এই পর্বে একটিই প্রশ্ন করা হয়েছিল। মাত্র একটি।
"এবার প্রকাশনা জগতে আসি। বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতকে অনেকে পশ্চাৎপদ বলে অভিহিত করেন। বই প্রকাশ করতে গিয়ে এমন কিছু মুখোমুখি হয়েছেন কি? বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ সম্পর্কে কিছু বলুন আমাদের।"
হিমু রওনা দিল মেল ট্রেনের মত। তাকে থামায় সাধ্যি কার?
হিমু অবশ্য অনেক কিছু আলোচনা করেছে এখানে। লেখক-পাঠকের মধ্যে যোগসুত্রতার অভাব, বই প্রকাশের সময় নিয়ে সমস্যা, বইয়ের রিভিউয়ের অভাব, প্রচ্ছদ দেখে বই কেনার বদঅভ্যাস, ভিন দেশে বসে বইয়ের লেখার ঝক্কি, পাঠকের ফিডব্যাক না পাবার দুঃখ এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে তার আলোচনায়। শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে না পড়লে আশা করি আপনার ভালো লাগবে।
মন্তব্য
অন্য দুই পর্বের চেয়ে কোন এক অজ্ঞাত কারণে এটা অনেক বেশি ভাল লাগলো। সম্ভবত অন্য পর্বগুলোর চাইতে এটা বেশি মনোযোগ দিয়ে শুনেছি বলে।
এই খন্ডের যে ব্যাপারটা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে সেটা হল রিভিউ এর পরিকল্পনা। আমি ভেবে দেখলাম একমাত্র বই ছাড়া আমি যাই কিনি না কেনো গুগলে সার্চ করে কয়েকটা রিভিউ পড়ে তারপর পা বাড়াই। শুধুমাত্র বই কেনার/পড়ার ব্যাপারে কখনো রিভিউ পড়ে কেনার সুযোগ হয়নি। দরকারও পড়েনি। কেননা বেশিরভাগ সময় যা পেয়েছি তাই পড়েছি। আর কিছু বই পড়েছি অন্যের কাছে শুনে (সেটাও তো আসলে এক ধরনের রিভিউ)।
কিন্তু এভাবে বই পড়ে বেশিরভাগ সময়েই বঞ্চিত থাকতে হয় অনেক ভালো বই থেকে। সুতরাং একটা পোষাকি রিভিউ দেবার ব্যবস্থা, নিদেনপক্ষে একটা অনলাইন রিভিউইং/রেটিং ফোরাম থাকাটা আসলে বেশ আবশ্যিক।
সুতরাং নতুন বইয়ের ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবিদের রিভিউ দেবার সংস্কৃতি চালু না হওয়া পর্যন্ত আমরা দেশি বইয়ের জন্য একটা সাইট তো অন্তত খুলতে পারি। যেখানে ISBN সহ বইয়ের নাম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি, একটা সিনপসিস আর পাঠকদের রিভিউ আর রেটিং দেবার ব্যবস্থা থাকবে। লেখকদেরও একটা ডাটাবেস থাকবে। তাহলে আনকোড়া নতুন বইগুলো শুরুতে কিছুদিন বঞ্চনার শিকার হলেও অন্যান্য বইগুলো অন্তত কিছুটা সুবিচার পাবে পাঠকদের কাছ থেকে। আমি জানিনা এরকম সাইট আছে কিনা বাংলাদেশে। থাকলেও খুব ব্যাপক পরিধিতে সম্ভবত নেই অন্যথায় চোখে পড়ত নিশ্চয়ই।
--রুশাফি।
পুনশ্চঃ সেসব শব্দেরই ইংরেজি ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলোর বাংলা প্রতিশব্দ জানিনা বা বেশি প্রচলিত নয়। প্রচলিত প্রতিশব্দ থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
হিমুর বক্তব্য স্পট অন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১. মলাটের ব্যাপারটা যত ঘটা করে বলা হলো ততোটা বড় ব্যাপার বলে মনে করি না।
২. ভাই, মাইকটা মাঝে মধ্যে অন্যদের একটু দেন।
৩. প্রকাশনার সময় নিয়ে চিন্তা-ভাবনাটা ভালো লাগলো।
৪. রিভিউ হিসেবে বইয়ের পেছনে লেখকের নিজের তৈরী একটা অনুভুমিকা দিলে ক্যামন হয়?
অফ-টপিক: ক্রেতা-পাঠক আলাদা করে দেখার ব্যাপারটা ভালো লাগলো। একটা ব্যাপার আমার মাথায় ঢোকে না - বই পেপারব্যাক আকারে প্রকাশ করলে সমস্যা কি? প্রকাশকদের কি ধারণা তাদের বই কিনে লোকে প্রতিদিন একবার করে আবৃতি করবে? একবার পড়ার পর কয়টা বইয়ের আবেদন থাকে? আমার জীবনে কেনা বেশিরভাগ বইই ছিল পেপারব্যাক, কারণ ছাত্র জীবনে বাঁধাই করা বই কেনার পয়সা ছিল না (টেক্সট বইয়ের কথা আলাদা)। পাঠক হিসেবে ১ টা বাঁধাই বইয়ের তুলনায় ৫ টা পেপারব্যাক কিনতে পছন্দ করতাম। সেই এক পেপারব্যাকও কতজন মিলে পড়েছি। একটা কাজ করলে ক্যামন হয় - প্রতিটা বই ৩ ভার্সনে বের হবে -
ভার্সন ১. পেপারব্যাক। কম দামে অবশ্যই।
ভার্সন ২. যারা সংগ্রহ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য বাঁধাই বই। মোটামুটি দামে।
ভার্সন ৩. যারা উপহার দিতে আগ্রহী, তাদের জন্য ড়্যাপিং পেপার দিয়ে আলাদা মলাট সহ বই, সাথে তিন রকমের ফুল এবং দুই রকমের চকলেট ফ্রি!! গলাকাটা দামে।