০।
ক্যাম্পাসে এই নিয়ে ছয় বছর হয়ে গেল। এই ছয় বছরের আগের আঠার বছর, তের ফেব্রুয়ারি মানে ছিল বছরের আরেকটা দিন। তাই ফার্স্ট ইয়ারের তের ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টার ক্লাসে এসে যখন দেখলাম প্রায় সব মেয়েই রঙ্গিন সব শাড়ি পড়ে ক্লাসে বসে আছে
এবং ছেলেদের মধ্যেও অনেকে পোশাকে যথেষ্ট রঙ্গিন তখন ঘটনা কী বুঝতে পারলাম না। এর মধ্যে জনৈক বালিকা বলল কী মিয়া আজকে এমন সাদাকালো টেলিভিশন এর মত পোশাক কেন? বোকার মত তখন পালটা প্রশ্ন করে বসলাম, কেন সমস্যা কী? আজকে কী ফাংশন? তখন বালিকার উত্তর ছিল- এহে, তুমি তো দেখি কিছুই জান না। আজকে পহেলা ফাল্গুন। দোষ অবশ্য আমার না। সারা জীবন বড় হয়েছি বাংলাদেশের বিভিন্ন মফস্বল শহরে। সেখানেও ফাল্গুন মাস আসে তবে তা শুধুমাত্র বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতায়।
০১।
এক বন্ধু পহেলা ফাল্গুনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছিল- পহেলা ফাল্গুন হল এমন একটা দিন যেদিন ক্যাম্পাসে অসংখ্য রঙ্গিন বালিকা দেখা যায়। আজকে বিকেলে ক্যাম্পাসে আসার সময় মনে হল তখন হাসাহাসি করলেও বন্ধু সংজ্ঞা টা খারাপ দেয় নায়। বিকেল বেলা ক্যাম্পাসে ঢুকে দেখি চারদিকে প্রচন্ড ভীড়। সেই কাটাবন থেকে নীলক্ষেত হয়ে টিএসসি পর্যন্ত রিক্সা জট। রিক্সা নিয়েছিলাম কাটাবন থেকে জহুরুল হক হল পর্যন্ত। অষ্টব্যাঞ্জনের সামনে আসতে আসতেই যখন বিশ মিনিট চলে গেল তখন রিক্সাওয়ালা মামা বলে- বুঝলেন মামা, আইজকা হইল পহেলা ফাল্গুন। আইজকা ভীড় একটু হইবো। কালকে ভীড় হইব আর বেশি। মামারে প্রশ্ন করলাম- কেন? মামা বলে- কালকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে, জানেন না? মামার সাথে এরকম নানা সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক কথাবার্তা বলতে বলতেই বুঝলাম আজকে এভাবে আর হবে না তাই বাকি পথ একলা চল রে।
০২।
বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করে কলা ভবনের সামনের সিঁড়িতে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ। সিড়ির অন্যপাশে বসে আছে চার পাঁচ টা ছেলে। অপেক্ষা করতে করতে হঠাত করেই ছেলেগুলোর কথায় কান চলে গেল। এর মধ্যে দুই তিন জন মিলে গ্রুপের এক জনকে বলছে- বুঝলি পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখ এগুলা হল ক্যাম্পাসের উৎসবের দিন। এইদিন সবাই ভাল করে সেজেগুজে আসে। শুনতে শুনতে নিজেই মনে মনে হাসতে থাকলাম। এই ক্যাম্পাসে আসলে শুধু চরিত্র বদলায় তবে দৃশ্যপট সেই একি থাকে।
০৩।
ক্যাম্পাসের প্রথম দিকে একটা অভ্যাস ছিল আমাদের। পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখ এইসব দিনে দল বেধে আমরা নয় দশ জন একসাথে ঘুরে বেড়াতাম। দল বেধে ঘুরাঘুরি, খাওয়া দাওয়া আর দোকা দোকা মানুষদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলা এই ছিল আমাদের কাজ। আস্তে আস্তে বছর পালটায় আর আমরা খেয়াল করি একজন একজন করে কমরেড কমে যায়। বাকিরা সেই আগের নিয়মে দল বেধে ঘুরাঘুরি, খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যাই আর দোকা হয়ে যাওয়া কমরেডদের জন্য দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। আজকে বিকেলে ঘুরাঘুরির জন্য বন্ধুদের ফোন দিতে দিতেই টের পাই সবাই ব্যস্ত। অল কোয়াইট ইন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট। বাকি রয়ে গেছে খালি হারাধনের একটি ছেলে।
০৪।
সন্ধ্যার একটু পর বইমেলার দিকে হেটে যাওয়ার সময় ভীড় দেখে একটু ভয় পেলাম। টিএসসির সামনে এত ভীড়, মেলায় না জানি কী অবস্থা। তবে মেলায় ঢুকেই বুঝলাম বাইরেই তুলনায় ভিতরে ভীড় অনেক কম। বাংলা একাডেমির বিক্রয় কেন্দ্রের পাশের গেট দিয়ে ঢুকে একটু সামনে এগুলেই ভাষা শহীদদের নিয়ে ভাস্কর্যটা। এটা করার পর থেকেই দেখি মেলায় আসা অনেক মানুষ এর সামনে দাঁড়িয়ে সব সময় ছবি তুলায় ব্যস্ত থাকে। তা দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা এমনকী যদি মেলা শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগেও আসেন তাহলে দেখবেন এ জায়গায় একটা জটলা। মানুষজন ছবি তোলায় ব্যস্ত্। তবে আর মজা পাবেন গ্রুপ করে আসা মানুষদের ছবি তোলা পর্যবেক্ষণ করলে। হয়ত একজন নিজের ছবি তোলার জন্য ভাস্কর্যের সামনে দাড়িয়েছে তখন গ্রুপের বাকিরা সঠিক পোজ নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। ছবি তোলার পর হয়ত দেখা গেল সেই পোজ একজন পরামর্শ দাতার পছন্দ হয় নায় তখন সে আবার বলবে- এই জেনি, তুমি গিয়ে আবার দাড়াও। আমি ভাল করে ছবি তুলে দিচ্ছি। একটু সরে দাড়াও, রিলাক্স হও। রেডি। হাসো।
ভুল হতে পারে তবে আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এইসব ফটো ফেটিশ গ্রুপের লোকজনদের হাতে কদাচিত বইয়ের প্যাকেট দেখা যায়। হাসি কান্নার ছবি তোলার সময়টা আর হাতে থাকা দামি ক্যামেরার বা মোবাইলের দামের কিছুটা যদি এরা বইয়ের পিছনে বিনিয়োগ করত তাহলে বইমেলাটা হয়ত আরেকটু ভাল বইমেলা হত।
০৫।
গত বছর দুই তিন বাদে প্রায় প্রতিদিন বই মেলায় ছিলাম। তবে এইবার নানা ব্যস্ততায় সেই আশা বাদ। যাও মেলায় গেছি তাও আটটার পর, কোন কোন দিন সেটা প্রায় পৌনে নয়টা। বলা যায় সেরকম জমিয়ে আড্ডা হয় নি একদিনও। আজকে মেলায় ঢুকার সময় হাতে সময় ছিল বেশ। তাই ভাবছিলাম যদি আজকে কোন কারণে লোকজন না আসে তবে সময়টাই মাটি। তবে আজকে ভাগ্য সুপ্রসন্ন।
মেলায় একোণা সেকোণা খুজে লিটল ম্যাগ চত্তরে পাওয়া গেল তারেক ভাই আর আশরাফ ভাই কে। উনাদের সাথে হাটতে হাটতে শিববাড়িতে গেলাম চা খেতে। এর মধ্যে কোথা থেকে জানি মউ হাজির, সাথে মনিকা রশিদ আপা। সেখানে গল্প হল না খুব একটা। মনিকা আপা আর মউ এর তাড়া ছিল। যাওয়ার সময় মনিকা আপা সবার একটা গ্রুপ ফটো তোলার চেষ্টা করলেন কিন্তু যতবার উনি ছবি তুলতে যান ততবার উনার মেয়ে হাতে থাকা বিশাল বেলুন ক্যামেরার সামনে দিয়ে দেয়। এই নিয়ে হাসাহাসির মাঝখানে কয়েক বার ছবি তোলার প্রচেষ্টা হল তবে শেষ পর্যন্ত মা জয়ী হল না মেয়ে এটা আর নিশ্চিত করে বলা গেল না।
এর মধ্যে দেখা হয়ে গেল জিমি ভাইয়ের সাথে। কথা বলতে বলতে সবাই মিলে আবার হাজির হলাম লিটল ম্যাগ কর্ণারে। সেখানে দেখি গৌতমদা আর ভাবী ঘোরাঘুরি করছে। তবে গৌতম’দার হাবভাবে বুঝা গেল উনি পুস্তক ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছেন। তবে সবাই যথা সময়ে নিজ নিজ বইয়ের সঠিক নিরাপত্তা বিধান করার ফলে আজকে গৌতম’দা ব্যর্থ হয়েছেন। তবে যাবার আগে কথা দিয়ে গেছেন এই দিন দিন না আর দিন আছে।
০৬।
দুষ্ট লোকেরা স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে। তাই এর মধ্যে কতিপয় দুষ্ট লোক আশে পাশের এত এত বই থাকতে সুন্দরী বালিকাদের প্রতি নজর দেওয়া শুরু করল। কথায় বলে ব্যধি সংক্রামক স্বাস্থ্য নয়। তাই একসময় বাকিরাও কথা বার্তা বাদ দিয়ে বালিকাদের খেয়াল করা শুরু করল। এর মধ্যে বালিকাদের পরিচিত একজনের মাধ্যমে খোজ পাওয়া গেল বালিকারা একা নয় তাহারা দোকা। এই কথা শুনতে শুনতেই কিছুই হয় নি এমন ভাবে হঠাত করে সবাই আষ্টাদশ শতকে বাংলা কাব্যে বাউল দর্শনের প্রভাব বিষয়ক আলচনায় ফিরে গেল।
বালিকা আর বাউল দর্শন এই সবের মাঝেই হাজির হল মেহদী ভাই। জানা গেল সেই সুদূর মহাখালী থেকে বই মেলা পর্যন্ত পুরোটা রাস্তা হেটে হেটে হাজির হয়েছেন। রাস্তায় বিশাল জ্যাম। জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যেতে না পারলেও হেটে হেটে উনি ঠিকি বইমেলায় হাজির হয়েছেন। দুষ্টলোকেরা এর মাঝে মেহদী ভাইয়ের এই জ্ঞান তৃষ্ণা আর বিশাল ফিটনেসের কারণ নিয়ে নানা থিউরি আবিষ্কার শুরু করল। আমি অবশ্য ভদ্র লোক তাই এইসব দুষ্ট আলোচনায় তেমন একটা কান দেই নাই
০৭।
আজকে মেলায় সুমন সুপান্থ’দার সাথে দেখা হয়ে গেল। আগেও একবার কথা হয়েছিল কিন্তু উনার চেহারা গিয়েছি ভুলে। সবাই দেখি খুব পরিচিত ভংগীতে উনার সাথে কথা বলছে। আমার ভাব ভংগী দেখে উনি বুঝে গেলেন আমি চিনতে পারি নাই। আমি অবশ্য স্মার্ট বয়ের মত বলছি একটু কনফিউশন ছিল তবে বুঝে গেছি। জানা গেল আগামীকাল বা পরশু উনার নতুন বই আসছে। উনার নতুন বই নিয়ে কথা বার্তার মাঝে হুমায়ুন ফরিদিও আলোচনায় ঢুকে গেলেন আস্তে করে।
০৮।
মেলার শেষ দিকে দেখি কৌশিক দা আর তার দলবল হাজির। অম্বর দা এসেই অভিযোগ দিলেন কৌশিক দা কেমন করে বিকেল পাঁচটার কথা বলে আটটার পর মেলায় হাজির হয়েছেন। এইসব নানা কথাবার্তার মাঝে অন্দ্রিলা আপু, পিয়াস ভাই আর শামীম হাজির হল। শামীমের সাথে কথা বলতে বলতে জানা গেল ও এইবার বইমেলার নানা তথ্য নিয়ে একটা সাইট বানিয়েছে। সেখানে মেলার নানা নতুন নতুন খবর পাওয়া যাবে। গতবার বই মেলা নিয়ে লিখেছিলাম বলে এরকম নানা খবরের খোজ খবর রাখতাম কিন্তু এইবার আর সেরকম কোন খোজ খবর আর রাখা হয় নি।
নয়টার পর মেলা থেকে আস্তে আস্তে বের হবার সময় দেখা গেল সবজান্তা ভাই অফিসের ব্যগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আসতে আসতে মেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় আর ভিতরে ঢুকতে পারেন নাই। তবে দুষ্ট লোকেরা আসলেই নাছোড়বান্দা। তারা গুজব ছড়িয়ে দিল সবজান্তা ভাই কে নাকি মেলার সিকিউরিটি মেলায় যাইতে দেয় নায়। পুরা এক ঘন্টা মেলার বাইরে দাড় করিয়ে রাখছে।
০৯।
মেলা শেষ হওয়ার পর আরেক দফা দারুণ আড্ডা হল শিববাড়ীর সামনে। সেখানে দেখা হয়ে গেল হয়রান আবীরের সাথে। আমার হাতে তার বইয়ের ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে দেখি বেটা আড্ডা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে দেখি স্বপ্নাহত সেখানে উপস্থিত। তার হাতেও বইপত্তর। মানুষজনের হাতে এতশত বইপত্তর দেখে হিংসা হল। সেই হিংসা বুকে চেপে নিয়ে ভাল মানুষের মত সবার সাথে হাসি মুখে কথা বললাম। এর মধ্যে রায়হান কে তার বুকে ঝুলানো ক্যামেরা দিয়ে আমার একটা ফটো তুলতে বললাম বেটা দেখি পাত্তায় দেয় না। বলে এই ক্যামেরা দিয়ে নাকি খালি সুন্দরী বালিকাদের ছবি তুলা হয়। আফসোস সে এত এত ছবি তুলে আর আমাদের সচলে দেখতে দেয় খালি বইয়ের ছবি। দুনিয়া বড়ই বেইনসাফী জায়গা।
এরমধ্যে দেখা গেল পৌণে দশটা বাজে। গৃহপালিত মানুষ আমি তাই বাসা থেকে ফোন দিল কই আমি। বাকিদেরো তাড়া আছে তাই একদল শাহবাগ আর আরেক দল কার্জনের দিকে রওনা দিল। যাওয়ার সময় চোখে পড়ল অনার্য মডুর নামে কেউ একজন রাস্তায় একটা স্টল খুলে রেখেছে। দুষ্ট লোকদের মারফত জানা গেল সুদূর জার্মানী থেকে বাংগালী বালিকা ভক্ত কূলের সাথে যোগাযোগ রক্ষার্থে এই উদ্যোগ।
০০।
আজ অনেক রাত হইছে তাই আর না। সময় সুযোগ পেলে এরকম গল্প আর হতে পারে তাই রেডিওর ভাষায়- স্টে টিউনড
মন্তব্য
পড়লাম সবার আগে
আমি বিকাল থেকে ঘন্টা দুয়েক ছিলাম। ক্লান্ত লাগায় চলে আসছি কালকে।
ফার্স্টো হওয়ার অভিনন্দন
এইবার দেখি তোমার আর আমার মেলায় যাবার টাইম মিলে না
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কীরে কেমন আছিস?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
জ্যামজটের ভয়ে ঢাকা যাইতেছি না। আটঘন্টায় ঢাকা পৌছে যদি আরো চারঘন্টা লাগে মেলায় ঢুকতে, তাইলে আসতে যেতেই ২৪ ঘন্টা। বই কেনা আড্ডানির সময় কই?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ভয়ের ব্যাপারে একজন বিখ্যাত ব্লগার বলে গেছেন- "ডরাইলেই ডর"
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
পুলাপান মানুষ হল না। ৪ নম্বরে জেনি নামক সুন্দরী ছবি তুলককে পচায়া ৫ নম্বরে নিজেই এসে ছবি তুলসস, তোর লজ্জা করে না?
লেখা জম্পেশ হয়েছে, রাশেদীয় ভাব বজায় রয়েছে বরাবরের মত।
গুড, ভালো ছিল।
পরীক্ষার সময় পড়াশুনা বাদ দিয়া এইখানে কী
আরে ছবি তো তুলতে পারি নাই, রায়হান রাজী হয় নাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
খুবই ভালো লাগলো পড়তে। সহজ, প্রাণবন্ত। আরও লিখুন না বইমেলার কথা, অনুরুধ রইলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
গতকালই পড়েছিলাম। আরো বিস্তারিত জানান, যখনই যাবেন। কৌশিক বরাবরই এমন, তাও তো মাত্র ৩ ঘণ্টা, ব্যাটা আমাকে গুলসান-১এ একবার আধাবেলা দাড় করাই রাখছিল !
facebook
যেই জনৈক বালিকা তোমারে পয়লা ফাল্গুনের বিষয়টা বিশদে বুঝাইলো তার কথা আর লিখলানা? ঘটমাটা কি?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এত্ত বড় একটা লেখা আর ঠিক এই একটা জায়গা আপনার মনে ধরল? লুকজন খ্রাপ হয়ে গেছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নতুন মন্তব্য করুন