তারেক মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, এই খবরটা শোনার পর প্রথম যে কথাটা আমার ভেতর থেকে বের হয়েছিল তা হচ্ছে, “I don’t believe it. This is not fair.” সবার কথায় যখন মনে হচ্ছে খবরটা ঠিক, চোখ দিয়ে বারবার পানি বের হয়ে যাচ্ছিল, অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারছিলাম না। আমি এখনো পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছি না যে সত্যিই ব্যাপারটা ঘটেছে। অনেক অস্থির লাগছে। কয়েক ঘন্টা ধরে মনে হচ্ছে কিছু লিখলে হয়ত মনটা একটু শান্ত হবে। মনে হচ্ছে তারেক মাসুদ-ক্যাথরিন মাসুদকে নিয়ে কিছু লিখি, বাংলাদেশের সড়ক ব্যাবস্থা নিয়ে কিছু লিখি, বাংলাদেশের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ড্রাইভারদের দক্ষতা নিয়ে কিছু লিখি, ঈদে বাড়ী গেলে স্ত্রী-ছেলে সহ সবাই অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসব কিনা সেই ভয় নিয়ে লিখি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আমার অস্থির মনে গোছানো কোন চিন্তা নিয়ে আসতে পারছি না। তাই আমার ছড়ানো ছিটানো অনুভুতিগুলোই লিখলাম (অনেক অস্থিরতা নিয়ে লিখছি, অনেক ভুল থাকতে পারে)।
“আমি একজন দুর্বল মানুষ। প্রতিদিন কত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, কত মানুষ মারা যায়, সেদিন আমার কলিগ শোয়েবও মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সড়ক দুর্ঘটনায় একজন চিত্র পরিচালক মারা গেলে আমার কি? হোক না সে তারেক মাসুদের মত একজন পরিচালক? তাতে আমার কি আসে যায়? আমি আসলেই একজন দুর্বল মানুষ, আমি কোনভাবেই আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না।”
“সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানওতো সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। তাতে কোন দলেরই বিশেষ কোন অনুভুতি তৈরী হয়নি, কাউকে নিরাপদ সড়ক নিয়ে কোন উচ্চবাক্য করতে দেখি নি। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে এই বিষয়ে কিছু একটা করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন, অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। ২ দিন পরেই তারেক মাসুদের ব্যাপারে দুঃখ করার জন্যও হয়ত আর কাউকে পাওয়া যাবে না, আরো অনেক ব্যাপার চলে আসবে দুঃখ করার জন্য। অনেক অনেক ক্ষমতাশীল মানুষের স্বার্থ জড়িত এগুলোর সাথে। যত দ্রুত ভুলে যাওয়া যায় ততই ভাল।”
“একটা বাস ড্রাইভার একজন তারেক মাসুদকে চাপা দিয়ে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শেষ উজ্জ্বল আলোটা নিভিয়ে দিয়ে চলে গেল। আর আমরা গালে হাত দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকব। সাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়।”
“আমার বড় ভাইয়া অনেক বেশী অসুস্থ। প্রতি মাসে ১/২ ব্যাগ রক্ত নিতে হয়, ৩/৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। ৪ মাস ধরে তার সাথে দেখা হয় না। গত এক মাস ধরে আমি জানি এই ঈদের ছুটিতে অবশ্যই বাড়ী যাব। আজকে আমি ভয় পাচ্ছি, ভাবছি বাড়ীতে না গেলে হয় না। ঈদে বাড়ীতে যেতে হলে অনেকবার ছোট যানবাহনে উঠতে হবে, বড় বড় বাসের মুখোমুখী হতে হবে। সিলেট থেকে বের হয়ে আমি, আমার স্ত্রী এবং ছেলে ৩ জনই কি আবার সিলেটে ফিরে আসতে পারব?”
“আমি একা কোন কিছুর মুখোমুখী হতে কখনো ভয় পাইনি। কাছের কাউকে হারানো নিয়েই বেশী ভয় হয়। ক্যাথরিন মাসুদ বেঁচে গিয়েও বারবার মৃত্যুকে অনুভব করবে সারাজীবন।”
“ক্যাথরিন মাসুদের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে অনেকবার তার অনুভূতিটা বোঝার চেষ্টা করেছি। কাছের মানুষকে হারানো সবসময়ই কষ্টের। কিন্তু একই দুর্ঘটনায় কাছের মানুষকে হারিয়ে নিজে বেঁচে যাওয়ার মত কষ্টের আর কোন ব্যাপার হতে পারে না।”
আর কতটা মৃত্যুর পর আমাদের রাষ্ট্র নিরাপদ সড়কের কথা সত্যিকারভাবে ভাবতে শুরু করবে?
সুমন_সাস্ট
মন্তব্য
একজন একাত্তরের মুক্তির গান নিয়ে ফিল্ম করেছিলেন। আরেকজন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাঁর বাবা অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীকে একাত্তরে হত্যা করেছিল পাকবাহিনীর দোসররা। দুজনই গভীরভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তারা গিয়েছিলেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় রূপসা শালজানা গ্রামে একিম উদ্দিনের বাড়িতে কাগজের ফুল সিনেমার স্পট দেখতে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ, শিল্পীদম্পতি ঢালী আল মামুন ও দিলারা বেগম জলি এবং কয়েক সহকর্মী। ইত্তেফাক লিখেছে--সেখান থেকে তারা লোকেশন পরির্দশন ও কিছু কাজ শেষে এটিএন নিউজের সিইও মিশুক মুনীরসহ অন্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দ্রুতগতির মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-০৩০২) ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর বিপরিত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গার পাথুরিয়াগামী সিডি ডিলাক্স পরিবহনের একটি কোচের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪২৮৮) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্যাথেরিন মাসুদ, শিল্পীদম্পতি ঢালী আল মামুন ও দিলারা বেগম জলি মৃত্যুর সঙ্গে এখন পাঞ্জা লড়ছেন। চালকসহ মাইক্রোবাস আরোহী ৯ জনের মধ্যে প্রোডাকশন বয় সাইদুর রহমান (২৫) অক্ষত রয়েছে। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকের আসনসহ ডান দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জোকা বাসস্ট্যান্ডের প্রায় ৩শ’ ফুট পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি বিপজ্জনক মোড় অতিক্রমকালে কোচচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে এসে বিপরীতমুখী মাইক্রোবাসকে আঘাত করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীর পথে নাই হয়ে গেলেন। এ মৃত্যু পূরণ হয় না। আমাদেরকে আরও শূন্য করে দিয়ে যায়। কিছু অসৎ মানুষ পূর্ণ হয়।
যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, সামনের বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়েই তারা মারা পড়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি, তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি একটি বাসের পেছনে পেছনে যাচ্ছিল। বাসটিকে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আরেকটি বাস আসলে সংঘর্ষ হয়। এভাবে ওভারটেক করা ঠিক হয়নি। রাস্তা বা সিগনালের কারণেও এ দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সোজাকথায় প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এ মৃত্যুর দায় মৃতদের উপরেই চাপিয়েছেন। এই লোকটি তার মেয়েটি রুবাইয়েতকে দিয়ে মেহেরজান ছিঃনেমা করে মুক্তিযুদ্ধকে চাপা দেওয়াচ্ছে। আর নিজে মুক্তবুদ্ধিকে বাস চাপা দিচ্ছে।
রাষ্ট্র এখন এখন আজবকাল অতিক্রম করছে। দেশে দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মানুষের খাবার কিনে খাওয়ার উপায় নাই। বানিজ্যমন্ত্রীর পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাজারকে তাদের বস্তাবন্দী করে ফেলেছে। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ না করে মন্ত্রী বলছেন, মানুষ কম খেলেই পারে। দোষটা অসৎ ব্যবসায়ীদের নয়। অর্থমন্ত্রী বলছেন বাজারে যাওয়া ছেড়ে দিন। দোষটা বাজারের না--দোষটা না খেতে পাওয়া অর্থহীন জনগণের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজের পালিতপুত্রকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছেন--আর সন্দেহের বশে লোকজনকে পিটিয়ে খুন নিশ্চিত করাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি খুনীদের ছেড়ে দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলছেন, রাষ্ট্রধর্ম বজায় রেখেছি। এখন আল্লা আল্লা করেন। আর বিরোধিদলের নেত্রী তার দুর্নীতিগ্রস্থ পুত্রদের রক্ষায় হরতাল দিচ্ছেন। রাষ্ট্রটা খুনীদের তাল্লুকে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা হচ্ছি গাছপাথর। আমরা নড়ে চড়ে উঠছি না।
এই মৃত্যু আমাদেরকে অপরাধী করে না। খুনী করছে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
মন্ত্রী ভাল করেই জানেন কিছু একটা বলে একদিন পার করতে পারলেই হয়। আগামীকাল থেকেতো কেউ তার সাথে এই বিষয়ে কথা করার সুযোগই পাবে না।
আর কতটা খুনের দায়ভার মাথায় চাপার পরে বিবেকবোধ জেগে উঠবে?
সুমন_সাস্ট
মন্ত্রী কতটুকু জেনে বলেছেন, আর কতটুকু দায়সারা গুল মেরেছেন জানা নেই, তবে তিনি যেই ধরণের কারণ দেখিয়েছেন ওটা কিন্তু আমাদের হাইওয়েতে হরহামেশাই ঘটে। এটা খুবই ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতি এবং একবার আমি নিজেই এক বাস যাত্রী সহ একবার এমন দুর্ঘটনায় পড়তে নিয়েছিলাম।
এমনিতেই আমাদের হাইওয়েগুলো বেশ সরু। একমুখী একটা রাস্তায় মাত্র একটা বাস বা ট্রাকই আঁটে। তাই সেটাকে ওভারটেক করতে হলে অবশ্যই পাশের অপজিট ওয়েতে গাড়ি উঠিয়ে দিতে হয়।
এক্ষেত্রে সামনে একটা বাস বা বড় যানবাহনের ঠিক পেছনে অন্য একটা গাড়ি থাকে। সামনে বড় গাড়িটির কারণে তারও সামনের কোনোকিছু পেছনের গাড়ির ড্রাইভারের দেখা সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে আনাড়ি ড্রাইভাররা স্পিড উঠিয়ে সামনেরটাকে অতিক্রম করতে যেই না পাশের বিপরীতমুখি রোডে গাড়ি উঠিয়ে দেয়, অপরদিক থেকে ধাবমান বাস বা ট্রাক যদি সন্নিকটে থাকে, সেটা তার দেখা সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনা অনিবার্য।
এরা দুজনই আমার সবার বড় ভায়ের বন্ধু ছিলেন। তারেক ভাই অনেকদিন বুয়েটের তিতুমির হলে বড়ভায়ের রুমে থাকতেন। আমরা দেখতাম তখন সাদা একটা চাদর পড়তেন সবসময়। মিশুক ভাই একটু আলাদা ছিলেন, শুনেছি ছাত্রাবস্থাতেই উনি কাজ করতেন পরিবারের খরচ মেটানোর জন্য। বড় ভায়ের কাছে শুনেছি উনারা টিউশনি শেয়ার করতেন। আহত ঢালী মামুন ব্যক্তিগত ভাবে আমার খুব কাছের মানুষ, চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কে কেন্দ্র করে বছর দুই আগে আমরা চিটাগাং ভার্সিটির পুরা ট্রেনটাকে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ এই থিমে মুড়িয়ে দিয়েছিলাম, এর পেছনের মানুষটা ছিলে উনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট, রাস্তার নিয়মকানুন না জানা অদক্ষ ড্রাইভার, ফিটনেসবিহীন গাড়ি সবকিছু নিয়ে এমন এক মৃত্যুফাঁদ - এর থেকে প্রতিকার নেই।
অনেক কিছু লিখেছিলাম, মুছে দিলাম, বলার মত কোন ভাষা পাচ্ছি না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার লেখায় ছোট্ট একটা ভুল করে ফেলেছি। গেস্ট একাউন্ট থেকে এডিট করা যায় না বলে চেঞ্জ করতে পারিনি। আমার লেখার শুরুটা হওয়ার কথা, “তারেক মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনায় খুন হয়েছেন, এই খবরটা ...”। কারন আমি সড়ক দুর্ঘটনাকে আর দুর্ঘটনার পর্যায়ে ফেলতে পারি না। যদিও এখনো আমি শিউর না সড়ক দুর্ঘটনার বিকল্প শব্দ হিসেবে “সড়ক হত্যা” সঠিক হবে কিনা।
সুমন_সাস্ট
'সড়কহত্যা' ঠিক হবে মনে হয়, 'সড়কে সংঘটিত হত্যা = সড়কহত্যা' এভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।
_____________________
Give Her Freedom!
অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি নিজেও স্তব্ধ এই ঘটনায়।ভক্ত ছিলাম তারেক মাসুদের .......তাই ..মেনে নিতে পারছিনা ।
ভীষন কষ্টে, দূঃখে এত খারাপ লাগছে যে কিচ্ছু বলতে ইচ্ছে করছে না, কিচ্ছু না, কিচ্ছু না...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমার কখনো মনে হচ্ছে কিছু না বলে চুপ করে বসে থাকি, কখনো মনে হচ্ছে সড়ক সংশ্লিষ্ট সবার সামনে গিয়ে চিৎকার করে করে তাদের অনুভূতি তৈরী করি।
সুমন_সাস্ট
তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীর, দুজনের কাউকেই চোখে দেখিনি কিন্তু এদের সম্পর্কে জানতাম। সম্ভবত আমরা সবাই মিলে একটা নির্দিষ্ট স্বপ্নও দেখতাম। মুক্তচিন্তার বিকাশের স্বপ্ন। বন্ধু সৈকতকে একটু আগে লিখেছি যে স্বপ্নটা জিইয়ে রাখতে হবে, তাতেই ওরা বেঁচে থাকবেন।
এইমাত্র কানাডা থেকে আমার এক মুক্তিযোদ্ধা প্রবীন বন্ধু (৭১'এর শহীদ নিজামুদ্দিনের বড়ো ভাই) মেইল দিলেন। তিনি মিশুকের বড়ভাই ভাষান (আহমেদ) মুনীরের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই ১৯৭৭ থেকে মুনীর পরিবারের সাথে তার বন্ধুত্ব। মেইলে তো আর দেখা যায়না, কিন্তু আমি অনুভব করছি, তার কন্ঠ ঠিকই বাষ্পরূদ্ধ হয়ে পড়েছে।
পরিবহন সেক্টরের কথা বলে লাভ নেই। কয়েকদিন আগে উত্তরা হাউস বিল্ডিংএর মোড়ে এক কিশোর বাস চালক আমার গাড়িকে মেরে দিয়েছিলো প্রায়। এরপর ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতে সে আমার গাড়ির ড্রাইভারেকে পারলে ধরে মারে। ট্রাফিক মহোদয় দাঁত কেলিয়ে হাঁসছিলেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমি সবসময় আশাবাদী চিন্তা করতেই চাই। আমাদের অনুভূতি দিয়ে আমরা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে পারব, দেশের জন্য তাঁর ভালবাসাটা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারব, কিন্তু তারেক মাসুদের মেধার বিকল্প কিভাবে তৈরী করব সেই ব্যাপারে কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।
সুমন_সাস্ট
আর কিছু বলার নাই, আমাদের গনত্ন্ত্র আমাদের সে অধিকার দেয়নি।
.........
কুলদা রায় কমেন্ট এ খুব ঠিক কিছু কথা বলেছেন ...।
নতুন মন্তব্য করুন