সম্প্রতি সচলায়তন থেকে তনুজা ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। তিন পর্বের এই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বটি এখানে প্রকাশ করা হল। এই পর্বের সবচেয়ে চুম্বক অংশ হল শেষ দিকে সচলায়তন নিয়ে তনুজার মতামত।
তনুজা ভট্টাচার্য আমার ব্লগে নিয়মিত লিখে থাকেন। সম্প্রতি তিনি অমর একুশে বইমেলা ২০১০ এ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ "সাময়িক শব্দাবলী" এর জন্যে সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরষ্কারে পেয়েছেন।
এই সাক্ষাৎকারে নীচের প্রশ্নগুলো আলোচনা করা হয়েছে।
==============================
কবিতা লেখার জন্যে, কবিতা চর্চার জন্যে ব্লগ মাধ্যম হিসেবে কেমন? এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে কিছু বলুন।
ব্লগে কবিতা লেখা আর গ্রন্থিত আকারে কবিতাগুলো প্রকাশের মধ্যে পার্থক্য কোথায় বলে মনে করেন?
পুরস্কারপ্রাপ্তি কি আপনার ব্লগিং চর্চায় কোনো বিরতি বা ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে?
ব্লগে লেখার সময় কি মুদ্রিত গ্রন্থ আকারে প্রকাশের জন্যে কোনো তাড়না অনুভব করেন?
বইটি মুদ্রিত গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করতে গিয়ে কী অসুবিধার মুখোমুখি হলেন?
আপনার কাব্যগ্রন্থ পাঠকদের কাছে কেমন সাড়া পেয়েছে বলে মনে করেন?
প্রচলিত মাধ্যমে সাহিত্যিকদের রাজনীতিকে নতুন কবি বা লেখকদের বিকাশে কতটা সহায়ক বা সমস্যাজনক বলে মনে করেন? আপনি এরকম কোন বিষয়ের শিকার হয়েছেন কি?
ব্লগার, নাকি কবি? হঠাৎ আপনার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে কোনটিকে বেছে নেবেন?
সচলায়তন অনুসরণ করেন কি?
(যদি করে) সচলায়তনকে যদি দুটি ইতিবাচক বিশেষণ, আর দুটি নেতিবাচক বিশেষণ দিয়ে বর্ণনা করতে বলা হয় আপনাকে, কী বলবেন?
==============================
মন্তব্য
আচ্ছা বেতারায়তন এর ফাইল গুলো ডাউনলোড করার অপশন নাই?
৪ বার চেষ্টা করলাম । স্পিড এর কারণে মাঝখানে এসে আটকে যাচ্ছে
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ডাউনলোড অপশন আছে তো। তবে যতদূর মনে পড়ে শুধুমাত্র পূর্ণ সচল এটা করতে পারবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সচলে অ্যাকাউন্ট খোলার পর যে মেইলটা যায় রেজিস্ট্র্যান্টদের কাছে, সেটা অনেকেই মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখেন না। মেইলে যে ব্যাপারগুলো জানানো আছে, সেগুলো জানতেই তাঁরা আবার মেইল করেন। এর একটা বড় কারণ হচ্ছে, আমরা অনেকেই একটা ধারণা তৈরি করে নিয়েছি যে একটা ব্লগ সার্ভিস কেমন হবে। সচলায়তন কোনো ব্লগ সার্ভিস নয়, কাজেই এর প্রকৃতি একটু কাউন্টার-ইনটুইটিভ যে হতে পারে, এ ব্যাপারটা অনেকে মেনে নিতে পারেন না।
