মন পবনের নাও ১০

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: শুক্র, ০৪/১২/২০০৯ - ১১:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০।
সময়ের সাথে সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে কিন্তু কিছু জিনিস মনে হয় থেকে যায় আগের মত। এরা পরিবর্তন হয় না বরং সময়ের সাথে আর শক্তপোক্ত হয়। ছোটকাল থেকে আমার অভ্যাস পরীক্ষা আসার আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা, পরীক্ষা শেষ হোক এই করব সেই করব, এখানে যাব সেখানে যাব। কিন্তু কিসের কি ! পরীক্ষা শেষ হলে আর কিছুই করার থাকে না। আসলে সব সময় এত এত পরিকল্পনা মাথার ভিতর আস্তানা গাড়ে যে এদের কোনটা কে সামনে নিয়ে যাব সেইটা ভাবতে ভাবতেই সময় শেষ হয়ে যায়। এইবারও ব্যতিক্রম হল না। একমাস ধরে পরীক্ষা দেওয়ার সময় সারাদিন রাত পড়ার সময় যত না পড়ি তার থেকে আর বেশী করে ভাবি পরীক্ষা শেষ হলে কি করব। তবে এইবারও সেই সেই আগের বারের মত তেমন কিছু করাই হল না। কিন্তু ক্লাসের সময় এগিয়ে আসে শুধু খাটের পাশে পরে থাকে গল্পের বই, হার্ডডিস্কে মুভিগুলো আর বিছানায় সারাদিন ঘুমন্ত আমি।

০১।
ছোটবেলায় প্রায় রুটিন করে দুই তিন সাপ্তাহ পর পর আমাদের ভাই বোন দুই জনকে ধরে ধরে নাপিতের দোকানে হাজির করা হত। তারপর নাপিত সাহেব পরবর্তী আধা ঘন্টা ধরে আমাদের উপর বাটিছাট শব্দটার আক্ষরিক অনুবাদ করত। আরেকটু বড় হওয়ার পরও সেই অনুবাদ চলত আর স্থূল ভাবে স্কুল কলেজের চুল সম্পর্কিত কড়া নিয়ম কানুনের জন্য। তাই ইউনীতে উঠার পর থেকেই সব সময় ভাবি এইবার চুল বড় করব নিশ্চয়। কিন্তু এতদিনের অভ্যাস বলে কথা তাই চুল বাবাজী কোন রকমে কান ছুলেই কেন জানি মাথাটা কিলবিল শুরু করে। আসলে ছোট কালের অভ্যাস বড় ভয়ংকর এরা মনের শখকেও চেপে ধরতে জানে।

এরকম করে এইবার যখন ছোটকালের অভ্যাস বড় কালের শখকে চেপে ধরল তখন মনে হল যাই আরেকবার নাপিতের পকেট ভারী করে আসি। সকাল বেলা রোদের কারণে ভাবলাম নতুন এসি সেলুনটাতেই ঢুকি। তাই সেলুনে চেয়ারে বসে যখন বললাম চুল ছোটছোট করে ছেটে ফেলতে তখনো বুঝি নাই বিপদ কোন দিক থেকে আসবে। দোকানের হালকা ঠান্ডা বাতাসে যখন আরামে চোখ ছোটছোট হয়ে আসছে তখন হঠাত আয়নার ভিতর দিয়ে চোখ গেল দেয়ালে ঝুলান মূল্য তালিকার উপর আর এরপরেই টের পেলাম এই এসির ঠান্ডা হাওয়ার ভিতরেও শরীরে গরম স্রোত বইছে। দেয়ালে মূল্য তালিকায় চুল কাটানো বাবদ যে দাম লেখা আছে সেই পরিমাণ টাকা আজকে আমার সমস্ত শার্ট প্যান্টের পকেট ঝাড়া দিলেও বের হবে না। এই দোকানে আগে কখনও চুল কাটানো হয় নাই তাই পুরাতন অভ্যাস মত অল্প কিছু টাকা নিয়ে বাস থেকে বের হয়ে আসছি। এদিকে চুল কাটা আস্তে আস্তে শেষ হয়ে আসে আর আমার ঘাম বাড়ে। হোটেলে নাকি খাওয়ার পর বিল দিতে না পারলে হাড়ি পাতিল মাজায়। তা এই দোকানে বিল দিতে না পারলে আমাকে কি চুল কাটাতে লাগিয়ে দিবে নাকি আমার বাকী চুল উনারাই কেটে শেষ করবে এই চিন্তায় আমি তখন রীতিমত ব্যস্ত। তবে কথায় আছে মানীর মান আল্লায় রাখে তাই চুল কাটানো শেষে বিল না দিলে কি হয় সেই পরিনতিটা দেখা হয় নাই। কারণ যখন চুল কাটানো প্রায় শেষ ঠিক তখন সিনেমার শেষ দৃশ্যের টুইস্টের মত এক পরিচিত ছোট ভাইও চুল কাটানোর জন্য সে দোকানে ঢুকেছিল।

০২।
মাঝে মাঝে কি সব ঘটনা যে ঘটে যায় আর কি বলব। এক বই পাগল সিনিয়র যার কিনা অভিজ্ঞতার ঝুড়ি অসাধারণ তার কাছ থেকে দুইটা বই আনলাম পড়ার জন্য। শাহাদুজ্জামান আর আহমাদ মোস্তফা কামালের বই। তা বই আনলে মানুষ কি করে? অবশ্যই পড়ে। তাই আমিও অত্যন্ত মনযোগের সাথে আমার জন্য একদম নতুন এই দুই লেখকের বইয়ে ডুবে গেলাম। তবে বই পড়ার কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।

আমার মা'ও বই পড়েন। মাঝে মাঝে আমার কাছ থেকে নিয়েও কিছু বই পড়েন। আর এইভাবে এই দুইটা বইয়ের একটা তার হাতে গিয়ে পড়ল। তো একদিন দুপুর বেলা খাবারের টেবিলে খাচ্ছি শুধু মা আর আমি। হঠাৎ মায়ের প্রশ্ন- আচ্ছা তোর বান্ধবীদের মধ্যে "ক"( আসল নামটা দিলাম না) কেরে? আমি তো আকাশ থেকে পড়ছি কারণ এই নামে কোন সমবয়সী বালিকার সাথেই আমার খাতির হয় নায়। কিন্তু মা'র সেই একই প্রশ্ন- আসলেই "ক" নামে কোন বান্ধবী নাই তোর? আমি এইবার আর ভালু মানুষের মত গলা করে বললাম না, অবশ্যই না। ঘটনা আপাতত এইখানেই শেষ কিন্তু মাথার ভিতর খালি প্রশ্ন ঘুরতে থাকল এই নামটা হঠাৎ জিজ্ঞেস করার মাজেজা কি।

মাজেজা টের পেলাম অবশ্য দিন কয়েক পর। শাহাদুজ্জামানের বইটা হাতে নিয়ে ছোট গল্প গুলো পড়তে পড়তে হঠাৎ চোখ আটকাল একদম প্রথম দিকের একটা পাতায়।সেইখানে লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম বইটা সেই সিনিয়র কে ভাবী কোন একটা উপলক্ষ্যে গিফট করেছে আর সেখানে বড় বড় করে লেখা- যার পাশে আমি ম্লান হয়ে যাই। আর নিচে সাইন করা "ক"।

০৩।
গান, বই, সিনেমা এইসব জিনিসে ভাল লাগার ব্যাপারে মানুষ হিসেবে আমি দারুণ ফ্যাসিস্ট। কেন জানি এইসব ক্ষেত্রে কোন যুক্তি তর্কে যেতে কখনই আমি তেমন একটা উৎসাহী না। তার উপর সেটা যদি হয় ছোটবেলার কোন পছন্দ।

ছোট বেলায় মানে যখন আমি বেশ ছোট তখন আমার মায়ের একটা অভ্যাস ছিল, গান শোনার অভ্যাস। সম্ভবত তখনও আমি স্কুলে ভর্তি হই নি, বাসায় তখন অনেক পুরাতন ন্যাশনালের একটা ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। আমাদের ভাইবোন দুইজনের সকাল বেলার খাবার দাবারের পাট চুকিয়ে মা তখন সেই ক্যাসেট প্লেয়ারে গান ছাড়তেন। আমাকে হয়ত সেই সময় অক্ষর জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা চলত সাথে সাথে ছোটাছুটি করতে থাকা ছোট বোনকে হয়ত মা ধমকে দিয়ে চুপ করে বসানোর চেষ্টা করতেন। আমাকে পড়াতে পড়াতেই হয়ত মা হয়ত রান্না ঘরে ঘুরে আসতেন সেই ফাঁকে আমি হয়ত উঠে গিয়ে স্বভাবমত বোন কে খোঁচা দিয়ে রাগানোর একটা প্ল্যান করতাম। আর এইসব কিছুর সাথে সাথে একটু দূরে ছোট্ট একটা টূলের উপর বসানো কাল রঙের ন্যাশনাল ক্যাসেট প্লেয়ার থেকে গান ভেসে আসত, সেই সময়ে আমার অজানা শিল্পীদের গান। আর এইভাবে কাল রঙের ন্যাশনাল ক্যাসেট প্লেয়ার থেকে ভেসে আসা একটা গান আমার মাথার ভিতর কেমনে কেমনে জানি ঢুকে যায়, ঐ ছোট বয়সেই- একটা গান লিখ আমার জন্য।

তারপর অনেকদিন চলে যায়। গান শোনার বয়স পেরিয়ে গান লেখার বয়স এসে যায় কিন্তু কার জন্য গান লেখা হয় না অথবা কেউ আমার জন্য গান লেখে না। কিন্তু তাতে কি? সেই পুরান গান তো রয়ে গেছে স্মৃতির কোন কানা গলিতে তাই একরাতে এফএম রেডিও শুনতে গিয়ে তা ঝপ করে উঠে আসে, বেশ বিশ্রী ভাবে। সম্ভবত কোন প্রতিভাবান ডিজের হাত ধরে। তাই গানটা চিনতে আমার বেশ কষ্ট হয়। প্রশ্ন জাগে কি দরকার একটা সুন্দর গান কে নষ্ট করবার?

০৪।
একটা বই পড়ছি "রহস্যময় অভ্যুথান ও গণফাঁসি", ছোট একটা বই। ৭৫ এর পরবর্তী সময়টা যে কতটা ঘোলাটে ছিল বুঝা যায় এই বই থেকে। আগেই জানতাম ৭৭ সালে বিমান বাহিনীর একটা বিদ্রোহ হয়েছিল জিয়া কে ক্ষমতা চ্যুত করার জন্য কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানতাম না। তাই বইটা পড়তে পড়তে সামনে আসে অনেক কিছুই। হারিয়ে যাওয়া সৈনিকের পরিবারে আকুতি, ক্ষমতা কে কুক্ষিগত করার জন্য এক রাষ্ট্র নায়কের মাত্রাস্খলন কিংবা গণফাঁসি। মাত্র দুই মাসে ১১৪৩ জন সৈনিকের ফাঁসির আদেশের খবর পড়ে অবাক হয়ে যাই, বিস্মিত হই হাজার হাজার মানুষের জীবন যে বিচার প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করছে তার ইচ্ছে মত পরিবর্তনে। তাই একে বিচারকের লাইসেন্সে সম্পন্ন করা একটা গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না আমার।

০০।
ঢাকায় যখন ইউনীতে ভর্তি হবার পর আসলাম তখন কিছুই তেমন একটা ভাল লাগে না। সব কেমন ঝামেলা। এত মানুষ, এত গাড়ী আর এত্ত যানজট। এক আজন্ম ঢাকাবাসী বন্ধু কে এই কথা গুলো বললেই দুলে দুলে খালি হাসত আর বলত- আরে কয়েক বছর যাইতে দে তাইলে দেখবি এইগুলাই কি ভাল লাগে। তখন বিশ্বাস হয় নি। তাই নাক উঁচু করে বলেছিলাম- উহু কক্ষনো না। কিন্তু এইবার ঈদের পর ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা ঘাট দেখে মনে হয় আরে মানুষ কই, ফাঁকা ক্যাম্পাস দেখে মনে হয় আরে লোকজন কই। আর হঠাৎ করে বুঝতে পারি অজান্তেই কখন যেন আমি এই শহরের নাগরিক হয়ে গেছি।


মন্তব্য

এনকিদু এর ছবি

ঐ আমলে আমাদের বাসায় চলত দুইটা গানে এখনো মাথায় আছে । কথা গুলা নাই, খালি সুর । "বুঝিনি তো আমি" আর "তুমি যদি দাও" ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নিবিড় এর ছবি

বাচ্চা বয়েসে মাথায় ঢুকা জিনিস গুলা সহজে মাথার ভিতর থেকে যায় না মনে হয় হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

