রাতে পড়া বাদ দিয়ে কেউ অন্য কিছু করছে শুনলেই মনে দারুণ আনন্দ হয় দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতিথি লেখক এর ছবি

জোসস...পড়ালেখা আসলেই সহজ না। তবে আপনার পড়ালেখার গল্প এতো মজার...

সূর্যবন্দী মেঘ...

নিবিড় এর ছবি

এই গল্প আপনার মজা লাগল? আমি কিন্তু এইসবে নাস্তানাবুদ হতে হতে শেষ মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক

তুমি যেসব বালিকাদের পড়াও, তাদের কাহিনী জানতে চাই খাইছে

নিবিড় এর ছবি

আপনার শালীর মাইর তাইলে একটাও মাটিতে পড়বে না মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শ্যালিকার মাইর তো পরে, আগে আমার কয়টা মাইর খায়া নিও খাইছে

নিবিড় এর ছবি

লাইক শালী লাইক দুলাভাই খাইছে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

একটু ভুল করসো, এইভাবে লিখ - 'লাইক শালী লাইকস দুলাভাই' দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শেষের শব্দটায় মনেহয় বানান মিশটেক হৈছে বিডিআর। দুলাভাই না হয়ে হবে ধুগোভাইদেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নাহ্, বানান খুব ঠিক আছে। আপনার ভুল করে মিশটেক হচ্ছে কোথাও দেঁতো হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

তোমার লেখা পড়তে বেশ লাগে। ঝরঝরে, কোনো জাঁদরেল শব্দ নেই, মাথাতে কোনো চাপ পড়ে না।

ওপেন বুকের লীলা বোঝা আসলেই দায়। তাই আমি সবসময় ওপেন বুকের জন্য চেচাইতাম। খাইছে

প্রহরীর সাথে সহমত।

নিবিড় এর ছবি

জাদরেল শব্দ লিখতে হলে কিছুটা এলেম লাগে যেইটা আমার নাই হাসি
অনি ভাই যদি ওনার পুরা কাহিনী লিখার অনুমতি দেয় তাইলে আমিও আপনার সাথে সহমত দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সুনীল সম্পাদিত সেই বইয়ের কার জানি একটা গল্প ছিল- পড়াশুনা সহজ ব্যাপার নয়। সেই গল্পের প্রধান তিন চরিত্রের মধ্যে দুই জন ছিল দুই ভাই, কাবুল আর টাবুল।

আমার খুবই প্রিয় একটা গল্প ছিলো- প্রফুল্ল চন্দ্রের লেখা। আমার ছেলেবেলার হিরো ছিলো ঐ কাবুল-টাবুল। ...

লেখা যথারীতি চলুক চলুক
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

নিবিড় এর ছবি

আমার কিন্তু বেশী প্রিয় ছিল ধুরন্ধর সামন্ত হাসি
আর যথারীতি ধন্যবাদ শিল্পী সাহেব হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মূলত পাঠক এর ছবি

লেখকের নাম হবে প্রফুল্ল রায়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

একবার ওপেন বুক এক্সাম দিতে গিয়া হালুয়া টাইট হয়ে গেছি। মাইক্রো ইকোনমিক্সে। ইরাক যুদ্ধ, তেলের দাম এইসব হাবিজাবি।স্যার বললেন, বাবা'রা বই খুলে লিখে দাও তো। এক বর্ণ লিখতে পারি নাই। তখন থেকেই জেনে গেছি ওপেন বুক এক্সাম এর মাজেজা।
..................................................................

ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল

নিবিড় এর ছবি

মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ব্যাপার না, পেইন খাইতে খাইতেই মানুষ পেইনকিল করার কলা শিখে যায়।

ভূগোল বা ইংরেজী ম্যাডামের কুনো ফটুক ফাটুক নাই? ইট্টু দেখতাম আরকি, অন্য কিছু না! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নিবিড় এর ছবি

মনের ভিতর থাকা ফটুক দেখানোর মনে হয় কোন উপায় নাই চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খোমাখাতায় যাও একটু।

স্বপ্নাহত এর ছবি

হা হা হা।

কোন ভূগোল ম্যাডামরে এইটা? আমি যার কথা ভাবতেসি তুইও কি তার কথা লিখসিস? দেঁতো হাসি
ম্যাডামের কথা শুইনা মন্টা কেমন আঞ্চান কইরা উঠলো। না লগায়া পারলাম না। ভূগোল ম্যাডামকে ভোলা এত সহজ কর্ম নয় হাসি

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নিবিড় এর ছবি

না না এইটা ভূগোল ম্যাডাম না, এই ম্যাডাম ইংরেজীর। তুই গোলাইয়া ফেলছিস হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।