১৯ | লিখেছেন প্রথম মাল্যবান (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: শনি, ২৮/০৩/২০০৯ - ১১:৪২পূর্বাহ্ন)
ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করাকে যে আমি আক্রমন হিসেবে দেখছি, এমন ভাবার কোন কারণ আছে কি?
এ প্রশ্ন করাটি আমার লেজিটিমেট মনে হয়নি এজন্য যে, আমার ধারণা হয়েছিল যে আমি কম্পিউটার বিজ্ঞানী রাগিব হাসানের সাক্ষাতকার শুনছি। প্রথম প্রশ্নগুলো সেরকমই ছিল। হঠাত দুম্ করে ধর্ম নিয়ে আসাতে রাগিব নিজেও কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন বলেও আমার মনে হয়েছে। পর মুহুর্তেই উনি তা সামলে নিয়ে তার মত জবাবও দিয়েছেন। এরপর আর কোন পরিপূরক প্রশ্ন না থাকায় ব্যাপারটি বেশ খাপছাড়া লেগেছে।
সেজন্যই প্রশ্নটি আমার কাছে থট প্রভোকিং না হয়ে বরং অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক তাবড় বিজ্ঞানীকেই তাঁদের ঈশ্বরচিন্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, আরো হবে। আস্তিক আর নাস্তিক, দু শিবিরের লোকেরাই এর মাধ্যমে তাদের নিজের নিজের আত্মপরিচয়ের গোড়ায় ধোঁয়া দেন। কিন্তু রাগিবের কাছ থেকে নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে তেমন কিছু আপনারা আশা করেননি। রাগিব প্রশ্নটির ব্যাপারে আপত্তি করেননি, তাতে তাঁকে সাধুবাদ জানাই, তবে প্রশ্নটি এডিট আউট করলেও খুব একটা অঙ্গহানী হতো না।
যদি হতো যে, আমরা তার প্রোফাইল ইন্টারভিউ শুনছি তাহলে তাকে শুধু তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মচিন্তা কেন, আরো গুচ্ছের ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা যেত।
হতে পারে ইন্টারভিউটির উদ্দেশ্য ছিল রাগিবের একটি সার্বিক পরিচয় তুলে ধরার। তবে তা আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে ধরা পরেনি।
পরে বেশ কিছু ভাল প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অনগ্রসরতা নিয়ে। রাগিবের উত্তরগুলো থেকে অনেক কিছু জানা গেছে, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ।
১৬ | লিখেছেন বিপ্রতীপ (তারিখ: শনি, ২৮/০৩/২০০৯ - ২:৩৬পূর্বাহ্ন)
বেতারায়তনকে...
কিছুদিন আগে জার্মান রেডিওতেও রাগিব ভাইয়ের সাক্ষাতকার শুনেছি। রাগিব ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয়টা বহুদিন আগে এক ইন্টারভিউয়ের সুবাদেই...তখন অবশ্য রাগিব ভাইকে 'স্যার' ডাকতাম...পরে মানুষটার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে কখন যে 'স্যার' ছেড়ে 'ভাই' ডাকা শুরু করেছি...
পিপিদার গলা আমিও প্রথম শুনলাম...কেমন একটা মাস্টর মাস্টর ভাব আছে...কোনদিন উনারে ফোন দিলে খেয়াল কৈরা কথা কইতে হবে (ফোন করবো করবো কইরা আর করা হয় না)...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
১৫ | লিখেছেন প্রথম মাল্যবান (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৩/২০০৯ - ১১:৪১অপরাহ্ন)
ভাল লাগলো রাগিবের কথা-বার্তা। প্রিয় একজন ব্লগারের কন্ঠ শুনতে পারলাম। তবে
রাগিব হাসানকে ইন্টারভিউ করতে গিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করাটা লেজিটিমেট মনে হল না।
ব্যাপারটা ভাল লাগলো না।
কেন লেজিটিমেট মনে হলো না? ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করলেই আক্রমন করার জন্য করা হয়েছে সেরকম ভাবার কি কোন কারন আছে?
