না ভোট বিষয়টা আসলে ভোটাভুটি-কে না বলা। নির্বাচনের মূল ধারণাকেই পন্ড করে দেয় এই নতুন সংযুক্তি। নির্বাচন না মানলে মনোনয়ন করতে হয়। খলিফা সিলেকশন।
না ভোট আসলে উস্কে দেয় আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি আর জঙ্গিবাদের মূল ধারণাকে। তোমাদের এই ভোটাভুটি মানি না বলে যারা দশ-পাঁচজন একত্র হয়ে গলা কাটে আর বোমা ফাটায়।
বাসদ বা অন্য ছোটদলগুলোতো নির্বাচনে জিতবে না। তবে তারা প্রার্থী দেয় কেন? তারা তাদের দলের নাম বদলে না-দল রাখলেই পারে। আর নির্বাচন আসলে না-ভোট দিতে পারে।
যারা না-ভোট দিতে চায়, তারা মিলে তাদের পছন্দের মাত্রা অনুযায়ী একজন প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তাকে ভোটে জয়যুক্ত করে না কেন?
না ভোটকে তো আর সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে পাঠানো যাবে না।
ভালো প্রার্থী কে? ড. ইউনুস? ড. কামাল না ড. ফেরদৌস কোরেশি?
জনগণ নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় কাছের চেনা মানুষকেই বেছে নেবে। ড্রইংরুমে বসে থাকা ড.-দেরকে নয়।
নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহার, সন্ত্রাস, হুমকি বন্ধের ব্যবস্থা করে দেখতে হবে মাস্তান-গডফাদাররা জিততে পারে কিনা।না ভোট কোনো সমাধান নয় এটা একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উস্কানিদাতা।
যারা জীবনে সামাজিক কারণে দেশের জন্য কোনো মিছিলে বা দাবী-দাওয়ার আন্দোলনে নামে নাই তাদের পক্ষেই সম্ভব না ভোট দেয়া। আমার বিশ্বাস এ ফ্যাশন শুধু ফ্ল্যাটে বাস করা ক্যাবল টিভি দেখা দেশের মাটি-জলের সাথে সম্পর্কহীন শহুরে তরুণদের।
একটি কেন্দ্রে যদি ৮ জন প্রার্থী থাকে, আর একজন ভোটার যদি না ভোট দেয় তবে সে কাকে না ভোট দিলো? ৮ জনকেই? নাকি শুধু বিএনপি-আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে?
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাহলে নির্বাচনে জেতে কোন ফাঁক দিয়ে। দাঁড়ায় বা তারা কি করে?
না ভোট থাকার পরও যদি এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রাথীরা জেতে তবে কি প্রমাণিত হবে যে না ভোটকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন?
----------------------------------------------- সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
----------------------------------------------- মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমার ভোট আমি দিতে চাই।কিন্তু কাকে দিব?যারা প্রার্থী,তাদেরকে যদি আমার পছন্দ না হয়।তবে কি ঘরে বসে থাকবো?চারদলকে ভোট দিলে আবারো রাজাকারের গাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা।কিন্তু মহাজোটকে ভোট দিলে বিশ্ববেহায়া হবে রাষ্ট্রপতি।আমার বিবেক যে এর কোনটিতেই সায় দেয় না।আমি জানি, যে কোন জোট ক্ষমতায় আসলেই আমার মরা ব্যবসায় প্রাণ আসবে।গত দুইবছরে হিসাবের ঘরের বিয়োগ চিন্থটা কিছুটা হলেও যোগের দিকে যাবে।কিন্তু বাংলাদেশের উল্টাপায়ে হাঁটা এতে বন্ধ হবে না।
অতএব না ভোট দেয়া আমার অধিকার নয় কেন?
১২ | লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: সোম, ২২/১২/২০০৮ - ১২:২৭অপরাহ্ন)
লীলেন দা, আমিও মানি যে ভোট নির্বাচনের। তবে আমি এই সরলীকরণ মানতে নারাজ যে "না" ভোট দেওয়া মানে নির্বাচন বানচাল করা। এই চিন্তা আমার কাছে অদূরদর্শী মনে হয় খুব।
মিরপুরে আজও কি কামাল মজুমদারকে মনোনয়ন দিতে হত আওয়ামী লীগের? আরিফ জেবতিক ভাই যেমন বলছিলেন তাঁর এলাকায় এরশাদ মনোনিত হওয়ার কথা। দেশকে ভালবাসি, রাজাকারদের বিরোধী, ইত্যাদির প্রমাণ রাখার জন্য কি আমি এই লুইচ্চাগুলোকে ভোট দিতে বাধ্য?
আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকরা বলে চলছে যে "না" ভোট নাকি রাজাকারদের নির্বাচিত করার চক্রান্ত, ইত্যাদি। এই যে এবারে এতটা প্রো-আওয়ামী লীগ জোয়ার, এর মধ্যেও কেন তারা গরু-ছাগল মনোনয়ন দিল? আমরা যারা এই দলগুলোর উন্নতি চাই, তারা কীভাবে আমাদের মতটুকু প্রকাশ করবো? আমরা কীভাবে জানাবো যে আমরা কিছু পরিবর্তণ চাই?
গণতন্ত্রে নির্বাচন মানে স্রেফ একটি মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চনের উত্তর দেওয়া না। নির্বাচন মানে নিজের মত প্রকাশ। আমি মনে করি না যে কতগুলো ইতরকে ইতর ডাকলে তা আমার দেশপ্রেম বা দায়িত্ববোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
না ভোট তো দেবোই না
বরং অন্য কেউ যাতে না ভোটের ফাঁদে পড়ে নিজেকে গিনিপিগ না বানায় সেই চেষ্টাই আমি করছি
০২
ভোট হচ্ছে নির্বাচনের প্রক্রিয়া
নির্বাচন বাতিলের প্রক্রিয়া না
০৩
এই নির্বাচনে না ভোটের সংযোজন মূলত সেই দুবছর আগে শুরু হওয়া মাইনাস টু থিউরিরই এক্সটেন্ডেড ভার্সন
যার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশকে রাজনীতিবিদ মুক্ত করা
আর মানুষকে রাজনীতি বিমুখ করা
রাজনীতিবিদেদের মাইনাস করতে পারলে ভাঁড়দের সুযোগ হয় দেশ চালানোর
সেই পথ পরিষ্কার করা
৮ | লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: সোম, ২২/১২/২০০৮ - ১১:৪৩পূর্বাহ্ন)
চুতিয়া শব্দটা আমার কাছেও আপত্তিকর
কিন্তু অন্য কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না বারবার চেষ্টা করেও
তাই আপত্তিকর জেনেও একাধিকবার ব্যবহার করতে হয়েছিল শব্দটি
০২
রাজনীতিবিদ বাছাইয়ের প্রক্রিয়া রাজনীতির মধ্য দিয়েই করা উচিত
অরাজনৈতিক ফর্মুলায় করার কোনো সুযোগ নেই
না ভোটটা রাজনীতিতে অরাজনৈতিক ফর্মুলার একটা উদাহরণ
এইসব ফর্মুলায় আমাদের স্টুডেন্ট পলিটিক্স ধ্বংস হয়ে গেছে
এখন চলছে রাজনীতিবিদ নির্মুল প্রক্রিয়া
০৩
বহু রাজনীতিবিদকে মানুষ বাদ দিয়ে দিয়েছে
রাজনীতিবিদরাও বদলে নিয়েছে তাদের
এই উপমহাদেশে রাজনীতি শুরু হয়েছিল জমিদার আর এলিটদের সম্পত্তি হিসেবে
সেখানে এখন সাধারণ মানুষেরও অংশ গ্রহণ আছে
কিন্তু সবই হয়েছে রাজনীতির স্বাভাবিক ধারাবাহিকতায়
রাজনীতিবিদদেরকে না বলার প্রক্রিয়া রাজনীতির মধ্যেই আছে
সেটা একদিনে হয় না
এক দিনে আশাও করা যায় না
০৪
না ভোটটা সুবিধাবাদী লোকদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের এক পদক্ষেপ
৭ | লিখেছেন নির্বাক [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২২/১২/২০০৮ - ১২:১৭অপরাহ্ন)
যে দেশে রাজনীতিবিদেরা দূর্নীতি আর অস্ত্রের জোরে জনগণের ঘাড়ে চেপে থাকে, সে দেশে রাজনীতিবিদদেরকে প্রত্যাখ্যানের উপায় কি হতে পারে? রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের আগে যদি এইসব রাজনীতিবিদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশের কোন অনুন্নত সুযোগ পাওয়া যায় সেটা একবার চেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়?
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
মন্তব্য
না ভোট বিষয়টা আসলে ভোটাভুটি-কে না বলা। নির্বাচনের মূল ধারণাকেই পন্ড করে দেয় এই নতুন সংযুক্তি। নির্বাচন না মানলে মনোনয়ন করতে হয়। খলিফা সিলেকশন।
না ভোট আসলে উস্কে দেয় আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি আর জঙ্গিবাদের মূল ধারণাকে। তোমাদের এই ভোটাভুটি মানি না বলে যারা দশ-পাঁচজন একত্র হয়ে গলা কাটে আর বোমা ফাটায়।
বাসদ বা অন্য ছোটদলগুলোতো নির্বাচনে জিতবে না। তবে তারা প্রার্থী দেয় কেন? তারা তাদের দলের নাম বদলে না-দল রাখলেই পারে। আর নির্বাচন আসলে না-ভোট দিতে পারে।
যারা না-ভোট দিতে চায়, তারা মিলে তাদের পছন্দের মাত্রা অনুযায়ী একজন প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তাকে ভোটে জয়যুক্ত করে না কেন?
না ভোটকে তো আর সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে পাঠানো যাবে না।
ভালো প্রার্থী কে? ড. ইউনুস? ড. কামাল না ড. ফেরদৌস কোরেশি?
জনগণ নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় কাছের চেনা মানুষকেই বেছে নেবে। ড্রইংরুমে বসে থাকা ড.-দেরকে নয়।
নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহার, সন্ত্রাস, হুমকি বন্ধের ব্যবস্থা করে দেখতে হবে মাস্তান-গডফাদাররা জিততে পারে কিনা।না ভোট কোনো সমাধান নয় এটা একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উস্কানিদাতা।
যারা জীবনে সামাজিক কারণে দেশের জন্য কোনো মিছিলে বা দাবী-দাওয়ার আন্দোলনে নামে নাই তাদের পক্ষেই সম্ভব না ভোট দেয়া। আমার বিশ্বাস এ ফ্যাশন শুধু ফ্ল্যাটে বাস করা ক্যাবল টিভি দেখা দেশের মাটি-জলের সাথে সম্পর্কহীন শহুরে তরুণদের।
একটি কেন্দ্রে যদি ৮ জন প্রার্থী থাকে, আর একজন ভোটার যদি না ভোট দেয় তবে সে কাকে না ভোট দিলো? ৮ জনকেই? নাকি শুধু বিএনপি-আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে?
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাহলে নির্বাচনে জেতে কোন ফাঁক দিয়ে। দাঁড়ায় বা তারা কি করে?
না ভোট থাকার পরও যদি এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রাথীরা জেতে তবে কি প্রমাণিত হবে যে না ভোটকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
'না' ভোট এখন ১৫-১১ গোলে এগিয়ে আছে।
বিভাজনটা এমন করা যায়:
১) না - ১৫
২) লীগ - ৬
৩) বিম্পি - ৫
৪) স্বৈরাচার - ০
৫) রাজাকার - কস্কি মমিন!?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার ভোট আমি দিতে চাই।কিন্তু কাকে দিব?যারা প্রার্থী,তাদেরকে যদি আমার পছন্দ না হয়।তবে কি ঘরে বসে থাকবো?চারদলকে ভোট দিলে আবারো রাজাকারের গাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা।কিন্তু মহাজোটকে ভোট দিলে বিশ্ববেহায়া হবে রাষ্ট্রপতি।আমার বিবেক যে এর কোনটিতেই সায় দেয় না।আমি জানি, যে কোন জোট ক্ষমতায় আসলেই আমার মরা ব্যবসায় প্রাণ আসবে।গত দুইবছরে হিসাবের ঘরের বিয়োগ চিন্থটা কিছুটা হলেও যোগের দিকে যাবে।কিন্তু বাংলাদেশের উল্টাপায়ে হাঁটা এতে বন্ধ হবে না।
অতএব না ভোট দেয়া আমার অধিকার নয় কেন?
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
লীলেন দা, আমিও মানি যে ভোট নির্বাচনের। তবে আমি এই সরলীকরণ মানতে নারাজ যে "না" ভোট দেওয়া মানে নির্বাচন বানচাল করা। এই চিন্তা আমার কাছে অদূরদর্শী মনে হয় খুব।
মিরপুরে আজও কি কামাল মজুমদারকে মনোনয়ন দিতে হত আওয়ামী লীগের? আরিফ জেবতিক ভাই যেমন বলছিলেন তাঁর এলাকায় এরশাদ মনোনিত হওয়ার কথা। দেশকে ভালবাসি, রাজাকারদের বিরোধী, ইত্যাদির প্রমাণ রাখার জন্য কি আমি এই লুইচ্চাগুলোকে ভোট দিতে বাধ্য?
আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকরা বলে চলছে যে "না" ভোট নাকি রাজাকারদের নির্বাচিত করার চক্রান্ত, ইত্যাদি। এই যে এবারে এতটা প্রো-আওয়ামী লীগ জোয়ার, এর মধ্যেও কেন তারা গরু-ছাগল মনোনয়ন দিল? আমরা যারা এই দলগুলোর উন্নতি চাই, তারা কীভাবে আমাদের মতটুকু প্রকাশ করবো? আমরা কীভাবে জানাবো যে আমরা কিছু পরিবর্তণ চাই?
গণতন্ত্রে নির্বাচন মানে স্রেফ একটি মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চনের উত্তর দেওয়া না। নির্বাচন মানে নিজের মত প্রকাশ। আমি মনে করি না যে কতগুলো ইতরকে ইতর ডাকলে তা আমার দেশপ্রেম বা দায়িত্ববোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
অপ্রসঙ্গ: আরে! সচলের ব্যানারও দেখি বদলে গেছে!!
চমৎকার ব্যানারটির জন্য ইশতিয়াক হাসানকে অভিনন্দন।।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আসলেই! সচলায়তনের ব্যানার গুলো দেখে মাঝে মাঝে বিষ্ময়ে বাক হারা হই। ব্যানার এর স্রষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে ইচ্ছা হয়। কখনো দুয়েকটা মন্তব্য ও থাকে মনে।
মডারেটররা কি ভেবে দেখবেন কোন ভাবে তাদের কাছে মন্তব্য পৌছে দেবার কোন উপায় করা যায় কি না? তাদের জন্যও উৎসাহব্যঞ্জক হয় ব্যপার টা।
..........
...এভাবেই আবদার বাড়তেই থাকে!
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
না ভোট তো দেবোই না
বরং অন্য কেউ যাতে না ভোটের ফাঁদে পড়ে নিজেকে গিনিপিগ না বানায় সেই চেষ্টাই আমি করছি
০২
ভোট হচ্ছে নির্বাচনের প্রক্রিয়া
নির্বাচন বাতিলের প্রক্রিয়া না
০৩
এই নির্বাচনে না ভোটের সংযোজন মূলত সেই দুবছর আগে শুরু হওয়া মাইনাস টু থিউরিরই এক্সটেন্ডেড ভার্সন
যার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশকে রাজনীতিবিদ মুক্ত করা
আর মানুষকে রাজনীতি বিমুখ করা
রাজনীতিবিদেদের মাইনাস করতে পারলে ভাঁড়দের সুযোগ হয় দেশ চালানোর
সেই পথ পরিষ্কার করা
চুতিয়া শব্দটা আমার কাছেও আপত্তিকর
কিন্তু অন্য কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না বারবার চেষ্টা করেও
তাই আপত্তিকর জেনেও একাধিকবার ব্যবহার করতে হয়েছিল শব্দটি
০২
রাজনীতিবিদ বাছাইয়ের প্রক্রিয়া রাজনীতির মধ্য দিয়েই করা উচিত
অরাজনৈতিক ফর্মুলায় করার কোনো সুযোগ নেই
না ভোটটা রাজনীতিতে অরাজনৈতিক ফর্মুলার একটা উদাহরণ
এইসব ফর্মুলায় আমাদের স্টুডেন্ট পলিটিক্স ধ্বংস হয়ে গেছে
এখন চলছে রাজনীতিবিদ নির্মুল প্রক্রিয়া
০৩
বহু রাজনীতিবিদকে মানুষ বাদ দিয়ে দিয়েছে
রাজনীতিবিদরাও বদলে নিয়েছে তাদের
এই উপমহাদেশে রাজনীতি শুরু হয়েছিল জমিদার আর এলিটদের সম্পত্তি হিসেবে
সেখানে এখন সাধারণ মানুষেরও অংশ গ্রহণ আছে
কিন্তু সবই হয়েছে রাজনীতির স্বাভাবিক ধারাবাহিকতায়
রাজনীতিবিদদেরকে না বলার প্রক্রিয়া রাজনীতির মধ্যেই আছে
সেটা একদিনে হয় না
এক দিনে আশাও করা যায় না
০৪
না ভোটটা সুবিধাবাদী লোকদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের এক পদক্ষেপ
যে দেশে রাজনীতিবিদেরা দূর্নীতি আর অস্ত্রের জোরে জনগণের ঘাড়ে চেপে থাকে, সে দেশে রাজনীতিবিদদেরকে প্রত্যাখ্যানের উপায় কি হতে পারে? রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের আগে যদি এইসব রাজনীতিবিদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশের কোন অনুন্নত সুযোগ পাওয়া যায় সেটা একবার চেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়?
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
দ্রষ্টব্য @ লীলেন : চুত মানে আম_ সম্ভবত তামিল ভাষায়। আমাদের দেশে চা বাগানগুলোর জন্য যথেষ্ঠ তামিল আনা হয়েছিল। আর মধুপুরে ও পাহাড়ে ধেনো মদকে চু বলা হয়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ভোট দেবো না, তবে দিলে হয়তো 'না' ভোট দিতাম।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
প্রয়োজনে 'না' ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রয়োগ করা যেতে পারে...
মহাজোটের পক্ষেও যদি যুদ্ধাপরাধী নির্বাচন করে সেখানে না ভোট প্রয়োগই তো যুক্তিযুক্ত !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এইটাতে 'না' ভোটের অপশন নাই ক্যান? সন্দেশ মিয়া তো নিজেই 'না' ভোট খারিজ করে দিল
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে