"কোনখেনে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে?"


সচলায়তনের খোঁজ এর সদস্য, অতিথি ও পাঠকেরা কীভাবে পেলেন, তা জানতেই এই জরিপের অবতারণা। যেহেতু অনিবন্ধিত (অথবা নিবন্ধিত কিন্তু এখনও সক্রিয়কৃত নন) পাঠকেরা জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারেন না, তাই মন্তব্যের ঘরে তাঁদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ধন্যবাদ। সচল থাকুন, সচল রাখুন।

Choices

দুঃখিত, এই পোস্টে আপনার ভোট গৃহীত হবে না।

মন্তব্য

আসিফ আসগর এর ছবি

ইশতিয়াকের হাত ধরে সচল পড়া। দু' একবার লিখালিখির চেষ্টা করে সুবিধা করে উঠতে পারিনি আইডিয়ার অভাবে, হয়তো আর কখনও লিখাও হবে না -- কিন্তু পাঠ অব্যাহত থাকবে আজীবন। কখনও সেভাবে বলা হয়ে ওঠেনি, তাই এখানেই ইশতিয়াককে ধন্যবাদ জানাই চমৎকার এই ব্লগটির সাথে পরিচয় করে দেয়ার জন্য।

কেবলমাত্র একটি ভাললাগাকে বাছাই করতে বললে অবশ্যই মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে সচল হওয়ার ব্যাপারটিকে বেছে নেব। সম্ভবত এই কারণেই সচলায়তনের ব্লগরব্লগর থেকে দর্শন -- সব বিষয়ের লেখাই পাঠযোগ্য হয়।

মৃত্তিকা এর ছবি

২০০৮ সালে প্রথম সচলায়তনের দেখা পাই অনিকেত'দার মা'কে নিয়ে একটা লেখা পড়তে গিয়ে। বাংলায় যে ব্লগ আছে সেটা জানলাম। তারপর গ্যাপ.......
তারপর যখনই একত্রিত হতাম (সাইফ ভাই, প্রজাপতি, তারেক ভাই, শাহান) তখনই নানা প্রকার গল্প ও নিক নাম শুনতে শুনতে ভাবতাম, কি কয় এরা এগুলা? মনে মনে হাসতাম আর ভাবতাম, এদের খেয়ে দেয়ে কোনই কাজ নাই, খালি সারাক্ষণ ব্লগ করে, আমি হলে মাসে একবার শুধু ঢুঁ মারতাম! পড়াশুনা, রান্নাবান্না আর খোমাখাতা মেইন্টেইন করে আবার ব্লগ? অ্যাঁ

তারপর প্রতি নিয়ত কান ঝালাপালা হতে লাগলো, লেখি না কেনো শুনে শুনে! আরে ভাই সবাইরে দিয়ে কি সব হয় নাকি? পড়ারই টাইম নাই আবার লেখা! তবু মনের মাঝে খুব সম্ভবত লুকায়িত ইচ্ছেটা জেগে উঠলো, কারণ এককালে লিখতাম টুকিটাকি, যখন আমার একনিষ্ঠ পাঠক এবং ভুল ভ্রান্তি শুধরে দেবার মানুষ ছিলেন আমার বাবা।

তাই প্রথমে নিবন্ধন করে ফেললাম, শুধু পড়তে লাগলাম। তারপর একদিন লিখেও ফেললাম! তারপর সেই মুহূর্ত থেকে আমাকেও সেই রোগেই ধরলো, সচল রোগ! দিনে কয় হাজার বার ঢুকতাম গুণা সভব না দেঁতো হাসি ঢুকে যে সব সময় পড়্তাম তাও না, তবে ঢুকতাম, ঢুকে বসে থাকতাম। সেই প্রাথমিক এক্সাইট্মেন্ট পার হয়েছে তবু এখনও রোগ সারেনি। দেঁতো হাসি
এখন ভাবি কেন যে আইছিলাম ব্লগে! মন খারাপ

মেহদী হাসান খান এর ছবি

সচলায়তনের নাম কোথায় প্রথম শুনি মনে নেই, সম্ভবত সামু থেকেই। মুর্শেদ ভাই এর সাথে মাঝে মাঝে এটা ওটা নিয়ে মেইল চালাচালি হতো। কথাপ্রসঙ্গে সচলায়তন আসতো। একদিন মেইল পেলাম গেলাম, "আপনি আমন্ত্রিত"। সেই শুরু...

নজমুল আলবাব এর ছবি
জি.এম.তানিম এর ছবি

সচলে আসতাম, লেখা পড়তাম। আর নিজের খোমাখাতায় নোটে লিখতাম কবিতার প্রয়াস। ইশতি একদিন ঘাড় ধরে এখানে লেখানো শুরু করলো...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

শামীম এর ছবি

সামু থেকে আনসাবস্ক্রাইব কর্লাম ... ... অরপিকে ব্যান করার নীরব প্রতিবাদ হিসেবে (প্রথমে নিজের ব্লগ ডিলিট করছি, গু-আজমের ছবি ঝুলানোর প্রতিবাদে ও ছাগুদের লাফালাফিতে, তারপর আনসাবস্ক্রাইব)। বসে ছিলাম নতুন ব্লগটার আশায় ...

মাঝে মাঝে মা.মু. আর অরূপের বিখ্যাত কনভার্টারের বাগ ধরতাম (ইয়াহু ৩৬০তে ব্লগ/খবর কপি করে রাখতাম) ... ঐ সুবাদে যোগাযোগের এক পর্যায়ে মেইলে খবর পাইলাম যে আমাকে নেয়া হবে ... ... বিগলিত, মেম্বরিত ... ইত্যাদি।

ইদানিং মাথায় বেশ কয়েকটা লেখা মাথা ভেতরে গুতাগুতি করে ... কিন্তু সময় ম্যানেজমেন্টের অবস্থা খুবই খারাপ ... সুসময়ের অপেক্ষায় আছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

সামুতে মনে হয় লিংক পাইছিলাম ... সেখান থেকে এসে দেখলাম সব বস বস লেখকরা এইখানে, কিন্তু রেস্ট্রিক্টেড ব্লগ, চাইলেই লেখা শুরু করা যায় না ... তখন অতিথি লেখকরা কিভাবে লিখবে বা লিখতে লিখতে সচল হবে এইসব নিয়মও তৈরি হয় নাই ... ভাবলাম কিছুদিন পর নিশ্চই সবার জন্য ওপেন হবে ... বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর দেখি তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়ে না ... তখন কনফু ভাইরে মেইল দিলাম, কেবল উনার মেইল এড্রেসই ছিল আমার কাছে ... মেইল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম এইটার মেম্বার হওয়ার উপায় কি? ... বস ফিরতি মেইলে বলে, দাঁড়ান ইনভাইটেশন পাঠাই ... ইনভাইটেশন পাইলাম, রেজিস্ট্রি করলাম, পাঁচ মিনিট পরে দেখি সচল হয়ে গেছি দেঁতো হাসি ... কনফু ভাই যে মডুরাম তখন টের পাইলাম খাইছে

ভাগ্যিস বসরে মেইলটা করছিলাম, নাহলে আমি যে অলস কোনদিনই লিখে লিখে সচল হইতে পারতাম না দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কিভাবে খোজ পেয়েছি মনে নেই। সম্ভবতঃ গুগল সার্চ বা অন্যব্লগের লিংক। কিন্তু প্রথম দর্শনে সচয়াতনের প্রথম পাতা ডিজাইনের প্রেমে পড়ে যাই, সাদামাটা, রংঢং-এর উৎপাতবিহীন। তারপর লেখালেখি পড়ে আরো মুগ্ধিত, ফটোগ্রাফি নিয়ে দারুন কিছু লেখা, অসাধারন কজন রম্য লেখক, মজারু অভিজ্ঞতা পাঠ.....পাঠক হিসেবে ভালো লাগার অনেক কিছু। তাই যেটুকু সময় পাই পড়ি, লেখার চেয়ে নীরব পাঠক হিসেবেই থাকি এখানে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সবুজ বাঘ এর ছবি

নটির গুরু আসলে সুমন চাই। হেইতিই আমারে ধইরা নিয়া গেল সামুতে। তাহাদে ধইরা আনল সচলে। এহনো ছাড়ে নাই, খালি কয়, নেহো। এবং নেকতেই থাহো। ডাইনে বাঁউয়ে না তাকিয়া। আমিউ নেহি এবং নেকতেই থাহি। ডাইনে বাঁউয়ে তাকিয়া! তারপর কত সিন কত সিনারি, পিরিতিময় কত সিরিতি, কত অপিরিতিকর হামতাম। ঘাম ছুইট্যা যাওয়ার দশা হয় কহনো কহনো, ঘাম মুইছা আবর লাগি লাগালাগিতে। গালাগালি গলাগলি বলাবলি কত না বলা কতা, কার সাতে কইতাম তুমি যুদিল না থাকতা প্রিয়তমা?

হাসিব এর ছবি

সুমঞ্চৌই দায়ি সবকিছুর জন্য ।

উজানগাঁ এর ছবি

অরূপদা একবার ফ্লিকারের বেশ কিছু ফটোগফুরদের নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলেন। সেই সূত্রে প্রথম সচলে আসা। তবে রেজিস্ট্রেশন করি অনেক পরে মুস্তাফিজ ভাইয়ের চাপাচাপিতে।

তানবীরা এর ছবি

মুক্তমনাতে সচলের লেখার লিঙ্ক পোষ্ট হতো মাঝে মাঝে পড়তাম ব্যাস এইটুকুই ছিল প্রথমে। প্রাত্যহিক ব্যস্ততার জন্য কখনো সেভাবে বসা হয়নি খুলে। নুরুজ্জামান মানিকের পুনঃ পুনঃ উৎসাহে সচলে রেজিষ্ট্রেশন।

আমার নিঃসঙ্গতা ঘুচিয়ে দিয়েছে সচলায়তন । ফেসবুক, মেসেন্জার, এসএমএস, ফোনালাপ সবখানেই সচল । সচলায়তন আর সচল ছাড়া এখন আর দিন কাটে না । আমার এখন অনেক ভাল বন্ধু ও শুভাকামনাকারি আছে যাদের সাথে আমার পরিচয়ের মাধ্যম সচলায়তন ।

আমারো তাই কথা।

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ছ্যাঁক খেয়ে বিবাগী হয়ে বসে ছিলাম। হিমু ভাই কুড়িয়ে তুলে বললেন, "লেখো, মন হালকা হবে।" দু'দিন বাদে সচলায়তনে নিবন্ধন, সচলত্ব। এইতো...

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

লগ-ইন করার আগেই সবার গল্পগুলো একে একে প'ড়েই এতটা সময় হাপিশ ক'রে দিয়েছি! লগ-ইন-এ চাপ দিয়ে, লগ-ইন হ'তে হ'তে ভাবছিলাম- নিজেরটা একটু ফাঁকিবাজি ক'রেই পার হ'তে পারি কি না দেখি। কিন্তু, না, যা ভয় পাচ্ছিলাম তা-ই হ'লো। "মন্তব্যে বিশদ বলি?" ছাড়া আর কোনো অপশনেই মোটেই জুত পেলাম না। তাই, শিবের গীত-সহই গেয়ে যাই অগত্যা।

প্রথম উল্লেখ্য: ব্লগার হিসেবে আমার যথেষ্ট সিনিয়র মূর্তালা (রামাত) আর পান্থ (রহমান রেজা) আমার কলিগ। মূর্তালা'রটা অবশ্য বাসি (মানে, 'ছিল') হয়ে গ্যাছে, যেহেতু সে এখন সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়া-বাসী। যাক।

(জামাল) ভাস্করদা' আমাদের অফিসে কিছুদিন রেগুলার আসছিলেন, অন্য প্রফেশনাল সূত্রে (তার আগে তাকেও আমি চিনতাম না)। তো, নির্দিষ্ট ক'রে আমার সাথেই তার বসা-গুলো হচ্ছিল। দ্বিতীয় কি তৃতীয় দিন সেই বসা শেষে কনফা-রুমের দরজা থেকেই উনি অফিসের ভেতরদিকে ভদ্র উঁকিঝুঁকি মারতে মারতে জিজ্ঞেস করলেন- "আচ্ছা, পান্থ কি আপনাদের সাথে না কি? পান্থ রহমান রেজা?" আমি বললাম- "হ্যাঁ"। ভাস্করদা' আমাকে নিয়েই অফিসের কিউবিক্যাল-রাজ্যে ঢুকে পড়লেন, পান্থ'র সাথে সাক্ষাত করবেন ব'লে! ওইটুকু একসাথে চলতে চলতে উনার কাছে আর পরে পান্থ-মূর্তালা'র সাথে আমার সামনেই উনার সেই সৌজন্য-সাক্ষাত-সমাপনকালে আমার জ্ঞানে এইটুকু যোগ হ'লো, যে তারা ওয়েব-ভিত্তিক একটা লেখালিখির জায়গায় সহলেখক, যেই জায়গাকে তারা 'ব্লগ' বলে ডাকছে! আমি ব্লগ সম্পর্কে এইটুকুই (ওয়েব-ভিত্তিক একটা লেখালিখির জায়গা, আমার ধারণায় মূলত সাহিত্যচর্চারই জায়গা) ধারণা করলাম। সাইবার আর বাস্তবেরও দিন-দুনিয়ার সেইরকম খবর রাখি তো আমি!, চোখ টিপি তাই আমি 'ব্লগ' শব্দটাই এইরকম কিছু বুঝাতে প্রথম শুনলাম তখন, আর 'খায় কি মাথায় দেয়' জাতীয় বিশদ জানবো তো বহু দূরের কথা!

তবে, যতদূর মনে পড়ে- আলাপের সূত্র ধ'রে ভাস্করদা'র কথায় এ-ওআসছিল, যে- আমি-সহ আমাদের আরো দুয়েকজন কলিগের বা আমাদের অফিসের গল্প উনি মূর্তালা/পান্থ'র লেখায় পেয়েছেন। "সত্যি চরিত্র নিয়ে লেখালিখি" নিয়ে আমি নগদে বিস্ময় প্রকাশ করলে তখনও ভাস্করদা'-ই আমায় জানালেন যে ব্লগ ব্যাপারটা মূলত তা-ই (প্রতিদিনের পরিপার্শ্ব-সত্য-সমাজই মূলত ব্লগে থাকে- এরকম অর্থে)। তো, আমার জ্ঞান বাড়লো এক লাফে অনেক। গত কয়েক বছরে অন্য দুয়েকটা কম্যুনিটি সাইটে (ব্লগ না, বন্ধুতা-টন্ধুতা-ভিত্তিক) বন্ধুচারণ আর মোষতাড়ন ক'রে যথেষ্টই ক্লান্ত ছিলাম আমি, তবু লেখালিখি-কে যেহেতু ছোটবেলার ইচ্ছেকিচ্ছের দিনকাল পেরিয়ে এসে এখন পেশাদারিত্বেও ধ'রে রেখেইছি একরকম, সে-সুবাদে লেখালিখির শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আমার অনীহা হয় না, বরং আমি আগ্রহী হয়েই কিছুদিন মূর্তালা-পান্থ'র সেইসব লেখালিখির টুকটাক খবর নিই। ওদেরই সহযোগিতায় (আর টুকটাক ইন্ধনেও বলা যায়) "আমিও এখানে থাকলেই বা ক্ষতি কী" জাতীয় কিছু একটা ভেবে 'ব্লগিং' (বিগিনার লেভেলে, জাস্ট ব্লগে লেখালিখি অর্থেই) শুরু ক'রে দিই।

সামহাউ, প্রথমে আমার ঢোকা হয়েছিল সামহোয়্যারেই। তার কিছুদিন পর সচলেও। সমকাল-পরিপার্শ্ব-অন্ধ আমি ব্লগ সম্পর্কেই যেখানে একেবারেই নতুন জানলাম, সেখানে ব্লগোস্ফেয়ারের রাজনৈতিক দুর্যোগ-দ্বন্দ্ব সম্পর্কে তখনও সত্যিই একেবারেই কোনো ধারণা ছিল না। এরকম ক্ষেত্রেও এমন কাদা-মাখামাখি বা পিঠ-চুলকো-চুলকি কিছু থাকতে পারে, থাকতে পারে আন্দোলন-অভ্যূত্থান- এমন কিছুই আমি জানতাম না, বুঝতাম না। আমার কাছে প্রথমদিকে তফাত এটুকুই ছিল- সামহোয়্যারে দিনে হাজার হাজার লেখা আসতো, তাল মেলাতে পারতাম না একদমই, আর এখানে, মডারেশনের জন্য হোক আর যে-কারণেই হোক, লেখার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আরো কিছুদিন গেলে একআধটু চোখ ফুটলে সত্যি বলতেই ওখানে ব্লগ-সমাজ-রাজনৈতিক ভেজাল বেশি মনে হ'লো আর এখানে মতাদর্শগত সীমায়নটা এখানে পরিচ্ছন্ন এবং স্পষ্টতর এবং প্রয়োজনীয়ও দেখতে পেয়ে ভেতর থেকে এখানেই বেশি সমানুভব পেলাম, তাই মূলত এখানেই কনসেন্ট্রেট করলাম (যতোটুকুই এখন পর্যন্ত করতে পেরেছি আর কি!)। এই তো! হাসি

কম লিখি, কমই লিখতাম। তাই, অতিথি হিসেবে বহুকাল থেকেও দূর মনে হয়নি, তেমন কিছু খারাপও লাগেনি। তবে যেদিন পূর্ণ সচল হলাম, সেদিন সত্যিই ছোটবেলার অ্যাডমিশন টেস্টে কৃতকার্য হওয়ার মতো আনন্দিত হয়েছিলাম।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

রাফি এর ছবি

আমি পাঁড় পাঠক। শুধু সচল নয়; বাংলা ব্লগজগতের খোঁজ আমাকে প্রথম দেয় রিজভী। সেটা ছিল ৩-২ এর পি এল(যতদূর মনে পড়ে)। আস্তে আস্তে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি, ঘোর লাগা অবস্থাতেই টুকটাক লিখতাম। সেই ঘোর সচল হবার পরও কাটেনি। এখনো দিনের বেশির ভাগ সময় ফায়ারফক্স এর একটা ট্যাবে খোলা থাকে সচলায়তন.কম।

তবে রিজভীকে খুব মিস্‌ করি। ৩৬০ তে ও অনেক লেখা লিখত,সচলেও লিখেছে কিছুদিন। কিন্তু আমাকে ব্লগের নেশা ধরিয়ে দিয়ে কেটে পড়া রিজভী'র লেখার মহা ভক্ত আমি।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আমার এক বন্ধু অভিজিতদার একটা লেখার লিংক দিয়ে পড়তে বললো। পড়লাম, দেখলাম, থেকে গেলাম হাসি

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

স্বাধীন এর ছবি

আট/নয় মাস আগের কথা। ফেইসবুকে বাংলায় লেখা দেখে অভ্রের কথা শুনি, তারপর ব্লগের কথাও শুনি সচল জাহিদের কাছে। প্রায় মাস খানেক সব ব্লগ ঘুরাঘুরি করলাম।, সচল, সিসিবি, মুক্তমনা, সামু এই চারটি মূলত দেখতাম। শুধুওই পড়তাম, কোন মন্তব্য করতাম না। আর লেখাতো অনেক পরের কথা। সামুর পরিবেশ প্রথম থেকেই ভাল লাগেনি। তাই ওইটা বাদ দিলাম। সচলে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম ফেব্রুয়ারীতে, কিন্তু তখনো বুঝিনি কি করতে হয়। তারপর জাহিদ বুঝিয়ে দিল অতিথি হিসেবে লেখার কথা। সচলে সকলের লেখা পড়ে নিজে লেখার সাহস পাইনি। কিন্তু না লিখলে নিজের নিক্‌টাও পাওয়া যাবে না তাই বাধ্য হয়ে প্রথম লেখাটি লিখেই ফেলি। সেখানে সকলের উৎসাহ পেয়ে শুরু করে দিলাম পড়াশুনা। টানা ছয়মাস সব ফেলে সচল নিয়েই পড়ে থাকলাম। তার ফলে যা হবার হয়েছে, রিসার্চ এর কাজে পিছিয়ে পড়েছি। ভয়ে আছি কখন সুপারভাইজারের কাছে ঝারি খাই। দুটো সিরিজ শেষ করলাম, আর কপাল গুণে সচলত্ব পেয়ে গেলাম। সচলত্ব পাবার জন্য আপাতত লেখা বন্ধ নয়। রিসার্চ আবার একটু গুছিয়ে তারপর আবার পড়াশুনা করতে হবে। আমার আবার পড়াশুনা ছাড়া কোন লেখা আসে না কিনা তাই :)। তবে প্রতিদিনই ঘন্টা খানেক এর উপর যায় এই নেশার পেছনে। সচলের পরিবেশ এবং পারস্পরিক মিথষ্ক্রি য়া হচ্ছে সচলের প্রাণ। এটা যতদিন আছে, ততদিন সচলায়তন থাকবে, আর আমিও সচল থাকবো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্লগের সাথে বিশেষ করে সামুর সাথে পরিচয় প্রথম থেকে, আর সেখান থেকে এখন সচলে।

স্বপ্নদ্রোহ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দশমাস আগে... । এর আগে অনিয়মিত ভাবে গুঁতাইতাম, পড়তাম- হাসতাম- মজা পাইতাম। এরপর সাহস কইর‌্যা নিবন্ধন কইর‌্যা ফেললাম...

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

বর্ষা এর ছবি

আমাকে ইশতি লিংক দিয়েছিলো হিমুর একটা লেখার---পুরোনো বাড়ি। পড়ে বিশাল মুগ্ধ। আমি হিমু, মাশীদ, সাইফ আর মুর্শেদের ব্যাচ ও ইউনিভার্সিটি ( সাইফ বাদে) মেট, তাই সচল আমার পরিচিতদের জায়গা। শিমুলের সাথে ফেইসবুকে কুটুস কুটুস কথা হতো। সচলে আমার আরেকটা প্রিয় জিনিস হলো সুজনদার পোষ্টগুলো। ইশতিই আমাকে অভ্রের সন্ধান দেয় বাংলা লেখার জন্য। মাঝে কমেন্ট করতাম, হিমুর একটা লেখা পড়ে উত্তরে আমার লেখার শুরু। মাঝে বিরতি পড়েছে আবার শুরু করবো ভাবছি সময় পেলে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

গেলো বছর মুস্তাফিজ ভায়ের একটা লিঙ্ক থেকে প্রথম এর নাম শুনি। তারপর কিছ জানতে পারি মেহেদির কাছ থেকে। আর শাওন (উজানগাঁ) & আশরাফ (নির্জন স্বাক্ষর) -এর অবিরাম গুতা-গুতিতে রেজিষ্ট্রেশন করি। প্রথম দিকে কিছু বুঝিনাই। আমার নাম আর পাস দিয়া লগাইতে পার্তাম্না, তাই আর আসি নাই। পরে জানতে পারলাম আসল কাহানী। আবার নয়া কইরা রেজিঃ কইরা লেখা-লেখি শুরু করলাম।

এখন্তো দেখি ভালাই লাগে রে মামু!!!

---------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার গল্পটা একটু আলাদা। কীভাবে কীভাবে যেন একদিন দেখি আমার আঁকা অন্য এক ওয়েব ম্যাগাজিনের (পরবাস) অলঙ্করণ (মূল লেখাটা প্রফেসর শঙ্কুর কাহিনীসমগ্র নিয়ে, আমিই লেখক ছিলাম, তবে তখন লিখতাম খুবই কম, ইলাস্ট্রেশানই করতাম নিয়মিত ঐ পত্রিকায়) এক বাংলা ব্লগ সাইটে ঝুলছে। কোথাও কোনো নামটাম নেই আমার। কাঁচা লঙ্কার ঝাঁজ বেশি, ছুটে গিয়ে মন্তব্য করলাম, এই ছবি পেলেন কোথায়, এ তো অন্যত্র প্রকাশিত! বলি নি তখন যে ছবিটা কার আঁকা। লেখক জানালেন যে তিনি উইকি থেকে পেয়েছেন, এবং উল্টে আমাকে ধমক মারলেন, উইকির মতো কপিরাইট মুক্ত জায়গার থেকে নেওয়া ছবি নিয়ে এতো চেঁচামিচি করি কেন সেজন্য। আমি আরো বিস্মিত, এর মধ্যে উইকি এলো কোত্থেকে! গিয়ে দেখি সত্যিই, সেখানেও সেই ছবি দুখানা ঝোলে প্রফেসর শঙ্কুর এন্ট্রিতে। তারপরে তো বলতেই হলো মালটা আমার, কাজেই একটু চেঁচানো অ্যালাউড বোধ'য়। লেখক কে ছিলেন মনে নেই, তবে তিনি খুব লজ্জাটজ্জা পেয়ে গেলেন, এবং তারপর মধুরেণ সমাপয়েত হলো, বাংলা সিনেমার স্টাইলে মিলমিশ হয়ে গেলো সবার। আপেলযন্ত্রের দৌলতে আবাপ পড়তে পারতাম না, এই সচলই হলো আমার বাংলা পাঠের ক্ষিধে মেটানোর একমাত্র জায়গা। এক বছর মতো শুধু পড়েছি, লেখার ইচ্ছে হয় নি, নিক'টাও তাই মূলত পাঠক নিয়েছিলাম। তারপর একদিন টুকটাক লেখা শুরু করলাম। বাংলা লেখা হতো না অনেককাল, কাগজ কলম নিয়ে বসলে আঙ্গুল ব্যথা করতো অভ্যেসের অভাবে। সচলে এসে লিখতে লিখতে হাত খুলে গেলো, সে এমন খুললো যে কনস্টিপেশন থেকে সোজা ডায়রিয়া! তারপর থেকে ছাঁইপাশ যাই হোক, লিখতে আর কোনো অসুবিধা হয় না, সচলের 'লেখালেখি করুন' স্ক্রিনটা খুললেই লেখালেখির আইডিয়া ঝুপঝাপ পড়ে গাছ থেকে।

থাংকু সচলায়তন!

মজনু ভাই এর ছবি

লেখালেখির প্রতি তেমন ভালোবাসা কখনই ছিল না, এমন না।
কিন্তু লেখতে গেলে মাথার মধ্যে কিলবিল করতে থাকা অনেক কিছুর-কিছুই লিখতে পারতামনা, একনো যে পারি তাও না।
তবে সাহস বাড়ছে, যা লিখি দেখাইতে বিবেকে বাঁধেনা।
এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সচলায়তনে লেখা দিছিলাম গতকাল, প্রকাশ ও হইছে।
অবশ্য এর আগেও তিনটা দিছিলাম, হয়তো মান গুণে অপ্রকাশিত থাইকা গেছে।
তবে পড়তে খুব ভালোবাসতাম এখনও বাসি, এইটা সইত্য।

কথা হইল সচলায়তনের সন্ধান পাই ফেসবুকে।

সচল জাহিদ এর ছবি

পান্ডবদার বুয়েট বিষয়ক একটা লেখা (বুয়েটের মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসুন) পড়তে যেয়ে প্রথম সচলায়তনে আসা। তারপর আরো দু একবার এসেছি। একবার সাধ হলো কিছু লেখার তাই 'জাহিদ রিপন' নিক দিয়ে নিবন্ধন করলাম একটা লেখাও দিলাম ' তবুও আশা' কিন্তু ভুলে নিজের নাম বা ইমেইল কোনটাই দেয়া হয় নাই। আর তখন জানতামনা যে অতিথি লেখকদের লেখা প্রকাশিত হতে দেরি হয়। যাই হোক ভাবলাম লেখাটা প্রকাশিত হয়নি। সবচাইতে ভুল ধারণা ছিল যেহেতু আমি 'জাহিদ রিপন' দিয়ে লগইন করতে পারছিলামনা তাই ভেবেছিলাম আমার নিবন্ধন হয়নি। পরে আবার জাহিদ রিপন দিয়ে নিবন্ধন করতে যেয়ে দেখলাম বলে এই নাম ইতিমধ্যে আছে। আমি এক ধাধায় পড়ে গেলাম একদিকে লগইনও করতে পারিনা অন্যদিকে নতুন করে নিবন্ধনও করতে দেয়না। অথচ বোকা আমি নিবন্ধন করার পর সচলায়তনের প্রথম মেইলটা পড়লেই কিন্তু সব সমস্যা মিটে যেত। যাই হোক এভাবে বেশ কয়েক সপ্তাহ/মাস গেল। কিছুদিন পড়ে আমি 'সচল জাহিদ' নিক দিয়ে নিবন্ধন করে ভাল মত ইমেইল পড়ে দেখলাম আসলে ঘটনা কি। যাই হোক প্রথম লেখা আমার দিলাম 'তবুও আশা', প্রকাশিতও হলো। আমার মনে হলো আমি বিশ্ব জয় করেছি। সেই থেকে শুরু আজো চলছে, এবং চলবেই।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নিবিড় এর ছবি

ভাগ্যিস সচলায়তন ব্যান হয়েছিল দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাবিহ ওমর এর ছবি

হাছা কথা...

তুলিরেখা এর ছবি

আমি সচলকে পেয়েছিলাম অণুগল্প সঙ্কলনের খোঁজ পেয়ে। এক বন্ধু লিঙ্কটা দিয়েছিলেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নারমিন আহমেদ এর ছবি

গুগলে বাংলাব্লগ লিখে সার্চ দিয়ে পেয়েছি। সামহোয়ারইন, আমারব্লগ এগুলিও পড়ি। নেটে বাংলা পড়তে ভালোই লাগে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বড় জটিল প্রশ্ন হাসি

২০০৬ এর দিকেই 'ব্লগারু' নামে আমাদের একটা গুগল গ্রুপ গড়ে উঠেছিলো সমমনা ব্লগারদের। সেই সময় বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের জন্য খুব মনে রাখার মতো। সংঘবদ্ধ ঘাতক দালালদের অনলাইন প্রচারনার বিরুদ্ধে একবারেই অচেনা ব্লগারেরা সংঘবদ্ধ হচ্ছেন। একেবারে গেরিলা কায়দায় যুদ্ধ চলছে।
এসময়ই সচলায়তন ধারনার সৃষ্টি। লেখকদের একটা নিজস্ব ভূমি যেখানে স্বাধীনতা বিরোধী ধর্মজীবিদের কোন স্থান হবেনা। অন্য কোন ব্লগ ভেঙ্গে নয় বরং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট নিয়েই সচলায়তন-আনুষ্ঠানিক প্রকাশের অনেক আগে থেকেই এর প্রস্তুতি গড়ে উঠেছিল।

আমার প্রোফাইলে দেখছি সচল হবার তারিখ ৩১মে '০৭। কমদিন হলোনা তাহলে!

সচলায়তন সচল থাকুক সচলদের প্রানোচ্ছ্বাসে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মেসেঞ্জারে চ্যাট করতে গিয়ে এক বন্ধু অনেক আগে কিংকংয়ের লেখার একটা লিংক দিয়েছিলো। ও তখন কানাডা গিয়েছে মাত্র। সেই সুবাদেই সচলায়তনে ঢুঁ মারা। কিছুদিন নিয়মিত পড়লাম। মন্তব্য করার শখ হলো। লেখার শখও। কয়েকদিনের মাথাতেই নাম নিবন্ধন করে যাত্রা শুরু করে ফেললাম। সেই থেকে এখনও আছি এখানেই..

অস্পৃশ্যা এর ছবি

লেখালেখির প্রতি তেমন ভালোবাসা কখনই ছিল না, তবে পড়তে খুব ভালোবাসতাম এখনও বাসি। স্কুলে, কলেজে আর কিছুতে টপে না থাকলেও বাংলায় একগাদা নম্বর পেতাম! তারপর দিন গড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডিতে পা রাখা হল, এই বছরেরই এপ্রিলের দিকে বাংলা এক ব্লগে কিভাবে যেন রেজিষ্টার করা হয়ে গেলো। তখন একটা সার্জারির কারনে সারাদিন বাসায়ই থাকতে হত, বলা যেতে পারে বিরক্তি কাটানোর একটি মাধ্যম পেয়ে গিয়েছিলাম। এর ও বেশ আগে(২০০৮’র গোড়ার দিকে) এক বন্ধুর ফেসবুকে সচলায়তনের একটা লিঙ্ক দেখেছিলাম, তখন সেটাতে ক্লিক করে ঢুঁ মারা হলেও ব্লগ বিষয়টি সম্পর্কে যেহেতু বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না সে কারণে কিছু বুঝতে পারিনি। সেই-ই মনে হয় প্রথম সচলায়তনকে জানতে পারা। আর ঐ যে বললাম অন্য একটা ব্লগে ছাইপাশ লিখছি কিছুদিন ধরে এবং সে সূত্রেও বাংলা অন্যান্য কম্যুউনিটি ব্লগ সম্পর্কে জানা হয়েছে। সচলায়তনে রেজিষ্টেশন করতে যেয়েও পিছপা হয়েছি শুধুমাত্র পরীক্ষার চাপে মিথস্ক্রিয়া(সচল হবার অন্যতম প্রধান শর্ত) জারি রাখতে পারব না বলে। গত ২মাস ধরে সচল, আধা সচল, অতিথিদের লেখা পড়া হচ্ছে নিয়ম করে।

সকলের জন্যই শুভকামনা জানিয়ে গেলাম।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

অরূপ কইলেন এইটা দেখেন , গোপনে দেখেন। গোপন জিনিষের প্রতি আমার তুমুল আগ্রহ। আমি দেখলাম।
এই তো !

কনফুসিয়াস এর ছবি

প্রশ্নটা মারাত্মক কঠিন হয়ে গেলো আমার জন্যে। হাসি
অনেকক্ষণ ধরে মাথা চুলকাচ্ছি, কিন্তু উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। দেঁতো হাসি

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সামুতে একটাই লেখা দিছিলাম। সেটা আবার ব্যাপক হিট হয়া গেছিলো। কিন্তু সাইটটা ভালো লাগে নাই। আমি আবার নিখোঁজ। নেটে আসাই ছেড়ে দিলাম। এর মধ্যে লোকজনের মারফত খবর পাই সচলায়তন নামে একটা ভালো ব্লগ হইছে, আমি যেন রেজি করি। কিন্তু আমি তখন ব্যাপক দৌড়ে। সময় নাই। নেটও নাই। এর মধ্যে একদিন খবর পাইলাম সচলায়তন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করছে। তখনও আমার সময় নাই। তখন আমার ঘর আলো করে জন্ম নিছে নিধি। আমি তারে নিয়া ব্যস্ত।

একমাস পার হয়া গেলো। একদিন এক ব্লগার আড্ডা। সেখানে ঢাকার সব বিখ্যাত ব্লগাররা। আমিই কেবল মাত্র একটা লেখা সম্বলবান। সেখানে লোকজন বিশেষ করে আরিফ জেবতিক, জামাল ভাস্কর আর টুটুল ভাই (আহমেদুর রশীদ না) কী কী সব করে আমার সব ব্যবস্থা করে দিলো। পরদিন টুটুল ভাই ফোন করে বলে সব রেডি, আপনে একটা মেইল পাইবেন, সেই মতো ঢুকে সচলে লেখা শুরু করে দেন।

সেভাবে সেভাবেই হয়ে গেলো, সচল জন্মের একমাস পরে আমি সচল হইলাম। কিন্তু আসলে অচলই রয়ে গেলাম। প্রথম একবছর তো আমি লগিনই করতাম না... দ্বিতীয়বছর থেকে একটু নড়াচড়া শুরু।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ভুতুম এর ছবি

আমি সচল দেখছিলাম অফিসে বসে। অফিসের দ্বিতীয় দিন, কাজ-কর্ম কিছু নাই, দেখি আমার পাশের ডেস্কের ভদ্রলোক খুটুরমুটুর বিপুল বেগে কী জানি টাইপ করে যাচ্ছে। তাকিয়ে দেখি বাংলা ভাষায় কী জানি লেখা হচ্ছে। আগ্রহ জাগলো। তখনি সন্ধান পেলাম সচলায়তনের। আর সেই ভদ্রলোক ছিলেন সিরাত ভাই।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

ওডিন এর ছবি

নৈষাদ লিখেছেন:
প্রথমেই ধন্যবাদ সেনা সমর্থিত অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে।

২০০৮ সালের মাঝামাঝি এসে কোন একটা পত্রিকায় সচলায়তনের নাম দেখলাম। বলা হয়েছিল সেনা সমর্থিত অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাইটা বন্ধ করে দিয়েছে। একে তো সচলায়তন নামটা ভীষণ ভাল লেগেছিল, তারপর সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আর যায় কোথায়।

আমিও এইজন্য মতিন এন্ড কোং এর কাছে কৃতজ্ঞ দেঁতো হাসি সত্যি বলতে আমার বাংলা ব্লগ এর ব্যাপারে সেইরকম কোন ধারনা ছিলো না। ঘুরতাম আমাদেরগান.কম-এ। সেইখানে শুনি সচলায়তন বলে একটা ব্লগ(?) নাকি আছে- যেইটা আবার কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যানড করা হয়েছে! কয়দিনের কি একটা অপগন্ড ব্লগ, তারে আবার গভর্নমেন্ট ভয় পায়- এতো দেখি পুরা পাঙ্ক রক! শয়তানী হাসি পরে ঘুরেফিরে লেখাগুলো দেখি- সমমনা লোকজনকেও আবিষ্কার করি। প্রথমে ছিলাম নিরব পাঠক, এখন সরব পাঠক। এই আর কি।

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

আহির ভৈরব এর ছবি

কেমন করে যেন আরিফ জেবতিকের একটা লেখা পেয়েগেছিলাম ইন্টারনেটে। সেটা যে কেমন করে পেয়েছিলাম তা এখন আর কিছুতেই মনে করতে পারছি না। খুব ভালো লেগেছিলো লেখাটা, তখন খেয়াল করলাম সাইট-টার নাম সচলায়তন। এ কিন্তু বহুদিন আগের কথা। তারপর একেবারেই আনাড়ি হওয়ার কারণে ইচ্ছা থাকলেও লেখা কিংবা কমেন্ট করা হয়নি অনেকদিন, আরিফ জেবতিকের সেই লেখাটাতে পর্যন্ত কমেন্ট করা হয়নি!

তারপর একটু একটু করে পড়তে লাগলাম, বাংলা টাইপ করা শিখে কমেন্ট করতে লাগলাম। মনে আছে, প্রথম প্রথম একটা দু'লাইনের কমেন্ট টাইপ করতে ঘন্টা খানেক লাগতো!

আমি বাংলা আর কোনো ব্লগের কথাই জানতাম না, সচলে বিভিন্ন সময় উল্ল্যেখ দেখে দু'একটা লেখা পড়ে দেখেছি অন্য সাইটে, এই পর্যন্তই।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

নৈষাদ এর ছবি

প্রথমেই ধন্যবাদ সেনা সমর্থিত অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে।

অভিজ্ঞ ব্লগারদের মাঝে কিছুটা সংকোচ নিয়েই লিখছি। চ্যাট বা ফেসবুকে কখনোই সক্রিয় ছিলাম না, যার ফলে ২০০৮ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত বাংলা ব্লগের ব্যাপারে তেমন কিছু জানতাম না। এটা ২০০৮ প্রথম দিকে গুগোলে কিছু একটা খোঁজতে গিয়ে একটা বাংলা ব্লগের লিঙ্ক পাই (নামটা আর বললাম না)। দুঃখজনকভাবে সেদিন ঐ ব্লগে আমার অপছন্দের বিষয়ে একটা লেখা ছিল। তারপরও পড়তে গিয়ে কিছু অশ্লীল শব্দের খুবই সাবলীল ব্যবহার দেখলাম। ব্লগোমন্ডলে অনভিজ্ঞ চোখে সেই সাইটটাকে প্রায় সেমি-পর্ণো মনে হয়েছিল। আর ইন্টারেস্ট পাইনি।

২০০৮ সালের মাঝামাঝি এসে কোন একটা পত্রিকায় সচলায়তনের নাম দেখলাম। বলা হয়েছিল সেনা সমর্থিত অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাইটা বন্ধ করে দিয়েছে। একে তো সচলায়তন নামটা ভীষণ ভাল লেগেছিল, তারপর সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আর যায় কোথায়।

ব্যস্ততার মধ্যেও সচলায়তনে ব্লগগুলি পড়তাম। কয়েকটা জায়গায় মন্তব্য করতে ইচ্ছে হত, কিন্তু ইউনিকোডের ব্যাপারে জানতাম না। চাকুরী পরিবর্তন ইত্যাদিতে ব্যস্ত ছিলাম ২০০৮ শেষের দিকে। এই বছরে জুনে এসে একজন আভ্রর কথা বলল...।

ফারুক হাসান এর ছবি

পিঠ চুলকাচুলকি আমি খুব ভালু পাই, খবর পেয়েই বসে গেছিলাম।

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

দুষ্ট বালিকা ফেইসবুকে 'ফরেনার' নামক একটা লেখার লিঙ্ক দিয়েছিল। সচলায়তনের খোঁজ পাই সেদিন।

ফাহিম এর ছবি

বাংলা ব্লগের সাথে আমার পরিচয় ২০০৬ এর শেষ থেকে। তখন বি.এন.পি সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রপতি তখন ইয়াজুদ্দিন আর নির্বাচন কমিশনার বোধহয় আজিজ। জলিল আর মান্নানের বৈঠক চলছে পুরোদমে। সেই সময় খবরের জন্য সারাদিন নেট এ বসে থাকতাম। গুগল করতে করতে একদিন সামহ্যোয়ারইন ব্লগের সন্ধান পাই। তখন মুখফোড় আগুন সব পোস্ট দিয়ে যাচ্ছিল। তারপর সময়ের সাথে সচল শুরু হয়, আমি সেই জন্ম থেকেই সচলের পাঠক।

আমি মোটামুটি নিয়মিত পাঠক, অফিসে কিংবা বাসায় সব সময় মোজিলার একটা ট্যাবে সচলায়তন খোলা থাকে। কিন্তু প্রথম দিকে কমেন্ট করতাম না। ২০০৮ এর কোন এক সময়ে অতিথি হিসেবে নিবন্ধন করি। তারপর একটা দুটা অখাদ্য পোস্ট দিয়েছি বটে, তবে আমি নিজেই সেগুলোর মান সম্পর্কে সন্দিহান!

যাই হোক, মোদ্দা কথা, সবসময় সচলের সাথে আছি, থাকবো...

=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

শশাঙ্ক বরণ রায় এর ছবি

সামহোয়ারে মাঝে মধ্যে যেতাম সুমন চৌধুরীর লেখা পড়তে, পরে সবুজ বাঘের। কিছুদিন পর যুথচারী এসএমএস-এ সচলায়তনের এ্যাড্রেস এবং সম্ভবত ই-মেইলে লিঙ্ক পাঠায়। এরপর নিবন্ধন এবং লিখবো বলে ভাবা। ভাবনাটা এখনো চালু আছে! মাঝে মধ্যে ভাবনাটাকে ভেদ করে আমার চিরায়ত আলস্য মাড়িয়ে দু-এক ফোটা বেরিয়েও গেছে দেখছি...!

গোপাল ভাঁড় এর ছবি

কমুনা।

--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার

--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........

মামুন হক এর ছবি

বন্ধু হাসিবের ফেসবুকে দেখছিলাম সচলের লিংক। সেই ২০০৭ এ। পড়ে গেছি একটানা অনেকদিন। কিন্তু বাংলা টাইপ করতে না জানায় লেখা বা কমেন্টানো হতোনা। একবার দেশ থেকে বিজয় এর কীবোর্ড আর সফট ওয়্যার আনালাম। হাজার ঝামেলা। টাইপ করি কিন্তু জুত পাইনা। তাই অফ দিলাম। অনেকদিন সচলে আসা হয়নি। ২০০৮ সালে দুর্দান্তের ফেসবুকে মুখফোড়ের একটা লেখা দেখে আবার সচলে ঢুকলাম। আগে একবার নিবন্ধন করে গেছি, কিন্তু সচল হতে যে লিখতে হয় তা জানা ছিলনা। আলসেমীর কারণে নীতিমালা পড়া হয়নি। তারপর একদিন অভ্র ডাউনলোড করে, হাবিজাবি একটা লেখা দিয়ে দিলাম। প্রিভিউ দেখে ভড়কে গিয়ে লেখাই বাতিল করে দেই।

এ বছরের শুরুর দিকে যখন অসুস্থ হয়ে ঘরে বসা, করার কিছু নাই, তখন আবার সচল এগিয়ে এলো আমার নিঃসঙ্গ জীবনের সঙ্গী হিসেবে। সেই থেকে আর ছাড়াছাড়ি নাই।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আমারে অপু ভাই মারছিলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

আলমগীর এর ছবি

আমার বন্ধু গুগল। কী যেন খুঁজতে যে সচলায়তনের সন্ধান পাই। বহুদিন কেবল পড়েই গেছি। নাম লিখিয়েছিলাম কী মনে করে ভুলে গেছি এখন।

মুস্তাফিজ এর ছবি

বেশীদিনের কথা নয়। কাগজে কলমে হিসেব করলে আজ একবছর পুরো হবে আমার সচলে। আমার বেড়ানোর বাতিক, দু তিন বছর ধরে সেই সাথে যোগ হয়েছে ছবি তোলা, পরিচিতজনদের সেই ছবি দেখানোর জন্য ফ্লিকারে একাউন্ট করলাম। পরিচিত হলাম আরেক জগতের সাথে, নুতন অনেক বন্ধু জুটলো সেই সাথে। এদের নিয়েই গত বছর ঈদে দার্জিলিং গিয়েছিলাম, ঘুরে এসে সেই বৃত্তান্ত কিছু কিছু ফ্লিকারে লেখার সময়ই অরূপের সাথে পরিচয়, ফ্লিকারে তার অন্য আইডি, অরুপ নামে চিনতামনা। মাশীদের ছবির সাথে আগেই পরিচিত ছিলাম তবে অরূপ মাশীদের সম্পর্কের কথাও সচলে আসার আগে জানা ছিলোনা আমার। সেই অরূপ একদিন জানালো সচলের কথা, আমার মনস্থির করার আগেই অতিথি হয়ে গেলাম। লেখালেখির অভ্যাস কোনকালেই ছিলোনা, কিভাবে যেনো এইটা লিখলাম তারপর থেকে সেই অতিথি বাড়ি ঘর দখল করে বসে আছে।

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হাসান মোরেশেদ একদিন ইমেইল করে একটা লিংক পাঠিয়ে বলল এটা দেখো

খুলে দেখি কিছুই বুঝি না। খালি হাবিজাবি
গুতাতে গুতাতে আড্ডাঘরে গিয়ে ঢুকি ইংরেজিতে leelen লিখে
কারা কারা যেন ছিল। তার মধ্যে দেখি আরিফ জেবতিক
জিজ্ঞেস করলাম- তুমিও এখানে?
বলে- হ। কিন্তু তুমি কেমনে?
বললাম- মোরশেদ কী একটা দিলো কিছুই বুঝি না

তারপর আরিফের নিদের্শনা নিয়ে রেজিস্ট্রি- বাংলা সেটাপটেটাপ করে দেখি এইটারে কয় সচলায়তন

