লুৎফর রহমান রিটনের সাক্ষাৎকারের শেষ অংশটুকু তুলে দেয়া হল। এ অংশে সফটওয়্যারের সমস্যা জনিত কারনে কথা ড্রপ বেশ খারাপ আকার ধারন করে। কোন অংশ বুঝতে সমস্যা হলে প্রশ্ন করুন। যথাসাধ্য উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
এই সাথে পরবর্তী সাক্ষাৎকারে কাকে দেখতে চান সে ব্যাপারে আপনার ইচ্ছে জানাতে ভুলবেন না।
স্ক্রীপ্ট
এস এম মাহবুব মুর্শেদ:
প্রকৃতিপ্রেমিক জানতে চেয়েছেন
আচ্ছা রিটন ভাই,
১. কবি যখন কোন কবিতা লেখেন তখন তার মধ্যে একটা ভাব কাজ করে। সেই ভাব কবিতা হিসেবে বের হয়ে আসে। ছড়া লেখার সময়ও কি এমনটি হয়? অর্থাৎ ছড়া লেখার জন্য কোন প্রস্তুতির (ভাব বা এরকম কিছুর) প্রয়োজন হয় কি? নাকি আপনি সবসময়ই একটা ছন্দ-ছন্দ মুডে থাকেন আর লিখতে চাইলেই লিখে ফেলেন?
২. কেউ একজন বলেছিলেন খুব ভাল থাকলে বা খুব খারাপ অবস্থায় থাকলে (মানসিক, আর্থিক, সামাজিক, দু:খ কষ্ট ইত্যাদি বিচারে) কবিতা লেখা যায়-- মাঝামাঝি অবস্থায় কবিতা আসেনা। ব্যাপারটা কি ছড়া লেখার বেলাতেও এরকম?
এস এম মাহবুব মুর্শেদ:
এবার আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।
আপনি ছাপাখানার প্রকাশনা দেখেছেন, কম্পিউটারে প্রকাশনা দেখেছেন, আর এখন দেখছেন ইন্টারনেটে প্রকাশনা। প্রকাশনার এই বিবর্তন কে কিভাবে নিচ্ছেন আপনি?
আপনার যদি টাইম মেশিনে পুরোনো দিনে ফিরে যাবার ক্ষমতা থাকত তাহলে নিজের কোন সিদ্ধান্তটা বদলে নিতেন?
নিজের তিনটে ভালো এবং তিনটে খারাপ গুন বা দোষের কথা বলুন।
আপনি চেরাগের দৈত্য পেলে কোন তিনটা জিনিস চাইতেন?
সচলায়তনের কোন জিনিসটা ভালো এবং কোন জিনিসটা খারাপ লাগে?
এস এম মাহবুব মুর্শেদ:
সবশেষে আবার জানতে চাচ্ছি, এই অডিও রের্কডটির বক্তব্য অবিকৃত রেখে সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে সচলায়তনে প্রকাশে রিটন ভাই বা হিমুর আপত্তি নেই তো?
সচলায়তনে সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহন করার জন্য রিটন ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্য
খুব ভাল লাগল সাক্ষাৎকার তিনটি শুনে। শুনতে শুনতে আমার নিজের জীবনের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল রিটন ভাইকে নিয়ে।
__________________________________________________http://www.facebook.com/notes/tanya-kamrun-nahar/ritana-bhaiyera-saksatk...
চেরাগের দৈত্য প্রশ্নের উত্তর শুনে ভাল লাগল
আমিও একমত
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
লুৎফর রহ,মান রিটন সত্যি সত্যিই দ্রুত রেগে যান। তার মানে আপনার বয়স হচ্ছে। বুড়ো হচ্ছেন। তবে রাগটাও খুবই সুনিয়ন্ত্রিত। আমার প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়েও সংযত হলেন। কিন্তু বলা শুরু করেও পুরোটুকু বললেন না। আমরা তো শুনতেই বসে আছি। বিস্তারিত জানার প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছিলাম। তবু যতটুকু বলেছেন একদম চুপ থাকার চাইতে ও ভালো।
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর এক চলচিত্রের বিভিন্ন বিষয়ে পুরষ্কার প্রদান প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, আমাদের দেশের পুরষ্কার আপন মানুষদের দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই প্রসঙ্গে আলাপ করতে যেয়ে উকিল মুন্সীর নাম বলেছেন। বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা।
প্রথম অবস্থায় যখন আপনাকে জানতাম না, তখন আব্দুল হাই গানটা দিয়ে আপনাকে বুঝতাম। তখনকার শিশু-কিশোর এবং আমার মত হাফ-যুবাদেরও প্রিয় ছিলো সেই ছড়াগানটি।
তবুও ভালো আমাদের প্রিয় ছড়াকার। আপনি ভালো থাকেন। আমাদের শিশুরা এবং আমাদের শিশুতোষ মন আপনার আরো ছড়া পাঠে আনন্দ পাবো এই প্রত্যাশা। কিন্তু বাঙলা একাডেমী পুরষ্কারটি যার কাছে যেমনই মনে হোক- আমি মনে করি এটি আমার দেশের প্রধাণ স্বীকৃতি। ঘরের মানুষের কাছে মূল্যহীন আর বাইরে বিপুল ভাবে সমাদৃত হলেও- তবুও কোথাও যেন একটু বেদনার কাঁটা খঁচখঁচ করে না?
আর সচলায়তনের পক্ষে এই সাক্ষাৎকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন সর্দারকে শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। আশা করি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ভবিষ্যতেও সচল রাখবেন।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
অডিওতে কিছু ত্রুটি থাকায় কিছু ক্ষেত্রে রসভঙ্গ হলেও সাক্ষাত্কারটি খুবই দাগ কাটলো মনে। মুগ্ধ হয়ে শুনলাম তিনটি পর্বই।
উদ্যোগ এবং তার সফল বাস্তবায়নের জন্য হিমু ও এস এম মাহবুব মুর্শেদকে ধন্যবাদ-মাখা অভিনন্দন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দুটো বিষয় লক্ষ্যযোগ্য মনে হয়েছে-
১. কবিদের যক্ষা হবে এটার গ্যারাণ্টি দেয়া না গেলেও যন্ত্র যে এই হুমকী থেকে মুক্ত নয় তা সাক্ষাৎকার প্রচারে যন্ত্রের নির্বিচার কাশি থেকেই বুঝতে পারছি। ভালোভাবে উপভোগই করতে পারলাম না।
২. রিটন ভাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করছি যে, কবিতা লিখতে কবিকে কষ্টকর অবস্থায় বা প্রতিবেশে থাকতে হবে এটা ঠিক নয়। তবে তার সম্পুরক হিসেবে আমি মনে করি কবির মধ্যে অনিবার্য যে উপলব্ধি থাকতে হবে, তা হচ্ছে কষ্টবোধ। কষ্টের নুন ছাড়া কবিতা কখনোই উপভোগ্য হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।
এ ছাড়া পোস্টে মন্তব্য বিষয়ক আলোচনাটা ভেবে দেখার মতো।
ধন্যবাদ রিটন ভাই। ধন্যবাদ মাহবুব আজাদ হিমু ও এস এম মাহবুব মুর্শেদকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ভাল লাগলো শুনে। কিছু শব্দগত গোলযোগ ছিলো যদিও, মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়িই যেন শেষ হয়ে গেলো।
অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই, হিমু ভাই আর এসএম৩ ভাইকে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
রিটন ভাইয়ের জবাব শুনে হাসতে হাসতে চায়ার থেকে পড়ে গিয়েছিলাম প্রায় - লেখকের মৃত্যু হবে যক্ষা রোগে... হা হা হা। দলাদলির ব্যাপারে sm3 ভাই একটি পোস্ট দিয়েছেন অবশ্য। এই সাক্ষাতকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
যেখানে লেখার আলাপ হচ্ছিল, সেখানে অভিজিৎদার সেক্যুলারিজম নিয়ে লেখাটির কথা হচ্ছিল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির