মন পবনের নাও ১৬

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০।
একটু আগে বৃষ্টি হচ্ছিল, আসলে সারা দিন ধরেই হচ্ছে। রুমের জানালায় একটু পর পরেই জোরে জোরে বৃষ্টির ফোটারা এসে পড়ে। বন্ধ রুমের ভিতর থেকে সেই শব্দ আর ভারী শোনায়। জানালায় কাঁচ দিয়ে বাইরে তাকালেই নিচের ঝাপসা হয়ে যাওয়া রাস্তাটার ব্যস্ততা চোখে পড়ে। পাশের মেডিকেল কোচিং থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ছাত্র ছাত্রীদের দল গুলো বের হয়ে আসে। পাশের রুমে সামশাদ বেগমের গান বাজে, ষাটের দশকের হিন্দি গান।

এই গান গুলো শুনলেই কেন জানি মনে হয় বড় একটা বাসে বুঝি পিকনিকে যাচ্ছি। ছোটবেলার পিকনিক গুলোতে স্কুলের কয়েক ক্লাস কে ঠেলে ঢুকানো হত এক বাসে। একটু পরে হইচই করতে করতে সবাই যখন ক্লান্ত হয়ে যেত তখন বাসের ভিতর শুধু শোনা যেত স্পিকার থেকে ভেসে আসা হিন্দি গান। খোলা জানালা দিয়ে ভেসে আসা বাতাসে প্রায়ই সেই গান ঝাপসা হয়ে যেত। কাল অফিস নেই তাই পাশের রুমে গান বাজছে। জানালায় ভারী শব্দে জানান দিচ্ছে বৃষ্টি। সেই শব্দে কখনো হারিয়ে যাচ্ছে গান আবার কখনো ফিরে আসছে। ঠিক যেন বাসে করে ছুটে যাওয়া পিকনিকের দিনগুলো কিন্তু মাঝখানে প্রায় দুই দশকের ব্যবধান। এত দিন পরেও ঠিক ভিন্ন দুই অবস্থায় শব্দের পিঠে করে ফিরে আসে স্মৃতি।

০১।
একটা আলাপ প্রসংগে গত কয়েকদিন ধরে একটা বিষয় মাথায় ঘুরছে- প্রতিদিন কি কি খবর আসে পত্রিকার পাতায়। গত কয়েকদিনের পত্রিকার প্রধান খবর গুলো কি কি? ঈদ শেষে মানুষের কর্মস্থলে ফেরা, লঞ্চ ডুবি, তোবা গার্মেন্টেসের বেতন ভাতা সংক্রাত ঘটনা, গাজা পরিস্থিত ইত্যাদি ইত্যাদি। এইবার এই সংবাদ গুলোর মূল সারমর্ম যদি দেখি তাহলে কি দেখব? ঈদ উদযাপন, দূর্ঘটনা, শ্রমিক অসন্তোষ, মধ্যপ্রাচ্য সংকট ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না (যেহেতু আমার কাছে সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই) তবে দশ বছরের পুরাতন পত্রিকার যেকোন একটা মাস ঘাটলেও সম্ভবত ঠিক একই চিত্র দেখা যাবে। কিছু কিছু নির্দিষ্ট সংকটের বৃত্তে আটকে গেছে দৈনিক পত্রিকার পাতা গুলো কারণ আমরাও আটকে গেছি সেইসব সংকটের আবর্তে।

ছোটবেলায় সংবাদপত্র নিয়ে রচনা লিখতে গেলে প্রায়ই একটা কমন লাইন ব্যবহার করতাম- সংবাদপত্র হল সমাজের দর্পণ। এই বাক্য কে সঠিক বলে ধরে নিলে বলতে হয় সত্যিকারের সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের গতি আমরা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে পরিসংখ্যান ভিত্তি তথ্য উপাত্ত সরবারহ করি তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সামনে এগুতে পারছে না। উন্নয়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কে একমাত্র মাপকাঠি ভাবার দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে একটি দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশে পাশে সামাজিক অগ্রগতির সূচক গুলোতে একই গতিতে অগ্রসর না হলে উন্নয়নের সত্যিকার সুফল সমাজের সব স্তরে পৌছাতে পারে না। আর বিভিন্ন স্তরের মাঝে উন্নয়নের এই ভিন্ন গতি সমাজে যে অসামঞ্জস্যতা সৃষ্টি করবে তা ভবিষ্যতে শুধু জাতীয় জীবনে বিভক্তি সৃষ্টি করবে, উন্নয়ন নয়।

০২।
কিছু কিছু জিনিস আছে কখনো বইয়ে পড়ে বা মানুষের মুখে শুনে বুঝা যায় না। এসব জিনিস বুঝতে হলে সত্যিকারের ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হয়। গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে লঞ্চে করে বাইরে যাচ্ছি। রাত বারটার দিকে স্রোত এত বেড়ে গেল যে লঞ্চের কাপাকাপিতে ঠিক করে বসে থাকা দায়। বাইরে কি হচ্ছে বুঝার জন্য উপরে ডেকে উঠে আসলাম। লঞ্চ তখন প্রায় চাঁদপুরের কাছাকাছি। প্রচন্ড বাতাসে ডেকের উপরে দাঁড়িয়ে আছি। মেঘে আকাশ অন্ধকার। হঠাত করে বাতাসে আকাশের একপাশের মেঘগুলো সরে গেল। পুরো কাল আকাশের মাঝে অল্প একটু মেঘহীন ফাঁকা জায়গা। সেই শুণ্যতা দিয়ে বের হয়ে আসা আলো পড়ছে নদীর উপর, অল্প একটু জায়গা জুড়ে। বর্ষার নদী বিশাল, চাদপুরের কাছে তা প্রায় চরাচরহীন। দূরে দূরে জেলে নৌকার আলো ছাড়া সারা পৃথিবী তখন অস্তিতহীন। লঞ্চের অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে পড়ছে। উপরের ডেকে আমরা তিন জন ছাড়া আর কেউ নেই। চুপচাপ শুনশান সেই পৃথিবীতে শুধু অস্তিত জানান দেয় প্রচন্ড বাতাস। এরকম পুরো অন্ধকার নদীতে যখন শুধু সামান্য এক অংশ চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে পাশের অন্ধকার কে আর গাঢ করে তোলে তখন তার সৌন্দর্য কে বুঝাবার জন্য হয়ত কোন শব্দ যথেষ্ঠ নয়। সেই আলো ঠিক স্বপ্নের মত। সত্য নয় আবার সত্য। মাঝে মাঝে জেলে নৌকায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ গুলো কে মনে হয় অন্য পৃথিবীর কেউ। সোনালী আলোয় মাঝে ভেসে বেড়ানো কাল নৌকা, তার উপর কখনো কখনো দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ। দূর থেকে আর কিছুই বুঝার উপায় নেই। না শব্দ না আর কিছু। শুধু দৃষ্টি। তাও কখনো মেঘের কারণে অন্ধকার হয়ে যায় আবার হঠাত করে ফিরে আসে আর তার সাথে চরাচরহীন নদী। শুধু মনে হয়ে এসব কিছু সত্য কিংবা সত্য নয়।

০৩।
একটা সিনেমা দেখলাম, হঠাত করেই- “লেমন ট্রি”। কোন পরিকল্পনা করে নয় এমনি হঠাত করে দেখে ফেলা। খুজছিলাম হার্ডডিস্কে কোন কমেডি সিনেমা। খুজতে খুঁজতে এই সিনামায় হাজির। এক প্যালেস্টাইন মহিলা আর আর তার লেবু বাগান এই হল সিনেমার মূল গল্পের উপাদান। হঠাত করে চোখে পড়ার মত কোন সিনেমা নয় কিন্তু ভাল সিনেমা গুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আপনি কিছু না জেনে দেখা শুরু করলেও আটকে যাবেন। দৃশ্যের পর দৃশ্য আপনাকে তার ফ্রেমে আটকে ফেলবে। চারিদিকে তখন হ্যাশট্যাগের ছড়াছড়ি। অনেকটা হতাশ মানুষের মত আমি তখন গাজার খবর নেওয়া ছেড়ে দিয়েছি। পত্রিকার পাতায় সযত্নে এড়িয়ে যাই খবর গুলো। তবে সিনেমার দৃশ্য থেকে সরতে পারি না।

সালমা এক প্যালেস্টাইন বিধবা। সন্তান থাকে বাইরে। তার সংগী হিসেবে আছে তার বাবার লাগানো লেবু বাগান আর সেই বাগান কে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি। কিন্তু এই লেবু বাগানের অস্তিত্ব সংকটের মাঝে পড়ে যায় যখন তার অপর পাশে প্রতিবেশি হিসেবে হাজির ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তার নিরাপত্তার জন্য সরিয়ে দেওয়া দরকার এই লেবু বাগান। রাষ্ট্র তার ক্ষমতাবান ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় আর একজন মহিলা ধরে রাখতে চায় তার স্মৃতি। শুরু হয় মানবিক সংকটের গল্প। সেই সংকটে ক্ষমতাহীন সালমার পাশে নেই কেউ। না প্যালেস্টাইন না ইসরায়েল। আবার সাহায্যকারী উকিল কে নিয়ে সমাজের ফিসফিসানি। পাশে দাড়াতে চেষ্টা করে ইসরায়েলি মন্ত্রীর স্ত্রী। কিন্তু দেয়ালের ওপার থেকে কি সত্যি সাহায্য করা যায়? তাই কেউ পাশে থাকে না সালমার। হয়ত এটা সে গল্প, সে সময়ের গল্প- রাষ্ট্রের যেখানে অনুভূতি নেই, ক্ষমতাহীনের যেখানে রাষ্ট্র নেই।

০৪।
মানুষের ফিরে আসার ক্ষমতা অসীম। শত প্রতিকূলতার মাঝ থেকেও সে ফিরে আসতে পারে। মাঝে একবার এক ছাত্রের কথা বলেছিলাম। নানা সমস্যায় বেচারার পড়াশুনা বন্ধ হবার যোগাড়। শিক্ষক হিসেবে মাঝে মাঝে দুই একটা উপদেশ দেওয়া ছাড়া আর বলবার মত কিছু নেই। ছাত্রের আত্মসম্মান বোধ উঁচু দরে বাধা। পরীক্ষায় ফি দিতে পারছে না কিন্তু কোন ভাবেই কার কাছ থেকে সাহায্য নিতু ইচ্ছুক নয়। শেষ দিন প্রায় শেষ সময়ে ফি দিল। পরে শুনলাম গ্রামের বাড়িতে সুদের বিনিময়ে ধার এনেছে। এর মাঝে আরেক সেমিস্টার চলে গেল। অনেকদিন দেখা নেই সেই ছাত্রের। আমার সাথে এদের ক্লাস নেই তাই দেখাও হয় না আর। এর মাঝে একদিন দুপুর বেলা হাজির। রুমে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। জিজ্ঞেস করলাম কেমন চলছে সব? উত্তর দিল- ভাল স্যার। আস্তে আস্তে কথায় কথায় সব এসে পড়ল। বলল স্যার দোয়া করবেন এইবার যেন ভাল করতে পারি। বলল, এক কোচিং এ পড়ায় আপাতত তাই অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়েছে অনেকটাই। বাড়ি থেকে টাকা আর লাগে না, শোধ হয়ে গেছে সেই ঋণ। নিজেই বলে চলল তার স্বপ্ন গুলো, ভবিষ্যতের ইচ্ছে গুলো। বড় ভাইয়েরা পড়াশুনা করে নি। স্কুলের গন্ডী পেড়েনো একমাত্র সন্তান পরিবারের। কিন্তু স্বপ্ন দেখে একদিন সব পরিবর্তন হবে। সমুদ্রতীরে মাছ ধরা ট্রলার ছেড়ে আর সামনে যাবে ভবিষ্যত প্রজন্ম। আমি কিছুই বলি না, শুধু স্বপ্নবাজের গল্প শুনি। ল্যাজারুসের গল্প শুনি।

০০।
যখন বয়স কম থাকে আমরা ভাবি বড় হওয়াটাই বুঝি আমাদের সব সমস্যার একমাত্র সমাধান। তাই সব ভুলে আমরা বড় হতে চাই। হয়ত আমাদের ইচ্ছে বলে অথবা সময়ের ধর্ম বলে সময় আমাদের সবার ইচ্ছে পূরণ করে। আমরা একটু করে বড় হতে থাকি আর আমাদের সব সমস্যার সমাধান হতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে আমরা এই সব পুরাতন সমস্যা কে বাক্সবন্দী করে রেখে বড় হতে থাকি, আর সাথে বাক্স বন্দী হতে থাকে আমাদের শৈশব। একদিন আমরা বড় হয়ে যাই, সব ভুলে আমরা বড় হয়ে যাই। কিন্তু কোন ক্লান্ত দিন, হতাশ রাত অথবা গল্পের তোড়ে আমরা আবিষ্কার করি আমাদের মন পড়ে রয়েছে সেই বাক্সবন্দী সময়ে, আমাদের শৈশবে। তবে এইবার ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না কারণ সব সময় ফিরে যাবার উপায় থাকে না।


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ছোটবেলায় মাইক লাগিয়ে পিকনিকে যাবার কথা মনে হয়ে গেল, সেই নীল রঙের চোঙ্গের মত মাইক বাসের উপরে লাগয়ে, আর বাসের সামনে কাপড়ের ব্যানার। সেরকম পিকনিক কি এখনও হয়? এখন খেয়াল করলে দেখবেন পত্রিকার নিউজগুলোর স্টাইল কিন্তু বদলে যাচ্ছে। কাগজের পত্রিকায় কতটা বদলেছে জানিনা, কিন্তু অনলাইন পত্রিকায় নিউজ দেখলে সানি লিওন, শাহ্রুখ খান আঞ্জুমান জোলির নিউজের ভীরে দেখি সব নিউজই চাপা পড়ে যাচ্ছে।

বড় হতে চাই না, ফিরে যেতে চাই, কিন্তু চাইলেই তো যাওয়া যায় না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নিবিড় এর ছবি

অনলাইন পত্রিকাগুলো খবর দেওয়ার থেকে হিট বাড়ানোর ধান্দা বেশি তাই অনলাইন পত্রিকাগুলো পড়া হয় কম। আর আমরাই যেখানে খবর পছন্দ করে বেড়াচ্ছি তখন আর পত্রিকার দোষ দিয়েও বা লাভ কি

মরুদ্যান এর ছবি

গাজা, ইরাক, সিরিয়া থেকে আপাতত সরে আছি। আই এস এর গোটা দুয়েক জবাইয়ের স্হির চিত্র দেখে মনটা এলোমেলো ছিল গত কয়েকদিন। মানুষের ঝগড়া, ভণ্ডামি আর হাদুম পাদুমে বিরক্ত হয়ে ফেসবুকও বাদ দিলাম কয়েকদিন যাবৎ (সেই মানুষের ভীড়ে আমিও নিশ্চয়ই একজন)

আপনার সিরিজটার নাম বড্ড সুন্দর। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ছুডুবেলার পিকনিকের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

নিবিড় এর ছবি

ফেসবুক থাকলেও মানুষের ভন্ডামি থাকবে না থাকলেও থাকবে তাই ফেসবুক কে ছেড়ে থাকলেও ভন্ডামি আপনাকে সহ্য করতে হবেই। আর আপনাকেও ধন্যবাদ

বন্দনা এর ছবি

চাঁদপুরের নাম শুনে মনে চলে গেলে সেই ছোট্টবেলায়। দারুণ লাগলো লেখাটা।

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য

শামীমা রিমা এর ছবি

লেখাটা পড়ে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ছেলেবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম । আর হ্যাঁ নামকরণটাও কিন্তু বেশ । চলুক

নিবিড় এর ছবি

ছেলেবেলার স্মৃতি থেকে কখনো কখনো ঘুরে আসা ভাল হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নিবিড় এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

একটা গান শুনেছিলাম -

মন পবনের নাও
বাইয়া কোন সুদূরে যাও
মাঝি যাও
একবার শুধু এই দুখিনীর
একটি মনের কথা
শুইনা যাও

গানটা যে কে গেয়েছিল তা এখন আর মনে পড়ছে না। খুব সুন্দর একটা লেখা। চলুক

"পাশের মেডিকেল কোচিং থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ছাত্র ছাত্রীদের দল গুলো বের হয়ে আসে"- আহা সেই দিনগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। রিক্সা না পাওয়া গেলে ঝুম বৃষ্টিতে দুই বন্ধু মিলে হেঁটে হেঁটে বাসায় যেতাম। এভাবে ভিজে বাসায় যাওয়ার কারণে ঘটনা বা দুর্ঘটনা যা ঘটত সেটা তো আছেই কিন্তু তবুও মাঝে মাঝেই আমরা বৃষ্টিতে ভিজতাম। ইশ সত্যিই আবার যদি ফিরে পাওয়া যেত সেই দিনগুলো।

ফাহিমা দিলশাদ

নিবিড় এর ছবি

গানটা শোনা হয় নি কখনো তাই বলতে পারলাম না। আর ফিরে যেতে চাইলেও আর ফিরে যাওয়া যায় না শুধু স্মৃতির গলিতে হাটা যায় মাত্র

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নিবিড় এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা একটু করে বড় হতে থাকি আর আমাদের সব সমস্যার সমাধান হতে থাকে।

-সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে নতুন সমস্যাও কি তৈরী হয়না বড়বেলায়?
ছোটবেলার সব সমস্যাই বড়বেলার মধুর স্মৃতি।

অনেক সুন্দর লিখেছেন। নদীর জলে আলো-ছায়ার বর্ণনা - অপূর্ব।

ভালো থাকবেন নিবিড়।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।

-------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, শৈশব, কৈশোর!
♪♫ছেলেবেলার গল্পশোনার দিনগুলো এখন কতদুরে
আজ আসেনা রাজার কুমার পক্ষীরাজে উড়ে!
আমাদের কৈশোরে আমাদের মুরুব্বীরা, সামসাদ বেগম, কাননবালা, সায়গল প্রমুখের গান শুনতেন। তা শুনে আমরাও মুখস্ত করে ফেলতাম। স্মৃতি, তা সে মিলনের বা বিরহের যা ই হোকনা এ বয়সে সবই মধুর!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।