• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

সাকিব, বিসিবি এবং আমাদের ক্রিকেট

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৭/০৮/২০১১ - ১১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমেই বলে নিচ্ছি কেউ ভাববেন না যে আমি সাকিব বিদ্বেষ এর বশবর্তি হয়ে এই লেখাটা লিখেছি।আমাদের ক্রিকেটের এখন যে ক্রাইসিস চলছে, তা হঠাত করে এই টুর্ণামেন্ট থেকেই শুরু আমি তা মনে করিনা।সমস্যা হয়তোঁ আরো অনেক আছে কিন্তু আমার কাছে যে ২টা সমস্যা অতিব জরুরী মনে হয়েছে সে ২টা নিয়ে একটু শেয়ার করার জন্যই আমার এই লেখা। প্রথমে আসি ক্যাপ্টেন সাকিব প্রসঙ্গে, আমার সমালোচনটা শুধু ক্যাপ্টেন সাকিব প্রসঙ্গে খেলোয়ার সাকিব নিয়া না। আর ক্রিকেট দর্শক মাত্রই এই খেলাটায় ক্যাপ্টেন কত বিরাট একটা ব্যাপার তা জানেন, আশা করি। প্রথমে নিচের উক্তিগুলো একটু দেখে নিই

১। “ একটা জিনিস অন্তত তাঁদের(জাতিয় দলের সাবেক খেলোয়াড়রা) চিন্তা করা উচিত, তাঁরা কী ক্রিকেট খেলে এসেছেন। আমি চাই না কাউকে ছোট করতে। তবে কে কত দূর খেলে এসেছেন, সেটা রেকর্ড ঘাঁটলেই পাওয়া যায়।“- প্রথম আলো কলাম

২।“আমাদের অনেক বেস্ট ফিল্ডার মাঠের বাইরে আছে। হয়তো যারা আছে তারা অতোটা ভালো না। মাঠের বাইরে যারা আছে তাদের চেয়ে এরা ক্যাপাবল না। রকিবুল, নাঈম ভাই আমাদের দুজন বেস্ট ফিল্ডার কিন্তু মাঠের বাইরে।“ – গত ডিসেম্বরে জিম্বাবুইয়ের সাথে প্রথম ম্যাচ হারার পর

৩।“ইচ্ছে করে হেরেছি, ব্যাট করতে ভালো লাগছিলোনা তাই আউট হয়ে গেছি” (হাসি)-বিশ্বকাপে ওয়েস্টিন্ডিজের কাছে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে(বৈশাখি তে প্রচারিত হয়)

৪।"দল নির্বাচনের সময় নির্বাচকরা আমার মতামত নেননি,"-জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে দল ঘোষনার পর

কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ।সাকিব তখন দুর্দান্ত খেলছিলেন।হঠাত সাইট-স্ক্রিনের পেছনের গ্যালারিতে এক বেখেয়ালি দর্শক। তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেষ্টা করছিলেন সবাই।আম্পয়ার,গ্রাউন্ডসম্যান সবাই চেষ্টা করছেন কিন্তু ব্যার্থ।, কিছুতেই কিছু না হওয়ায় ব্যাট হাতে তেড়ে গেলেন সাকিব নিজেই । ক্রিজ থেকে একেবারে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পর্যন্ত। হাতের উইলো টাকে দেখিয়ে ঐদর্শককে বললেন নেমে যেতে।স্যাটেলাইটের কল্যাণে সেই দৃশ্য দেখল পুরো দুনিয়া। ম্যাচ শেষে সাকিব বলেছেন বটে, তিনি মারার জন্য যাননি। দর্শককে সরানোর জন্যই তাঁর ওই চেষ্টা।

ক্রিকেটে আলোচিত character সংখ্যা খুব বেশি নেই।জয়সুরিয়ার মত খুনে ব্যাটসম্যানটিকেও তাই মিডিয়ার সামনে দেখা বিনয়ের অবতার।শেন ওয়ার্ন,সেবাগ,শোয়েব আখতার, এরা তাই সারা বছর জুরেই থাকেন/থাকতেন আলোচনার শীর্ষে, এখন আছেন। আরো অনেকের নাম হয়ত করা যায় কিন্তু অযথা লিস্ট বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করছিনা। এরা সবাই নিজ নিজ দেশেরই না শুধু ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা খেলোয়ার নিঃসন্দেহে। কিন্তু এদের কেউই কিন্তু তাদের দেশের নিয়মিত ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হননি। ওয়ার্ন সম্বন্ধে বলা হয় “A grate captain that Australia never had” এই কথার সত্যতা তিনি IPL এর প্রথম আসরেই দিয়ে দিয়েছেন। তারপরো তারা নিজ দেশে কেন ব্রাত্য ছিলেন? কারনটা আর কিছুই না, তাদের মুখঃনিশ্রিত বানী। এক ক্যাপ্টেন শুধু আরেকজন খেলোয়াড় নন, তিনি দলের ব্র্যন্ড এম্বাসেডর। ক্রিকেটে ক্যাপ্টেনের কাজ খালি মাঠেই না এর বাইরেও অনেক। রিকি পন্টিং এর ভাষ্যমতে ৭০%কাজই নাকি মাঠের বাইরে।তাইত ২০ ইনিংসে মাত্র একটি ৫০ থাকা সত্তেও স্টিভ ওয়াহ , ল্যাঙ্গারকে বলেন পৃথিবীর সেরা ৩নম্বর ব্যাটসম্যান আর তার পরের ম্যাচেই ল্যাংগার খেলেন ম্যাচ সেভিং ইনিংস।ক্রিকেটে ক্যাপ্টেনকে যেমন মাঠে নিতে হয় কঠোর সিদ্ধান্ত তেমন মাঠের বাইরে আগলে রাখতে হয় তার সৈন্যদের।

এই লেখার শুরুতে যা উদাহরনগুলো দেয়া হয়েছে তার ২য়টি দেখুন। টিম খারাপ খেললে তা নিয়ে মন্তব্য ক্যাপ্টেন করতেই পারে কিন্তু তাই বলে ‘টিম আমার মনমত হয়নি’, ‘বাইরে যারা আছেন তারা অনেক বেশি ক্যাপাবল’ এই ধরনের মন্তব্য করে দায় এড়িয়ে যাওয়া কেমন ক্যাপ্টেন্সি? আর সাকিব এই কথাগুলো কোন প্লেয়ারদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন তা ত এখন ওপেন সিক্রেট। এর কি ইম্প্যাক্ট টিমের উপর পরে তা কি আমারা ভেবে দেখেছি?সেই একি কথা তিনি এইবার জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেও বলেছিলেন। দল নিয়ে ক্যাপ্টেনের নিজস্ব ভিউ থাকবেই কিন্তু তাই বলে তার দল পছন্দ না হলে এভাবে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলাটাকে কিভাবে দেখব? বিশ্বকাপের সময় সাবেক খেলোয়ারদের নিয়ে তার করা মন্তব্যকে কিভাবে বিবেচনা করবেন তা আপনাদের ব্যাপার কিন্তু আমার কাছে তা দেশের ক্রিকেট ঐতিহ্য সম্বন্ধে জ্ঞানশুন্য এক বাচ্চার প্রলাপ আর বেয়াদবি ছাড়া আর কিছু না।ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ার এ ভর্তি হয়ে যদি আপনি আপনার প্রাইমারি ইস্কুলের স্যারকে অজ্ঞ দাবি করেন, তবে তা কিসের পরিচয় তা আমার জানা নেই।

শুধু বোর্ডের সাথে দ্বিমত করেই যদি সাকিব থেমে থাকতেন তাহলেও এত চলত ।কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফির সাথে সাকিবের দন্দ্ব মিডিয়ার কল্যানে এখন আর আমাদের অজানা কিছু না, দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে সর্বদা। কাপালি,আফতাব কে দল থেকে দূরে রাখা, সাকিবিয় ক্যালকুলেশন মেনেই চলছে। বলছিনা ওরা খুব ভালো পারফর্ম করেছেন,কিন্তু অভিজ্ঞতার বিবেচনায় তারা দলে আরেকটা সু্যোগ অবশ্যই ডিসার্ভ করেন।এই সিরিজেও প্রথম ২ম্যাচের দল নির্বাচনটা কতটুকু ক্রিকেটিয় যুক্তি মেনে আর কতটুকু সাকিবিয় দৃষ্টিকোন থেকে?জিম্বাবুয়ের এই পিচে ৪স্পিনার খেলানোটা ছাগলামি ছাড়া আর কিছুনা তার প্রমান ত আমরা ৩য় ম্যাচেই দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশ দলটিকে আমার এখন আর কোন ইউনিট মনে হচ্ছেনা, অনেকগুলো উপদলে বিভক্ত একটা জোট মনে হচ্ছে।আর জোট দিয়ে ইন্টারন্যাশানাল সেক্টরে ভালো করাটা অনেক দূরের ব্যাপার।

বিসিবির ভূমিকাতেও একটু আলোচনা করাটাও জরুরি মনে করছি।ক্রিকেট বানিজ্যকে পুজি করে টাকা কামানো ছাড়া আর কোন কিছুতে তাদের আগ্রহ আছে বলে ত মনে হয়না।না হলে বিশ্বকাপের আগে টেস্ট খেলে লাভ নাই এই যুক্তি(না কুযুক্তি?)তে নিউজিল্যান্ড টুর থেকে টেস্ট কেটে ওয়ানডে বাড়ানো কেন?যেখানে তখন ইন্ডিয়া,ইংল্যান্ড সহ সবাই টেস্ট খেলছিল। আমাদের প্রস্তুতি কি তাদের চাইতে ভালো হয়েছিল?একটা টেস্ট প্লেয়িং দেশের জাতিয় লিগের প্রতি ICC সবচাইতে বেশি গুরুত্ত্ব দেয়।যে কোন দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ প্রিরিকুইজিট।কিন্তু আমাদের দেশে জাতীয় লিগের নামে যা চলছে তা কি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না পিকনিক টাইপ তা আশা করি বলার অপেক্ষা রাখেনা।বিশ্বের সব দেশেই যেখানে জাতীয় দলে খেলার জন্য ওদের নিজস্ব লিগে খেলাটাকেই মাপকাঠি ধরেন সেখানে আমাদের দেশে অতিত পারফর্ম্যান্স আর লবিং ই সবচাইতে বড় মাপকাঠি।ঘরোয়া লিগ না খেলার জন্য ক্রিস গেইল এর মত প্লেয়ারকেউ দল থেকে বাদ দেন ওয়েস্টিন্ডিজ বোর্ড,আমাদের এখানে যা কপ্লনা করাও সম্ভব না।প্রিমিয়ার লিগ সহ অন্যান্য দল নির্ভর লিগ গুলোতেও নেই সেই উত্তেজনার ছাপ।জাতীয় দলের খেলোয়ার রা না খেললেই লিগ হারিয়ে ফেলে সব জৌলুস। এভাবে দেশে নতুন খেলোয়াড় আসবে এ আশা আমরা কিভাবে করি।আর পুরানো খে্লোয়াড় যারা আছেন তাদের যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ন ম্যাচ খেলার অভ্যাস না থেকে তবে তারা কিভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেয়ে পারফর্ম করবে? রান করা উইকেট নেয়া একটা অভ্যাস এর ব্যাপার।প্রেসার সিচুয়েসনে কি করতে হবে , তার যদি সেই অভজ্ঞতা না থাকে তবে সে কিভাবে আনর্জাতিক ম্যাচে প্রেসার হ্যান্ডেল করবে?টুর্নামেন্টের আগে আমরা যতই পাহাড় পর্বতে যায়ে ক্যাম্প করাই,যতই প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলাই তা কোন ফলই আনবেনা।বাইরের দেশগুলো এই কাজগুলো করে ফাইন টিউনিং হিসাবে আর আমরা মনে করি এটাই আমাদের প্লেয়ারদের বিরাট উপকার করে ফেলবে।তাই আগে চাই ভালো উত্তেজনাপূর্ন জাতিয়লিগ পরে ভালো কোচ।

সাকিব যখন সাবেক খেলোয়ারদের নিয়া আজে বাজে মন্তব্য করে পেপারে কলাম লিখল,দল পছন্দ হয়নি বলে মিডিয়ার সামনে প্রচার চালাল,প্র্যক্টিস বাদ দিয়া সাবানের এড করতে গেল তখন বিসিবি কেন চুপ ছিল?তাকে প্রথমেই যদি একটা পানিশম্যান্ট দিয়ে দিত তবে কি সাকিবের আর কোন কিছু বলার সাহস হত?একজন প্লেয়ার যত বড়ই হোক বোর্ড চাইলে তাকে ঠিক করা কোন ব্যাপারি না, তার সর্বশেষ প্রমান পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি বা ইন্ডিজের ক্রিস গেইল।বোর্ডের এরকম চুপচাপ থাকাটা আসলে কি জন্য তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধরছেনা।

কেউ আমাকে সাকিব বিদ্বেষী ভাববেন না। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি সাকিব, তামিম খেলোয়ার হিসাবে আমাদের দেশের অন্য সবার চাইতে অনেক এগিয়ে।কিন্তু প্রতিভাবানরা একটু অহংকারিও হন অনেক ক্ষেত্রে এবং ঐ অহংকার অনেক সময় তাদের শেষ ও করে দেয়।দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের জন্য অনেক বড় বড় খেলোয়ারকেও অনেক সময় বাদ দেয়া হয়েছে তার প্রমান আছে ভুড়িভূড়ি। এবং বাদ দেয়টা তাদের জন্য শাপেবড় হয়েছে কখনো আবার অনেকে অস্ট্রেলিয়ার সাইমন্ডসের মত হারিয়ে গিয়েছেন। সাকিবের মত এমন ট্যালেন্টেড একটি প্লেয়ার হারিয়ে যাক তা আমরা চাইনা।

....................................................................................।।অধম।


মন্তব্য

cricket lover  এর ছবি

3. কোন দেশে থাইকেন ভাই? ওটা আয়ারল্যান্ডের পরের কাহিনী ছিল? সাংবাদিকরা ম‌্যানিপুলেট করে বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিইজের ম্যাচের বলে। এটা নিয়ে অনেক লেখালেখিও হয়েছে মিডিয়াতে।
ভুল তথ্য দিচ্ছেন, তাই বাকীগুলো নিয়ে আর বললাম না।

অধমের কথা এর ছবি

একটু বলেন না ভাই । শুনি। নিজের ভুলগুলা আর সাকিবের শুদ্ধগুলা ত ধরতে পারব। :O ;)

দিগন্ত বাহার () এর ছবি

সাকিবের কথাবার্তা প্রায়শ বালখিল্যতার পর্যায়ে পরে, এ নিয়ে আমার মনে হয় সবাই কম-বেশি বিব্রত। খেলা চলাকালীন সময়ে, বা কোন টিম মেম্বার থাকাকালীন সময়ে কারো কলাম লেখা একেবারেই মানায় না। তবে ৩য় পয়েন্টে আপনি যা বলেছে সেটা পুরোপুরি ভুল, ওয়েষ্ট-ইন্ডিজের সাথে হারার পর সাকিব যেকথা বলেনি। বলেছে আয়ারল্যান্ডের সাথে জেতার পরে। আর কথাটা ছিল ইচ্ছে করে হারার ব্যাপারে নয়, ইচ্ছে করে আউট হবার ব্যাপারে। এটা নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ ত্যানা প্যাঁচানো হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। এই [url= http://bit.ly/ieZy1t]পোষ্টখানা[/url] পড়ে দেখতে পারেন। আপনার অন্য কথাগুলোর সাথে সহমত।

অধমের কথা এর ছবি

৩নম্বর তথ্যটি ভুল দেয়া হয়েছে, আমি আসলেই দূঃখিত। :p :p

...........................অধম

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সাকিব এই সংকটময় মুহূর্তেও বাংলাদেশ দলে আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়।

সাকিবের প্রধান সমস্যা তার বোকামি। নিজের চাকুরি বাঁচানোর জন্য জেমি সিডন্স যেমন সিনিয়র প্লেয়ারদের ওলড ম্যান বলে দল থেকে কিকআউট করেছে, তেমন অপেক্ষাকৃত সেইফ পারফর্মার হিসেবে সাকিব-তামিমকে মাথায় তুলেছে। তাদের বুঝা উচিত, স্যার সিডন্স যা করেছেন, নিজের স্বার্থে করেছেন। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ খেলোয়াড়দের চেয়ে দলে যোগ্য খেলোয়াড়ের অন্তর্ভূক্তি ক্যাপ্টেনের জন্যই ভালো। একটা শক্তিশালী বাংলাদেশ দল চাইলে, পরীক্ষিত ফ্লপ জুনায়েদ, রকিবুলদের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে ক্যাচাল না করে তার বরং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে ভালো ক্রিকেটার তৈরির পরামর্শ দেয়া উচিত।

সমস্যা হলো, সব বোকামির মাফ নাই। যেমন, অনিচ্ছাকৃত ভুল রাজনীতির মঞ্চে চলে না। ক্যাপ্টেন সাকিবের বোকামি বাংলাদেশ দলের জন্য এই মুহূর্তে বিরাট ক্ষতির ব্যাপার। দলের স্বার্থে তাকে আপাতত ক্যাপ্টেন্সি থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। খেলোয়াড়ি কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙলে তার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তার শাস্তি দল থেকে বাদ পড়া হলে তাকে বাদও দেয়া উচিত, যাতে সে সমস্যাটা বুঝতে পারে। বাংলাদেশ দলের জন্য খেলোয়াড় সাকিব একটা অ্যাসেট; কিন্তু দলে কেউই অপরিহার্য না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অধমের কথা এর ছবি

খেলোয়াড়ি কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙলে তার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তার শাস্তি দল থেকে বাদ পড়া হলে তাকে বাদও দেয়া উচিত, যাতে সে সমস্যাটা বুঝতে পারে। বাংলাদেশ দলের জন্য খেলোয়াড় সাকিব একটা অ্যাসেট; কিন্তু দলে কেউই অপরিহার্য না।

=DX =DX =DX

অধমের কথা এর ছবি

খেলোয়াড়ি কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙলে তার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তার শাস্তি দল থেকে বাদ পড়া হলে তাকে বাদও দেয়া উচিত, যাতে সে সমস্যাটা বুঝতে পারে। বাংলাদেশ দলের জন্য খেলোয়াড় সাকিব একটা অ্যাসেট; কিন্তু দলে কেউই অপরিহার্য না।

=DX =DX

....................................অধম

akib এর ছবি

অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের বিকল্প বাংলাদেশ দলে নেই, তাই তেনা পেঁচিয়ে লাভ নেই!

অধমের কথা এর ছবি

তেনা প্যাচাইতাসিনা ভাই, যে তেনা সাকিব প্যাচায়ে রাখসে ঐটা খুলতে কইতাসি।
দুনিয়াতে কারো জন্য কোন কিছু আটকায়ে থাকে বইলা ত জানতাম না। (ধইন্যা)

.................................অধম

মন মাঝি এর ছবি

এই পরাজয়গুলি মনে হয় প্রাপ্যই ছিল। আমি দোয়া করতেছি যেন জিম্বাবুয়ের কাছে আচ্ছামত আগপাস্তলা 'আফ্রিকান ব্ল্যাকওয়াশ' হয়ে মুখে চুনকালি মেখে আসে। আখেরে তাতে আমাদের মহান পেপার-টাইগারদেরই উপকার হবে।

দলের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থেই সাকিব-তামিমকে তাদের হাই-হর্স থেকে নামিয়ে কেউই যে ইন্ডিস্পেন্সেবল না সেটা ভাল মত বুঝিয়ে দেয়া জরুরি। দরকার কিছু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। অনেক দিন ধরেই সাকিবের তেল বাড়তেছে। বিশ্বকাপের সময় বিশেষ পরিস্থিতি বলে সেগুলি উপেক্ষা করা গেছে, কিন্তু এখন আর যায় না। নতুন কোচের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এই প্রথম এসাইনমেন্টেই বিড়ালটা ভাল করে মারা। নাহলে হয়তো পরে কাজটা কঠিন হয়ে যাবে।

****************************************

অধমের কথা এর ছবি

^:)^ ^:)^

...........................অধম

ইমরান(অতিথি) এর ছবি

আপনি কি উৎপল শুভ্র?

অধমের কথা এর ছবি

না ভাই আমি উৎপট না।উৎপট ত তামিমের মাইন্ড গেম এর পক্ষ নিয়া রিতিমত জিহাদ করে ফালাইতাসে। আমি ত ভাই তা কই নাই। সাকিবের ক্যাপ্টেন্সির সমালোচনা করলেই কি আলু আলু গন্ধ পান??

..............................অধম

মুস্তাফিজ এর ছবি

বাইরে থেকে আমরা অনেক রাজা উজির মেরে ফেলতে পারি, তবে সত্য হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর চাইতে ভালো বানানো সম্ভব না। ২/১টা পরিবর্তন অনেকের কাম্য হলেও সামগ্রিক ভাবে তাতে শক্তির কোন হেরফের হবেনা।
আমাদের মিডিয়া আমাদের দল সম্পর্কে আমাদের এমন একটা উচ্চ ধারণা দিয়ে রাখে যে প্রতিবারই আমাদের আশাভংগ ঘটে। আসলে দোষটা মিডিয়ারই, টিমের শক্তি সম্পর্কে সত্য বলতে দোষটা কোথায়?

...........................
Every Picture Tells a Story

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অন্য সব খেলার মতই বাংলাদেশ ক্রিকেটও তার উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছে বলে মনে হচ্ছে। স্টার খেলোয়াড়দের মানসিকতা (পড়ুন অহমিকা) না কমলে তাদের পড়তে সময় বেশী লাগেনা। শচীন কিংবা দ্রাবিড়কে আমি কোনদিন এতটা আত্মম্ভর দেখিনি যতটা আমাদের সাকিব তামিম নিজেদের মনে করে।

দলে কোন সমস্যা থাকলে সেটা যত দ্রুত মিটানো যায় ততই বাংলাদেশের জন্য ভালো। সাবিক সমস্যা করলে ওকে সরিয়ে দেয়া দরকার। আমি নিশ্চিত, ও যেরকম মেজাজের খেলোয়াড় তাতে জেদ করেই সে সবার চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখাটির সমস্যা তিনটা:

১। ভুল তথ্যের উল্লেখ

২। দুর্বল বিশ্লেষণ

৩। অগোছালো বর্ণনা, অসংখ্য বানান ভুল

সচলেই খেলা নিয়ে চমৎকার ব্যাখ্যামূলক লেখা/মন্তব্য আছে। পড়ে দেখতে পারেন।

শুভেচ্ছা রইল। আশা করছি এরপর আরো ভালো লেখা দিবেন।

অধমের কথা এর ছবি

৩নম্বর পয়েন্টটাতে ভুল ইনফরমেশন এর জন্য দূঃখিত। আর আমার ভাই এত লেখালেখির অভ্যাস নাই। সাকিব গং এর কারবারে বিরক্ত হয়ে একটা ছোট্ট দূঃসাহস করে ফালাইসি ভাই। বিশ্লেষন টাও তাই খুব ভালো হয় নাই, মানি। তবে আপনারা যদি দয়া করে একটু ধরায়ে দিতেন তবে এই অধম আপনার আশা অনুযায়ি আরো কিছু ভালো লেখা ভবিষ্যতে দিতে পারতাম । =(( :( =(( :(

...........................অধম

সাফি এর ছবি

ভাল লাগেনাই - ১

অধমের কথা এর ছবি

=(( =(( =((

..............................অধম

দ্রোহী এর ছবি

পিপিদার সাথে একমত। বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। আমরা এর চাইতে ভাল ক্রিকেট কোনদিন খেলতে পারবে না।

আমরা বিশ বছর আগেও আয়ারল্যান্ড, কেনিয়ার সাথে ফাইট দিতাম। এখনও তাই দিচ্ছি। বিশ বছর পরেও তাই দিব।

অধমের কথা এর ছবি

=(( =((

.................................অধম

প্রাইম এর ছবি

দল খারাপ খেললে সব রকম দোষ ত্রুটি বের হয়ে আসে। আরও আগে যখন এ ঘটনাগুলো ঘটেছিল তখন থেকে এগুলো নিয়ে ভাবনাচিন্তা হলে আলোচনা করলে আরও ভাল হত না কি????

আনোয়ারুল কবির খান এর ছবি

বাংলাদেশ দলের ভালো খেলাটাই স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশিত, মেঘে মেঘে বেলা ত আর কম হয় নি। তাই ভালো খেললেই ফ্ল্যাট, গাড়ি, আর কোটি কোটি টাকা দিবেন আর খারাপ খেললে বিপক্ষ ভালো খেলেছে ভেবে নিজেকে সান্তনা দিবেন, ওদের কিছুই বলবেন না, তাইলে ত সাকিবের এই বাড় বাড়াটা অস্বাভাবিক নয়! গরিবের দেশের খেলুড়ের আরও বেশি আরামের প্রত্যাশা ত আমরাই তৈরি করেছি।

সাকিবের 'মুই কি হনু রে' সিম্পটম দেখা দিয়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।