শ্রাবণ সকাল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: শনি, ১৩/০৮/২০১১ - ২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন সকালে গুলশান ১ এর KFC-র পাশের গলিতে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে নিখুঁত মেয়েটার পাশ কাটালাম।

আসলে মেয়েটা অত সুন্দরী নয়, সবার মাঝে চোখে পড়ার মতন না। সাধারণ পোশাক-আশাক। মাথার পেছনে চুল বাঁকা হয়ে ছিল, যেমনটা থাকে ঘুম থেকে উঠবার পরে। ‘মেয়ে’ বললে আমরা যেমন অল্পবয়সী কাওকে বুঝি তেমনটাও না আসলে, ত্রিশের কাছাকাছি হবে। তবুও... প্রায় পঞ্চাশ গজ দূর থেকেও আমি টের পেলাম, এই মেয়েটাই ১০০% পার্ফেক্ট আমার জন্যে। ঠিক যেই মুহূর্তে আমি তাকে দেখতে পেলাম, আমার বুকের ভেতরে কেমন যেন হুহু করে উঠলো, আর মুখের ভেতরটা শুকিয়ে একদম মরুভূমি হয়ে গেল।

প্রত্যেকের কাছেই ‘নিখুঁত’ শব্দটার একটা অর্থ থাকে, কারো হয়তো দীর্ঘ চুল বা বড় বড় চোখ পছন্দ, বা চমৎকার শৈল্পিক আঙুল, বা কে জানে স্রেফ কথায় কথায় হাসে, বা ধীরে ধীরে এক একটা কাজ সারে এমন মেয়েও কারো পছন্দ হতে পারে। মাঝে মাঝে আমি যেমন কফিশপে আমার পাশের টেবিলের নিখুঁত নাকের কোন মেয়ের দিকে আড়চোখে চেয়ে দেখি।

কিন্তু শেষতক যাদেরকে মানুষের পছন্দ হয় তারা যে নিজেদের কল্পনার ১০০% নিখুঁত মানুষ তা কিন্তু কেউ জোর দিয়ে বলতে পারে না। যেমন আমি কিছুতেই এই মেয়েটার নাকটা কেমন ছিল মনে করতে পারছি না, মানে নাক ছিল কিনা সেটাই মনে পড়ছে না! খালি মনে পড়ছে যে সে অপূর্ব সুন্দরী ছিল না। কী অদ্ভুত!

“কালকে রাস্তায় পার্ফেক্ট মেয়েটাকে ক্রস করলাম”, বন্ধুকে বলি আমি।
“আচ্ছা?”, আগ্রহী হয়ে জিজ্ঞেস করে, “সুন্দরী নিশ্চয়ই?”
“নট রিয়ালি।”
“তোর টাইপের তাহলে?”
“জানি না! কিছুই মনে করতে পারছি না, কিছুই না!”
“আজব!”
“পুরাই!”
“বেশ”, ইতিমধ্যেই বোর হয়ে যাওয়া বন্ধু ভদ্রতার খাতিরে জিজ্ঞেস করে, “কী করলি তারপর? কথা বললি? ফলো করলি?”
“নাহ! খালি রাস্তায় ক্রস করলাম তাকে।“

----------------------------------

সে পূব থেকে পশ্চিমে যাচ্ছিল, আর আমি পশ্চিম থেকে পূবে। চমৎকার শ্রাবণ সকাল ছিল।

একবার যদি তার সাথে কথা বলতে পারি, ভাবছিলাম আমি... আধাঘন্টাই যথেষ্ট। তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো, আমার সম্পর্কে বলবো... আর... আর যা করবো তা হলো, তাকে বুঝিয়ে বলবো, কেন ২০১১ এর এক বৃষ্টিধোয়া চমৎকার শ্রাবণ সকালে ভাগ্য আমাদের দুইজনকেই গুলশানের ঐ গলিতেই এনে ফেলেছিল। আমাদের আলাপটা হবে গোপন ছন্দময়তাপূর্ণ, প্রাচীণ কোন ঘড়ির পেন্ডুলামে শান্তভাবে টিকটিক করে বয়ে যাওয়া সময়ের মতন।

তারপর আমরা কোথাও লাঞ্চ করবো না হয়, হয়তো সিনেপ্লেক্সে কোন সিনেমা দেখবো, তারপর হয়তো কোন কফিশপে ঢুকবো, আইস্ক্রিমও খাওয়া যায়...

দূরত্ব কমে এসেছে, আর পনের গজ... বুকের ভেতর ধ্বক-ধ্বক আওয়াজ টের পাই আমি।

কীভাবে শুরু করা যায়? কী বলে?

“সুপ্রভাত, আপনার সাথে কি আধাঘন্টা আলাপ করতে পারি?”
(‘সুপ্রভাত’, কী হাস্যকর! মাথাটা গেছে মনে হয়! ওষুধ কোম্পানির সেলসম্যানের মত লাগবে এইভাবে যদি পথেঘাটে আলাপ শুরু করি!)

“এক্সকিউজ মি, এদিকে ভালো লন্ড্রি কোন্‌টা বলতে পারবেন?”
(নাহ! এইটাও চরম ফাউল। তার উপরে হাতে কোন কাপড়ের ব্যাগ নাই।)

হয়তো, একদম সাধারণ সত্যি কথাটাই বলা উচিত – “হাই! আপনাকেই খুঁজেছি আমি এতদিন ধরে, বিশ্বাস করুন... আপনি আমার কল্পনার সেই ১০০% পার্ফেক্ট মেয়েটা।“

নাহ, এই কথাটা মোটেও বিশ্বাস করবে না, রেগে যেতে পারে, ধমকাতেও পারে। শুধু শুধু আমার সাথে কথা বলতে চাইবে কেন? হয়তো শান্তভাবে “সরি” বলে পাশ কাটিয়ে গেল। কিম্বা হয়তো আমার গলার আওয়াজে কিছু একটা টের পেয়ে বিশ্বাস করলো বটে, কিন্তু বলে বসলো, “দুঃখিত, আমার জন্যে ১০০% পার্ফেক্ট যেই ছেলেটা, সে আপনি নন।“

এমনটাতো হতেই পারে। আর যদি তাই হয়, আমি তাহলে পাগল হয়ে যাবো! জীবনেও ঐ শক কাটিয়ে উঠতে পারবো না। আমার বয়স হলো তেত্রিশ, আর এইটাই হলো বড় হয়ে যাওয়ার, বুড়ো হয়ে যাওয়ার সমস্যা, মনের জোর কমে যায়!

আমরা ফুলের দোকানের সামনে এসে একে অপরকে পাশ কাটালাম। হালকা উসুম একটা হাওয়া এসে লাগলো আমার গায়ে, গোলাপের সুবাসের সাথে।
আর শেষপর্যন্ত আমি কিছুই বলতে পারলাম না।

বৃষ্টির ভেজা সকালে তার গায়ে ছিল একটা হালকা সাদা শাল, আর হাতে ছিল একটা সাদা খাম, তাতে কোন স্ট্যাম্প ছিল না। হুমম্‌, কাওকে চিঠি লিখেছে মেয়েটা... এই ইন্টারনেটের যুগেও! হয়তো সারা রাত জেগে চিঠি লিখেছে বলেই তার চোখজোড়ায় ঘুম জড়িয়ে আছে। হয়তো ঐ খামের ভেতরে তার জীবনের সব গোপন কথা লুকিয়ে আছে।

আমি আরও কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে ফিরে তাকাই, কিন্তু তাকে আর দেখতে পাই না, সকালের কর্মচাঞ্চল্যে মানুষের ভিড়ে মিশে গেছে।

আর প্রায় সাথেসাথেই আমি টের পাই, আমার কী বলা উচিত ছিল।
বেশ বড়সর একটা আলাপ হতো সেটা, আর আমি ঠিকমত বলতে পারতাম না ফর শিওর! আমার আইডিয়াগুলো খুব একটা প্র্যাক্টিকাল হয় না কখনোই।

তবে সেটা শুরু হতো, “অনেককাল আগে” দিয়ে, আর শেষ হতো, “বেশ মনখারাপ করা একটা গল্প, তাই না?”, দিয়ে ...

-----------------------------

অনেক অনেক দিন আগে ছিল একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। ছেলেটা ছিল ঊনিশ, আর মেয়েটার বয়স ছিল ষোলর মতন, মেয়েটা কিন্তু দারুণ সুন্দরী ছিল না। আসলে তারা দুইজনেই ছিল খুব খুব সাধারণ দু’টো ছেলেমেয়ে, একাকী দুইজন ছেলেমেয়ে। কিন্তু তারা দুইজনেই মনে মনে বিশ্বাস করতো, পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে, কোন এক জায়গায় তাদের জন্যে রয়েছে, একশোভাগ পার্ফেক্ট একজন মানুষ। হুঁ, তারা বিশ্বাস করতো একদিন অলৌকিকভাবে তারা সেই মানুষটার দেখা পাবেই।

তারপর একদিন সেই অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটলো।

একদিন তারা এক রাস্তায় একে অপরের কাছাকাছি চলে এলো।

“কী আশ্চর্য!”, বললো ছেলেটা, “আমি সারাজীবন ধরে তোমাকেই খুঁজছিলাম! বিশ্বাস করো আর নাইই করো, তুমিই আমার কল্পনার পার্ফেক্ট মেয়েটা”।.

“আর তুমি হলে সেই ছেলেটা, যাকে আমি খুঁজছিলাম, একদম পার্ফেক্ট,” বললো মেয়েটা, “ঠিক যেরকম আমি ভেবেছিলাম, একদম আমার স্বপ্নের মতন!”

তারপর তারা হাত ধরে পার্কের বেঞ্চের উপরে বসলো, আর একজন আরেকজনকে নিজেদের গল্প বলতে শুরু করলো, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। তাদের একাকীত্ববোধটা আর ছিল না। তারা খুঁজে পেয়েছিল নিজ নিজ আত্মার পূর্ণতার জন্যে প্রয়োজনীয় ১০০ ভাগ নিখুঁত অন্য মানুষটাকে।
আসলে এই ব্যাপারটা যে কী চমৎকার সেটা শুধু তারাই বুঝে, যারা নিজেদের সোওল-মেইটকে খুঁজে পায়, আর নিজেদেরকে আবিষ্কার করে সেই মানুষটার পূর্ণতার স্থানে। এই ব্যাপারটা আসলে এক রকমের মিরাকল।

কিন্তু, তারা যখন বসে বসে গল্প করছিল, তাদের মনে একটা ক্ষুদ্র মটরদানার সমান সন্দেহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো - কারও স্বপ্ন কি এত সহজেই সত্যি হতে পারে, সেটা কি সম্ভব?

আর তাই, তাদের আলাপের মাঝের এক ছোট্ট বিরতিতে, ছেলেটা মেয়েটাকে বললো,
“একটু দাঁড়াও তো, একটুখানি। সত্যি যদি আমরা নিজেদের সেই স্বপ্নের মানুষটাই হই, তাহলে কখনো আবার, কোন না কোন ভাবে আমরা আবার একে অপরের দেখা পাবোই নিশ্চিতভাবে, ঠিক কিনা? আর সেটা হলে, আমরা জানবো যে আমরা আসলেই একে অপরের স্বপ্নের মানুষটাই। তখন আমরা ঠিক সেইখানে তক্ষুণি বিয়ে করে ফেলবো। কী বলো?”

“ঠিক বলেছে! একদম আমার মনের কথাটা।“ মেয়েটা সায় দিল।

এই বলে তারা দুইজনা বিদায় নিয়ে দুইদিকে চলে গেল, মেয়েটা গেল পূবে, আর ছেলেটা পশ্চিমে।

অথচ এই পরীক্ষাটার কোন প্রয়োজনই ছিল না। তারা আসলেই একে অপরের মনের মানুষটাই ছিল। আর এই যে তাদের একবার হলেও দেখা হয়েছিল, এইটাই ছিল আসল মিরাকল। কিন্তু তাদের পক্ষে সেটা জানা সম্ভব ছিল না, আর তাদের বয়সওতো অনেক কম ছিল।
কাজেই ভাগ্যের শীতল নির্মম পরিহাস তাদের দুইজনকে দুইদিকে ছুঁড়ে ফেললো।

এরপরে একবার সেই ছেলেটা আর মেয়েটা, দু'জনারই হলো কঠিন অসুখ। তারপর জীবন্মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে দু'জনাই যখন রেহাই পেল, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। যখন তাদের ঘোর ফিরলো, ততদিনে তাদের মাথা একদম গড়ের মাঠের মতন ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।

তবে তারা ছিল স্মার্ট, শক্তপোক্ত আর কাজের। দেখা গেল তারা সুস্থ হয়ে আবার পড়ালেখা শুরু করেছে, তারপর একদিন সেই পর্ব চুকিয়ে কাজকর্মও শুরু করে দিল। একদিন দুইজনে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠলো। দেখা গেল তারা এখন ঢাকা শহরের উপযুক্ত বাসিন্দা, বাসে ঝুলতে ঝুলতে অফিস যেতে পারে, সিএনজিওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কি করতে পারে, বৃষ্টির দিনে পথে জমা ময়লা পানি ডিঙিয়ে চিঠি পোস্ট করতে যেতে পারে।

এমনকি, তারা এখন আবার নতুন করে ভালোও বাসতে পারে... মাঝে মাঝে ৭৫% বা ৮৫% পর্যন্তও ভালোবাসতে পারে!

তারপর হু হু করে সময় চলে গেল, আর একদিন ছেলেটা হয়ে গেল তেত্রিশ, আর মেয়েটা প্রায় ত্রিশ।

এক শ্রাবণের সকালে, ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে সাত সকালে বেরিয়ে পড়া নগরীর মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর একটায় কর্মরত ছেলেটা, গলির শেষমাথার দোকানে এক কাপ কড়া চা খাওয়ার লক্ষ্যে সিএনজি থেকে নেমে হাঁটছিল, পশ্চিম থেকে পূবে।

আর ঠিক সেই রাস্তা দিয়েই, একটা বিশেষ চিঠি বাই পোস্ট পাঠাবার জন্যে মেয়েটা হেঁটে আসছিল, পূব থেকে পশ্চিমে।

তারপর তারা একে অপরকে ক্রস করলো, সদ্য ঝাঁপি খোলা ফুলের দোকানটার সামনে, রাস্তার ঠিক মাঝখানে।

আর ঠিক তখনই, তাদের দুইজনের মনেই কিসের যেন একটা ভুলে যাওয়া কথা ঝিকমিক করে উঠলো, রাস্তার গাছের পাতায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে খেলে যাওয়া সকালের রোদের মতন।

দু’জনের বুকের ভেতরেই কেমন যেন হু হু করে উঠলো। আর দুইজনেই টের পেল -
এই মেয়েটাই আমার ১০০%
এই ছেলেটাই আমার ১০০%

কিন্তু সেই ঝিকমিকি ভাবনাটা এত ক্ষীণ ছিল, এত দুর্বল, যে তাদের সেই অনুভূতিটা দীর্ঘস্থায়ী হলো না। আর বড় হয়ে যাওয়ায় তাদের মনের জোর আর চিন্তাভাবনার একাগ্রতা সেই পনের বছর আগের মতন আর ছিল না।
তাই তারা একটা কথাও না বলে, রাস্তায় একে অপরকে ক্রস করে, ভিড়ে মিশে গেল, চিরদিনের জন্যে।

---------------------

বেশ মনখারাপ করা একটা গল্প, তাই না?

কিন্তু ঠিক এই কথাগুলোই আমার বলবার ছিল সেই মেয়েটাকে।


______________________________________________________________________________
মূল গল্পঃ Haruki Murakami's 'On seeing the 100% perfect girl one beautiful April morning'

মুরাকামির এই গল্পটা আমার বেশ পছন্দের, যদিও খুবই সাধারণ একটা গল্প।

* অনুবাদের বেশ কিছু অংশ মূল গল্প থেকে পরিবর্তীত।
আর ব্যবহৃত গানটা Jethro Tull -এর Stuck in the August Rain; ডাউনলোড লিংক


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

চলুক ১০০ % পারফেক্ট চোখ টিপি

তানিম এহসান এর ছবি

লেখায় চলুক আর বহু আগের একটা অদ্ভুত সকালের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য দেঁতো হাসি

সাফি এর ছবি

ঐ পার্ফেক্ট মেয়েটার ফুন নাম্বার নিয়া রাখা দরকার ছিলো
, ধুগো আইলো বলে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কী করবে বলেন, পনের বছর আগে তো দেশে হাতে হাতে মুবিল ফুন ছিলো না! ল্যান্ড ফোনও ছিল না সবার।

আর কাউরে পাইলেন্না সাফি ভাই, সবাই খালি রঙিন ভাইয়েরই পিছে লাগে... দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাফি এর ছবি

পিছে লাগলাম কই! গল্পের পুলাটাতো আমাদের মনির ভাই, আর মেয়ে হৈল আমরার মেম্বরের শ্যালিকা।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

শীর্ষেন্দুর 'জন্মান্তর' গল্পে ঠিক এরকম কিছু কথাই আছে!
যাই হোক, চমৎকার লেগেছে গল্পটা, প্রায়ানুবাদে উত্তম জাঝা!

মিলু এর ছবি

আহা!

Udash এর ছবি

প্রেমময়! হাততালি

...উদাস

তিথীডোর এর ছবি

এইটাই হলো বড় হয়ে যাওয়ার, বুড়ো হয়ে যাওয়ার সমস্যা, মনের জোর কমে যায়।

এটা একটা চ্রম খাঁটি কথা। [ভাবগম্ভীর ইমো]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এটা একটা চ্রম খাঁটি কথা।

হ! [দীঈঈঈঈইইর্ঘশ্বাস ইমো]

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ইংরেজিতে পড়েছিলাম আগেই। আপনার অনুবাদ আন্তরিক, টের পাওয়া যায়।

সুমন_তুরহান এর ছবি

সুন্দর! চলুক কেমন যেনো বিষাদ ছড়িয়ে আছে গল্পটিতে। অনেক ভালো লাগলো।

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

ভালৈছে। রিয়েলি বহুত ভালৈছে। মূল গল্পটা পড়িনাই। অনুবাদ কইরা একটা ভালো জিনিস হাতে পৌঁছায়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মৌনকুহর এর ছবি

কেমন একটা শূন্যতা ছুঁয়ে গেল মন মন খারাপ চলুক

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তানিম এহসান এর ছবি

সাত সকালে পড়েই মন্তব্য করেছিলাম, আসেনি মন খারাপ ... আবারও বলছি লেখা দারুন হয়েছে এবং আমাকে একটা পুরণো অদ্ভুত সকাল মনে করিয়ে দিয়ে গেছে দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

প্রথম মন্তব্যটাও এসেছে তো দেখছি। আমারো কাছাকাছি অনুভূতি হয়েছিল পড়ে। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি_পদ্মজা এর ছবি

এই অনুভুতি গুলো এখনো কাজ করে মানুষের মনে!
আবার সারা জীবনে কখনো'ই ১০০% এর সঙ্গে দেখা হলোনা। আকাঙ্ক্ষা কি এটাই?
ভালো লাগলো। হাততালি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমার মনে হয় সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুকেই ১০০% এর কাছাকাছি নেয়া যায়। তবে সবসময়ে সবার জন্যে তা করতে ইচ্ছা করে না আরকি।

ধন্যবাদ। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ...সুন্দর ও সাবলীল উপস্থাপনার জন্য।

সেদিন সকালে গুলশান ১ এর KFC-র পাশের গলিতে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে নিখুঁত মেয়েটার পাশ কাটালাম।...............সে পূব থেকে পশ্চিমে যাচ্ছিল, আর আমি পশ্চিম থেকে পূবে।.........কেন ২০১১ এর এক বৃষ্টিধোয়া চমৎকার শ্রাবণ সকালে ভাগ্য আমাদের দুইজনকেই গুলশানের ঐ গলিতেই এনে ফেলেছিল।...... আমরা ফুলের দোকানের সামনে এসে একে অপরকে ক্রস করলাম। হালকা উসুম একটা হাওয়া এসে লাগলো আমার গায়ে, গোলাপের সুবাসের সাথে। আর শেষপর্যন্ত আমি কিছুই বলতে পারলাম না।

পুনশ্চঃ গল্পটা পড়ার পর আমি অনেকক্ষণ ধরে ফুলের দোকানটা খুঁজে ফিরলাম (মনে মনে)...... কিন্তু নিরাশ হলাম না পেয়ে। আসলে ঐ গলিটার আশেপাশেই আমার আবাসস্থল হওয়ার সুবাদে ঐ গলি দিয়াই আমি প্রতিদিন আমার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্যই হয়ত এই অহেতুক খোঁজাখুঁজি।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হা হা হা! আপনার মন্তব্যটা আমার বেশ মজা লেগেছে। হাসি

নাহ, গুলশানের ঐ রাস্তায় কোন ফুলের দোকান নেই, আশেপাশেও নেই বলেই জানি। গুলশান-১ মার্কেটে একটা ফুলের দোকান আছে যেখান দিয়ে রাস্তা পেরুলে পোস্ট অফিসের রাস্তায় যাওয়া যায়। আর দুই নম্বরে রোড-35 থেকে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে উঠতে গিয়ে দু'টো ফুলের দোকান পড়ে, সেটা সুন্দর, কিন্তু পোস্ট অফিস থেকে অনেক দূরে। হাসি

মুরাকামির মূল গল্পে টোকিওর একটা পশ এরিয়ার কথা আছে, আমার অপশনগুলোর মাঝে তাই গুলশানকেই বেছে নিয়েছি। কিন্তু A&W-এর কাছে রোড-131, 132, 133 এত ঘিঞ্জি হয়ে গেছে এখন যে সেখানে গল্পের মেয়েটাকে বৃষ্টি-কাদা ডিঙিয়ে হাঁটানো গেল না, যদিও সেটাই পোস্ট অফিসের কাছে হতো। হাসি

তাই KFC ঐ রাস্তাগুলো এখনো কিছুটা ফাঁকা, কিছুটা অফিস, কিছুটা দোকান... সেখানেই আমাদের গল্পের নায়ক আর নায়িকার দেখা হওয়াটা শ্রেয় মনে হলো... আর একটা ফুলের দোকান তাই আমদানি করতে হলো কল্পনা থেকে... এই তো!

ধন্যবাদ এত মন দিয়ে পড়বার জন্যে। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

The Reader এর ছবি

পারফেক্ট চাই পারফেক্ট হাসি

দ্রোহী এর ছবি

এই গল্প পড়ে বুঝতে পারলাম মনির হোশেন কেন এখন পর্যন্ত বিয়ে করতে পারলো না!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ইয়াপ! মুরাকামি প্রায় তিরিশ বছর আগের এক গল্পে এই রহস্যের কারণ দিয়েছেন। <গম্ভীরভাবে মাথা নাড়ানো>

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাফি এর ছবি

ইরানি ছবি বারান দেখেছেন?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেখেছিলাম না, দেখলাম। বেশ পুতুপুতু টাইপ অযৌক্তিক প্রেমকাহিনি মনে হলো!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধন্যবাদ দিগন্ত বাহার, মিলু, উদাস, তারেক অণু, আশরাফ মাহমুদ, সুমন তুরহান, অতিথি অন্যকেউ, মৌনকুহর , অতিথি পদ্মজা, The Reader.

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ডুপ্লি ঘ্যাচাং

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আশালতা এর ছবি

অনুবাদ করার চেষ্টা করে দেখেছি কি ভীষণ কষ্টসাধ্য কাজ। সেটাই এত চমৎকারভাবে করে যাচ্ছেন, আপনাকে সেলাম। গল্প ভালো লেগেছে বলাই বাহুল্য।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এই জন্মদিনে আমি চমৎকার একটা উপহার পেয়েছি, গোয়েন্দা ঝাকানাকা। তার সাথে যোগ হলো এই গল্প। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যাযুব্যাকু। হাসি

রু (অতিথি) এর ছবি

আপনার জন্মদিন কবে ছিল? যাই হোক, দেরীতে হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, অনুবাদ ভাল লেগেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। বেশি দেরি হয়নি যদিও। যাযুব্যাকুর পোস্টের তারিখ তো তাই বলে। হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

my pleasure. হাসি

আর বাহ্‌! গোয়েন্দা ঝাকানাকাকে হাতে পেয়ে গেছেন অবশেষে! অভিনন্দন! (প্রথম পেইজে দাগী তিনজনের নাম ঠিকানা তত্ত্ব-তালাশের হদিস পেয়েছেন তো এবার? চোখ টিপি ) জন্মদিনের বিলেটেড শুভেচ্ছা। অনেক অ-নে-ক ব-অ-ড়-ও হন! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

অনুবাদ বেশ হয়েছে। গল্পটাও ভালো।

উসুম মানে কী?

অপছন্দনীয় এর ছবি

[মাথা চুলকানোর ইমো]

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধন্যবাদ কৌ, লতাপাতাপু, পছন্দ।

কৌ: 'উসুম' মানে হালকা গরম, যাকে বলে 'কুসুম কুসুম'

পছন্দ: উকুন হয়েছে নাকি? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমারও প্রশ্ন ছিল "উসুম" মানে কী। উত্তর উপরের মন্তব্যে পেয়ে গেলাম। তবে শব্দটা একেবারেই নতুন আমার কাছে। আগে শুনি নি। আঞ্চলিক নিশ্চয়ই?

অনুবাদ খুব ভালো হয়েছে। গল্পটা দারুণ লাগল। তা এই অনুবাদের কল্যাণেই।

ছোট্ট একটা ব্যাপার, ছেলেটার গল্প শুরু হওয়ার কথা ছিল "অনেককাল আগে" দিয়ে, কিন্তু শুরু হয় "অনেক অনেক দিন আগে" দিয়ে... এটা কি ইচ্ছাকৃত? মিল রাখলে মনে হয় আরেকটু মানানসই হতো।

আরও অনুবাদ আসুক।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি ভেবেছিলাম শব্দটা বেশ প্রচলিত, আঞ্চলিক কিনা জানি না যে...!

অনেক ধন্যবাদ অপ্র। তোমার দেখা পাওয়া তো অমাবস্যার চাঁদের দেখা পাওয়ার মতন! কিডিং... হাসি

গল্পটার শুরুতে ভাষাটা একটু পরিবর্তন করে দেয়াটা ইচ্ছাকৃত। আমরা সব সময়ে যা বলতে চাই, তা কি বলা হয়ে উঠে...? ঠিক যেমন করে বলতে চাই...? আমাদের কথার অর্থও কি ঠিক সেইরকমভাবেই ধরা দেয় যে রকম করে আমরা বুঝাতে চাই... বলতে চাই... সেই রেসপন্স কি পাওয়া যায় যা আমরা আশা করি...

Sometimes we speak too much, and often we do not say what needs to be said ... rarely, rarely we say just enough.

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।