সচলায়তনের প্রকাশনা প্রকল্পের ব্যয়ভার প্রসঙ্গে

প্রিয় সচল ও অতিথিবৃন্দ,

আপনারা হয়তো অবগত আছেন, সচলায়তন সাধারণত বছরে দু'টি প্রকাশনা উদ্যোগ নিয়ে থাকে। একটি ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে, অন্যটি জুলাইতে সচলায়তনের বর্ষপূর্তি উদযাপনকে সামনে রেখে। দ্বিতীয় উপলক্ষটির ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়লেও একুশে বইমেলায় সচলায়তনের সংকলন প্রকাশের প্রকল্প গত তিন বছর যাবৎ নিয়মিতভাবে চলছে। আগামীতে এই দু'টি উদ্যোগই আরো দক্ষতা ও সফলতার সাথে সম্পন্ন করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। এ ছাড়া সচলায়তন অনিয়মিতভাবে ই-বুক প্রকাশ করে থাকে।

মুদ্রণ প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল, এবং এর মান নিয়ন্ত্রণের জন্যে যে জনবল ও সময় প্রয়োজন হয়, তা এককভাবে আমাদের কারোর আয়ত্বেই নেই। সচলায়তনে প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত বিভিন্ন ধরনের লেখা মুদ্রিত ও ইলেকট্রনিক গ্রন্থ আকারে আমরা পাঠকের হাতে তুলে দেবার প্রক্রিয়াটি আরো চারুতার সাথে চালিয়ে যেতে চাইলে এই প্রকল্পের অর্থ সংকুলান ও ব্যয়-ব্যবস্থাপনাকে আরো সুসংগঠিত করা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে আপনাদের মতামত কাম্য।

এই জরিপের সময়সীমা ৪ দিন। আপনাদের অংশগ্রহণের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Choices

দুঃখিত, এই পোস্টে আপনার ভোট গৃহীত হবে না।

মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা জিনিস বুঝলাম, সচলায়তন থেকে বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এখনো আসে নি। নাহলে, সব সচল-হাচল এই কথাগুলো ছাড়িয়ে কেবল "একটি সচল পরিবার" হিসেবেই বিবেচনা করা যেতো সবকিছু।

এখন যেভাবে চলছে সেভাবেই চলুক, দরকার হলে বই প্রকাশের অর্থায়নের গণ্ডীটা আরেকটু বাড়ানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বলাই'দার অনুরোধ মাথায় রাখার পরামর্শ থাকবে।

পরবর্তীতে (এখনই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে কি!) সচলায়তন বড় আকারের, পরিসরের প্রকাশনায় গেলে লীলেন্দার কথাগুলো বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অধম এর ছবি

বিপননের সাথে সাথে বাজার তৈরির ব্যাপারটা মাথায় রাখুন। আপনি যা লিখছেন, মানুষ তা টাকা দিয়ে কিনে পড়বে-সেটা নিশ্চিত করুন। নিজের টাকায় বই ছাপিয়ে, সারাদেশে কুরিয়ারে করে পাঠিয়ে দিলে কিছু অনুরাগি হয়তো পাওয়া যায় ( যাদের কেউ কেউ ফোন করে বাহ্বাও দেয় )। কিন্তু এরা কখনোই আপনার পরবর্তী বইটি টাকা দিয়ে কেনার জন্য খোঁজ করে না, অপেক্ষায় থাকে ফ্রি কপির। এখানে একজন লেখকের দায়িত্ব কি, তা লেখকেরই ঠিক করে নিতে হবে।
আসলে ব্যাপারটা খুব সোজা না। এদেশের মানুষের মানসপট এখনো মকসুদুল মোমেনিন বা নেয়ামুল কোরানের মানসপট। এখানে তাই পাঠক তৈরি করার ব্যাপারও আছে। বিসাকে একসময় এক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করেছিলো। নানান তালেগোলে এখন বোধহয় এটি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় চলে এসেছে।
আর ১৫/২০ বছরের মাথায় দেশের জনসংখ্যা হবে ২৫কোটি। বিশাল বাজার। ততদিনে আমাদের পাঠক কততে দাঁড়াবে?