... হাসি ...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নিবিড় এর ছবি

দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তানবীরা এর ছবি

নিবিড়, আমি কায়মনে প্রার্থনা করছি পরের বার চুল কাটার সময় যেনো ছোট ভাই জাতীয় কেউ না আসে। আমি ১১ পর্বের জন্য আজ থেকে বসে রইলাম গ্যাট হয়ে।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নিবিড় এর ছবি

তাতাপু অপেক্ষায় থাকেন তাইলে আর বার মাস হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ব্রহ্মদৈত্য [অতিথি] এর ছবি

বেশ গুছিয়ে লিখেন আপনি, ভালো লাগলো।
ছোট্টবেলায় আমাদের সাথে আমার ফুপাতো ভাই থাকতেন। মান্না দে'র অসম্ভব ভক্ত ভাইয়ের বদৌলতে একটা গান শোনা হয়েছিলো, কী মিষ্টি গন্ধ, রয়েছে ঘরটা জুড়ে।
এখনো মাথায় ঘোরে গানটা।

নিবিড় এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ দৈত্য হাসি তবে দৈত্যরাও গান শুনে এইটা শুনে খুব খুশী হলাম দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

স্বপ্নহারা এর ছবি

লেখা ভাল লাগছে! পরীক্ষার আগে অনেক সময় নষ্ট হত কী করব তা ভাবতে ভাবতে...পরীক্ষার পরে কিছুই করার থাকত না! জীবন বড় পানসে হয়ে যেত...মন খারাপ

চুলকাটতে গিয়ে কানের পাশ দিয়ে গুল্লি গেছে...দেঁতো হাসি

ছোটবেলায় শুধু রবীন্দ্র-আধুনিক-হেমন্ত-নজরুল শুনতাম! আহা সেই দিনগুলো...

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

নিবিড় এর ছবি

গুল্লি মানে পুরাই গুল্লি দেঁতো হাসি
ছোটবেলায় আমি শুনতাম না আমার মায়ে শুনত আর আমি পাশে বসে থাকতাম হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

স্কুলের পরীক্ষা যখন সন্নিকটে তখন বিশেষ করে সকালে সিলেবাসের পড়াগুলো পড়তে পড়তে ভাবতাম, পরীক্ষা শেষের সকালগুলোতে কত মুক্ত থাকবো।
আহা !!
এখন আর পরীক্ষা কিংবা পরীক্ষাশেষের সময় তেমন কোন বিশেষ মানে রাখেনা।
লেখাটি ভালো লাগলো।

-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

নিবিড় এর ছবি

দেখেন তো নামের উচ্চারণ টা ঠিক আছে কিনা- জুয়েইরিযাহ মউ হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

নিবিড়ের এত্তোগুলা বই ঘেটে শুধু 'ক' পাওয়া গেলো?
'ম', 'ব', 'ট', 'শ' এবং আরো বাকিগুলা তিনি কেনু দেখতে পেলেন না? চিন্তিত
কেনু? কেনু? কেনু?

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিবিড় এর ছবি

একলা মানুষ একসাথে আর কতদিকে তাকাব বলেন চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রাফি এর ছবি

০।

জীবনে এই লাইন প্রথম দেখলাম। হাসি
চুল কাটতে গিয়ে হয় নাই, রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে হাতঘড়ি রেখে বাসা থেকে টাকা নিয়ে আসতে হয়েছিল একবার; তখন তেজতুরী বাজার থাকি; রেস্টুরেন্ট ফার্মগেট হওয়ায় বড় রকমের ঝামেলা হয়নি।
তোমার পাশে ম্লাণ হয়ে যাবার মতো তো অনেকেই আছে মনে হয়। কচিকাচার আসর নিয়ে যেহেতু কারবার। চোখ টিপি
লেখা চলুক

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

নিবিড় এর ছবি

আরে রাফি ভাই অনেকদিন পর হাসি আর বালিকাদের আমি ভালু পাই সবসময় চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নৈষাদ এর ছবি

নিবিড়, চমৎকার লাগল আপনার লেখাটা।
তাড়াতাড়িই কারও কাছে ম্লান টান হোন – এই শুভেচ্ছাই রইল।

নিবিড় এর ছবি

আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

১/ এইজন্যেই আমার পরীক্ষার রেসাল্ট খ্রাপ। ঐ সময় সারাদিন চিন্তা করি পরীক্ষার পরে কী করুম।
২/ আমিও চেষ্টা করেও চুল বড় কর্তে পারি না। মাথা ধরে । কোলন্ডি।
৩/ হেহে... 'ক'কাহিনী ফাঁস করলাম না ...
৪/ ছোট্ট বইটা বুকিং দিলাম।
...
০০০। টিপিকাল মন পবনের নাও হৈসে।

_________________________________________

সেরিওজা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ওহ্, তাইলে তোমার কাছ থেইক্যাই নিছে ওই বই, না?
আর, তোমার কাছেই ম্লান হয়ে যায় সেই "ক"?!

কিন্তু, নিবিড়, তোমারেও বলি- নারীমানুষের নাম হিসেবে "ক"টারে একদম নিতে পারতেছি না। এইটা অন্তত "কী" হওয়া উচিত। দেঁতো হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

না না, আমার সাথে কারো লেন্দেনের সম্পর্ক নাইক্যা। তয় আমি চিনি- আপ্নেও চিনেন। কোলন্ডি।

আর নিবিড় ভাই, আসলেই 'ক' ভালু না; আপনি 'স' কিংবা 'ব' নিতে পার্তেন। খাইছে

_________________________________________

সেরিওজা

নিবিড় এর ছবি

নাহ এইগুলা না আমি ভালু পাই বাংলা বর্ণমালার আরেকটা বর্ণকে চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ দিনপঞ্জি। ভালো লাগলো অনেক। হাসি

নিবিড় এর ছবি

আইপড পাইলেন শেষ পর্যন্ত চিন্তিত


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

৪ নম্বরে শিউরে উঠলাম। আমিও তো আবার ইতিহাস সম্পর্কে খুব শিক্ষিত একজন লুক, বোঝোই তো। সংখ্যাটা এত বেশি- সেটা জানা ছিল না।

মন খারাপ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নিবিড় এর ছবি

এইখানে মাত্র একটা বিদ্রোহের সংখ্যা উল্ল্যেখ করছি। সেই সময় জানামতে বিদ্রোহ হয়েছিল প্রায় ২১টি এবং প্রায় সবগুলোই অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়েছে। সেইখানে প্রচুর নিরপরাধ সৈনিক বা অফিসারের শাস্তি হয়েছিল বিনা কারণে শুধু মাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে, বেশীরভাগ সময় বিচারের জন্য যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছিল সেটাও সঠিক ছিল না। শুধু একটা তথ্য দিলেই বুঝবেন, ৭৭ এর এই বিদ্রোহের সময় প্রত্যেক্টা মৃত্যদন্ডের জন্য সময় নেওয়া হয়েছিল মাত্র কয়েক মিনিট করে। এদের অনেকেই ছিলেন আবার মুক্তিযোদ্ধা অফিসার এবং সৈনিক। হায় বিচিত্র এই দেশ যারা একসময় দেশের জন্য প্রাণ বাজী রাখল তাদের জীবন মৃত্যুর ফয়সালা হল মাত্র কয়েক মিনিটে প্রহসনের বিচারে।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুউম। মন খারাপ
ধন্যবাদ।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নিবিড় এর ছবি

চিন্তিত


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার কাছ থিকা বই নিয়া সিমন কী ঝামেলায় পড়ছিলো বাড়িতে সেইটা যদি জানতেন, তাইলে বুঝতেন... সারাজীবনেও সিমন এই যাতনা থেকা মুক্তি পাইবে না...

রহস্যময় গণঅভু্ত্থ্যান ও ফাঁসি বইটা ভালো। ঐ সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কমই জানা যায়। বেশিরভাগ তথ্যই গুম করে দিছে লাশের মতো। একটা আইয়ামে জাহেলিয়াত ছিলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নিবিড় এর ছবি

আপনার থেকে বই নেয়ার সময় তাইলে এরপর থেকে সাবধান থাকতে হবে চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই সিরিজটার অপেক্ষায় থাকি। ভালো লাগলো পড়ে।

পুনশ্চঃ আর ঠিক ১২ ঘন্টা পর পরীক্ষা। পড়িনি কিছুই। ব্লগে ঠিকই আসা হয়। আমার কি আলাদা করে বলতে হবে পরীক্ষার আগের অবস্থা? মন খারাপ

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ ইশতি ভাই হাসি
তাইলে পরীক্ষা দিয়ে আসেন তারপর ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে সচল বিরোধী একটা মিছিল বের করি দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।