ব্রিটেনের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ, লুটতরাজঃ সরল সমীকরণ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১১ - ৯:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্রিটেনের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ, লুটতরাজঃ সরল সমীকরণ

একটি অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুকে ঘিরে ব্রিটেনের বড় বড় শহড়গুলোতে যে ভয়াবহ বিক্ষোভ, লুটতরাজ সংঘটিত হল তার নানাবিধ কারন অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতিগত বৈষম্য, উপযুক্ত শিক্ষা এবং কর্মসন্থানের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর, তরুণদের বিক্ষোভ এবং এর নামে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার এরকম প্রবল উৎসাহের পেছনে আর কি যুক্তি থাকতে পারে, ইংলেন্ডের মত একটি উন্নত সমাজে?
গত প্রায় একবছরে মধ্যপ্রাচ্য সহ বেশ কিছু দেশে স্বৈরশাসক সরকারদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগনের ব্যাপক বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা সফলও হয়েছে।

বলাই বাহুল্য, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এখন সাধারণ জনগন বা বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছে। লিবিয়ায় তো সরাসরি সামরিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে গাদ্দাফি সরকারকে হটানোর জন্য। অথচ এই সব স্বৈরসাশকের ঘনিষ্ট মিত্র ছিল যুক্তরাজ্য সহ অন্যরা। তাদের সমর্থন আর সহযোগিতায় ঐসব স্বৈরশাসক এতদিন জুলুম, নির্যাতন, শোষণ করেছে। এখন যখন সাধারণ জনগন জেগেছে, আর উপায় কি? তাদের হটাও। আর এসব আন্দোলন বিক্ষোভের সচিত্র সংবাদ মুহুর্তেই জানতে পারছে বিশ্ববাসী। দেখা যাচ্ছে, যারা বিক্ষোভ ভাংচুর করছে তারা প্রশংসিত হচ্ছে। অর্থাৎ গন আন্দোলনকে মানুষ সাধুবাদ জানাচ্ছে। আর এটাই উজ্জীবিত করেছে ব্রিটেনের তরুনদের। যাকে বলা হয় অবসার্ভেশনাল লারনিং। তারা দেখছে, অনেক দেশে আন্দোলন সংগ্রাম হচ্ছে, আমাদের সরকারও সমর্থন করছে তাদের, তাহলে আমরা চুপচাপ বসে থাকব কেন! ইস্যু তো এখানেও আছে। প্রযুক্তির আশির্বাদে যোগাযোগ, জনমত তৈরি আর সংগঠিত হওয়া তো খুবই সহজ। ব্যস, নামো রাস্তায়, চালাও ভাংচুর, নিয়ে যাও যা পাও কাছে! ১২-১৩ বছরের কিশোর-কিশোরীদের এই কাজে যোগ দেয়ার আর কি কারন থাকতে পারে?
পৃথিবীটা আসলেই এখন ছোট্ট একটি গ্রাম। এই গ্রামের একপাশে ক্ষত হলে, বা পরিকল্পিতভাবে কেউ ক্ষত সৃষ্টি করলে, তার প্রভাব অন্যদের ওপরও পরবে।

মোঃ আজহারুল ইসলাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


মন্তব্য

The Reader এর ছবি

হুম । তবে কিশোর বয়সিদের জড়িয়ে পরার ব্যাপারটি খুবই আশঙ্কাজনক ।।

নৈষাদ এর ছবি

মন্তব্য দুইবার আসায় একটা বাদ।

নৈষাদ এর ছবি

আপনার বিশ্লেষণের সাথে সম্পুর্ন একমত হতে পারিনি। এর সাথে মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনার তেমন একটা মিল নেই। সোসাল সাইকোলোজিস্ট দের দেয়া ‘deindividuation’ এবং ‘emergent norm theory’ আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।

অতিথি আমি এর ছবি

deindividuation’ এবং ‘emergent norm theory’ টা বিশ্লেষণ করবেন কি?

guest_writer এর ছবি

সহমত, এর সাথে মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনার কোন সংযোগ নাই, ফোর্স করে মিল দেখানোর চেষ্টা না করাই ভাল।

========
আমি জানি না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।