পরদিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম আমরা, উদ্দেশ্য 'ব্যানফ ন্যাশনাল পার্ক'। বের হওয়ার আগে আপুদের বানানো স্যান্ডুইচ আর কফি দিয়ে আরেকবার রিচার্জ করে নিলাম নিজেদেরকে। ব্যানফ ন্যাশনাল পার্ক হল কানাডার সবচেয়ে পুরানো ন্যাশনাল পার্ক। ক্যালগেরী থেকে পশ্চিম দিকে ট্রান্স কানাডা হাইওয়ে ধরে ১২০ কিলোমিটার ড্রাইভ করে গেলে হাতের বামে পড়বে এই পার্কের কেন্দ্রস্থল 'ব্যানফ' শহর।
ছবির মত বলতে যা বোঝায় এই শহরটা আসলে ঠিক তাই। আমার ধারণা আসলে এরকম কোন শহরের ছবি দেখেই, 'ছবির মত শহর' কথাটার উৎপত্তি হয়েছে। এটা কানাডার সবচেয়ে বেশী পর্যটকপ্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে একটা। এট টের পাওয়া গেল গাড়ি পার্ক করতে গিয়ে। বিশাল বিশাল সব পার্কিং লটে একটা পার্কিং প্লেসও ফাঁকা নেই। শহরটা পুরোটাই পাহাড়-পর্বতে ঘেরা। আর রাস্তার পাশ দিয়ে শয়ে শয়ে রিসর্ট, এজন্যেই বোধহয় এটাকে 'রিসর্ট টাউন'ও বলা হয়। প্রায় সবকিছুই কাঠের তৈরী আর একই ধরণের রঙ আর স্টাইল। এই স্টাইলের মধ্যে কোথাও যেন একটা সুর আছে, সেই সুর একবার শুনতে পেলে মনে হবে শুধু এরকম একটা শহরের লেকের পাশে বসে বোধহয় একজীবন কাটিয়ে দেয়া যায়। কেউ এসে পাশে বসুক বা নাই বসুক, কেউ হাত ধরুক কি নাই ধরুক, কিছু এসে যায় না।
[পারীর কতটা বাস্তব আর কতটা কল্পনা সেটা দেখার সু্যোগ হয়নি, কিন্তু ব্যানফ যে পুরোটাই কল্পনা এটা বোধহয় বলে দেয়া যায়]
[ব্যানফের পুরোটা জুড়েই এরকম অনেক দিন পর খুঁজে পাওয়া হারানো সুর]
[এরকম পাহাড় আছে ব্যানফের চারিদিকেই]
গাড়িতে চড়ে ছোট্ট শহরটাতে একটু চোখ বুলিয়ে নিলাম। প্রকৃতির কোলে এসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে, ইনফরমেশান সেন্টার থেকে একটা ম্যাপ আর আশে পাশে দেখার কি আছে জেনে নিলাম। জানা গেল সবচেয়ে কাছের গন্তব্য 'সালফার মাউন্টেন', সাকুল্যে দশ কিলোমিটার হবে। ম্যাপ দেখে দেখে রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলাম। গাড়ি পার্ক করে আশে পাশে ঘুরে দেখার পালা এবার। পাহাড়ের একেবারে গোড়ায়ই দেখা গেল হট স্প্রিং, যেটার কারণেই পাহাড়ে নামকরণ হয়েছে সালফার মাউন্টেন। উঠে গেছে হাইকিং এর ট্রেইল, সাইনবোর্ড বলছে চূঁড়ায় উঠতে ২ থেকে ৫ ঘণ্টা লাগতে পারে। আমাদের হাতে সময় কম। পুরো পার্ক ঘুরে দেখতে হবে আজকে দিনের ভেতরেই।
[সালফার মাউন্টেনের উপর দেখা স্বর্গের আংশিক সৌন্দর্য যেটা নাকি আমাদের আনাড়ি হাতে ক্যামেরাবন্দী করা গেছে]
[ব্যানফের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বো নদী]
[যাদের সময় কম, ট্রেইল ধরে উঠতে না পারলে তাদের জন্যে ব্যাবস্থা আছে গন্ডোলার]
আমাদের মত কম সময় যাদের, তাদের জন্যেও ব্যাবস্থা আছে। টিকেট কেটে গন্ডোলায় চড়তে হবে, যেটা নিয়ে যাবে একেবারে সালফার পাহাড়ের চূঁড়ায়, যেখান থেকে দেখা যায় ব্যানফ শহর আর আশে পাশের স্বর্গীয় দৃশ্য। টাকা পয়সার কথা না ভেবে, টিকেট কেটে উঠে পড়লাম গন্ডোলাতে। পুরো পাহাড় জুড়েই পাইন বন। সবুজের ওপর দিয়ে চূঁড়ার দিকে উঠতে থাকি। ছবির মত শহরটার 'বার্ডস আই ভিউ' এর কিছু ছবি নেয়ার চেষ্টা চলে, কিন্তু গন্ডোলার কাঁচের ভেতর দিয়ে অত ভাল ছবি আসে না। শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বো নদী, সবুজে ঘেরা পাহাড় আর তার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নীল পানির নদী, কল্পিত স্বর্গ বোধহয় এরকম কিছু দেখেই কল্পনা করা হয়। উপর থেকে আরো চোখে পরে বিখ্যাত প্রাসাদপ্রতীম 'ব্যানফ স্প্রিং হোটেল'। উপর থেকে মনে হয় পুরো শহরের অর্ধেক জুড়েই আছে এই হোটেল।
পাহড়ের চূঁড়ায় ঘুরে দেখার জন্যে কাঠের সিড়ি করা আছে। এক এক দিকে তাকালে এক এক রকম দৃশ্য, এক দিকে শহর তো আরেকদিকে শুধুই পাহাড়, এক দিকে সবুজে ঘেরা পাহাড় তো আরেকদিকে পাহাড়ের চূঁড়ায় জমে থাকা বরফে সোনালী সূর্যরশ্মি। আমাদের মত ছাপোষা মানুষ যারা, এরকম জায়গায় হরহামেশা যায় না যারা, বাকরুদ্ধ হতে ভুলে যায়, ক্ষ্যাতের মত ক্যামেরার শাটার চলে শুধু, বিভিন্ন কম্বিনেশানে। নিচের তুলনায় বেশ ঠান্ডা, সাথে থাকা জ্যাকেটটা পরে নেই।
বেশীক্ষণ অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। আবার গন্ডোলায় চড়ে বসি। এক ব্যাটা দেখি সবার ছবি তোলায় ব্যাস্ত। কারণ বুঝতে না বুঝতে নীচে নামতে শুরু করি। ছবি তোলার কি কারণ থাকতে পারে চিন্তা করে পাই না। 'গন্ডোলা ফটোগ্রাফি' নামে ফটোগ্রাফির নতুন কোন শাখা আছে নাকি চিন্তায় পড়ে যাই। নীচে নেমে দেখি, এসব কিছুই না, এই মরার দেশে সব জায়গায়ই মানুষ ব্যাবসা ফেঁদে বসেছে, এক-একটা ছবি বিক্রি হচ্ছে বিশ ডলারে!
[১৮৮৭ সালে তৈরী প্রাসাদপ্রতীম ব্যানফ স্প্রিং হোটেল]
[ব্যানফ স্প্রিং হোটেলের একাংশ]
কাছেই ব্যানফ স্প্রিং হোটেল। ১৮৮৭ সালে তৈরী হওয়া এই হোটেলটা সামনে থেকে দেখতে একটা দূর্গের মত। কয়েকটা স্ন্যাপ নিয়ে কেটে পরলাম, অনেক কিছু দেখার বাকি। আরও কিছুদুর সামনে আগাই ম্যাপ দেখে দেখে, গন্তব্য বো ফলস। এই বো ফলস থেকেই উৎপন্ন বো নদী একটু পরে যেটা গিয়ে মিশেছে স্প্রে নদীতে। এই দুটো নদীই ব্যানফ টাউনের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে যাচ্ছে। মজার বিষয় হল এই ফালসের দুইপাশে আছে পুরাই ভিন্ন ধরণের শিলা দিয়ে তৈরী পাহাড়। এক পাশের শিলার বয়স অন্য পাশের শিলার বয়সের চেয়ে সত্তর মিলিয়ন বছর বেশী!
ততক্ষণে মধ্যদুপুর পার হয়ে গেছে। পরের গন্তব্য প্রায় ষাট কিলোমিটার ড্রাইভ, লেক মিনেওয়াঙ্কা। রকির বেশিরভাগ লেকের মতই এই লেকটাও গ্ল্যাসিয়াল লেক, যার মানে গ্ল্যাসিয়ারের পানি গলে তৈরী হওয়া লেক, পানি এজন্যে বরফ শীতল। পানিতে একবার পড়ে গেলে সাতার জানলেও রক্ষা নেই, ঠান্ডায় নাকি ত্রিশ সেকেন্ডও বাঁচা সম্ভব না, এরকম সতর্কবাণী চোখে পড়বে লেকের আশে পাশেই। প্রায় আটাশ কিলোমিটার লম্বা আর সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় দেড়শ মিটারের কাছাকাছি। রকির লেকগুলো বিসির লেকের মত এত বিশাল হয় না। এটাই নাকি রকি এলাকার সবচেয়ে বড় লেক। এই লেকের শুরুটাও বেশ মজার। একশ বছর আগেও নাকি এটা ছিল একটা ছোট্ট শুকনো লেক। এরপর একটা বাঁধ দেয়া হয় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে, আর এখানে পানি জমে হয়ে ওঠে বিখ্যাত লেক মিনেওয়াঙ্কা।
[এরকম একটা বোটে চলে যেতে পারেন ডেভিলস গ্যাপগুলোতে]
যতগুলো লেক দেখলাম সবগুলোর পানিই অদ্ভূত সবুজাভ। পাহাড়ের ওপরের কোন বিশেষ রকম কেমিক্যাল বা লবণ বোধহয় এর জন্যে দায়ী। এরকম জায়গায় আসলে একদিন বা একবেলার জন্যে আসলে ঠিক তাল পাওয়া যায় না। ক্রুইজের ব্যাবস্থা আছে এখানে, চাইলে চলে যাওয়া যায় পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে 'ডেভিলস গ্যাপ'গুলোতে; ভাল্লুক, হরিণ, পাহাড়ি ছাগল দেখা যাবে পাইন বনের ফাঁকে ফাঁকে। এসব কিছুই করা হয় না, সময়ের অভাবে; দেখছি আর প্ল্যান করছি আবার কবে আসব এক-দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়ে কোন টেনশান ছাড়া। একটা সাইন বোর্ডে দেখতে পাই এখানে কোন এক সময় মেরিলিন মনরো এখানে কোন এক সিনেমার শুটিং করেছিলেন। আশে পাশে মনরোর বিদেহী আত্মার উষ্ণ উপস্থিতি টের পাই। ফুরফুরে মন নিয়ে গাড়িতে চড়ে বসি।
কাছেই লেক লুইস। প্রায় এগারো হাজার ফিট উঁচু মাউন্ট ভিক্টোরিয়ার পাদদেশে, যেন ভিক্টোরিয়ার সন্তান। নামকরণও আসলে ওভাবেই করা; প্রিন্সেস ক্যারোলিন আলবার্টার নামানুসারেই এটা লেক লুইস, আর প্রিন্সেস ছিলেন রাণী ভিক্টোরিয়ার চতুর্থ কন্যা। এখানকার পানির রঙও অদ্ভূত 'এমারেল্ড' সবুজ। অদ্ভূৎ স্বর্গীয় রঙের পানির ওইপাশে ভিক্টোরিয়ার মাথার উপর শুভ্র বরফের মুকুট। বিকেল বেলার সূর্য সেই মুকুটের উপরে যেন কল্পিত স্বর্গরাজার মুকুটে সাতরাজার ধন। আশে পাশের পাহাড়ে আছে হাইকিংএর ট্রেইল, আর ক্যাম্পিং করার জন্য বরাদ্দ জায়গা।
[অদ্ভূত সবুজ পানিতে আলো, ছায়া আর রঙের খেলা]
[এরকম দু-একটা আই ক্যাচার পেয়ে যেতেও পারেন]
আছে ক্যানুইং এর ব্যাবস্থা। ভাবলাম টাকা পয়সা হাতের ময়লা, টাকার দরদ না করে ক্যানুইং এর খোঁজ নিতে গেলাম। তিনজনের জন্যে ঘন্টায় পঁয়তাল্লিশ আর আধাঘণ্টায় পঁয়ত্রিশ ডলার। বুদ্ধি করে জিজ্ঞেস করলাম আমরা পাঁচজন ভাগাভাগি করে একঘণ্টা ভাড়া নিতে পারব কিনা। আমাদের চেহারায় দারিদ্রের ছাপ দেখেও মনে দয়া হয়না তাদের। কি আর করা, টাকা পয়সা লেক লুইসের পানিতে ফেলারই সিদ্ধান্ত নেই।
একদিকে সাতার জানিনা আমরা কেউই, আরেকদিকে গ্ল্যাসিয়ারের বরফ শীতল পানি, একটু ভয় ভয় লাগে। ডিঙ্গি চালনা যে এত সহজ কাজ না, এই ধারণা আগে ছিল না। প্রথম দিকে তিনজনের উল্টা-পাল্টা বৈঠা চালনায় কিছুক্ষণ ব্রাউনীয় গতির মত ইতস্তত গতিপ্রাপ্ত হই। কিন্তু আমরা মেধাবী গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট, প্রফেসরের কথায় কথায় পেপার নামাই, তাই নৌকা চালানো শিখতে সময় লাগে না। কিছুক্ষণ পর ভয়টাও কেটে যায়, এর মধ্যে চমৎকার বাতাস; 'বেঁচে থাকার অনেক আনন্দ', এরকম সস্তা দার্শনিক ভাবনাও খেলা করে মাথায়। একঘণ্টা সময় চোখের পলকে কেটে যায়।
ততক্ষণে প্রায় আটটা। দিনের খুব বেশী বাকি নেই। সুর্যের তেজ কমে গেছে, কনে দেখা আলোয় ভিক্টোরিয়াকে চমৎকার লাগে। প্রেমে পড়ে যাই। কিন্তু বয়স হয়েছে, হুটহাট প্রেমে পড়া আর মানায় না। তাই পা বাড়াই সামনের দিকে। গাড়িতে চড়ে বসি, গন্তব্য লেক মরিন, এখান থেকে প্রায় পনের কিলোমিটার। অন্য লেকগুলোর চেয়ে এই লেকটা একটু যেন অন্যরকম, অনেক বেশী শান্ত, গম্ভীর। দশটি পাহাড়ের ভ্যালীতে অবস্থিত এই লেকটা। মনে হয় চারিদিকে শুধুই পাহাড়ের কারণেই এখানকার পানি অদ্ভূত শান্ত, পাহাড়গুলোর প্রতিবিম্ব পড়েছে এই মায়াবী সবুজ আয়নায়। লেকের চরিত্রের সাথে আমাদের যাওয়ার সময়টাও মিলে গেছে অদ্ভূতভাবে; স্তব্ধ সন্ধ্যা, ঘরমুখী লোক বোধহয় ঘরের পথ ধরেছে, আর সব স্তব্ধতা দেখে লেকের পানিও তাই আশ্চর্য রকমের স্তব্ধ। সবুজ আয়নায় নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখি, পাহাড়ের সাথে আমরাও ডুব দেই মায়াবী সবুজ অরণ্যে।
[অনেক খুঁজেও লেক মরিনের কোন ছবি পেলামনা, কিছু ছবি বোধহয় স্মৃতির খাতায় জমা থাকাই ভাল]
সম্বিত ফিরে আসে। আমাদের মত সূর্যও বোধহয় বেশ ক্লান্ত। ফিকে হয়ে আসা আলো দেখ ওর ক্লান্তি বেশ টের পাই। ঘড়ির দিকে চোখ যায়, প্রায় দশটা। মায়ার রাজ্য ছেড়ে বাস্তবের দিকে পা বাড়াই। পেটও যে জানান দিচ্ছে, ডিনারের দেরী হয়ে যাচ্ছে যে।
মন্তব্য
ছবি আর লেখা ভাল হয়েছে খুব! জব্বর...আসলেই অনেক সুন্দর...
মোরেইন লেকের ছবি লাগবে? এখানে!
আসলে সব লেক সবুজ না...মোরেইন লেক যেমন নীল! আমি প্রতিটা লেকের রঙ ভিন্ন পেয়েছি...আর সেই রং পালটায় বেলার সাথে সাথে। অবশ্য আপনারাতো থাকেন দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর লেকগুলোর পাশে!
শীতের সময় আসুন, ভিন্ন সৌন্দর্য পাবেন!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
চমৎকার। প্রস্তুত থাকেন আমি আসলে হাইকিং-এ যেতে হবে। ইউকন টা ঘোরার খুব শখ, জ্যাক লন্ডনের কল্যাণে। আরো লিখতে থাকেন, মস্কো থেকে শুভেচ্ছা
facebook
@শান্তনুদাঃ আসলে প্রতিটা লেকের পানির রঙ কিছুটা ভিন্ন তো বটেই, কিন্তু সে রঙ লিখে প্রকাশের সাধ্য আমার এখনও হয় নি
@অনু ভাইঃ চলে আসেন সময় করে, প্রফেসর যদি বেকায়দায় চাইপা না ধরে আপনার লগে আছি। ঘুরে আসেন মস্কো থেকে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার ছবি তোলার হাত খুব ভাল। লেখাও সরস (বিশেষ করে ব্রাউনিয় গতি...)
আপনি কি এডমন্টন বা ক্যল্গেরি থাকেন এখন?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
@ফাহিম ভাইঃ
আমি এখন আছি 'কেলোনা'তে, এটা ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটা ছোট শহর। ইউনি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটা ক্যাম্পাস আছে এখানে। এখানে মাস্টার্স করছি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ।
যদিও ১০০% নিশ্চিত না, তবে মনে হচ্ছে আপনাকে আমি মানুষের মুখের কথায় চিনি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খুব সুন্দর!!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ইশ, দুনিয়ার কত কিছুই দেখি নাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার এই ভ্রমণকাহিনীর নিয়মিত পাঠক আমি।
ছবি গুলো দেখিয়ে তো আবার উদাস করে দিলেন
ভালকথা, দেশে আসলে আমার জন্য একটা আই ক্যাচার নিয়ে আসবেন কিন্তু
লেখা ও ছবিতে
--স্বপ্নাদিষ্ট
=============================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
ওখানে যদি যাওয়া যেত... আহ, স্বপ্ন দেখাই সার ।
মুস্তাফিজ ভাই, মৃত্যুময়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
@স্বপ্নাদিষ্টঃ নিয়মিত পাঠের জন্য , মাঝে মাঝে উদাস হওয়া ভাল, হার্ট ভাল থাকে, আই ক্যাচারের কথা মাথায় থাকল।
@দ্যা রিডারঃ স্বপ্ন দেখলেই হবে ... একদিন ঠিক চলে আসবেন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একদিন আমিও যাব, এই আশায় ঘর বেধেঁছি মনের ভেতর
অবশ্যি অবশ্যি আসবেন, অপেক্ষায় থাকলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ওয়াও, ফাটাফাটি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন