১.
বুয়েটে ভর্তি হওয়ার আগে ছারপোকা কখনও দেখিনি। স্কুলে থাকার সময় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের স্কুল শিক্ষা কার্যক্রমে যে বইগুলো পড়ার সুযোগ পেয়েছি তাতেই সম্ভবত ছারপোকা সম্বন্ধে প্রথম জেনেছিলাম। সেখানে একটা বইয়ে ছারপোকা নিয়ে একটা গল্প ছিল, এক দুষ্ট ছাত্র লজিং মাষ্টারকে কিভাবে ছারপোকা দিয়ে বিপর্যস্ত করে এই নিয়ে গল্প। তখন অবশ্য বুয়েটে পড়তে এসে হলে থেকে এভাবে ছারপোকার কামড় খেয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে এটা কখনও স্বপ্নেও চিন্তা করিনি। অবশ্য এই জিনিসটা একটা পরিবেশের সাথে কিভাবে দ্রুত অভিযোজিত হওয়া যায় তার একটা প্রায়োগিক শিক্ষাও ছিল বটে। সেদিক থেকে বিচার করলে অভিজ্ঞতাটা খারাপ না।
সোহরাওয়ার্দী হলের নিচতলার রুমে যখন ছিলাম তখন সেখানে কখনও ছারপোকা পাইনি। হলের নিচতলাগুলো এদিক দিয়ে ভাল। এতে চোর আর ছারপোকার উপদ্রপ থাকে না। ছারপোকা নিজ চোখে জীবনে প্রথম দেখি চার তলার রুমে উঠে। সেখানে এক মামা ছিলেন, বাড়ী আমাদের দেশ গাইবান্ধাতেই, নাম শরীফ। পড়তেন তড়িৎ কৌশলে। ওনাকে দেখতাম চরম রকম ছারপোকা ভীতি নিয়ে থাকতে। মাঝে মাঝেই শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বিছানার চাদর, তোশক, বালিশ এসব তুলে পেপার বা কাগজ নিয়ে ছারপোকা মারতেন। ওনার পাশেই ছিলেন ওনাদেরই ব্যাচের আরেক বড় ভাই। শরীফ মামাদের সাথে হলেও শরীফ মামারা যখন বের হয়ে যাবেন এ অবস্তাতেও ঐ ভাইয়ের মাত্র কয়েকটা সেমিষ্টার শেষ হয়েছে মাত্র। উনি ক্লাসে পারতপক্ষে যেতেন না। দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমাতেন, ইনসমনিয়া ছিল। যে সময়টা ঘুমাতেন না সে সময়টায় সিগারেট খেতেন, গোল্ডলিফ সিগারেট। এই ভাইয়ের বিছানার নিচেও ছারপোকার আখড়া ছিল এবং উনি এদের শায়েস্তাও করতেন নিজস্ব অভিনব কৌশলে। বিছানার তোশকটা খুব আলতো করে তুলে সিগারেটের জ্বলন্ত আগুনে উনি ছারপোকাদের ছ্যাঁকা দিয়ে মারতেন আর এবিষয়ে নানান ধরনের কথাবার্তা বলতেন,"বাবা, একটু এদিকে আস, এইতো দিলাম একটা...."। দিনের মধ্যে কয়েকবার উনি ছারপোকা মারতেন এবং প্রতিবার কাজটা করতেন এভাবেই। ছারপোকা মারার তার এই কৌশলটা ছিল দেখার মত একটা জিনিস।
২.
রুমে মাঝে মাঝে শরীফ মামার এক বন্ধু আসতেন পাশের হল থেকে, নাম কল্লোল। কৃষ্ণবর্ণের, হ্যাংলা-পাতলা, সবসময় চেহারা ও কাপড়-চোপড়ে উস্কোখুস্কো একজন লোক। ইনি ছিলেন বিশিষ্ট ছারপোকা বিশেষজ্ঞ। ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ছারপোকা এবং এদের তাড়ন বিষয়ক নানান তড়িকা বিষয়ে পড়াশুনা এবং তাদের অনুশীলন করে উনি আমাদের রুমে এসে জ্ঞানদান করতেন। কাকেরা যে ছারপোকার বংশবিস্তারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় নানান জাতের কাকের আবাসস্থল হওয়ায় এখানে এদের বিস্তার প্রক্রিয়া এজন্যই সহজ হয়েছে এ বিষয়গুলো আমরা জানতে পেরেছি তাঁর কাছ থেকেই। ছারপোকা কিভাবে নির্মূল করা যায় এ বিষয়ে ওনার অনেকগুলো এক্সপেরিমেন্ট ছিল, যদিও এসব শোনার পর আমরা প্রক্রিয়াগুলোর অনুকরণ করিনি কারন উনি নিজেই এগুলো করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
শরীফ মামারা রুমে থাকার সময়ে আমি ছারপোকার উপদ্রুপে অত প্রবলভাবে পড়িনি কারন সেই সময় থাকতাম দরজার কাছের একটা বিছানায়। ঐ বিছানাটায় তখনও সেভাবে এদের সংক্রমণ হয়নি। ছারপোকা জিনিসটা যে কতটা ভোগান্তির কারন হতে পারে এটা প্রথম টের পাই শরীফ মামা চলে যাবার পর ওনার বেডে উঠে। অবশ্য উনি যাওয়ার সময়ই বলে দিয়েছিলেন বেডটায় ওঠার আগে যাতে ওটা ভাল করে 'পুড়িয়ে' নেই। বেড পুড়িয়ে নেয়া জিনিসটা অনেকটা এরকম,একটা লাঠির মাথায় ন্যাকড়া টাইপ একটা কাপড় বেঁধে তাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালানো হয়। এরপর বিছানার চাদর, তোশক, বালিশ এইসব জিনিপত্র নামিয়ে খাটের চারপাশ, উপর-নিচ এসবে লাঠির আগুন দিয়ে 'আগুন চিকিৎসা' দেয়া হয়। এই 'আগুন চিকিৎসা'তেই সাধারনত বিছানার অধিকাংশ ছারপোকা মারা যায়। শরীফ মামা বলার পরও আমি এই 'আগুন চিকিৎসা' করিনি, ভেবেছিলাম 'কি আর হবে'? এই 'কি আর হবে' চিন্তাভাবনার ফল পেতে খুব একটা দেরী হয়নি। সারা বিছানায় ভর্তি ছারপোকারা রাতে এসে কুটকুট করে কামড়ানো শুরু করল। রাতে আর ঘুমানো গেল না।
৩.
বুয়েটের হলে এই ছারপোকা ছিল একটা প্রবল সমস্যা। সারাদিন ক্লাস-ল্যাব করে, বিকেলে টিউশনি, রাতে ক্লাস টেষ্টের পড়া বা অ্যাসাইনমেন্ট করে যখনই লাইট বন্ধ করে বিছানায় শোয়া হত তখনই বালিশের ভিতরের তুলা, তোশক, খাট আর দেয়ালের নানান ছিদ্র থেকে দল ধরে ছারপোকারা এসে শরীরের নানান জায়গায় কুটকুট করে কামড়াতে থাকত। হয়ত শরীরের এক জায়গাতেই সিরিয়াল ধরে অনেকগুলো কামড়(একটা ছারপোলা এক সাথে কাছাকাছি জায়গায় অনেকবার কামড়ায়)। এই জায়গাগুলো আবার চুলকালে ফুলে ওঠে। বিছানা থেকে উঠে লাইট জ্বালালে এরা আবার নিরাপদ দূরত্বে সরে যায়। যতক্ষণ লাইট থাকে ততক্ষণ এরা আর কাছে আসে না। লাইট অফ করলে আবার যা সেই। উপদ্রুপ বাড়লে সারারাতই লাইট অন করে ঘুমাতে হয়। দিন পনের পরপর 'আগুন চিকিৎসা' করে বিছানাকে থাকার উপযোগী করতে হত। অবশ্য ঠান্ডার সময় এদের হ্যারিকেন দিয়ে খুঁজেও পাওয়া যেত না। এত এত ছারপোকা এই সময়টা কোথায় যে পালাত এটা একটা বিস্ময়ের ব্যাপারই বটে। ছারপোকা বিশেষজ্ঞ কল্লোল ভাইয়ের সাথে তখন আর যোগাযোগ ছিল না। যোগাযোগ থাকলে জিজ্ঞাসা করা যেত।
৪.
ছারপোকার সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর একসাথে থেকে আমারও এদের নিয়ে কিছু অজারভেশন হয়েছে। সেগুলোর যদি নোট রাখি তবে এভাবে পয়েন্ট করে রাখা যাবে
মন্তব্য
আপনার ছারপোকা কাহিনী পড়ে মজা পেলাম।
এক কাজ করতে পারেন, এই ছারপোকা সংক্রান্ত অবজারবেশনগুলো বাংলা উইকিতে দিতে পারেন, এতে বুয়েটের আগত তরুণ সমাজ ছারপোকার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
উইকি ! এইটা আবার কি?
মাইন্ড খাইয়েন না । একটু মজা করলাম।
......................................................
