• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ফেসবুক ম্যানিয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৮/২০১১ - ২:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফেসবুক ম্যানিয়া

ইন্টারনেট জগতের বিপ্লব সাধনকারী ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের এক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন আজ একসাথে।পারস্পরিক যোগাযোগ, মতামত বিনিময়, সম্পর্ক ও জনমত তৈরি, ব্যাবসার প্রসার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান অপরিসীম। ভার্চুয়াল জগতে আপনার পরিধি বৃদ্ধি করলেও বাস্তবিক অর্থে ফেসবুক ব্যাবহারে রয়েছে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। এসব নিয়েই আজকের এই লেখা।

পরিসংক্ষানে ফেসবুক

২০১১ সাল পর্যন্ত সারাবিশ্বে মোট সক্রিয় ব্যাবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৭০ কোটি, অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রায় প্রতি ১০ জনে ১ জন ফেসবুক ব্যাবহার করে। এদের অর্ধেক দিনে একবার ফেসবুকে প্রবেশ করে।
১৮ থেকে ৩৪ বয়সিদের ৪৮% ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুক চেক করে। অপরদিকে প্রায় ২৮% বিছানা ছাড়ার আগেই মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুক চেক করে।
বর্তমানে ৩৫ বছরের বেশি ব্যাবহারকারীর সংখ্যা মোট সংখ্যার ৩০%। ২০১০ সালে ১৮-২৪ বছর বয়সী কলেজ/ভার্সিটি পড়ু্যাদের সংখ্যা বেড়েছে ৭৪%। “Drugs” পছন্দ (like) করার সংখ্যা বেড়েছে ১১৩১.৯%।
আমেরিকায় মোট ইন্টার্নেট ব্যাবহারকারীর ৭১.২% ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে।ফেসবুকের ৭০% ব্যাবহারকারী আমেরিকার বাইরের।
৫৭% লোক রিয়েল লাইফ এর তুলনায় অনলাইনে বেশী কথা বলে। ৪৮% তরুন আমেরিকান ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পায়।
ইংরেজি নববর্ষের ছুটিতে রেকর্ড ব্রেকিং ৭৫ কোটি ছবি আপলোড করা হয়।
বাংলাদেশে মোট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ১৬.৫ লক্ষ, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ১৮-২৪ বছর বয়সী। ব্যাবহারকারীর সংখ্যার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৯ তম।প্রথম অবস্থান নিঃসন্ধেহে আমেরিকা।
গড়ে প্রতিজনের ১৩০জন বন্ধু রয়েছে।গড়ে প্রতিজন প্রতিমাসে সাড়ে ১৫ ঘন্টা সময় ফেসবুক ব্যাবহার করে।
উৎসঃ ফেসবুক.কম/অনলাইন স্কুল.কম

• পরিক্ষার ফলাফলে অধ্বঃগতি
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ ফেসবুক ব্যাবহার করেন তাদের কোন বিষয়ের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের (ব্যাবহারকারীদের ৭০% ই ১৮-২৪ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রী) পরালেখা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরিশেষে খারাপ ফলাফল নিয়ে সন্তুস্ট থাকতে হয়।
• হারাতে পারেন চাকরি
ডেস্কে বসে আয়েশ করে ফেসবুকে চ্যাট করছেন, খেলছেন গেম আর স্ট্যাটাস দেয়া বা দেখাতো আছেই। এদিকে কাজ জমে গেছে এক গাদা। সময়মত দিতে পারলেননা হাতের কাজটা! কি হবে ফলাফল? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকার শতকরা ৭২ জন চাকুরিজীবি দৈনিক এক থেকে দেড় ঘন্টা কাজের সময় ব্যায় করে ফেসবুক, টুইটার, ইত্যাদি ব্যাবহার করে। আর তাই করপোরেট গুলো এসবের ব্যাবহার নিয়ে আরোপ করেছে করাকরি নিয়ম।

• দুধের স্বাদ ঘোলে মিটেনা
আপনি যতই শুভেচ্ছা জানান, বার্তা পাঠান ফেসবুকে, সরাসরি দেখা না করলে কাজের কাজ কিছুই হয় না। সামাজিকতা এবং ভালোবাসায় পারস্পরিক সহচার্যের কোন বিকল্প কি আছে? একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, অধিকাংশ স্ট্যাটাস নেতিবাচক বা হতাশাব্যাঞ্জক। কিছু একটার খোজে সবাই যেন ছুটছে, কিন্তূ নাগাল পাচ্ছেনা।
• স্বাস্থ্যগত দিকটাও কম নয়
ঘন্টার পর ঘন্টা স্ক্রীনে চোখ রাখলে একদিকে যেমন চোখের ক্ষতি হয় অন্যদিকে দেখা যায় ঘুমের সমস্যা। অনিয়মিত ঘুম আর খাদ্যাভাসের ফলে তৈরি হয় আরো হাজারো জটিলতা। অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম।
• আছে ঝুকি গোপনীয়তা রক্ষার
আপলোড করছেন সবকিছুই, দিচ্ছেন নিজের সম্মন্ধে হাজারো তথ্য, কিন্তূ নিরাপত্তার কথা কতটা ভেবেছেন? মনে রাখবেন, আপনার প্রতিটি পছন্দই (Like) মার্কেটিং এর কাজে ব্যাবহার করা হয়। আপনার ব্যাক্তিগত পাতায় যেসব বিজ্ঞাপন দেখেন, তা নির্ধারিত হয় আপনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে। আর ভুয়া একাউন্ট এর ঝামেলা বা হ্যাকিং হবার সম্ভাবনা তো আছেই।
ফেসবুক ব্যাবহারকে নেশার সাথে তুলনা করেন অনেকে। যে একবার শুরু করে, তাকে প্রতিদিনই ঢুকতে হয়। ফেসবুক থেকে দূরে থাকেলে তার মধ্যে দেখা যায় উদ্বেগ। না জানি কি সব চলে গেল, কত কিছু মিস হয়ে গেল!এসব “ফেসবুকার” সাধারনত নিজের জগৎ নিয়ে থাকতে পছন্দ করে, আশেপাশের খবর রাখার সময় তাদের নেই। যদিও তাদের বন্ধুর সংখ্যা হাজার হাজার, বাস্তবে দেখা করা হয় খুব কমই। ফেসবুক আশক্তরা অনেক সময় নিজের পরিবার থেকেও ফেসবুক বন্ধুদের নিয়ে বেশী ব্যাস্ত থাকতে দেখা যায়।
প্রিয় পাঠক, আপনাকে নিরুৎসাহিত করা নয়, বরং সচেতন করাই এই লেখার উদ্দেশ্য। ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ সহজ করলেও কখনই প্রকৃত পারস্পরিক বন্ধনের বিকল্প হয়ে উঠবে না। মানুষের সৃষ্ট প্রযুক্তি মানুসের সেবা করার জন্যই, মানুষকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য নয়। আপনার নিয়ন্ত্রন থাকুক আপনার হাতেই।

মোঃ আজহারুল ইসলাম
ট্রেইনি কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


মন্তব্য

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার লেখার উদ্দেশ্য সবাইকে সচেতন করা। আপনার উদ্যোগকে সাধুবাদ।

কিন্তু আপনার লেখাটা ভাল লাগে নাই। কারণ আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছেন তা অনেক অনেকবার অসংখ্য খবরের কাগজে, অনলাইনে, ব্লগে এসেছে। বিষয়বস্তুতে নতুন কিছু নেই। সবচেয়ে যেটা খারাপ লেগেছে তা হল - পরিসংখ্যানের বা তথ্যের ভুল উপস্থাপনা। আপনি পরিসংখ্যানের কথা বলেছেন। কাদের উপর এই জরিপ চালানো হয়েছে? তাদের সাথে আমদের মিল কতটুকু? আমেরিকার পরিসংখ্যান আমাদের জানা জরুরী কেন? এই উপাত্তগুলো কি স্ট্যাটিস্টিকালি সিগ্নিফিক্যান্ট? যাদের উপর জরিপ করা হয়েছে তাদের কি দৈব চয়নের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছে? গবেষণার তথ্যগুলো খালি উল্লেখ করে গেলেন - একটু বিশ্লেষণ পাঠক হিসেবে আশা করতেই পারি, তাই না?

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক (ফেইসবুক/টুইটার) কেন, যে কোন নতুন প্রযুক্তি (টিভি নিয়ে আজকে থেকে ১০/১৫ বছর আগেও) নিয়ে এরকম বাড়াবাড়ি থাকাটা আমার কাছে অস্বাভাবিক কিছু মনে হয় না।

আপনি পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট। আশা করছি মনস্তত্ত্ব নিয়ে বিশ্লেষণমূলক লেখা দিবেন। আপনার চিন্তা-ভাবনা নিয়েই লিখুন। শুভেচ্ছা।

কৌস্তুভ এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, এটা নোটবইয়ের চর্বিতচর্বণ 'বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ' টাইপের বাঁধা বুলি এবং জ্ঞানদানকারী ভাষার ককটেল বলে মনে হচ্ছে।

আজহারুল ইসলাম এর ছবি

ফাহিম হাসান সহ যারা আমার লেখার মন্তব্য করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

কেউ যদি কোনকিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করাকে স্বাভাবিক মনে করে এবং হজম করতে পারে, সেটা অবশ্যই তার জন্য ঠিক আছে।

আমি আমার clinical experience এবং নিজস্ব পর্যবেক্ষন থেকে এই মত প্রকাশ করেছি। পরিসংখ্যান নেট থেকে প্রাপ্ত, চাইলেই বিস্তারিত পাবেন।

আপনাদের সমালোচনা আমি ইতিবাচকভাবে গ্রহন করছি। আপনাদের মন্তব্য থেকে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম।

চরম উদাস এর ছবি

আজহারুল ইসলাম ভাই, লেখা ভালো লাগলো তবে কিছু কথা ...
প্রথম যখন টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, বা ইন্টারনেট এসেছিলো মানুষের জীবনে তখনও অনেক হই হই রই রই হয়েছিলো। সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। তরুণ সমাজ গোল্লায় যাচ্ছে। এগুলো সবই এখন পার্ট অফ লাইফ হয়ে গেছে। কত সময়, কতটুকু কন্ট্রোল সেইটা মানুষ যে যার টুকু ঠিক করে নিয়েছে। ফেসবুক অথবা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ও এখন তাই। আমরা মানি আর নাই মানি এটা এখন সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে গেছে। শুধু বন্ধু-বান্ধবী না, এখন প্রবাসে থাকা লোকজনের কাছে এটা পরিবারের সাথে যোগাযোগেরও বড় একটা মাধ্যম। তাই একে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো, নেশা, চাকরি হারানোর ভয়, স্বাস্থ্য সমস্যা এইসব কিছু হালকা যুক্তি দিয়ে উড়িয়ে দেয়া সম্ভব না।

অদ্রি (অতিথি) এর ছবি

''এই বাচ্চারা হাত ধূয়ে ভাত খাবে'' শুনতে যেমন ভালো শোনায় পোস্ট টি পড়তে তেমন ভালো লাগলো।

যে ৫৭% এর কথা বলা হয়েছে। তারা ফেসবুক না থাকলে গেইমস খেলতো। ফেইসবুক (যে কোন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক) পরিচিত/অপরিচিত লোকের সাথে আলোচনার সুযোগ করে দিচ্ছে। আলোচনায় জ্ঞান বাড়ে গেইমসে বাড়ে না।

যে ৪৮% ফেইসবুকে খবর পায় তারা আগে কোন খবর ই রাখতো না এখন তবুও পায়।

সব সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে ইন্টারনেটে শাক-শবজী ব্যবসা দেয়া হোক দেশে দেশে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

কড়াভাবে বলতেই হচ্ছে, বাংলাদেশের রেসিস্ট সমাজে কারো বাপের চরিত্রে সমস্যা থাকলে কী হয় জানা আছে আপনার? যারা কোন পরিবর্তন গ্রহণ করতে পারে না তারা বাপের চারিত্রিক সমস্যার কারণে এমনকি সাত বছর বয়সের একটা শিশুকেও কী করে একঘরে করে আর কী করে টিজ করে জানেন নিশ্চয়ই? একেবারে ছোট্টবেলা থেকে এই ধরনের টিজিং আর বদমায়েশি সহ্য করে আসার পরে যদি কারো মনে হয় এইসব কাপুরুষদের আশপাশে না থেকে সে নিজের ভার্চুয়াল গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে তাহলে কি বলার আছে আপনার?

উদাহরণটা নিজের জীবন থেকে দিলাম। আগে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং করে ওই কাপুরুষগুলোর মননশীলতা পাল্টান, তারপরে আমাকে দুধ আর ঘোলের উপকারীতা অপকারীতা শেখাতে আসুন। আমি নিশ্চিত ওই গ্রুপগুলোও আপনার মতই ফেসবুকের বদনাম করে সরাসরি দেখাশোনা করা যে কত ভালো সেই উপদেশ দিতে আসবে। আপনি দুধ খেতে চান খান, আমার কাছে ফরমালিন মেশানো দুধের চেয়ে খাঁটি ঘোলের স্বাদ অনেক বেশি পছন্দের।

তিথীডোর এর ছবি

একেবারে ছোট্টবেলা থেকে এই ধরনের টিজিং আর বদমায়েশি সহ্য করে আসার পরে যদি কারো মনে হয় এইসব কাপুরুষদের আশপাশে না থেকে সে নিজের ভার্চুয়াল গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে তাহলে কি বলার আছে আপনার?

(Y)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

হ্যাঁ, যে ভাষায় পোস্টটা লেখা হয়েছে সেটা স্পষ্টই জ্ঞান দেওয়ার মত শোনাচ্ছে। অন্যরা তো পয়েন্ট ধরে বিস্তারিত সমালোচনা করেছেনই।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

একেবারে ছোট্টবেলা থেকে এই ধরনের টিজিং আর বদমায়েশি সহ্য করে আসার পরে যদি কারো মনে হয় এইসব কাপুরুষদের আশপাশে না থেকে সে নিজের ভার্চুয়াল গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে তাহলে কি বলার আছে আপনার?

(Y)

আমি ফেসবুক ভালবাসি। আমি ফেসবুককে বিয়ে করতে চাইইইইইইইই :'(

সজল এর ছবি

ফেসবুকরে বিয়ে করে ক্যাম্নে?!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার কিন্তু মনে হয়েছে মাঝে মাঝে এইসব উপদেশগুলোরও প্রয়োজন আছে। ফেসবুকার সকলেই যে অতি সচেতনতার সাথে ফেসবুকিং করে থাকে এটা ঠিক না। আবার সকলেই যে পরিমিত মাত্রার সময় এগুলোর পিছনে ব্যায় করে, সেটাও ঠিক না। তাই মাঝে মাঝে এধরণের লেখার একটু প্রয়োজন আছে বলেই মনে হয়। রিমাইন্ডার টাইপের কাজ করে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পথেরক্লান্তি এর ছবি

মন্তব্যগুলো পছন্দ হয়েছে। :)

guest_writer এর ছবি

প্যাচবুক ভালু পায় 8)

-আতিক আজাদ

The Reader এর ছবি

স্মরণীয়ও দার সঙ্গে সহমত পোষণ করি ।

রণদীপম বসু এর ছবি

লেখককে অভিনন্দন জানাচ্ছি এ পোস্টটির জন্য। কেননা অন্য কারো উপকার না হলেও আমার অন্তত কিছুটা কাজে লেগেছে। পোস্টটা পড়তে পড়তেই আমার খেয়াল হলো যে, সত্যিই তো, আমি হয়তো প্রয়োজনের চে বেশি সময় দিয়ে ফেলছি ফেসবুকে। পড়াশোনার পরিমাণ কমে গেছে। অন্তত যেগুলো আমি এ মুহূর্তেও অনলাইনে পাচ্ছি না, সে বিষয়ের বইগুলো টাল হয়ে আছে টেবিলে।

এই যে এইটুকু সচেতনতা হঠাৎ করে আমার হলো এখন, তা অবশ্যই এ পোস্টটার সৌজন্যে। অতএব, কোন লেখা কাজের নয় এটা বলি কী করে ! তাছাড়া এই বিষয়টা সাইকো-পরিধির বাইরে, তা-ই বা বলি কী করে !

আর উপস্থাপনার বিষয়টা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন। অনেকের হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবেও ভাষায় কিছুটা কর্কশতা চলে আসতে পারে। তবে আমি এ পোস্টটাকে একটি সচেতনতামূলক বিবৃতি হিসেবে পড়েছি। তাই আমার কাছে এটাকে অস্বাভাবিক মনে হয় নি। কারণ, এখানে আমি কোন সাহিত্যগুণ ও নান্দনিকতা খুঁজি নি।

( গোপন কথা : সবাই যদি খুব সাহিত্যগুণ আর নান্দনিকতা মিশিয়ে লিখে ফেলেন, তখন কি আর আমাদের বেইল থাকবে ! হাহ হা হা !!)

লেখককে সচলায়তনে স্বাগত জানাই। ( অবশ্য যদি এর আগে কোন পোস্ট দিয়ে থাকেন, সেটা আমার নজরে আসে নি বলে দুঃখিত।) অবশ্যই আপনার যা ভালো লাগে, যা আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন বলে মনে হবে, আপনি তাই লিখবেন। সাইকোলোজিই হতে হবে এমন কথা নেই। তাহলে আমাদেরকেই লেখালেখি ছেড়ে দিতে হবে ! আমরা সবাই কি আর পেশা বা অধীত বিষয় নিয়েই কেবল লিখি ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রথমে মন্তব্যই পোস্ট হয় না। বারবার অটোলগাউট হয়ে যায়। আবার লগিন করে দেখি দুবার মন্তব্য পোস্ট হয়ে গেছে। তাই রিপিট মন্তব্য ডিলিট করতে না পেরে টেক্সট পরিবর্তন করে এ মন্তব্য করা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৌনকুহর এর ছবি

আপনার এই পোস্টের উদ্দেশ্য সবাইকে সচেতন করা বলে বলছেন। আপনার সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

দিগন্ত বাহার () এর ছবি

পোষ্টটিকে সাদুবাদ জানাই। পেছনের দিকে একটু হলেও তাকাতে বাধ্য করেছে।
ধন্যবাদ আজহারুল ইসলাম।

 তাপস শর্মা  এর ছবি

:O

সব কিছুই ঠিক আছে। সচেতনতা ভালো লাগলো।তবে ভালোর জন্যও ইউজ করা যায় বলে আমি মনে করি (Y)

shabdik এর ছবি

আমার খুব কাছের একজন ক্যান্সার রোগীর ক্থা বলছি,যার মাসে একবার রক্তের প্রয়োজন হত, প্রতিবার এ তা সম্ভব হ্য় ফেসবুক স্ট্যটাসের মাধ্যমে, যারা প্রতিদিন একবার অন্তত ফেসবুক চেক করেন তাদের কারনে।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে কখনই ফেসবুক কে নিরুৎ্সাহিত করার পক্ষে নই।

অতিথি_পদ্মজা এর ছবি

কর্মব্যাস্ততায় দেখা হয় না কত ছেলেবেলা'র বন্ধুদের সাথে। নায় হয় ফেসবুকে'ই সুখ দুখঃ ভাগাভাগি হয়! প্রাণের টানে কি ভাটা পড়ে তাতে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।