আমার মধ্যে সঙ্কোচের বিহ্বলতা বরাবরই ক...[justify]
পাড়াতুতো চায়ের দোকানে অমন আড্ডা পেয়ে যাবো, ভাবিনি। গতকাল গলিতে ঢোকার মুখে ডালপুরির বাস্না এসে নাকে হাত বুলিয়ে গিয়েছিলো, তাই আজ গেলাম ডালপুরি চোখে দেখার পাশাপাশি চেখে দেখতে, ঘ্রাণেন অর্ধভোজনমের পাশাপাশি বাকি আধখানা একেবারে উপর্যুপরি চিবিয়ে গিলতে, সাথে দুধভাত হিসেবে এক কাপ খাটো চা, কে জানতো বোনাস হিসেবে ওরকম একখান আড্ডার সন্ধান পাবো?
আমার মধ্যে সঙ্কোচের বিহ্বলতা বরাবরই কম। উঠে গিয়ে গলা খাঁকরে বললাম, "তা ভায়েরা, বেশ লাগছে আপনাদের কথাগুলো শুনতে। বসতে পারি?"
ছোকরার দল সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে আমাকে দেখে কেবল, আর নিজেদের মাঝে আড়ে আড়ে চায়। কিছু বলে না।
আমি ঠেলেঠুলে এক পাশে বসে পড়ি। বলি, "প্রেমেন্দ্র মিত্র নিয়ে কী যেন বলছিলেন?"
যার পাশে বসি, সে ছটফট করে ওঠে।
একজন গুরুগম্ভীর গলায় বলে, "লিটমাস! লিটমাস টেস্ট!"
উল্টোদিকে বসা টিংটিঙে ছোঁড়াটা নড়েচড়ে বসে বলে, "কে গো আপনি?"
আমি হাত বাড়িয়ে দিই। "আমার নাম কাদের। বজলুল কাদের।"
ছোকরা অতি সন্তর্পণে হাত মেলায়। তারপর নিজের হাতখানা প্যান্টের পাছায় মুছতে মুছতে বলে, "তা কী নামে লেখেন?"
আমি বিস্মিত হই। বলি, "কী নামে লিখি মানে?"
ছোকরা হাসে কিটিকিটি। বলে, "কোবতে লেখেন কী নামে?"
আমি বলি, "কোবতে?"
সবার মুখে একটা আশঙ্কার ছাপ পড়ে।
ছোকরা মুখ কালো করে বলে, "কবিতা লেখেন কী নামে?"
আমি মহাকাশ থেকে আছড়ে পড়ি উল্কাপিণ্ডের মতো। বলি, "কবিতা? কবিতা লিখবো কেন?"
ওভাবে উল্কাপাত ঘটাই বলেই হয়তো ডাইনোসরের মতো ছোকরাদের মুখের আশঙ্কার ভাবটা বিলুপ্ত হয়। লিটমাস লিটমাস বলে হেঁকে ওঠা ছোকরাটা বলে, "বাহ, লিটমাস তো নীলচেই আছে রে!"
আমার উল্টোবাগে বসা ছোকরা বলে, "চুপ দে। একদম ঝেড়েপুঁছে টেস্টাই কাদের ভাইকে। তা কাদের ভাই, কী লেখেন তাহলে?"
আমি সলজ্জ হেসে বলি, "আমি লিখতেটিখতে পারি না ভাই। শুধু পড়ি। প্রচুর পড়ি।"
ছোকরা মধুর হাসে। বলে, "কার কবিতা পড়েন?"
আমি কাঁচুমাচু হয়ে বলি, "ইয়ে ... মানে ... কবিতার প্রতি ওরকম আকর্ষণ আমার নেই। পড়ি মানে মাঝে মধ্যে এর ওর কবিতা পড়ি ... ।"
এবার সেই লিটমাসঅলা আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। সাশ্রুনয়নে বলে, "এ আমাদেরই লোক!"