আমাদের লক্ষ্য ছিল থট প্রোভোকিং প্রশ্ন করা। লক্ষ্য করবেন যে প্রশ্নের উত্তরের পর আরও অনেক কিছু বলা যেত কিন্তু সেনসিটিভিটির দিকে লক্ষ্য রেখেই অন্য প্রশ্নে চলে গিয়েছি আমরা। আর রাগিবকে ফোন করার আগেই আলোচনা করে নিয়েছিলাম যে তিনি এই প্রশ্ন গ্রহনযোগ্য মনে না করলে চাইলে আমরা বাদ দিয়ে দেবো অংশটা। প্রশ্নটা সেনসিটিভ ঠিকই, কিন্তু আমাদেরও প্রপার প্রিকশন ছিল।
১২ | লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৩/২০০৯ - ৮:৫২অপরাহ্ন)
এমন দেঁতো হাসি দিলেন
কারো ইন্টারভিউ নেয়া তো দূরের কথা ব্ল্যাকবোর্ড আর চক হাতে নিয়ে বকরবকর করা ছাড়া জিন্দেগিতেও মাইকের সামনে যাইনি। প্রশ্ন করতে গিয়ে হিমুর মত গলা ভারি করার চেষ্টা করেছিলাম, এখন রেকর্ড শুনে নিজেরই পালাতে ইচ্ছে করছে।
মন্তব্য
খুবই ভালো লাগলো সবার কথা শুনে (দেরীতে হলেও), পিপিদার গলা শুনলাম অনেকদিন পর
দেরীতে হলেও সাক্ষাতকারটা শুনলাম। জ্ঞানের কথা বুঝি নাই, শুধু বুড়া বয়সে দেশে ফিরে আসবেন শুনে খুশী হয়েছি, দেখা হবে তখন তাহলে ঃ-}
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
গোছানো সাক্ষাৎকার। তিনজনকেই জাঝা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভালো লাগলো রাগিবের গোছানো কথা, বেশ প্রিপেয়ার্ড ই তো মনে হলো একটুও সারপ্রাইজডও তো হলোনা . জন্মদিনের বিলেটেড শুভেচ্ছা।
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করাকে যে আমি আক্রমন হিসেবে দেখছি, এমন ভাবার কোন কারণ আছে কি?
এ প্রশ্ন করাটি আমার লেজিটিমেট মনে হয়নি এজন্য যে, আমার ধারণা হয়েছিল যে আমি কম্পিউটার বিজ্ঞানী রাগিব হাসানের সাক্ষাতকার শুনছি। প্রথম প্রশ্নগুলো সেরকমই ছিল। হঠাত দুম্ করে ধর্ম নিয়ে আসাতে রাগিব নিজেও কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন বলেও আমার মনে হয়েছে। পর মুহুর্তেই উনি তা সামলে নিয়ে তার মত জবাবও দিয়েছেন। এরপর আর কোন পরিপূরক প্রশ্ন না থাকায় ব্যাপারটি বেশ খাপছাড়া লেগেছে।
সেজন্যই প্রশ্নটি আমার কাছে থট প্রভোকিং না হয়ে বরং অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক তাবড় বিজ্ঞানীকেই তাঁদের ঈশ্বরচিন্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, আরো হবে। আস্তিক আর নাস্তিক, দু শিবিরের লোকেরাই এর মাধ্যমে তাদের নিজের নিজের আত্মপরিচয়ের গোড়ায় ধোঁয়া দেন। কিন্তু রাগিবের কাছ থেকে নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে তেমন কিছু আপনারা আশা করেননি। রাগিব প্রশ্নটির ব্যাপারে আপত্তি করেননি, তাতে তাঁকে সাধুবাদ জানাই, তবে প্রশ্নটি এডিট আউট করলেও খুব একটা অঙ্গহানী হতো না।
যদি হতো যে, আমরা তার প্রোফাইল ইন্টারভিউ শুনছি তাহলে তাকে শুধু তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মচিন্তা কেন, আরো গুচ্ছের ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা যেত।
হতে পারে ইন্টারভিউটির উদ্দেশ্য ছিল রাগিবের একটি সার্বিক পরিচয় তুলে ধরার। তবে তা আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে ধরা পরেনি।
পরে বেশ কিছু ভাল প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অনগ্রসরতা নিয়ে। রাগিবের উত্তরগুলো থেকে অনেক কিছু জানা গেছে, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ।
মনে করেন প্রশ্নটার জন্য আমার অনভিজ্ঞতাই দায়ী। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বেতারায়তনকে...
কিছুদিন আগে জার্মান রেডিওতেও রাগিব ভাইয়ের সাক্ষাতকার শুনেছি। রাগিব ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয়টা বহুদিন আগে এক ইন্টারভিউয়ের সুবাদেই...তখন অবশ্য রাগিব ভাইকে 'স্যার' ডাকতাম...পরে মানুষটার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে কখন যে 'স্যার' ছেড়ে 'ভাই' ডাকা শুরু করেছি...
পিপিদার গলা আমিও প্রথম শুনলাম...কেমন একটা মাস্টর মাস্টর ভাব আছে...কোনদিন উনারে ফোন দিলে খেয়াল কৈরা কথা কইতে হবে (ফোন করবো করবো কইরা আর করা হয় না)...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ভাল লাগলো রাগিবের কথা-বার্তা। প্রিয় একজন ব্লগারের কন্ঠ শুনতে পারলাম। তবে
রাগিব হাসানকে ইন্টারভিউ করতে গিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করাটা লেজিটিমেট মনে হল না।
ব্যাপারটা ভাল লাগলো না।
কেন লেজিটিমেট মনে হলো না? ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করলেই আক্রমন করার জন্য করা হয়েছে সেরকম ভাবার কি কোন কারন আছে?
আমাদের লক্ষ্য ছিল থট প্রোভোকিং প্রশ্ন করা। লক্ষ্য করবেন যে প্রশ্নের উত্তরের পর আরও অনেক কিছু বলা যেত কিন্তু সেনসিটিভিটির দিকে লক্ষ্য রেখেই অন্য প্রশ্নে চলে গিয়েছি আমরা। আর রাগিবকে ফোন করার আগেই আলোচনা করে নিয়েছিলাম যে তিনি এই প্রশ্ন গ্রহনযোগ্য মনে না করলে চাইলে আমরা বাদ দিয়ে দেবো অংশটা। প্রশ্নটা সেনসিটিভ ঠিকই, কিন্তু আমাদেরও প্রপার প্রিকশন ছিল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জটিল ...
রাগিব ভাইয়ের ভয়েস আগেও শুনছিলাম, পিপিদারটা এই প্রথম শুনলাম
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এমন দেঁতো হাসি দিলেন
কারো ইন্টারভিউ নেয়া তো দূরের কথা ব্ল্যাকবোর্ড আর চক হাতে নিয়ে বকরবকর করা ছাড়া জিন্দেগিতেও মাইকের সামনে যাইনি। প্রশ্ন করতে গিয়ে হিমুর মত গলা ভারি করার চেষ্টা করেছিলাম, এখন রেকর্ড শুনে নিজেরই পালাতে ইচ্ছে করছে।
ভালো হয়েছে সাক্ষাৎকার। আপনার গলায় একটা শিক্ষকসুলভ নৃশংসতা আছে ... মনে হচ্ছে প্রশ্নের জবাব ঠিকমতো দিতে না পারলেই দশে চার দিয়ে ভাইভা ক্লোজ করে দিবেন।
সারপ্রাইজ সাক্ষাতকারে সপ্রতিভ সব উত্তর। দারুন লাগলো।
বেতারায়তনে শোনা সবচেয়ে ভালো ইন্টারভিউ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
দুর্দান্ত উদ্যোগ!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
সাক্ষাৎকার শুনতে ও পড়তে খুব ভাল লাগে। এটাও খুব ভাল লাগল। বেতারায়তন ও রাগিব ভাইকে ধন্যবাদ।
অন্ধকারের উপর লাঠিপেটা করে লাভ নেই, আলোক জ্বালালেই অন্ধকার দূর হবে
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
- হ। জম্পেশ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাল্লাগলো।
বুঝলাম না... পুরাটা শুনতে পারলাম না... পরিচয় পর্বের পর প্রথম প্রশ্নের উত্তরের মাঝপথে থেমে গেলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ডাউনলোড করে নিন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাল লাগলো খুব।