আমি ওদের দেখেছিলাম একেবারে
কাছ থেকে, হৃদয়ের অতি কাছ
হতে ছুয়ে দিয়েছিলাম ওদের গভীর কালো ভেজা চোখ ।
শীর্নকায় পাঠকাঠির মত হ্যাংলা আর নিষ্পাপ
প্রানময় শরীর গুলোর সাথে আমি অনেক খেলেছি হাডুডু আর কানামাছি ।
হুজুরের নিঃস্পৃহ চোখ
পেরিয়ে প্রয়াশই ধরতে গিয়েছি কতযে লাল নীল প্রজাপতি
ওরা জানত ঐশী ছোঁয়ায় ওরা আলোকময় হয় অহর্নিশ
আমিও অবাক চোখে দেখতাম __
তূর পাহাড়ের নুর ভর করেছে ওদের ছোট্ট শরীরময়
উচ্চস্বরে দুরুদের ভেতর দিয়েই অনুক্ষন
বাবাদের লুঙ্গি আঁকড়ে চলে যেত ওরা
কদমতলির মেলা
লাল রঙের টুকটুকে মাটির ঘোড়াটা কেনার সময়ই হঠাৎ
বাগড়া দিত হুজুরের রংচটা বেতের লাঠি ।
মুহুর্তে অবাধ্য মন ফিরে আসে আমপারার ধূসর জগতে ।
ওদের নিষ্পাপ শরীরেরা প্রতিদিন তৈরি হয় প্রতিশোধের নেশায়
এক অসভ্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনিবার্য অস্ত্রধারণে
ওদের প্রতিদিন এগিয়ে যাওয়া;
যে রাষ্ট্র নিতে পারে নাই তাদের ভরন পোষণের অনিবার্য দায়
যে ভ্রুকুটি করেছে বরং তাদের অস্তিত্বকেই
আমি দেখেছি কিভাবে
মরে যেতে থাকে ওদের ঘাসফড়িঙ
হবার দুরন্ত ইচ্ছা অথবা প্রজাপতির পাখা ছুইয়ে দেয়া
পবিত্র বইয়ের পাতা হতে শক্তি আর আলোকের পিঠে বিষ
বাষ্প শুষে নেয় ধমনি আর শিরায় শিরায়
আমি তা হতে দিতে চাই নি
আমি কখনোই তা হতে দিতে পারি না
ওরা আমার আপনার আপন
ওরা এসে মিশে চলে আমার শরীরে ।
আমি ওদের নিয়ে ছুটতে চেয়েছি জঙ্গলময়,
সরিষার ক্ষেত হতে শাপলার বিল
আমার ক্যামারার ভিতর আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম দুনির্বার ইচ্ছা
ওদের স্বদেশ ফিরিয়ে দেবার ।
সোয়াদ আহমেদ।
১৪ আগস্ট, ২০১১
মন্তব্য
_____________________
Give Her Freedom!
দুর্দান্ত একখান কবিতা হয়ে গেল যে!!! আবেগ ছুঁয়ে গেল।
আপনার কবিতা এই প্রথম পড়লাম। ভালো লেগেছে। আরও কবিতা চাই। ভালো থাকবেন ভাই, শুভেচ্ছা,
ধন্যবাদ সবাইকে __ !!! @ মৃত্যুময় ঈষৎ ; @ সাইফ জুয়েল
আমার গদ্য লিখে অভ্যাস, তবে আপনার কথায় উৎসাহ পেলাম । @ তানিম এহসান
সোয়াদ আহমেদ।
sowadahmed@gmail.com
http://sowadahmed.blog.com/
নতুন মন্তব্য করুন