পতিত হাওয়া
আপনার ছাড়পোকাচারণ পড়ে খুব মজা পেলাম, কষ্টও পেলাম, একবার একটা স্প্রিং কুড়িয়েছিলাম, সস্তার যদি ৩ অবস্থা হয়, মাগনার কি অবস্থা হবে, বুঝে নেন। তবে তখন আমার "মাগনা পাই আলকাতরা খাই" অবস্থা, ঘোড়ার ডিমের ছারপোকা এখনো নিধন করে যাচ্ছি। চরম মজার একটা পোস্ট।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কিয়ের স্প্রিং, কিয়ের আলকাতরা?
একটু খুলাখুলি কইরা কন না শুনি?
......................................................
পতিত হাওয়া
আরে বস, যখন প্রথম নিউ ইয়অর্ক থিক্কা ভাইগা দেলোয়ার সাহেবের স্টেটে আসি, তখন তো আমার ১০-১২ টা বাক্স ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কাথা বালিশও না। ফলে এসে প্রথমে কম্ফোর্টারে শুইতাম, তারপর এক জায়গা থিকা গদি কিনলাম, তারপরে বউ কয়, এইটা তো অনেক নিচা। আমি কই, আরে, সেইটাই তো ভালু, আমার মাইয়া গড়ান দিয়া পড়ব না। কিন্তু কে শুনে কার কথা। মালপানি যা আছিল সব খরচা কইরা গদি কিন্সিলাম। তাই মাস শেষে গারবেজের আশে পাশে নজরদারি করতে থাকলাম, কেউ যদি যাওয়ার সময় কিছু ফালায়া যায় আরকি। পকেটে নাই পয়সা, তাই যা পাই তাই সই, এই হইল মাগনা পাই আলকাতরা খাই এর কাহিনী।
একদিন বিকালে দেখি এক বান্দা ম্যাট্রেস, লুহার ফ্রেম আর ফ্রেমের উপরে বসানির লাইগা স্প্রিং বক্স। আমি ম্যাট্রেস আনুম না, কারন কে কি করসে, কে জানে? আর ফ্রেমটা আমাগো দেশের ফ্রেমের মতন না, শুধুই একটা লুহার 'এইচ'। মাঝে ঐ স্প্রিং বক্স বসানি লাগে। অইটা কাঠের একটা ফ্রেম। উপরটা পাটাতন করা। ব্যস রাইতের আন্ধারে চোরের মত টিপিটিপি পায়ে গিয়া অইটা লইয়া আইলাম আমি আর আমার বউ মিল্লা। জিনিষ্টা বেসাইজ পুরা, ভুত টাইন্না টুইন্না উঠাইলাম, তারপর পুরা খাট পাইয়া আমার বু খুব খুশি। আমিও খুশি তার হাসি দেইখা। মাগার রাইতে দেখি আমার মাইয়া খালি ক্যা কু করে, বাত্তি জ্বালায়া দেখি, গায়ে ৩-৪ জায়গায় লাল লাল চাকা চাকা। বুঝলাম ঘটনা সিরিকাস। বাত্তি সবটি জ্বালায় তারপর খুইজ্জা পাইলাম অনেকডি ছারপোকা। হেই রাইতেই অই ফ্রেম বিদায়। কিন্তু কুকাম তো হইয়া গেছে গা, এর পর থিক্কা কতকিছু যে দিলাম, অই ছারপোকা আর যায় না। সাধে কি আর সব ফালায়া থুইয়া গেসে? ছারপোকার কামড়ে থাকতে না পাইরা ফালাইছে।
আপনার অগ্নি চিকিৎসা মনে ধরসে। ঐটা করন লাগব। কি কন বস? আগুন দিয়া পুকা মারতে গিয়া নিজে মরুম নাতো? এক্কেবারে "জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো" মার্কা অবস্থা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এটাই কি ছারপোকা? আপনি সিওর তো? ছারপোকা তো এত বড় হওয়ার কথা না। চিন্তা কইরা দেখেন ছারপোকার কামুড় খাইছেন না অন্য কিছুর কামুড় খাইছেন।
আগুন চিকিৎসা একটু বিপজ্জনক। একপার্ট হ্যান্ড লাগে। এইটা করতে গিয়া আবার ঘরবাড়িতে না আগুন লাগায় ফ্যালেন! শেষে নিজে ডাকটর হইয়া আবার অন্য ডাকটরের কাছে দৌড়াতে হইব।
কীটনাশক স্প্রে পদ্ধতিটা দেখতে পারেন। নিরীহ পদ্ধতি। অসুবিধা একটাই। দুই-চারদিন নাকে রুমাল দিয়ে থাকা লাগতে পারে।
......................................................
পতিত হাওয়া
কীটনাশক দিয়া তো বস মনে হোয় মানুষ নাশ হবে, কীটগুলা কেমন যেন সাচ্ছন্দ বোধ করে ঐগুলার উপস্থিতিতে। মনে হয় ওগুলা আসলে এগো বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এগুলা দিয়া পোকা বাড়বো, তারপর এক্সটারমিনেটর ডাকতে হবে, বিজনেস স্ট্র্যাটেজি ;)। ধুগোদআর বুদ্ধিটা ভালু লাগছে, ছাড়পোকায় কামড়াইবো আর মরবো।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ছারপোকার কামড় প্রথম খেয়েছিলাম দেশে থাকতে। পরিবারের সবাই মিলে কি একটা সিনেমা দেখতে গিয়ে কামড় খেলাম। বাসায় এসে দেখি অনেকখানি জায়গা লাল হয়ে ফুলে গেছে। আমার ফুপাতো ভাই ডাক্তার মানুষ কিছু হলেই তার কাছে যেতাম। ভাই দেখে বলল ছাড়পোকার কামড়ে এল্যার্জি হয়েছে।
দ্বিতীয়বার ছারপোকা পেলাম কানাডাতে এসে। হায়রে কি যন্ত্রনা। এল্যার্জির সুবাদে যেখানে কামড় খেতাম বড় করে ফুলে যেত। কোন কিছুতেই ছারপোকা যায়না। তারপর কি আর করা বাসার সব জিনিস ফেলে আমরাই চলে গেলাম অন্য জায়গায়।
- কীটনাশক পানিতে গুলে বিছানায় না ছিটিয়ে বরং কয়েক ঢোঁক নিজেই গিলে আস্তে করে শুয়ে পড়ুন! তারপর আরামে ঘুমান। ছাড়পোকা কেনো, তার বাপে এসে কামড়ালেও কোনো হদিস থাকবে না, গ্যারান্টিড!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হে হে। বসে ট্রাই মারছুইন্নি? এইটা কি জাকাজা গ্যারান্টি? নাকি মঘা ইউনানি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার ছারপোকা বিষয়ক অভিজ্ঞতা শিবরামের গল্পগুলোতে সীমাবদ্ধ।
জ্ঞানগর্ভ এবং মজার পোস্ট ইরু। পড়ে ব্যাপক বিনোদন পেলাম।
আমি হল লাইফ চালিয়েছি আরেকটা বিকল্প চিকিৎসা করে। রাতে ঘুমানোর আগে যদি তোষকে একটা চিরুণী অভিযান চালিয়ে মশারি টানিয়ে দেয়া হয় তবে সারা রাত নিশ্চিন্ত। সকালে উঠে মশারির চারদিকে অসংখ্য ছারপোকা দেখা যাবে কিন্তু সারা রাত শান্তিতে ঘুমানো যাবে।
বিশ্বাস না হলে যারা এখনো হলে আছেন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বিফলে মূল্য ফেরত। হা হা
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
গরমের দিনে একটু সমস্যা হয়ে যাবে। ফ্যানের বাতাস মশারি ভেদ করে তো আর খুব একটা ভিতরে ঢুকতে পারবে না।
ভাল কথা তোমার বিসিএসের কি অবস্থা?
......................................................
পতিত হাওয়া
গরম একটা প্রব্লেম; তবে ছারপোকার চাইতে বড় তো আর না।।
বিসিএস প্রজেক্ট আপাতত বাতিল। লিখিত পরীক্ষার ফরম তুলি নাই
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ছারপোকা গবেষক ইমরুল কায়েস... অভিনন্দন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
জিনিসটার বিষয়ে অভিজ্ঞতা শূণ্যের কোঠায়। হলে থাকতাম না, পি.এল. এর সময় থাকা হত, তবে তখন সৌভাগ্য সহায় ছিল বলাই বাহুল্য। লেখাটা অতি মূল্যবান পোস্ট হিসেবে সংরক্ষিত হবার যোগ্যতা রাখে।
ধন্যবাদ
সোহরাওয়ার্দীতে ছারপোকার আক্রমণ আসলেই একটু বেশি...। বাসাতেই থাকি- কিন্তু হলের বেশিরভাগ কাজ সারা হয় ঐ হলে। ছারপোকা বড় বিরক্ত করে...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ছারপোকা বিষয়ে পি এইচ ডি করে ফেলছেন দেখছি...
আপনার বুয়েটে পড়া সফল হয়েছে ...।
মজার লেখা! বাপরে...ছারপোকা সম্পর্কে অনেক কিছু শেখা হলো।
ছারপোকা মারতে জীবন শেষ হয়ে গেছিলো আমার।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
ছার পোকা কি সব খানে ই আছে ?
কুয়েতে ও ঘুমায়তে পারতেছিনা ,,কি করি ? শুনছি পোদিনা পাতা রাখলে নাকি ছার পোকা ভাগে
বর জালা
নতুন মন্তব্য করুন