অতিথিদের জন্যে একটা লিঙ্ক জ্বলছে নিভছে প্রথম পাতায়, সেটা মনে হয় না সবাই খুলে মনোযোগ দিয়ে পড়েন। মনোযোগ দিয়ে কোনো কিছু পড়ার অভ্যাস না থাকলে সচলায়তনে আসলে লিখতে চাওয়াও কিছুটা বিপদজনক। আমরা সচলায়তনে নতুনদের সদস্য হিসেবে দেখতে ইচ্ছুক, তাই আমরা চাই যিনি সচলায়তনে যোগ দেয়ার ব্যাপারে আন্তরিক, তিনি মন দিয়ে সচলকে বোঝার চেষ্টা করবেন। নিছক মন্তব্য করার জন্যে সচলায়তনে এমনকি নিবন্ধনও করতে হয় না। যাঁরা দুয়েকবার লিখতে চান, তাঁদের লেখার ব্যবস্থাও করা আছে উন্মুক্ত একটি অতিথি অ্যাকাউন্টে। কিন্তু যিনি নিয়মিত লিখতে চান, তাঁর কাছ থেকে কিছু মনোযোগ আমরা আশা করবো অবশ্যই।
একদম।
আমি এখানে অনেক লেট এনট্র্যান্ট হ'লেও, এবং সচল-চালকদের কেউ না হ'লেও, আমারও কিন্তু মনে হয় এটা যথেষ্ট'র চে'ও বেশি জাস্ট। এই কয়েকদিনের মধ্যে যে নীতিমালা পরিমার্জনাটি হ'লো, সেটি আরো পরিষ্কার এবং ভালো এবং নির্ভুল ক'রে দিয়েছে ব্যাপারটাকে। মুর্শেদ ভাইয়ের অন-ড্রাইভ চিন্তাগুলোকে এদিক থেকে ভালো বলবো বা সাধুবাদ দেবো, যে চিন্তার দরজা স্থায়ীভাবে বন্ধ করেননি তিনি। এটা যেকোনো ক্ষেত্রেই ভালো এবং স্বাগতম-যোগ্য। তবে কি, আমারও কেন যেন এই শ্রেণী-পাতের প্রতি এই পক্ষপাতটা আসে, যে হ্যাঁ, সচলে লিখতে এবং ইন্টারঅ্যাক্ট করতে যিনি চান আন্তরিকভাবে, তিনি এইটুকু সাঁকোর পুরোটাই নিজের পায়ে সাহস রেখে পার হয়ে খেয়াল করেই আসুন না! কী হয় তাতে? আমরাও এভাবেই এসেছি। এখনও প্রতিদিন কয়েকজন ক'রে নতুন অতিথি লেখক দেখছি। তো, ক্ষতি কি আছে কিছু? আমরা কি অনেক কিছু মিস-আউট করছি তার জন্য? আমার তো মনে হয় না। সচলায়তন নিশ্চয়ই সদস্য-সংখ্যা-তত্ত্বেও অতো আগ্রহী বা লালায়িত নয়। অন্তত আমিও তো দেখি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে তা-ই মনে করি এবং আশাও করি।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তনুজার মন্তব্য শুনে আমি ভাবছিলাম সমস্যাগুলো কি আমাদের সত্যি সত্যিই আছে? কিন্তু তিনি যেসব সমস্যার কথা বলছিলেন সেগুলো তো আমাদের সম্পদ।
আমরা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিনা - পূর্ণ সচলের কোন মডারেশন নেই, অতিথিদের লেখা নিয়ন্ত্রন করা হয় কিন্তু পরিবর্তন করা হয় না। এই নিয়ন্ত্রনের কারন সহজ ভুল লোক যেন ভুল বিষয় প্রচারের সুযোগ না পান।
এছাড়া অন্যান্য নিয়মগুলো সুচিন্তিত যুক্তির উপর নির্ভর করেই বানানো হয়েছে।
যদিও তনুজা বলেছেন সচলায়তন তিনি তেমন পড়েন না এবং তার ধারনা গুলো অন্যদের কাছ থেকে শোনা। তবুও আমি চিন্তা করা থামাতে পারিনি।
দুটো বিষয় মাথায় এসেছে। নতুন অতিথিরা অধিকাংশই হঠাৎ ঘুরতে ঘুরতে সচলায়তনে আসেন। পড়েন, তারপর রেজিষ্ট্রশন করেন। কিন্তু শুরুতেই একটা ধাক্কা খান। বিষয় কি? "আপনার একাউন্ট সচল করা হবে না এখনই। আগে লিখুন।" এই যে শুরুতেই একাউন্ট বিষয়ক জটিলতা, এটাকে সরিয়ে একটা একাউন্ট দিয়ে দিলেই হয় আমার মনে হয়। পোস্টগুলো মডারেশন প্যানেল ঘুরে আসবে ঠিকই। কিন্তু সবগুলো লেখা জমা হবে নিজ নামে।
আরেকটা ব্যাপার হল নতুন অতিথিদের ক্ষেত্রে নিয়মের শিথীলতা। নতুন একজন পোস্ট করলেই আমরা তাকে গিয়ে নিয়ম কানুন শিক্ষা দিতে থাকি। আমার মনে হয় প্রথম কয়েকটা পোস্টে তাকে ছাড় দেয়া যায়। তাকে পুরোনো লেখা পোস্ট করতে দেয়া যায়, তাকে গড় মানের পোস্ট করতে দেয়া যায়। এতে করে নতুন অতিথি নিজেকে এডজাস্ট করার সময় পায়।
তবে এটা জাস্ট ছয় ঘন্টা ড্রাইভ করতে করতে জমা হওয়া ড়্যান্ডম চিন্তা। আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু বেশী সিরিয়াসলী নেবার কিছু নেই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দু'টো পয়েন্টেই আমি সহমত প্রকাশ করি। মডারেশন যখন আছেই, তখন রেজিষ্ট্রেশন করা হলে একাউন্টটি সরাসরি হা-চল করে দেওয়া যায়। আমি এ ক্ষেত্রে বিশেষ আপত্তি দেখছি না। তবে রেজিষ্ট্রেশনের পর যে ইমেইলটি পাঠানো হয় সেখানে নীতিমালা গুলো পরিষ্কার করে অতিথিকে জানানো হোক। সচলে মিথষ্ক্রি য়ার কথাটি বুঝিয়ে বলা হোক। সচলিকরণ প্রক্রিয়াটি পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হোক। অনেকেই এই ব্যাপারটি বুঝতে দেরী করে ফেলেন ততদিনে উনার সচল সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা হয়ে যায়।
দ্বিতীয় পয়েন্টটিও চমৎকার। সচল বা হা-চলদের অতিথিদের বেলায় অনেকটা নমনীয় মনোভাব পোষন করতে হবে। লেখাটি যখন মডারেশন পার হয়েই আসে তখন যে কোন প্রকাশিত লেখাকে অন্তত প্রথম দিকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। যদি লেখাটি প্রকাশ যোগ্য না হয় তবে সেটি মন্তব্যে না বলে মডারেশনকে ইমেইলে জানানো ভাল, এত লেখককে না বুঝে কষ্ট দেওয়া থেকে রেহাই দেওয়া সম্ভব হবে। কারোর প্রথম দিকের লেখা খুব উন্নত মানের হবে সেটা আশা করা ঠিক নয়। এই একই লেখক যে পরবর্তীতে অনেক ভাল লেখা উপহার দিবেন না কিভাবে সেটা বলি।
আমি যদি নিজের কথাই বলি আমার প্রথম লেখাটিও লিখেছিলাম কিছুটা স্মৃতিমূলক। তখন অনেক সচলের যে রকম উৎসাহ পেয়েছি সেটাই আমাকে লিখে যেতে সাহায্য করেছে। কিন্তু প্রথম লেখায় যদি, ভুল করেও কেউ তীর্যক মন্তব্য দিত, আমি হয়তো অভিমান করেই আর লিখতাম না। বিশেষ করে আমার মত যারা লেখক নয়, মুলত পাঠক, লেখা পড়ার জন্যই সচলে আসা, আর মন্তব্য করার জন্যই আসা, তাঁদের জন্য গড়পরতা লেখার জন্য উৎসাহ খুব জরুরী। কঠিন সমালোচনা কঠিন লেখকদের জন্য রেখে দিতে পারি।
তবে সে ক্ষেত্রে সচলিকরণ প্রক্রিয়াতে আমি কোন ছাড় দিতে চাই না। একজন লেখককে পুরোপুরি বুঝার জন্য যতগুলো লেখা লাগুক বা যত দিন সময় লাগুক সেটার পরেই সচল করা উচিত। অন্তত সচল করার পর যেন শুনতে না হয় যে আপনাকে সচল করা ভুল ছিল।
মুর্শেদ, এই ব্লগটি সবাই সেভাবে ফলো করছে কিনা আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় যে আলোচনাটি এখানে এসেছে সেটি আলাদা ব্লগ করে সেখানে হলে ভাল হয়। আলাদা ব্লগটি তুমিও দিতে পারো কিংবা সন্দেশ বা যে কোন মডারেটর দিলেও পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় আলাদা ব্লগে আলোচনাটি হলে আরো বেশি মানুষের অংশগ্রহন পাবো। অনেক অতিথিদের মতামতও পাবো।
পূর্ণ সহমত, দু'টো পয়েন্টেই। সচল হওয়ার প্রক্রিয়াটিও ঠিক আছে।
তবে আসলেই, কোনো কোনো নতুন লেখকের লেখাতে মন্তব্যগুলো অনেক সময় বেশ রূঢ় হয়ে যায়। এদিকে একটু সবাই সচেতন থাকলেই হবে। সেজন্য, মাঝে মাঝে সন্দেশ থেকে ঘোষণা আসলে ভাল, সবাই তখন নিজের অবস্থান বুঝে নিতে পারে। মডারেশন আছে বলেই সচলায়তনে আসি, পড়ি আর মন্তব্য করি মাঝেসাঝে, নাহলে আগ্রহী হতাম না। লেখার মান নিয়ন্ত্রণ করা সেকারণে উচিত, কারণ ভাল ভাল লেখা পড়তেই এখানে আমরা আসি। তবে সময়ের দাবীতে পরিবর্তনও আবশ্যিক, বিশেষ করে সেটি যদি পাঠকদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে।
ধন্যবাদ।
- শরতশিশির -
সরাসরি হা-চল না দিয়ে ন-চল দেয়া হলে কেমন হয়, আর নামের পাশে [অতিথি] না থেকে [নতুন] দেয়া হোক, তাহলে পাঠকদের ধরতে সুবিধা বলে কে নতুন, আর কার সাথে নমনীয় আচরণ করতে হবে - এখন অতিথিদের যেভাবে হা-চল বানানো হয় - সেটি তখন ন-চল থেকে হা-চল বানানোর প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে
তনুজা'র কথাবার্তা যথেষ্ট গোছানো লাগলো। অধক্ষেপটা ইমপ্রেসিভ।
তবে, সচলায়তনের অসুবিধা/নেতি বলতে যেগুলো তিনি বললেন, সেগুলো কেন নেতিবাচক বা অসুবিধার- সেটা বুঝলাম না। অবশ্য, হয়তো তার বোঝা আর আমার বোঝার এই তারতম্যটাই এর একটা কারণ (নাকি ফলাফল?!), যে আমি এখানে লিখি, অন্য ব্লগে লিখি না; আর তিনি লেখেন অন্য ব্লগে।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মা,মু, ইতিমধ্যে দিয়েছেন - কিন্তু ভালো দিকগুলে বাদ দিয়ে - নিচে নিজে যেভাবে শুনলাম তা সারিবদ্ধ করলাম (ব্র্যাকেটে আমার কমেন্ট সহ):
সচলের ভালো দিক:
১. সাহিত্য মান বজায় রাখতে মডারেশন বা পরিস্রুতি হয় বলে শোনা যায়
২. মুক্তমনারা এখানে লেখেন বলে শোনা যায়
৩. সাহিত্য সভার মতন গোছানো পরিবেশ - পাঠকদের থেকে পরিস্রুত মন্তব্য আসে বলে শোনা যায়
৪. সচলদের গোষ্ঠী-জ্ঞান সবল - এক সাথে অনেক কিছু করেন
সচলের নেতিবাচক দিক:
১. প্রাথমিক ভাবেই সদস্য পদ দেয়া হয় না - রেজিস্ট্রেশন হওয়া নিয়ে নতুন ব্লগারদের ভীতি (শুরুতেই ব্লগারদের ক্যাটাগোরিতে ভাগ করা - এবং নতুন ব্লগারদের নিচের স্তর থেকে শুরু করার ব্যাপারটা অনেক ব্লগারের কাছেই অস্বস্তির ব্যাপার বলে মনে হতে পারে - তবে এই নীতি সচলে থাকার কারণ সম্ভবত ঐতিহাসিক)
২. আগে লেখা ছাপিয়ে তারপরে সচলে পোস্ট দিতে হয় না বটে (যে নিয়মটি আসলে ইদানিং পরিবর্তন করা হয়েছে), তবে একই পোস্ট আলাদা প্লাটফর্মে ৭২ ঘন্টার জন্য অনন্য হতে হবে, বা অন্য কোনো কম্যুনিটি ব্লগে আগে প্রকাশিত হতে পারবে না, বা প্রকাশের ক্ষেত্রে সচলকে প্রাধান্য দিবে - যা ব্লগারের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে অনেকে দেখতে পারেন
৩. সচলে থাকতে গেলে সচলের মতন হয়ে থাকতে হবে ধরনের মন্তব্য কর্তৃপক্ষ থেকে এসেছিল বলে শোনা যায় (ফারুক ওয়াসিফের প্রসঙ্গে কথা এসেছে - মড-লগে ওনার নাম পেলাম না, তবে এ জাতীয় ঔদ্ধত্বপূর্ণ মন্তব্য আসলেই করা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না - অরুপের শেষ ব্লগে কিছু ঘাপলার আভাস পাই - তানবীরার কিছু পোস্টেও কিছু আজব কথা দেখে এহেন কথা চালাচালি অসম্ভব মনে হয় না)
৪. ব্লগাররা অনেকেই তাদের লেখা মডারেশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার (আমার কাছে এ ব্যাপারটি পরিস্কার নয় - মডারেশন মানে এডিট বুঝিয়েছিলেন? আমার ধারণা সেটি কিন্তু সচলে হয় না - যেটি হয় তা হলো বাছাই)
৫. সচল কেন্দ্রিকতা (বাহিরের সাথে আলাদা থাকার প্রবনতা? এলিটিজম?)
৬. সচলের ব্লগাররা বাহিরে অভিজাত বলে পরিচিত - অভিজাতদের সাথে অনেকেই হুট করে মিশতে সাবলীল না হতে পারেন, বরং অনেকের মধ্যেই আভিজাত্য ভেঙ্গে চলার মনোবৃত্তি কাজ করতে পারে (সচল কিভাবে শুরু হলো তার কিছু ইতিহাস বাহিরের কিছু ব্লগে পড়েছিলাম - তাতে এই আভাস ছিল, সত্য মিথ্যা জানি না)
অফটপিক: বেতারায়তনের মিথস্ক্রিয়ার এই দুরবস্থা কেন? এতিম পোস্টের মতন একা একা নিজের মনে কথা বলার মতন কিছু মন্তব্য ঝুলে থাকে
তনুজার সচলায়তন সর্ম্পকে অভিযোগগুলি সংক্ষেপে তুলে ধরি। এতে আলোচনা করা সহজ হবে।
তনুজার মতে সচলায়তনের সমস্যা:
- সচলায়তনে নতুন অতিথিকে মন্তব্য করা এবং লেখা চালাতে হয়।
- সচলায়তনে একই সাথে অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা গ্রহণ করা হয় না।
- ফারুক ওয়াসিফের লেখা তনুজা অতটা পড়েননি, কিন্তু তার সচলায়তন থেকে বিদায় তাকে ব্যথিত করে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বাহ্, কবি-তনুজা মনে হয় আমাদের চট্টগ্রামের??
বেশ ভাল লাগলো কবিতা নিয়ে ওনার বিশ্লেষণ। বেশ ভালো উদ্যোগ। খালি মাঝখানে একবার "টিনিনিনি" টাইপের একটা মিউজিক টোন শুনলাম মনে হলো?
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।