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এনজিও বা স্পন্সরড প্রকাশনার বাইরে লাভজনক প্রকাশনার মাঠের অভিজ্ঞতা আমার খুবই অল্প; তাই উপরি-ভাবনায় সহজ একটা অপশনে ভোট দিলামও। কিন্তু, অন্যদেরও কথা শুনে, বিশেষ ক'রে আর বেশি ক'রে লীলেন ভাইয়ের কথায় চ'ড়ে, অব-ভাবনায় যখন পৌঁছালাম, তখন ঠিকই মিলিয়ে নিতে পারলাম জটিলতাগুলোর উপস্থিতি। মিলিয়ে চিনে নিতে পারা এবং সমাধান করতে পারার মধ্যে দূরত্বটা নিশ্চয়ই এরকম একটা ক্ষেত্রে (খাত অর্থেও) দুরূহ এবং বড় হবে। আবার এ-ও কিন্তু ঠিক ব'লে বিশ্বাস করি, যে- দ্য প্রপার আইডেন্টিফিকেশন অব আ প্রবলেম ইজ হাফ দ্য সল্যুশন।

কার্যকর আলোচনা এবং ভালো কার্যপন্থার পক্ষে বিষয়টা যে গর্ভবতী হয়েছে, সে তো বোঝাই যাচ্ছে সময়জ্যেষ্ঠদের উজ্জ্বল মস্তিষ্কস্ফূরণে। এখন কথা হচ্ছে- গর্ভপাত, নাকি সন্তান? গর্ভপাত অনৈতিক পথ। আর, সন্তান কঠিন হ'লেও অবশ্যই সত্য আর সাহসের রথ।

যাঁরা বিষয়টা এমন ক'রে সত্যিই ভাবেন জানেন বোঝেন চান- তাঁদের মধ্যে আরো সক্রিয় সমুখ আলোচনার বোধ করি বিকল্প নেই।

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পুতুল এর ছবি


সচলায়তনের প্রকাশনা প্রকল্পের ব্যয়ভার সকল সচল ও অতিথিদের যৌথভাবে বহন করা প্রয়োজন

এর পক্ষেই দেখি বেশী ভোট। যাক তা হলে অর্থায়নের সমস্যা মিটলো।

ছাপা, বাঁধাই এসব করার জন্য তো কারো না কারো সাথে চুক্তি করতেই হবে।

ভাবতে হবে প্রচার এবং বিপননের ব্যপারটা। দুটো আবার পরস্পর নির্ভশীল। প্রচার ভাল হলে বিপনের ব্যপারটা একটু সহজ হয়।
আমরা প্রচারের দিকটায় একটু বেশী মনোযোগ দিই, আর বিপননের জন্য আমাদের নেট ওয়ার্কটা কাজে লাগাই।
যার যার এলাকায় যে কোন একটা বইয়ের দোকান ঠিক করি, যাদের কাছে সচলায়তনের বই পাওয়া যাবে। চেষ্টা থাকবে দেশের কমপক্ষে প্রাদেশিক শহরগুলোতে এমন একটা বইয়ের দোকান ঠিক করা।
প্রচারে সময় আগে থেকে ঠিক করে রাখা দোকান গুলোর ঠিকানা প্রপ্তিস্থান হিসাবে উল্লেখ করা। এতে ঐ বইয়ের দোকানগুলোর কথাও আগ্রহী পাঠকরা জানবেন এবং হয়তো অন্য বইও কিনতে চাইবেন। এতে ঐ দোকানগুলোর লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। কাজেই কমিশনের সাথে বাড়তি লাভ এই ভাল প্রচারটা পেলে হয়তো ঐ রকম বইয়ের দোকান খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে না।
চেষ্টা করতে দোষ কী‍
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রণদীপম বসু এর ছবি

এখন পর্যন্ত ধরেই নিচ্ছি যে সচল প্রকাশ একটা অব্যবসায়িক উদ্যোগ, সে ক্ষেত্রে দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ হিসেবে প্রথম পয়েন্টে ভোট দিলাম।
কিন্তু প্রশ্নটা এসে যায় আমি কোথায় দেব, কিভাবে দেব, কতটুকু দেব, কেন দেব। এখন এই 'আমি'টাকে যেকোন একজন সচল হিসেবে ধরলে, তিনশ জন সচলকে যদি গোনায় ধরি, না হয় তিরিশ জন সচলের বই প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হলো। এই ব্যয় মিটাতে বাকি দু'শ সত্তর জন কেন অনুদান দিতে যাবে ? দেখা যাচ্ছে স্বাধীনভাবে লিখতে এসে বাধ্যবাধকতার দায়ে পড়ে কয়েকজন 'আমি' লেখালেখির মজাটাই খুইয়ে ফেলবো। অতঃপর....। আরো অনেক অনেক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার সম্ভাবনাও হয়তো তৈরি হয়ে যাবে।

অতএব বিষয়টাকে শেষপর্যন্ত প্রফেশনালিই বিবেচনা করতে হবে। আর তা করতে গেলে মাহবুব লীলেনের মন্তব্যগুলো গভীরভাবে ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের যে গুটি ক'জন প্রকাশক-সচল রয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনাগুলোও এ উদ্যোগের জন্য সহায়ক হতে পারে।

আসলে আলোচনাটা আরো খোলাশা ও বিস্তৃত হওয়া উচিত বলে মনে হয়।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রকাশনা বিষয়ে জ্ঞান নাই। তবে মার্কেটিংটা মনে হয় জরুরী। এক্ষেত্রে মার্কেটিংয়ে ভালো এমন কোনো প্রকাশনার সাথে চুক্তিতে আসা যেতে পারে। প্রত্যেকবারই বইমেলায় সচল সংকলন দেরিতে এসেছে।

প্রকাশনার অর্থসংস্থানের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নাই, যদিও বিষয়টা নিয়ে খানিকক্ষণ ভাবলাম। সচলায়তন এই উদ্যোগটা যদি ব্যবসায়িকভাবে নেয়, তাইলে একরকম আর অলাভজনক প্রচেষ্টা হিসেবে নেয়, তাইলে জিনিসটা অন্যরকম। অলাভজনক হলে সচল পরিচালকরা একেকবার কয়েকজন সচলের কাছে চাঁদাবাজি করতে পারে, যারা এই চাঁদা দেয়ার জন্য বাড়তি ক্রেডিট নিয়ে মাথা ঘামাবে না বা ভবিষ্যতেও এ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না। যারা এরকম (নিঃ ) শর্তে কন্ট্রিবিউট করতে পারবেন, তারা হয়তো সচল চালকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এভাবে অর্থসংস্থানের মোটামুটিভাবে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। এটা যদি যথেষ্ট হয় ওকে, নাহলে অন্য ভাবনা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সচলায়তন এই উদ্যোগটা যদি ব্যবসায়িকভাবে নেয়, তাইলে একরকম আর অলাভজনক প্রচেষ্টা হিসেবে নেয়, তাইলে জিনিসটা অন্যরকম।

এইটা একটা জরুরি পয়েন্ট

০২

বাংলাদেশে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কিন্তু তাদের বইপড়া কর্মসূচির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আজ সবচে বড়ো ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কের মালিক (প্রকাশনার ক্ষেত্রে)

তাদের প্রথম দিককার বইগুলো সম্পর্কে জানি। মোটেও প্রকাশনাটা লাভজনক ছিল না

কিন্তু এখন অনুমান করতে পারি অবশ্যই লাভজনক

আলমগীর এর ছবি

লীলেন্দার বক্তব্যের পর আর বেশী কিছু বলার নেই। উনার একার অভিজ্ঞতার আলোকেই মনে হয় সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে। গেল বইমেলায় একটা বই প্রকাশ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হলো তাই একটু বলি:

১. বই প্রকাশের জন্য বিস্তর টাকা লাগে এবং সচলায়তন সংকলন ও অন্যান্য যা কিছু প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো বিক্রী করে আদৌ কিছু ফেরত এসেছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। ২০/২২ তারিখে বই এলে বা আগ্রহী পাঠক বই খুঁজে না পেলে এটা আশা করা যায় না। অতএব, এ ধরনের প্রকাশনা সব সময় লস প্রজেক্ট হয়ে থাকবে। প্রশ্ন হলো টাকার জোগানটা কে দেবে? সব সচল হাচল অনুদান দিবে, নাকি সচলায়তননের পেছনে যে ক'জন আছে তারা দিবে? দ্বিতীয় অপশন অনেকটা প্রকাশনা দায়গ্রস্ত সচলায়তন হয়ে যায়, প্রথমটা হলে সম্ভাব্য অনেক কিছু হতে পারে।

২. বই বিক্রী করে কি কিছু টাকা ফেরত আনা যায়? লীলেন্দা যেমন বললেন, খুব ভাল বিপণন ব্যবস্থা আছে যাদের, এমন কোন প্রকাশনার সাথে যোগাযোগ করে? গেল বইমেলার অভিজ্ঞতা হলো: নামী প্রকাশনা যারা আছে তারা লেখকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোন কিছু প্রকাশ করে না। নিজের খরচে করে, তবে নতুন অজানা লেখকদের সে জন্য দেড়-দু বছর অপেক্ষা করতে হবে। দেড়-দু বছর পর লেখা ভাল মনে হলে প্রকাশ হবে, রয়েল্যাটি চুক্তি করে। ব্যক্তি সম্পর্ক থাকলে এ দেরীটা এড়ানো করা যায়। তবে সংকলনের মতো বারোয়ারি বই প্রকাশে কোন প্রকাশক আগ্রহী হবে কিনা জানি না।

শুধুমাত্র বিপণন করে এমন প্রতিষ্ঠানও হয়ত থেকে থাকবে। সে ক্ষেত্র এসব তদারকির জন্য সম্ভবত লোকবল নিয়োগ করতে হবে। ব্যপারটা বাড়তেই থাকবে।

আমার মতে একটা অনুদান বাক্স খুলতে পারেন যেখানে যে যার ইচ্ছেমতো প্লেজ করবে। সব মিলিয়ে কেমন আসে সেটা দেখে পরে সিদ্ধান্তে আসতে পারেন করবেন কিনা, করলে তার ব্যয় প্লেজ করা টাকায় সংকুলান হবে কিনা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিও ভোট দিতে পারলাম না মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার মনে হয় প্রকাশনা খরচের চেয়ে অন্য কয়েকটা বিষয় আগে ভাবা দরকার

০১

মুদ্রণ মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশনা স্বম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটা সেক্টর। এর জন্য স্পেস লোকবল এবং নিয়মিত খরচ সবকিছুই দরকার

সচলায়তন কি নিজেদেরক এরকম একটা নিয়মিত (এবং সচলের কার্যক্রম থেকে অনেক দূরের) আলাদা একটা সেক্টরে সম্প্রসারিত করবে?

যদি করে তা হলে সবচে সহজ উপায় হলো সচল প্রকাশ নামে অফিস- শোরুম স্টাফসহ সরাসরি একটা প্রকাশনা খুলে বসা

যেখানে প্রতিষ্ঠানটির টিকে থাকার জন্য সে সচলের বই যেমন বের করবে তেমনি অন্যদের বইও বের করবে। বিক্রিও করবে

দাঁড়াতে পারলে সেটা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতো জায়গায় চলে যাবে না হলে মুক্তধারার মতো আধমরা হয়ে নোটবই ছাপাবে

সচলায়তন কি এই রকম চিন্তা করছে?

যদি করে তাহলে আলাপ হতে পারে কীভাবে কী করা যায় তা নিয়ে

০২

কিন্তু আমার ধারণা সচলায়তন পুরো একটা প্রকাশনা খোলার চিন্তা করছে না
বরং চিন্তা করছে শুধু সচলকেন্দ্রিক বইগুলোর (বছরে ২-৫টা) প্রকাশনা নিয়ে

যদি তাই হয় তাহলে সচলকে মুদ্রণ প্রকাশনার চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে
সচলায়তনের প্রকাশনার দায়িত্ব একটা ভালো চুক্তির মাধ্যমে অন্য কোনো প্রকাশনাকে দিয়ে দিতে হবে

যাদের নিজেদের অফিস আছে। স্টাফ আছে। মার্কেটিং আছে
যাদের কাছে গেলে কেউ বইটা পাবে

না হলে সচলের উদ্যোগে বই প্রকাশ করলে সেটা কারো না কারো বাসায়ই রাখতে হবে
এই বছর অমুকের বাসায় তো পরের বছর তমুকের বাসায়

এই করে কোনোভাবেই সচল প্রকাশনার কোনো মঙ্গল হবে বলে আমার মনে হয় না

০৩

বাংলাদেশের প্রকাশনাগুলোর মার্কেটিংয়ে দুর্বলতা আছে
সচল কোনো প্রকাশনার সাথে যুক্ত হলে মার্কেটিং এবং প্লানিংয়ে সক্রিয়ভাবেই সহায়তা করতে হবে। অনেক দায়িত্বও নিতে হবে
কিন্তু দায়িত্বটা হবে প্রকাশনা-সহযোগী হিসেবে। প্রকাশক হিসেবে নয়

০৪

সচল যদি একেকবার একেকটা প্রকাশনার সহযোগিতায় বই বের করে। কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে করে তাহলে বইমেলাতেও প্রতিবার ঝামেলা হবে পাঠকদের জন্য

তেমনি সচলকে প্রতিবারই কারো না কারো সাথে ট্যাগ করতে হবে মেলায় বই রাখার জন্য

০৫

আর্থিক বিষয়টা কয়েকভাবে ভাবা যেতে পারে
সচল নিজে যদি প্রকাশক হয় তাহলে পুরো টাকা হয় সচল দেবে না হলে একক বইয়ের ক্ষেত্রে লেখক দেবেন (হয় কারো কাছ থেকে নিয়ে কিংবা বিজ্ঞাপন থেকে কিংবা নিজের পকেট থেকে। এটাই প্রচলিত প্র্যাকটিস)

আর যৌথ বইয়ের ক্ষেত্রে টাকা হয় প্রকাশক দেবে না হলে সম্পাদক দেবে
(এটাও প্রচলিত প্র্যাকটিস)

যৌথ বই কিংবা সংকলনের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই লেখকদের কাছে টাকা চাওয়া যাবে না। তাহলে বিষয়টা প্রচলিত অনেক চাঁদাবাজির পর্যায়ে পড়ে যাবে

০৬

দিনে দিনে সচলায়তনের প্রকাশনার সংখ্যা বাড়ছে
এটা নিয়ে বোধহয় আরো গুছিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে
প্রকাশনা মানে নতুন বই প্রকাশ করা যেমন বোঝায় তেমনি পুরোনো বই সংরক্ষণ করাও বোঝায়

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি জিনিসটা বহুত জটিল
শুধু একটা দুইটা বই প্রকাশনার টাকার সাথে এর সম্পর্ক নেই

০৭

আমি উপরের কোনো ঘরেই ভোট দিতে পারলাম না। কারণ আমার মনে হচ্ছে বিষয়টা শুধু টাকার দিক থেকে না ভেবে পুরো প্রকাশনা নিয়েই ভাবা দরকার

হিমু এর ছবি

১.
আমি একটা জিনিস ঠিক বুঝতে পারিনি।

আপনি যেমন বললেন,

বাংলাদেশের প্রকাশনাগুলোর মার্কেটিংয়ে দুর্বলতা আছে
সচল কোনো প্রকাশনার সাথে যুক্ত হলে মার্কেটিং এবং প্লানিংয়ে সক্রিয়ভাবেই সহায়তা করতে হবে। অনেক দায়িত্বও নিতে হবে

তাহলে সেই প্রকাশনার সাথে আপনার প্রস্তাবিত

সচলায়তনের প্রকাশনার দায়িত্ব একটা ভালো চুক্তির মাধ্যমে অন্য কোনো প্রকাশনাকে দিয়ে দিতে হবে যাদের নিজেদের অফিস আছে। স্টাফ আছে। মার্কেটিং আছে যাদের কাছে গেলে কেউ বইটা পাবে

"ভালো চুক্তি" অনুযায়ী সেই প্রকাশনার দায়িত্বটা কীরকম হবে? বই ছাপানো, বাঁধানো, সাজানো আর বিক্রি? কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, বিপণনের দায়িত্ব তো আপনার প্রস্তাব অনুযায়ী সচলায়তনকেই নিতে হচ্ছে।

যদি বই ছাপানো, বাঁধানো, সাজানো আর বিক্রির কথায় আমরা আসি, সচলায়তনের কোনো প্রেস, বাইন্ডিং শপ বা স্টল নাই। ওগুলি কোনো একটি সংস্থার সাথে চুক্তির মাধ্যমেই করা হয়েছে গত কয়েক বছর। এবং যে "ভালো চুক্তি"র প্রস্তাব আপনি দিয়েছেন, সেই "ভালো চুক্তি"র আওতায় বিপণন পরিকল্পনায় বাজেট ছিলো না বলেই হয়তো বইগুলো তেমন প্রচার পায়নি।

২.
আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রকাশনা ব্যবস্থায় একটা বড় সমস্যা হচ্ছে বিপণনের সমস্যা। বহু প্রকাশনা সংস্থাও এই সমস্যার পেশাদারি সমাধানে আসতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। যতদিন পর্যন্ত সে সমাধান পাওয়া না যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সচলায়তনকে একটু খুঁড়িয়েই চলতে হবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি বাস্তবতাটা সরাসরিই বললাম
প্রকাশনার জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার যেমন দরকার তেমনি মার্কেটিংও দরকার
প্রথমটা সচলের নেই। দ্বিতীয়টা বেশিরভাগ প্রকাশনীর (প্রায়) নেই

চুক্তি বলতে সচল কোনো প্রকাশনীর কাছ থেকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য প্রথমটার সুযোগ নিতে পারে
দ্বিতীয়টা কারো থাকলে তো তার ফল পাওয়া যাবে?

আমার জানা মনে সবচে ভালো এবং বিস্তৃত বিপণন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের
কিন্তু সেটা পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আবার তারা সচলের সাথে প্রকাশনা চুক্তিতে আসবে বলেও মনে হয় না

বাকিদের বিপণন বলতে যা বোঝায় তা বিশেষ কিছু পকেট ভিত্তিক
এবং তারা তাদের দৃষ্টিতে লাভজনক বইগুলোকেই সেই পকেটে পাঠায়
এবং আমার জানামতে কারোই মার্কেট সম্প্রসারণের কোনো প্রক্রিয়া পরিকল্পনা কিংবা বাজেট নেই

সচলের ইনফ্রাস্ট্রাকচার না থাকলেও বিশাল একটা নেটওয়ার্ক আছে
সোজাসুজি বললে সচল চাইলেই অন্তত ৪০টা জেলায় যোগাযোগসূত্র বের করে ফেলতে পারে
কিন্তু বাংলাদেশে বিসাকে ছাড়া আর কারো ৪০টা জেলায় নিয়মিত বিপণন আছে বলে আমার জানা নেই

প্রাথমিকভাবে সচল নিজের এই নেটওয়ার্কটাকেই মার্কেটিংএর জন্য কাজে লাগাতে পারে

আমার এই প্রস্তাবটা এই কারণেই যে এখানে আর কোনো বিকল্প নেই
মার্কেটিংএর দায়িত্ব কাগজেপত্রে নেবার মতো প্রকাশনা হয়তো পাওয়া যাবে কিন্তু কাজ হবে বলে মনে হয় না আমার

কারণ বাজেট
কারণ তার পরিকল্পনার অভাব
কারণ তার নেটওয়ার্কের অভাব
কারণ তার মার্কেটিং নেই
তার আছে শুধু মিটিমিটে সেলস...

০২

একটা প্রকাশনা মার্কেটিং তো দূরের কথা। কয়কটা বইকে কুরিয়ারে পাঠাতে গেলেও টাকার হিসেব করে। তাকে করতে হয়। কতটাটাকার কোন বই কত টাকা দিয়ে পাঠালে কতটাকা ফিরে আসবে এটা তাকে হিসেব করতে হয়। তার মার্কেটিং খাতে কোনো বাজেট নেই। সে শুধু প্রডাক্টের উপর ভিত্তি করে সেলসের বাজেট করে

নিজের বইয়ের মার্কেটিং চাইলে সচলকে এই দায়িত্ব নিতেই হবে
বই বিক্রির টাকা থেকে (অথবা আলাদা ফান্ড থেকে) মার্কেটিং এবং সেলসের খরচ জোগাতে হবে (বইয়ের দামে বই প্রচার। বই ছাপার জন্য পকেটে হাত দেয়া পদ্ধতি)

কারণ যতদিন পর্যন্ত না সচলের বইগুলো প্রকাশকের কাছে বিজনেস আইটেম হয়ে উঠবে ততদিন পর্যন্ত কেউ এই দায় নেবে না

আর প্রকাশক সচলের নেটওয়ার্ক তার অন্য বইয়ের জন্য ব্যবহারের বিনিময়ে সচলকে দেবে তার ইনফ্রাস্ট্রাকচার আর ম্যানপাওয়ার সার্ভিস
(প্রফিট ভাগাভাগিটা পরের ধাপে আসতে পারে)

০৩

খুঁড়িয়ে চলার নীতিতে আমার সমস্যা নেই
কিন্তু নিজের নয়টা বইয়ের দিকে যখন তাকাই তখন হতাশ লাগে
মানুষের হাতে বই পৌঁছালেই না বুঝব মানুষ পড়ল কি পড়ল না?
তাদের ভালো লাগলো কি লাগল না?

২০০৪ একেবারে প্রথম বইটা পাগলা স্টাইলে নিজের উদ্যোগে মার্কেটিং করেছিলাম
তারপর আরো ৮টা বই বের হলো। কিন্তু নিজে মার্কেটিং করতে পারিনি

এখনও যখন দেখি লোকজন আমার প্রথম বই দেখা কিংবা পড়ার কথা বলে জিজ্ঞেস করে আর কোনো বই বের হয়নি আপনার?

তখন মনে হয় বছর বছর এই কাগজের বান্ডিল বের করার মানে কী?

০৪

সচলের বইয়ের সংখ্যা এখনও অল্প। কয়েক বছরের মধ্যে তার পরিমাণ বেড়ে যাবে অনেক
মার্কেটিং চিন্তা না করে বই বের করলে সেগুলো হয়তো কারো গুদামে কিংবা কারো বাসায়ই পড়ে থাকবে

এবং এখন আমার একার ভেতর যে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে তখন তা দেখা দেবে অনেকের ভেতর- এগুলো বের করে কী লাভ?

স্বাধীন এর ছবি

প্রকাশনা বিষয়ে ধারণা কম। লীলেন ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে যা বুঝেছি তাতে উনার বক্তব্যে সহমত।

সকল সচল ও হাচলদের থেকে অর্থ নেওয়াটি কেমন যেন এককালীন সদস্য ফি দেওয়ার মত হবে। আমার ব্যক্তিগত ভাবে তাতে আপত্তি নেই। সচলায়তনের খরচ সচলের সদস্যরা বহন করতেই পারে, যদি সকলের আপত্তি না থাকে। তবে শুধু বইয়ের জন্য সীমাবদ্ধ না থেকে সেটা একটি কমন ফান্ড হিসেবে রাখা যেতে পারে। সেই ফান্ড থেকে নানান সময়ে নানান খাতে ব্যয় করা যেতে পারে।

সকল ব্যয়ভার শুধু সচলের কতৃপক্ষকে বহন করতে বলাটাও ঠিক নয়, যদিও এতদিন ধরে উনারা মনে হয় সেটা করে এসেছেন। আমার ধারণা নেই কিভাবে উনারা সেটা করে আসছেন। এ ব্যাপারে সকলকে একটি ধারণা দেওয়া হলে ভাল হতো। তাতে সচল ও হাচলদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজটি সহজ হতো, হয়তো বা।

আপাতত ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইলাম।

হিমু এর ছবি

স্বাধীন ভাই, সচলায়তনের খরচ এখানে বিবেচ্য না কিন্তু। প্রকাশনা প্রকল্পগুলোর খরচ নিয়ে আপনার ভাবনা জানান।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্বাধীন এর ছবি

দুঃখিত দেরিতে জবাব দেওয়ার জন্য। আগেই বলেছি যে প্রকাশনা সম্পর্কে ধারণা কম। তবে শুধু বই প্রকাশের ব্যয়ের জন্য সচল/হাচল সবাইকে জড়িত না করাই আমার মতে ভাল মনে হয়। এই ব্যাপারটি ঐচ্ছিক করা যেতে পারে ।

প্রকাশায়তনের খবর কী? ই-বই আকারে প্রকাশ হলে অন্তত খরচ অনেক কম হওয়ার কথা। আমার মতে রেগুলার প্রকাশনার ব্যাপারে চিন্তা না করে ই-বই প্রকাশায়তনের ব্যাপারে আমরা অধিক মনোযোগী হতে পারি। প্রকাশয়তনে নাম মাত্র মূল্যে পড়ার বা ডাউনলোডের সুবিধে দিয়ে দেখা যেতে পারে ব্যাপারটি আদৌ কার্যকরী বা লাভজনক হয় কি না।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রকাশনা বিষয়ে লীলেন দার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।

তবে মুক্তধারার সম্পর্কে যা বললেন তাতে একমত না। চিত্ত রঞ্জন সাহা যতদিন ছিলেন ততদিন মুক্তধারা আধমরা ছিলো না। নোটবই প্রকাশ ছিলো সহযোগি প্রকাশনা। টেস্ট পেপার আর পাঠ্যবই ছাপতো।
সৃজনশীল ভালো প্রকাশনা অনেক ক্ষেত্রে লাভজনক হয় না। তাই পাঠ্যবই আর টেস্ট পেপার ছাপিয়ে মুক্তধারাকে সজীব রাখার চেষ্টা। আর বাংলা বাজার কেন্দ্রিক প্রকাশনা শিল্পর বাণিজ্য মূলত পাঠ্যবই কেন্দ্রিকই।

মুক্তধারার প্রতিটা বই-ই সংগ্রহে রাখার মতো। পড়ার মতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

আমার মতটা একটু অন্যরকম। যাঁদের লেখা প্রকাশিত হবে, এবং সচলায়তন-এই দুদলের ওপরেই ব্যয়ভার চাপানোর পক্ষে আমি। এখানে অবশ্য একটা আপত্তি আসতে পারে, লেখকেরা লিখে টাকাই পাচ্ছেন না, আবার তাঁরা উল্টো টাকাও দেবেন?

সেক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনই ভরসা।

তবে, আমি বরাবরই সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি। আর অন্যের কাছ থেকে টাকা নিলে উপদেশ এবং অপমানও যেচে নিতে হয় বলে জানি। কারণ, যাচনে মাননাশায়।

সব সচল এবং সব অতিথি কেনই বা ব্যয়ভার বহন করবেন বা করতে চাইবেন? এটা বাধ্যতামূলকও তো নয়।

ধরা যাক, অনেকেই মত দিলেন ১নং-এর জন্যে। সেক্ষেত্রে সচলায়তন কিভাবে নিশ্চিত করবে সবার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারটা? আর্থিক সহায়তা শেষ পর্যন্ত সেই ঐচ্ছিক হয়েই কি থেকে যাচ্ছে না?

বিকল্পটা কী?

ভাবছি।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রকাশনার ব্যয়ের কথা যখন তুললেন তখন প্রকাশনা অংশের (সচলায়তন নয়) পরিচালনা, বিপনন, আয় ইত্যাদির কথাও সামনে আনুন। যদি সচলায়তন কর্তৃপক্ষই বাকি বিষয়গুলোর দেখা শোনা করেন তাহলে প্রকাশনার ব্যয় অংশে অন্যদের অংশগ্রহন না রাখাই ভালো। এতে ভবিষ্যতে অপ্রিয় পরিস্থিতির উদ্ভব হবেনা।

আর যদি প্রকাশনার ব্যয়ে অন্যদের অংশগ্রহন জরুরী হয়ে পড়ে, তাহলে গোটা ব্যাপারটিতে অন্যদের অংশগ্রহন কীরকম হতে পারে সে ব্যাপারে আপনাদের ভাবনা জানান। এই পন্থা সচলায়তনের মূল দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে - "এটি সম্ভব নয়", তা জানান।

এর মাঝামাঝি পন্থা হচ্ছে প্রকাশনার জন্য স্পন্সর যোগাড় করা বা অন্যের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা। এই পন্থাও সচলায়তনের মূল দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে - "এটি সম্ভব নয়", তা জানান।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

এই চমৎকার উদ্যোগটিতে একজন অতিথি হিসেবে কীভাবে অংশ নিতে পারি? বলা বাহুল্য যে অংশ নিতে চাই । সেটা সাধ্যের মধ্যে আর্থিক অথবা অন্য যে কোনভাবেই ।

……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার