আমজনতার আবার মৃত্যু! মন্ত্রীরা বেঁচে থাকুন, আমরাই বরং সবাই মরে যাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৮/২০১১ - ১:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রচন্ড ক্ষোভ থেকে লিখছি । এই ক্ষোভগুলো অনায়েসে একটা ক্ষোভের এটম বোমা তৈরীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হবার ক্ষমতা রাখে । চলে গেলেন দুজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব । জাতির অনেক কিছুই যায় আসে এতে । যায় আসে সাধারণ মানুষেরও । কিন্তু ঐ দুই দলের কিছুই আসবে যাবেনা । এই দুই দল ছাড়া দেশের সবাই আমজনতা । তাদের কাছে আমজনতা আসলে কতটুকু মানুষ তা নিয়ে আমি নিজেই সন্দিহান । যদি মানুষই হতো তবে আমজনতার মৃত্যু তাঁদের ভাবাতো । ২০০৩ সালে সাস্থ্য ও দুর্ঘটনা জরিপে মারা গেছে ১৩ হাজারেরও বেশি লোক । এ জরিপ সত্য হলে আট বছরে মারা গেছে ১ লাখেরও বেশি(সুত্র : ১৪ আগষ্টের তারিখের প্রথম আলো)। এই মৃত্যু কি গণহত্যা নয় ? সম্প্রতি মীরসরাইয়ে ৪১ জনের মৃত্যুতে পুরো জাতি কাঁদলো । এই যে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, কি করছেন আপনারা ? এসব করতে আপনারা ভুলে যান । কিন্তু বিরোধী দলকে কখন কি বলতে হবে তা তো একেবারেই ভুলেন না । গতকাল মানিকগঞ্জ এবং পাবনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন । যাদের মধ্যে ছিলেন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনির । তাঁদের সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই । কর্তাব্যক্তিরা বেশিরভাগ উড়াল দিয়েই চলা ফেরা করেন,আর যদি কখনো রাস্তায় চলাচল করেনও তখন দুই পাশের রাস্তাই বন্ধ করে দেয়া হয়, পাছে তাদের যদি কোন প্রবলেম হয় ! তাদের প্রবলেম হলে জাতির হইবে কী......! তাই তাঁদের বুঝার কথা নয় । তাঁরা এতই দেশ নিয়ে চিন্তিত যে, এই দুই দলের বাইরে আর দেশ প্রেমিক খুঁজে পাওয়া বিরল । ওনারা দেশের সেবা করে যাচেছন আর জনগনের কথাই বলে যান প্রতিনিয়ত । আর সেই জনগনেরই ঘর থেকে বেরুলে ফেরার নিশ্চয়তা নেই । সরকারি দল আছে বিরোধী দল খালি ষড়যন্ত্রই করে, আর তারা শুধু দেশপ্রেম নিয়েই ব্যস্ত । আর বিরোধী দল ব্যস্ত বাসা-বাড়ি,তারেক আর অজুহাত নিয়ে । এই হল দেশের প্রধান দুই দলের অবস্থা । আর কিছু নিয়ে ভাবার সময় কোথায় ওদের? দেশটা যে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে তা কি তারা ভেবে দেখেন? নৌ মন্ত্রীর কান্ড সেদিন দৈনিকে পড়ে, ছোটবেলায় পড়া একটা আজব দেশের ছড়া মনে পড়ে গেল ,‌‍‍‍ ‍‌‌‌ডাঙ্গায় চড়ে রুই কাতলা,জলের মাঝে চিল । আমাদের দেশটা এমনই এক আজব দেশ হয়ে গেছে । কেননা স্বয়ং নৌ মন্ত্রী নাকি সড়ক পথের ব্যাপারে মাথা ঘামান । তিনি সত্যিই কাজ পাগল মানুষ । নিজের কাজের বাইরেও তাঁর কত কাজ!!
প্রথম আলোর খবর থেকে জানা গেল তিনি পরীক্ষা না নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিআরটিএ কে চাপ দেন । যোগাযোগ মন্ত্রীও সায় দেন তাতে । লোকবল কম থাকার অজুহাত দেন । প্রতিদিন এই যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চালক দায়ী, এইসব অযোগ্য চালককে লাইসেন্স পাইয়ে দেয়া মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় কী নেবেন এই দায়ভার? তিনিও কি দায়ী নন সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ? জনগন আজ সত্যিই অতীষ্ঠ । আপনাদের নীরব অত্যাচার আর সহ্য করা যাচ্ছেনা । আমাদের মুক্তি দিন এবার । আমরা আর কোন সূর্যসন্তানকে দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যাক্তিদের ব্যাক্তিস্বার্থের কারণে হারাতে চাইনা । এই লেখা আপনাদের চোখে কখনোই পড়বেনা হয়তো । কিংবা পড়লেও হয়তো বলবেন, আমজনতার আবার মৃত্যু!! কী আর বলবো আমরা, আপনারা বরং সবাই বেঁচে থাকুন আমরাই না হয় সবাই মরে যাই....... ।

Tandob1@gmail.com

tandob


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

আপনার ক্ষোভের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে আমিও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
ম্নতব্য লিখেছি : প্রৌড়ভাবনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।