ঢাকায় কদিন ধরে ভালোই শীত পরেছে। গায়ে চাদর জড়িয়ে কোনো টং দোকানের চা বা রাস্তার পাশের গরম গরম ভাপা পিঠার সাথে আড্ডাগুলোও জমে বেশ। আর মাশ্রুমাড্ডার বিখ্যাত মাশ্রুম তো আছেই। ইদানিং সন্ধ্যা গুলো কাটছে ভালোই এখানে-সেখানে আড্ডায়।
সেদিন গেলাম ছবির হাটে। আড্ডায় অনেকদিন পর ইশতির সাথে দেখা। ইশতি অনেকটা আমার ছোট ভাইয়ের মতই। পড়ে বুয়েটে, আর্কিটেকচারে। দারুণ ফটোগ্রাফি করে আর খুব ঘুরে বেড়ানোর নেশা। এখন পর্যন্ত ৩৮ টা জেলা ঘুরা শেষ করেছে। ইচ্ছে একদিন পুরো বাংলাদেশ এভাবে ঘুরবে।
বুয়েটের আর্কিটেকচারে থার্ড ইয়ার শেষে পুরো ব্যাচ মিলে ইন্ডিয়া ট্যুরে যাওয়া অনেক পুরান রীতি। আর্কিটেকচারের প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রী নাকি অপেক্ষায় থাকে এই ট্যুরের জন্য। প্রায় দেড় মাসের এই ট্যুর ওরা নিজেরাই সব ব্যাবস্থা করে। স্পন্সর ও পেয়ে যায়। ইশতি কিছুদিন আগে এই ট্যুর থেকে ফিরেছে। ওর কাছেই গল্প শুন ছিলাম।
দেশের বাইরে নিজেরাই একসাথে যাওয়া, কোনো বাধা নেই, স্কুল-কলেজের সেই শিক্ষাসফর গুলোর মত টিচারদের খবরদারি নেই। আর্কিটেকচারের পড়া হিসেবে কিছু স্থাপত্য তো দেখা হচ্ছেই, পাশাপাশি ইচ্ছেমত ঘোরাঘুরি। দল বেধে হইচই, লং জার্নিতে সুরে-বেসুরে হেড়ে গলায় একসাথে ধরা গান। আনলিমিটেড আড্ডা। একি সাথে থাকা-খাওয়া। কত রকম মানুষ, তাদের কালচার, জীবনযাপন কাছ থেকে দেখতে পাওয়া। এরকম ট্যুরের প্রতি অন্যরকম একটা আগ্রহ থাকেই সবার মধ্যেই।
ইশতিরা হচ্ছে ০৫ ব্যাচ। ওদের ব্যাচের নাম “ঋক”। ওরা যাত্রা শুরু করে কলকাতা থেকেই। সেখান থেকে একে একে দিল্লি, চন্ডীগড়, শিমলা, মানালি, আগ্রা, জয়পুর, জয়সলমির, আহমেদাবাদ, মুম্বাই, গোয়া, পুনে, হায়দ্রাবাদ হয়ে একেবারে ভুবনেস্বর। পুরো দেড় মাসের ট্যুর। পুরো ট্যুরেই ইন্ডিয়ার নানান কালচারকে ওরা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
সেইসব ফটোগ্রাফি এক করে আগে বিভিন্ন সময়ে বুয়েটের ভেতর প্রদর্শনী হয়েছে। ইশতি জানালো এবার বেশ বড় করে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে এবং এটা হবে ধানমন্ডির দৃক গ্যালারীতে। জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে শুরু হয়ে চলবে ৫ তারিখ পর্যন্ত বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা। ১ তারিখ উদ্বোধন হবে বিকেল ৫টায়।
যেহেতু ইন্ডিয়ার বিভিন্ন জাতি, তাদের কালচার কে তারা তুলে ধরেছে, তাই এই প্রদর্শনীর নাম “India plural”। আশা করছি বেশ জমজমাট এক প্রদর্শনী হবে। ইন্ডিয়ার কিছু অংশের ছবি, ছবির মাধ্যমে একবারে দেখতে পাওয়াটা ভালোই হবে।
খোমাখাতায় এটা নিয়ে একটা ইভেন্ট পেজ আছে। দেখতে পারেন...
http://www.facebook.com/event.php?eid=214204289681&ref=mf
সময়ে পেলে সবাই একবার ঘুরে আসবেন। ওদের ইচ্ছেঘুড়ি ওড়ানোর ট্যুরের কিছু ফ্লেবার নিশ্চয়ই থাকবে ছবিতে। যদি সেখানে ছবি দেখে নিজের মনের ইচ্ছেঘুড়িও কিছুটা ঊড়ে, মন্দ কি...
মন্তব্য
- ঘুরে বেড়ানোটাকে খারাপ বলছি না, কিন্তু ইণ্ডিয়াকে এভাবে আড়ম্বরপূর্ণ করে প্রকাশ করার চাইতে বাংলাদেশকে এর চার ভাগের একভাগ প্রয়াস দিয়েও যদি তুলে ধরা হতো, তাহলে খুব ভালো লাগতো।
আমাদের দেশটা গরীব হতে পারে, কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্যশৈলী, কৃষ্টি- এইসবে কম কীসে! বুয়েটের ভবিষ্যত আর্কিটেক্টরা দেড় মাস কেনো, একমাস ব্যাপী কোনো ট্যুরের আয়োজন করতে, সেই আয়োজনের স্পন্সর খুঁজে বের করতে! তারপর সেগুলো দৃক গ্যালারীতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধু গো দা, সবার কথা জানিনা। কিন্তু আমি বা আমরা যেকজন এক সাথে ঘুরোঘুরি করি আর টুকটাক ছবি তুলি আমাদের সবার মধ্যেই একটা জিনিশই কাজ করে আর তা হচ্ছে-"ছবিতে ফুটে উঠুক বাংলাদেশ"।
এ পর্যন্ত গত ২ বছরে ৩টা বড় গ্রুপ প্রদর্শনীতে আমি অংশগ্রহন করি(কেম্নে কেম্নে জানি ওই গ্রুপগুলা আমার হাবিজাবি ছবি পছন্দ করসিলো) এবং ৩ টার বিষয়বস্তু "বাংলাদেশ"। এর মধ্যে ২টা হইসে দৃক এ।
এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে অনেক গ্রুপ এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আমাদের বাংলাদেশ কে তুলে ধরতে। কাজেই,হচ্ছেনা তা বলা যাবেনা। হয়েছে এবং সামনে আরো হবে আশা করি।
বুয়েটের একটা ফটোগ্রাফিক গ্রুপ আছে। ওরা প্রতি বছরই বড় করে বাংলাদেশ কে নিয়ে প্রদর্শনী করে। এই তো কিছুদিন আগেই হয়ে গেলো একটা। সেটাও বাংলাদেশ কে নিয়েই। সেখানেও ওরা নিজেরাই সব ব্যাবস্থা করেছে আর স্পন্সর ও পেয়েছিলো।
এই প্রদর্শনীটা আসলে সেই হিসেবে একটু ভিন্ন। একজন ভবিষ্যত আর্কিটেকচারের চোখে ওই দেশের স্থাপত্য এবং দেশটা যে ঘুরে এলো সেটা নিয়ে কিছু ছবি। আমি যতটুকু জানি, ইন্ডিয়ার স্থাপত্য যারা আর্কিটেকচার পড়েন তাদের কাছে অনেক আগ্রহের বিষয়। ব্যাপারটা ঠিক ইন্ডিয়াকে আড়ম্বরপূর্ণ করে প্রকাশ করা না, ওখান কার স্থাপত্য শৈলী কে এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে। আর এই ইশতি ৩৮ টা জেলা ঘুরসে আর ছবি তুলসে। ওর অনেক বড় একটা স্বপ্ন যে একদিন বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা নিয়ে ছবিগুলোকে জড়ো করে একটা প্রদর্শনী করা।
এমন আয়োজন কিন্তু প্রায়ই হয়ে থাকে বাংলাদেশ কে নিয়ে। হয়ত আয়োজন গুলোর খবর সবসময়ে সব জায়গায় প্রচার পায়না বা খবর টা পৌছায় না। এখন থেকে কোনো প্রদর্শনীর খবর পেলে আমি সবাইকে এখানে জানিয়ে দিব।
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আইচ্চা, এইবার থিকা সব খবর পাইবেন !
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
এই হাওয়ায় ওড়াও তুমি, তোমার যত ইচ্ছে ঘুড়ি...
শিরোনামটিতো বেশ !!
এখন থেকে কোনো প্রদর্শনীর খবর পেলে আমি সবাইকে এখানে জানিয়ে দিব।
- এই সিদ্ধান্তের জন্য জানাই সাধুবাদ
-----------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
শিরোনামহীনের শিরোনাম তাই শিরোনাম টা বেশ।
হ, এখন থেকে জানায় দিব। ধন্যবাদ মউ।
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
এইবার বুঝলাম খোমাখাতায় আর্কি দোস্তরা ক্যান কাতারে কাতারে এই পেইজে যোগ দিতেসে... এরপর বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি নিয়ে বুয়েটের বাইরে কিছু হলে অবশ্যই পোস্ট করবেন; আমরা যারা ফটোগ্রাফিক-ব্লাইন্ড তাদের কাছে এই প্রচারটা খুব জরুরী...
_________________________________________
সেরিওজা
আপনাদের ঘরে বেড়ানো ও কাজ ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অ্যা, কী ব্যাপার ! এরা দালান-কোঠা বানানো বাদ দিয়া কাজ-কাম ফাঁকি দিয়া খালি ঘুইরা বেড়াইতেছে দেখি !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার দোস্তরা ধুমায়া ঘুরল। প্রায় ৪০ দিন!!!
চোক্ষের পানি ফালাইছি আর খোমাখাতায় ছবি গুলা দেখছি । (
ইভেন্ট এর সংবাদ এর জন্য ধন্যবাদ।
শিরোনাম আসলেই ভাল হইছে।
দেখতে যাব নিশ্চয়ই ।
বোহেমিয়ান
যাবো দেখতে...
ইশতিরা হচ্ছে ০৫ ব্যাচ। ওদের ব্যাচের নাম “ঋক”...ব্যাচের নামটা হবে 'ঋদ্ধ'।
নাহ আর ত্যানা প্যাচাইলাম না
দেখতেতো যাইতেই হবে নাইলে আর্কির দোস্ত মাইর লাগাবে
---------------------
আমার ফ্লিকার
প্রদর্শনীর সাফল্য কামনা করছি
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন