সম্প্রতি সচলে লেখার মান নিয়ে কিছু সচল ও পাঠকদের মুখে হালকা গুঞ্জরণ শোনা যাচ্ছে। সচল সদস্য ও অতিথিদের মনোভাব স্পষ্ট করে জানতে তাই এ জরিপের অবতারণা। জরিপের ফলাফল সবার কাছে একটি মেসেজ পৌঁছে দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সচলে লেখার মানের ব্যাপারে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ নিচের চারটি অপশন থেকে বেছে নিন।
সহযোগিতার জন্যে ধন্যবাদ। সচল থাকুন, সচল রাখুন।
মন্তব্য
রিয়াজউদ্দিন ভাই, তেল দিয়ে কাজ হয় না। আমাকে দেখেন, আমি চৌদ্দ মাসেও এখনো অচল। জটিল হইসে, শুভ জন্মদিন টাইপ পোস্ট , কমেন্ট কিছু আমিও করেছি:) লেখার মান ও ফ্রিকোয়েন্সি মনে হয় মূল ভূমিকা রাখে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমারও তাই মনে হয়। তবে এই কমিউনিটিতে এই সংস্কৃতি যদি মোটেও না থাকত তাহলে পাঠক হিসাবে আমার ভাল লাগত। কারন একটা পোস্টে যখন মন্তব্য আসে তখন মন্তব্যগুলোকেও পড়ে দেখি বেশির ভাগ লেখক/পাঠকই গঠনমূলক মন্তব্য করেন। সেখানে কিছু তেল দেওয়া মন্তব্য থাকলে চোখে লাগে। সব "ভাল লেগেছে" জাতীয় মন্তব্য এই শ্রেনীর তাও নয় তবে কিছুদিন লক্ষ্য করলে হয়ত প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যেতে পারে। (আমার বোঝার ভুলও হতে পারে)
রিয়াজ উদ্দীন, এই প্রসঙ্গে একটু নাক গলাচ্ছি - কারুর কারুর মন্তব্য যদি আপনার 'তেল দাওয়া' গোত্রের মনে হয়, সেটা সেই বা সেইসব ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত আচরণ - 'সচল'এর সামষ্টিক অবস্থান বা 'মডু'দের সচল করার ক্রাইটেরিয়ার অংশ কি?
অতিথি লিখিয়েদের প্রথম প্রথম নিজেদের কিছুটা বহিরাগত মনে হতেই পারে, কারণ যে কোন ব্লগে বেশ কিছুদিন ধরে লিখতে লিখতে ব্লগারদের মধ্যে যে একটা সম্পর্ক তৈরী হয়, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে নতুনদের এরকমটা হওয়া স্বাভাবিক।
কিন্তু, যদি সচলরা অতিথিদের স্বাগত না জানান, বা "আমাদের দলে তোমাকে ঢুকতে দেবো না" ধরনের আচরণ করেন, সেটা অপছন্দনীয়। তা কি হয় বলে মনে করেন?
আমার মনে হয় এই বিষয়ে বেশির ভাগ সচলেরাই অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগী। সেটা এই ফোরামের একটা বিশাল শক্তি। এক্ষেত্রে কোন সচল যদি অনভিপ্রেত আচরন দেখান সেটাকে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত হিসাবে নেবার সুযোগটাও থাকে সেটা বাকিদের আচরনের জন্যই সম্ভব হয়ে ওঠে। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে সচলদের মধ্যে নতুন লেখক বা মন্তব্যকারীদেরকে উৎসাহিত করার দায়বদ্ধতাও দেখেছি। অন্তত আপনার কাছে এটা আমাকে স্বীকার করতেই হবে।
(এই শেষ বাক্যটি লেখার পর লক্ষ্য করলাম এটা এখানে আলোচনায় অংশগ্রহনের দরুন সৃষ্ট সম্পর্কের ভিত্তিতে করা; এটা স্বাভাবিক ভাবেই হবে; কিন্তু জন্মদিনের পোস্ট, সচলাড্ডা এই ব্যপারগুলো সচলয়তনে এই বিষয়গুলোকে কালচারালি এমবেড করে দিচ্ছে; এটার ভাল খারাপ দুটো দিকই হয়ত আছে - কিন্তু ব্যপারটা যে হচ্ছে সে বিষয়ে সচালায়তন সজাগ কিনা অথবা সচলেরা বিষয়টি লক্ষ্য করছেন কিনা সেটা খেয়াল রাখা দরকার)
এটা আসলে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কারন সর্বোপরি এটা একটা ব্লগ; তার ওপর কমিউনিটি ব্লগ। কিন্তু এই ব্যপারটাকে কমিয়ে আনার পাশাপাশি ব্লগটিকে আরো অবারিত করার সুযোগও হয়ত ফুরিয়ে যায়নি। সেই ইঙ্গিত দেওয়াই আমার মন্তব্য করার উদ্দেশ্য।
সচলায়তনে একটা ইন্সটিটিউশনাল কলেবর আছে, যেখানে প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু লিখিত নিয়ম কানুন আছে। এটা পছন্দ না হলেও এই কমিউনিটি আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সবাই সেটা মেনে চলেন। কিন্তু আবার কিছু অলিখিত বিষয় হয়ত যার কিছু কিছু এই সাইটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই অলিখিত নিয়ম বা সংস্কৃতির ভেতরে কি কি আছে সেটাও হয়ত মাঝে মাঝে খেয়াল করা দরকার।
দ্বিমত ঠিক কোথায় জানলে ভাল লাগত। আমার মন্তব্যের ব্যপারে আপনার মন্তব্য আশাপ্রদ। ধন্যবাদ।
বলেন কি - যতই সুলিখিত হোক, আমার মতের পক্ষে যুক্তি না দিলে তো কারো লেখাই ভালো লাগে না :P
ভালো ভালো। আমি আবার সবসময় যুক্তি খুঁজিনা। ভালো লাগলেই ভালো লাগে :) কিছু ভালো মনে হলে মনটাও ভালো লাগে। হয়তো সহজেই খুশী হওয়া কিংবা ভালো লাগাটা আমার স্বভাবগত।
আজকে এই পোস্টে অনেকগুলো মন্তব্য করেছি। অনেকদিন পর একসাথে এত মন্তব্য লিখলাম। এবার ঘুমাই গিয়ে।
মডু হইতে মঞ্চায়
সচলায়তনের মূল ভাব হয়ত এই যে এটা অচলায়তন নয়। যতটা বুঝি সময়ের সাথে এখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে বাস্তব কারনে। সচলদের কেউ কেউ হয়ত অংশগ্রহনের দিক থেকে সচল থাকতে পারেননি নানা কারনে। আবার নতুনেরা এসেছেন। সচল হয়েছেন, এখানে অবদান রেখেছেন বা রাখছেন। হয়ত এই গতিশীলতা থেকে গেছে দৃষ্টির আড়ালে। আবার যারা দীর্ঘদিন সচল হিসাবে লিখছেন তাদের মধ্যে পারস্পরিক সংহতির ব্যপারও তৈরি হয়েছে। স্বভাবতই তাঁদের কাছে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যপার এবং সেটার সাথে একটা আবেগ জড়িত থাকাও স্বাভাবিক। এখানে নির্মোহ মিথষ্ক্রিয়া আর সংহতির মধ্যে হয়ত কিছুটা টানা পোড়েন বা সংঘর্ষ থাকতে পারে। কিন্তু এই ব্লগে নতুন লেখক আসা এবং স্থায়ী হবার প্রক্রিয়ায় যে গতিশীলতা সেটাকে গুরুত্ব দিলে হয়ত সংহতির (বৈঠকি ঢং?) ক্ষেত্রটিতে কিছুটা ছাড় দেবার প্রয়োজন দেখা যায়।
এটা হয়ত কমিউনিটির আকার বাড়ার সাথে সম্পর্কিত। সচলে জন্মদিন, সচলাড্ডা বা এরকম কমিউনিটি কেন্দ্রিক পোস্টগুলো একজন আগন্তুক লেখকের অর্থবহ বা প্রাসঙ্গিক হবার বদলে তাকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দিতে পারে। এর একটা মনস্তাত্বিক দিক রয়েছে। একটা নির্দিষ্ট মনোগঠনের লেখক হয়ত এতে করে নিজেকে অযাচিত বা বাইরের কেউ ভেবে পিছিয়ে যেতে পারেন। অথবা তাল মেলানর চাপ অনুভব করতে পারেন, সেটা কাম্য নয়।
এরকম একটা সন্দেহ জাগাও সম্ভব যে এটা একটা নির্দিষ্ট মতাদর্শের পাশাপাশি চলা পরিচিত ব্যক্তিদের নিজস্ব আলাপের যায়গা। আমি যদি প্রচলিত মতের চেয়ে ভিন্ন কিছু বলি এরা সবাই একাট্টা হয়ে আমার পেছনে লাগতে পারে। আবার এখানে একটা প্রমোশন পাবার ব্যপার আছে - অতিথি থেকে অতিথি সচল, তা থেকে সচল। এর জন্য এই কমিউনিটিকে তেল দিতে হইবে নাত? লাগলে না হয় দিলাম। সচলাড্ডা দেখলে বলব "হিংসায়িত হইলাম"। জন্মদিনের পোস্ট দেখলে কার জন্মদিন না দেইখাই "শুভ জন্মদিন"। ক্ষমতাধর সচলের লেখা পড়ে বললাম "জটিল হইসে" ইত্যাদি। এই প্রক্রিয়ায় এমন কিছু লেখক ফিল্টার আউট হতে পারেন যাদেরকে সচলের প্রয়োজন। আসলে বিটুইন দা লাইন একজন সচল আর অতিথি কি পড়ছেন সেটা হয়ত আলাদা।
কাজেই সচলের ভাল লেখক এবং পাঠক ধারনের ক্ষমতা বাড়াতেই কমিউনিটিতে নতুনদের জন্য সদর দরজাটা আরেকটু প্রশস্ত হওয়া দরকার। নতুন লেখক ধারনের প্রক্রিয়াইয় সচলের মূল কাঠামোতে হয়ত এখন পর্যন্ত অনেক পরিবর্তন হয়েছে, সচলায়তন যদি সচল থাকে আরো আসবে। তবে এই প্রশস্ত রাস্তার ব্যপারটাতে সচল এবং মডারেটরগন যদি লক্ষ্য রাখেন সেটা হয়ত সচলের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালই হবে।
এই ধরনের সন্দেহের বশবর্তী হয়ে যারা "এই কমিউনিটিকে তেল" দিয়ে সচল হতে চেয়েছেন অতীতে, তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। সচলায়তনে বরাবরই পোস্ট, মন্তব্য, বিতর্কের ভাষা-ভঙ্গি, এসবকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যারা কখনো শুভ জন্মদিন বলেননি, বা "ক্ষমতাধর সচলের" লেখা পড়ে "জটিল হইসে" বলেননি, তাঁরাও লেখার গুণেই সচল হয়েছেন। বরং শূন্যগর্ভ পোস্টের লেখক, যারা তেলের ওপরই জোর দিতে চেয়েছেন, আতিথ্যের আমন্ত্রণও পাননি।
আর "প্রয়োজন" ব্যাপারটাও পারস্পরিক। সচলের যেমন লেখক প্রয়োজন, লেখকদেরও সচলকে একইভাবে প্রয়োজনীয় মনে করা উচিত। তাঁর যদি ভিন্ন বিকল্প থাকে, তাহলে একই কিসিমের বিকল্প সচলেরও আছে।
তেলের প্রসঙ্গ সরিয়ে রেখে বলি, একজন অনলাইন লেখক কোনো মূর্তি নন, যে পোডিয়ামের ওপর দাঁড়িয়ে থাকবেন নিশ্চুপ, আর জনে জনে এসে তাঁকে হাঁ করে দেখবে। কেউ যদি একতরফা পোস্ট দিয়ে যান, এবং পাঠকের সাথে ন্যূনতম মিথষ্ক্রিয়ার সৌজন্য না দেখান, তাহলে তাঁর সচল হতে হবে কেন? তিনি ব্লগস্পটে একটা ব্লগ খুলেই তো লিখতে পারেন। সচলের পাঠকগোষ্ঠীর মনোযোগের কারণেই যদি তিনি সচলে লিখতে চান, তাহলে তার মূল্যটুকু সৌজন্য দিয়ে শোধ করতে হবে। একেই যদি কেউ "তেল মারা" মনে করেন, তাহলে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, তাঁর মতো একজন সংকীর্ণ মনের মানুষকে সচল হিসেবে পেয়ে সচলায়তনের কোনো লাভ নেই, বরং ক্ষতিই আছে।
আমি জানিনা আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে পেরেছি কিনা। মনে হচ্ছে আমি একটা স্প্রেক্টামের যেই প্রান্তে সম্পর্কে কথা বলছি আপনি বলছে তাঁর সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্ত নিয়ে।
এই বক্তব্যের সত্যতা আছে সন্দেহ নেই তবে এটা স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যগিং এর মত ব্যপার হয়ে না দাড়ালেই হয়। আর লেখকদের উঠতে বসতে এটা মনে করিয়ে না দিলেও চলে হয়ত। এই যে প্রশস্ত রাস্তার কথা বলছি এসব প্রকাশভঙ্গির দরুনই হয়ত রাস্তা সরু হয়ে আসে। এই বিষয়ে আমার উদ্বেগের কথাই বলতে চাচ্ছিলাম।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি সচলায়তনের পাঠক পদ থেকে ব্যন না হলেই খুশি, তবে যায়গাটা নতুন লেখকদের জন্য কতটা অনুকুল সেটার সম্পর্কে আমি একজন পাঠক মনের প্রজেকশন দিলাম। আমি নিজেকে লেখক মনে করিনা। কাজেই 'লেখক'-দের মতামত আমার সাথে নাও মিলতে পারে।
রাস্তার প্রশস্ততাও আপেক্ষিক ব্যাপার। একই রাস্তা কারো কাছে প্রশস্ত, কারো কাছে সরু মনে হয়। রাস্তার ওপর বৃথা সন্দেহের গাড়ি পার্ক করে রাখলে সেটা সরু হবেই।
এই প্রসঙ্গে আমার ছোট্ট একটা অনুযোগ আছে রেস্ট্রিকটেড কোডের অতিব্যবহার নিয়ে। কমেন্ট রেস্ট্রিকট করা যে কেনো হয় আমি বুঝি না। হয়তো কেউ কেউ বলবেন যে, সচলে কিছু হলে অন্য পাড়ায় মহানৃত্য শুরু হয় ... হোক, তাতে সচলের কী? সচলের শুরু থেকেই তো অনেক কিছু বলা হয়েছে তাতে সচলের কী বা এসে গেছে? নিজের লেখার অক্ষমতা যদি কেউ সচলকে আক্রমন করে ঢাকতে চায় তাতে সচলের বিচলিত হওয়ার কোন কারন আমি দেখিনা। কিন্তু ধারাবাহিক কমেন্টের মধ্যে হটাৎ করে রেস্ট্রিকটেড কমেন্ট, আমার মতো যারা শুধুই পাঠক, তাদের কিছুটা অনাহূত বোধ করতে বাধ্য করে।
সচলে লেখার মান এখনো অনেক ভালোই আছে। আমি অনেকদিন ধরেই লিখি না। আমি আবার লিখতে শুরু করলেই মান আরেকটু নেমে আসবে।
দ্রোহীর কথাবার্তা শুনে আমিও তুলিরেখার মতো হোঁচট খেলাম (হোহোহো)
হা হা হা ---বস, আপ্নে পারেনও ভাই---হা হা হা ---
দ্রোহীর কথাবার্তা শুনে একেবারে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই। সেই ইমিগ্রেশনের গল্প থেকে শুরু! :-)
আপনার দ্রোহী নাম হলো কবে থেকে?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সে এক বিরাট ইতিহাস। আপনাদের ভাবী আমারে খাটের পায়ার সাথে বাইন্ধ্যা থোয় খালি। প্রতিদিন ভাবি বিদ্রোহ করুম। কিন্তু বিদ্রোহ আর করা হয় না। আর তাই অবদমিত কামনা পূরণ করতেই দ্রোহী নাম নেয়া। :D
খাটের পায়ার সাথে বাঁধে? কেন, আপনে হামা দিয়া ডাইনে বায়ে যান নাকি? ;-)
ভাবীর যে কত কষ্ট সবই বুঝি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপ্নার ভাবীরে আসলেই অনেক কষ্ট করতে হয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মেম্বর সবসময়ই ঝেড়ে কাশে। সে একজন সত্যবাদি সৎ লুক।
আপনে একটা দুই নম্বর লুক। নিজে গম চুরি করে আমার নামে গম চুরির অপবাদ দ্যান।
××××
সন্দেশ খালু, মাফ করে দিয়েন এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে ফাইজলামী শুরু করার জন্য।
আমি মনে করি, সচলে লেখার মান ঠিকই আছে, যেভাবে চলছে, চলুক। এখন তক, লেখার মান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে মডারেটরদের কাজ প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। মাঝে উর্দু কবিতার প্রকাশটা সম্ভবত স্রেফ ফান ছিলো। এরপরে কয়েকটা পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছিলো (যতোদূর মনে পড়ে কোনো মডু বলেছিলেন) কোন মানের পোস্ট প্রকাশ করা হয় না, তা বুঝাতে।
সচলে কে কার চেয়ে ভালো লেখে, কে কি পরিমাণ লেখে, এইরকম প্রতিযোগিতা নাই। একজন সচলেরই একটা গুরুগম্ভীর লেখা থাকতে পারে, আবার একটা হালকা চালের লেখাও থাকতে পারে। প্রত্যেক পাঠকের কাছে মান বিচারে সব পোস্টের উত্তীর্ণ হওয়ারও প্রয়োজন দেখি না। এক সময় দেখা যায় একজন খুব নিয়মিত লিখছে, আবার কিছুদিন অফ। এটাও খুবই স্বাভাবিক। কারণ, এখানে যারা লেখে, তাদের বেশিরভাগেরই পেশা লেখালেখি না; বরং লেখালেখিটা একটা নেশা।
পোস্টের ক্যাটেগরী বিচারে খারাপ-ভালো ট্যাগিংটা বিরক্তিকর। জন্মদিনের পোস্ট মানেই ফালতু পোস্ট। সো, সাইড লাইনে সরে যাবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে আড্ডার পোস্ট চাইল্ডিশ ব্যাপার, এটা প্রথম পাতায় থাকলে সচলের মান যাবে। - এরকম মতবাদের সাথে আমার তীব্র বিরোধ আছে।
আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একজন লেখকের নিজস্ব দায়িত্ববোধ। সে যদি সচলের কোয়ালিটিকে রেসপেক্ট করে, সচলকে টয়লেট বা গুদামঘর মনে না করে, ভুল বানান, অপ্রযোজ্য অভিব্যক্তি ইত্যাদির বিষয়ে পাঠকের পরামর্শকে ক্রমাগত কাঁচকলা দেখাতে না থাকে, তাহলে আপত্তির কিছু নেই। সেঞ্চুরির পরে আশরাফুলকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টালে বা বউয়ের জন্মদিনে তারে উৎসর্গ করে কবিতা লিখে সচলে সেটা সবার সাথে শেয়ার করলে সচলের মানহানি হয় না কোনোমতেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সহমত জানালাম।
(চলুক)
ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে পারি, আমি হাল্কা লেখা লিখতে/পড়তেই বেশি পছন্দ করি। হাল্কা লেখারা সব সাইডে চলে গেলে আমার মনে হয়না আমি আর সচলে আসার আগ্রহ খুঁজে পাবো।
একইরকমভাবে কেউ হয়তো কিছুটা ভারী লেখা পছন্দ করেন...সেক্ষেত্রে তিনি হয়তো হাল্কা লেখায় বিরক্ত হবেন। তাই আমার মত...কাউকে সাইডে না সরিয়ে যেভাবে চলছে চলুক...যে যার পছন্দানুযায়ী লেখা লিখবে/পড়বে।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
@বলাই দা, (y)
শুধুমাত্র জন্মদিন উপলক্ষে লেখা হয়েছে বলে এই পোস্টগুলো (ধুসর গোধূলীর জন্মদিনে..., শুভ ভাইয়ের শুভ জন্মদিনে, শুভ জন্মদিন, অনিকেতদা!) সাইড লিংকে ঝুলে থাকবে ?
আর এই পোস্টগুলোও (শুভ জন্মদিন শিমুল আপা!, অনিকেতদা'র মার জন্মদিনে শুভেচ্ছা, আজ মুমুর জন্মদিন!, আপুনি,শুভ জন্মদিন)
দুঃখজনক সিদ্ধান্ত। :(
সচলায়তন আসলেই পাল্টাইয়া গ্যাছেগা...
জন্মদিনের পোস্ট নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো উদ্বেগ নেই। তবে একটি ব্যাপার বিবেচ্য, সচলদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। সচলদের অনেকে তাঁদের প্রিয়জনের জন্মদিনটিকেও স্মরণ করেন। কারো কারো জন্মদিনে একাধিক পোস্টও আসে। প্রতিদিনই যেহেতু সম্ভাব্য জন্মদিন, তাই প্রতিদিনই নীড়পাতায় একাধিক জন্মদিনের পোস্ট আসবে, এমনটাই আশা করা যায়। এই আনন্দটুকু একটা সাইডব্লকে লিঙ্কড থাকলে তো ক্ষতি নেই। সাইডবারটি তো কোনো অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমরা সাম্প্রতিক মন্তব্য দেখার জন্যে তো সাইডবারের আশ্রয়ই নিচ্ছি। সাইডব্লকটা আটচল্লিশ ঘন্টার জন্যে যদি একটা জন্মদিনের পোস্টকে আলাদা করে সামনে রাখে, তাহলেই বা সমস্যা কী? একটা জন্মদিনের পোস্ট তো ২৪ ঘন্টার মাথায় প্রথম পাতা থেকে সরে যায়, আমরা কি কখনো দুঃখপ্রকাশ করেছি তা নিয়ে? মন্তব্যে, পাঠকের পছন্দে তো কোনো না কোনোভাবে সেটির লিঙ্ক প্রথম পাতায় থাকেই।
সাইডবারে দেখলাম লেখা আছে, এই কার্যক্রম পরীক্ষামূলক, এবং পোস্টটিকে সাইডবারে আনার আগে সেটি ছয় ঘন্টা প্রথম পাতায় থাকবে। আমার কাছে মনে হয়নি, এতে করে যাঁর জন্মদিন, তাঁর কিংবা তাঁকে যিনি শুভাশিস জানাচ্ছেন সেই ব্যক্তির মানসম্মান নিয়ে বিরাট টানাটানি পড়ে যাবে। তবে সচলরা যদি যেমন ছিলো তেমনই রাখতে চান, তাহলে সেটাও করা সম্ভব।
একটা জিজ্ঞাসাঃ
জন্মদিনের পোস্ট বলতে কি শুধু সচলদদের জন্মদিন নিয়ে পোস্ট
নাকি যে কো্নো জন্মদিন /জন্মবার্ষিকী্র শ্রদ্ধাঞ্জলি পোস্টও (যেমনঃবঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দিন কিংবা রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-শামসুর রহমান প্রমুখের জন্মদিন /জন্মবার্ষিকী্র শ্রদ্ধাঞ্জলি পোস্ট ) ধরা হবে ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অবশ্যই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের জন্মদিন "জন্মদিনের পোস্ট" হিসেবে গণ্য হবে না এবং প্রথম পাতায় থাকতে পারবে। কিন্তু পোস্টটি যেহেতু একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে, স্বভাবতই লেখাটি গুরুত্ববহ হবে এমনটিই কাম্য।
=))
ধন্যবাদ ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হিমু ভাই,
যে পোস্টটি স্টিকি করা হয়, সে পোস্টটি স্টিকি না করে সাইড-লিঙ্ক হিসাবে ঝুলিয়ে দিলে একই সংখ্যক মানুষ পড়তো/মন্তব্য করতো? আমার মনে হয় না।
জন্মদিনের পোস্টেরও সেই একই পরিণতি হবে সাইড লিঙ্কে চলে গেলে।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পোস্ট স্টিকি করা হয় দীর্ঘ সময়ের জন্যে। সে কারণে সেটা অনেক লোকে পড়ে। সচলের পাঠকদের ফ্রিকোয়েন্সি কিন্তু তোমার বা আমার মতো নয়। কেউ হপ্তায় একবার ঢোকেন, কেউ তিনদিন পর পর, কেউ দশদিন পর পর ... স্টিকি পোস্টে সব ফ্রিকোয়েন্সির পাঠকদের পাওয়া যায় বলে পাঠক সংখ্যা অন্য পোস্টের চেয়ে বেশি হয়।
আর, কেউ যদি সাইডবার থেকে জন্মদিনের পোস্ট না পড়েন, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাঁর জন্মদিনের পোস্টের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ নেই। যেটা করা যায়, সেখানে বার্থডে বেবির নাম না লিখে পোস্টের শিরোনাম লেখা যায়, তাতে করে কৌতূহলটা একটা ড্রাইভিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে।
আমার অভিজ্ঞতা বলে, জন্মদিনের পোস্টগুলি মন্তব্যের শীর্ষস্থানে থাকে, কারণ সেখানে মন্তব্য বিনিময় অন্য পোস্টের চেয়ে বেশি হয়। কাজেই চোখের আড়ালে চলে গিয়ে অবহেলিত হবার যে আশঙ্কা করছো, সেটা ঘটার সম্ভাবনা কম।
আমি কিছুদিন দেখার পক্ষপাতী। কাজে না দিলে আশরাফুলের মতো কয়েক রান সম্বল করেই ... ।
জন্মদিনের পোস্ট সাইডে সরিয়ে দেয়া একটা হাস্যকর ও হঠকারী সিদ্ধান্ত হবে। জন্মদিনের পোস্ট দেয়া হয় সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য...কোন নিয়ম রক্ষার জন্য না। সাইড লিঙ্কে চলে গেলে যে মেসেজটা দেয়া হয়, তাহলো "আপনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রথম পাতার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে দেশ ও জাতির ভয়াবহ ক্ষতি করছে...দয়া করে আপনি সাইডে যান"
এভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর চেয়ে না জানানোই বরং ভালো।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনার আবেগটা বুঝতে পারছি। কিন্তু প্রকাশটা একটু রূক্ষ হয়ে গেছে। এখন যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা এই পোস্টে একজন মন্তব্যকারীরই আইডিয়া ছিল। আর ব্যবস্থাটা আপাতত অস্থায়ী। একটা ভোট নেয়া যেতে পারে।
তবে মেসেজটা এতটা টুইস্টেড না। সচলায়তন বলছে:
"সম্মানিত সচল আপনার জন্মদিনে আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। ছয় ঘন্টার জন্য আপনাকে প্রথম পাতায় সাদর অর্ভথনা জানান হল। তবে প্রথম পাতার বৈচিত্র্যের জন্য আপনার জন্মদিন পালন একটু পাশে সরিয়ে নিয়ে করা হচ্ছে। এতে আপনার জন্মদিন পালন যেমন দীঘার্য়িত করা হচ্ছে তেমন সাইট ভিজিটে আসা অতিথিদের পড়ার জন্য বৈচিত্র্যময় পোস্টেরও আয়োজন থাকছে। সুন্দর কাটুক আপনার জন্মদিন।"
সুপ্রিয় আসমানী মডু,
আপনার ব্যাখ্যাটিও আমি বুঝতে পারছি...কিন্তু, এভাবে লিঙ্ক হিসাবে ঝুললে ব্যাপারটি অনেকটা যান্ত্রিক হয়ে যাবে...সেখানেই আমার অপত্তি। আমার মনে হয়না, বেশিরভাগ সচল/পাঠক সাইডে গিয়ে লিঙ্ক গুতাগুতি করে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসবে।
আপনারা পরীক্ষামূলকভাবে অবশ্যই চালু করতে পারেন...এবং সচল-পাঠকদের রেসপন্সের মাধ্যমেই আশা করি আপনারা জনমত পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
জন্মদিনের পোস্ট প্রথম পাতায় দৃশ্যমান থাকলে যে উৎসব উৎসব আমেজটা থাকে, সাইডে লিংক হিসাবে ঝুলালে সেই আমেজটা অনেকখানিই নষ্ট হয়ে যাবে।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মান নিয়ে কোন প্রশ্ন না তুলেই বলছি, এই মুহুর্তে নীড়পাতায় বিশটির মাঝে তিনটি জন্মদিনের পোষ্ট। রেনেঁসার পোষ্টটিকে ধরিনি। এই সংখ্যা কি খুব বেশি? হয়তো দিনবিশেষে আজ তিনটি হয়েছে কোনদিন হয়তো একটিও থাকবে না। কিন্তু সমস্যা হবে একদিন যখন সচলের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে। তখন প্রতিদিনই একই সাথে অনেকের যে জন্মদিন হবে না তার নিশ্চয়তা কি আছে?
