প্রহেলিকা কিংবা প্রহসন, এ এক দিন-দিনান্তের বিভ্রমও বটে। ঘোরে-অঘোরে এই যে অদ্ভুত অনুভব মুহূর্তগুলো জুড়ে! মিথ্যে অহমে কল্পলোকের স্বপ্নগুলোর একচ্ছত্র অধীশ্বর - এ আমার ঈর্ষাকাতর মন।
একদিন ডুবে গেলাম আবেগী আহ্লাদে। একদিন জেনে গেলাম অবিশ্বাসের বিবর্ণ সন্ধ্যা কত বিষ ধরে! আর একদিন মরে মরে বেঁচে গেলাম উপভোগ্য বিষাদের ছোবলে।
ভোর-মন গড়িমসি সূর্যের আলতো আদরে। ভোর পেরোনো ধীর পা এগোলে দেখি কোন এক না বলা কথা বলা বাকি প্রতি সকালেই। অকারণ কিছু কথা জমে; ঠিক যেভাবে অযথাই কিছু বিপন্ন বিষণ্নতা জমে থাকে। জল টলমলে স্বচ্ছতায় গোটাকতক স্মৃতি ভেসে ওঠে। কৈশোরের এক পায়েল হারানোর যন্ত্রণা মন ঠিক ঠিক মনে রাখে। প্রত্যাখান, অভিমান কিংবা প্রিয় মুখগুলোকেও তো সযত্নে মনে রাখে মন। রঙ – বেরঙের ‘মনে-রাখা’গুলোকে মন জমা রাখে, সাজিয়ে রাখে। ‘মনে-রাখা’গুলো মাঝে মাঝে নেড়ে-চেড়ে দেখি। কথা বলি। ভালো লাগা না লাগার কত কাহিনী, কত উপাখ্যান!
সন্তর্পণে এও এক খেলা বটে! ভালোলাগাদের জানিয়ে দিয়েছি, রটিয়ে দিয়েছি, ছড়িয়ে দিয়েছি ক্রমশ! প্রিয় কলম জেনে যায় তাকে ছাড়া চলেনা আর। উঠোনের গাছ জানে কি এক আনন্দ আছে ঝরা পাতার স্পর্শটুকু গায়ে জড়িয়ে নেয়াতে। আর ঘরটা জানে বইগুলো কত প্রিয় আমার।
ব্যস্! হয়ে গেল তো! বুঝুন এবার, কি কাঁচা চালটাই না চালা হল নিমেষে। কলম এবার বেঁকে বসে, যখন ইচ্ছে কালি ঝরে। ওর ইচ্ছে না হলে কথাদের লিখা হয়না আর ছেঁড়া ডায়রীতে। গাছ পাতায় উঠোন ভাসিয়ে দেয়, শুধু আমি দাঁড়ালে স্তব্ধতা নামে। বইগুলোতে ধুলোর আস্তরণ ডেকে আনে ভাঙা দুয়ার।
অথচ অদ্ভুত নৈঃশব্দ ভর করলে এসমস্তটুকুও আমার মনে রাখা হয়ে যায়। আর মনে রাখতে রাখতে ‘মনে-রাখা’গুলো মনের সাথে তুমুল ঝগড়া বাঁধায় ইদানীং। হঠাৎ ভীষণ ক্লান্তি ঝেঁপে নামে। আর ‘মনে-রাখা’ নিয়ে ভাবতে ভাবতে ভাবি, কোন একদিন সব ‘মনে-রাখা’গুলো বিপ্লব বাঁধালে বিধ্বস্ত এ আমিই হয়তো কারও ‘মনে-রাখা’ হয়ে যাবো। হয়তোবা কারোই নয়।
তবু, তবু ভালোলাগা জানাতেই অজুহাতের খোঁজ করে যাওয়ার অন্ত নেই। আনন্দের উপলক্ষ্যের অজুহাতে বারো মাসে তের পার্বণ! অনুভূতি জানাতেও বুঝি অজুহাত লাগে? দিনগুলো তাই ঘুরে ঘুরে ঠিক ঠিক ফিরে আসে। তাই বাহানাও জোটে বটে! বিষাদনগর ইস্টিশনের, ডুব সাঁতারের চিহ্নমাখা রাখাল-বাউল-উদাস ভাইটিকে জানিয়ে রাখা যায় এবার, প্রতিটি স্নেহকণা ভরসা জাগানিয়া। ফের বুঝি হামলে পড়লো তুচ্ছ কিছু অগোছালো আবেগী কথা।
“কিছু গল্প তবু বাকি থাকে, কিছুটা অর্ধেক বলা
অর্ধেক আঁধার রেখে বাড়ি ফিরে যায় পৃথিবীর শেষ বাতিওয়ালা।”
মন্তব্য
দেখতে দেখতে মানুষটা বুড়ো হয়ে গেলো
মউ লেখাটার অপেক্ষায় ছিলাম। ভালো লাগলো খুব।
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
শুভ জন্মদিন সুপান্থ দা
শীত ঘুম ভেঙ্গে ফিরে আসুন, অনেকদিন আপনার লেখা পড়া হয় না
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
শুভ জন্মদিন সুপান্থ'দা।
লেখা দারুণ হইছে রে ভাইয়া
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
৬০ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা ভাইজান
মউ মেয়েটা তো লেডি সুপান্থ হয়ে যাচ্ছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
শুভ জন্মদিন, সুমন! ম উ, খুব সুন্দর লেখা!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
শুভ জন্মদিন সুপান্থ'দা।
মউবানু,
লেখায়
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুভ জন্মদিন সুপান্থদা। হারালেন কোথায়?
সুলিখিত ও চমৎকার একটা পোস্ট।
শুভ জন্মদিন সুপান্থ দা!
শীতঘুম থেকে এইবার উঠুন, ফিরে আসুন প্রিয় কোলাহলের মাঝে।
শুভ জন্মদিন সুপান্থ দা
যার যার নিজস্ব উঠোনে গভীর শূন্য
তবু কেন জানি এলোমেলোই ভাল
___________
দারুণ লেখা
শুভ জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অসাধারণ লেখা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
লেখাটা চমৎকার হয়েছে।
শুভ জন্মদিন।
সত্য বলি, লেখাটা কিছুই বুঝি নাই। মাথার এতো উপর দিয়ে গেলো যে ইকারুসের মতো ডানা লাগালেও ধরতে পারতাম না। ওসব কথা থাক, লেখার ট্যাগ দেখে আগেই বুঝেছি এটা জন্মদিনের পোস্ট আর জন্মদিনটা কবি সুমন সুপান্থের।
শুভ জন্মদিন কবি! ভালো থাকুন। কবিতায় থাকুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শুভ জন্মদিন সুমন সুপান্থ, উইশিং মেনি রিটার্নস।
আমি নিশ্চিৎ যে এমন একটা লেখা যে কারও দিনটাকে একটা বিশেষ দিন করে দিতে পারে। হোকনা সে জন্মদিন নয়তো অন্যকিছু।
জুয়েইরিয়াহ মউ, আপনার ঔদার্য অসাধারণ থেকেও খানিকটা বেশি। অন্যকে আনন্দিত করে আনন্দ পাওয়ার সুখ খুব বেশি মানুষ নিতে পারেনা। কিন্তু আপনি পারেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চমৎকার একটা পোস্ট।অসাধারণ লেখা।
----------------
Sad Quote
Thank you!!
Happy birthday Shumon bhai orupe shupanta da!!
নতুন মন্তব্য করুন