হরেন ডাক্তার বেঞ্চিতে বসে পা দোলাচ্ছিল। তার ময়লা ধুতির খুঁটটা গড়ায় মাটির মেঝেতে। নুরু গ্লাস ধুতে ধুতে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। একটা লোক পা দোলাতে দোলাতে কান চুলকায় কিভাবে? ডান কান চুলকানো শেষ। হরেন ডাক্তার পাখির পালকটা বাম হাতে নেয়, তারপর আবার পা দোলায় আর কান চুলকায়। নুরু এগিয়ে গিয়ে চায়ের কাপটা হরেন ডাক্তারের সামনের টেবিলে রাখে, ‘বিস্কুট দিতাম?’
হরেন ডাক্তারের চোখ খুলে যায়। শূন্য চোখে কিছুক্ষণ নুরুর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে শেষে মুখ খোলে, ‘ক্যারে? কী হইছে তোর?’
নুরু একটু থতমত খেয়ে হাসে, ‘কী হইবে ফের?’
‘চা না খাইলাম একটু আগে?’
নুরু লজ্জায় মাথা নাড়ে, ‘খান আরেকবার! বইসা আছেন কতক্ষণ।’
হরেন ডাক্তার এবার গলা চড়ায়, ‘ও হাফিজদ্দি, তোমার দোকানের ইস্টাফ কী কয় শোন! দশ মিনিটের মইধ্যে কি আমি দুইবার চা খাইতাম?’
‘হ্যাঁ, বড় কুটুম আসছেন তো আমার। খান, কী আর করবেন?’ হাফিজদ্দি চাচা পুরনো পেপার তুলে বাতাস খায়।
‘হ্যার কি বিয়ার চিন্তা ধরছে নি? মনটা কই থাকে?’ হরেন ডাক্তার হেসে উঠে চায়ের কাপ টেনে নেয়।
‘দুই দিন হইল এর এই দশা দেখতেছি। অনেক দিন পিঠে কিছু পড়ে না মনে কয়।’ হাফিজদ্দি চাচা দাঁত খিচায়।
নুরু কিছু না বলে মাথা নিচু করে কাপ প্লেট ধুতে থাকে।
সূর্য ওঠার পরপরই নুরু বিছানা ছাড়ে। আবছা অন্ধকারে পাখিদের কিচিমিচি। দূরে মাঠের প্রান্তে হালকা কুয়াশা। দোকানের টিনের ঝাঁপ খুলে দিয়ে বাঁশ দিয়ে সে ঝাপটাকে খাড়া করে রাখে। উল্টিয়ে রাখা টেবিল আর বেঞ্চিগুলো ভেজা ত্যানায় মুছে পেতে দেয় দোকানের ভেতর আর বাইরে। জংধরা টিনের কৌটা থেকে নিমের দাঁতন বের করে কলের পানিতে ধুয়ে মুখে ঢোকায়, ‘ও লাবু ভাই, উঠবেন না?’
‘ভাগ ব্যাটা!’ লাবু ভাই পাশ ফিরে শোয়।
‘ওই মালিক আইল!’ বলে নুরু ঝাড়ু হাতে নিয়ে দোকানের সামনের জায়গাটুকু ঝাড়ু দিতে থাকে। কেন যেন এই সময়টায় তার কি যে ভাল লাগে! একদিন তার অনেক টাকা হবে। সে একটা বড় দোকান দেবে। এই দোকানটার চেয়ে বড়- দয়াগঞ্জের ‘খয়রাত মিষ্টান্ন ভান্ডার’এর চেয়েও বড়- ঢাকা শহরের বড় হোটেলের সমান একটা দোকান। সবাই বলবে, ঢাকা শহরে নুরুর হোটেল। আচ্ছা, ওই রকম একটা হোটেল দিতে ঠিক কত টাকা লাগে? কতগুলো পাঁচশ টাকা? একটা তো যোগাড় হয়েছে। আর কতগুলো লাগতে পারে? কাস্টমারদের দেয়া বখশিস জমাতে জমাতে কি অত টাকা হবে? নুরু একদিন তার টিনের কৌটা খুলে বখশিসের টাকাগুলো গুনেছিল। দুইশ আটাত্তর টাকা। এই গ্রামে কেউ দোকানে খেয়ে বয়কে বখশিস দিতে চায় না। নুরু জানে গঞ্জের দোকানে খেয়ে কাস্টমাররা ভালো বখশিস দেয়। অনেকে নাকি দশ টাকা দেয়। ঢাকা শহরের হোটেলে নাকি একশ টাকাও পাওয়া যায়। একবার ঢাকা গেলে কেমন হয়?
‘কি রে তুই বালিশ নিয়ে এখানে কী করস?’ লাবু মিয়ার প্রশ্নে নুরুর চমক ভাঙে। সে তাড়াতাড়ি বালিশটা কাঁথায় মুড়িয়ে চৌকির নিচে ঠেলে ঢুকিয়ে দেয়।
নুরু সেদিন একটা নোট কুড়িয়ে পেয়েছিল দোকানের সামনে।পাঁচশ টাকার নোট। এর আগে পাঁচশ টাকার নোট অনেকবার দেখেছে সে। কিন্তু নিজের হাতের ওপর এই প্রথম! ভালো করে দেখার আগেই সে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে নোটটা। আর কে দেখেছে? না, কেউ দেখেনি। দূরে মাঠের গরুটা সেই একইভাবে ঘাস খেয়ে চলেছে। জামগাছের মাথার ওপর বসে কাকটা ডাকছে। হাফিজদ্দি চাচা চোখ বন্ধ করে রেডিওতে ‘তুমি আমার মনের মাঝি’ গান শুনছে। কোথাও কেউ দেখেনি। কেউ না !
নুরুর দিনগুলো অন্য রঙে রঙিন হয়ে যায়। রাতগুলো অদ্ভুত সব কল্পনায় উজ্জ্বল। রাতে কেটে রাখা সবজীর টুকরো সকালে ধুতে গিয়ে সে আনমনা হয়ে পড়ে। হরেন ডাক্তারকে চা দিয়ে ফেলে দুবার। রইসু মিয়ার পুকুরে বিকালে গোসল করতে নেমে সে বুঝতে পারে ভুল করে তার পকেটে টাকাটা রয়ে গেছে।
শেষে বুদ্ধি করে নুরু তার পাঁচশ টাকার নোটটা ঢুকিয়ে রাখে নিজের বালিশের ফুটো হয়ে যাওয়া কোনায়। টাকা রাখার আর কোন ভালো জায়গা তার কাছে নেই। টাকাটা সে এমনভাবে পাকিয়ে রাখে যেন আঙ্গুল ঢোকালেই কড়কড়ে নোটটার অস্থিত্ব টের পাওয়া যায়। নোটটা একটু বেশি ভেতর দিকে সরে গেলে বালিশের কোনা ঠেসে ধরে আবার ওটাকে জায়গা মতো নিয়ে আসে। এই করতে গিয়েই ফুটোটা গেল বড় হয়ে। ভোরবেলা ঘুম ভাঙে সারা মাথা আর গায়ে তুলোর রোঁয়া নিয়ে।
লাবু মিয়া ঘুম থেকে উঠে তার চেহারা দেখে ‘ভেড়ার বাচ্চা’ গাল দিয়ে আবার কাত হয়ে শুয়ে পড়ে।
নুরু কাটা সবজীগুলো ধুয়ে রেখে কেটলিতে চায়ের পানি গরম বসায়। একটু পরেই দোকানের কাস্টমাররা আসতে শুরু করবে। আটার ঠোঙ্গা থেকে গামলায় আটা ঢেলে তাতে পানি মেশায় নুরু। ‘ও লাবু ভাই উঠেন। পানি বেশি পড়লে আমি জানি না কিন্তু।’
লাবু মিয়া তড়বড় করে উঠে একটা গাল দেয় তারপর বিছানা গোটাতে থাকে। ‘তুলা-মুলা উড়াইয়া কি বানাইছস বিছনাটারে !’ লাবু মিয়া নিজের গাল মাথা ঝেড়ে তুলো সাফ করে বাইরে চলে যায়।
দুপুরের রান্না প্রতিদিন এক হয় না। বিশেষ করে মাছের পদ কোনদিন রুই আর কাতল, কোনদিন তেলাপিয়া আর শোল। নদীর ধারে মাছের আড়ত ঘুরে হাফিজদ্দি চাচা মাছ কিনে নিয়ে দোকানে ফেরে। খুব বেশি বড় মাছ দেখলে লাবু মিয়া হট্টগোল বাঁধায়। ‘আপনে কাটার লোক রাখতে পারেন না? এই মাছ কি আমি কাটতাম?’ হাফিজদ্দি চাচা মিটিমিটি হাসে। সকালের নাস্তা খেতে আসা কাস্টমাররা অবাক হয়ে তাকায় লাবু মিয়ার দিকে। পরিচিতরা যোগ দেয় হাসিতে। শেষে লাবুভাইকে মাছ কাটতে সাহায্য করতে গিয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলে নুরু।
সেদিন রাত্রে শক্ত করে ত্যানা বাঁধা আঙ্গুলটা বালিশের ফুটোয় গুঁজেও সে নোটের অস্থিত্ব টের পায় না। আঙ্গুলটা কি শুধুই তুলোর স্তরে পড়ে আছে, নাকি ঠেকেছে সেই স্বপ্নের নোটে?
ইচ্ছে হলেই দোকানে এসে মাছ- মাংস-ভাত খাবে এত টাকা গাঁয়ের লোকের নেই। দোকানটা আসলে চলছে রওশনপুর স্টেশনে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের কারণে। দয়াগঞ্জের দিকে ডাউন ট্রেনটা স্টেশনে এসে ঢোকে দুপুর একটার দিকে। তার আগেই সব রান্না-বান্না সেরে রাখতে হয়। তড়িঘড়ি দুটো ভাত মুখে দিয়ে কেউ ছোটে স্টেশনের দিকে। কেউ বা স্টেশন থেকে ফেরার পথে দোকানে এসে বসে এক কাপ চা খায়। হাইস্কুলের ছেলেমেয়েদের ছুটি হয়ে গেলে সবাই এই রাস্তা দিয়ে যায়। নুরুর ইচ্ছে করে তাদের সাথে হইচই করতে করতে বাড়ি ফিরতে। এই সময় লাবু ভাই চোখের ইশারা করে, ‘রইসু মিয়ার পুকুরেত যা গা ! যাবি আর আবি কইলাম !’ সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে। নুরু লাবু ভাইকে নিয়ে ভাত খেতে বসে। ডালের গামলার ওপরে ভনভন করতে থাকা মাছি তাড়ায় হাফিজদ্দি চাচা। আধো ঘুমে ঢুলতে থাকা নুরু হাঁ করে-‘কই দ্যাও না?’ তারপর চোখ খুলে অবাক হয়ে তাকায়। কই, কেউ তো নেই ! কার কথা ভাবছিল সে?
হাফিজদ্দি চাচার বড় ছেলে রমিজ একদিন এসে খুব ঘ্যানঘ্যান করতে লাগল। তার স্কুলের বেতন দেয়া হচ্ছে না, যে কোন দিন স্কুল থেকে নাম কাটিয়ে দিতে পারে। হাফিজদ্দি চাচা মিচকি হেসে বলে, ‘হ্যাঁ। জজ -ব্যারিস্টার হইতে যাচ্ছেন আপনে? ডাঙ্গুলি খেইলা তো পড়াশুনার সমায় পান না। আপনের খাওন আসে কইত্থেইকা শুনি?’
‘তাইলে আর কী?’ রমিজও তড়পায়, ‘আমি স্টেশনে কুলীর কাম করতাম?’
‘তাই যা গা। যাইর যা মর্জি!’
রমিজ একটা ঢিল কুড়িয়ে নিয়ে বের হয়ে যায়। নুরু ভাবে ছুড়ে মারবে বুঝি। কিন্তু রমিজ তাক করে একটা শালিক পাখিকে। পেছন থেকে হাফিজদ্দি চাচা গলা চড়িয়ে ডাকে, ‘ওই রমিজ, রুই মাছের সালুন আছে। নিয়া যা বাড়ির লাইগা।’ রমিজ ফিরে তাকায় না।
হাফিজদ্দি চাচা ক্যাশ বাক্স খুলে টাকা বের করে গোনে। ‘সাড়ে চাইর শ টাকা বাকি পড়ছে ইস্কুলে। ঠিক আছে, কাইলকা দিয়া আমু নে।’
নুরু তাকিয়ে থাকে টাকাগুলোর দিকে। দুই …পাঁচ… দশ… বিশ… পঞ্চাশ… কত টাকা! হাফিজদ্দি চাচা রেডিওর ভলিউম বাড়িয়ে দেয়। দোকানে কাস্টমার ঢুকছে।
এরই মধ্যে একদিন দয়াগঞ্জের দিক থেকে ধুলো উড়িয়ে এসে হাজির হয় একটা লাল মোটর সাইকেল। শক্তপোক্ত কালোমতো দুজন লোক এসে ঢোকে দোকানে। সামনে চায়ের কাপ নিয়ে তারা অনেকক্ষণ ‘বিজনেসের অবস্থা’ নিয়ে আলোচনা করে। তারপর একজন ঠাণ্ডাচোখে তাকায় হাফিজদ্দি চাচার দিকে। ‘ক্যারে ভাই, এইখানে সাতদিন আগে একটা পাঁচশ টাকার নোট ফ্যালাইছিলাম- পাইছেন নি?’
বুকের ভেতরটা হিম হয়ে যায় নুরুর। একরাশ অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকে হাফিজদ্দি চাচা। তারপর বলে, ‘কেউ পাইলে সেইটা কয় নি?’
লোকটার মুখে একটু লজ্জামাখা হাসি ফুটে ওঠে। ‘কিন্তুক টাকাটা আমি ফ্যালাইছিলাম এইখানেই।’ সে আঙ্গুলটা তুলে বাইরের মোটর সাইকেলটা দেখায়।‘পকেটের চিরুনীটা আমি একবারই বাইর করছিলাম। তক্ষনই চাড়া খাইয়া পড়ছে।’
‘তাইলে নিছে কেউ।’ হাফিজদ্দি চাচা ঠোঁট ওলটায়। ‘কাস্টমার তো কম আসে না।’
বিজনেসের অবস্থা যে ভালো না সেটা আবারও বিরক্তমুখে জানিয়ে লোকদুটো মোটর সাইকেলে উঠে চলে যায়। সে দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে নুরু চোখ ফেরায়। দেখে পূবপাড়ার চন্দন মিয়া এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। কী জানে চন্দন মিয়া? হঠাৎ গলা খাঁকড়ায় হাফিজদ্দি চাচা, ‘ওই ব্যাটা, কাস্টমার কী চায় শুনছ না?’ নুরু চমকে উঠে পানির গ্লাস নিয়ে আসে।
সেদিনই রাত্রে বাড়ি যাওয়ার আগে হাফিজদ্দি চাচা নুরুর বিছানায় শুয়ে পড়ে। ‘ঘাড়ের ব্যাথাটা আবার বাড়ছে রে নুরু ! সারাদিন একভাবে বইসা থাইকা এই অবস্থা। একটু সইরষার তেল গরম দে না?’
জামগাছের মাথার ওপর দিয়ে বাতাস বইছে শনশন। লাবু মিয়া বাইরের উঠোনে বসে কালকের নাস্তার সবজী কাটছে আর মিহি সুরে গাইছে-‘ও রাই জাগো গো’। গরম তেল নিয়ে হাফিজদ্দি চাচার ঘাড়ে পিঠে মালিশ করতে বসে নুরু। নুরুর ফুটো বালিশে থুতনি ঠেকিয়ে চোখ বোজে হাফিজদ্দি চাচা। একসময় বিড়বিড় করে বলে, ‘টাকাটা থুইছস কই?’
কেঁপে ওঠে হাত। হাফিজদ্দি চাচা মাথা নাড়ে, ‘ব্যাটা ইন্দুরের ছাও ! এই জন্যে কয়দিন কাম কাইজে মনোযোগ নাই ! আমার দোকানের চৌহদ্দির মইধ্যে যদি কোন টাকা পাইস, সেই টাকা আমার টাকা না? তুই কুড়াইয়া পাইলেই কি সেইটা তোর হইছে?’
নুরু কী যেন ভেবে হঠাৎ ফুঁপিয়ে ওঠে, ‘আমি মায়রে দেখতে যাইতাম !’
হাফিজদ্দি চাচা উঠে বসে নুরুর মুখের দিকে তাকায়। তারপর বলে, ‘তা দেখতে যাবি যা, তোরে না করছি নি? এর মইধ্যে তুই কিসের আলাপ শুরু করলি?’ হাফিজদ্দি চাচা গজগজ করতে করতে শার্টটা কাঁধে ফেলে উঠে যায়।
সেদিন রাত্রে নুরু তার ফুটো হয়ে যাওয়া বালিশে মাথা দিয়ে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার মনে হয় দূর গাঁয়ে কে একজন শুকনো পাতা জড়ো করে ছোট্ট মাটির হাঁড়িতে ভাত বসিয়েছে। চারদিকে পাতা পোড়ার গন্ধ। আগুনের হলদে আলো একসময় মিশে যায় জ্যোৎস্নার আলোয়।
কেন যেন বার বার চারদিক ঝাপসা হয়ে আসে। পাঁচশ টাকার কথা তার আর মনে পড়ে না।
মন্তব্য
লেখাটা অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে। আমার ছোট লেখা পড়ে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁরা হতাশ হবেন।
আমি আগাম দুঃখ প্রকাশ করছি।
নিলয়, লেখায় এক আকাশ তারা ।
লেখার দৈর্ঘ্য নিয়ে ভাববেন না যেন । যখন যা লিখছেন তার দাবীটুকু শুধু মেটাবেন । আপনার গল্পটি এত ভাল লাগল তাই এত অযাচিত কথা বলা । আশা করছি কিছু মনে করবেন না ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মনে করার কিচ্ছু নেই।
এক আকাশ তারার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দারুণ। আপনার গল্পের হাত দারুণ, অণুই হোক আর বড়ই হোক। ফাকিজুকি বাদ দিয়ে নিয়মিত লিখতে থাকেন।
ফাঁকি-জুকি বাদ।
এখন থেকে নিয়মিত।
চমৎকার লাগল
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দুর্দান্ত !!!!!!! এইটুকু গল্পে এত সুন্দর-সুন্দর ডিটেল!!!! চোখ আছে আপনার......
থেংকু !
সুন্দর। ভালো লাগলো।
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!
অসংখ্য ধন্যবাদ।
জটিল!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মিষ্টিমুখ।
আসল গল্প-লিখিয়ে আপনি!! দারুণ!!
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা !
চমৎকার। আরো লিখুন।
লিখব।
কেউনা কেউ কারও জন্য অপেক্ষা করে
চমৎকার এক বারে অসাধারণ।
শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার
অনেক ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য।
খুব ভালো লাগল লেখা। আরও অনেক গল্প চাই।
ঈপ্সিত আর চম্পাকলি
---------------------------------
বোলতা কহিল, এ যে ক্ষুদ্র মউচাক,
এরি তরে মধুকর এত করে জাঁক!
মধুকর কহে তারে, তুমি এসো ভাই,
আরো ক্ষুদ্র মউচাক রচো দেখে যাই।
--------------------------------------------
নিশ্চয়ই আসবে, সঙ্গে থাকুন।
লেখক-জুড়িকেও শুভেচ্ছা।
চমৎকার - আপনার আগের লেখাগুলোও পড়ে ফেলতে হবে।
সচলে সম্প্রতি একটা টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে।
বাম দিকের লেখকের অন্যান্য লেখা কলামটা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। আপনার ক্ষেত্রে হচ্ছে না?
আমি মেইল করে দু'বার অভিযোগ জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়।
সম্পাদনায় সংযোজন: সমস্যা মিটেছে।
শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে ।
facebook
আপনার এই গল্পটার দৃশ্যকল্প বর্ননাটা দারুণ। আমি নিজেও হাফিজদ্দির দোকানে ঢুকে গিয়েছিলাম।
মাটির চুলোয় শুকনো পাতা দিয়ে জ্বালানো আগুনের ধোঁয়ার মন মাতানো গন্ধটা খুব মনে পড়লো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি জানতাম চিত্রকল্প নিয়ে আপনার কাছ থেকে একটা মন্তব্য পাব।
আমার অনুমান মিলে গেছে।
দারুণ হয়েছে। বিশেষ করে ডিটেলের কাজ নিখুঁত
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ভাল থাকবেন।
দারুণ!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহারে! অন্তড় নাড়া দি্য়ে গেলো।
যাঁরা মা'কে বাড়িতে রেখে, দূরে কর্মক্ষেত্রে এসে কাজ করেন তাঁদের সবার মনের কথা আমি জানি।
মারাত্মক।
আপনি বই বের করেন।
..................................................................
#Banshibir.
আত্মবিজ্ঞাপন হয়ে যায় বলে এসব বলতে একটু সংকোচবোধ করি।
২০১৩-র বইমেলায় উত্তরণ থেকে আমার ১৪টি নির্বাচিত গল্প নিয়ে বেরোচ্ছে
কিশোরগল্প সংকলন আমার মায়ের মুখ।
বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখকই ছোটদের গল্প আর কিশোরগল্পের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না।
চাইছি এইক্ষেত্রে একটা উত্তরণ ঘটাতে। আমি নিশ্চয়ই আপনাদের পাশে পাব।
বই মনে করেন এক কপি আজকেই বিক্রি হয়ে গেসে। বইমেলায় আমার মেলা লোক আসে ঠিকৈ বই আনায় ফেলবো।
আগাম অভিনন্দন। লেগে থাকুন আপনি পারবেন।
..................................................................
#Banshibir.
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ফারাসাত
পীর বাবার সাথে একমত। আপনার বই পড়ার অপেক্ষায় আছি......
অপেক্ষায় আছি আমিও।
তবে এটা হবে আমার সপ্তম বই। এর আগেরগুলো ছিল পিচ্চি-কাচ্চিদের জন্য অনুবাদ/ রূপান্তর/পূনর্লিখন।
সত্যিকার অর্থে এটাই আমার প্রথম বই।
সকালেই পড়েছিলাম এখন মন্তব্য করছি। আপনার দেখার চোখ আছে সেইসাথে আছে সেটাকে বাক্যে রুপান্তরিত করে পাঠককেও দেখানোর। বড় লেখা হয়ে গেছে বলে ভয় পাবার বা দেখানর কিছু নেই। এইরকম যিনি লেখতে পারেন তার আরো বড় এবং বেশী লেখা উচিৎ কারণ আমাদের সেই ইচ্ছা, ধৈর্য্য এবং সাহস সবটুকুই আছে।
ফারাসাত
অসাধারণ। আপনার বইয়ের আরেক কপিও মনে করেন বিক্রি হয়ে থাকল।
যাক গে ! এই নিয়ে আর কথা না বাড়াই।
ব্লগ লেখাকে বই বিক্রির প্রকল্পের অংশ করতে চাইছি না আসলে।
শুভাকাংখীরা সাথে আছেন এটা অনেক বড় পাওনা।
কেমন যেন অদ্ভুত রকম মন খারাপ হয়ে গেলো গল্পটা পড়ে।
আশা করি আরো লিখবেন এরকম গল্প
নতুন মন্তব্য করুন