কাচের জানালার পাশে উদ্বিগ্নমুখে দাঁড়িয়ে আছেন ডা আশরাফ। কিছুক্ষণ আগেই জ্ঞান ফিরে এসেছে বিশিষ্ট শিল্পপতি মাহমুদুর রহমানের। চুপচাপ শুয়ে থেকে চোখ পিটপিট করছেন তিনি।
ভেতরে ভেতরে আনন্দে ফেটে পড়ছেন ডা আশরাফ। কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক মাহমুদুর রহমান আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে বিশাল অংকের টাকা পুরস্কার দেবেন।
‘স্যার, ওনার জ্ঞান ফিরেছে।’ নার্স এসে জানাল,‘চাইলেই এখন কথা বলা যায়।’
বিশ্বের প্রথম ব্রেইন সংস্থাপন সফল হয়েছে। মৃত মাহমুদুর রহমানের ব্রেইন তুলে নিয়ে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত সৌমেনের মাথায় লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। বাইশ বছরের ছেলেটি এখন আশি বছরের বৃদ্ধের চিন্তা চেতনার অধিকারী।
ডা আশরাফ গিয়ে দাঁড়ালেন মাহমুদুর রহমানের পাশে, ‘স্যার, এখন কেমন বোধ করছেন? টাটকা-তাজা নতুন শরীর পেয়েছেন। ভাল লাগছে না?’
‘হু লাগছে।’ নিজের নতুন হাত পা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছেন মাহমুদুর রহমান।
‘স্যার, আমার এক কোটি টাকার চেকটা যদি তৈরি করে দিতেন!’ ডা-এর কন্ঠে পুরস্কারের প্রত্যাশা।
মাহমুদুর রহমান অবাক হয়ে ফিরে তাকালেন, ‘আমার দেহটা কোথায়?
‘ওটা তো স্যার এক মাস আগে কবর দেয়া হয়েছে। সে কি কারবার স্যার... একেবারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়-’
‘সর্বনাশ হয়েছে!’ আঁতকে উঠলেন মাহমুদুর রহমান। ‘আমার সবগুলো ব্যাংক একাউন্টে আমার হাতের ছাপ দেয়া আছে। আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া তো সব একাউন্ট লক! আমি যে আসলে আমিই সেটা তো সেন্ট্রাল কম্পিউটার কিছুতেই মানবে না।’
‘আমার...টাকা!’
‘আর টাকা! এখন কোন পাগলে মানবে যে আমি এক মাস আগে মারা গিয়েছিলাম?’
তুষার-ঝরা প্রান্তর পেরিয়ে প্রায় দেড়শ বছর পরে আমি আবার ফিরে আসি আমার আধভাঙ্গা মহাশূন্যযানটার কাছে। এখনও আবছা একটা আলো জ্বলছে যানের ভেতরে। হয়তো আরো শ’তিনেক বছর এভাবে জ্বলবে। তারপর? ফিরে যাবার শেষ আশাটাও নিভে যাবে আমার চোখের সামনে। আমি নীরব হয়ে যানের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে বসে থাকি। আমাকে উদ্ধারের একটা চেষ্টা তো করবে নক্ষত্রপুঞ্জের নেতারা। ফিরিয়ে নিতে একটা যান তো পাঠাবে পৃথিবীতে ! ইরিনয়েডের হলদে আকাশের জন্য আমার ভেতরটা হুহু করে ওঠে। তারাজ্বলা আকাশের দিকে তাকিয়ে গলা চিরে কেঁদে উঠি হঠাৎ।
খোলা প্রান্তরে হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে যায় আমার গলার তীব্র স্বর। পৃথিবীবাসী এই আওয়াজকে ভয় পায়। বহুবার আমি স্থানীয় লোকজনদের ভাষাটা শিখতে চেয়েছিলাম।পরে বুঝেছি আমার বাগযন্ত্র পার্থিব ভাষা শেখার উপযুক্ত নয়। আমি কথা বলার চেষ্টা করলেও ওরা তার কিছুই বোঝে না।
পৃথিবীর মানুষের তুলনায় প্রায় দেড় হাজার বছর বেশি আয়ু ইরিনয়েড গ্রহের অধিবাসীদের। তুলনামূলকভাবে অনেক শীতল আমাদের গ্রহ। চারশ বছর আগে আমি আর আমার সঙ্গী ছোট্ট মহাশূন্যযানটা নিয়ে আছড়ে পড়ি তুষারাচ্ছাদিত এই পাহাড়ি অঞ্চলে। আমরা বুঝে গিয়েছিলাম এই শীতল অঞ্চলছাড়া আর কোথাও গিয়ে বেঁচে থাকতে পারব না। তবু সব পোষাক খুলে ফেলে দিতে হয়েছে। পৃথিবীর মানুষের আচরণ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ছিল না। একদিন খাবারের খোঁজে আমার সঙ্গী কাছের গ্রামটায় গেলে বুকে বর্শার আঘাত আর মাথায় পাথর-ছোড়া জখম নিয়ে ফিরে আসে। আমি কিছু করে ওঠার আগেই শূন্যদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সে মারা যায়। এখন শেষ সম্বল এই যানটাকে আমি গাছের ডাল আর পাথর দিয়ে আড়াল করে রাখি। প্রতিদিন এখান থেকে সংকেত ছড়িয়ে পড়ে অসীম আকাশে। এই নীল গ্রহ থেকে আমার মুক্তির বার্তা নিয়ে হয়তো একদিন আসবে ইরিনয়েডের যান।
হঠাৎ দেখি গাছের আড়াল থেকে ছোট্ট একটা ছেলে এক ঝলক আমাকে দেখতে পেয়েই চিৎকার করতে করতে ছুটে চলেছে গ্রামের দিকে। আমি উঠে পড়ি। হাঁটতে শুরু করি গভীর বনাঞ্চলের দিকে।
বরফের ওপর পড়তে থাকে আমার পায়ের ছাপ। এই ছাপ দেখিয়ে পৃথিবীর মানুষ আমাকে ইয়েতি বলে ডাকে।
মন্তব্য
গল্প ভাল লেগেছে।
কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ইয়েতি রহস্যের দুইটা সমাধান পাওয়া গেল!!
শেষ গল্পটা পড়তে পড়তে চিন্তা করতেছিলাম যে মন্তব্য করার সময় লিখবো তাইলে এমনে ইয়েতির আগোমন! কিন্তু তার আর দরকার হলো না ভালৈছে
আরো চাই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কিন্তু তারেক অণু কোনটা? ছোট ছেলেটা নাকি ইয়ে টা?
তারেক অণু কিন্তু নিচেই ঘুরাফিরা করতেছে, সাবধান।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গল্পটা লেখার সময়ই মনে হয়েছিল একটা তারেকাণু ক্যারেক্টার নিয়ে আসব কি না।
অণু গল্প না হলে একদম ডাইরেক্ট ঢুকে যেত সত্যিই।
ভালো হয়েছে, আরো লিখতে থাকুন।
তবে অনেকেই কিন্তু বিশ্বাস করে ইয়েতিরা অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ভিনগ্রহের প্রাণীদের সাথে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয় ! এমন কিছু ইউরোপিয়ান পেয়েছি নেপালে একাধিকবার। এমনকি তারা এও মনে করে, ইয়েতি তাকে দেখা দেয় যাকে তাদের পছন্দ হয়, মানে চিন্তার ফ্রিকোয়েন্সি এক হতে হয় ( ব্যাটাদের মুণ্ডু ভেঙ্গে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিল- তাহলে আমি তোমাকে দেখছি কি করে, বুদ্ধুরাম?)
facebook
(গুড়)
এ পর্যন্ত যে কটা অণু সায়েন্স ফিকশন লিখেছি সবগুলোই মৌলিক।
এই গল্পটা মাথায় আসে আপনার ইয়েতি বিষয়ক লেখাটা পড়ে।
তবে মনে হচ্ছে এর মূল আইডিয়াটা সম্পর্কে আগে কোথাও পড়েছি।
ছোটবেলায় একটা কমিকসে বোধহয় এমন কিছু পড়েছিলাম। ঠিক নিশ্চিত হতে পারছি না।
মনসটার ইংক মুভিটাতেও অনেকটা এরকম ভাবে ইয়েতির আবির্ভাব হয়েছিল।
দেখা হয়নি।
ধন্যবাদ। এবার দেখে ফেলব।
মূল গল্পের নাম মনে পড়ছে না, মনে হয় সেবা প্রকাশনীর পঞ্চ রোমাঞ্চ বইতে গল্পটা ছিল = একদল পানুষ নিয়ে, মানে পারমাণবিক শক্তি চালিত মানুষ, যাদের আদি নিবাস ছিল আটলান্টিসে।
আপনার গল্পটা পরে সেই গল্পের কথা মনে পড়ল।
facebook
ছিল।
মূল লেখক হেনরি কুটনার। মূল গল্পের নাম ছিলো 'পাইল অব ট্রাবল'। কাজীদার অনুবাদে ছিলো 'ঝামেলা।'
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
চমৎকার। আপনার লেখা দেখেই আগ্রহ নিয়ে পড়তে লেগে গেলাম। আপনার সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি।
আজকের লেখায় দুয়েকটা লাইন কম পড়েছে মনে হল। আটকেছে অল্প একটু দুয়েক জায়গায়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অণু গল্প লিখতে গেলে ঠিক এই জায়গায় মুশকিল হয়ে যায়।
কতটা কম কথায় কত বেশি বলতে পারছি এটা প্রতি লাইনে মাথায় রাখতে হয়।
কোন দু' জায়গায় আটকেছেন যদি একটু বলতেন সুবিধা হতো।
সম্পাদনার সুযোগ যেহেতু আছে কাজে লাগাতে পারতাম।
খুব ভাল লাগলো। চালিয়ে যান।
ভালো লাগলো
চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ডাক্তার হারাইসে এক কোটি কিন্তু শিল্পপতি ভাইয়ার তো গেল কয়েক হাজার কোটি! আমি শিল্পপতি হইলে ডাক্তারের গলায় গামছা প্যাঁচায় দিতাম টান, ব্যাটা আমার বডি আমারে না কয়া...
হেঃ হেঃ হেঃ। ভালো লাগসে নিলয় দাদা।
..................................................................
#Banshibir.
দেখুন পীরবাবা, আমার গত লেখায় একটা কমেন্ট কম পড়েছিল।
পরে বুঝলাম মন্তব্যের লিস্টে আপনার নাম নেই।
গতকাল আপনার 'গ্রেনেড' গল্পটায় যখন দেখলাম আপনি বলেছেন 'অণু গল্প কই?' ঠিক তক্ষুনি লিখতে বসে গেলাম।
কয়েকজন পাঠকের উৎসাহ কিন্তু অনেক শক্তির যোগান দেয়। সেই তালিকায় আপনিও আছেন।
আমি ব্যাপক আইলসা লোক, রেগুলার মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু আপনার সব লিখা পড়ি মন দিয়ে, সেই হরি পন্ডিতের দিন থেকে। চিন্তা নাই। পাশেই আছি।
..................................................................
#Banshibir.
দুটো গল্পই দারুণ নিলয়দা।
খুবই ভাল লাগল।
চালিয়ে যান।
অনেক ধন্যবাদ প্রদীপ্ত।
চলুক
ভাল লাগল দুটাই।
বাহ। চমতকার।
দুটোই ভাল লেগেছে।
আরো চাই।
সুন্দর গল্প। ভাল্লাগ্লো।
_________________
[খোমাখাতা]
চমৎকার! আবহ তৈরি করে আগায় আপনার লেখাগুলো তারপর একটা চমক। লিখতে থাকুন ভাই, ভালো লাগে
এরকম চমৎকার মন্তব্য এলে লেখকেরও ভালো লাগে।
এয়ারপোর্টে বসে, অণুগল্পের চেয়ে উপাদেয় আর কিছু হয় না। আর সেটা যদি এরকম চমৎকার হয়, তাহলে তো কথাই নেই!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভিন্ন আমেজের দুইটা গল্পই ভাল্লাগলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নিলয়দা,
'পূণর্জন্ম' সাংঘাতিক ভাল লাগল! বিজ্ঞান ও অমরত্বের পুরনো বিতর্ককে হাজির করলেন নতুন মাত্রায়। পাশাপাশি, প্রযুক্তি সর্বস্ব পৃথিবীর পর্বতপ্রমাণ ফাঁকও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। আর 'একা' গল্পটির শেষের চমকখানিও ছিল চমৎকার!
আপনার লেখার মূল শিরোনাম নিয়ে আমার একটা কথা আছে; শিরোনামটির শুরু ও শেষে সংখ্যা যুক্ত থাকায় (মানে 'দুটি' ও '৪'), নতুন পাঠকেরা ধন্দে পড়ে যেতে পারে!
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, মামুন।
তবে শিরোনাম নিয়ে ধন্দে পড়ার তেমন কোন কারণ দেখছি না। আমার পাঠক তো সব আপনারাই, তাই না?
নতুন কেউ এলে বামের কলামে আমার অন্যান্য লেখার শিরোনাম দেখেই সব বুঝতে পারবে।
সায়েন্স ফিকশনের পাঠককে কি আর এত ভাবনাহীন ভাবতে পারি?
যাক এতদিনে ইয়েতি রহস্য ভেদ হল। আশা করি ভবিষ্যতে ড্রাগন কিংবা ফিনিক্স রহস্যেরও সমাধান পাব নিলয় নন্দী-র কাছ থেকে!
রনি, একটু আগেই তো এই নিয়ে ফোনে কথা হচ্ছিল আপনার সাথে।
ড্রাগন বা ফিনিক্সের ধারণাটায় খুব বেশি ফ্যান্টাসী জড়িত থাকায় বিশ্বাসযোগ্যভাবে সায়েন্স ফিকশনে আনা কঠিন।
সেই তুলনায় লক নেসের জলদানব বেটার অপশন। আচ্ছা, ভেবে দেখি।
বিয়েম্পির মাহমুদুর আর আম্লকি চৌফিকের মগজ অদলবদল করে দেখা যেতে পারে। আমার ধারনা বিশেষ কিছু তফাত ঘটবে না।
এ সব ফলই টকে গেছে ভাই। তফাতের কিছু দেখি না।
প্রথম গল্পটা সাংঘাতিক্স!
থ্যাংক্স !
বেশ আগ্রহ সহকারে পড়ছি। ভালোইতো লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ।
আমি দেখেছি একটু বয়স্ক পাঠকরা কিন্তু সায়েন্স ফিকশনের নাম শুনলেই নাক সিঁটকান।
আপনি যে আগ্রহ নিয়ে পড়ছেন তাতে আমি সম্মানিত বোধ করছি।
মনে হইল টপাটপ দুইটা আস্ত ফুচকা মুখে পুরে দিলাম। উমহু উমহু!
ব্রেইন সেল এর থেকে স্যাম্পল নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করা যায় না? পাকনামি মাফ করবেন। অতিরিক্ত ক্রাইম সিরিজ দেখার ফল।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ভালো আইডিয়া দিলেন তো!
এ ক্ষেত্রে ব্লাড সেল থেকে পাওয়া ডিএনএ আর ব্রেন সেল থেকে পাওয়া ডিএনএ টেস্টের ফলাফল ভিন্ন হওয়ার কথা।
হুম! নতুন একটা সাইফাই থ্রিলারের গন্ধ পাচ্ছি।
আলাদা হবে কেন? ডি এন এ তো মাথার খুশকি থেকেও বের করা যায়। একই মানুষের কোষ হলে তার ভিতরে ক্রোমোজম একই হবে, ডি এনএ ও তাই একই হবার কথা। তাছাড়া ব্রেইনের মাঝেও ব্লাড স্যাম্পল থেকে যাওয়ার কথা নয়ত ব্লাডম্যাচিং না করে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করা যাবে না।
আপনার অনু সাই ফাই এর সুবিধা এখানে এত খুটিনাটি প্রশ্ন মাথায় আসার আগেই গল্প খতম, খালি ভাল লাগার টাইম পাওয়া যায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
দুর্দান্ত!
ব্রেইন ট্রান্সফিউশনের প্রসঙ্গটা বলতে গেলে এখনও 'ফিকশনের' পর্যায়েই আছে, ফলে খুঁটিনাটি ভাবনার অবকাশ কম। হ্যাঁ, ছোটগল্প বা উপন্যাস হলে অবশ্যই আরো ডিটেইলিঙের প্রয়োজন পড়ে।
আপনার প্রশ্নগুলো শুধু মাথায় না এনে মন্তব্যেও নিয়ে আসুন, অণুগল্পের পালা শেষ হলেই ছোটগল্পের পালা শুরু হবে।
সম্পাদনায় যোগ করছি:
আমি 'এ ক্ষেত্রে' বলতে বুঝিয়েছি যাদের ব্রেইন ট্রান্সফিউশন করা হয়েছে তাদের দেহের ডিএনএ টেস্ট এবং ব্রেইনের ডিএনএ টেস্টের ফলাফল ভিন্ন হবার কথা। আইনস্টাইনের সেই মগজখানা যদি আমার ফাঁকা মাথায় বসিয়ে দেয়া যেত তবু তো সেটা আইনস্টাইনের মগজই থাকত, তাই না?
আপনার মতো মনোযোগী পাঠক পেয়ে খুশি হলাম।
দারুণ। দুটো গল্পই খুব ভাল লেগেছে। চালিয়ে যান।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
অনুগল্প ভালো লাগল।
আরো লিখবেন।
ভালো লেগেছে
আগেই পড়ে গেছি, অণু গল্পের জন্য তিমি সাইজের রসগোল্লা পাঠালাম।
রসগোল্লা !
প্রথমটার ব্যাপারে শুধু একটা কথাই মাথায় এলো। ব্যবসায়ীরা অতো বোকা হন না।
দ্বিতীয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং। ভালো লাগলো, তবে আরেকটু ছেঁটে আনলে আরো জমতো মনে হলো।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আমিও ঠিক এই কথাটাই ভাবছিলাম!
ভালো লেগেছে এদুটোও!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপ্নেতো ভাই একজন সাই(হাই)ফাই মগজের মানুষ। এতো আইডিয়া ঢুকে কেমনে মাথায়? চ্রম হইছে এই দুইটাও।
লজ্জায় ফেলে দিলেন পাঁঠাদা।
নতুন মন্তব্য করুন