সেই থেকে ভাব তাদের সাথে। উল্টোবাগে বসা মাইগ্রেনরোগী হাবিব ওরফে হেবো, লিটমাসঅলা লিটন ওরফে লেটো, আমার পার্শ্ববর্তী বিশালদেহী নান্টি ওরফে নেন্টো, ফকরুল ওরফে ফুকো, সোলায়মান ওরফে সলু, মোশাররফ ওরফে মশা। আর আমি হয়ে যাই কেদো। সবাই সবাইকে দাদা আর ভাই বলে ডাকি। আমাদের চায়ের দোকানের সাহিত্যিক আড্ডায় এটাই রেওয়াজ। লেটোদা বলে কেদো ভাই, আর কেদো ভাই বলে লেটোদা।
আর একটি মোক্ষম রেওয়াজ আছে বৈকি। কবিতা নিয়ে একদম স্পিক্টিনট। কবিতা প্রসঙ্গ এলেই জরিমানা, এক রাউন্ড করে চা। সেদিন যেমন কোবতে আর কবিতা উচ্চারণ করায় লেটোদাকে দুইবার আর আমাকে, এই সদ্য বাপ্তাইজ হওয়া কেদোভাইকে, একবার চায়ের বিল বহন করতে হয়েছিলো।
কারণ জানতে চাওয়ায় লেটো শুধু বলেছিলো, "আমরা ক-লেখাবিদ্বেষী!"
জানতে পারি, কবিতাকে ক-লেখা বলাই আড্ডার রেওয়াজ।
এরপর বেশ জমে ওঠে। কবিতা এড়িয়ে প্রায়শই আড্ডা চলতে থাকে গড়গড়িয়ে। লেখক, লেখিকা, পাঠক, পাঠিকা, লেখা, পাঠ ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা চলে পুরি আর চায়ের সাথে।
তবে ঘুরে ফিরে নারীকে ঘিরেই কথাবার্তা চলে বেশি। লেখিকার লেখা পাঠের পাশাপাশি লেখিকাকেও পাঠ নিয়ে মূল্যবান মতবিনিময় হয়। পাঠিকার জন্যে লেখার পাশাপাশি পাঠিকাকেই মাঝে মাঝে লিখে ফেলার নানা কায়দার সুলুকসন্ধান চলতে থাকে।
কয়েকদিন বেশ চলছিলো, আচমকা একদিন সন্ধ্যেবেলা কী যেন কী হলো, লেটো মশা ফুকো সলু হেবো এক বিকট আর্তনাদ করে "ওরে পালা পালা পালা" বলে বেঞ্চ উল্টে দোকান ছেড়ে ভাগলো। নেন্টো একটু শ্লথগতির বলে ভ্যাবলার মতো বসে রইলো আমার পাশে।
বাকিদের এই পালাৎকার বাতাসে মিলিয়ে যাবার আগেই দোকানে প্রবেশ করলেন তিনি।
উচ্চতায় মেরেকেটে সাড়ে চার ফুট হবেন। বিগলিত হাসি মুখে, চোখে এক প্রবল চশমা। নেন্টোকে দেখে তার মুখের হাসিটা চেশায়ারমার্জারের কিসিম ধারণ করলো, গুটি গুটি পায়ে সন্তর্পণে এগিয়ে এসে বসলেন তিনি আমাদের সামনে।
নেন্টো থরথর করে কাঁপতে লাগলো।
তাঁর কান-থেকে-কানে বিস্তৃত হাসিটা এবার আমার দিকে তাগ করে তিনি বললেন, "আড্ডায় নতুন বুঝি আপনি?"
নেন্টোর মুখ থেকে এবার এক রূদ্ধশ্বাস ঘড়ঘড় আওয়াজ বেরিয়ে এলো, "দৈনিকদা!"
দৈনিক নাম হয় কি না কারো, জানি না, কিন্তু দৈনিকদা নামের লোকটি কিছু বলার আগেই নেন্টো এক হাইজাম্প দিয়ে আমাদের ডিঙিয়ে থপথপিয়ে অদৃশ্য হলো বাইরের অন্ধকারে!
আমি এক বিকট বুক ধুকধুক নিয়ে বসে রইলাম দৈনিকদার সামনে, জবুথবু হয়ে।
দৈনিকদা বললেন, "অধমের নাম দীনবন্ধু মোহাম্মদ। ফ্যাসিবাদী ছোকরাগুলি ইদানীং দৈনিকদা ডাকা শুরু করেছে। আপনার পরিচয়?"
ভয়ে ভয়ে বললাম, "আমার নাম কাদের। বজলুল কাদের।"
দীনবন্ধু মিটিমিটি হেসে বললেন, "নকল নাম। শুনেই বোঝা যায়।"
মেজাজটা চড়ে যায়, বলি, "কেন, অমন ভাবলেন কেন?"
দীনবন্ধু চোখ টিপে বললেন, "আরে আমাকেও তো বাজারে লোকে শুভাত্মা দয়াল নামে চেনে। আপনার আসল নামটা কী?"
ভ্যালা মুসিবতে পড়া গেলো! আমি বলি, "আমার বাজারের জন্যে উলবোনা কোনো নাম নেই। বজলুল কাদের আমার পিতামহদত্ত নাম। এ দিয়েই আমার হাটেমাঠেঘাটে কাজ চলে যায়।"
দীনবন্ধু কথা বাড়ান না আর, সট করে কাঁধের ঝোলা থেকে বার করেন এক তাড়া কাগজ। তারপর বলেন, "শুনুন!"
তারপর তিনি পাঠ করে যান, কবিতা। কবিতাই বটে!
এরপর তিনি দম ন্যান। আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসেন।
তারপর আমার আর কিচ্ছু মনে নেই।
জ্ঞান ফেরে হাসপাতালের বেডে। এক ভীষণদর্শন নার্স, তারপাশে ততোধিক ভীষণদর্শন ডাক্তার, আর একসারি উদ্বিগ্ন মুখ। লেটো, হেবো, মশাকে শনাক্ত করতে পারি।
রিলিজ পাওয়ার পর শুনি, অল্পের জন্যে জানে বেঁচে গেছি। দৈনিকদার পাল্লায় পড়ে নাকি অতীতে অগণিত সম্পাদক, সঞ্চালক, সংকলক, সংগঠন আর সংশপ্তকের অকালমৃত্যু ঘটেছে, কিম্বা তারা উন্মাদ হয়ে গাঁয়েগঞ্জে পাগলের চাকরি নিয়ে চলে গেছে।
আমি দুর্বল হরলিক্সমাঙা গলায় বলি, "কিন্তু এই লোককে তোরা দৈনিকদা ডাকিস কেন?"
হেবো ফিসফিস করে বলে, "রোজ একটা করে ক-লেখা লেখে! দৈনিক!"
শিউরে উঠি। বুঝি কত বড় বাঁচা বেঁচে গেছি।
দৈনিক কবির চেয়ে প্রাণঘাতী আর কিছু নাই।
মন্তব্য
হা হা হা
কোপাইয়ালাইছে রে.............পুরা কোপাইয়ালাইছে।
গল্পটা কবিতার মতই লাগল – আক্ষরিক অর্থ, গল্পের ঘটনা, অবস্থা, সমাপ্তি সবই আমার ধারনা বুঝলাম। গুঢ় কোন অর্থ থাকলে মাথার অনেক উপর দিয়ে চলে গেল...।
সুহৃদ সরকার নামটি কোথায় পেলেন?
( এই ছদ্মনামে সত্যিই একজন আছেন )
কী যে গেরো! আন্দাজে গুলি ফুটালেও দেখি লেগে যায় ।
পাল্টে শুভাত্মা দয়াল করে দিলাম। আশা করি এ নামে কেউ নাই। সুহৃদ সরকারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। বুঝতেই পারছেন, সব কবির নাম নজরে পড়াও একটা বেশ কঠিন কাজ।
আসলে এ নামে কমপক্ষে ২ জন আছেন। একজনকে টুকিটাকি "সাহিত্য" লিখতে দেখেছি (একটা অনুবাদ পড়ারও দুর্ভাগ্য হয়েছিল)... তার আসল নাম বদরু মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।
অন্য একজনের লেখা বই দেখেছি নীলক্ষেতে। সিভিল অথবা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপরে তার একাধিক বই আছে।
২-৩ দিন আগে Facebook এ একজন সুহৃদ সরকারকে দেখলাম। তার profile এ একটা বইয়ের ছবি - নাম Joomla with Flash। ইনি আবার কে কে জানে!
অফ টপিকঃ আপনার আঁচড় - কামড় এর তৃতীয় খন্ড আর আড়ড়ড়জে অপহরণের বাকিটুকু কই ????
আপনার স্মৃতিশক্তি দারুণ!
আঁচড়-কামড়ের তৃতীয় খণ্ড আসতে মনে হয় একটু সময় লাগবে। সব টুইস্ট তামাদি হয়ে গেছে, ভেবে বার করতে হবে একটা কিছু।
আড়জে অপহরণ শেষ করবো একটু ফুরসত পেলেই। ভ্যাজালের মধ্যে আছি।
আসলে আপনি যা ভাবছেন তা নয়। আমার স্মৃতিশক্তি 'দারুণ' ত নয়ই, বরং 'করুণ' বলা যেতে পারে।
বদরু মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ঢাকাস্থ 'তালা উপজেলা সমিতি' (একটি বেকার সংগঠন - যার কর্মকাণ্ড একটি বাৎসরিক বনভোজন ও স্মরণিকায় সীমাবদ্ধ) এর সাধারণ সম্পাদক। তিনি যখন 'সুহৃদ সরকার' নাম ধারণ করলেন তখন সবার কাছে কিঞ্চিৎ কৌতুকের পাত্র হয়েছিলেন। তখন থেকে নামটা মাথায় গেঁথে গেছে। তাই যখনই নামটা দেখি তখনই মনে পড়ে।
তবে একটা ব্যাপার দেখ প্রচণ্ড অবাক হচ্ছি। এই বাংলাদেশে তিন জন আর সেই জার্মানিতে আপনি - সবার মাথায় হুবহু একই নাম এল কী করে ???
আপনি সুরসিক মানুষ । সচলে নিবন্ধন করে এখানে লেখা শুরু করছেন না কেন? আপনার স্টকে তো বেশ শাণিত কিছু গল্প আছে মনে হচ্ছে।
বদরু খালেকের সাথে আমার এই নামচয়নের মিল নিতান্তই কাকতাল। তবে শুভাত্মা দয়ালকে এক্টু মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলেই সুহৃদ সরকারের জন্মবৃত্তান্ত পাওয়া যাবে।
এরশাদের জন্য এরকম একজন দৈনিকদা ছিলো। 'আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে' এ স্লোগানটা লিখেই উনি নজরে পড়েন।
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি জানতাম সৈয়দ আলী আহসান ঘোড়াটার সাহিত্যচামচামি করতো।
নামটা বলে দেন না মুস্তাফিজ ভাই। জানতে মন্চায়। বন্যর সময় আবার এরশাদের জন্য গান লিখত। 'আজকের দেশটা আমার'-- একটা গানের লাইন ছিলো এইটা মনে আছে।
রাজিব ভাই ইন্টারমিডিয়েট কোন ব্যাচ?
তোমাদের পাশে এসে
বিপদের সাথী হতে
আজকের চেষ্টা আমার
তোমাদের সাথে মিশে
সব ব্যথা বুকে নিয়ে
আমিও যে হবো একাকার
হোওওওওওওওও
আজকের চেষ্টা আমার
আরেকটা ছিলো।
আমি যেতে চাই
বাংলার মানুষের কাছে
মুখে থুতু চলে আসে খালি।
পাজি, হতচ্ছাড়া, নচ্ছার... ক লেখারে এত্তোড়ো অফমান!!! কবি সমাজ দিক্কার জানান...
কবিরা আলো খান- আলুও খান;
ফুল এর গন্ধ আর গন্ধম ফল কোনটাতেই আপত্তি নেই,
তারপরও তারা হিমুদার মতো রাক্ষস না!!!
মনজুর এলাহী
সুহৃদ সরকারের চেয়ে শুভাত্মা দয়াল যথার্থ হইছে...
কিন্তু হঠাৎ এই পোস্ট লেখার শানে নুযুল কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কোনো শান নাই বস। হুদাই নুযুল।
- দোস, হাইব্যার ডাকনামে ইট্টু সম্পাদনা কর। শুনছিলাম হালার্পুতের ডাকনাম "হেবারু" (হেবো + আরু), তুই হুদা হেবো লাগাইলি?
দ্দীণূ দয়ালরে আমার পছন্দ হৈছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আবৃত্তিকারকে ধন্যবাদ দিয়েন আলাদা করে।
খুবই ভালো আবৃত্তি হয়েছে।
বিভৎস
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এইটা তো এস্টেরিক্স কমিক্সের কলরবিক্সের মত লাগলো... শত্রুদের কাবু কর্তে ওর গান গাওয়াই যথেষ্ট ছিলো...
_________________________________________
সেরিওজা
আউফ দ্দীণূ !
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ক্যান লিখলেন ?
---একজন নীল ভূত।
দৈনিকদার সাথে আমাগো জামান ভাইয়ের এনকাউন্টার দেখতাম মন্চায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই গল্পটা বইতে গেলে হতো ভালো, খাসা লাগলো!!!
যাই কন, গল্পের সেরাদিক হইসে ক-টাই। আবৃতি সহকারে এ জিনিস ডেলি একখান হইলে মন্দ কি??
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
খাসা কবিতা দিছেন
স্পার্টাকাস
আমি সুহৃদ সরকার, আমার বারার নাম জয়নুদ্দিন সরকার। আমার বেশ কিছু বই বাজারে আছে। আমিও জানতাম না এই নামে আরেকজন আছেন। পরে তার সাথে কথা হয়। তিনি মূলত মধুসূদন বিষয়ে লেখেন, আবার এখন সমকালে কী যেন লিখছেন। তাঁর অনূদিত বইও দেখেছি। প্রায় বছর দুয়েক আগে তার সাথে কথা হয়েছিল যে তিনি এই নামে লিখবেন না, তার আসল নামেই লিখবেন। কিন্তু তিনি এখনও সেই নাম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে এই নামের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন - অনেক পাঠক তাকে আমার সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন।
এখন আমি মূলত কম্পিউটার বিষয়ে লিখি। কম্পিউটার বিষয়ে বাঙলায় প্রকাশিত আমার বইয়ের সংখ্যা ১৫। ইংরেজিতে প্যাক্ট পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি: Zen Cart E-commerce Application Development, Joomla! E-commerce with VirtueMart, এবং Joomla! with Flash। ভবিষ্যতে আরো বেরুবে।
আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমার ব্লগে: www.suhreedsarkar.com।
পোস্ট লেখককে ধন্যবাদ যে তিনি নামটি বদলে শুভাত্মা দয়াল করেছেন।
লেটোদা না হয়ে লোটাদা হলেই হয়েছিল !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
হাসতে হাসতে মন্তব্য রুদ্ধ হয়ে গেলাম। কী মন্তব্য করবো এখন ও বুঝে উঠতে পারছিনা, শুধু হাসতেই আছি, হাসতেই আছি।
নতুন মন্তব্য করুন