প্রথম পর্ব
ভূমিকা
অতি সম্প্রতি অভ্র-বিজয় বির্তকের সূত্র ধরে বাংলা কিবোর্ড লেআউট, কপিরাইট, প্যাটেন্ট, ট্রেডমার্ক সংক্রান্ত বাংলা কম্পিউটিংয়ের বিষয় গুলো উঠে এসেছে। সেই সূত্র ধরে বাংলা কম্পিউটিংয়ের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সাথে আলোচনা, ইতিহাস পুনরুদ্ধার এবং নতুন স্ট্যান্ডার্ড তৈরির সম্ভাবনা যাচাই করতে কিছু সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেছে সচলায়তন। এই ধারায় প্রথমেই থাকছে মেহদী হাসান খানের সাক্ষাৎকার।
সচলায়তন অভ্রকে সমর্থন করলেও বেতারায়তন সাক্ষাৎকারের সময় নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোনে রেকর্ডিং কোয়ালিটি বেশ খারাপ আসে। তাই পুরো ইন্টারভিউটা শুনতে একটু অসুবিধা হয়। পাঠকের সাহায্যে এটির অনুলিখনের চেষ্টা করা হবে (ক্রাউডসোর্সিং)। একজন একটা প্রশ্ন মন্তব্যের করে পেস্ট করে জানান যে আপনি অনুলিখন শুরু করছেন। তারপর সেই মন্তব্যের জবাব হিসেবে আপনি অনুলিখিত অংশটুকু পোস্ট করে দিন। পরে সেটা মূল পোস্টের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সাক্ষাৎকার
সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশে নিচের প্রশ্নগুলো আলোচনা করা হয়েছে:
মুর্শেদ: যদিও বিষয়টা নিয়ে আপনি ব্লগ লিখেছেন, তারপরও বিষয়টা অন দ্যা রেকর্ড জিজ্ঞেস করি। বাংলা কিবোর্ড লেআউট বিজয়ের স্বত্ত্বাধিকারী মোস্তফা জব্বার বলেন, আপনারা বিজয় কিবোর্ড পাইরেট করেছেন? এ ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কী?
মেহদী:
হিমু: মোস্তফা জব্বার যদি বিজয় সফটওয়্যারটি ফ্রী করে দেন তাহলে তিনি ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এই সফটওয়্যার নির্মান, বিক্রয় এবং বিপননে তার নিশ্চয়ই একটা খরচ আছে। সেটা কীভাবে উঠানো সম্ভব বলে আপনি মনে করেন? খরচ ওঠানোর পদ্ধতিটি যদি নির্ভরযোগ্য না হয়, একজন সফটওয়্যার এন্ট্রিপ্রিনউরকে সেই রিস্ক নিতে বলাটা কী অন্যায় আবদার হয়ে যায় না?
মুর্শেদ: কিবোর্ড লেআউট কি কপিরাইট করা যায় বা উচিত? যদি মাইক্রোসফট, অ্যাপল বা গুগলকে ইংরেজী কিবোর্ড লেআউট প্যাটেন্ট করতে দেয়া হত তাহলে কী হতে পারত?
মেহদী:
হিমু: বাংলা একাডেমী একটা জাতীয় কিবোর্ডে উদ্যোগ নেয়নি কেন? অমিক্রনল্যাব কি এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে?
মুর্শেদ: সফটওয়্যার বানানোকে যদি স্থূলভাবে কাঠের আসবাব পত্র বানানোর সাথে তুলনা করা হয় তাহলে প্রচলিত সফটওয়ার নির্মান পদ্ধতিকে এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার নির্মান পদ্ধতিকে এভাবে ভাবা যেতে পারে। একজন আসবাব নির্মাতা মানুষের প্রয়োজন মাফিক একটা আসবাব বানায়। কিন্তু আসবাব বানানোর ফর্মুলা কাউকে দেখায় না। অন্যদিকে আরেকজন নির্মাতা আসবাব বানিয়ে আসবাব বিক্রী করে ঠিকই কিন্তু সঙ্গে এও বলে যে আসবাব বানাবোর সূত্রটা ফ্রি। আপনি এই প্রেক্ষিতে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থেকে মুনাফা লাভের পদ্ধতি কী হতে পারে বলে মনে করেন?
হিমু: অভ্র ফ্রী, কিন্তু ওপেন সোর্স নয় কেন? অভ্রের আয়ের উৎস কী? অভ্রকে ওপেন সোর্স করার কোনো চিন্তা আছে কী?
মুর্শেদ: আমরা দেখেছি, অভ্রর বিস্তার ঘটেছে খুব নিরবে। ওমিক্রনল্যাব এর আরেকটু সশব্দ প্রচারের উদ্যোগ নেয়নি কেন?
মেহদী
হিমু: বাংলা কম্পিউটিঙের ইতিহাসে বিভিন্ন স্তর ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। এই ইতিহাসের সঠিক ডকুমেন্টেশনের জন্যে কী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
মেহদী
মুর্শেদ: আপনার ফটোগ্রাফী নিয়ে কিছু বলুন। কীভাবে ফটোগ্রাফী শুরু? কী ধরনের কাজ করেন?
মেহদী
হিমু: আপনি পেশায় একজন ডাক্তার হয়েও সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টে কীভাবে আসলেন?
মেহদী
মুর্শেদ: বাংলা কম্পিউটিংয়ের ভবিষ্যত কী? ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে আমাদের কী করা উচিত?
হিমু: সচলায়তনে কীভাবে লেখালেখি শুরু? সচলায়তনের ভালো এবং খারাপ দিক কী কী?
মেহদী
মুর্শেদ: নতুন প্রজন্মের কাছে আপনার কোন উপদেশ থাকলে সেটা কী?
মেহদী
মেহদীর সাথে আলোচনা আজকের মত এখানেই শেষ করছি। রেকর্ড শেষে এই ইন্টারভিউ আলোচকদের মধ্যে বিতরন করা হবে। মুল অংশ অবিকৃতরেখে আপত্তিকর বিবেচিত হতে পারে এরকম অংশগুলো সরিয়ে পোস্ট করা হবে। এব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি নেই তো মেহদী?
মেহদী
মেহদীকে আপনার পাবেন সচলায়তন ডট কম শ্ল্যাষ অমিক্রনল্যাব এই ঠিকানায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মেহদী।
রেফারেন্স
এই বির্তক সংক্রান্ত তথ্য গুলো পাওয়া যাবে নীচের লিংকগুলো থেকে:
১। জনকণ্ঠের মোস্তফা জব্বারের যে লেখা থেকে বির্তকের সুত্রপাত
২। মেহদী হাসান খানের বক্তব্য
৩। গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনে রেজওয়ানের রিভিউ
৪। প্রথম আলোর রিপোর্ট
৫। মোস্তফা জব্বারের হোমপেইজে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
৬। অভ্র, বিজয়, পেটেন্ট বিষয়ে
৭। মার্চ ২০১০ এ মোস্তফা জব্বারের বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকার
৮। ইউটিউবে বিজয় সফটওয়্যারের কিছু অভ্যন্তরীণ কথা
৯। ওপেন সোর্সে অভ্র নিয়ে আলোচনা
মন্তব্য
এই ছেলেটাকে আমি মনে করি আমার নিজের আরেকটা ছোট ভাই। মেহদীকে চিনতাম না কিন্তু যত জানার, বোঝার চেষ্টা করেছি, যত জড়িয়ে গেছি ওকে সামান্যটুকু সাহায্য করতে, তত মনে হয়েছে ও যেন আমার ছোট ভাইটার মতোই - মুখচোরা, লাজুক আর নিজের মতো করে কাজ করতে পছন্দ করে কাউকে না ঘাটিয়ে। এরকম ছেলেকে এসে হাজার হাজার মানুষ সাহায্য করবে না তো কাকে করবে?
সত্যের জয় হবেই, যোগ্যতার মূল্য একদিন না একদিন দিতেই হবে। আজকে মোস্তফা জব্বার যতই চেষ্টা করুন না কেন, আর আসাদ-নিউটন-জিয়ার মতো জ্ঞানপাপীরা যতই চিল্লিয়ে পাড়া মাথায় করুক না কেন, মানুষ আসলেই এত বোকা না বোঝার জন্য কোনটা ঠিক আর বেঠিক। কাজেই, মেহদী, তুমি তোমার কাজ করতে থাকো। আমরা তো আছিই তোমার হয়ে লড়বার জন্যে। ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
এই পোস্টটি পড়া হয়েছে সোয়া দুইশর মত। কিন্তু শোনা হয়েছে আটশর মত। এমনটা তখনই সম্ভব যখন অডিও প্লেয়ারটা বাইরের কোন ওয়েবসাইটে এমবেড করা হয়। কোথায় করা হয়েছে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পোস্টে না ঢুকে নীড়পাতা থেকে পড়লে শোনার কাউন্ট বাড়ে কিন্তু পড়ার কাউন্ট বাড়ে না। সেটাও হতে পারে।
আরেকটা জিনিস, শোনার কাউন্ট দেখছি আইপির হিসাব রাখছে না, অর্থাৎ একই আইপি থেকে কয়েকবার শুনলেও কাউন্ট বাড়ছে দেখছি, কিন্তু একই আইপি থেকে বারবার পড়লে পড়ার কাউন্ট বাড়ে না।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পোস্টের বাইরে থেকে পড়লে সমস্যা হল প্রতি পাঁচ মিনিটে পেইজ রিফ্রেশ হলেই গিয়াঞ্জাম লেগে যায়। তাই সাধারণতঃ সবাই পোস্টে ঢুকেই পড়ে। পুরোনো পোস্ট গুলো লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন। সবচেয়ে ওয়র্স্ট কেইসে, সোয়া দুশ লোক দুবার করে চেষ্টা করলেও মোট শোনার সংখ্যা সাড়ে চারশর বেশী হবার কথা না। কিন্তু শোনা হয়েছে প্রায় চারগুন - আটশ বার।
পোস্ট কাউন্ট ইউনিক। এক সপ্তাহ পর পর আইপি ডাটাবেইজ রিফ্রেশ হয়। তাই একপোস্ট আপনি একটি আইপি থেকে এক সপ্তাহে যতবারই ঢোকেন না কেন একটিই কাউন্ট থাকবে। অন্যান্য ব্লগে কিন্তু এটা কেয়ার করে না। সুতরাং আমাদের কাউন্ট যদি সোয়া দুশ দেখায় সেটা সোয়া দুশ ভিন্ন পাঠক ভিন্ন আইপি এড্রেস থেকে পড়েছেন বোঝায়।
শোনার কাউন্টটা ইউনিক না সেটা লক্ষ্যনীয়। কিন্তু এব্যাপারে আসলে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি আগে। আসলে বেতারায়তন, বটু মিয়ার পডকাস্ট আর কিছু মৌলিক গান পোস্ট পর তেমন কোন ভালো উদ্যোগ হয়নি এ বিষয়ে। তাই এটাকে নিঁখুত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়নি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে সাক্ষাৎকারের এই আয়োজনটি চমৎকার লাগলো ।
এ ধরণের উদ্যোগের জন্য সচলায়তন কে ধন্যবাদ ।
সবাইকে আবার ধন্যবাদ। অনুলিখনের অপেক্ষায় রইলাম, কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে কথা বুঝতে পারি নি।
কিছু প্রশ্ন কাটা দেখলাম - ওগুলি কি জিজ্ঞাসা করা হয় নি না আপত্তিকর বোধে বাদ দেওয়া হয়েছে?
কৌস্তুভ
কাটা প্রশ্নগুলি করা হয়নি। অনেক সময় আরেকপ্রশ্নের সাথে উত্তর চলে আসে। কিংবা আলাপ করার সময় অপ্রাসঙ্গিক বা গুরুত্বহীন মনে হয়। তখন প্রশ্নগুলি বাদ দেয়া হয়। কিন্তু মূল স্ক্রীপ্টে কী কী প্রশ্ন ছিল সেটা পাঠককে জানাবার জন্য এখানে দেয়া।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনুলিখনে আমি সাহায্য করতে পারলে ভালো হতো। সময় পাচ্ছি না
কাটা প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করা হয়নি।