মাত্র ক’দিন হলো বাংলা টাইপ শিখেছি। তাই বানান ভুলগুলোকে মার্জনা করবেন আশা করি। তাছাড়া এইচ এস সি তে বাংলা প্রথম পত্রে ৩৫ পেয়েছিলাম……
আমার এই লেখাটি একদম নিজের মনের ভাবনা।কাউকে আঘাত করা বা কার মতামতকে ভুল প্রমান করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নাই। একবছর হল কানাডায় এসেছি। প্রায় প্রথমদিন থেকেই শুনছি কানাডা একটি multicultural country. সবার সব ধরণের স্বাতত্রকে খুব সন্মান করা হয় নাকি এই দেশে।খুবই আনন্দের সাথে দেখলাম আসল ঘটনা। হাসিহাসি মুখে ঠিকই সবরকমের বর্ণবিভেদই চলে এই দেশে।
কিন্তু আমার লেখার পটভূমি কানাডা নয়। বাংলাদেশ!!! আগেই বলেছি এটি আমার ১০০% নিজের অভিজ্ঞতা। আমি মনে করে দেখলাম সবচাইতে ছোট যে বয়সে আমি বর্ণবাদ ব্যাপারটির সাথে পরিচিতি পাই তখন আমি স্কুলেও পড়িনা। আমাদের পাড়ায় আমরা একদল পিচ্চি ছিলাম। আমরা এক্ সাথে বিকালে মাঠে খেলতাম, বাদলাদিনে আড্ডা মারতাম নানা বিষয় নিয়ে। একদিন কথা হচ্ছিল বংশ নিয়ে। আমার বন্ধুরা দেখলাম এই বিষয়ে বেশ খবর রাখে। তাদের মতে “রহমান” আর “ইসলাম” যেসব মানুষের নামের শেষে আছে তারা “বড়” বংশ। যেমন “জিয়াউর রহমান”(তার বছর কয় আগে জিয়া প্রেসিডেণ্ট ছিলেন) আর “কাজী নজরুল ইসলাম” (কিছুদিন আগেই আমাদের এই পিচ্চিদলের একজন নজরুলের “কাঠবিড়ালী” কবিতা মুখস্ত বলে আন্টি মহলে খুব বাহবা পেয়েছিল।)। যেহেতু আমার নাম এর শেষে “রহমান” বা “ইসলাম” কোনটিই নাই, আমি ছোট বংশের মানুষ। বলাবাহুল্য, আমার সাথের দুই পিচ্চির একজন “রহমান” আর আরেকজন “ইসলাম”। আরেকবার পিপড়া নিয়ে খেলার সময় এক পিচ্চি বলল আমাদের কাল পিপড়া মারা উচিতনা কারণ কাল পিপড়া “মুসলমান”।কিন্তু লাল পিপড়া মারা উচিত কারণ লাল পিপড়া “হিন্দু”।ছোট ছোট বাচ্চা এইসব বড় বংশ, ছোট বংশ; হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ নিয়ে এই বয়সে এত সচেতন!!! বড় হতে হতে তাদের ভেতর বর্ণবিভেদটার কি অবস্থা হবে কে জানে!!???
তারপরের ঘটনাটি ঘটে আমি যখন পাড়ার আনামী স্কুল থেকে চিটাগাং এর এক নামীদামী “মহিলা” স্কুলে গেলাম। এমনিতেই আমি মানুষটা একটূ হাবা টাইপের। তার উপর একদম পাড়ার স্কুল থেকে নাক উচু বড়লোকদের স্কুলে। দিনের পর দিন পিছনের সিটে বসে থাকি চুপচাপ।কেউ কথা বলেনা। সবার নিজের গ্রুপ আছে। ভেবে দেখেন ক্লাস ফোরে পরে বাচ্চাগুলো।।তাদেরও গ্রুপ!! টিচারাও দেখলাম বিভিন্ন গ্রুপকে বিভিন্ন কাজ দিচ্ছেন…বলছেন, “গত সপ্তাহে এই গ্রুপ এই কাজ করেছে, এই সপ্তাহে ওই গ্রুপ করবে”। নয়/দশ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে গ্রুপিং ব্যাপারটা উস্কে দেয়া হচ্ছেনা এই ভাবে? তবে স্কুলটির একটি মজার নিয়ম ছিল। তা হল প্রতি সপ্তাহে সামনের সারির ছাত্রছাত্রীরা একদম পিছনের সারিতে বসবে আর পিছনের সারি এক সিট সামনে আসবে। এই নিয়মের কারণে এক শুভদিনে ক্লাশের এক দয়াবতীর পাশে বসতে পারলাম। সেই মিষ্টিমুখের মেয়েটা হঠাত জিজ্ঞেস করল; “ তোমাদের ফ্রিজে কি coke আছে?” কী ভাল কপাল আমার!!! তার কিছুদিন আগেই আমার মেরিনার ভাই ফ্রিজ আর coke দুটোই কিনে এনেছিল। তা না হলে হয়ত জিজ্ঞেস করে বসতাম ফ্রিজ কি? তাই সেবার একজন বন্ধু পেলাম স্কুলে প্রথমবারের মত। পরে শুনেছিলাম ওই বেচারি আরো কয়েকজনকে বাতিল করেছিল ফ্রিজে coke না থাকার কারণে। কারণ ও শুনেছে ফ্রিজে কোক না থাকলে বড়লোক হয়না। আর বড়লোক ছাড়া ও বন্ধু হয়না………………। কী অবস্থা??? সেই বয়সেই বেচারীকে শ্রেণী সচেতন হতে হয়েছে!!!
উপরের দুটি ঘটনার পাত্রপাত্রীদের সাথে আমার আজকাল প্রায়ই কথা হয়। একবার লজ্জা দেবার উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করেছিলাম সেদিনের কথা…আমার এক বন্ধু কিছুখন চুপ থেকে বলল, বাবা-মাদের উচিত বাচ্চাদের সামনে এমন কিছু না বলা যেখান থেকে বাচ্চারা এমন কিছু শেখে যেটি মানুষের মনে আঘাত দেয়। আমি কখনই মনে করিনা কোন বাচ্চা এই ব্যাপারগুলো নিজে নিজে শেখে। ওরা বড়দেরকে যেসব কথা বলতে দেখে, যেসব কাজ করতে দেখে তাই-ই নিজেরা করার চেষ্টা করে।
আমাকে আর কিছু উদ্ভট ঘটনার মুখমুখি হতে হয়েছে। তাও বলব একে একে। তবে শিশুকালের এই বর্ণবিভেদ আমাকে তেমন একটা হয়ত প্রভাবিত করেনি। কারণ ওইযে বললাম আমি বরাবরই একটূ হাবা টাইপের তাই হয়ত নিরেট মাথায় তেমন আলোড়ন ফেলেনি। অবশ্য করেনি তাইবা বলি কিভাবে। আজ ২৫/২৬ বছর পরও যেহেতু মনে রেখেছি; কিছুটাও হলেও হয়ত আহত হয়েছিলাম।
বাচ্চাদের মানসিকতার সুষ্ঠূ গঠনে সচেতন বাবামারা আরো একটু সচেতন হবেন তা আশা করি।আমার ছেলে আজকে স্কুল এ গিয়ে এইরকম পরিস্তিতির সামনে পড়লে আমি তা মেনে নিতে পারবনা কখনই। কারণ আমি কিছু মানুষ দেখেছি; ওরা শিশুকালের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মনের মধ্যে এমন ভাবে স্থান দিয়েছে যে অনেক বড় হয়েও সেই তিক্ততা ভুলতে পারেনি…… এই না ভুলতে পারাটা কিন্তু সেইসব মানুষ আর তার চার পাশের অনেকের অনেক কষ্টের কারণও হয়েছে।
(চলবে)
মন্তব্য
খব সুন্দর লেখা। আমি বিষয়টা নিয়ে লিখব বলে কয়েকদিন থেকে ভাবছিলাম। কিন্তু, আমি এত সুন্দর করে লিখতে পারতাম না। নিয়মিত লিখবেন বলেই প্রত্যাশা করি। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সাইফ জুয়েল। অনেক সাহস পেলাম আপনার মন্তব্যে। আপনিও লিখুননা এই বিষয়ে। নিশ্চয়ই আপনার অভিজ্ঞতা অন্যরকমের। ইচ্ছা আছে লেখার। কিন্তু সেমিস্টার শুরু হলে কেমন পড়ার চাপ থাকে তাইই ভাবছি। আপনিও ভাল থাকবেন।
গল্পগুলো মন খারাপ করার মতই। আর নিজেকে এত "হাবা" ভাবা ঠিক না
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১. প্রত্যেক বাক্য শেষে দাঁড়ির পরে পরের বাক্য শুরু করার আগে একটা স্পেস দিলে দৃষ্টিনন্দন হয়। আপনি কোথাও দিয়েছেন, আবার কোথাও দেননি।
২. আবার প্রত্যেক নতুন প্যারা শুরুর আগে এক লাইন ফাঁক রাখলে পড়তে যেমন আরাম লাগে, তেমনি পুরো লেখাটাও বেশ গোছালো লাগে।
৩. লেখার ভেতর এত ইমো দিলে লেখা কিছুটা গাম্ভীর্য হারায়।
৪. লেখায় অহেতুক বা ক্ষেত্রবিশেষে অতিরিক্ত ............ এর সংযোজন কিছুটা দৃষ্টিকটু।
এগুলো আমার নির্দোষ মতামত হিসেবে নেবেন, অন্য কিছু নয়। সচলে স্বাগতম। লিখতে থাকুন বেশী করে। অনেক শুভকামনা।
================================================================
ফেরা ।। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/40366
অনেক ধন্যবাদ মিলু আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
১। প্রিভিউর সময় কেন স্পেস সমস্যাটা চোখে পড়লনা কে জানে। এডিট করে আবার পাঠালাম।
২। এডিট করেছি।
৩। ইমোর ব্যাপারে আমার কিছু দূরবলতা আছে। তাই এডিট করলাম না। তাছাড়া বেশী গুরুগম্ভীর কিছু লিখিনিত।
৪। এডিট করলাম।
আপনাকেও শুভকামনা।
আসলে 'গাম্ভীর্য হারায়' বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি লেখাটা কেমন যেন একটু খেলো হয়ে যায়। তাই বেশী ইমো দিলে আমার কাছে কেমন যেন একটু ছেলেমানুষি মনে হয়, সবার কাছে এমন নাও লাগতে পারে।
ভালো থাকবেন।
ভালো বিষয় নিয়ে সূত্রপাত করেছেন। লিখতে থাকুন। আর রাজর্ষিদার এই ক্লাসিক লেখাটা পড়বেন সময় পেলেই।
ধন্যবাদ আপনাকে। "উদারমানসচরিত" এইমাত্র পড়লাম। আসলেই একটি ক্লাসিক লেখা জাতিগত বৈষম্য্য নিয়ে। সাহস দেবার জন্য আবারো অনেক ধন্যবাদ।
দারুণ বিষয়ে লিখেছেন।
ক্লাস থ্রিতে এক বন্ধুর সাথে এক সাথে স্কুলে যাই, খেলাধুলা করি। তার মামার কার্ড ফ্যাক্টরি, উনি ওকে অনেকগুলা দামী কার্ড দিয়েছেন। নববর্ষ উপলক্ষ্যে সে অনেককে এই কার্ড দিলো, বলাই বাহুল্য সবার বাবাই একেকজন কেউকেটা। আমার বাবা যেহেতু একজন কোন মতে চলা স্কুলশিক্ষক, তাই আমার সাথে ওঠাবসা হওয়া সত্ত্বেও আমাকে এই দামী কার্ডের যোগ্য মনে হয়নি তার। এখন এই ঘটনা মনে করিয়ে দিলে নিশ্চিত সে অনেক লজ্জা পাবে, কিন্তু আমার মনে হয় এই ঘটনা কখনো ভুলা হবে না।
এইসব ঘটনা ভিকটিম শিশুদের মনে নানা রকম প্রভাব ফেলে, অনেকে ছোটবেলা থেকে একটা কমপ্লেক্সে বড় হয়, অনেক টাকা পয়সা হলে অনেকে অন্যদের সাথে একইরকম ব্যবহার করে ছোটবেলার অপমানের বদলা নেয়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল। ঠিক বলেছেন। বাচ্চাদের মনে এই ধরণের ঘটনা অনেক প্রভাব ফেলে। অনেকের আবার গভীর মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়।
নিয়মিত লিখুন, তবে নিক/ নাম সহ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে, আমি যখন পড়েছিলাম তখন তো লেখার শেষে 'রুমঝুম' নামটা ছিল। এখন ভ্যানিশ?
ঠিক বলেছেন। প্রথমবার ছিল। পরে "মিলু" র সাজেশন মত এডিট করতে গিয়ে নিজের নিক টাও এডিট করে ফেলেছি। টাইপিং এর অনেক শব্দ এখনো সড়্গড় হয়নি বলে আপনার নামটা টাইপ করতে পারছিনা।
অনেক ধন্যবাদ তিথীডোর। প্রথমবার পোস্ট দেবার সময় নিক দিয়েছিলাম। পরে কিছু এডিট করে আবার পাঠানোর সময় নিজের নিক টাও যে এডিট করে দিয়েছি খেয়াল করিনি।
আপনি যে ঘটনাগুলির উদাহরন দিয়েছেন, তার সবগুলিই মনে হয় শ্রেণী বৈষম্য বা শ্রেণী বিভেদের - বর্ণবাদ বা বর্ণবিভেদের নয়। পার্থক্যটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার জানা মতে বাংলায় বর্ণবাদ ইংরেজি racism -এর অনুবাদ, এবং ক্ষেত্রবিশেষে সম্ভবত casteism - এর অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
লেখাটা চমৎকার। আমার মনে আছে আমি যখন স্কুলে ছিলাম প্যারেন্টদের উপর প্রিন্সিপালের কড়া নির্দেশ ছিল বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনা-নেয়ার জন্য দামী গাড়ি না পাঠাতে (কারো কারো বিশালাকার মার্সিডিজ ছিল)। আমরা কোন দামী বা শিশু-কিশোরপ্রিয় ফ্যাশনেবল কাপড় দিয়ে ইউনিফর্ম বানাতে পারতাম না। কটন, বা বড়জোর টেট্রন। এমনকি জিন্স পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল। দামী, এমনকি বেশি চক্রাবক্রা ডিজিটাল ঘড়িও পরা নিষেধ ছিল। যদিও স্কুলটায় পড়তো একটু নাক উঁচাদের ছানাপোনারাই।
আপনি রহমান আর ইসলাম নিয়ে যা বললেন, আমি সেটা শুনেছি 'সৈয়দ' নিয়ে।
****************************************
ঠিক বলেছেন মন মাঝি। আমি বর্ণবাদের কথা বলতে গিয়ে কোথাও কোথাও casteism এর সংজ্ঞা নিয়ে আসেছি। আসলে আমি racism এর এই[/url] সংজ্ঞার তিনটি মানেকেই ব্যবহার করতে চেয়েছি।
আমাদের স্কুলেও প্রায় একি ধরণের নিয়ম ছিল। তবে নিয়ম ছাপিয়েও অনিয়মগুলো কেমন করে জানি ঢুকে পড়তো। আমার মনে আছে একবার ক্লাশ নাইনে পড়ার সময় একজন টিচার মেয়েদের গ্লার চেইন, হাতের বাহারী ঘড়ি খুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু এইসব না করে উনারা যদি উনাদের আচরনগত তফাতটা না করতেন তা হলে অনেক ভাল হত। আমাদের সাথে আমাদের স্কুলের বুয়ার মেয়ে পড়ত। টিচাররা আমাদের সবাইকে 'তুমি' আর বুয়ার মেয়েকে 'তুই' করে বলতেন।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর সাহস দেবার জন্য।
লিঙ্কটা আসেনি দেখি। http://dictionary.reference.com/browse/racism
তাও ভালো। আঞ্চলিকতাবাদের মধ্যে পড়তে হয়নি
কোথাও কোথাও শিশুদের মধ্যে এমন ধারণাও পাওয়া যায় যে- অমুক অঞ্চলের মানুষরা আসোলে মানুষ না; জংলি
আমার নিজেকে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে
আঞ্চলিকতাবাদের মধ্যে পড়তে হয়েছিল চাকরি করতে এসে। পরের কোন লেখায় হয়ত বলব ঘটনাটি।
হুম, আমার ছোটবেলাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ও হিন্দু, ওদের বাসায় কেন তুমি খেয়েছ? প্রশ্নটা আমারই আরেক বন্ধুর। আবার আরেকজনের প্রশ্ন ছিল, আমার মামার হোন্ডা আছে। তোমাদের কি হোন্ডা আছে? নিজেও অবশ্য অনেক বর্ণবাদী ছিলাম। এর সাথে মেশা যাবে, ওর সাথে যাবে না। এর জন্য অবশ্য আমি নিজে দায়ী নই। এমন ধারণাগুলো তৈরি করেন মা-বাবারাই।
এগুলো এক ধরনের bulling. আর স্কুলে নানা ধরনের bullingএর শিকার হতে হয় একজন শিক্ষার্থীকে। ট্র্যাডিশনাল বুলিং, নন-ভারবাল বুলিং, ইদানিং আবার নতুন সমস্যা সাইবার বুলিং...
আমিও তাই-ই বলি। বাচ্চারা বড়দেরকে অনুকরন করেই শেখে। আমি শুধু বাবা-মাদের কথা বলবনা। আশেপাশের সব বড়দেরই উচিত এই ব্যপারে সচেতন হওয়া।
Bulling এর মধ্যে আমার কাছে non-verbal bulling টা সবচাইতে মারাত্তক মনে হয়।
সুন্দর লেখা
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ আশফাক আহমেদ।
চরাঞ্চলে বাড়ি বলে ছোটোবেলায় মামারবাড়ি গেলে মামাতোভাইবোনেরা চরুয়া বলে খেপাত...অনেককষ্ট লাগতো...একসময় তো মামাবাড়ি যাওয়ার ইচ্ছেটাই মরে যেতে লাগলো...
চট্টগ্রামের মানুষ বলেও অনেকসময় অনেককিছু শুনতে হয়েছে মানুষজনের কাছে। এইভাবেই মনের অনেক কোমল অনুভূতি মরে যায় বাচ্চাদের।
আমিও চট্টগ্রামের মানুষ । স্কুল কেটেছে গ্রামে, যেখানে বিভিন্ন পেশার মানুষের বসবাস...... যাদের বেশিরভাগই কৃষক । তাদের অনেকেরই সন্তান ছিল আমার বন্ধু । তবে "সৈয়দ" বংশের পোলা হওয়ায় যথারীতি পরিবারের বাধা এসেছিল এদের সাথে যেন না মিশি।তবে খানিকটা "ঘাড় ত্যাড়া" আর মুরব্বীদের ভাষায় "বেয়াদব" ছিলাম বলে মুরব্বীদের উপদেশটা রাখতে পারিনি............
লেখাটা ভাল লাগল । সিরিজটা চলুক............
নির্ঝরা শ্রাবণ
ধন্যবাদ নির্ঝরা শ্রাবণ।
চট্টগ্রামের মুরুব্বিদের এইসব মানসিকতা যে কবে বদলাবে কে জানে। আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আমার এক বান্ধবী বলেছিল ওদের বাসায় নাকি যে বন্ধু/বান্ধবীর গল্প করাই হোকনা কেন, প্রথম প্রশ্ন হবেঃ ওর বাবা কি করে আর বাড়ি কোথায়?
সিরিজ লিখতে পারব কিনা জানিনা। এই লেখাটা লেখার সময় আমার ছেলে তিন তিন বার backspace মেরে পুরো লেখা ডিলিট করে দিয়েছিল। আমার আবার বদঅভ্যাস, save করিনা সবসময়।
চমৎকার লেখা। আমিও চট্টগ্রামের মানুষ। প্রায় হুবহু কিছু শৈশব ঘটনার কথা মনে পইড়া গেলো।
-অন্যকেউ
আমাদের সময় "মহিলা সমিতি"র "মহিলা" স্কুল কো-এড ছিল। আপনি কি ঐ স্কুলে পড়েছেন নাকি? তবে এটাও ঠিক চাটগাইয়ারা চান্স পেলে অন্য অঞ্চলের লোকজনদের উপর পাংগা নেয়। কি খন, হাসা ন?
নতুন মন্তব্য করুন