ছোটবেলা থেকেই আমি ছিলাম বিরাট বেকুব কিসিমের আর আমার বেকুবি দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে এখনো। আমার চারপাশের বন্ধুরা সব তখন চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলে, কথা মাটিতে পড়তে দেয়না। বড় হয়ে কি হবা এই জাতীয় প্রশ্ন দারুণ কনফিডেন্ট নিয়ে ঠাশ ঠাশ বলে দেয়, আমাকে জিগ্যেস করলে আমি একটা হাসি দেয়ার চেষ্টা করি কিন্তু মুখের একটা অবস্থা হত যেটা আমার ধারণা অনেকক্ষণ কেউ বাথরুম আটকে রাখলে যেরকম হয় অনেকটা সেরকম হত। কাজেই যে যা বলত মনে প্রাণে তাই বিশ্বাস করতাম কারণ তারা আমার চেয়ে বেশি জানে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই।
ক্লাস টু অথবা থ্রিতে পড়ি। বাসার সামনে কিছু পাতাবাহারের টাইপের গাছ ছিলো। একবার কোনো কারণে গাছের কান্ড কেটে যাওয়ায় দেখলাম সাদা সাদা কষের মতন। এক মহা জ্ঞানী বন্ধু গম্ভীর হয়ে বলল, এইটা হচ্ছে গাছের রক্ত। আমি মাথা চুলকে বললাম, রক্ত তো লাল হয়। সে বলল, এইরকম আসলে হতে পারে। যেহেতু গাছেরও প্রাণ আছে আমাদের মতই কাজেই গাছের রক্ত লাল হওয়ার কথা এবং সব গাছের রক্ত নাকি দেখা যায় না। এটা যেহেতু দেখা যাচ্ছে এবং সেটার রঙ সাদা তাই এটা একদম আলাদা, সে নিশ্চিত এই গাছের আলাদা কোনো পাওয়ার আছে। তখন সে বলল, কোনো মানুষের রক্ত যদি সাদা হয় তাহলে লজিক অনুযায়ী সেই মানুষের অনেক পাওয়ারফুল হওয়ার কথা। আমি আমার বন্ধুর বুদ্ধি দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আব্বার শেভিং কিট থেকে ব্লেড এনে বাম হাতের বুড়া আঙ্গুলের মাঝামাঝিতে চামড়ার উপর হাল্কা করে কেটে দেখলাম আমার রক্ত লাল। তার মানে আমার কোনো এক্সট্রা পাওয়ার নাই। মন খারাপ করে বসে থাকলাম। একটু পর আম্মা এসে দেখে তার পুত্র ব্লেড হাতে বুড়া আঙ্গুল কেটে রক্তের দিকে তাকিয়ে আছে। আআআআ...মানে আম্মার এক বিশাল চিৎকার। সেটা দেখে আমিও চিৎকারে যোগ দিলাম। সেই চ্যাঁচামেচিতে কয়েকটা কাক উড়ে গেলো আর আমি বুঝতে পারলাম আমার হাত কেটে গেছে এবং সেটা মোটেই মজার কোনো ব্যাপার না। সেই কাটা আঙ্গুলের দাগ বুড়া আঙ্গুলে এখনো আছে। এইরকম বেকুবির ঘটনা আমার জীবনে অনেক। তবে মাঝে মাঝে বেকুবির মধ্যেও অনেক কিছু আবিষ্কার করে ফেলতাম।
বাসা ভর্তি ছিলো বই আর ম্যাগাজিনে। আমি শুধু ছবিওয়ালা ম্যাগাজিন বা বই দেখতাম। পোকামাকড়ের ছবি দেখতাম আর ভাবতাম এত ছোট পোকার ছবি তুলছে কেমনে? একটা পিপড়ার ছবি পুরা পাতা জুড়ে। ততদিনে অবশ্য একটু বড় হয়েছি মানে ফাইভ অথবা সিক্সে পড়ি। এইটুকু একটা পিপড়া যেটা চোখেই ভালো করে দেখা যায় না সেইটার একেবারে শুঁড় সহ এতো বড় করে ছবি। কিভাবে সম্ভব? আমার বেকুব কৌতূহলী মন চিন্তায় পড়ে গেলো। সেই জ্ঞানী বন্ধু নানান থিউরি দেয়া শুরু করলো তবে সেইবার আমি বিরাট চিন্তা ভাবনা করে বের করলাম যে পিপড়ার উপর নির্ঘাত ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস ধরে সেটার উপর ছবি তোলা হয়েছে এবং আমার এই থিউরি শুনে বন্ধু একমত হল। এত বড় আবিষ্কার করে মনে মনে নিজের বুদ্ধি দেখে খুশির চোটে দাঁত বের করে কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করলাম। অনেকদিন পর্যন্ত আমি এই ধারণা নিয়েই ছিলাম। একেবারে ক্ষুদ্র বা ছোট জিনিসের ছবি এভাবেই তুলতে হয়। অবশ্য আমার এই বেকুবি ধারণা পুরোপুরি মিথ্যে না, একটু হলেও সত্য।
ফটোগ্রাফি যখন শুরু করি তখন থেকেই কৌতূহলী মনের বশে আর ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছে থেকেই সব কিছু নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করি। মাথায় একটা কিছু ঢুকলেই হল, সেইটা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করবোই। ল্যান্ডস্কেপ, পোর্ট্রেইট বা লাইফ স্টাইলের বাইরেও ফটোগ্রাফির অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে। সেগুলো নিয়ে ঘাটতে শুরু করলাম। টেক্সচার্ড ছবি, লং শাটার, ম্যাক্রো এসব মাথায় ঢুকলো। টেক্সচার্ড ছবি আর লং শাটার নিয়ে অল্প কিছু কাজ করেছি আগে আর এখন মাথায় আছে ম্যাক্রো।
মাছির চোখ, ফড়িঙের মুখ, শিশির বিন্দু, মৌমাছির পোর্ট্রেইট কিংবা পিপড়ার এন্টেনা এইসব অতি ক্ষুদ্র সাবজেক্টের ছবি তুলতে হয় একটা আলাদা ধরনে আর সেইটার নাম হল ম্যাক্রো। আমার সেই ধারণা অনুযায়ী ম্যাগ্নিফাইং গ্লাসটাই আসলে ম্যাক্রো লেন্স। মানে সাবজেক্টের উপর ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস ধরতে হয় না, লেন্সটাই একটা ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস হিসেবে কাজ করে আর সেইসব লেন্সই হচ্ছে ম্যাক্রো লেন্স।
সব ক্যামেরা দিয়েই কম বেশি ম্যাক্রো করা যায়, তবে ম্যাক্রো লেন্স দিয়ে ম্যাক্রো তো ভালো আসবেই। আমি এসব বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা, গত বছর শীতে সুহাস ভাই মানে অনুপম ত্রিবেদীর কাছ থেকে জীবনে প্রথমবারের মতন ম্যাক্রো লেন্স দেখলাম তারপর সেইটা ধার করে কয়েকটা ছবি তুললাম। আগে ইন্টারনেটে কিছু ঘাটার ফলে অল্প আইডিয়া ছিলো, এরপর সুহাস ভাইয়ের কাছে বাকি সব জানলাম। যদিও বেশিরভাগ ব্যাপার বুঝিনাই বেকুব মাথা বলে তবে এইটা বুঝতে পারছি যে কাজটা মোটেও সহজ না।
সুহাস ভাইয়ের লেন্সটায় ম্যানুয়াল ফোকাস করতে হবে। অটোর অপশন নাই। লেন্সটা ক্যামেরায় লাগিয়ে ছবি তুলতে গিয়ে দেখি সব ঘোলা ঘোলা লাগে। একবার মনে হলো হ্যাংওভার চলতেছে কিন্তু সুহাস ভাই চিল্লায় বলল, লেন্স ঘুরা ব্যাটা। লেন্স ঘুরিয়ে ফোকাস করতে যাই কিন্তু হয়না। আর হলেও যেই শাটার চাপতে যাব তখনই সাবজেক্ট নড়ে যায়। ফলাফল ছবি ঘোলা। তখন একটা জেদ চেপে গেলো, যেভাবেই হোক ম্যানুয়ালি ফোকাস করে শার্প করবোই।
অনেক সময়ে ক্যামেরায় প্রিভিউতে দেখা যায় যে ছবি ফোকাস বা শার্প এসেছে কিন্তু পিসিতে নিলে বোঝা যায় আসলে শার্প হয়নাই। আমি নিজে যেই সমস্যা দেখেছি যে, ফোকাস করার পর শাটার বাটনে চাপ লাগার সময়েই ক্যামেরা হয়ত একটু নড়ে গেলো বা কোনো কারণে হাত কেঁপে গেলো। এজন্য ট্রাইপড খুব কাজে দেয়। তবে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা দরকার তা হচ্ছে অনেক অনেক ধৈর্য। একদম নড়া যাবেনা। আমি তো শাটার বাটনে চাপ দেয়ার সময়ে একেবারে শ্বাস বন্ধ করে তুলেছি। ম্যানুয়ালি ম্যাক্রো লেন্সে ছবি সহজে ফোকাস হয়না। ১০ টা তুললে ২টা খুব ভালো শার্প আসে। তবে এটা করতে করতে একটা সময় আসে যখন ১০টা তুললে ১০টাই শার্প আসে সুহাস ভাইয়ের মতন।
জীবনে প্রথম ম্যাক্রো লেন্স পেয়ে যা তুলেছি তাই শেয়ার করছি। আমার প্রায় ১০ টা ছবি তুললে ১টা শার্প হয় এমন অবস্থা। প্রথমদিকে ৩/৪টা তোলার পর মনে হয়েছে এটা আমার কাজ না। কিন্তু যখন হুট করে একটা শার্প চলে আসে, তখন যেই আনন্দ হয় ঐটা বলার মতন না। তারপর নেশা ধরে যায়, শার্প করতেই হবে। এভাবেই ছবিগুলো তোলা...
প্রায় এক বছর পর পোষ্ট দিচ্ছি। একগাদা ছবি দিয়ে দিলাম এইজন্য। ম্যাক্রোর পোষ্ট দেয়ার কথা অনেকদিন আগেই। আলসেমির জন্য দেয়া হয়নাই। তার উপর নানান ঝামেলায় নেটে বসা হয়না তেমন।
নিজের অলসতা নিয়ে ভাবতে গেলে নিজেই অবাক হয়ে যাই। আমি হচ্ছি পুরা বাংলায় যাকে বলে ঐ হাইক্লাস আইলসা আর কি...
মন্তব্য
ওরে আমার সুনা রে! কই ছিলি তুই?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি বলব স্যার উত্তরটা ... পিলিজ ... পিলিজ
কড়িকাঠুরে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_____________________
Give Her Freedom!
কুমায় সিলাম সুনা !!!
(গুড়)
আলসামোর কি দরকার! ঝেড়ে লিখতে থাকেন!
facebook
হ, ঝাইড়াঝুইড়া কাইল্কা এইডা দিলাম। চেষ্টা করতেছি আবার নিয়মিত হবার।
আপনাকে
অপূর্ব সব ছবি!!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ধন্যবাদ ভাই।
খাইছে আমারে। মাছি ব্যাটাও যে এতো বিউটি এইটা আগে জানতাম না।
মাছির সাথে আরেকটা পুকা আছে। অইটাকে তো চিনলাম না।
ঐটা যদ্দুর জানি মেয়ে জোনাকি পোকা।
হায়রে বদভ্যাস, মেয়ে হইলে জুনাকি পুকারও নিস্তার নাই। এরকম লুলফেলা ফুটুগ্রাফার বাইড়া গেলে কবে না পুকামাকুড় হিজাব করার ডিসিশান নেয়!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই বিউটি মাছি কিন্তু খাইষ্টা আছে। একটা সত্যি ঘটনা বলি, মাছির ছবি তোলার বেশ চেষ্টা করতেছি কিন্তু জুইত করতে পারতেছিলাম না। একে তো ম্যানুয়াল লেন্স, ফোকাস করতে হবে ম্যানুয়ালি। এখন মাছিকে ফোকাস করতে হলে মাছি স্থির থাকতে হবে। কিন্তু মাছি এক জায়গায় থাকতেছেনা। খালি নড়ে। অনেক্ষণ চেষ্টার পর মাছির চোখ প্রায় ফোকাস করে ফেলেছি খালি শাটার বাটনে চাপ দিব এমন একটা টান টান উত্তজনার মূহুর্তে মাছিটা পুরা উলটা ঘুইরা গেলো। এইদিকে আমি তো শাটার বাটন চেপে ফেলছি। ফোকাস হলো ঠিকই তবে সেটা মাছির পুটু। কই যাই
যাউজ্ঞা, আমি কিন্তু আপনার লেখার বড় ভক্ত।
ম্যাক্রো লেন্স কোনটা বস? ক্যাম্রা কোনটা? আমার ম্যাক্রো নাই, এক্সটেনশান টিউব কিঞ্ছিলাম, কিন্তু ওইযে শার্প করতে পারিনা ম্যানুয়ালি, যে দুই-একটা শার্প আশে আবার দেখি সেগুলার কম্পোজিশান ভাল না, কয়েকদিন গুতাগুতি কইরা ম্যাক্রো গিয়ার ব্যাগে ঢুকাইছি কয়েকটা ছবি মনে হয় ফেবুতে/ফ্লিকারেও দেখছি নাকি?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি গরীব মানুষ। গিয়ার বলতে নাইকন ডি ৯০। লেন্স ১৮-৫৫ আর একটা ৫০। তিন বছর ধরে এই সেটাপেই চালাচ্ছি। ম্যাক্রোটা সুহাস ভাইয়ের। micro nikkor 55mm AI-s f/2.8। বহুত গ্যাঞ্জাইম্যা লেন্স। কিন্তু একবার ঠিক ঠাক ফোকাস করতে পারলে এর চেয়ে ভালো জিনিস আর নাই।
আমার মতন বেকুব এই লেন্স দিয়ে কয়েকটা ফোকাস করে ফেলছে আর আপনে বইসা আছেন ক্যান? ব্যাগ থিকা ম্যাক্রো গিয়ার বাইর কইরা তোলা শুরু করেন।
ছবি সবগুলাই ফ্লিকারে আপ দেয়া আর কিছু আছে ফেবুতে আমার ঐ প্রজেক্ট ৩৬৫ অ্যালবামে।
যাক গরীবে গরীবে মিলছে ভাল। আমারও ডি ৯০। অনেকদিন বের হওয়া হয় না ক্যাম্রা নিয়া। আপনার পোস্ট দেইখা উৎসাহ পাইলাম। সুহাস ভাইয়ের মত একখান গুরু পাইলে....................
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এককথায় একে বলে - ফাডায়ালাইছেন।
তয় দুঃখের কথা। মাইক্রো দেখার খুব ইচ্ছে। এখনো সুযোগ হয় নাই! টেকা নাই। তবে কিনুম একদিন, হ।
ডাকঘর | ছবিঘর
আমারো খুব ইচ্ছা একটা ম্যাক্রো লেন্স কিনার। কিন্তু ঐ, টেকা নাই।
মুগ্ধতা!!!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
বাহ্-
হুম কয়দিন আগে পোকামাকড়ের এই রকম ছবি দেখছিলাম- এইডারে তাইলে ম্যাক্রো কয়...
ভালৈছে...
কড়িকাঠুরে
খাসা লিখেছেন! আর ছবি তো..
-বিক্ষিপ্ত মাত্রা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
প্রসঙ্গত, সুনা তুই মাছির ছবিটা কেম্নে তুলছস? গু আইনা প্লেটে রাইখা পরে সামনে ক্যামেরা ধইরা বইসা ছিলি? নাকি মাঝে যে ৪ মাস গোসল করসনাই ওই সময় তুলছস?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কী খারাপ
আতাহার
অনার্য সঙ্গীতের বিরুদ্ধে হাচল অবমাননার অভিযোগ জানালাম।
আমি তেমন কিছুই করিনাই। খালি মাছিগুলার সামনে গিয়া তোর নাম নিছি, জীবাণু রত্না। তাতেই কাজ হয়ে গেছে।
কয়দিন আগের একটা ঘটনা মনে পড়লো। একটা জংলা মতন জায়গায় ম্যাক্রো করতে গিয়ে মাছি খুঁজতেছি, কিন্তু মাছি পাইনা। সাথে সুহাস ভাইও ছিল। তো একটা জায়গায় দেখি অনেক মাছি ভুর কইরা রইছে। আমরা তো বিশাল খুশি। কিন্তু কাছে গিয়া দেখি কে জানি ঐখানে হাগু করে গেছে। সেই হাগুর উপর মাছির ভিড়।
মারাত্মক।
ওয়েলকাম ব্যাক, লেখালেখি চালু থাকুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চেষ্টা করতেছি আবার নিয়মিত হওয়ার।
চমৎকার লাগল
ভাই !
বেকুবির গল্পে প্লাস।
ছবিতে মাইনাস।
এইগুলো ক্যাম্নে তোলে মানুষ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছোটবেলায় এই বেকুবিগুলা না করলে আসলে গল্প গুলোও তৈরি হতনা। পারিবারিক বিভিন্ন আড্ডায় বা কাজিনদের নিয়ে নানান আড্ডায় ছোটবেলায় কে কত বেকুবি করেছে সেই গল্প যখন বলা হয় সেটার একটা আলাদা আনন্দ আছে। সব গল্পই একেবারে মুখস্ত কিন্তু প্রতিবারই শোনার সময়ে নতুন করে শোনার একটা মজা পাওয়া যায়।
আহ, শৈশব !
অমানবিক ছবি সব!
ফ্লিকারে ছবি কিছু প্রাইভেট করে রেখেছো, ফেইভ করতে পারলাম না।
হ খুব খারাপ করছে ভাইজান
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আসলে ভাইয়া ফ্লিকারেও ছবি আপ দেইনা এক বছর হয়ে গেছে। প্রো এর মেয়াদ শেষ অনেক আগেই, আপ দিলে পেছনের ছবি গায়েব হয়ে যায়, দেখতে ভাল্লাগেনা। অ্যাকাউন্ট আবার প্রো করলে সব একবারে আপ দিব। তখন এইগুলা নতুন করে আপ দিব, পাব্লিক করে। তবে, যেগুলা হাইড করা সেগুলা কিন্তু ফেবুতে ৩৬৫ অ্যালবামে আছে।
কী তামাশা!
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাইজান আমি আপনারেই খুজতেছিলাম। ছবি গুলান না নিয়া কোন মন্তব্য করুম না, পাপ হইয়া যাইব। আমি জানি ম্যানুয়াল ম্যাক্রো লেন্স দিয়া এই লেভেলের ছবি তুলা কি কঠিন কাম। (গুড়)
অফ টপিক ঃ আমি Cannon rebel T3i দিয়া শুরু করছি। আমারে একটা একটু Mid-level এর লেন্স suggest করতে পারবেন, যেটা দিয়ে মোটামুটি সব ধরনের কাজ চালাতে পারব। পরে হাত পাকলে নিজের প্রয়োজনটা বুঝতে পারব, যেটা এখন বুঝতে পারিনা।
আসলেই ম্যানুয়ালি ম্যাক্রো খুব কঠিন কাজ।
ইয়ে, আমি লেন্স নিয়ে জানি কম। নাইকন ইউজার, ক্যানন নিয়ে জানি আরো কম। তবে আপনি এটা দেখতে পারেন, Canon EF-S 55-250mm f/4-5.6
পেন্নাম হই, আমিও ম্যাক্রোর কাঙ্গাল !
মাছিটা তো মহা চাঁড়াল... হাত-পা-মুখের লোম কত বড় হয়েছে দেখেছেন? শেভ করে না...
ছবি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। আরো লেখা চাই...
-- সাদাচোখ
sad_1971এটymailডটcom
হাহাহা, মাছি শেভ করেনা।
"Don't let go" মেইল করে দিতে পারবে আমাকে? ভীষণ পছন্দ হয়েছে। ওয়ালপেপার বানাতাম। আমার আইডি nashtaranঅ্যাটজিমেইল।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এই ছবিটা আমারো প্রিয়।
তোমাকে মেইল করে দিয়েছি।
ওরে ! ফটোগুলা দেইখা - টাশকির উপরে টাশকি, তাব্দার উপরে তাব্দা খায়া পইড়া রইলাম অনেক ক্ষণ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাই !
(বেকুব মার্কা হাসি)
বহুত খুব>>
সৌরভ কবীর
লেখা
ফটো (গুড়)
আহা বাঁচ্যা আছেন দেখে ভালু লাগিল
হ, কেমনে কেমনে জানি এখনো বাঁইচ্যা আছি।
ভাল। মনে হলো সব স্লো-মোসনের ছবি দেখলাম!
অসাধারণ।
নিজেকে এতো বোকা ভাববেন না।
মনের রাজা টারজান
ভাই !
আহা! বড়ই মনোহর সব ছবি।
"Reflection of passion" অদ্ভুত !!!!!!!!!!! এই ফোকাসিং ক্যাম্নে করে !
প্রচন্ড শীতে ভোরে এই ছবিটা ফোকাস করতে গিয়ে খবর হয়ে গেছিল। প্রায় ৭/৮ টার মতন তোলার পর এইটা একটু শার্প আসছে।
আমার এই পোষ্ট পড়ে মনে পড়লো যে তিন বছর আগে আমি সুপার জুমের নতুন ক্যামেরাটা যে কারণে কিনছিলাম ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ছিল তার অন্যতম। ট্রাইপড কিনতে কিনে ক্যামেরা বুড়ো হয়ে যাচ্ছে।
অমানবিক সৌন্দর্য সবগুলো ছবিতে!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ভাই।
ম্যাক্রো তোলা শুরু করে দেন। ট্রাইপড ছাড়াই চেষ্টা করেন। এই পোষ্টের ১৮ ছবির একটাতেও আমি ট্রাইপড ব্যাবহার করিনাই।
অমানুষিক সব ছবি। এই পোস্ট দেখে আজ আপনার পুরনো সব ছবির পোস্ট গুলো পড়ে ফেললাম, মাথা নষ্ট করা সব ছবি।
মাছি মার্কা জিন্দাবাদ !!!
ছবিগুলা ভালো পাইছি! লেগে থাকেন ভাই-মাস্টার পিস আসবে!
লেগে থাকার চেষ্টা করবো ভাই।
ওইত্তেরি.... এইগুলা কি...!!!
দেইখা তো মাথা আউলা কইরা বইসা আছি।
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন আছিলো..... নিকনে রিভার্স রিং লাইয়ে কি ম্যাক্রো করা যায় ? আমি ক্যাননে করতে দেখেছি..... কিন্তু নিকনের খবর জানি না .....
যায়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনি কি রিভার্সিং লেন্স মেথডের কথা বলছেন? নাইকনে করা যায় তো। ধরেন আপনার একটা প্রাইম লেন্স বা ৫০ এম এম আছে। এখন সেই ৫০ লেন্সটা খুলে উলটো করে বডির সাথে চেপে ধরে ছবি তুলুন। ম্যাক্রোর কাজ দেবে। এখানে প্রাইম বা ৫০ এর কথা বললাম কারণ অন্য লেন্সে তুললে তোলা যায় তবে ফ্রেমের চারপাশে কালো অংশ বা ভিগ্নেট্টে আসার সম্ভাবনা থাকে। ৫০ দিয়ে ভালো কাজ হয়।
অসাধারণ।
১০,১১,১৩,১৭ নম্বর দারুন লেগেছে।
লেখায়
আরো ছবি আর লেখার জন্য(পপ্পন)
চমৎকার হয়েছে নির্জন ভাই, অ-সা-ধা-র-ণ !!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
ভাই।
অ--সা---আআআআ---ধা---র---ন ।
অবিশ্বাস্য রকম সুন্দর।
আপনেরা কী খান?
ইয়ে, খাইয়া আইসা বলতেছি।
ইস ভীষণ সুন্দর হয়েছে সব ছবিগুলা।
তুই ম্যাক্রো করছস, এইটা দেইখাই মহা শান্তি তয়, ছবিগুলান কিন্তু মারাত্মকের বাচ্চা মারাত্মক হইছে।
ল, এদ্দিন একটু ঘটা কইরা বুটানিক্যাল গার্ডেনে ম্যাক্রো কর্তাম যাই, বর্ষা তো আয়া পড়লো ... একুনি সময় ... আয়া পড় ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
লও যাইগা একদিন।
নতুন মন্তব্য করুন