টোস্ট আর অমলেটে সকাল শুরু হয় ল্যাপটপের স্ক্রীনে চোখ রেখেই। ব্যস্ততা কামড়ে ধরতে উদ্ধত, ক্ষতি কি, ব্যস্ততার সাথে এতো বছরের সংসার। গগন চৌধুরী ছুটে চলেন, এমনভাবে ছুটে চলতেই চেয়েছিলেন। ছুটতে ছুটতে ফেলে এসেছেন ধারাপাত, মোরগ লড়াই, ডজনখানেক চিঠি। একসময় নৌকা বাইচের নাম ছিল ব্যস্ততা, এখন ব্যস্ততার নাম সেমিনার - অফিসে কাজের চাপ। হঠাৎ পত্রিকার একটা খবর সকালে খাবার টেবিলের জন্য বরাদ্দ সময়ের খানিকটা বেশিই কেড়ে নেয়; বলা চলে খবর ছাপিয়ে জ্বলজ্বল করে একটা শব্দ - “জেলিয়াখালি”। কাপ নামিয়ে রেখে আরোও একবার পড়েন গগন চৌধুরী - ‘জেলিয়াখালি’। এরপর উঠে দাঁড়াতেই হয়, নিজে লেট হলে অধস্তনদের লেট করার কৈফিয়ত চাইতে কিছুটা বাঁধে বৈকি।
মনের ভেতর খচখচ করে। গণি মিয়া এখন, এভাবে আসবে কোনদিন ভাবা হয়নি কিনা। কিন্তু জেলিয়াখালি আর গণি মিয়া হুড়মুড় করে একশ একটা ভাবনা-চিন্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঠিক বেরিয়ে এল। কালচে কাচঘেরা গাড়ির নিরাপদ আশ্রয়েও ভীষণ অসহায় বোধ করেন গগন চৌধুরী।
অফিস পৌঁছে কর্তৃত্ব জাহির করার ইচ্ছে উধাও হয়ে যায়। স্মরণ আজও দেরীতে এসেছে। ছেলেটা এখনও পুরোদস্তুর কামলা হতে পারেনি। ছাত্র-ছাত্র হাভ-ভাবে অপরাধবোধ মায়া জাগায় আজ। টুলে বসে ঝিমাতে থাকা দারোয়ান গলার ঝাঁঝ ছাড়াই সকাল শুরু করলো ভেবে খানিকটা অবাক হয় বোধহয়। নিজের উপর বিরক্তি তেতো করে সকালটাকে।
ভাবনাগুলোকে তুচ্ছ বোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বার বার। মস্তিষ্কের জটিলতা কাছা দিয়ে লুঙ্গি পরা গণি মিয়াকে বড় বেশি জীবন্ত করে তোলে। প্রায় উলঙ্গ মানুষটিকে দেখতে ভালো লাগছে না গগন চৌধুরীর।
ঢাকা শহরের নিত্যনতুন জায়গাগুলোয় যখন বন-বাদাড়ের ছাপ স্পষ্ট তখন গণি মিয়ার শরীরেও গাঁয়ের গন্ধ। বদলাতে হয় শহরকে, গণি মিয়াকেতো অবশ্যই। গণি মিয়ার গগন চৌধুরী হয়ে ওঠার নির্দিষ্ট কোন তারিখ ছিলনা। তাই কোন দিনের কথা মনে পড়েনা। কোন দিবস পালনের ঝক্কিও থাকেনা কিংবা কোন বিশেষ তারিখ ভুলে থাকার চেষ্টাও করতে হয়না। কিন্তু গণি মিয়া যে কোথাও না কোথাও ঘাপটি মেরে ছিল - ‘জেলিয়াখালি’ তা জানিয়ে দিল।
চৌকাঠ পেরিয়ে সেই গাছ, তারপর?
তারপর, এক পা.. দুই পা.. তিন পা.. গণি মিয়ার সামনে ধোঁয়াশা। আবছায়ার মাঝে মায়াভরা সেই ডাক - “ও গণি, চাদ্দরখান নে।”
হাড়কাঁপানো শীতেও ইনহেলার কাকে বলে জানাই ছিলনা গণি মিয়ার। বুবুর ডাক তাই সহজেই বাতাসে হারায়। ছুটতে থাকা, ছুটতে ছুটতে শিউলিতলা। প্রতিদিন ঘুমভাঙা চোখে প্রথম কাজ - গামছাভর্তি শিউলিফুল কুড়িয়ে চৌকাঠ পেরোনো সেই গাছের কাছে ফিরে আসা। তারপর আরোও এক পা .. দুই পা .. তিন পা .. ।
কাচের টেবিলে পড়ে থাকা পত্রিকার ওজন বড় বেশি মনে হয় গগন চৌধুরীর কাছে। প্রায় অবশ হাত-এ পত্রিকাতেও খুঁজে ফেরে সেই খবর। সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত। বিধ্বস্ত গাবুরা ইউনিয়নের জেলিয়াখালি।
বুবু কোথায় এখন? চার বছর আগে একবার এসেছিলো, পঁচিশেও সাত-আট এ আটকে থাকা প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে সাথে নিয়ে। সম্মানে কমতি না থাকলেও গগন চৌধুরীর ছেলে-মেয়ে দুটোর সাথে একটা দূরত্ব থেকেই যায়। ওদের শহুরে আত্মীয়দের সাথে যেভাবে জমিয়ে বসে আড্ডা দেয়, বুবুর সাথে কোথায় যেন ছেদ পড়ে ওরকম আড্ডায়। গগন চৌধুরী জানেন এই সম্পর্কগুলো এমনই থাকবে। গোবরলেপা উঠোন ছেড়ে কেউ এ ফ্ল্যাটে নিজেকে আগন্তুক ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না। আর কেউ কেউ ভাষার দুর্বোধ্যতা ডিঙিয়ে পারেনা অন্তরঙ্গ হতে।
গণি মিয়া যাবে? বাড়িটার কি দশা? কিন্তু গগন চৌধুরীর যে অনেক কাজ জমে আছে, প্রচন্ড ব্যস্ততা। বারকয়েক লাথি-গুঁতো খেয়ে তল্পি-তল্পাসহ মুখ বন্ধে স্বীকৃতি জানানো সেই রঙচটা স্যুটকেস কই হারিয়ে গেছে। সেই সম্বল হাতে করে; বাসে ঝুলে ঝুলে লঞ্চঘাটে যাওয়া- এখন আর চলে না। বদলায় অবস্থান, বদলায় ছোটার ধরণ। ছুটতে হলে হাজারটা কাজ সামলে নিতে হবে। তবুও একবার যেতেই হবে বাড়ি। এক জীবনে একটাই বাড়ি থাকে মানুষের। ম্লান হাসি ফোটে এক বৃদ্ধার কথা মনে ভাসতেই। গণি মিয়ার দাদীজান, বলতেন - যে উঠোনে নাড়ি গাঁথা থাকে সেটাই নাকি ঐ ‘ছাওয়াল’ এর বাড়ি হয়।
কিন্তু আজ গগন চৌধুরী জানেন, নাড়ি গাঁথা না থাকলেও বাড়ি হয়। ছেলে-মেয়ে দুটোর নাড়ি ডাস্টবিনেই ফেলা হয়েছে, তবু ঐ ফ্ল্যাট ওদের একমাত্র আশ্রয়, জন্মসূত্রে ওদের বাড়ি। অথচ ত্রিশ বছর ক্রমে ডালপালা ছড়িয়ে, স্বামী আর বাবা-বাবা খেলার দুর্দান্ত সময় কাটিয়ে আজও ঐ ফ্ল্যাট গগন চৌধুরীর বাড়ি নয়, গণি মিয়ারতো নয়ই।
বাড়ি পড়ে থাকে জেলিয়াখালি। মাকে হারানোর বাড়ি। মাত্র দুবছরের বড় বুবুটার সে বয়সেই গিন্নী হয়ে ওঠার বাড়ি। উঠোনজুড়ে কবিগানের আসরে বাবার মধ্যমণি হয়ে বসে থাকার বাড়ি।
ত্রিশ বছরে যাওয়া হয়েছে বটে দু’বার। দু’বারই নিকানো উঠোনে গিজগিজ করেছে কয়েক গ্রামের মানুষ। একবার উচ্ছ্বাসে, আনন্দে, হৈ হৈ কলরবে বুবু বউ সাজলো। আর একবার ভয়ানক নৈঃশব্দে আসর জমানো মানুষটিকে সবাই গ্রামের গোরস্থানে রেখে এল। সেদিন মানুষগুলোর হাহাকারে গণি মিয়ার মনে হল - বাবার উপর ওদেরই অধিকার বেশি যারা এক ডাকে সব ফেলে পুঁথিপাঠ আর গান শুনতে আসতো।
কিন্তু তার বাড়ির অধিকার কার? কিংবা উঠোনের? চৌকাঠ পেরোনো সেই গাছের... তারপর .. এক পা .. দুই পা .. তিন পা .. মা। বেড়াঘেরা, রোজ রোজ তীব্র মায়ায় শিউলিফুল ছড়িয়ে দেয়া মায়ের কবরের? মা বাড়িতেই থাকতে চেয়েছিলেন। বাড়িতেই থেকে গেলেন।
উঠতেই হয় গণি মিয়াকে। প্রাইভেট কার নিয়েই ছুটতে হয়। বাড়ি ডাকে, নাড়ি ডাকে।
ভাঙা পাকা রাস্তার দুর্ভোগ কাচা রাস্তাকেও হার মানায়। এখানে-সেখানে গর্তে পানি উপচে পড়ছে। গাড়ি এগোয় না। ড্রাইভারের জিম্মায় গাড়ি রেখে পা দুটোও বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেনা। অতঃপর নৌকাই ভরসা।
সমস্ত গ্রাম যেন বর্ষার স্পর্শমাখা যৌবনা এক নদী। কোথাও প্রবল ঘূর্ণি নৌকাকে গিলে খেতে চায়। এরই মাঝে গাছ আর বাড়ির ছাত হয়ে টুকরো টুকরো গ্রাম জেগে আছে। গণি মিয়া খোঁজে- গাছ, সম্বল, বাড়ি।
গাইনের (গায়েনের) বাড়ি - মাঝির হাতের ইশারায় থৈ থৈ জলের উপর নড়বড়ে ছাত ভাসে চোখে। গ্রাম সম্পর্কীয় কিছু আত্মীয়ের ছানাপোনারা বসে আছে। ঘরের ছাউনী এখন আশ্রয়।
উঠোন নেই, চৌকাঠ নেই, ঘূর্ণিঝড় উপড়ে নিয়েছে শেকড়। কিন্তু পরবাসী আদুরে খোকাকে ঘর চেনাবে বলে, প্রবল জলের তোড়েও ঠায় দাঁড়িয়ে জননী গাছ।
মাঝি গাছ ছাড়িয়ে সামনে এগোলে শেকড়হীন, উদ্বাস্তু গগন চৌধুরী ওরফে গণি মিয়া যেন আর্তনাদ করে ওঠে - ধীরে চল মাঝিভাই, ধীরে ধীরে ধীরে।
নৌকা এগোয় বড় ধীরে,
এক দাঁড়... দুই দাঁড়... তিন দাঁড়...
------------------------------------------------------
১৮/০৩/২০১০
মন্তব্য
গতকল্য আড্ডায় মজিয়া দেরীতে পোস্টানোর দায়ে বালিকাকে মাইনাস!
গপ্পোতে প্লাস!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডালাভর্তি ধনেপাতা নিও,
ভালো থেকো আপু।
-----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
এরকম মায়ামাখা গদ্য কীভাবে লেখো?
অনেক সুন্দর।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাইয়া,
এ গদ্য মায়া জাগালো জেনে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ
----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ভালো লেগেছে।
জেনে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
বেশ জমানো গল্প।
মর্ম
জমজমাট ধন্যবাদ
--------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
খুঊঊঊঊঊঊঊঊঊব ভাল লাগল!!!
-------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়
অনেএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএক
ধন্যবাদ আনন্দীদি
-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
মউ মনে হয় লেখার স্টাইল বদলে ফেলেছেন ?? নাকি ??
... পদ্যধারার বদলে এই গদ্যধারার গল্পই আমার বেশি ভাল্লাগে- জানিয়ে গেলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
সচেতনভাবে বদলানো হয়নি, লিখতে লিখতেই বদলে গেল হয়তো।
ঠিকাছে, জেনে রাখলাম তবে....
ধন্যবাদ সুহান
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
অন্যরকম লাগলোরে আপু... কী মায়া...
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মন্তব্যটিও বেশ মায়া জাগানিয়া....
ভালো থেকো আপুনি
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সচলায়তন তৃতীয় খণ্ডে পড়েছিলাম
কিন্তু সব গনি মিয়া গাঁয়ে ফিরতে পারে না। আফসোস।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
শেকড় হারিয়ে যে গাছ দাঁড়িয়ে থাকে সে কী আদৌ বেঁচে থাকে।
আফসোস, গাছেরা জানেনা তাদের মৃত্যু ঘটেছে।
পাঠ-প্রতিক্রিয়া জেনে ভালো লাগলো, জানাই ধন্যবাদ
-----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আসলেই মায়াভরা লেখা। ভালো লেগেছে। বানান ভুলও পেলাম না, কেবল একটা ছাড়া-- কাচ, কাচা -- > কাঁচ, কাঁচা
প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ পিপিদা,
গল্পের পাঠ-প্রতিক্রিয়া আর বানান সম্পর্কিত তথ্য - দুটোর জন্যই
কাঁচ, কাচ - দুটোই অভিধানে খুঁজে পেলাম। দুটোই হয় বোধহয়।
কাচা ভুল লিখেছি, কাঁচা হবে।
আবারও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
খুউব ভালো লাগলো, মউ! আগের পড়া গল্পগুলোর চেয়ে লেখার ধরণ একটু আলাদা লাগল। সেটা ভালোলাগারই।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ভালোলাগা জেনে অনেক ভালো লাগে দিদি।
ভালো থেকো, অনেক ভালো
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
এমবিএ ক্লাসে একটা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় গণি মিয়া একজন গরীব কৃষক নিয়ে একটা কেস আসছিল। ব্যাংক লোন আর জমিজিরাত নিয়ে ছিল সেখানে কারবার। এখানে এসে অন্য এক গণি মিয়াকে পাইলাম। ভালো লাগলো!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হুম....
সেই গরীব কৃষক গণি মিয়ারাই হয়তো ছুটে ছুটে শহরে আসে।
পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ভালো লাগলো।
ধনেপাতা দ্রোহীদা
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
- চমৎকার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক ধন্যবাদ
-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
একেবারে শিকড় ধরে টান? দারুন হয়েছে। এতো সহজ ,সরল সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করা আসলেই অনেক কঠিন কাজ। পড়লাম আর মুগ্ধ হলাম। পরেরটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
==========
কামরুজ্জামান স্বাধীন
আপনাকেও ধন্যবাদ...
------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
দারুণ!
এমনে লেখে কেমনে?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
কেম্নে লেখে কেম্নে
অনেক অনেক ধন্যবাদ
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ভাল লাগল।
জেনে ভাল্লাগলো
-----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ম্যাডাম লেখা ভাল লাগছে
আর উপ্রে সুহানের মন্তব্যের লেখার ধরন পাল্টানোর ব্যাপারটার সাথেও সহমত জানিয়ে গেলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
জনাব,
জানতে পেরে আমারও ভাল্লাগলো
সহমত-এর ব্যাপারটা আমিও জেনে রাখলাম
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
বহুদিন পর লিখলা!
চমৎকার
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
অনেক ধন্যবাদ তোমায়
------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
খুব ভালো লাগলো মউ।
অনেক ধন্যবাদ আপু
---------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ভালো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
গল্প অনেক অনেক ভালো লাগলো। ভালো লাগলো বলাটা আসলে কনফিউজিং, আসলে তো মন খারাপ হয়ে গেলো - নিজের ভেতরের গণি মিয়ার পালানোর জায়গা থাকলো না যে!
দুয়েকটা বানান ভুল চোখে পড়লো, কিন্তু এমন লেখায় বানান ভুল ধরতে যাওয়াটা অন্যায়।
এরকম পাঠ-প্রতিক্রিয়া পড়ে আমারও অনেক অনেক ভালো লাগলো
বানানের ব্যাপারে সচেতন থাকতে চেষ্টা করি, কারণ বানান ভুলে অনেক সময় অর্থ বদলে যায় কিনা।
তবু ভুল যে কি করে থেকে যায়
যুধিষ্ঠির'দা, ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন অবশ্যই যাতে শুধরে নিতে পারি।
অসংখ্য ধন্যবাদ, অনেক ভালো থাকুন
-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সত্যিই দেখি তুমিও অনেকদিন পরে লিখলা!
ভালো, অনেক ভালো।
অধিকার-অনধিকার সব চর্চাই তাই চলুক, চলতে থাকুক- এক গল্প, দুই গল্প, তিন গল্প, ...
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কি আর করি দাদাভাই....
মাথার ভেতর গিজগিজ; শুধু কলমকে বলতে যাওয়ার সময় কোথা পাই
অনেক অনেক ধন্যবাদ -
পড়ার জন্য, মন্তব্যের জন্য,
সব অধিকার চালিয়ে নেবার উৎসাহটির জন্যও
----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সুন্দর....অনেক সুন্দর।ভালো লাগলো
ধন্যবাদ সম্মানিত অতিথি লেখক...
কিন্তু আপনার নাম/নিক জানা হলনা যে...
-----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
অসাধারণ লিখেছেন। মনে পড়ে গেলো এই গাবুরা ইউনিয়নে বেগার দিতে গিয়েছিলাম গতবার। ২ ট্রলার খাবার আর এক ট্রলার পানি নিয়ে। হায়রে গাবুরা, চারিদিকে থৈ থৈ পানি আর মুখে দেওয়ার মতো পানি নেই এক ফোঁটাও।
রাতঃস্মরণীয়
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয় ...
------------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
এরকম জীবনঘনিষ্ঠ লেখা আরও লেখেন মউ আপু। আজও সোমালিয়ায় বসে চোখ বুঁজলে ভেসে ওঠে গাবুরা-পদ্মপুকুরের মানুষের হাহাকার, আমার ট্রলার নদী বেয়ে চলছে কোনও একটা জায়গায় ভিড়ানোর জন্যে আর বেড়িবাধ ধরে শত-শত মানুষ কলসি-হাড়ি নিয়ে ট্রলারের সাথে সাথে দৌড়াচ্ছে। ভেসে ওঠে বানিয়াশান্তা যৌনপল্লীর সেই মেয়েটার মুখচ্ছবি যে আইলার তোড়ে কোলের বাচ্চাকে হারিয়ে কাঁদতে পর্যন্ত ভূলে গেছে। কাঠ-কাঠ গলায় বলছে, "খাতি দিতি পারিনে, মইরে গিয়ে তো বেঁইচে গিয়েছে"।
রাতঃস্মরণীয়
নতুন মন্তব্য করুন