০২

সচলায়তন এর আগে ব্লগ কিংবা ইন্টারনেটে বাংলা লেখা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না
আমি খালি বাংলায় পড়তাম পত্রিকা

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

১। কবিসভা (ইনএকটিভ মেম্বার ) থেকে সামুর খো্জ পেয়ে রেজি করি কিন্তু ব্লগিং করা হয়নি এবং একসময় পাসওয়ার্ড ভুলে যাই । আমি মুক্তমনা, সাতরং ইত্যাদি নানা ই ফোরামেই ব্যস্ত ছিলাম । সামুতে যেতাম না তাই সেখানে কি লিখা হয় , কারা লেখে এসব তথা ব্লগাস্ফিয়ারের ইতিহাস আমার অজানা ছিল । হাসিব ভাই, বদ্দা, আরিফ জেবতিক প্রমুখের কল্যানে এখন অবশ্য আমি সেই ইতিহাসের কিছুটা জানি ।

২। মুক্তমনাতে একবার মনে হয় সচলের লিন্ক পেয়েছিলাম । ফারুক ওয়াসিফের লেখা পড়তাম সমকালে ( তার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল না , পরিচয় হয়েছে আমি সচল হবার পর )। সমকালে তার লেখার শেষে ইমেইল আইডি থাকতো । আমি তাকে ইমেইল করে আমার প্রতিক্রিয়া জানাতাম । এভাবে মেইল চালাচালির এক পর্যায়ে তিনি একবার আমাকে তার সচললেখার লিন্ক দিলেন । আমি পড়ে বিদায় হলাম । একদিন মনে হলো আজ একটু ফ্রি আছি দেখিনা সচলায়তন কি জিনিস ? প্রথম লেখাটাই আমার মন কাড়ে । একে একে অনেক লেখা পড়ে ফেলি । সচলায়তনের প্রচন্ড প্রেমে পড়ে যাই এবং সেই প্রেম আজো জারি আছে । আরো আবিস্কার করলাম আমার মুক্তমনার বন্ধুরা (অভি, বন্যা, ফরিদ ) এবং পূ্র্ব পরচিত অনেকে (যথা আরিফ জেবতিক ) এখানে আছে । সচলায়তন এর নীতিমালায় দেখলাম এমন কিছু বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধার কথা বলা আছে , একমাত্র শুয়োরের বাচ্চা (রাজাকারি চেতনাধারী) আর ছাগু সমাজ ছাড়া যেগুলো্র প্রতি অশ্রদ্ধার কো্নো কারন নেই । এমন একটি সাইটের প্রতিক্ষায়ই ছিলাম আমি মুক্তিযুদ্ধ আর তার চেতনা নিয়ে যে কখনো কম্প্রমাইজ করে না । রেজি করে ফেললাম । প্রথমে লিখলাম-কবি ও রাজনীতি । তারপর সিরিজ শুরু করলাম রাস্ট্র /মোল্লা দ্বারা ইসলামের নামে মুসলিম জ্ঞানীঁদের হত্যা ও নিযার্তনের কথা-১ এরপর আরেকটা সিরিজ স্বাধীনতার নেপথ্যের ইতিহাসঃ আমরা যাদের ভুলে গেছি -১ শুরুর দিকে সিরিয়াসধর্মী ব্লগাই বেশি (লীলেনদা ১০০ ভাগ সিরিয়াস লেখক বলে খোঁচাও দিয়েছে )

৩। আস্তে আস্তে সচলদের সাথে মিথস্ক্রিয়ায় একটা ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠল ।আমি ১৯৮৯ সাল থেকে পত্রিকায় লিখি কিন্তু কখনো ব্যক্তিগত কিছু শেয়ার করিনি । সচলেই প্রথম আমি আমার ব্যক্তিগত কথ্ন শেয়ার করা শুরু করলাম । সচলরাও আমার জন্মদিন , বিবাহবার্ষিকী নিয়ে ব্লগ লিখেছে , মন্তব্য করেছে । যুগান্তর একবার বো্ন দিবস সংখ্যা প্রকাশ করেছিল । আমাকে লিখতে বলেছিলো কিন্তু আমি লিখিনি । সচলে ঠিকই লিখেছি আমার দুই বোনের অকালমৃত্যু নিয়ে । আমার একমাত্র ছেলের টাইফয়েড পজিটিভ রিপোর্ট বাসার নিজ পরিবারকে জানানো্র আগে জানিয়েছি সচলে । দুঃখের সাথে বলছি , আমার সেই সচলায়্তনে এখন আমি ব্যক্তিগতকথন বা ব্লগব্লগর করতে ভয় পাই । কিছুদিন আগে নানা পোষ্ট নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় আমার মনে ভয় ঢুকে গেছে । নজরুল তার বউ নুপুরের জন্মদিন নিয়ে পোষ্ট দিয়েছিল , সেটা নিয়েও কথা হয়েছে । নুপুর কিছুদিন আগে চ্যাটে আমাকে বলেছিলো, অনেকদিন ধরে কিছু লিখেন না । লিখুন না কিছু । আমি বললাম কি লিখব ? তিনি বললেন -আপনার যা ইচ্ছে । আমি কথা দিয়েছিলাম লিখব । ব্লগব্লগর হিসেবে লিখেছিলামও কিছু কিন্তু পোষ্ট না করে ঘ্যাচাং করে দিয়েছি ।

৪।আমার নিঃসঙ্গতা ঘুচিয়ে দিয়েছে সচলায়তন । ফেসবুক, মেসেন্জার, এসএমএস, ফোনালাপ সবখানেই সচল । সচলায়তন আর সচল ছাড়া এখন আর দিন কাটে না । আমার এখন অনেক ভাল বন্ধু ও শুভাকামনাকারি আছে যাদের সাথে আমার পরিচয়ের মাধ্যম সচলায়তন ।

৫। সত্যের খাতিরে বলছি, আমি সচল ছাড়াও আরো কিছু জায়গায় ব্লগিং করি ( রণদা, গৌতম,বলাইদা, আরো অনেকেই করে ) এবং সে সব জায়গায়ও ভাল লেখক যেমন আছে , মুক্তমনাও আছে আবার একিসাথে শুয়োরের বাচ্চা আর ছাগু সমাজও আছে । তবে ,সচলায়্তনে সবচেয়ে বেশি সমমনা , মুক্তমনা আছে ।

সচলায়তন দিয়েই আমার ব্লগিং শুরু । জয়তু সচলায়তন ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ফেসবুকে একদিন আরিফ জেবতিক সচলায়তনের লিংক দিয়ে বললেন, ‌‌'এইখানে লিখ ব্যাটা'। যদিও ম্যালাদিন শুধু পড়েই গেছি। আর লোকজনের লেখালিখির অসাধারণ ক্ষমতা দেখে দীর্ঘশ্বাস গোপন করেছি। তারপর 'দেখিস একদিন আমিও' বলে হাবিজাবি লেখালিখিতে নেমে পড়েছি! হাসি
.......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।