অবেলার ঘুমের পর বিষণ্ণতায় অবশ বেমানান আমি নীরবতায় ডুব দেই,
আমার চারিদিকের নানা কোলাহল কমতে কমতে একসময় মিলিয়ে যায়।
ধীরে ধীরে নৈঃশব্দ্য দীর্ঘতর হতে হতে অনুভব করি
ক্ষীণকায় জীর্ণ নিঃস্ব আমি...
নিঃশব্দতার অবুঝ জাতক।
সিগারেটের আগুনে সময় পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে জমতে থাকে অ্যাস্ট্রেতে।
হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয় এলোমেলো ভাবনা।
টুকরো টুকরো মুখ, ঘটনা আর অস্থির সময়ের ছবি।
চারপাশে ভিড় করে কিন্তু ধরা দেয়না। দূর থেকে দাঁত কেলিয়ে হাসে। যেন এও একটা খেলা। ভাবনার আসা যাওয়ার সাথে সাথে বেডসাইড ল্যাম্পের সুইচ অফ করি, অন করি। একটা সময়ে সুইচ অফ করেই রাখি আর অন্ধকারে চোখ সয়ে গেলে বুঝতে পারি ভেসে যাচ্ছে আমার ঘর জোছনায়!
এমন জোছনাময় পৃথিবীর নির্ঘুম রাত্রির নিচে নগরীর এক চিলতে জানলা দিয়ে অস্থিরতার বাতাস এসে ঢোকে। এই অস্থিরতার উৎস জানিনা।
আর জ্বলতে থাকা মোম যেমন গলে গলে পড়ে, জোছনা এসে জমাট বাঁধে সেরকম অদ্ভুত ভাবেই।
এই জমাট মোমের সমুদ্রে ডুবতে থাকি, অবিরত!
জানলা দিয়ে দেখা যায় দূরের বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট। সার সার বাতি জ্বলে। মনে হয় একেকটা অনেক দূরের বাতিঘর, দূর মগ্ন দ্বীপ।
সকল কোলাহল অথবা শব্দের থেকে আরও দূরে জমাট নির্জনতা ছাড়িয়ে ডুবন্ত মনের বিষাদ ছুঁয়ে দেখি।
এইখানে নিস্তব্ধ মন নীরবতা নিয়ে চাঁদের দ্যুতির মত ছড়িয়ে আছে...
মন্তব্য
পুরাই চরমাত্মকাবহ!!!!!!!!!!
অতীত
কও কি? আবহ সঙ্গীত ঠিক আছে আদিল?
এ ক্লিক করলেই লাজওয়াব কইরা দিয়া চরকি খাইতাছে মজিলাবানু। বুঝতাছিনা কী পেজগির মধ্যে পড়লাম
যাউকগা, যাহা কইতেছিলাম, পড়ার শুরুতে মনে কইলো গান...সুর তুলিতে যাইয়া তান না মিলিতে খটকা লাগিলো। এইবার সাব্যস্ত করিলাম কাব্য। কিন্তু আগাইতে যাইয়া দেখি বাগাইতে পারিতেছিনা ভাবখানা। ঢেকুর তুলিয়া কিছুক্ষণ সবুর করিয়া আবার ধরিলাম। স্বপ্নলোকের গল্প মনে হইলো। কিন্তু অতিশয় অল্প সেই শাস্ত্রের গাত্র মাত্র শেষ করিয়া ফেলিয়াছি; এমুন সময় দেখিলাম তাক লাগানো চান্দুমামার টাকের ছবি। তাও আবার বর্তুলাকার না, বহুভুজাকার!!! চক্ষে যখন মামার রূপ মর্মরে তালা লাগাইয়া রাখছে ঠিক তক্ষনি নিচে লোহার তালাখানি নজরে আসিলো। জানলা দিয়া বান্ধা তালা। তাহার মধ্যে চান্দের ডালা। বুঝিলাম জোছনা বুঝিতে তালা মাইরা চান্দু চাইতে হয় চক্ষু মেলিয়া। অবশেষে ভাবখানা আহলাদে আটখানা হইয়া ধরা দিলো।
একাধারে গান+কাব্য+গদ্য+গল্প+কল্প+মারদাঙ্গা ছবির প্যাঁচে পইড়া কী টাইটেল দিমু না বুঝিয়া অবশেষে ঠিক করিলাম চরম+মারাত্মক+আবহ ইজ ইকুয়াল টু চরমাত্মকাবহ
অতীত
হাহাহাহাহাহা, আদিল ! তুমি মিয়া পুরাই একটা....
এইখানে নিস্তব্ধ মন নীরবতা নিয়ে চাঁদের দ্যুতির মত ছড়িয়ে আছে...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ...ভালো কইরা দেখ !
লেখার সাথে ছবিটা এত অসাধারণ লাগলো!
অসাধারণ...ছবিতে বিমুগ্ধ...
এতগুলো ট্যাগ না দিয়ে এই লেখাটার স্রেফ দুইটা ট্যাগ দাও - "কবিতা" আর "ছবি/আলোকচিত্র"। নয়তো "ব্লগরব্লগর", "একটা ছবি আছে", "হাবিজাবি" এই সব ট্যাগ দিলে পোস্টটার প্রতি অন্যায় করা হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কবিতা? খাইসে। এইটা কি আসলেই কবিতা হইসে?
অনেকটা ডাইরি লেখার মত করেই লেখা। কিছু এলোমেলো লাইন। তবে আপনার কথা মত ট্যাগ চেঞ্জ করে দিচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই ভাইয়া !
এরকম লাইনগুলো পড়লে মাথার ভেতরে কেবলি জীবননান্দ ভর করে..........
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ছবি এবং লেখা খুবই চমৎকার। ধন্যবাদ।
কবিদের ভাত মেরে দিচ্ছেন। পান্ডবদার ভাষায় ডাবল ধামাকা।
চমৎকার ছবি-লেখা। তবে সত্যি করে বললে, ছবির চেয়ে লেখা ভালো লেগেছে বেশি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
...চমৎকার।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ঝাক্কাস ছবি।
ঝাক্কাস ছবিতা!
ছবি, কবিতা দুটাই ভাল লাগল। চাঁদটা হেক্সাগোনাল মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ !
চাঁদটাকে হেক্সাগোনাল বানিয়ে ফেলেছিলাম লেন্সের এপারচার চেঞ্জ করে ছবিটা তোলার সময়ে থীমের কারনে !
আমার কাছে আরো একটা কোন বেশি বলে মনে হচ্ছে - হেপ্টাগোনাল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হইতারে !
ভালু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাহ! ছবিটা দেখেতো বলেইছি কী রকম ...
কবিতাটা শেষ করে পোস্ট দেয়ায় -
আরো ঘন ঘন এমন দেয়া উচিত তোমার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন