জগা খিচুড়ি - ০৫

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৮/২০১১ - ৯:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ধারনা আজকাল সবাই ভ্রু কুঁচকে জগাখিচুড়ি পড়তে বসে। রসিকতা দেখলে আরও ভুরু কুঁচকে যায়। বুঝে এই ব্যাটা আগের জন্মে নিশ্চয়ই ক্যানভাসার ছিল। প্রথমে আলতু ফালতু কথা বলে লোক হাসানোর চেষ্টা করে। তারপর ঝোলা থেকে জ্ঞানের ট্যাবলেট বের করে। নাহ, আজকে কোন জ্ঞান দিতে বসিনি। তবে কিনা ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। জোর বাতাস দেখলে লুঙ্গিয়লা দুশ্চিন্তায় পড়ে। আটকে যাওয়া শিশু চেইন অলা প্যান্ট দেখলে ভয় পায়। রিমান্ডে যাওয়া যুদ্ধাপরাধী ডিম দেখলে আঁতকে উঠে। আর আমরা বাকি সবাই ট্রাক-বাস দেখলেই ভাবি এই বুঝি শেষ! সেইরকম ধোঁকা খাওয়া পাঠককে বিশ্বাস করানো কঠিন যে আর জ্ঞান দিবনা। আবার রসিকতা করতে গেলেও মুশকিল। দুনিয়াতে এমন কোন রসিকতা তৈরি হয়নি যেইটাতে সবাই নির্মল আনন্দ পাবে। কাউকে না কাউকে অপমানিত হতেই হবে। কেউ পচবে, সেইটা দেখে বাকিরা আনন্দ পাবে এটাই রসিকতার মূল কথা। এমনকি নিতান্ত নিরীহ এবং ফ্লপ "রিকশা" জোকস বল্লেও রিকশাওয়ালা এবং দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীরা আহত হতে পারেন। এখানে শোষিত এবং নিপীড়িত শ্রেণীকে অপমান করা হচ্ছে। কেন তাকে যাবে কিনা জিজ্ঞেস করে বলা হবে আচ্ছা তাহলে যাও। খালি রিকশা নিয়ে গেলে কোন ভাড়া তো সে পাবে না, এ অত্যন্ত নিষ্ঠুর রসিকতা।

গত জগাখিচুড়ি পড়ে এরকম এক পাঠক দেখি আমার উপর ক্ষেপে উঠেছে। প্রশ্ন, আমি কেন রসিকতার স্কেল নির্ধারণ করে দিতে চাচ্ছি। রসিকতার আদৌ কি কোন সর্বজন স্বীকৃত মাপকাঠি আছে? কেন আমি এক রিকশা, দুই রিকশা করে রিকশা কে রস মাপার স্কেল বানাতে চাইছি? অথবা কেন রস-আলো ম্যাগাজিন কে রস মাপার একক হিসেবে ধরছি? খুবই জটিল প্রশ্ন। শুনে হাত পা ছড়িয়ে কাঁদা ছাড়া আমার কিছুই করার নেই। তবে এ অভিযোগ সত্যি যে বার বার "আমি খুবই রসিক মানুষ" এই ধরনের কথা বলে সবার কান ধরিয়ে দিয়েছি। কারনও সহজবোধ্য। রসিক বা ভাঁড় মানুষকে কেউ অতো সিরিয়াস ভাবে নেয় না। ভুলে কোন বেফাঁস কথা বলে ফেললে, পরে বলে দিলেই হবে ভাই মশকরা করে বলছি। লোকজনও সমর্থনে এগিয়ে আসবে, পাগল ছাগল মানুষ, এরে মাফ করে দেন। সে যাই হোক, পুরনো সতর্কবাণী আবারও দিয়ে নিচ্ছি। জগাখিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। আপনার পেট যদি ওশিলভের মতো কোমল হয় তবে সামনে এগুনোর আগে সাবধান!

আমাদের মিস্তিরি স্কুলে বেশ বিচিত্র কিছু শিক্ষক ছিলেন। একজন ছিলেন সবার উপরে। বিচিত্র সব ঝাড়ি দিতেন, সাথে বিচিত্র সব কাহিনী শুনাতেন। আমাদের এক বন্ধু, আকারের কারনে তার চলাফেরা একটু ধীর গতির। স্যার হাজিরা নিচ্ছে, বেচারা চেয়ার থেকে আলতো করে একটু নিতম্ব উঠিয়ে বলে, ইয়েস স্যার। শিক্ষক মশাই রোল কল থামিয়ে খাতা বন্ধ করে নাটকীয় দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে বললেন, থাকো কুথায়? বন্ধু আমতা আমতা করে বলে, স্যার মালিবাগ। এবার তিনি গর্জে ওঠেন, মালিবাগ এর পোলা বইসা অ্যাটেনডেন্স দাও, গুলশান বনানীতে থাকলে তো শুয়া পড়তা। মিলিটারি স্কুলে কত ঝাড়ি খেয়েছি, গায়ে লাগেনি। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অপার স্বাধীনতা, শিক্ষকরা ছাত্রদের ভয় পায় কিন্তু মিস্তিরি স্কুলে এসে তার কোন নমুনা দেখলাম না, ঝাড়ি খেয়েই যেতে লাগলাম। অদ্ভুত সব কথা বলতেন সেই শিক্ষক। প্রথমদিনই আমাদের বলে, টেকনোলজি শিখে কি হবে, টেকনোলজি তো কয়দিন পর পর বদল হয়, শেখার জিনিস হইলো আদব কায়দা। আমরা ক্লাসে বেশীরভাগ সময় ইঞ্জিনিয়ারিং ফেলে আদব কায়দা শিখতে লাগলাম। অদ্ভুত সব গল্প শোনাতেন। কোন এক ছাত্র নাকি তার শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেছিলো। তারপর দেখে সব বইয়ের লেখা তার কাছে ফাঁকা হয়ে গেছে। যেই বই খুলে, দেখে সাদা পৃষ্ঠা। শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করার কারনে তার সব বিদ্যা চলে গেছে। নানা গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতেন। থিম একটাই, শিক্ষককে সম্মান করতে হবে, যথেষ্ট আদব কায়দা প্রদর্শন করতে হবে। অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু শুধু মাত্র শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেলেই কেউ শিক্ষক হয়না। পরিমল ও তো শিক্ষক, তাই বলে তাকে সম্মান করতে হবে? এরপর অনেক দিন চলে গেছে, আরও অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি। নিজেও শিক্ষক হয়েছি। সম্ভব হলে সেই শিক্ষক কে বলে আসতাম, পারলে একজন বুয়েটের মোহাম্মদ আলী হয়ে দেখান। এম্নিতেই সবাই সম্মান করতে শিখে যাবে, কষ্ট করে আদব কায়দার কোর্স করাতে হবে না।

আমাদের পাড়ায় মোস্তাক ভাইয়ের ভিডিও সিডির দোকান ছিল। ঠিক আমাদের পাড়া না,আমাদের পাশের পাড়া যেখানে আমাদের বন্ধু মিনহাজ থাকতো। নিজের পাড়ায় একটা ইজ্জত আছে, ওইখানের সিডির দোকানে গিয়ে দুই নম্বর, তিন নম্বর সিডি নেয়া যায় না। পাশের পাড়ায় ওই সমস্যা নেই। আমরা দল বেঁধে যেতাম সিডি আনতে। সমস্যা হতো মিনহাজের। আমরা যখন দোকানের ভেতরে ঢুকে সিডি ঘাটাঘাটি করতাম, ও তখন বিমর্ষ মুখে বাইরে দাড়ায়ে থাকতো। নিজের পাড়ায় ওর ইজ্জত আছে, দরকারের চেয়ে আরও অনেক বেশী পরিমাণেই আছে। সারাজীবন টিউশনি করেছে নিজের পাড়ায়। অলি গলিতে তার সব ভক্ত ছাত্র ছাত্রী। প্রতি সন্ধ্যায় লুঙ্গী পরে হাওয়া খেতে বের হয় আর মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে বিভিন্ন ভক্তদের জ্ঞান দেয়। দেশ, সমাজ, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে রাজনীতি পর্যন্ত। আমাদের পছন্দ মতো সিডি খুঁজে বের করতে টাইম লাগে। ততক্ষণ মিনহাজ বাইরে দাড়িয়ে ভক্তদের জ্ঞান দেয়। আমি শিল্প মানসিকতার মানুষ। মাজিদ মাজিদি থেকে শুরু করে হিচকক পর্যন্ত সব কিছুই দেখি। মাঝে মাঝে বিনোদনের প্রয়োজনে যে অন্য কিছুও দেখতে হয়না তা নয়। ফজল এতো গ্যাঞ্জাম এর মধ্যে দিয়ে যায় না, দোকানে ঢুকেই বলে মোস্তাক ভাই ভালো দেখে দুইটা টু, সাতটা থ্রি দেন তো। সমস্যা হয় সবচেয়ে রনি কে নিয়ে। সে এইটা দেখে ওইটা শুকে কিছুই সহজে পছন্দ হয়না। অনেক ঘেঁটেমেটে একটা কিছু বের করে শুরু করে হাজারটা প্রশ্ন। মোস্তাক ভাই এইটা কি ভালো হবে? কাহিনী আছে? ঘটনা কি ঘরের ভেতর নাকি বাইরে? সিন কি চারটা নাকি পাঁচটা? struggle আছে নাকি একটু? অবশেষে মোস্তাক ভাই যখন ঝাড়ি দেয়, ওই মিয়া নিলে নেন নাইলে ভাগেন। তখন বাছাই করা একটা সিডি নিয়ে গম্ভীর মুখে হাটা দেয়। আমরা জানি শালা যেই কঞ্জুস, ওই একটাই বার বার রিওয়াইন্ড করে কয়েক সপ্তাহ ধরে দেখবে। আমরা তিনজন যখন বের হই, মিনহাজ তার গুণমুগ্ধ ছাত্রদের ফেলে আমাদের পিছন পিছন ছুট দেয়। ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে একে একে সবার কাছে গিয়ে, দোস্ত একটা সিডি দে না। ফজল তার নয়টা সিডি বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে রাখে। মিনহাজ প্যানপ্যান করেই যায়, আচ্ছা তুই তো আর এক রাত্রেই নয়টা দেখবি না, দে না আমাকে একটা, যেইটা তোর কাছে সবচেয়ে কম ভালো মনে হয় ওইটাই দে। ফজলের মন গলে না, ক্ষেপে গিয়ে বলে আমি নয়টা কেন নব্বইটা দেখব এক রাতে তোর কি? রনির কাছে আছেই একটা, তাই ওর কাছে আর কান্নাকাটি না করে আমার কাছে আসে। আমি বেশী ঝামেলা না করে, যেইটা কম ভালো (!) সেই সিডি ওর হাতে ধরিয়ে দেই। ছোকরা তাক ধিনা ধিন করে খুশী মনে লুঙ্গীর চিপায় সিডি লুকিয়ে নিয়ে চলে যায়। যাবার পথে ভক্ত ছাত্রদের আবার কিছুক্ষণ সমাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান দিয়ে যায়। পরদিন সকালে ওর ফোন পাই। ঘুম ভেঙ্গেই শুনতে হয় অশ্রাব্য গালিগালাজ। সারা রাত এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি আর অন্য হাতে মাউস নিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে ছিল সিডি চালায়ে। কোন কিছুই ঘটেনি! আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম, দেখ আমি ফজল আর রনির মতো আজেবাজে সিনেমা দেখি না। শৈল্পিক সিনেমা দেখি। ওইসব শৈল্পিক ছবিতে ভাগ্য ভালো হলে কিছু দেখাতেও পারে আবার নাও দেখাতে পারে। মিনহাজ প্রায় কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে বিচার দেয়, একটা কিছুও ছিলোনা, একটা কিস পর্যন্ত না, এইগুলা কি সিনেমা বানায় এরা, আমরা কি পয়সা দেই না, আমাদের ট্যাক্সের টাকা নিয়া ফাইজলামি, এদের কি বিচার হবে না? বুঝতে পারি উত্তেজনায় ওর ব্রেন, লজিক সবই আউলায়ে গেছে।

দুনিয়াতে বহু অপ্রয়োজনীয় জিনিস আছে। গোলাম আজম, হোমো এরশাদ, মন্ত্রী আবুল, মন্ত্রী শাজাহান, রমণীর গোঁফ এবং ম্যান বুবস এইগুলা সবই অপ্রয়োজনীয় বোঝা। আমাদের ক্লাসে একবার আমরা ম্যান বুবস এর সাইজ অনুসারে রেটিং করেছিলাম। আমার স্থুলদেহী বন্ধু তালেব বিশাল ব্যবধানে "স্তন সম্রাট" উপাধি পেল। উপাধি পেয়ে তাকে খুব একটা খুশী মনে হলো না, বরং আমাদের দিকে তেড়েফুঁড়ে এলো। প্রদীপ "স্তন রাজ" হয়ে মনে হয় একটু মনঃক্ষুণ্ণ হলো। মন খারাপ করলেও একসময় মেনে নিলো সম্রাট এর চেয়ে ও অনেক পিছিয়ে। সম্রাট আর রাজার জন্যে আমরা পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছিলাম একটা 40DD সাইজ এর ব্রা আর একটা জরির কাজ করা ওড়না। পুরষ্কার দিতে গেলে তালেব ক্ষেপে গিয়ে আবার আমাদের ধাওয়া করলো। প্রদীপ অবশ্য খুশী মনে ওড়না পরে ঘুরতে লাগলো। মোতালেব "স্তন সেনাপতি" হয়ে প্রদীপ কে চ্যালেঞ্জ করে বসলো। বলে, শার্ট খোল হারামজাদা, দেখিয়ে দেই সবাইকে কে রাজা আর কে সেনাপতি। আমরা অনেক বলে কয়ে ওকে শান্ত করলাম। বুঝালাম সেনাপতি হয়ে থাক আপাতত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসুক, তখন তো তুইই রাজা। এরপর একে একে "স্তন উজির", "স্তন মন্ত্রী", "স্তন প্রতিমন্ত্রী", "স্তন আমলা" সহ আরও বেশ কিছু সান্ত্বনা পুরষ্কার ছিল। তবে সবচেয়ে খুশী হল শুঁটকাদেহী রনি আর ফরিদ "স্তন ফকির" আর "স্তন মিসকিন" উপাধি পেয়ে। শার্ট খুলে তাইরে নাইরে না করে নাচতে শুরু করলো। আমরা মনোযোগ দিয়ে দেখলাম শালাদের অবস্থা keira knightley এর চেয়েও খারাপ, উপাধি যথাযথ হয়েছে।

জগাখিচুড়ি পড়ার পর থেকে আমাদের এখানে সবাই বাংলা ব্যাবহারে অনেক বেশী সতর্ক হয়েছে। কেউ আর চা টা খেতে চায় না, ঝামেলা এড়াতে ইংরেজি বলে, টি টা খেতে চায়। একজন আবার বেশী পাকনামি করে বলে, টি টি খাবো। বেইজ্জতি কারবার। আমি নিজেও এতো জ্ঞান দিয়ে ধরা খেয়ে গেলাম। চা বানানোর নিয়ম বলছিলাম। সবাই সাধারণত আগে পানি দেয়, তারপর চা পাতা দেয়, চা হয়ে এলে তখন দুধ চিনি দেয়। আগে দুধ জ্বাল দিয়ে নিয়ে আরেকভাবে বানানো যায়। সেটাই আগ্রহ নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছিলাম। প্রথমে আমি পানি দেই, তারপরে দুধ দেই। দুধ গরম হলে দুধে চা টা দেই। এই পর্যন্ত বলেই বুঝলাম ভুল করে ফেলেছি। চিনি আর দেয়ার সময় পেলাম না। তার আগেই সবার খিক খিক হাসি শুরু হয়ে গেলো।

আজকের খিচুড়ি এখানেই শেষ করি। কত ভদ্রলোক হয়ে গেছি দেখছেন, কোন রকমের জ্ঞান না দিয়েই এবার ছেড়ে দিলাম। এমন না যে চারিদিকে সব সুসংবাদ শুনছি। আমরা যেমন ছিলাম তেমনি আছি। শুধু মাত্র গ্লাস অর্ধেক খালি না ভেবে ভাবার চেষ্টা করছি গ্লাস অর্ধেক ভরা। বস্তুত আমাদের গ্লাস অর্ধেক ও ভরা নেই, কয়েক ফোঁটা পানি আসে মাত্র। কিন্তু সেটাই কম কি? বাংলাদেশ আবারও হেরেছে জিম্বাবুয়ের কাছে কিন্তু এবার অন্তত লড়াই করেছে। তারেক মাসুদ চলে গেছে, আমরা তো আছি। হয়তো এই সচল থেকেই আরেকজন তারেক মাসুদ বের হয়ে আসবে। শুরু হবে পরিবহন ব্যবস্থার দুর্নীতি নিয়ে তৈরি করা একটা ডকুমেন্টারি দিয়ে। ছবির শ্রেষ্ঠাংশে থাকবে আবুল এবং শাজাহান। তারপর এই পরবর্তী প্রজন্মের আমরাই মুক্ত চিন্তা নিয়ে ছবি বানাবো, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি বানাবো। একটা মাটির ময়না অথবা একটা মুক্তির গান হয়তো কখনই বানাতে পারবোনা। কিন্তু মেহেরজানের মতো বিষ্ঠা তো অন্তত বানাবো না। তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরের হত্যার (একে হত্যাই বলা উচিৎ) পর সচল সহ বিভিন্ন ব্লগ, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ঝড় বয়ে গেছে। কেউ গদ্য লিখে, কেউ কার্টুন একে, কেউ কবিতা লিখে, কেউ ছড়া লিখে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বাস্তবতা হয়তো এটাই যে আর এক মাস পড়ে আমরা সব ভুলে গিয়ে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবো। কিন্তু ভাবতে ভালো লাগে এরকম বিভিন্ন মানুষগুলোর শক্তি এক হয়ে একদিন আরেকজন তারেক মাসুদ বা মিশুক মুনীর তৈরি হয়ে যাবে। ওইরে, ঝোলা থেকে সর্ব রোগের মহৌষধ ট্যাবলেট বের হয়ে গেছে। বিদায় নেই।

জগা খিচুড়ি - ০১
জগা খিচুড়ি - ০২
জগা খিচুড়ি - ০৩
জগা খিচুড়ি - ০৪


মন্তব্য

shabdik এর ছবি

হাসি আমি প্রথ্ম হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ shabdik

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

চতুর্থ প্যারা থেকে দাঁত বের হচ্ছিল, পঞ্চমে এসে হো হো করে হাসলাম! চলুক

খিচুড়িতে জ্ঞানের ট্যাবলেট থাকতে পারে। তবে সেটা অনেকখানি খিচুড়ির মধ্যে একটাখানি মিশলে টের পাওয়া যায় না। শেষে মনে হয় আরে তাই তো! কিন্তু অনেকখানি ট্যাবলেটের মধ্যে যদি একটুখানি খিচুড়ি মেশান তাহলে সচেতন(!) পাঠক সালাম ঠুকে কেটে পড়বেন বলেই মনে হয়!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ, অনার্য সঙ্গীত। চেষ্টা করি কোন জ্ঞানই না দিতে। কিন্তু মাঝে মাঝে চারিদিকে এতো অস্থিরতা দেখে নিজেও অস্থির হয়ে যাই। সেটার ছাপ লেখাতেও চলে আসে।

খেকশিয়াল এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ শেয়াল দাদা। বহুদিন তো ডুব দিয়ে আছেন। ছড়া, ভূতের গল্প অথবা যা হয় কিছু একটা ছাড়ুন না।

স্বপ্নাদিষ্ট (অতিথি) এর ছবি

উত্তম জাঝা!

--স্বপ্নাদিষ্ট
====================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

The Reader এর ছবি

হো হো হো চলুক

মিলু এর ছবি

হো হো হো হো হো হো
চলুক চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই, মিলু, স্বপ্নাদিষ্ট এবং The Reader

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক

রসিকতার একক হিসেবে এখন থেকে 'চরম উদাস' ব্যবহার করতে হয় দেখি হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ভুলেও ওই কাজ কইরেন না। পরে আবার অন্য কোন ক্ষ্যাপা পাঠককে রসিকতার মানদণ্ড নিয়ে জবাবদিহি করতে করতে আমার জীবন শেষ হবে।

রু (অতিথি) এর ছবি

চরম উদাস, আমার পেট অতি কোমল; অশালীনতার মাপকাঠি অতি নিম্নে, অর্থাৎ পান থেকে চুন খসলেই আমার চোখে অশালীন হিসাবে ধরা পড়ে। কিন্তু আপনার লেখা না পড়ে থাকা যায় না। শুধু না পড়ে না, না হেসে পারা যায় না। চালিয়ে যান, থামবেন না।

আপনার মতো আমিও আশাবাদী, সময় বদলাবে এবং ভালোর দিকে যাবে।

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ রু, প্রতি লেখায় কমেন্ট করে উৎসাহ দেয়ার জন্য। রসিকতা আর অশ্লীলতার মাঝে একটা ফাইন লাইন আছে। অনেক সময় লেখক ও বুঝতে পারেন না যে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সজ্ঞানে আমি সেই সীমার ভেতরে থাকার চেষ্টা করি। কখনো ছাড়িয়ে গেলে অবশ্যই জানাবেন। অবশ্য হেসে ফেললে সাত খুন মাফ, একবার হেসে ফেলে পরে যদি বলেন অশ্লীল হইছে, তখন কিন্তু মানবো না ... খাইছে

shabdik এর ছবি

আমার অবস্থা টা রু এর মতই। কিন্তু হেসে ফেলি বলে আর কিছু বলি না। দেঁতো হাসি
তবে ৪ নম্বর খিচুরি টা ভিন্ন রকম স্বাদ ছিল, ভাল লেগেছে। চলুক

কাজি মামুন এর ছবি

বস আবারো বল স্টেডিয়াম ছাড়া করছেন। ভার্সিটি শিক্ষকের আদব শিক্ষা, টু-থ্রি সিডি নিয়ে উন্মাদনা, ম্যান বুবস, বা চা বানানোর বিকল্প পদ্ধতি - সবকয়টিই স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল। আফসোস হচ্ছে, কেন মিরাক্কেলে অংশ নিলাম না! এই 'জগা খিচুড়ি' দিয়েই তো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতাম! আপনি হুমায়ুন আহমেদের মতোই সহজ করে জটিল রসের গল্প বলে যেতে পারেন!

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ মামুন ভাই। ভালো মন্দ যাই লেখি, আপনের প্রশংসাও স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যায়। উৎসাহ পাই। এইসব লিখে লাভ কি বলেন। প্রত্যেক পাবলিক লেখা পড়ে এক টাকা দিলেও তো মুড়ি-চানাচুর খাইতে পারতাম ...... দেঁতো হাসি । সেইটা যখন পাইনা তখন সবাই একটু প্রশংসা করলেও মনে বল পাই ... খাইছে

pathok (sam) এর ছবি

আপনি মিয়া হাচল হওয়ার পর নাম টা ভাল নেন নাই, নেয়া উচিত ছিল রসঊদাস চোখ টিপি হাচল বা সচল হলেই অনেকেই দেখেছি লিখা কমে যায় - আশা করি আপনার কি বোরড থামবেনা --- জগাখিচুড়ী মেগাসিরিয়াল চলুক ---

pathok (sam) এর ছবি

আপনি মিয়া হাচল হওয়ার পর নাম টা ভাল নেন নাই, নেয়া উচিত ছিল রসঊদাস চোখ টিপি হাচল বা সচল হলেই অনেকেই দেখেছি লিখা কমে যায় - আশা করি আপনার কি বোরড থামবেনা --- জগাখিচুড়ী মেগাসিরিয়াল চলুক ---

অদ্রোহ এর ছবি

নাহ! আপনে পারেনও। আমাদের এক নিতান্ত সাদাসিধে কারো সাতে পাঁচে নাই বন্ধু আছে, নাম তন্ময়। কিন্তু কোন এক কুক্ষণে কতিপয় পামরের কল্যাণে (ঈমানে কইতাসি, আমি না)তার নাম হয়ে গেল স্তনময়। ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আর কি মন খারাপ

লেখা চলুক

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

শয়তানী হাসি যা শুনালে, মুগাম্বো তো হেসে কুটি কুটি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

চরম উদাস এর ছবি

স্তনময় ... গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অদ্রোহ আপনাকে কি আমি কোনভাবে চিনি? তন্ময় আবার আমারও বন্ধু কিনা খাইছে

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আইজকা খিচুরিটা খিচুরি হিসাবে জুৎ হয়নাই। মহান অনার্য বলে দিয়েছেন আগেই। চালিয়ে যান চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তাসনীম এর ছবি

অনার্যের বক্তব্যের সাথে একমত।

তবে দেশের এই ক্রান্তিকালে মশলা কষানো খুব কঠিন কাজ। কি-বোর্ড চালু থাকুক।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

pathok (sam) এর ছবি

ঊদাস - দেখছেন বেশি ভাল লাগ্লে কমেন্ট ও ২ বার পেস্ট হয়ে যায় হাসি আপনি বা মডারেটর যে কেঊ ডিলিট করে দিন একটা --- আর মনে হল তাস্নিম ভাই আমার আগে কমেন্ট করতেন - তাহলে কি-বোর্ড বানান টা ঠিক ভবে লিখতে পারতাম চোখ টিপি কি-বোর্ড চালু থাকুক ঊদাস > চরম ঊদাস> রসঊদাস

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ। ব্যাপার না সবাই একবার করছে, আপনে না হয় দু দু বার করেই করলেন।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার সবগুলো পর্বই চরম! তবে বিষয়ে একটু বৈচিত্র আসলে আরো ভাল লাগবে।

পুলকা ভাজি এর ছবি

মোহাম্মদ আলী স্যার এর লাইনটা আসলেই অনেক বর সত্য।
সম্মান জিনিসটা আদায় করে নেয়ার
জ্ঞানের কথা বলে দিলাম দেখতেছি :|

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- তাসনীম ভাই, ফাহিম হাসান এবং পুলকা ভাজি ( পুলকা ভাজি জিনিসটা কি?? চিন্তিত )

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক। 'চা - এর নাম যদি চু হত' এরকম কিছু শুনেছেন নিশ্চই।

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ দুর্দান্ত। নাহ, গল্পটা শুনি নাই। লিখে ফেলেন, শুনতে চাই ... দেঁতো হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি সবার উপাধি ফাঁস করে দিলেন, নিজেরটা ছাড়া? এটা অন্যায়।
আপনার লেখা পড়লে বোকা হয়ে যাই কেমন জানেনই তো। ষষ্ঠ প্যারায় যেয়ে হাসির কিছু খুঁজে পেলাম না। চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

সবার উপাধি ফাঁস করে দিলেন, নিজেরটা ছাড়া?

আপনারে চিনি মনে হইতেছে ... চিন্তিত , যাই হোক কিছু জানা থাকলে চেপে যান ... ইয়ে, মানে...
ষষ্ঠ প্যারা ছোটোদের জন্য না, না বুঝাই ভালো।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হো হো হো

সাফি এর ছবি

হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ সাফি ভাই। আপনের এক ফু তে হাচল হয়ে গেছি। লিখতে থাকি, কিছুদিন পর আবার একটা ফু দিয়েন এক ধাক্কায় সচল হয়ে যাবো।
যারা যারা হাচল, সচল হইতে চান সাফি ভাই রে গিয়া হাদিয়া দেন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি সপ্তাহান্তে একবার খিচুরি না খেলে এখন কিন্তু আর ভাল লাগে না মনে রাইখেন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

অভ্যাস কমান, খিচুড়ির সাপ্লাই প্রায় শেষ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শ্রীকৃষ্ণ এর ছবি

কি কমু, সবাই সব কইয়া দিসে। তবে আপনি জাত-লেখক গো, যাই লেখেন তাতেই রসের ছড়াছড়ি... দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ শ্রীকৃষ্ণ। লেখক না বলেই তো নিজের মতো করে লিখতে পারি।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

এইবারের পোষ্টে আউট অফ ফাইভ, ৪.১৪১৫৯২৬ রিকশা হাসি


love the life you live. live the life you love.

অপছন্দনীয় এর ছবি

বাহ্‌ দারুণ অঙ্ক কষলেন তো! দেঁতো হাসি

সজল এর ছবি

PI + ১ হো হো হো

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

চরম উদাস এর ছবি

কোন হিসাবে এই নাম্বার দিলেন সেইটা পাই পাই করে বুঝায়ে দেন।

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক। মাঝেমাঝে বিষয়বৈচিত্র্য এলে ভালোই হয় কিন্তু।

অপছন্দনীয় এর ছবি

দেঁতো হাসি

(মরিচটা একটু বেশি হয়ে গেছে এবার)

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

স্তনফকির!!! হো হো হো খিচুড়ির ঝাঁঝ হয়তো একটু কমছে, কিন্তু লেখা সুপাঠ্য!!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তুভ, অপছন্দনীয় এবং মৃত্যুময় ঈষৎ। সবদিক ঠিক রেখে মসলা পাকানো বড়ই কঠিন কাজ। রস কমলে রসিক পাঠক ক্ষেপে যায়, আঁতেল পাঠক খুশী হয়। আবার জ্ঞান বাড়ালে জ্ঞানী পাঠক খুশী কিন্তু ফচকে পাঠক মন খারাপ করে, আবার রস বাড়াতে গেলে অশ্লীলতা বেড়ে যায়, জ্ঞান বাড়ালে তেতো হয়ে যায়, আমি যামু কই ...... ওঁয়া ওঁয়া
যাইহোক খিচুড়ি প্রায় শেষ পর্যায়ে। মোট ছয় পর্ব লিখব ঠিক করেছিলাম, আরেকটা পর্ব বাকি আছে। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ।

পুলকা ভাজি এর ছবি

জিনিসটা কি জানা নাই ভাই
বন্ধুদের জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে দেঁতো হাসি

রোকসানা রশীদ এর ছবি

অনেকদিন পর ঘর কাঁপায়ে হাসলাম! ফাডায়লাইতাসেন বস! গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- রোকসানা রশীদ

দিহান এর ছবি

জগা খিচুড়ি আরো অনেককে খেতে বলেছি, এতো ভালো খাবার কি একা খাওয়া যায়?

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

চরম উদাস এর ছবি

বন্ধুবান্ধব কে নিয়ে খান, সমস্যা নাই। কিন্তু আবার পরিবার পরিজন নিয়ে জগা খিচুড়ি খাইতে বইসেন না। কপালে খারাবি আছে ... দেঁতো হাসি

সুমন_তুরহান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

পাঠক এর ছবি

খিচুড়ি শেষ করে দিলে এরপর এই দুর্গত মানুষজন খাবে কি???

নীল_অনুকাব্য এর ছবি

খিচুড়ি শেষ করে দিলে এরপর এই দুর্গত মানুষজন খাবে কি???

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

বস্, আপনার ফটুকটা কিন্তু সোন্দর...

আশালতা এর ছবি

আপনাকে সেলাম না জানিয়ে উপায় নেই। দারুন লেখেন। আর হ্যাঁ, প্রপিকটা ভারী মিষ্টি হয়েছে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

চরম উদাস এর ছবি

ওয়ালেকুম সেলাম ... দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনের এই খিচুড়ি পইড়া পুরান কাহিনি মনে পইড়া গেলো। একবার বন্ধুগো আড্ডায় মহাসমারোহে 'গিটার বাজানী'র কথা আলোচনা করতাছে আমাগো এক বন্ধু। তার সাথে আবার বাকীরা 'দুই পয়সা' যোগ করতাছে। এমন এক পর্যায়ে আমাগো এক মাতারি বন্ধু কইয়া উঠলো, 'তোমরা সাবধানেই গিটার বাজাইও। দেইখো তার-তোর আবার ছিঁড়া ফেইলো না!"

আচ্ছা, আপনে গ‌্যালেন কই উপ্তা জগলুল ভাই!

চরম উদাস এর ছবি

ধুগো ভাই, যাবো আর কই। দিন রাত তো সচলেই থাকি কখনো ডুবে কখনো ভেসে।

গিটারের দুই একটা তার ছিঁড়লেও তেমন সমস্যা নাই, গিটার না ভাঙলেই হইলো ... দেঁতো হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

সিরিজটা দারুণ মজার। কাল রাত আর আজকে মিলিয়ে সবগুলো পড়লাম। ক্যাডেট কলেজের কিছু বন্ধুর কল্যানে কিছু কিছু কাহিনী পরিচিত লেগেছে, তবে আপনার উপস্থাপনার গুনে আরও বেশি হাসি পেয়েছে। সাবলীল লেখার হাত আপনার, দারুণ রসবোধ।

শ্লীলতা-অশ্লীলতার মধ্যের ফাইন লাইন দিয়ে হাঁটা বেশ কষ্টকর বিষয়। সেটা এখন পর্যন্ত ভালোই পারছেন আপনি। এই ফাইন লাইন দিয়ে হেঁটে চমৎকার কাজ করে গিয়েছেন জর্জ কার্লিন। নিজের লেখায় আর কমেডি শো-গুলোতে সহসাই সেই লাইন ভেঙ্গেছেন, নিজেই আবার সীমারেখা গড়েছেন। আপনার রসিকার মাঝে মাঝে গো-আজম, এরশাদ, অন্য নেতা-নেত্রী-মন্ত্রী আর সিরিয়াস বিষয় ঢুকে পড়া দেখে কার্লিনের কমেডির কথাই মনে পড়ে গেলো।

চলতে থাকুক। জগা-খিচুড়ি ফরম্যাটের বাইরে অন্য কিছুও লিখুন চাইলে।

চরম উদাস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ যুধিষ্ঠিরদা। অন্য কিছু লিখার ইচ্ছা আছে। জগা খিচুড়ি হয়তো আরেকটা লিখব এরপর অন্য কিছু। জর্জ কার্লিন এর শো গুলো খুব একটা দেখা হয়নি, দেখে ফেলব।

vindesher boiragi এর ছবি

গুরু, দয়া করে মাত্র ৬ পরবে সীমা বদ্ধ করবেন না। অন্তত ১০ পরব তো লিখুন। যে যাই বলুক,আমি আপনার লগেই আসি।

কল্যাণF এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাততালি গুরু গুরু

মেঘা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি উপাধি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ভাগশেষ শুণ্য এর ছবি

কালকে রাতে সময় টিভিতে ক্যাথরিন মাসুদের একটা সাক্ষাতকার দেখতেছিলাম, পুরা ঘটনাটা মনে পড়লেই খুব খুব খারাপ লাগে মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

হুম ... দেখতে দেখতে বছর পার হয়ে গেল কিন্তু এখনো ভুলতে পারিনা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।