কথা

নিলয় নন্দী এর ছবি
লিখেছেন নিলয় নন্দী [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৭/২০১৫ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে ভেবেছিল ঘুম ভাঙ্গার পরেও আরো একটু গড়িয়ে নেবে। কিন্তু জানালা দিয়ে আসা সকালের কড়া রোদ মুখে এসে লাগতেই মাহবুব চোখ খুলে উঠে বসে। বিশ্রী এই রোদের তেজ তার ঘুম তাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কাল সে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিল। ঘুম আসে না, কী করবে? কত রাত পর্যন্ত কত কথা হলো তার ছোটবেলা নিয়ে! বাড়ির কথা, নদীর কথা, ময়নাডাঙ্গা গ্রামের হাটের কথা। এমন কী মাহবুব যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের হাশেম স্যারের কথা। বাচ্চা মেয়েটা চুপচাপ এক মনে শুনে গেছে। কোন কথা বলে নি। তারপর হাত পেতে বলেছে- ‘আমার জুতাটা দাও!’
মাহবুব হাসে, ‘কী করবি বল তো? জুতো পেলেই তো পালিয়ে যাবি- আর আসবি না এখানে!’
মেয়েটা হাসে, ‘আসব তো। তুমি আমার জুতা দাও।’ সে এক পা সামনে বাড়িয়ে দেখায়, ‘এই যে দেখ, আমার অন্য পায়ে কিছু নাই!’
মাহবুব বিছানা ছেড়ে ছাদের কোনে গিয়ে কল ছেড়ে হাতমুখ ধোয়। বেশি করে পানি ছিটায় মাথায় আর ঘাড়ে। ছাদের রেলিঙে বসে রোদ পোহানো কাকটাকে তাড়িয়ে দেয় ‘হুশ’ করে। হঠাৎ তার এ কী হলো? এমন তো হওয়ার কথা নয় ! কোথাও কোন বাচ্চা মেয়ে নেই। এই ছাদে নেই। চিলেকোঠার ওই ঘরে নেই। এই বাড়ির ত্রিসীমানায় সে নেই। তাহলে কি সে কোন দিন ছিলই না? ছিল তো নিশ্চয়ই। নইলে মাহবুবের খাটের তলার ট্রাংকের ভেতর খবরের কাগজে মোড়ানো ওই জুতোটা তবে কার?
‘সার, নাস্তা খাইয়া নিচে আইসেন। খালু বুলাইছে।’
চমকে উঠে পিছনে তাকায় মাহবুব। টেবিলের ওপর নাস্তার প্লেট রেখে বেরিয়ে যাচ্ছে জমির। সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাবার আগে তার দিকে অদ্ভূত দৃষ্টিতে ফিরে তাকায় সে।
বিছানায় বসে মাহবুব নাস্তার প্লেটের ঢাকনী তোলে। শুকনো দুটো রুটি আর নেতানো একটু আলুভাজা। প্লেটের পাশে কোনাভাঙ্গা চায়ের কাপে ঠাণ্ডা চা। প্রতিদিন সকালে এই তার জন্য বরাদ্দ। আজ আড়াই বছরে এর থেকে ভিন্ন কিছু সে তার নাস্তার প্লেটে পায় নি। হ্যাঁ, একবার আসমার জন্মদিনের পরের সকালে সে একটা মিষ্টি পেয়েছিল রুটি আর আলুভাজার সাথে।
‘তোমার খুব কষ্ট না? ওরা তোমাকে খেতে দেয় না ঠিকমতো?’ মাহবুবের পাশে এসে বসেছে বাচ্চা মেয়েটি। জানালা দিয়ে আসা দমকা হাওয়ায় ওড়ে তার ফ্রকের প্রান্ত।
মাহবুব উত্তর দেয় না। চুপচাপ খেতে থাকে। হতেও তো পারে জমির ফিরে এসে কান পেতে আছে দেয়ালের ওপাশে। এখন কিছু বললে সে ফিরে গিয়ে আসগর সাহেবের কাছে গিয়ে বলবে- ‘সারে দেখি আবার একলা একলা কথা কয় খালু!’
‘কথা বলো না কেন তুমি?’
মাহবুব খাওয়া শেষ করে কাপপ্লেট ধুয়ে এসে দেখে মেয়েটি নেই। পাশের বাড়ির কাজের মেয়েকে ধমকায় বাড়িওয়ালী। নারকেল গাছের পাতায় বসে কাকটা ডাকতে থাকে একটানা। বড় রাস্তার ওপরে ভারী মিলিটারী-ট্রাকের যাতায়াত। চারিদিকে এত শব্দ। মাহবুব তার মাঝে কান পেতে থাকে বাচ্চা মেয়েটার কথা শোনার আশায়। সে ফিরে আসে না।
মাহবুবকে সোফায় এসে বসতে দেখে আসগর সাহেব আবার দৈনিক সংবাদের পাতায় ফিরে যান। গত ২৫ তারিখের পর পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে, উনি প্রতিদিন সকালে পুরনো পত্রিকাগুলোই পড়েন। মাহবুব বসে থাকে কিছুক্ষণ। শেষে উঠে যাবে কিনা ভাবছে এমন সময় আসগর সাহেব ফিরে তাকান, ‘তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে?’
‘জ্বী ভালো।’
কিছুক্ষণ বিরতি। ‘আসমার পড়াশোনা কেমন চলছে?’
‘জ্বী ভালো।’
‘দেশের অবস্থা কী? কেমন চলছে?’
মাহবুব কী উত্তর দেবে ভেবে পায় না। দেশটা ঠিক কেমনভাবে চলছে? সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ মিলিটারী নেমে ঢাকা শহরে একটা তুঘলকি কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছে। যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই গুলি করে মেরেছে। কত লোক মারা গেছে কেউ জানে না। সিটি কর্পোরেশনের লোকেদের যথেষ্ট খাটুনী গেছে রাস্তা থেকে লাশ সরিয়ে নিতে। শেখ সাহেব বেঁচে আছেন না মারা গেছেন তাও কেউ জানে না। এখন দেশের অবস্থা আসলে কী?
‘জ্বী ভালো!’
আসগর সাহেব উত্তরটা শুনে হাতের কাগজ নামিয়ে রাখেন, ‘তুমি বাড়ি যাও না শুনেছি অনেক দিন। চাইলে ঘুরে আসো।’
মাহবুব চুপ করে থাকে।
আসগর সাহেব হাত বাড়ান, ‘আমার মানিব্যাগটা আছে ওই শোকেসের ওপর... ওই যে নীল বক্সটার কাছে। দাও আমাকে।’
হাতে কিছু টাকা নিয়ে মাহবুব চিলেকোঠার ঘরে ফিরে আসে। আসগর সাহেব কী বোঝাতে চাইলেন? এই শহরে কি আর ফিরে আসা হবে? নাকি তাকে গ্রামেই থেকে যেতে হবে? ময়নাডাঙ্গা গ্রামের বিলের ধারের মাঠটার অবস্থা এখন কী সে জানে না। কেমন আছে বুনো বটের ঝুরি? বাঁশবনের বাতাস? উজান গাঙের ঢেউ?
মেয়েটাকে দেখা যায় না কোথাও। খাটের নিচের ট্রাংকটা সে টেনে বের করে। খবরের কাগজে মোড়ানো এক পাটি জুতো। বাচ্চা মেয়ের নীলরঙা জুতো। জুতোয় রক্তের দাগ।
প্রথমে বাস, তারপর নৌকো আর শেষে পায়ে হেঁটে ময়নাডাঙ্গা গ্রাম। পথে তেমন কোন সমস্যা হয় নি। নড়াইল সদরে একবার মিলিটারীরা বাস আটকে রেখেছিল আধঘন্টা। তবে যাত্রীদের তল্লাসী না করেই ছেড়ে দিয়েছে। বাসের যাত্রীদের মুখগুলো আতংকে কালো হয়ে গেছে। কয়েকজনের কাছ থেকে শোনা যায় স্বাধীন বাংলা নাকি ঘোষণা করেছে রেডিওতে। তারা নিজের কানে শুনেছে। কথাটা বিশ্বাস হয় নি মাহবুবের। এখন গুজবের সময়। যার যা খুশি বলবে।
তিন মাইল পায়ে হেঁটে ময়নাডাঙ্গা বাজারে এসে যখন সে পৌঁছায় তখন সূর্য ডুবে যাওয়ার মুখে। বাজারে লোকজন কম। আনাজ সদাই বেচতে আসা মানুষগুলোর মুখে হতাশার ছাপ। সরিতের সেলুনে চেয়ারগুলো আছে, তারা কেউ নেই। গ্রামের কটা ছেলে বসে আড্ডা দেয় সেখানে। গামছা ঘুরিয়ে হাওয়া খায়। মোজাম্মেলের চায়ের দোকানে বসে নোনতা বিস্কুট দিয়ে এক কাপ চা খায় মাহবুব। মোজাম্মেল তার দিকে তাকিয়ে একটু উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, ‘আইলি নাকি?’ জবাবে সম্মতিসূচক একটা হাসি দেয় সে। তার কথা কি ফুরিয়ে আসছে? তার সব কথা কি এখন কাঁধের ব্যাগে রাখা কাগজে মোড়ানো এক পাটি জুতোর সঙ্গে?
বাড়ির দরজায় একটা রুগ্ন কুকুর বসে ছিল। তাকে দেখে উঠে চলে যায়। উঠোনে পা দিয়েই সে মাকে খোঁজে। টিনের চালে মরিচা ধরেছে। চারদিকে বেড়ে উঠেছে ঘাসজঙ্গল। কেন যেন শুকনো পাতাগুলো কেউ ঝাড় দেয় নি আজ। উঠোনের কোনে লাউমাচায় দুটো কচি লাউ দেখে তার মুখে হাসি ফোটে।
‘মা? ...কোথায়?’
ভেজিয়ে রাখা কাঠের দরজা খুলে মা ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে। অনেক কথা বলে যায় একসাথে। মাহবুব হাসিমুখে সব শোনে তারপর বলে, ‘দেশ তো স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে, আর কোন দুঃখ থাকবে না আমাদের।’
মা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। দেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে মানে কী? এতদিন ছিল না?
রাতে উত্তরের ঘরের চৌকিতে শুয়ে মাহবুব ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে সবাই বড় বড় চাকরী পাবে। ঢাকায় একটা বড় বাড়ি ভাড়া নেবে সে। মাকে নিয়ে যাবে সেই বাড়িতে। বুবুকে নিয়ে যাবে। এইটুকু ভেবেই সে থেমে যায়। বুবু তো নেই ! মারা গেছে সেই ছোটবেলায়। ঠিক তখনই সে মেয়েটাকে দেখতে পায় তার পায়ের কাছে। জানালা দিয়ে আসা আধো জ্যোৎস্নার আলোতে সে নিজের এক পা সামনে বাড়িয়ে দেয়- ‘আমার জুতা দাও!’
এই মেয়েটা কি তার বুবুর মতো দেখতে? বুবু কি এমন দেখতে ছিল? ‘এই তোমার নাম কী?’
জবাব না দিয়ে সে হাসে। মাহবুবও হেসে তার স্বপ্নের কথা বলে। তার মায়ের কথা। বুবুর কথা। আরো কত কিছু বলতে বলতে সে তলিয়ে যায় ঘুমের অতলে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ময়নাডাঙ্গা মসজিদের ইমাম সাহেব বসে আছেন উঠোনে পেতে রাখা আধভাঙ্গা চেয়ারে। মাটিতে রাখা চায়ের কাপ খালি। সালামের জবাব দিয়ে তিনি হাত বাড়িয়ে মাহবুবের হাত ধরেন, ‘কী হইছে তোমার বাজান?’
‘কিছু হয় নাই তো চাচা?’
মা এগিয়ে এসে সবিস্তারে বর্ণনা করে রাতে সে কতক্ষণ একা একা কথা বলেছে। ইমাম সাহেব তাকে মুখ ধুয়ে অজু করে আসতে বলে। তারপর দীর্ঘ সময় নিয়ে সুরা পড়ে তার মাথায় ফু দিয়ে দেয়। বলে দেয় বিকালে গিয়ে যেন তাবিজ নিয়ে আসে।
ইমাম সাহেব চলে গেলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে কিছু কথা শোনায়। জবাবে মা বলে, ‘কী খাবি দুপুরে? বাঁশপাতা মাছের ঝোল করি?’
সে আর কিছু বলার সুযোগ পায় না। মাথা চুলকে চলে যায়।
সন্ধ্যায় মা তাবিজটা মাহবুবের হাতে পরিয়ে দিলে সে আর কিছু বলে না। দিনরাত বাসায় বসে থেকে কী করবে? মা তাকে বাজারে গিয়ে রেডিও শুনে আসতে বলে। মাহবুব রাজি হয় না। রাতে খেয়েদেয়ে উত্তরের ঘরের চৌকিতে গিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকে। সেই মেয়েটার দেখা পায় না। শেষে ব্যাগ খুলে বের করে সেই এক পাটি জুতো।
এই জুতোটা সে পেয়েছিল আসগর সাহেবের বাসার কাছেই রাস্তায়। যে দিন মিলিটারী নামল শহরে তার পরদিন সকালে। কেন যে রক্তের দাগলাগানো এই জুতোটা সে তুলে নিয়ে এলো সে নিজেও জানে না। বুবু মারা যাবার সময় বয়স কত ছিল? এই মেয়েটার সমান নয়? ছোট্ট বুবু কীভাবে মারা গেছে তার মনে নেই। মাকে জিজ্ঞেস করতে তার ইচ্ছে করে না। সেই ছোটবেলা থেকেই সে একা। অনেক কথা জমে ছিল বুবুকে বলবে বলে। কিছু বলা হয় নি।
এক পাটি জুতো হাতে মাহবুব সারারাত চৌকিতে বসে থাকে। মেয়েটা এসে আর বলে না, ‘কই? আমার জুতা দাও?’ চাঁদ ঢলে গেছে আকাশের কোনে। বাড়ির পেছনে শেয়াল ঘুরে বেড়ায়। ঝিঁঝিঁর ডাকে কান পাতা দায়। কোথাও কেউ নেই। শেষে ভোরবেলায় সে হাত থেকে তাবিজটা খুলে বাড়ির পেছনের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে।
বুবুকে বলার জন্যে এখনও অনেক কথা জমে আছে। একবার হারিয়ে ফিরে পাওয়া মানুষকে আর হারাতে দেয়া যায় না।


মন্তব্য

নিলয় নন্দী এর ছবি

ব্যাপারটা হয়েছে কী, আমি খুব অলস খাইছে 'কিশোর' পত্রিকার সম্পাদক সেটা জানেন বলেই দু মাস আগে ঈদ সংখ্যার তাড়া দিয়ে গেছেন। শেষ মুহুর্তে এসে দেখি মাথায় কোন গল্পই নেই। আমার এক ফেসবুক ছোটভাই দু' তিন লাইনে এই গল্পের আইডিয়া দিয়ে রক্ষা করল! এক রাতেই চটপট লিখে দিয়ে দিলাম। আর কিছুটা সময় পেলে আরাম করে লিখতাম মন খারাপ
কৃতজ্ঞতা : বর্ষণ হাসান অয়ন

অতিথি লেখক এর ছবি

একবার হারিয়ে ফিরে পাওয়া মানুষকে আর হারাতে দেয়া যায় না।

চলুক

দেবদ্যুতি

নিলয় নন্দী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্পর্শ এর ছবি

ভালো হইছে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিলয় নন্দী এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আরাম করে লিখতে বসলে এমন হতো কিনা জানিনা। তবে একরাতের তাড়াহুড়োর লিখার মধ্যে অানন্দ খুঁজে পেয়েছি।
Jaraahzabin

নিলয় নন্দী এর ছবি

হ্যাঁ, লেখালেখিও তো কম আনন্দের বিষয় নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

রানা মেহের এর ছবি

বুবুর সাথে মেলানোর ব্যাপারটা বাদ দিয়ে গল্প ভালো হয়েছে।

তুঘলকী কান্ড কথাটা কয়েকবার শুনেছি। এর মানে কী? তুঘলক সাহেব কী করেছিলেন?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নিলয় নন্দী এর ছবি

পড়বার জন্য ধন্যবাদ। বুবুর সাথে মেলানোর ব্যাপারটা অপ্রাসঙ্গিক লেগেছে? হতে পারে। তবে মানুষের মন তো, কার সাথে কিসের মিল খুঁজে পায় কে বলতে পারে? আর পুরো গল্পটার ট্রিটমেন্ট ভালো হয়েছে বলব না। যত্ন নেবার সময় পাই নি আসলে।

মুহাম্মদ বিন তুঘলক ছিলেন চতুর্দশ শতাব্দীতে তুঘলক রাজবংশের শাসক ও দিল্লির সুলতান। তাঁর কাজকারবার ছিল পাগলামীতে ভরপুর। সেই থেকেই 'তুঘলকি কাণ্ড'।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রানা মেহের এর ছবি

তুঘলকের নাম জানিতো। স্কুলে পড়েছিলাম দেঁতো হাসি

আমি আসলে উনার কিছু কাজকর্ম জানতে চাইছিলাম যে কারণে একটা বাগধারা পর্যন্ত তৈরী হয়ে গেল।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নিলয় নন্দী এর ছবি

উইকিপিডিয়া তো বলছে একবার উনি রেগেমেগে দিল্লি থেকে সব প্রজাদের মেরেধরে বের করে শহর খালি করে দিয়েছিলেন ইয়ে, মানে...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পীরবাবারে কন, তুঘলক মিয়ার কাহিনী নিয়া একটা তুঘলকি গফ ছাড়ুক! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব এর ছবি

ঝিমধরানো বর্ণনা।

তুঘলক খুনাখুনি করেছেকি খুব বেশি? সম্ভবত না। শব্দটা পাগলামির সাথে যায়। নৃশংসতার সাথে মানায় না।

নিলয় নন্দী এর ছবি

ঝিমধরানো বর্ণনা।

পড়তে পড়তে হাই তুলে ঘুমিয়ে গেলেন নাকি ভাই? খাইছে

গৌতম হালদার এর ছবি

হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। আসলেই ঐ যে ঐ কথাটা!
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কীসে?
কভু আশীবিষে দংশে নি যারে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।