আমি জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর বিপক্ষে নই। কিন্তু সেটা নীড়পাতায় না করে নীড়পাতার আশেপাশের খালি জায়গাগুলো ব্যবহারের পক্ষে। সেখানে একটি অংশ থাকলো আজ যেসব সচলের জন্মদিন এবং যদি কোন পোষ্ট থাকে সেগুলোর লিঙ্ক থাকল। তাতে যাদের নিয়ে পোষ্ট হয়নি তাদেরও আমারা শুভেচ্ছা জানাতে পারি।
আর অন্য খালি অংশে কিছু কমন ক্যাটাগরির লিঙ্ক দেওয়া থাকতে পারে। তাতে আগ্রহী পাঠক সেই লিঙ্ক ধরে নির্দিষ্ট বিষয়ের লেখা খুঁজে পেতে পারেন।
এ ব্যাপারে একমত। সচলদের প্রতি অনুরোধ, নিজের ব্লগে দিন জন্মদিনের পোস্ট। সবাই ঠিকই খুঁজে নিয়ে মন্তব্য করবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সচলে লেখার মান কমে যাচ্ছে বললে, বলতে হয় কাদের লেখার মান খারাপ? এখানে তিন ধরনের লেখকরা লিখেঃ
১। অতিথি লেখক।
২। আধা সচল ভাইয়েরা
৩। সচল ভাইয়েরা।
এখন পরিষ্কার ভাবে বলা হয়নি কাদের লেখার মান নিম্মগামী। আমার জানামতে সচল ভাইদের লেখা সরাসরি পোষ্ট হয়, আধা সচল ভাইয়েরাও ভুল-ভ্রান্তি শুধারানোর সুযোগ পায়। কিন্তু অতিথি ভাইদের লেখা শুধুমাত্র মডারেশন এর খড়গ পাড় হয়ে আসে। সচলদের লেখায় মডারেশনদের খুব একটা হাত থাকেনা বলেই জানি। যেহেতু বলা হচ্ছে সচলে লেখার মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে, মডু দের আরো সচেতন হওয়া উচিত, সেহেতু স্পস্টই ধরে নেয়া যায়, অতিথি ভাইদের লেখা খারাপ হচ্ছে যা সচলের লেখার মানকে নিম্মগামী করছে। আসলে কী তাই?
এখানে অনেক অতিথি ভাই আছে যারা অনেক সচলের থেকে ভালো লিখেন। অনেক আধা সচল আছেন, যাদের থেকে অতিথি ভাইয়েরা অনেক ভালো লিখেন। আমিতো দীর্ঘ চার মাস ধরে দেখছি (গুটি কয়েকজন ছাড়া) বেশী ভাগ সচল ভাইয়েরা নিজেদের ভ্রমণ কাহিনী, আড্ডা, ছবি, জন্মদিন, মুভি দেখে তার খিরিস্তি, ইত্যাদি বেশী লিখে। কয়েকজন দুর্দান্ত সচল লেখক আছেন যারা দারুণ দারুণ লেখা উপহার দেন। তাদের কথা বলছি না। অনেকে আছে নিজের বাসার গল্প কাহিনীও এখানে তুলে দেয়। অনেক সচল ভাই আছেন, যারা বিদেশে থাকেন, এক জায়গায় ছুটি কাটাতে গেছেন, কিছু ছবি তুলেছেন, জায়গাটা ভালো লেগেছে এসেই সচলায়তনে পোষ্ট মারেন, খারাপ ভালোর ধারধারেন না। হ্যাঁ স্বীকার করে নিচ্ছি, অতিথিদের লেখার প্রতি মডু ভাইদের সচেতন হওয়া উচিত, তবে সচল ভাইদের কী মনে রাখা উচিত না যে, স্বাধীনতা রক্ষা করা। ছোট বেলা পড়েছিলাম "স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।" এটা কী তাঁরা ভুলে গেছেন?
কাদের লেখার প্রতি মডু ভাইদের সচেতন হতে বলেছেন, সেটা কিন্তু বলেন নি? যদি মডু ভাইদের সচেতনের কথা বলেন তাহলে আমি বলব, অতিথিদের মত সচল ভাইদের লেখাও মডারেট করা উচিত, এখানেই মডু ভাইদের সচেতন হওয়া বেশি দরকার। অতিথি ভাইদের লেখাতো মডারেশন পাড় হয়েই আসে, সচলের মান অক্ষুন্ন রাখার জন্য সচলদের লেখা মডারেশন করা দরকার।
পরিশেষে বলব, অতিথিদের লেখা একটু কাঁচা হবে, এটাই স্বাভাবিক, আর সচলদের লেখা অসাধারণ হবে এটাও প্রত্যাশিত। যখন দেখি সচলরা ঘরের বউয়ের জন্মদিন নিয়ে পোষ্ট দেয় তখন কী অতিথিদের অধিকার বঞ্চিত করার দাবী উঠতে পারে না? আপনার মন্ত্রী, এমপি দেখে যা ইচ্ছে তাই পোষ্ট দিবেন, আর অতিথিদের লেখা খারাপ হলে সচলের মান নিয়ে হাউকাউ করবেন, এটা কী জনগণকে শাষকদলের অত্যাচারের মত হয়ে গেলো না? আপনারা সচলের তকমা লাগিয়ে বউয়ের জন্মদিন নিয়ে, বিদেশে ঘুরতে বের হওয়া কাহিনী নিয়ে লিখবেন, সাথে কিছু ছবি জুড়ে দিবেন, আর অতিথিদের লেখা মডারেশন পার হয়ে আসতে হবে, একটু খারাপ হলে, মডুদের কার্যকলাপ নিয়ে কানাঘুষা করবেন, এটা কোন ধরনের মানসিকতা? এটা কী গণতন্ত্র না স্বৈরাচারি মনোভাব?
আশা করি মডু ভাইয়েরা আমার কথা গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন। জনমত যাচাইয়ের আগে কাদের লেখা খারাপ সেটা শ্রেণী বিন্যাস করে দেন, কাদের লেখার ব্যাপারে সচলদের মনোযোগী হতে হবে সেটা বলে দিয়ে জনমত যাচাই করুন। এবং জনমত যাচাইয়ে অতিথিদের অংশ গ্রহণের সুযোগ দিন।
আমার মনে হয় নিয়ম সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।
ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য রাগটা স্পষ্ট, যুক্তি আছে কিন্তু শক্ত নয়। আপনি লেখার বিষয়ের উপর ক্ষিপ্ত। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে বিষয় নয়, লেখনীই আসল। তদুপরী আপনার কথা সত্যি, হালকা মডারেশন সচলদের উপরও করা উচিৎ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
- 'হালকা মডারেশন' কি সচলদের ওপরে নেই? সচলদের পোস্ট কি নিজের ব্লগে সরিয়ে দেয়া হয় না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে হয় না সেটা লেখার মানের জন্য হয়, সচল নিয়ম লংঘন করা হলেই তখন সেটা করা হয়। অতিথিদের লেখা কি চিবাইলাম, কি দেখলাম, কি খেললাম, কি মহাকাব্য পড়লাম, মামা কি পাইল ধরনের ব্লগর-ব্লগর তো সর্ফেসেই আসবে না, নীতিমালা লঙ্ঘিত হওয়া তো দুরের কথা। Double standard বলতে এর কথাই বুঝাইছিলাম।
আপনার প্রোফাইল ছবিটা কি ফটোশপ করা?
যদি এটা একটা বাগ হয় তাহলে আমাদের জানাতে পারতেন। নইলে ফটোশপ করে রেটিং সিস্টেমকে বিকৃত করে কি মেসেজ দিতে চাচ্ছেন বুঝতে পারলাম না। এটা ব্যাখ্যা করে বোঝানোর অনুরোধ রইল।
বাগ বা ফটোশপ নয় - এম.এস. পেইন্ট দিয়ে জোড়াতালি মারা। মনে হয় না কোনো সিস্টেমকে বা কাউকে হেয় করেছি - মজা করার জন্য "নিজের" প্রোফাইল ছবি হিসেবে দেয়া, "অন্য" কারো বা কিছুর প্রতি কোনো পার্টিকুলার মেসেজ নাই। সচলের এ নিয়ে কোনো সমস্যা বা আপত্তি বা নীতিমালা থাকলে সরিয়ে ফেলতে আমার পক্ষ থেকে আপত্তি নেই।
আচ্ছা যান দৃষ্টিকটু লাগলে সরিয়ে দিলাম :)
কেন, তোমার সিনেমার রিভিউ, সিনেমার কালেকশনের লেখা, রান্নার লেখা-- মোটামুটি যেধরনের লেখা প্রকাশ হয়না বললা, সবগুলাই তো প্রকাশ হইছে :)
মামা কি পাইল ধরনের লেখার সমালোচনাও কিন্তু কম হচ্ছে না, খেয়াল করে দেখ।
কঠিন যুক্তি - পুরা আমার কাছা ধরে টান দিসেন - ঠেকানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
( ... মন্তব্যের বাকি অংশ মুছে দিলাম)
থাক - কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন না করি :)
লেখার পরেও এডিট করতে পারার এই এক মজা
মন্তব্যের জবাব দিলে আর এডিট করা যাবেনা। :)